Category: পরম্পরা

Get updated History and Heritage and Culture and Religion related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার এই জঙ্গল ‘গড় জঙ্গল’ নামে খ্যাত হলেও এর অন্য পরিচিতি ‘কাঁকসার জঙ্গল’ নামে। না, এই জঙ্গলের নেই কোনও অভয়ারণ্য, ন্যাশনাল পার্ক বা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙচুয়ারির স্বীকৃতি। তবে আছে অরন্যের শিহরণ, প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ। একই সঙ্গে রয়েছে ধর্মের যোগ। শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গলে দেখা মেলে হরেক রং-এর হরেক প্রজাতির পাখির। মাঝে মাঝেই দেখা মেলে ময়ূরের। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে ইতিউতি চলে গেছে রাঙা মাটির বনপথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ।

    উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও

    বলা হয় এই গড় জঙ্গল (Paschim Bardhaman) হল ভারতের অন্যতম প্রাচীন স্থান। গড় জঙ্গলের কথা উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সুপ্রাচীন কালে এই জঙ্গলে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেধস মুনি। শ্রী শ্রী চণ্ডীপুরাণ মতে, রাজা সুরথ এই মেধস ঋষির আশ্রমে মিলিত হন বৈশ্য সমাধির সঙ্গে। রাজা সুরথ এই জঙ্গলে তিনটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ১) মহাকালী মন্দির ২) মহা সরস্বতী মন্দির এবং ৩) মহালক্ষ্মী মন্দির। বর্তমানে এখানে রয়েছে মেধস মুনির আশ্রম, মহাকাল ভৈরবীর মন্দির। এক সময় এখানে ১৬ টি মন্দির ছিল। এর মধ্যে শ্যামরূপা মন্দির এবং শিব মন্দির দুটি এখনও পর্যন্ত অবশিষ্ট আছে।

    দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি?

    চণ্ডী পুরাণ এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, রাজা সুরথ এখানেই (Paschim Bardhaman) করেছিলেন দুর্গাপুজো। তিনি এখানে দুর্গাপুজো করেছিলেন বসন্তকালে। বলা হয় রাজা সুরথের করা সেই দুর্গাপুজোই পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপুজো। দ্বাদশ শতকে নির্মিত এই শ্যামরূপা মন্দিরটিতে বহু ভক্ত আজও পুজো দিতে আসেন। এও শোনা যায়, এখনও এখানে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি শোনা যায়। গড় জঙ্গল থেকে সামান্য দূরে অজয় নদ। প্রায় নদের তীরেই রয়েছে আর একটি দারুণ সুন্দর দ্রষ্টব্য। সেটি হল বহু লোককথা এবং প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে দাঁড়িয়ে থাকা “ইছাই ঘোষের দেউল”।

    দুর্গাপুরের কাছেই

    এক কথায় বলা চলে, অরণ্য, নদ, ধর্ম, ইতিহাস-সব মিলিয়ে একটা দুটো দিন বেড়িয়ে আসার জন্য এক অন্যতম আদর্শ স্থান এই ‘গড় জঙ্গল’ (Paschim Bardhaman)। গড় জঙ্গল যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে দুর্গাপুর। হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে সরাসরি দূর্গাপুর। আবার কলকাতার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে বহু বাস আসছে সরাসরি দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিতে হবে গড় জঙ্গল।
    দুর্গাপুরে থাকার ও খাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন দামের ও বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে হংসেশ্বরী মন্দির

    Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে হংসেশ্বরী মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার একদম কাছেই রয়েছে কত সুন্দর বেড়ানোর জায়গা, যার খবর আমরা অনেকেই রাখি না। এই যেমন বাঁশবেড়িয়া (Hooghly)। ব্যান্ডেল থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে এক কালের বন্দর নগরী “সপ্তগ্রাম” বর্তমানে পরিচিত “বাঁশবেড়িয়া” নামে। এক কালে এখান দিয়েই বয়ে যেত হুগলি বা গঙ্গা, কুন্তী এবং সরস্বতী নদী। প্রায় ৫০০ বছরেরও বেশি সময় আগে কুন্তী নদী এবং ৮০০ বছরেরও বেশি সময় আগে সরস্বতী নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ার ফলে লুপ্ত হয়ে যায় সেই বন্দর। কিন্তু বন্দর হারিয়ে গেলেও এখানকার অনন্তবাসুদেব মন্দির এবং হংসেশ্বরী মন্দির দুটি আজও দাঁড়িয়ে আছে সেদিনের সেই ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাক্ষ্য বহন করে। আজও এই দুটি মন্দিরের আকর্ষণে মানুষ ছুটে আসেন এই বাঁশবেড়িয়ায়।

