Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Religious Conversion: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ (Forced Religious Conversion) ‘অত্যন্ত গুরুতর’ বিষয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এই নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত। কেন্দ্রকে সোমবার এই মর্মে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

    সুপ্রিম কোর্টের শুনানি

    জোর করে ধর্মান্তকরণ, লোভ দেখিয়ে বা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্র পদক্ষেপ নিই, অভিমত শীর্ষ আদালতের।  এই ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেও মত আদালতের। ক্ষুণ্ণ হতে পারে নাগরিকের অধিকার তথা ধর্মীয় অধিকার।

    সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সোমবার সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি  এম আর শাহ (MR Shah) এব হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চে। বেঞ্চ জানায়, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নচেত আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    কেন্দ্রের মতে

    এই বিষয়ে সলিসিটার জেনারেল (Solicitor General)  তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বলেন, “দু’টি আইন আছে। একটি ওড়িশা সরকারের এবং অন্যটি মধ্যপ্রদেশ সরকারের। ওই আইনে প্রতারণা বা জালিয়াতি, কিংবা অর্থের মাধ্যমে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। বিবেচনার জন্য দুটি আইনকে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়। শীর্ষ আদালত ওই আইনগুলির বৈধতা বহাল রেখেছে।” আদালতে তিনি জানান, যে আদিবাসী অঞ্চলে মাঝেমাঝেই জোর করে ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু জোর করে ধর্ম পরিবর্তন কখনওই কাম্য নয়। কেন্দ্রকে এই বিষয়ে মত জানানোর জন্য ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বিষয়ে ২৮ নভেম্বরে পরবর্তী শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: বালিতে গিয়ে সুনক, মাক্রঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি, কেন জানেন?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India vs New Zealand: সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া! বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল ভারত-নিউজিল্যান্ড শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

    India vs New Zealand: সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া! বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল ভারত-নিউজিল্যান্ড শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল। এর ফলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া। এই অবস্থায় তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ধনশ্রী বর্মা থেকে নাতাশা স্ট্যানকোভিক কে কে টিম ইন্ডিয়ার সমর্থনে নিউজিল্যান্ডের গ্যালারিতে গলা ফাটাবেন?

    আজকের খেলা

    এদিন নেপিয়ারে বৃষ্টির কারণে টস দেরিতে হয়। টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক টিম সাউদি। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯.৪ ওভারের মাথায় ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ভারতের টার্গেট ছিল ১৬১। ৯ ওভারের পর বৃষ্টির কারণে আর ম্যাচ শুরু করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতিতে ম্যাচ টাই হয়। ভারত-নিউজিল্যান্ড ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজের শেষ ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেন মহম্মদ সিরাজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেওয়া মহম্মদ সিরাজ ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন। সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ২টি ইনিংসে ১টি শতরান-সহ ১২৪ রান রয়েছে সূর্যের ঝুলিতে।

    নিউজিল্যান্ডে সাফল্যের খতিয়ান

    টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ক্রিকেটের মেগা টুর্নামেন্টের পর নিউজিল্যান্ড (New Zealand) সফরে গিয়েছে ভারতীয় দল। সফরটা এখনও পর্যন্ত সুখের হার্দিকদের কাছে। কিউই সফরে টানা ২টি আন্তর্জাতিক টি-২০ সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। কেননা ২০১৯-২০ মরশুমের শেষ নিউজিল্যন্ড সফরে ৫-০ ব্যবধানে টি-২০ সিরিজ জিতেছিল ভারতীয় দল। এবারও তাঁদের সামনে ২-০ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে এদিন খেলা বন্ধ হয়ে গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • FIFA World Cup: সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ! বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন না ইরানের ফুটবলাররা

