Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Caste Census: ১৬ বছর পর জাতীয় জনগণনা হবে ২০২৭ সালে, এবার হবে জাতিভিত্তিক গণনাও

    Caste Census: ১৬ বছর পর জাতীয় জনগণনা হবে ২০২৭ সালে, এবার হবে জাতিভিত্তিক গণনাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৬ বছর পর জাতীয় জনগণনা (Population Count) হবে ২০২৭ সালে। এই প্রথমবার এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে জাতিভিত্তিক গণনাও (Caste Census)। বুধবার সরকারি এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, এই জনগণনা পরিচালিত হবে দুটি ধাপে। প্রথম ধাপে হবে হাউসলিস্টিং ও জনসংখ্যা নিরূপণ এবং দ্বিতীয় ধাপে সংগ্রহ করা হবে জাতিগত ও সামাজিক-অর্থনৈতিক তথ্য। সর্বভারতীয় এই গণনায় এবার প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে চলেছে জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত প্রশ্নপত্র। গণনার রেফারেন্স তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মার্চ, ২০২৭। তবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের হিমালয় ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা সেই সময় তুষারাবৃত থাকবে। তাই ওই এলাকাগুলিতে ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকেই শুরু হবে জনগণনার কাজ। মোদি জমানায় এটাই হবে প্রথম জনগণনা। ২০২৮ সালে সামনে আসতে পারে এ সংক্রান্ত তথ্য।

    জনগণনা (Caste Census)

    সরকারি রীতি অনুযায়ী, ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই হিসেবে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে সেবার জনগণনা হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকার জানায় যে জনগণনা হতে চলেছে। আগামী জনগণনায় জাতিভিত্তিক সুমারিও হবে। প্রসঙ্গত, গৃহতালিকা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল ২০১০ সালে। সর্বশেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সেই জনগণনায় জানা গিয়েছিল ভারতের জনসংখ্যা ১২১ কোটির বেশি রেকর্ড করা হয়, যা ১৭.৭ শতাংশ বৃদ্ধির হারকে নির্দেশ করে।

    আসন পুনর্বিন্যাস

    ২০২৭ সালের জনগণনা শেষ হওয়ার পর নতুন জনসংখ্যা তথ্যের (Population Count) ভিত্তিতে লোকসভা ও বিধানসভার আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়াও শুরু হতে পারে (Caste Census)। এর লক্ষ্য হল, প্রতিটি সাংসদ বা বিধায়ক প্রায় সমসংখ্যক জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করা যায়। প্রসঙ্গত, ভারতে এই প্রক্রিয়া সাধারণত প্রতিটি জনগণনার পর সংবিধান অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ১৯৭৬ সাল থেকে এই আসন পুনর্বিন্যাস স্থগিত রয়েছে। এর প্রধান কারণ হল সেই সময়কার সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে উৎসাহ দিতে চেয়েছিল এবং চাইছিল না যে যেসব রাজ্যে জন্মহার বেশি (প্রধানত উত্তর ভারত) তারা বেশি আসন পেয়ে যাক, যার ফলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সফল দক্ষিণের রাজ্যগুলি আসন হারাতে পারে। এই পুনর্বিন্যাস ফের চালু হলে ভারতের রাজনৈতিক ভারসাম্যে (Population Count) উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটতে পারে (Caste Census)।

  • BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট (Bengaluru Stampede) হয়ে মৃত অন্তত ১১। বুধবারের ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এই ঘটনায় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এত বড় জমায়েতের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এই দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য লেখেন, “চিন্নাস্বামী থেকে আসা মর্মান্তিক খবরে ভীষণ শোকাহত। এটি আনন্দ ও অনুগত ভক্তির এক উৎসব হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এক মর্মান্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকার ও নেতৃত্ব যখন আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন উৎসবে খোলাখুলি আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন, তখন মাটিতে কোনও প্রস্তুতিরই ব্যবস্থা ছিল না।” তিনি লেখেন, “সরকার এই পুরো পরিকল্পনাটি ব্যর্থ করেছে এবং শেষ মুহূর্তে উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    আরসিবির জয় (BJP)

    ১৮ বছর পর শেষমেশ আইপিএল ট্রফি জিতেছে আরসিবি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)। দলের জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বেঙ্গালুরু শহর। তার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির জয় সেলিব্রেট করতে কোহলিদের জড়ো হওয়ার কথা ছিল। সেই স্টেডিয়ামের গেটেই দর্শকদের হুড়োহুড়ির জেরে ঘটল দুর্ঘটনা। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল পুলিশকে। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের সকলকেই ভর্তি করা হয়েছে শিবাজি নগরের বাউরিং হাসপাতালে (BJP)।

    সেলিব্রেশনের আগেই বিপত্তি

    এদিন সকালে আরসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ট্রফি নিয়ে দল শহরে পৌঁছতেই সেলিব্রেশন হবে। সেই হিসেবে ছকে ফেলা হয় বিরাটদের গোটা দিনের পরিকল্পনা। বিমানবন্দরে নামার পর থেকে ভিক্ট্রি প্যারেড, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনার কথা সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ার করতেই বেঙ্গালুরুতে ভিড় বাড়তে থাকে। একটা সময়ে বাসে করে রাস্তায় ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা বাতিল করা হলেও, পরে ফের করা হয়। এই সময়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায় তারা পরিস্থিতি (Bengaluru Stampede) সামাল দিতে তৈরি। ফলে সমর্থকরা বেরতে থাকেন রাস্তায়। তার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা (BJP)।

  • Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    Pak Spy: পাকিস্তানের চর! ধৃত ইউটিউবার জসবীর সিং, জ্যোতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাশী নিয়ে যাচ্ছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার ও ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারাণসী নিয়ে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। তদন্তকারীদের মতে, জ্যোতি পাকিস্তান সফরের আগে কিংবা পরেই নিয়মিতভাবে বারাণসীতে যেত। এতেই দানা বেঁধেছে রহস্য। জ্যোতি কেন বারবার বারাণসী যেত তা জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাকিস্তান-সমর্থিত গুপ্তচরচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজন ইউটিউবারকে গ্রেফতার করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম জসবীর সিং। “জান মহল” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করত জসবীর। যার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১১ লক্ষের বেশি।

    কেন কাশী যেত জ্যোতি

    ‘ট্র্যাভেল উইথ জো ’ (Travel with Jo) নামের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ছিল জ্যোতি মালহোত্রার। কিন্তু বারাণসীতে তার এত ঘন ঘন উপস্থিতি সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বারাণসীর নির্দিষ্ট কিছু স্থানের ভিডিও তৈরি করে জ্যোতি বিশেষ কাউকে পাঠাত। কার নির্দেশে জ্যোতি সেই ভিডিও আপলোড করত? ভিডিওগুলোর মধ্যে কি কোনো সাংকেতিক বার্তা বা গোপন তথ্য লুকিয়ে ছিল? কোন উদ্দেশে এই ভিডিও তৈরি করত জ্যোতি, তা জানতে চায় গোয়েন্দারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চারবার পাকিস্তানে গিয়েছে জ্যোতি। প্রতিবারই পাকিস্তান সফরের আগে বা পরে বারাণসী সফর করত সে। সেইসব সফরের ভিডিও ইউটিউবে আপলোডও করত। প্রথম পাকিস্তান সফর ছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এ সময় জ্যোতি করতারপুর করিডোর যায়। তার পরের মাসেই জ্যোতি বারাণসী যায় এবং বিভিন্ন স্থানের ভিডিও তৈরি করে।

    বারবার কাশী ভ্রমণ

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার পাকিস্তানে (Pak Spy) যাওয়ার পর জুলাই মাসে ফের বারাণসী যায় জ্যোতি। ৯ই ডিসেম্বর বাসে করে আবার কাশী যায় সে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯শে ডিসেম্বর যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসীতে বন্দে ভারত ট্রেন উদ্বোধন করছিলেন, তখন জ্যোতি সেই একই ট্রেনে বারাণসী থেকে দিল্লি যাচ্ছিল এবং ট্রেনের পাইলট কেবিনের ভিডিও ও ক্লোজ-আপ ছবি ধারণ করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও বারাণসীতে গিয়েছিল জ্যোতি। একাধিক স্থানে ভ্রমণও করে সে। এরপর কাশ্মীর ঘুরে মার্চ মাসে আবার পাকিস্তানে যায় হরিয়ানার মেয়ে।

    গ্রেফতার জ্যোতির সঙ্গী জসবীর

    অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রূপনগরের মাহলান গ্রামের বাসিন্দা জসবীর সিংকে মোহালির স্টেট স্পেশাল অপারেশন সেল (SSOC) গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জসবীরের। মোহালি আদালত তাকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সন্দেহভাজন এজেন্ট শাকির ওরফে জাট রনধাওয়ার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল জসবীরের। তাছাড়া, পাকিস্তান হাই কমিশনের প্রাক্তন কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল জসবীর সিং-এর। দানিশকে আগে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে।

    পাকিস্তানে তিনবার ভ্রমণ, দূতাবাসে উপস্থিতি

    জসবীর সিং ২০২০, ২০২১ ও ২০২৪ সালে মোট তিনবার পাকিস্তানে (Pak Spy) সফর করেন। তিনি দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনের জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে তিনি পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ভ্লগারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ছবি তোলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি জ্যোতি মালহোত্রা ও দানিশের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন এবং সেগুলো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, জসবীরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। যা বর্তমানে তদন্তাধীন। জ্যোতি মালহোত্রার গ্রেফতারের পর জসবীর সিং নিজের মোবাইল থেকে সমস্ত সন্দেহজনক যোগাযোগের তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু পুরোটা মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।

    গোটা নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি

    এ পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির (Pak Spy) অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে অজনালা, অমৃতসর থেকে ফালাকশের মসিহ ও সুরজ মসিহ, মালেরকোটলা থেকে ৩১ বছর বয়সী গুজালা ও ইয়ামিন মোহাম্মদ এবং গুরুদাসপুর থেকে সুখপ্রীত সিং ও করণবীর সিং-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা নেটওয়ার্কের প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।

  • ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বিতর্ক ঘনায় ভোটদানের হার নিয়েও। এবার সেই (Voter Turnout Trends) সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। এবার থেকে নির্বাচন চলাকালীন জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার। পুরো কাজটি হবে একটি অ্যাপের সাহায্যে। এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে। জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী সেই পদ্ধতি?

