Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Maritime Week: ২০৪৭-এর মধ্যেই লক্ষ্যপূরণ! বিশ্বে বৃহৎ জাহাজ নির্মাণকারী দেশ হওয়ার পথে ভারত

    India Maritime Week: ২০৪৭-এর মধ্যেই লক্ষ্যপূরণ! বিশ্বে বৃহৎ জাহাজ নির্মাণকারী দেশ হওয়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি জাহাজ নির্মাতা দেশের অন্যতম হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। ২০৪৭ সালের মধ্যেই এই সাফল্য মিলবে। “বিকশিত ভারত ২০৪৭” লক্ষ্য সামনে রেখে কেন্দ্র সরকার এবার জোর দিচ্ছে স্বনির্ভর সামুদ্রিক খাতে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে। ভারতের বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সোমবার (২৭ অক্টোবর) মুম্বইয়ে আয়োজিত ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫ (IMW 2025) অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন যে, দেশীয় জাহাজ বহর এবং জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।

    ১০ লক্ষ কোটি টাকার সমঝোতা চুক্তি

    জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “আমাদের নিজস্ব জাহাজ না থাকার কারণে প্রতি বছর বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলিকে ৭০-৭৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়। আমরা নিজেদের ফ্লিট এবং ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ বাড়িয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪-৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব। এটাই আমাদের স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্য।” এই অনুষ্ঠানে মোট ১০ লক্ষ কোটি টাকার সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে ১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের জন্য। সোনোয়াল জানান, গত এক দশকে ভারতের বন্দরগুলির বার্ষিক পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ১,৩৫০ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ২,৭০০ এমটিপিএ (MTPA) হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এই ক্ষমতা ১০,০০০ এমটিপিএ-তে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রুজ পর্যটনে দশগুণ বৃদ্ধি এবং উপকূল ও অভ্যন্তরীণ জলপথে কার্গো পরিবহণের অংশীদারি ১২ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও অংশীদারিত্বের ঘোষণা করা হয়।

    ভারত ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে সামুদ্রিক সহযোগিতা চুক্তি

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, সরকার সামুদ্রিক খাতের বাজেট ছয়গুণ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ১০ বিলিয়ন ডলারের বধভন বন্দর প্রকল্প এবং ৫ বিলিয়ন ডলারের গ্রেট নিকোবর প্রকল্প ভারতের বৈশ্বিক সামুদ্রিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে এদিন ভারত ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে একটি সামুদ্রিক সহযোগিতা চুক্তি (Maritime Cooperation MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় রটারডাম ও ভারতের প্রধান বন্দরগুলির মধ্যে একটি সবুজ ও ডিজিটাল সি করিডর (Green and Digital Sea Corridor) গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া আদানি পোর্টস, জেএসডব্লিউ ইনফ্রাস্ট্রাকচার, গোয়া শিপইয়ার্ড এবং আবু ধাবি পোর্টস গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সবুজ জাহাজ নির্মাণ, আর্থিক বিনিয়োগ ও বন্দর সম্প্রসারণ সংক্রান্ত একাধিক ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এই সম্মেলনে। বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত, ভারতের সামুদ্রিক খাতের এই বিশাল উদ্যোগ দেশকে শুধু আত্মনির্ভরতার পথে নয়, বরং বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণের মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে দিতে চলেছে।

  • HAL UAC Pact: ফের মাঝারি মাপের যাত্রিবাহী বিমান তৈরি হবে ভারতে, সই হল মউ

    HAL UAC Pact: ফের মাঝারি মাপের যাত্রিবাহী বিমান তৈরি হবে ভারতে, সই হল মউ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাঝারি মাপের যাত্রিবাহী বিমান (Civil Jet) তৈরি হবে ভারতে। যাত্রী পরিবহণের জন্য সাড়ে তিন দশকেরও পর ভারতে তৈরি হবে এসজে ১০০। এজন্য মউ স্বাক্ষর করেছে ভারতের হ্যাল (হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড) এবং রাশিয়ার ইউএসি (ইউনাইটেড এয়ারক্র্যাফ্ট কর্পোরেশন) (HAL UAC Pact)। চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির জন্য এসজে ১০০ বিমান তৈরি করার স্বত্ব পেয়েছে হ্যাল।