    FIFA World Cup: সরকারের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ! বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন না ইরানের ফুটবলাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করেছে ইরান। ম্যাচ শুরুর আগে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন ইরানের ফুটবলাররা। কেউই গাইলেন না জাতীয় সংগীত। ইরানে হিজাববিরোধী যে আন্দোলন চলছে তার প্রতি সমর্থন জানাতেই এই পদক্ষেপ।  ইরানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে একমাস ধরে প্রতিবাদ চলছে। যা গোটা ইরানকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তারই প্রতিবাদে এভাবে মৌন থাকা। 

    ইরানে সরকার বিরোধী আন্দোলন

    ইরানে সরকার-বিরোধী আন্দোলন চলছে। কিছু দিন আগেই গোটা দেশ উত্তপ্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলালেন না ইরানের ফুটবলাররা। ম্যাচের আগেই ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবকশ জানিয়েছিলেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে কিনা সেটা দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ইরানের বেশির ভাগ ফুটবলারই জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার পক্ষে মত দেন। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, স্টেডিয়ামে হাজির অনেক সমর্থকও জাতীয় সঙ্গীতের সময় চুপ ছিলেন। দু’মাস আগে প্রতিবাদী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ফুঁসছে ইরান। রোজই বিক্ষোভ হচ্ছে গোটা দেশে। এদিন খেলা শুরুর আগে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় তখন তাতে ইরানের ১১ ফুটবলারের কেউই গলা মেলাননি। তাঁরা নীরব ছিলেন। এটি দেশে আন্দোলনকারীদের প্রতি নীরব সমর্থন এবং শাসকের প্রতি প্রতিবাদ।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-ফুটবলের যুদ্ধ কাতার ছাড়িয়ে কলকাতাতে! শহরের রাস্তায় প্রিয় তারকাদের ছবি

    কী ঘটেছিল

    ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, পুলিশি হেফাজতে কুর্দিশ তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে ইরানে। আমিনির দোষ ছিল, তিনি ঠিকমতো হিজাব পরেননি। যা ইরানে অপরাধ। এর বিরুদ্ধে সরব হয় ইরানের সাধারণ মানুষ। দেশের মহিলারা প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় নামেন। তাঁদের দাবি, নারীকে স্বাধীন ভাবে বাঁচার এবং পোশাক পরার অধিকার দিতে হবে। এ নিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ চলবে না। মাহশার মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, সেই প্রতিবাদই এখন দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত চাইছে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এখনও পর্যন্ত শতাধিক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারালেও প্রতিবাদের আগুন নেভার নাম নিচ্ছে না। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদে নেমেছে তরুণ প্রজন্ম। শুধু দেশ নয়, সমাজমাধ্যমে বাধাহীন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভের আঁচ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Panchayat Election: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    Panchayat Election: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শহরে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনীতির পারদও চড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)আসন্ন। তার আগে প্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। কে-কাকে টেক্কা দেবে? চলছে সেই প্রস্তুতি। বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে মঙ্গলবার রাজ্যে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী ( Mithun Chakraborty )। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন মহাগুরু।বুধবার পুরুলিয়ায় বিজেপির ( BJP ) পঞ্চায়েত সম্মেলনে যোগ দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, শুক্রবার বিষ্ণুপুর, শনিবার আসানসোলে সভা। রবিবার অনুব্রত-গড় বীরভূমে সভা করবেন মিঠুন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটে ব্লক স্তরে সংগঠনকে মজবুত করাই লক্ষ্য, জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।

    আরও পড়ুন: অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে! সারদা-প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    ময়দানে মহাগুরু

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে জন সংযোগ বাড়াতে মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) ময়দানে নামাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন চক্রবর্তীর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে  রাজ্যে। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত সম্মেলনেও অংশ নেবেন তিনি।  মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে জেলা সফরে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তী শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের আইকন। চলতি মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেওয়ার পাশাপাশি আগামী দিনে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করবেন।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারের পতন আসন্ন! ফের ডিসেম্বর ডেডলাইনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    বাঙালি আবেগ