    ভিটিআর (ECI)

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নয়া এই পদ্ধতিটিকে ভোটার টার্নআউট রেশিও বা ভিটিআর বলা হচ্ছে। ইসিআইএনইটি অ্যাপের সাহায্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা নির্বাচনের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের তথ্য আপলোড করবে। এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই নয়া প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর নতুন ইসিআইএনইটি অ্যাপে সরাসরি ভোটদানের হার তুলে ধরবেন। এতে ভোটদানের হার আপডেট করার সময়সীমা কমানো যাবে। তবে এই নয়া পদ্ধতি চালু করার কথা বললেও, পুরনো পদ্ধতি অর্থাৎ পোলিং এজেন্টদের ফর্ম ১৭সি পূরণ করার নিয়মে কোনও বদল আনা হচ্ছে না।

    ভোটদানের হার

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার নির্বাচনের পর ভোটদানের হার সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এমনই আবহে চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহারে। বছর ঘুরলেই বাংলার নির্বাচন, ভোট হবে তামিলনাড়ুতেও। নয়া পদ্ধতি চালু করে ভোট প্রক্রিয়াকে আরও অভিযোগমুক্ত করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর প্রিসাইডিং অফিসাররা সরাসরি ভোটদানের হার (ECI) আপলোড করবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপ ইসিআইএনইটিতে গিয়ে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের হার পরীক্ষা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

    ইসিআইয়ের মতে, নতুন ভিটিআর ভাগাভাগি প্রক্রিয়াটি পূর্ববর্তী ম্যানুয়াল রিপোর্টিং পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের ব্যবধান হ্রাস করে। তবে পোলিং এজেন্টদের দ্বারা রেকর্ড করা ভোটের হিসেব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করার আইনি প্রয়োজনীয়তা অপরিবর্তিতই থাকছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক মিলবে না, সেখানে সংযোগ পুনরুদ্ধারের পরে (Voter Turnout Trends) এন্ট্রিগুলি অফলাইনে করা এবং সিঙ্ক করা যেতে পারে (ECI)।

  • India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    India Pakistan Conflict: ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধ পরিকল্পনা, ৮ ঘণ্টার মধ্যেই বেসামাল পাকিস্তান! বললেন সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) পরিকল্পনা ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করানো। যদিও ভারতের কৌশলী আক্রমণের সামনে আট ঘণ্টার মধ্যে গুঁড়িয়ে যায় ইসলামাবাদ। ফলে, বাধ্য হয়ে সংঘর্ষবিরতির জন্য ভারতকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এমনই জানালেন ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান (CDS General Anil Chauhan)।

    সংঘর্ষ বিরতির জন্য প্রার্থনা

    মঙ্গলবার পুণের সাবিত্রীবাই ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদই সংঘাত বাড়িয়েছিল। এটা তাদের অভ্যেস। ১০ মে রাত ১টা নাগাদ সামরিক হামলা চালায় ওরা। পাকিস্তানের পরিকল্পনা ছিল ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতকে নতজানু হতে বাধ্য করবে। যদিও ওদের সমস্ত জারিজুরি আট ঘণ্টার মধ্যে গুটিয়ে যায়। আসলে পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের নূর খান, মুরিদ ও রফিকির মতো একাধিক বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। নষ্ট করা হয়ে প্রতিবেশী দেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।’’ জেনারেল চৌহান আরও জানান, সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানিয়ে পাকিস্তানের ডিজিএমও হটলাইনে ভারতের ডিজিএমও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। যেহেতু ওরা বুঝেছিল যুদ্ধ চালিয়ে গেলে আরও ক্ষতি হবে। সেই কারণেই ওরা সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটে।

    জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার পর ফোন

    এদিন জেনারেল চৌহান (CDS General Anil Chauhan) বলেন, “৭ মে (Operation Sindoor) অপারেশন সিঁদুরে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফোন করে পাকিস্তানে সে খবর জানিয়েছিল নয়াদিল্লি৷ রাত একটা থেকে দেড়টার মধ্যে আমরা অভিযান চালাই৷ অভিযান শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা পাকিস্তানে ফোন করে জানাই যে আমরা এটা করেছি৷ অভিযানের দিন ওদের জানিয়েছিলাম। ওদের তরফে বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য আসতে শুরু করলে, কড়া হাতে মোকাবিলার কথা বলি। আমাদের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালালে, আমরাও উপযুক্ত জবাব দেব, আরও তীব্র আঘাত করব বলে জানিয়ে দিই। (ভারত ও পাকিস্তান) দুই দেশের পৃথক ক্ষমতা, ফলত ঝুঁকি অবশ্যই ছিল। আমাদের যা ক্ষমতা ছিল, আগে যুদ্ধক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হয়নি। ফলে ঝুঁকি থাকেই, কিন্তু ঝুঁকি না নিলে সাফল্য় মিলবে না। আমাদের ড্রোন প্রতিরোধ প্রযুক্তি যে মজবুত, তা জানতামই।”