    মস্কোয় স্বাক্ষরিত মউ (HAL UAC Pact)

    সোমবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় স্বাক্ষরিত হয়েছে মউ। তার পরেই হ্যালের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হ্যাল এবং ইউএসির মধ্যে এই সহযোগিতা দুই সংস্থার পারস্পরিক আস্থার ফল। এই প্রথম ভারতে সম্পূর্ণ যাত্রিবাহী বিমান তৈরি করা হবে। এর আগে এই ধরনের শেষ উদ্যোগ ছিল হ্যালের অভ্র এইচএস – ৭৪৮। ১৯৬১ সালে সেগুলি তৈরি শুরু হয়েছিল, বন্ধ হয়ে যায় ১৯৮৮ সালে।” হ্যাল জানিয়েছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে অন্তর্দেশীয় উড়ানের জন্য ভারতের প্রয়োজন ২০০টিরও বেশি বিমান। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বল্প দূরত্বের বিদেশি পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজন আরও সাড়ে তিনশো বিমানের।

    হ্যালের বক্তব্য

    এসজে-১০০ বিমানগুলি সাধারণত স্বল্প দূরত্বের যাত্রার জন্য তৈরি করা হয়। এগুলি বোয়িংয়ের ড্রিমলাইনারের মতো বড় বিমান নয়। অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবায় সচরাচর যে মাপের বিমান ব্যবহার করা হয়, এগুলিও সেই রকমই। বিবৃতিতে হ্যাল জানিয়েছে, “স্বল্প দূরত্বের যাত্রার জন্য এসজে-১০০ গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে। ভারতে অন্তর্দেশীয় বিমান যোগাযোগকে আরও নিবিড় করতে উড়ান প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় দেশে স্বল্প দূরত্বের বিভিন্ন রুটে বিমান চলাচল চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র (HAL UAC Pact)। বিমানবন্দরের সংখ্যাও বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”

    এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় উড়ান প্রকল্পের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট ন্যারো-বডি এসজে-১০০ বিমান তৈরি করতে উদ্যোগী হল ভারতীয় সংস্থা হ্যাল। সংস্থার দাবি, এই উদ্যোগ (Civil Jet) ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর ভারত হিসেবে তুলে ধরার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে (HAL UAC Pact)।

  • Cyclone Montha: আজই ল্যান্ডফল! এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Cyclone Montha: আজই ল্যান্ডফল! এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মন্থা (Cyclone Montha)। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে আসতে আসতে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে আরও শক্তি বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ১১০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এর প্রভাবে অন্ধ্র এবং ওড়িশার উপকূলে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ তবে বাদ যাবে না বাংলাও ৷ ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ সেই সঙ্গে ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷

    অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগ শুরু হয়েছে ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুতেও। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মঙ্গলবার। সেখানে ১৯টি জেলায় ঝড়বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন জেলায় দুর্যোগের কমলা সতর্কতা এবং চার জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং রাতের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণি। ওই সময় মন্থার সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু জানিয়েছেন, সে রাজ্যের ৩,৭৭৮টি গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী কিছু এলাকাতেও। সেখানেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে প্রশাসন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর থেকে বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়েছে।

    সতর্কতা ওড়িশায়

    মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে ওড়িশার দক্ষিণ ভাগের আট জেলায়। ওড়িশার গঞ্জাম, গজপটি, কোরাপুট, রায়গড় এবং মালাকানগিরি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই জেলাগুলিতেও দুর্যোগের লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। এ ছাড়া পুরী-সহ ওড়িশার ১১ জেলায় জারি রয়েছে ঝড়বৃষ্টির কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। দুর্যোগ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আগে দুই রাজ্যেই নিচু এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে প্রশাসন।

    পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব কতটা

    রাতের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী দুই জেলা— দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়াও। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিও ৷ ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব থাকায় বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

    জেলায় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

    ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে বাংলার উপকূলে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে নির্দেশ। আগামিকাল ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা মৎস্যজীবীদের। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিন ভারী বৃষ্টি হবে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরেও। ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। উপকূলের জেলা দিয়ে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।

    কলকাতায় মন্থার প্রভাব

    কলকাতায় আজ, মঙ্গলবার সকালে ঝলমলে আকাশ। পরে আংশিক মেঘলা আকাশ। বিকেলের দিকে মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি কলকাতাতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইবে।

    বন্ধ বিমান ও রেল পরিষেবা

    মন্থার কারণে ওড়িশা এবং বিশাখাপত্তনমের মধ্য দিয়ে যাওয়া ৩২টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এই নিয়ে ভুবনেশ্বরের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) দীপক রাউত এএনআইকে বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য আমরা বিশাখাপত্তনমের মধ্য দিয়ে যাওয়া ৩২টি ট্রেন বাতিল করেছি। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি; এদিকে লোকাল মেমু এবং অন্যান্য ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয়েছে… ডাইভারশনের বিষয়ে, টাটানগর-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেসের পথ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং দুটি ট্রেনকে সংক্ষিপ্তভাবে থামানো হয়েছে- ভুবনেশ্বর-জগদলপুর এক্সপ্রেস এবং রাউরকেলা-জগদলপুর এক্সপ্রেস।’এছাড়া ইস্ট কোস্ট রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশাখাপত্তনম- তিরুপতি, বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম- কিরণদুল, বিশাখাপত্তনম-কোরাপুট রুটে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে ৬৫টিরও বেশি লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করেছে রেল। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মন্থার কারণে মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের গন্নাভরম বিমানবন্দরে ৩০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাখপত্তনম বিমানবন্দর থেকেও মঙ্গলবারের জন্য সমস্ত ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করা হয়েছে।

  • Amit Shah: গ্রেট নিকোবর প্রকল্প ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করবে, দাবি অমিত শাহের

    Amit Shah: গ্রেট নিকোবর প্রকল্প ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করবে, দাবি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেট নিকোবর প্রকল্প (Great Nicobar Project) ভারতের বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। মুম্বইতে সোমবার ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক—২০২৫’ সম্মেলনে (India Maritime Week 2025) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইন্ডিয়ান মেরিটাইম উইক ২০২৫ সম্মেলনে জাহাজ মন্ত্রকের ডাকে সাড়া দিয়েছে দেশের সমুদ্র তীরবর্তী বিভিন্ন রাজ্য। এই অনুষ্ঠানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নানা বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার গ্রেট নিকোবর আইল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির মহাসাগার নীতি

    শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সামুদ্রিক নীতি বর্তমানে মহাসাগার-এ (‘MAHASAGAR’: Mutual and Holistic Advancement for Security and Growth Across Regions)–এ রূপান্তরিত হয়েছে, যা ভারতের বৈশ্বিক উপস্থিতির প্রতীক। তাঁর কথায়, “মোদিজির দৃষ্টিভঙ্গি হল ‘সাগর’কে ‘মহাসাগর’-এ রূপ দেওয়া, যাতে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বনেতা হয়ে ওঠে। এই লক্ষ্যে সরকার বাজেট ছয়গুণ বৃদ্ধি করেছে—৪০ মিলিয়ন ডলার থেকে আজ ২৩০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।”