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যের নানা প্রান্তে সভা করতে দেখা গিয়েছিল। বলি-তারকার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে প্রচার সভা করে গেরুয়া শিবির। তাঁকে ঘিরে বাঙালির যে আবেগ এবারও তাকেই হাতিয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যেই সাংগঠনিক তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। ‘শক্তি মণ্ডল’ তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে তারা বুথ কমিটিও তৈরি করবে। দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে,পঞ্চায়েত ভোটে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। সেই জন্য প্রচারের কাজে লাগানো হবে মিঠুন চক্রবর্তীকে।  পুজোর আগে গত সেপ্টেম্বরে কলকাতায় এসেছিলেন মহাগুরু। নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তখন তোলপাড়। সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হতাশ মিঠুন বলেছিলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি দেখে আমার হতাশ লাগছে। ৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি। আর কামাতেও পারলাম না।’’ তৃণমূলের ২১ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ICC T20: আইসিসির ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল টিম’-এ বিরাট-সূর্য, দ্বাদশ ক্রিকেটার হার্দিক

    ICC T20: আইসিসির ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল টিম’-এ বিরাট-সূর্য, দ্বাদশ ক্রিকেটার হার্দিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল টিম’ ঘোষণা করল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা (ICC)। রবিবার মেলবোর্নে ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে চলতি বছরের কুড়ি বিশের বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022)। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরদিন অর্থাৎ সোমবার সদ্য সমাপ্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে মূল্যবান দল ঘোষণা করেছে আইসিসি। 

    পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়ে দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ICC T20) জিতল ইংল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সবচেয়ে বেশি সদস্য আইসিসির মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটারদের নির্বাচিত একাদশে স্থান করে নিয়েছেন। তালিকায় জায়গা হয়েছে মাত্র দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের। একজন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) আর অন্যজন হলেন সূর্য কুমার যাদব (Surya Kumar Yadav)। আইসিসির সেরা একাদশে মোট ছটি দেশের ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: লজ্জার হার ভারতের! ১০ উইকেটে জিতে ফাইনালে ইংল্যান্ড

    ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটার যাঁরা

    ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জন বাটলার, টুর্নামেন্টের সেরা স্যাম কারণ, ওপেনার আলেক্স হেলস রয়েছেন আইসিসির মোস্ট ভ্যালুয়েবল ক্রিকেটারদের তালিকায়। নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস ছাড়াও পাকিস্তানের তারকা বাঁ হাতি পেশার শাহিন আফ্রিদি এবং জিম্বাবয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাও রয়েছেন আইসিসির দলে। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অপরাজেয় ঘোড়া ছুটেছে সেমিফাইনাল পর্যন্ত। যদিও ভারতীয় বোলিংয়ের দুর্বলতার কারণে রোহিত শর্মারা শেষ চারের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঝলসে উঠেছিল কোহলির ব্যাট। করেছিলেন অপরাজিত ৬৪ রান। ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলার পরেও দলের ব্যর্থতায়, ফাইনাল খেলা হল না। চার নম্বরে নেমে সূর্য কুমার যাদব দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দিয়েছিলেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। টুর্নামেন্টে তার সংগ্রহ মোট মোট রান ২৩৯। আইসিসির এই তালিকায় দ্বাদশ স্থানটি পেয়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। 

    আইসিসির মোস্ট ভ্যালুয়েবেল একাদশ: অ্যালেক্স হেলস, জস বাটলার, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, গ্লেন ফিলিপস, সিকান্দার রাজা, শাদাব খান, স্যাম কারান, এনরিচ নরকিয়া, মার্ক উড, শাহিন শাহ আফ্রিদি

     

  • Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির  কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। জনজাতি সমাজের প্রথম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর সমর্থনে ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছে জনজাতি সমাজ। বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করছে এই ইস্যুতে। কারা মন্ত্রী অখিল গিরির কাঁথির বাসভবনের সামনেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। বর্ণবিদ্বেষমূলক এই মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির গাড়ি আটকে জনজাতি সমাজের বিক্ষোভও নজর এড়ায়নি রাজ্যের মানুষের। গত রবিবার সকালে বাঁকুড়ার খাতড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে এলাকা ছাড়তে হয় মন্ত্রীকে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় জনজাতি সমাজের অন্যতম মুখ  বীরবাহা হাঁসদা অবশ্য এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জনজাতি সমাজের বিক্ষোভের এই উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই আগামীকাল দেশ জুড়ে পালিত হবে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’। 

     ভগবান বীরসা মুন্ডার ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম 

    আগামী কাল ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। গত বছর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই দিনটিকে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করছে। বিরসা মুন্ডার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তাঁর জন্মদিনেই ২০০০ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠন করেছিল তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার। ‌বিমানবন্দর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই রয়েছে ভগবান বিরসা মুন্ডার নামে। জনজাতি সমাজের এই অবিসংবাদী নেতা ১৮৭৫ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী  মুন্ডা বিদ্রোহে তাঁর বীরত্ব গাথা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দেশের জন্য আত্ম বলিদান করেন মুন্ডা বিদ্রোহের এই নেতা। জনজাতি সমাজে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের জন্যই তাঁকে ভগবান বা ধরতি আবা বলা হয়। জনজাতিদের উপর হওয়া শোষণ এবং তাদের অধিকারের দাবিতে কিশোর বয়স থেকেই সক্রিয় ছিলেন ভগবান বিরসা মুন্ডা। জনজাতিদের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্মের রীতিনীতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এই নেতা। বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করেন বিরসা মুন্ডা। তিনি পৈতে ধারণ করতেন। খাদ্যাভাসে নিরামিষাষী ছিলেন। কন্ঠস্থ ছিল তার রামায়ণ-মহাভারত সমেত অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থ।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশরা অরণ্য আইন বলবৎ করে। এই আইনের দ্বারা জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় । গর্জে ওঠেন জনজাতি সমাজের মানুষজন। ছোটনাগপুরে তীর ধনুক নিয়ে শুরু হয় বিদ্রোহ। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হলে, ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৫ সালে গ্রেফতার করে বিরসা মুন্ডাকে। বিচারে তাঁর দুবছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই বিরসা মুন্ডা পুনরায় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্যাপক আকার ধারণ করে মুন্ডা বিদ্রোহ। ১৮৯৯ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর বিরসা মুন্ডার বাহিনী ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে ব্রিটিশ পুলিশদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অনেক পুলিশ কর্মী নিহত হন। ব্রিটিশ সরকার তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। নামানো হয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। ইংরেজ সৈন্যদের আক্রমণের লক্ষ্য হয় ডোম্বারি পাহাড়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জনজাতি সমাজের ৪০০ মানুষকে।  সেনারা বিরসা মুন্ডাকে ধরতে ব্যর্থ হয়। ঘোষণা করা হয় তাঁর মাথার দাম। সে সময়ে ভগবান বীরসা মুন্ডার মাথার দাম ছিল ৫০০ টাকা। ১৯০০ সালের এক গভীর রাতে চক্রধরপুর জঙ্গলে ঘুমিয়ে ছিলেন বিরসা মুন্ডা। ঘুমন্ত এবং নিরস্ত্র বিরসা মুন্ডাকে বন্দী করে ব্রিটিশ সরকার। বিচারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। কারাগারেই মৃত্যু হয় তাঁর। এ নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কারো ধারণা তাঁকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল, তো কারও ধারণা অনুযায়ী, কলেরাতেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

  • Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    Dengue in Kolkata: মেয়রের ওয়ার্ডেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! কবে কমবে দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের আমেজ এলেও কমছে না ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রবিবার রাজ্যে নতুন করে প্রায় ৬০০ জনের কাছাকাছি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ হাজার ৯৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুও। এখনও অবধি ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের 