    যুদ্ধে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে (India Pakistan Conflict) ভারতের ক্ষয়ক্ষতির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কী ফল মিলল, তা গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলে গোলের নিরিখে সোজা হিসেব হয়। ক্রিকেটের টেস্ট ম্যাচে ইনিংসের নিরিখে জয় আসে। কত উইকেট, কত ফল, কত সংখ্যক খেলোয়াড়, সেসব গুরুত্ব রাখে না। প্রযুক্তিগত মাপকাঠির নিরিখে এই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান শীঘ্রই সামনে আনব। আমরা ক’টা যুদ্ধবিমান নামিয়েছি, কত রেডার ভেঙেছি, হিসেব কষে জানাব আমরা।”

  • BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    BJP: “তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট?” রাহুলের ‘সারেন্ডার’ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) যেভাবে কথা বলছেন, যেভাবে বারবার প্রশ্ন তুলছেন, তাতে আমি নিশ্চিতভাবে সন্দেহ করছি – তিনি কি চিন বা পাকিস্তানের কোনও পেইড এজেন্ট?” মঙ্গলবার এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সম্বিত পাত্র। সম্প্রতি রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব ও অপারেশন সিঁদুরের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সম্বিত। ভারত-বিরোধী মনোভাব প্রচারের অভিযোগে রাহুলকে কাঠগড়ায়ও তোলেন তিনি।

    রাহুল গান্ধীর অভিযোগ (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল অভিযোগ করেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময় মোদি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনকলের পর আত্মসমর্পণ করেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রবল প্রতিক্রিয়া জানায় বিজেপি। সম্বিত বলেন, “রাহুল ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন এবং একটি সফল সামরিক অভিযানের গুরুত্ব খাটো করছেন।” তাঁর দাবি, রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ভারত মাতার অবমাননা করছেন। তিনি যা বলছেন, তাতে দেশের সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, গান্ধী এবং তাঁর পরিবারকে ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন অচলাবস্থার সময় চিনা তাঁবুর নীচে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরা হয়েছিল।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    রাহুলের ‘আত্মসমর্পণ’ শব্দ ব্যবহারের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সম্বিত বলেন, “নিজ দেশের বিষয়ে কথা বলার সময় কোনও সভ্য রাজনীতিবিদ বা বিরোধী দলনেতা কখনও আত্মসমর্পণ শব্দটি ব্যবহার করেন না। যিনি জন্মভূমির জন্য এমন শব্দ ব্যবহার করেন, তিনি রাজনীতির উপযুক্ত নন।” তিনি জানান (BJP), ২১ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়া হয়েছিল অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে, যার ফলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৯টি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড এবং ১১টি এয়ার বেস ধ্বংস করা হয়। সম্বিত বলেন, “তা সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী ‘ভারতবর্ষ’কে আত্মসমর্পণকারী বলে উল্লেখ করেছেন এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে উপহাস করেছেন।” তিনি বলেন, “ভারত কখনওই আত্মসমর্পণ করে না, ভারতবর্ষ কখনও সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করেনি (Rahul Gandhi)।”

    শেহজাদ পুনাওয়ালার বক্তব্য

    সম্বিত বলেন, “আগের ইউপিএ সরকার পাকিস্তানের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করত। সেই সময় ছিল যখন আপনারা (কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার) শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ডসিয়ার-ডসিয়ার’ খেলতেন। এখন আর ডসিয়ার নয়, শুধু ‘ডোজ’ দেওয়া হয়।” রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আর এক মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল গান্ধী) পাকিস্তানি প্রচারের নেতা। রাহুল ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ‘লিডার অফ অপজিশন’ শব্দের মানে এখন পাকিস্তানি প্রচারের নেতা।” পুনাওয়াল্লা বলেন, “যে ধরনের প্রচার পাকিস্তানও করতে পারেনি, তা এখন করছেন রাহুল গান্ধী। রাহুল গান্ধীর বিদেশি জিনিসের প্রতি বিশেষ আসক্তি – সেটা প্রোপাগান্ডা হোক বা কোনও নেতা।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিদেশি মধ্যস্থতার দাবি খারিজ করে দিয়ে পুনাওয়ালা রাহুলকে তাঁর নিজের দলের প্রবীণ নেতাদের কথা শোনার আহ্বান জানান (BJP)।

    শশী, মনীশ, সলমনের কথা তো বিশ্বাস করুন!

    তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস যা বলেছেন, বিদেশ মন্ত্রণালয় যা বলেছে — অন্তত (Rahul Gandhi) সেটুকু তো বিশ্বাস করুন। যদি তাঁদের না-ই বিশ্বাস করেন, তাহলে অন্তত শশী (থারুর), মনীশ (তেওয়ারি) আর সলমন (খুরশিদ) যাঁরা বলেছেন যে কোনও মধ্যস্থতা হয়নি, ভারত ফোন করেনি, বরং পাকিস্তানের ডিজিএমও-ই ভারতের কাছে পৌঁছেছিল — অন্তত তাদের কথা শুনুন।’’ তাঁর দাবি, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তারা ভারতের কাছে ‘পরাজিত’ হয়েছে এবং এখন তারা ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আবেদন জানাচ্ছে।