    সাগরমালা প্রকল্পের গুরুত্ব

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) আরও জানান, সাগরমালা প্রকল্পের অধীনে ৮৩৯টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যেই ১৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২৭২টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। শাহ বলেন, “৫ বিলিয়ন ডলারের গ্রেট নিকোবর প্রকল্প (Great Nicobar Project) এখন নির্মাণাধীন, যা ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্যে বিপুল গতি আনবে।” তিনি জানান, ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কোচি শিপইয়ার্ডে দেশের সবচেয়ে বড় ডক নির্মিত হচ্ছে। পাশাপাশি, গুজরাটে গড়ে উঠছে একটি মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পুরনো ভারতীয় আইন সংস্কার করা হয়েছে। ২০২৫ সালে সংসদ ১১৭ বছরের পুরনো ইন্ডিয়ান পোর্টস বিল সংশোধন করে আধুনিক প্রেক্ষাপটে আনা হয়েছে।” শাহের কথায়, “মেজর পোর্ট অথরিটিজ অ্যাক্ট, ২০২১-এর মাধ্যমে বন্দরগুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের ন্যাশনাল ওয়াটারওয়েজ অ্যাক্ট অনুযায়ী ১০৬টি নতুন জলপথ ঘোষণা করা হয়েছে।”

    ব্লু ইকোনমির উন্নয়ন-ই লক্ষ্য

    অমিত শাহ বলেন, “মোদি সরকার ব্লু ইকোনমির উন্নয়ন, উপকূলীয় নিরাপত্তা ও জেলেদের সুরক্ষার জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত এক দশকে উপকূলীয় নৌপরিবহণ বেড়েছে ১১৮ শতাংশ, কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। টার্ন-অ্যারাউন্ড টাইম বা জাহাজ পরিষেবার সময়সীমা এখন বৈশ্বিক মানের কাছাকাছি।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের লক্ষ্য একটি গ্রিন মেরিটাইম ফিউচার তৈরি করা—যেখানে উন্নয়ন ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে। ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র ও গ্লোবাল সাউথের বহু দেশ সাগরের ওপর নির্ভরশীল; তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নেও ভারত দায়বদ্ধ। তাই আমরা এক সবুজ, সমৃদ্ধ ও যৌথ মহাসাগর গড়ে তোলার পথে এগোচ্ছি।”

    ভারতের সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা

    ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫ (India Maritime Week 2025) সোমবার মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি চলবে। পরিবহণ, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন–এর যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে। এই বৃহৎ অনুষ্ঠানে ভারতের সমুদ্র অর্থনীতি, স্থিতিশীল সামুদ্রিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরা হবে। দেশ ও বিদেশের নৌ পরিবহণ ক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক এবং বিভিন্ন অংশীদাররা এতে যোগ দিচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, এবং প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পওয়ার, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত, এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।

    আন্দামানের উন্নয়নে এই প্রকল্পে ভূমিকা 

    বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম সমুদ্রপথ মালাক্কা প্রণালীর কাছে অবস্থিত গ্রেট নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (জিএনআই) ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সংযোগমূলক কর্মসূচিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস বাজ (গ্রেট নিকোবর) ঘাঁটি থাকার কারণে এই অঞ্চলটি পূর্ব ভারত মহাসাগরে প্রতিরক্ষা ও নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর অবস্থানগত সুবিধা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক যোগাযোগ গড়ে তোলে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভারত সরকার জিএনআই-তে ৮০,০০০ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প অনুমোদন করেছে। নীতি আয়োগের নেতৃত্বে হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট অফ আইল্যান্ডস প্রোগ্রাম-এর (দ্বীপপুঞ্জের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মসূচির) অংশ হিসেবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে একটি সামুদ্রিক, বাণিজ্য ও পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চলেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালাথিয়া উপসাগরে একটি ট্রান্সশিপমেন্ট টার্মিনাল, একটি বিমানবন্দর, একটি গ্রিনফিল্ড টাউনশিপ, একটি পর্যটন প্রকল্প ও একটি গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সরকার এই প্রকল্পকে (Great Nicobar Project) “ভারতের সামুদ্রিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি” বললেও পরিবেশবিদদের একাংশের মতে এই প্রকল্পে ১৩০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি অরণ্য ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিকোবরিজ ও শম্পেন উপজাতির জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি, আন্দামানের উন্নয়নে ও কৌশলগত প্রতিরক্ষা উদ্যোগের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প বড় ভূমিকা নেবে।