    অনিন্দ্যসুন্দর পোড়ামাটির কাজ (Hooghly)

    এখানকার অনন্তবাসুদেব মন্দিরটি (Hooghly) নির্মাণ করেন রাজা রামেশ্বর দত্ত। তিনি ১৬৭৯ খ্রিষ্টাব্দে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। অষ্টকোণা শিখর, মন্দিরগাত্রের শিল্প, পোড়ামাটির শিল্পশৈলীতে তৈরি অলংকরণ রীতিমতো দর্শনীয়। গর্ভগৃহে খোদাই করা হয়েছে বাসুদেব, অর্থাৎ বিষ্ণুমূর্তি। তার চারপাশের ঘরগুলোতে রয়েছে শিবলিঙ্গ। এর ঠিক পাশেই বাঁশবেড়িয়ার বিখ্যাত হংসেশ্বরী মন্দির। রাজবাড়ির প্রাঙ্গনে এই মন্দিরের অবস্থান। ১৮০১-এ এই সুন্দর মন্দিরটির নির্মাণকার্য শুরু করেন বাঁশবেড়িয়ার রাজা নৃসিংহদেব। কিন্তু এই নির্মাণের কাজ শেষ করেন ১৮১৪ সালে রানী শংকরী। তিনি প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এর জন্য পাথর আনা হয়েছে চূনার থেকে। কারিগর আনা হয়েছে জয়পুর থেকে। এখানে রয়েছে অনিন্দ্যসুন্দর কিছু পোড়ামাটির কাজও। প্রায় ২১ মিটার উঁচু এই মন্দিরের চুড়োটিতে রয়েছে ১৩ টি মিনার। দেখে মনে হয় যেন একটি পদ্মফুল। মন্দিরের নির্মাণশৈলীর অভিনবত্ব এবং সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে পাথরের তৈরি শিবের নাভি থেকে বেরিয়ে আসা ডাঁটার ওপর পদ্মফুল। সেই পদ্মফুলের ওপর বসে আছেন মা দক্ষিণাকালীর বীজ দেবি হংসেশ্বরী। নিমকাঠের তৈরি দেবীর মূর্তিটি চতুর্ভূজাে। কালীপুজোর দিন দেবীকে সোনার জিহ্বা এবং রূপোর কিরীটে সজ্জিত করা হয়।

    কীভাবে যাবেন? (Hooghly)

    হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকালে গিয়ে নামতে হবে ব্যান্ডেল স্টেশনে (Hooghly)। সেখান থেকে টোটো বা রিকশায় যাওয়া যায় হংসেশ্বরী মন্দিরে। আবার ষ্টেশন থেকে বাস অথবা অটোতেও যাওয়া যায় এই মন্দিরে। আর গাড়িতে গেলে জি টি রোড বা দিল্লি রোড ধরে ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে না উঠে পাশের ডান দিকের রাস্তা ধরে সরাসরি চলে যাওয়া যায় হংসেশ্বরী মন্দিরে। কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সারাদিন এই মন্দির ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালীপুজো (Kali Puja 2023)। রাস পূর্ণিমা তিথির পরের শুক্রবার এই রক্ষাকালী পুজো হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের সবথেকে বড় কালীপুজো বলে পরিচিত বোল্লা কালী। এছাড়া বলিদান প্রথাও রয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গ, এমনকি রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন রাজ্য থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন অংশগ্রহণ করার জন্য। শুক্রবার শুরু হয় এই পুজো, শেষ হয় রবিবার। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন, সকলেই মনে করছেন, এবার রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে। পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বোল্লা মন্দির চত্বরে। পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে।

    কোথায় এই মন্দির?

    বালুরঘাট-মালদা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বোল্লা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোল্লা কালীমন্দির (Kali Puja 2023)৷ রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবারে এই মন্দিরের পুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী বিরাট মেলার আয়োজন হয়ে থাকে৷ মেলায় হিন্দুরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও অংশ নেন। মেলা প্রাঙ্গণের ঠিক সামনেই মুসলিমদের কবরস্থান থাকলেও তা নিয়ে কখনও কোনও তরফ থেকে আপত্তি বা অভিযোগ ওঠেনি। হিন্দু-মুসলিম-দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

    বয়স তিনশো বছরেরও বেশি

    জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে যে আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা। আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিপত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স তিনশো বছরেরও বেশি বলে জানা যায়। পুজো সম্পর্কে নানান যে জনশ্রুতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মুরারিমোহন চৌধুরী নামের জমিদার৷ তিনি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার তিনি ঘটা করে এই পুজো (Kali Puja 2023) শুরু করেন বলে জানা যায়। সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি, তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷

    সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা

    এবছর শতাব্দীপ্রাচীন বোল্লা মেলার মূল আকর্ষণ সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা (Kali Puja 2023)। সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সেজে উঠেছেন মা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রায় দু’ কেজির বেশি ওজনের গলার হার, কারুকার্যময় অপর একটি গলার মালা, দেড় কেজি ওজনের হাতের খড়্গ। মায়ের হাতের গোটা খড়্গ সোনার। দুই হাতে চুর, চিক, কানপাশা, মাথার টিকলি, বাজুবন্ধ। রুপোর অলঙ্কারের মধ্যে থাকছে কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর সহ আরও বিবিধ। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার। এবার নতুন অলঙ্কার হিসেবে থাকছে ভক্তের দেওয়া হিরের আংটি।

    সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো

    এই বিষয়ে বোল্লা মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এই বোল্লা পুজো (Kali Puja 2023) খুবই জাগ্রত। রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার বোল্লা মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন ভোরে মঙ্গল আরতির মধ্যে দিয়ে মাকে জাগানো হয়। সকাল ৬ টার পর থেকে পুণ্যার্থীদের ভোগ দেওয়া শুরু হয়, যা সারাদিন চলে। রাত ১০ টায় মায়ের ঘট ভরানো হয়। রাত ১১ টা থেকে পুজো শুরু হবে। সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো। তার মাঝে চণ্ডী পাঠ হয়। তবে গত বছর প্রবেশের ক্ষেত্রে জিগজাগ পদ্ধতি করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভক্তদের। যে দিকটি এবারে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে চৈতন্যভূমি নবদ্বীপের রাসযাত্রা উৎসব (Rash Yatra 2023)। এখানকার ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও করা হল কুমারী পুজো। শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলাকে কেন্দ্র করে পালন করা হলেও মন্দিরনগরী নবদ্বীপে এই রাসযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে করা হয় একাধিক দেবতার পুজো। তবে শুধু দেব-দেবতাই নয়, দুর্গাপুজোয় বেলুড় মঠ এবং অন্যান্য কিছু জায়গায় যেমন কুমারীকে দেবী সাজিয়ে পুজো করা হয়, ঠিক তেমনি নবদ্বীপের বুড়োশিবতলা রোডের অন্তর্গত ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকেও করা হয় কুমারী পুজো। প্রত্যেক বছরই এই কুমারী পুজো করা হয় বলে পুজো কমিটি সূত্রে জানা যায়।

    ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ (Rash Yatra 2023)

    কমিটির কর্মকর্তারা জানান, এই পুজোটি এ বছর ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল। ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা বারোয়ারি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এত বছর ধরে পুজো (Rash Yatra 2023) করে আসছে। এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হল কুমারী পুজো। পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার পরে করা হয় এই কুমারী পুজো। এটি চলে আসছে বহু কাল ধরে। সেই কারণে এখনকার প্রজন্মও সেই পরম্পরাকে বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। কুমারী পুজো এই কারণেই করা হয়, অন্নপূর্ণা যেমন অন্নের মা, ঠিক সেই রকম নারী জাতিকে মা রূপে পুজো করার লক্ষ্যেই এই কুমারী পুজো এবং সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য এটাই বলে মনে করেন কমিটির কর্মকর্তারা।

    হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে (Rash Yatra 2023)

    উল্লেখ্য সোমবার থেকে সারা নবদ্বীপ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাস উৎসব। দেশ এবং বিদেশ মিলিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে এসে মিলিত হয়েছেন রাস (Rash Yatra 2023) উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য। প্রশাসনের ভূমিকাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সিসিটিভি থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে পুলিশ কর্মীদের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে গোটা নবদ্বীপ শহর। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্ক রয়েছেন তাঁরা সর্বত্রই। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। সুতরাং বলাই বাহুল্য, রাস উৎসবে শামিল হতে আগত দর্শনার্থীরা সুন্দর ও সাবলীলভাবেই উপভোগ করতে পারছেন এই দিনগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: বেলজিয়াম কাচের ফানুসে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোকিত শান্তিপুরের রাসমণ্ডপ