    চিফ অফ ডিফেন্সের বক্তব্য

    সম্প্রতি চিফ অফ ডিফেন্স অনিল চৌহান বলেছিলেন, “যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতিটা আসল নয়। আসল হল, লক্ষ্যপূরণ হয়েছে কি না।” তিনি জানান, ভারতীয় সেনা প্রাথমিক ত্রুটি শুধরে নিয়ে প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সমর্থ হয়। কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাফালের মতো যুদ্ধ বিমানও (BJP)।

    চৌহান এমনতর দাবি করলেও, রাহুল ধারাবাহিকভাবে সরকারের সাফল্যের দাবিকে একের পর এক প্রশ্ন তুলে বিদ্ধ করে গিয়েছেন। বিরোধী নেতাদের মধ্যে এই ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা ব্যতিক্রম। তিনিই একমাত্র সেনার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন। ফলে সরকারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ (Rahul Gandhi) অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে। সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়ে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন (BJP)।

  • Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে পাক সেনা ভারতের উপর হামলা চালালে তার পাল্টা দিয়েছে দিল্লিও। পাকিস্তানে থাকা একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে যে বড় আঘাত হানা হয়েছে সেই কথা একাধিকবার জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ইসলামাবাদ প্রথমে তা মানতে চায়নি। যদিও এখন সে কথা স্বীকার করছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ৬টি ফাইটার জেট ছাড়াও বিপুল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের নতুন প্রতিবেদন

    পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ওপর তৈরি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন — ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’-এ স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অন্তত ২৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা ভারতের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা ২০টি লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বেশি। ডসিয়ার অনুযায়ী, ভারতের হামলার নতুনভাবে উন্মোচিত লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে — পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরাট (পাঞ্জাব), গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালনগর, অ্যাটক এবং চোর। এই স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট, ভারতের হামলার পরিমাণ এবং প্রভাব আগে জানানো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের এই নথি মূলত নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে এনেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন ইসলামাবাদ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।

    কী ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের?

    ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি পিএএফ যুদ্ধবিমান, ২টি অ্যাওয়াক্স, ১টি সি-১৩০ বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভিএস এবং ইউসিএসভিএস ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি ইউসিভিএ আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের সি-১৩০ বিমান ধ্বংস হয়। রাফাল এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের হামলায়, ‘উইং লুং’ সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

    কেন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

    ভোলারি এবং নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পরে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এস-৪০০ মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও। একই সঙ্গে সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি থেকে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করছে না। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ৭ মে রাতেই শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। ওই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর পরেই ভারতকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। তার জবাব দেয় ভারতও। চারদিনের ওই লড়াইয়ের পরে যুদ্ধবিরতি হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় বিপুল ক্ষতির পরেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে পাকিস্তান।

    এখনও সতর্ক ভারত

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর প্রত্যাঘাতের জন্য ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ চালু করেছিল পাকিস্তান। ওই হামলায় ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযান এখনও শেষ হয়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে। একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    বিপুল ধাক্কা পাকিস্তানের

    লজ্জায় মুখ না খুললেও, রিপোর্ট বলছে অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ভারতের মারে কোমর ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts)। মাত্র ৪ দিনের যুদ্ধে যে ধাক্কা পাকিস্তান খেয়েছে তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে শেহবাজদের। ভারতের অপারেশন সিঁদুর আক্রমণে পাকিস্তানের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Ram Mandir Ayodhya: রাম লালা থেকে রাজাধিরাজ রাম, ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২.০’-এর জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা

    Ram Mandir Ayodhya: রাম লালা থেকে রাজাধিরাজ রাম, ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২.০’-এর জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার প্রাচীন মন্দিরনগরী ফের একবার ভক্তির সুরে মুখর হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক রাম লালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র (Ram Mandir Ayodhya) পর, এবার আসছে আরও এক মহার্ঘ মুহূর্ত—‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২.০’। আগামী ৫ জুন, গঙ্গা দশহরার দিন এই নতুন ধর্মীয় অধ্যায় শুরু হচ্ছে, যেখানে প্রথম তলায় রাজারূপে রামচন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। বালক রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছিল ১৫ মাস আগে। এবার অযোধ্যায় হবে রামলালার রাজ্যাভিষেক পর্ব। মন্দিরের প্রথম তলায় রামদরবার বা রাজদরবার স্থাপনের পরে, রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

    রামমন্দির নির্মাণের কাজ শেষের পথে

    রাজদরবার স্থাপনের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিক ভাবে অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir Ayodhya) নির্মাণের কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু ৩ দিনের এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান (Pran Pratistha)। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাম দরবার’। ৮টি মন্দিরে আট বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক নেতা এবং ভিআইপি-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শুধু থাকবেন ধর্মগুরুরা। বিতর্ক এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র আগেই জানিয়েছিলেন, নির্মাণকাজ ৫ জুনের মধ্যে শেষ হলেও, মন্দিরের নীচের অংশে ভগবান রামের কাহিনী খোদিত দেওয়ালচিত্রগুলি স্থাপন করার কাজ বাকি থাকবে। ৫ জুন প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক সপ্তাহ পর, মন্দিরের নবনির্মিত অংশগুলি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    রাজা রাম-এর আরাধনায় দ্বিতীয় দফার উৎসব

    শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, তিন দিনের অনুষ্ঠানে (৩-৫ জুন) থাকছে বৈদিক যজ্ঞ, পুজো, শোভাযাত্রা, ও মহা আরতি। শহরজুড়ে রং-বেরঙের পতাকা, গাঁদাফুলের মালা ও রঙ্গোলিতে সেজে উঠেছে পথঘাট। তবে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, “এই অনুষ্ঠান কোনও জনসমাগম বা রাজনৈতিক জমায়েত নয়, বরং একটি গভীর আধ্যাত্মিক অনুষঙ্গ। তাই অযথা ভিড় না করে, কেবল রাম লালার দর্শনে ইচ্ছুকরাই আসুন।” রাজা রাম-এর ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’—৫ জুন বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে সম্পন্ন হবে। সেই দিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিনও, তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    বালক রাম থেকে রাজা রাম

    ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রামচন্দ্রের বালক রূপের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মন্দিরের নিচতলায় গর্ভগৃহে। এবার মন্দিরের প্রথম তলায় রাজা রূপে রামের প্রতিষ্ঠা হবে। তাঁর সঙ্গে থাকবে দেবী সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন ও ভক্ত হনুমান—যিনি সেবা ও ভক্তির চিহ্ন হয়ে থাকবেন। মূল দেবমূর্তির পাশাপাশি, মন্দিরের পরিধিতে (পরিকোটায়) সাতটি প্রধান মন্দিরে বিভিন্ন দেব-দেবীর ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ হবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, দেবতাদের অবস্থান ঠিক করা হয়েছে। ঈশান কোণে শিব, অগ্নি কোণে গণেশ, দক্ষিণে হনুমান, নৈঋতে সূর্যদেব, ব্যায়ব্য কোণে ভগবতী, উত্তরে অন্নপূর্ণা, দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে শেশাবতার লক্ষ্মণ-এর মন্দির প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অহল্যা, শবরী ও নিশাদ রাজের নামে সাতটি মন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন হবে।

    সোনার শিখর: ভক্তির শিরমণি

    নতুন এই পর্বে সবচেয়ে নজরকাড়া স্থাপত্যিক সংযোজন হল ‘স্বর্ণ শিখর’—রাম মন্দিরের (Ram Mandir Ayodhya) সোনায় মোড়া চূড়া। নগর শৈলীর ঐতিহ্য মেনে নির্মিত এই শিখরটি মন্দিরের আধ্যাত্মিক চূড়া বা ‘মেরু’র প্রতীক। এটি মাইলের পর মাইল দূর থেকে দৃশ্যমান, ভক্তির দীপ্ত প্রতীক।

    নিরাপত্তার চূড়ান্ত ব্যবস্থা

    উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ১০,০০০-এরও বেশি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও মাল্টি-লেভেল চেকপোস্টের সাহায্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অযোধ্যার জেলা শাসক নিখিল তিকরাম ফুন্ডে জানিয়েছেন, “যাত্রী ও দর্শনার্থীদের জন্য যথাযথ স্থান ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে কোনও ভক্তর কোনও অসুবিধা না হয়।”

    ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ মন্দির

    ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর, ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট ভূমি পূজনের মাধ্যমে রাম মন্দির (Ram Mandir Ayodhya) নির্মাণের সূচনা হয়। এরপর থেকে দ্রুতগতিতে মন্দির নির্মাণ চলছে। ৩৮০ ফুট দীর্ঘ, ২৫০ ফুট প্রস্থ ও ১৬১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন মন্দিরটি সম্পূর্ণভাবে গোলাপি বেলেপাথরে নির্মিত হচ্ছে। ৩৯২টি খোদাইকৃত স্তম্ভ ও ৪৪টি অলঙ্কৃত দরজা রয়েছে এই মন্দিরে। ২০২৫ সালের অক্টোবর নাগাদ পুরোপুরি মন্দিরের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, “এই নির্মাণ শুধুই আধ্যাত্মিক না, এটি আমাদের জাতীয় গর্ব এবং সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের প্রতীক।”

  • Himanta Biswa Sarma: পাকিস্তানের মিথ্যে হুমকির বেলুন ফাটিয়ে দিলেন হিমন্ত, ইসলামাবাদকে দিলেন ভূগোলের পাঠ

    Himanta Biswa Sarma: পাকিস্তানের মিথ্যে হুমকির বেলুন ফাটিয়ে দিলেন হিমন্ত, ইসলামাবাদকে দিলেন ভূগোলের পাঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। তার পরেই বন্ধু দেশ চিনকে পাশে টেনে ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান (Pakistan)। শাহবাজ শরিফের দেশের ওই হুঁশিয়ারিতে যে ভারত আদৌ ভীত নয়, ওই হুঁশিয়ারি যে নিছকই ফাঁকা বুলি, তা সাফ জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    পাকিস্তানের বেলুন ফুটো (Himanta Biswa Sarma)