    পুরসভার গাফিলতি

    তিন মাস আগে কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছিল পুরসভা। কিন্তু সচেতনতার অভাবেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরনিগম পিছিয়ে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। কাউন্সিলরদেরও যে আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল মানছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। অতীন ঘোষের বক্তব্য, “কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেছিলাম কোন জায়গাটা আমাদের ধরতে হবে। কিন্তু এখন যা দেখছি, বোঝা যাচ্ছে সেই জায়গায় কিছু দুর্বলতা ছিল।” কলকাতা পুরসভার ( KMC)  সূত্রে খবর, শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ১০০-জনের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ( Mayor Firhad Hakim )  ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও অবধি ১১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বাধিক ৪৭৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে।  এই পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু মনোভাবই সার, অলিতে গলিতে মিলছে ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ। আর্বজনা, জমা জল সবই নজরে পড়ছে। বস্তি অঞ্চলগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    কবে কমবে দাপট

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের ছবিটা অনেক বেশি উদ্বেগজনক। পুরসভার এক সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, কলকাতা পুর এলাকায় বর্তমানে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬ হাজার ৫২ জন। গত বছর যে সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৯৩ । চলতি বছরে মোট আক্রান্তের ৭৬ শতাংশের বেশি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। অন্যদিকে, উত্তর কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১ হাজার ৩৭১ জন। স্বাস্থ্য পরিষেবাও বেহাল। সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর চাপ। এমতাবস্থায় শীত পুরোপুরি না পড়লে ডেঙ্গির দাপট কমবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • TET Protest: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    TET Protest: টেট চাকরিপ্রার্থীকে কামড়-কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদেরই মধ্যে চাকরিপ্রার্থী অরণিমা পালের হাতে পুলিশকর্মীর কামড়ে দেওয়ার ঘটনায় বিস্মিত রাজ্যবাসী। এবার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলা কনস্টেবলকে আগামী সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে লালবাজার৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ইভা থাপা নামে অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুক্রবারই লালবাজারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    অরুণিমাকেও জিজ্ঞাসাবাদ

    লালবাজার সূত্রে খবর, শুধু ইভা থাপাই নন, যাঁর হাতে কামড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই টেট পরীক্ষার্থী অরুণিমা পালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ অরুণিমা অন্যদের সঙ্গে কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভে নেমেছিলেন বুধবার। ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের সামনে বিক্ষোভ চলাকালীন অন্যদের সঙ্গে তাঁকেও পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। অভিযোগ, তখন এক মহিলা পুলিশকর্মী অরুণিমাকে কামড়ে দেন। যদিও প্রথমে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, অরুণিমাও নাকি ওই পুলিশকর্মীকে কামড়েছেন। কিন্তু ঘটনার দু’দিন পরে গতকাল সরকারি হাসপাতাল, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক লিখিত ভাবে জানিয়ে দেন, অরুণিমার হাতে মানুষের কামড়েরই ক্ষত রয়েছে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে চাপে পড়ে যায় রাজ্য পুলিশ। শেষ পর্যন্ত লালবাজারের পক্ষ থেকে ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ 

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রাপ্ত ‘শিবলিঙ্গ’ সংরক্ষণের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    লালবাজারের তদন্ত