    Rash Yatra 2023: বেলজিয়াম কাচের ফানুসে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোকিত শান্তিপুরের রাসমণ্ডপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের মঠবাড়ি হোক কিংবা দীনদয়াল ঠাকুরবাড়ি। প্রায় প্রতিটি বিগ্রহ বাড়িতে ব্যবহৃত বেলজিয়াম কাচের ফানুসগুলির একেকটির বয়স প্রায় ২০০ থেকে ৩৫০ বছর।উচ্চতা প্রায় দু’ ফুটের মতো। ঢেউ খেলানো বিভিন্ন আকৃতির রংবাহারি কাচের উপর আঁকা থাকে বিভিন্ন নকশা। বেলজিয়াম কাচের ফানুসের প্রতিটির দাম ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কেন এত দাম? কারণ অবশ্যই তার সূক্ষ্ম কাজের কেরামতির জন্য। সারা বছর বাড়ির অন্দরমহলে সযত্নে রক্ষিত থাকে সেগুলি। রাস উৎসবের (Rash Yatra 2023) সন্ধ্যায় এই বেলজিয়াম ফানুস দিয়ে সাজানো হয় প্রতিটি বাড়ির মূল প্রাঙ্গণ। ভিতরে টিমটিম করে জ্বলতে থাকে মোমবাতির আলো। বাজারের সাধারণ মোম নয়, ফানুসের ভিতর বসানো হয় প্যারাসিন দিয়ে তৈরি সলতে পাকানো বিশেষ ধরনের মোম।

    উপচে পড়ে ভিড় (Rash Yatra 2023)

    এখনও বংশ-পরম্পরায় এই মোম তৈরি করেন শান্তিপুরের কয়েক ঘর মোমশিল্পী। ভাঙা রাসের দিন নগর পরিক্রমা দেখতে শহরের রাজপথে যে ভিড় উপচে পড়ে, আলো আঁধারির খেলা দেখতে বিগ্রহ বাড়ির রাস উৎসবে সেই ভিড়ের অন্তত তিনগুণ দর্শনার্থী থাকেন। নামে বেলজিয়াম ফানুস হলেও এগুলি এক সময় নিয়ে আসা হয়েছিল ফ্রান্স এবং ভেনিস থেকে। এখনও সেখানে এই ফানুস তৈরি হয়। বিগ্রহবাড়ির সদস্যদের কথায়, এখন আর ইউরোপ থেকে বেলজিয়াম ফানুস নিয়ে আসা হয় না। পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে শহর কলকাতায় তৈরি কাচের অন্যান্য ফানুস। দামে কম হলেও আভিজাত্যে ধারেকাছেও যায় না।

    তিনদিন সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন (Rash Yatra 2023)

    রাসের তিনদিন সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় শহরের মঠবাড়ি ও দীনদয়াল বাড়িকে। রাসের সময় অন্তত শতাধিক বেলজিয়াম কাচের ফানুসে আলোয় আলো হয়ে ওঠে এই বাড়ি। পরিবারের সদস্য সুশান্ত মঠ বলেন, দেখতে অতীব সুন্দর। কিন্তু ফানুসের ভিতর মোমবাতি বসানোর ধরন একেবারেই সহজ নয়। অসাবধানতা কিংবা ভিতরের জ্বলন্ত মোমবাতি প্রায় এক ইঞ্চি ছোট হয়ে এলেই তাপের কারণে ভেঙে যেতে পারে সেগুলি। এভাবেই ৩০০ বছরের বহু পুরনো ফানুস ভেঙে গিয়েছে এই বাড়িতে। এক সময় মঠবাড়িতে রাসের প্রাঙ্গণে নাকি অন্তত দেড়শোখানা বেলজিয়াম কাচের ফানুস ঝোলানো হত। আজ শুধুই যত্নের ওপর টিকে রয়েছে এই প্রথা (Rash Yatra 2023)।

    জ্বালানো-নেভানোর কায়দা

    জানা গিয়েছে, ফানুসগুলিতে মোমবাতি জ্বালানোর ধরন যেমন আলাদা, তেমনিই মোমবাতি নেভানোর কায়দা। সরু আকৃতির একটি লাঠির মাথায় ন্যাকড়া বেঁধে স্পিরিটে চোবানো হয়। এরপর তাতে আগুন ধরিয়ে ঝুলন্ত ফানুসের ভিতরে থাকা মোমবাতি জ্বালানো হয়। স্থানীয় ভাষায় একে বলে ‘হুঁশ’। ঠিক একইভাবে লাঠির মাথায় ধাতব পাত্র ঝুলিয়ে কাচের ফানুসের উপরে আলতো চেপে ধরলে নিভে যায় মোমবাতি। এই পদ্ধতিকে স্থানীয়রা বলেন ফোঁস। শান্তিপুরের বাসিন্দারা বলছেন, এই শহরে রাসের (Rash Yatra 2023) মাহাত্ম্যের সঙ্গে যেন ওতপ্রোত সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে অভিজাত আলোকধারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: শান্তিপুর রাসযাত্রায় রাধাকৃষ্ণের যুগল মিলনের পর হয় বিগ্রহ নিয়ে নগর পরিক্রমা