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, চিন যদি ব্রহ্মপুত্র নদে বাঁধ দেয় বা জল বন্ধ করে দেয়, তাহলে অসুবিধা তো দূর, বরং সুবিধাই হবে ভারতের। ২ জুন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে পাকিস্তানকে বাস্তবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “যদি চিন ব্রহ্মপুত্রের জল ভারতকে দেওয়া বন্ধ করে দেয়? পাকিস্তানের নয়া আতঙ্ক কল্পনার জবাব— ভারত যখন পুরনো সিন্ধু জলচুক্তি থেকে সরে এসেছে, তখন পাকিস্তান তার মিত্র চিনের নাম করে আর একটি মিথ্যা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে – যদি চিন ভারতের দিকে ব্রহ্মপুত্রের জল বন্ধ করে দেয়?’ এই মিথ্যাটিকে আমরা ভয় দিয়ে নয়, বরং তথ্য দিয়ে ভেঙে দিই— ব্রহ্মপুত্র এমন একটি নদ যা ভারতে ‘বাড়ে’, ছোট হয় না। চিন ব্রহ্মপুত্রের মোট প্রবাহের মাত্র ৩০–৩৫ শতাংশ জল সরবরাহ করে, সেটিও প্রধানত হিমবাহ গলে যাওয়া ও সীমিত তিব্বতি বৃষ্টিপাত থেকে।”

    ব্রহ্মপুত্রের জল

    তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্রের বাকি ৬৫–৭০ শতাংশ জল ভারতে তৈরি হয়, মূলত অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে প্রচণ্ড বর্ষণের ফলে। এছাড়া সুবনসিরি, লোহিত, কামেং, মানাস, ধানসিরি, জিয়া-ভরালী, কপিলি ও খাসি, গারো ও জয়ন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা নদী যেমন কৃষ্ণাই, দিগারু ও কুলসি ভারতের মধ্যে ব্রহ্মপুত্রকে প্রবাহিত রাখতে বড় অবদান রাখে। এভাবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্টভাবে বোঝান যে, চিন জল বন্ধ করলেও ব্রহ্মপুত্র ভারতের ভিতরেই বয়ে চলে এবং শক্তিশালী থাকে। পাকিস্তানের আতঙ্ক-সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে তিনি তথ্য দিয়ে খণ্ডন করে দেন (Himanta Biswa Sarma)। ব্রহ্মপুত্রের উৎস তিব্বতের মালভূমি। ভারতীয় উপমহাদেশ, দেশের উত্তর-পূর্ব অংশকে কৃষিকাজের জল জোগায়, পানীয় জল জোগায়, বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। তিব্বতের দক্ষিণ-পশ্চিমের চেমাইয়ুংদাং হিমবাহ থেকে এর উৎপত্তি। তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র পরিচিত ইয়ারলুং সাংপো নামে। অরুণাচলপ্রদেশে এর নাম হয়েছে দিহাং। সমস্ত উপনদী সঙ্গমে এসে মিশলে নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। বাংলাদেশে এই নদেরই নাম যমুনা। শেষে এই নদী এসে মিশেছে সুন্দরবনের কাছে গঙ্গায়, যা থেকে তৈরি হয়েছে সুন্দরবন ব-দ্বীপ (Pakistan)।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “চুটিংয়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে জলের স্রোত ২০০০-৩০০০ কিউবিক মিটার প্রতি সেকেন্ডে। অসমের সমতল গুয়াহাটিতে তা-ই ফুলেফেঁপে হয় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার কিউসেক। ব্রহ্মপুত্রের উজানের ওপর ভারত নির্ভরশীল নয়। ব্রহ্মপুত্র ভারতের বৃষ্টিনির্ভর নদী ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে, সেটি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের পরেই শক্তিশালী হয়েছে। এই সত্যটা পাকিস্তানের জানা দরকার। আর চিন যদি জলের স্রোত বন্ধ করার কথা ভাবে (চিন অবশ্য এখনও এমন কথা বলেনি), তাতে ভারত উপকৃতই হবে। প্রতিবছর বন্যা হবে না অসমে, যাতে লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হন, জীবনজীবিকা নষ্ট হয় প্রতি বছর। অন্যদিকে, পাকিস্তান ৭৪ বছর ধরে সিন্ধু জলচুক্তির সুবিধা নিয়ে এসেছে। এখন ভারত নিজের সার্বভৌমিক ক্ষমতা দাবি করায় আতঙ্কিত। ওদের মনে করিয়ে দিই, ব্রহ্মপুত্রকে কোনও একপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করে না। আমাদের ভূগোল, বর্ষা এবং সভ্যতা তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ভয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ এবং ভারত এখন তার জলসম্পদ সম্পর্কে স্বাধীন ও সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম (Himanta Biswa Sarma)।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তির অধীনে ৭৪ বছর ধরে যে অগ্রাধিকারমূলক জলপ্রবাহের সুবিধা ভোগ করে এসেছে, এখন ভারত যখন বৈধভাবে তার সার্বভৌম অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে, তখন শত্রুর মতো আচরণ করা প্রতিবেশী দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