    এই ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ ২ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়কে। আগামী সোমবার তাঁর অফিসেই ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। কামড়-কাণ্ডে ইনি ইভা এবং অরুণিমার বক্তব্য খতিয়ে দেখবেন। তবে, অভিযোগকারিণী অরুণিমা পালকে রোজই শেক্সপিয়ার সরণী থানায় হাজিরা দিতে হচ্ছে। ফলে তাঁকে সেখানেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। পাশাপাশি, যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেই ক্যামাক স্ট্রিটের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী অফিসার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রের জল জীবন মিশন (Jal Jeeban Mission) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। এই প্রকল্পের আওতায় কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি নলের মধ্য দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতি করেছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, নলের মুখে যে ফেরুল লাগানো হয় তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা ৫০০ কোটি টাকার ‘কাটমানি’ নিয়েছে হাওড়া সদর ও সাঁকরাইলের নির্দিষ্ট চারটে এজেন্সির কাছ থেকে। এদিন নিজাম প্যালেসে সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সব ঘরে পরিশ্রুত জল যাবে। জল জীবন মিশন নামে কেন্দ্রের যোজনা আছে। কিন্তু রাজ্য এটা কোথাও উল্লেখ করে না। এই নিয়ে আমি আগের রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদিকে জল জীবন মিশনে ১০০ শতাংশ ফান্ড দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এতে রাজ্য সরকারের কোনও ফান্ড থাকে না।” 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    হাওড়া জেলার একাধিক সংস্থা ফেরুল সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য খাটিয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তালিকায় রয়েছে বালাজি ট্রেডার্স, এ কে ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকো এন্টারপ্রাইজ, সাইবাবা এন্টারপ্রাইজ, প্রীতি এন্টারপ্রাইজ নামে কয়েকটি সংস্থাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, টেন্ডার দেওয়ার যে নিয়ম তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। সেখানে কিছু গোলযোগের অভিযোগ করেছেন তিনি। 

    নলবাহিত জলের ট্যাপের মুখে ফেরুল লাগানো হয়। এই ফেরল কেনার সময়েই বড় দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। রীতিমতো একাধিক ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ফেরুলের এক একটির বাজারের দাম ২১৩ টাকা। কিন্তু, নথিতে দেখা যাচ্ছে কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। একাধিক টেন্ডারের তথ্য হাতের সামনে এনে শুভেন্দুর দাবি, ৩২ টা টেন্ডারে কোথাও ২৭ হাজার ইউনিট, কোথাও ৩২ টেন্ডারে ২৪ হাজার ইউনিট, ৩২টি টেন্ডারে ৭৩ হাজার ইউনিট ফেরুল কেনা হয়েছে। প্রতিটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকা দরে। এভাবে তৃণমূল নেতারা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দলের শীর্ষস্তরে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, গরু, কয়লা, পাথর পাচারের টাকা যেখানে পৌঁছয়, সেখানেই পৌঁছেছে এই টাকাও।

    শুভেন্দু দাবি করেন, ২জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমসের মতো দুর্নীতি হয়েছে। আমি আজই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়তকে চিঠি লিখব। এই দুর্নীতির তদন্তের অনুরোধ করব তাঁকে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু না হলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করব।

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি! আদালতে ফের সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। এই নিয়ে আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

    কী অভিযোগ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট তুলে ধরে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। তাঁর দাবি,’কয়েকটি ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও বিডিও-র এফআইআরের সুপারিশ কার্যকর করা হয়নি। বহু ব্লকে জনসংখ্যার তুলনায় জবকার্ড বেশি রয়েছে।’ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরও জবকার্ড রয়েছে, অভিযোগ বিরোধী নেতার। ২০১১ থেকে ২০২২ এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জবকার্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ হাইকোর্টে অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    বহু দিনের অভিযোগ

    বাংলায়(Bengal) ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে(100 Days Work Project) দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে ভুরি ভুরি, এমন অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। তাঁদের সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে মোদি সরকার(Modi Government)। সেই প্রতিনিধিদল নানা জায়গায় ঘুরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে গরমিল খুঁজে পান। সেই সম্পর্কে তাঁরা রিপোর্টও পাঠান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। সেখান থেকে আবার চিঠি আসে নবান্নে(Nabanna)। যেখানে যেখানে গরমিল হয়েছে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে সেই সব জায়গায় পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার, এমনটাই ছিল কেন্দ্রের চিঠিতে। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। তারপর কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে যান তিনি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share