    Rash Yatra 2023: শান্তিপুর রাসযাত্রায় রাধাকৃষ্ণের যুগল মিলনের পর হয় বিগ্রহ নিয়ে নগর পরিক্রমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনুমানিক ৫০০ বছর আগে অদ্বৈত আচার্যের হাত ধরে প্রথম শুরু হয়েছিল শান্তিপুরের রাসযাত্রা (Rash Yatra 2023)। এখনও প্রাচীন রীতি মেনে ধুমধাম করেই পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী রাধাকৃষ্ণের রাস। এবছরও শান্তিপুরের বিভিন্ন বারোয়ারিতে শুরু হয়েছে মণ্ডপ সজ্জার কাজ। এখানকার রাসযাত্রা দেখার জন্য ভিড় জমান দূর দূরান্তের মানুষও। রেলের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সুবিধার্থে চালানো হয় বিশেষ ট্রেন।

    কী এর ইতিহাস? (Rash Yatra 2023)

    কথিত আছে, অদ্বৈত আচার্য প্রথম কলিযুগে নারায়ণ রূপে রাসযাত্রা শুরু করেন। দ্বাপরে বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর গোপিনীদের সঙ্গে নিয়ে রাসলীলা করতেন। সেখানে কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষেধ ছিল। কিন্তু মহাদেবের মনে প্রশ্ন জেগেছিল, কেন সেখানে পুরুষ প্রবেশ করতে পারবে না? তিনি গোপনে সেই রাসযাত্রা দেখার প্রবল ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই কারণে তিনি রাসলীলা দর্শনের জন্য নিজেকে নারী রূপে সাজিয়ে ঘোমটা টেনে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ সেটি বুঝতে পেরে রাসলীলা সমাপ্ত না করেই ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। শ্রীকৃষ্ণ চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে গোপিনীরা বুঝতে পারেন, কোনও কিছু সমস্যা রয়েছে। মহাদেবের স্ত্রী যোগমায়ার সন্দেহ হয় এবং তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর স্বামী নারী রূপে প্রবেশ করেছেন। এরপরই খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায় একটি কোণে এক নারী ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তখন কাছে গিয়ে যোগমায়া তাঁর স্বামীকে চিহ্নিত করেন। পাশাপাশি স্বামী মহাদেবকে ভৎসনা করেন। মহাদেব ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে গেলে তিনি বলে যান, দ্বাপরের এই রাসলীলা আমি কলিযুগে শুরু করব। প্রভু অদ্বৈত আচার্যকে সে সময় মহাদেবের অবতার হিসেবে ধরা হত। সেই কারণে অদ্বৈত আচার্য প্রথম নারায়ণ পুজোর মধ্যে দিয়ে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2023) শুরু করেন।

    রাধাকৃষ্ণের যুগল মিলন (Rash Yatra 2023)

    জানা যায়, গোস্বামী বাড়ির যে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহ ছিল, হঠাৎ করে সেখান থেকে রাধা উধাও হয়ে যায়। বিভিন্ন খোঁজাখুঁজির পর শান্তিপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকা দিগনগরে রাধার বিগ্রহ খুঁজে পাওয়া যায়। এরপরেই গোস্বামী বাড়ি তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাধাকৃষ্ণকে এক জায়গায় বসিয়ে তাঁদের যুগল মিলন করা হবে।। মূলত রাস পূর্ণিমা তিথিতেই তাঁদের এই যুগলের মিলন ঘটানো হয়। এর পরে শুরু হয় শান্তিপুরের রাধাকৃষ্ণের রাসযাত্রা। রাধাকৃষ্ণের যুগল ঘটানোর একদিন পর বৌভাতের মতো করেই যুগল বিগ্রহ নিয়ে করা হয় নগর পরিক্রমা। এখনও পর্যন্ত সেই রীতি মেনেই চলছে শান্তিপুরের রাসযাত্রা (Rash Yatra 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chaudah Kosi Parikrama: চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা উৎসবে প্রায় ৩০ লাখ ভক্ত সমাগম অযোধ্যায়