    নাকের জলে চোখের জলে পাকিস্তান

    স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে স্বাক্ষরিত হওয়া সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করার পর নাকের জলে চোখের জলে হওয়ার জোগাড় পাকিস্তানের। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সিন্ধুর শাখানদীগুলির জলপ্রবাহ কমে যাওয়ায় পাঞ্জাব প্রদেশে ব্যাপক জলসংকট দেখা দিয়েছে। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জলও মিলছে না (Pakistan)। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহবাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইহসান আফজল রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ভারত যদি পাকিস্তানের জল বন্ধ করতে পারে, তাহলে চিনও ভারতের সঙ্গে একই কাজ করতে পারে। মনে হয় সেটা একেবারেই ভালো কাজ হবে না। এমনটা চলতে থাকলে পৃথিবীজুড়ে এক নয়া যুদ্ধ শুরু হবে (Himanta Biswa Sarma)।

  • Sharmistha Panoli Case: শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ব্যক্তিই নিখোঁজ! ওয়াজাহাত খানকে গ্রেফতারের উদ্যোগ অসম পুলিশের

    Sharmistha Panoli Case: শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ব্যক্তিই নিখোঁজ! ওয়াজাহাত খানকে গ্রেফতারের উদ্যোগ অসম পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্মিষ্ঠা পানোলি মামলায় (Sharmistha Panoli Case) নয়া মোড়। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন সেই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই দাবি করলেন তাঁর বাবা। উল্লেখ্য, শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামের এক ব্যক্তি। ওয়াজাহাত খানের বাবা সাদাত খানের দাবি রবিবার রাত থেকে তাঁর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শর্মিষ্ঠা পানোলি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর পরিবার একের পর এক হুমকি ফোন পাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। শর্মিষ্ঠা পানোলি কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন গত শুক্রবার গভীর রাতে। ঘটনাটি ঘটে গুরগাঁওয়ে। এরপর তাঁকে কলকাতায় আনা হয় এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পানোলির গ্রেফতারিকে ঘিরে রবিবার রাজনৈতিক মহলে প্রবল বিতর্ক ছড়ায়। বিজেপি-র একাধিক নেতা তাঁর মুক্তির দাবি তোলেন। অন্যদিকে, ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধেও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সনাতন ধর্মের প্রতি অবমাননার জন্য ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দিল্লি ও অসমে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই ওয়াজাহাতের পরিবার জানায়, তিনি নিখোঁজ।

    নিখোঁজ ওয়াজাহাত

    গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়া আইন ছাত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli Case) বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেই ওয়াজাহাত খান এখন নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন তাঁর বাবা সাদাত খান। রবিবার রাত থেকে ছেলের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারের পর থেকেই তাঁদের পরিবার ক্রমাগত হুমকির ফোন পাচ্ছে। এক সাংবাদিক যখন সাদাত খানকে প্রশ্ন করেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে হিন্দুধর্মকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে, তখন তিনি জানান, ওয়াজাহাতের প্রোফাইল হয়তো হ্যাক হয়েছে। তাঁর দাবি, ছেলের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে বহু কুৎসিত এবং হুমকিসূচক ফোন এসেছে। এসব ফোনে বলা হয়েছে, ও নাকি পানোলির জীবন নষ্ট করেছে। সাদাত খান নিজেও একই ধরনের ফোন পেয়েছেন এবং গালিগালাজের শিকার হয়েছেন।

    ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদ নামে একটি সংগঠন। সোমবার অভিযোগটি জমা পড়েছে গার্ডেনরিচ থানায়। ওই সংগঠনের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে অবমাননাকর এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন ওয়াজাহাত খান। ২ জুনের তারিখে লেখা ওই চিঠিতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৬(১)(এ), ২৯৯, ৩৫২, ৩৫৩(১)(সি) ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ও ৬৭ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, খান হিন্দুদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ধর্মীয় উৎসব নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এই অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সাদাত খান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কনটেন্ট ছড়াচ্ছেন। এর ফলে জনশান্তি ব্যাহত হচ্ছে এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে শত্রুতা বাড়ছে। অতএব, যাতে আর কোনও বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়, তার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদের তরফ থেকে গার্ডেনরিচ থানায় ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন ওয়াজাহাত। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে— “রেপিস্ট কালচার”, “মূত্রপানকারী” প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করে হিন্দু সমাজ ও ধর্মকে অপমান করা হয়েছে।

    অসমেও অভিযোগ দায়ের

    হিন্দু ধর্মবিশ্বাস ও দেব-দেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে অসমে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিপূর্বে সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত খান, এবার মা কামাখ্যা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। অসম পুলিশের এক উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, খান একজন অভ্যাসগত অপরাধী, যিনি আগেও একাধিকবার সনাতন ধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য রেখেছেন। এই ঘটনার জেরে রাজ্যজুড়ে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই প্রসঙ্গে বলেন, “মা কামাখ্যার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অসম পুলিশ মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অসমে এনে আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তা চাইব।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, অসম সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং যারা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে সমাজে অশান্তি ছড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও এরপরই ওয়াজাহাতের বাবা সাদাত খান জানায়, তাঁর ছেলে নিখোঁজ। নানা মহলে জল্পনা, গ্রেফতারি এড়াতেই হয়তো কোথাও চলে গিয়েছেন ওয়াজাহাত।

LinkedIn
Share