    Chaudah Kosi Parikrama: চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা উৎসবে প্রায় ৩০ লাখ ভক্ত সমাগম অযোধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ লাখেরও বেশি ভক্ত সমাগমে গমগম করছে অযোধ্যা। তবে এই বিপুল তীর্থযাত্রীদের একত্রিত হওয়ার কারণ রামমন্দির নয়। চৌদ্দ কোশী (Chaudah Kosi Parikrama) পরিক্রমা উৎসবের জন্যই এই ভিড়। হিন্দুধর্ম মতে এটি একটি পবিত্র উৎসব। এই উৎসবে শ্রদ্ধার বস্তুকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে ঘুরতে থাকেন ভক্তরা। এই উৎসব সম্পন্ন হয় কার্তিক অক্ষয় নবমীতে। জনপ্রিয় উৎসব চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা ব্রত শুরু হয় গত ২০ নভেম্বর রাত্রি ২:০৯ মিনিট থেকে, শেষ হয় ২১ নভেম্বর রাত্রি ১১:৩৮ মিনিটে। ভক্তরা এই সময়ের মধ্যে চৌদ্দ কোশী পরিক্রমার (Chaudah Kosi Parikrama) বিভিন্ন আচার পালন করেন। এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ ভক্তই রয়েছেন রামনগরীতে।

    কার্তিক পূর্ণিমার স্নান শুরু হবে আগামী ২৬ নভেম্বর

    জানা গিয়েছে, কার্তিক পূর্ণিমার স্নান শুরু হবে আগামী ২৬ নভেম্বর বেলা ৩টে ১১ মিনিটে এবং তা শেষ হবে ২৭ নভেম্বর ২টো ৩৬ মিনিটে। বিপুল ভক্তদের সমাগমের কারণে অযোধ্যায় ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাস দমন শাখা সেখানে সর্বক্ষণে নজরদারি চালাচ্ছে। এমনিতেই দুমাস পরে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন রয়েছে ঠিক সে কারণেই সাজোসাজো রব চলছে এখন। উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে যাওয়া ২২৭বি জাতীয় সড়কের একটি বড় অংশের নামই হয়ে গিয়েছে চৌদ্দ কোশী পরিক্রমা মার্গ (Chaudah Kosi Parikrama)। এই পথ ধরেই হাঁটতে দেখা যাচ্ছে তীর্থযাত্রীদের।

    তীর্থযাত্রীদের জন্য হাসপাতালগুলিতে বেড সংরক্ষণ রাখা হয়েছে

    উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনওরকমের অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর দিয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য জায়গায় জায়গায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ক্যাম্পও বসানো হয়েছে। এর পাশাপাশি যদি কোনও তীর্থযাত্রী অসুস্থ হয়ে যায় ঠিক সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশের নামী মেডিক্যাল কলেজগুলির হাসপাতালের বেড সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা হাসপাতালগুলিতে (Chaudah Kosi Parikrama) ২০টি করে বেড সংরক্ষণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: একটি গ্রামেই ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো! ভোররাত পর্যন্ত চলে বিসর্জন

    Jagadhatri Puja 2023: একটি গ্রামেই ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো! ভোররাত পর্যন্ত চলে বিসর্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা শুনলেই আমাদের সবার মনে আসে কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরের নাম। কিন্তু জানেন কি, মুর্শিদাবাদ জেলার কাগ্রামে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব এই জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2023)? কাগ্রাম কান্দি মহকুমার সালার থানায় অন্তর্ভুক্ত একটি প্রাচীন গ্রাম। এই গ্রামে বসবাস করেন ব্রাহ্মণ, শাক্ত এবং বৈষ্ণব পরিবার। শোনা যায়, গ্রাম্য দেবী কংকচণ্ডীর নাম অনুসারে এই গ্রামের নাম কাগ্রাম। এই গ্রামে দুর্গাপুজো এবং কালীপুজো হলেও শ্রেষ্ঠ উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। ২২ টি পাড়ায় এই পুজো হচ্ছে। গত বছর পুজোর সংখ্যা ছিল ২৬ টি। এবার একটি বেড়ে হয়েছে ২৭ টি। তার মধ্যে নটি পারিবারিক পুজো এবং ১৮টি সর্বজনীন। মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে শুরু হয় পুজো। পুজোর ভোগে থাকে বৈচিত্র। সপ্তমীতে ভাত, শাক ভাজা, মাছ, তরকারি, চাটনি। অষ্টমীতে খিচুড়ি, পোলাও, ভাজা, তরকারি। আর নবমীতে লুচি ও সুজি। আগে পশু বলি হলেও এখন চালকুমড়ো বলি হয় বলে জানান উদ্যোক্তারা।

    পারিবারিক থেকে সর্বজনীন (Jagadhatri Puja 2023)

    জানা যায়, এখানকার রায়পাড়ার জগদ্ধাত্রী পুজো প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। এটা পারিবারিক পুজো হলেও পরবর্তীতে কিছু ঘটনা ঘটায় তা সর্বজনীন হয়ে ওঠে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে এক কাহিনী শোনা যায়। এখানকার পুজো শুরু করেন শম্ভুনাথ রায়। সেই পরিবারের এক সদস্য বলেন, রায়বাড়িতে আগে দুর্গাপুজো, কালীপুজোর সঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়। কিন্তু এই পুজো শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটত। সেই সময় পুজোর উদ্যোক্তারা নবদ্বীপের পণ্ডিত সমাজের কাছে গিয়ে এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, একই বাড়িতে তিনটে শক্তির পুজো করা উচিত নয়। যদি করতে হয়, তাহলে চাঁদা তুলে করতে হবে। সেই থেকে এই পুজো সর্বজনীন (Jagadhatri Puja 2023) হয়ে থাকে।

    ভোররাত পর্যন্ত বিসর্জন (Jagadhatri Puja 2023)

    এই পুজোর সংকল্প হয় মহিলাদের নামে। প্রহর ভাগ করে সকালেই ষষ্ঠী পুজো করা হয় এবং সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী- এই চারটি তিথিতে ভাগ করে পুজো করা হয় বলে জানান উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার গ্রামের সমস্ত প্রতিমা ভোররাত পর্যন্ত বিসর্জন চলবে বলে জানা যায়। এখানকার সমস্ত প্রতিমা সাবেকি। পুজোর প্রধান আকর্ষণ হল বিভিন্ন ধরনের বাজনা। পুজোমণ্ডপে ঢাকের বাদ্যি বাজলেও অনেকে ব্যান্ডের দল, সানাই সহ বহু ধরনের বাজনার আয়োজন করে। বেশ কিছু পুজো কমিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে। এর সঙ্গে বাউল গানও থাকে বলে জানান পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা (Jagadhatri Puja 2023)। পুজোর দিন প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। সেই জন্য পুজো কমিটি দর্শনার্থীদের বিশ্রাম নেওয়ারও ব্যবস্থা করেন। কিছু পুজো কমিটি আহারেরও ব্যবস্থা রাখেন। এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামে বসেছে বিরাট মেলা। সেখানে নাগরদোলা থেকে আরম্ভ করে নানা ধরনের জিনিস এবং খাবারের দোকান বসেছে। এছাড়া গ্রামে পুলিশ ও একাধিক মেডিকেল ক্যাম্প বসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishnanagar: মা জগদ্ধাত্রীর পুজোয় ছেলেরাই শাড়ি আর কপালে টিপ পরে যান জল ভরতে!

    Krishnanagar: মা জগদ্ধাত্রীর পুজোয় ছেলেরাই শাড়ি আর কপালে টিপ পরে যান জল ভরতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাড়ার ছেলেরাই শাড়ি আর কপালে টিপ পরে ঢাক-ঢোল সহকারে বাজনা বাজিয়ে যান জল ভরতে। মালোপাড়া বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই বিশেষ নিয়ম চলে আসছে বহু যুগ ধরে। পুজোর আগের দিন মাঝ রাতে মেয়েরাই পাড়ার ছেলেদের পরিয়ে দেন শাড়ি। এরপর ঢাকের বাজনা সহযোগে সেই শাড়ি পরিহিত ছেলেরাই মা জলেশ্বরীর পুজোর জন্য যান জল ভরতে। জল ভরার সময় রাস্তায় তিন দেবতার মন্দিরে এসে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়ে যান এবং সেই আমন্ত্রণের মধ্যে দিয়েই করা হয় জগদ্ধাত্রী (মা জলেশ্বরী) পুজোর সূচনা। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে যাবতীয় নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে মা জলেশ্বরীর পুজো (Krishnanagar)।

    বিশেষ আকর্ষণ ধুনো পোড়ানো (Krishnanagar)

    রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ির পুজোর পর কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) সব থেকে পুরনো পুজো হল এই মালোপাড়া বারোয়ারির মা জলেশ্বরীর পুজো। এই পুজোর বিশেষত্ব অনেক। রাজার থেকে অনুদান পেয়ে শুরু হয় এই পুজো এবং এখনও অনুদান আসে। মা জলেশ্বরী মালোপাড়ার দেবী। এখানে একটা বিশেষ আকর্ষণ হল, ধুনো পোড়ানো। একজন মানুষের মাথায় ও দুই হাতে ধুনো পোড়ানো হয়। লেলিহান শিখা ছুঁয়ে যায় মন্দিরের ছাদ। মালোপাড়ার মা জলেশ্বরীর বিসর্জন কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যশালী সাঙ-এর দ্বারা হয় না। অর্থাৎ, কাঁধে হয় না, গাড়িতে হয় এবং একমাত্র ওনার সামনে এখনও জ্বলে কার্বাইট গ্যাসের বাতি।

    ভক্তদের মনে পাকাপাকি জায়গা (Krishnanagar)

    উল্লেখ্য, বঙ্গের তখতে তখন নবাব আলিবর্দি খাঁ। তাঁর রাজত্বকালে নদীয়ার রাজার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করা হয়। কৃষ্ণচন্দ্র রায় তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদে। ছাড়া পেয়ে রাজা যখন নদীপথে কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) ফিরছেন, শুনতে পেলেন মা দুর্গার বিসর্জনের বাজনা। সেই বছর দুর্গাপুজো করতে না পারায় অত্যন্ত দুঃখ পান তিনি এবং তার পরেই দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। এই গল্প বহু প্রচলিত। কিন্তু তার মাঝে পুরনো পুজো হিসেবে অনেকের মনেই পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে মা জলেশ্বরীর পুজো। কারণ, রাজবাড়ির প্রতিমা বিসর্জন করে আসছেন এই মালোপাড়ার লোকজন। তাই মহারাজা বিশেষ অনুদান দিয়ে এখানে পুজোটি চালু করেছিলেন। অনেকে আবার বলেন, মহারাজ নয়, আসলে এটি রানির পুজো। ফলে রাজ পরিবারের সঙ্গে এই পুজোর একটা যোগসূত্র রয়েইছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরের ‘আদিমা’র পুজোয় সাড়ে তিনশো কেজি চালের পোলাওভোগ

    Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরের ‘আদিমা’র পুজোয় সাড়ে তিনশো কেজি চালের পোলাওভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৭০-৮০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারে সাজানো হয় মাকে। ভক্তি, শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস-এই তিনের মেলবন্ধনে মাকে জড়িয়ে রাখেন ভক্তরা। মা যে সবার মনস্কামনা পূরণ করেন! চন্দননগর নিচুপটি চাউলপট্টির জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) মা। যা ‘আদিমা’ নামে সারা বিশ্বে সমাদৃত।

    আদিমা-র শুরুর ইতিহাস (Jagaddhatri Puja 2023)

    চন্দননগরের প্রথম জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) পুজো শুরু হয়েছিল এই চাউলপট্টিকে ঘিরে। কথিত আছে, ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী প্রথম এই জগদ্ধাত্রী পুজো চালু করেছিলেন। প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগের কথা। তৎকালীন ফরাসি অধ্যুষিত চন্দননগরে ফরাসি সরকারের দেওয়ান ছিলেন তিনি। জনশ্রুতি হল, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। এরপর ফরাসি প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে এই চাউলপট্টি এলাকায় তিনি জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। এই আদিমা হচ্ছে প্রথম বারোয়ারি পুজো। এদিন সকাল থেকেই এই আদিমার মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তারা কী বললেন?

    চাউলপট্টি আদি জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) মা বারোয়ারির সাধারণ সম্পাদক চন্দন ঘোষ বলেন, এই পুজো খুব নিষ্ঠাভাবে করা হয়। এখানে মাকে দেবী দুর্গা হিসেবে দেখা হয়। তাই দুর্গাপুজোর মতোই চারদিন ধরে পুজো হয়। তবে, অন্যান্য প্রতিমার সঙ্গে আদিমার প্রতিমার বেশ কিছু পার্থক্য আছে। যেমন অন্যান্য জগদ্ধাত্রী প্রতিমার ডানদিকে হাতি থাকলেও এখানে বাঁদিকে হাতি থাকে। এছাড়াও দেবীর বাহন সিংহের রং এখানে সাদা। অন্যান্য জায়গায় হলুদ থাকে। পুজোর দিনগুলোতে বলি হয়। ছাগবলি। এছাড়া আমাদের বিশ্বাস, প্রতি পুজোতে মা কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটান। ভক্তদের মনোবাসনা পূর্ণ করেন।

    অষ্টমীর দিন ৩০০ কেজি চালের খিচুড়ি

    এখানে ধুনোপোড়া, দণ্ডিকাটা, ভোগ বিতরণ সবই হয়। ষষ্ঠীর দিন ২০০ কেজি চালের পায়েস ভোগ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয় (Jagadhatri Puja 2023)। এছাড়া অষ্টমীর দিন ৩০০ কেজি চালের খিচুড়ি এবং নবমীতে সাড়ে তিনশো কেজি চালের পোলাও ভোগ হয়, যা বিনামূল্যে সবাইকে বিতরণ করা হয়। এছাড়া মাকে ভক্তরা যেসব শাড়ি উপহার দেন, তা গরিবদের বিলিয়ে দেওয়া হয়। মায়ের বেনারসিগুলি দুঃস্থ কোনও মেয়ের বিয়েতে দেওয়া হয়। এছাড়া দশমীতে পাওয়া প্রায় ১ কুইন্টাল ফল চন্দননগর হাসপাতালে রোগীদের দান করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share