  • Indian Economy: ২০২৬ সালে ৬.৬% প্রবৃদ্ধিতে চিনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত, পূর্বাভাস আইএমএফের

    Indian Economy: ২০২৬ সালে ৬.৬% প্রবৃদ্ধিতে চিনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত, পূর্বাভাস আইএমএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবোমা। তার কারণে বেশ কয়েকমাস ধরে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিশ্ববাণিজ্যে। এর ফলে গোটা বিশ্বে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ (IMF)। তবে গোটা বিশ্বে অর্থনীতি ধাক্কা খেলেও, ভারতের (Indian Economy) অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে তারা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)–এর সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬.৬ শতাংশে। এর ফলে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির আসন ধরে রাখবে ভারত। আইএমএফ জানিয়েছে, শক্তিশালী দেশীয় চাহিদা, উৎপাদন খাতের পুনরুদ্ধার এবং সেবাখাতের জোরালো সম্প্রসারণ ভারতের এই অগ্রগতির মূল ভিত্তি। তুলনামূলকভাবে, ২০২৬ সালে চিনের প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

    ভারতের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল

    আইএমএফ জানিয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের (Indian Economy) অপ্রত্যাশিতভাবে ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক মন্দাভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের প্রভাব আংশিকভাবে সামাল দিতে সাহায্য করেছে। এই প্রেক্ষিতে আইএমএফ তার পূর্ববর্তী ৬.৪ শতাংশ পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৬.৬ শতাংশে উন্নীত করেছে। আইএমএফের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পিয়ের-অলিভিয়ার গৌরিনচাস বলেন, “ভারতের প্রবৃদ্ধি মূলত বেসরকারি খাতের উদ্যোগ, পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য বিনিয়োগ এবং বিদেশে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতার ওপর নির্ভর করছে।” তবে আইএমএফ-এর তরফে সতর্ক করা হয়েছে যে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এখনও স্থিতিশীল নয়। বাণিজ্য নীতি, বিনিয়োগে মন্দা ও কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ভারতের প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। সেই কারণে ২০২৬-২৭ অর্থবছরের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়ে ৬.২ শতাংশ করা হয়েছে।

    মার্কিন শুল্ক-সংঘাত প্রভাব তেমন ফেলেনি

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তার খুব একটা প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে (Indian Economy) পড়বে না বলেই মনে করছে আইএমএফ (IMF)। চলতি অর্থবর্ষে প্রথম কোয়ার্টারে বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের জিডিপি গ্রোথ। তবে আইএমএফ-এর তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার কমে ৬.২ শতাংশ হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি (GDP) গ্রোথ বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ হারে। মার্কিন শুল্ক সত্বেও ভারত সরকারের তরফে জিডিপি পূর্বাভাস ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ হবে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আইএমএফও এমন পূর্বাভাস দিয়েছে। এমন পূর্বাভাসের ফলে বোঝা যাচ্ছে, ঘরোয়া বাজারের চাহিদার উপরেই আস্থা রেখে চলেছেন অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।

    চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত

    আইএমএফ (IMF) মনে করছে, চলতি বছর চিনের (China) থেকে অনেক বেশি হবে অর্থনীতি বৃদ্ধির হার হবে ভারতের (India)। চলতি বছর চিনের অর্থনীতি বৃদ্ধি হতে পারে ৪.৮ শতাংশ। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি অনেকটা কমে যেতে পারে। আইএমএফ (IMF)-এর তথ্য বলছে, ২০২৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে ৩.২ শতাংশ হারে। ২০২৬ সালে তা ৩.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উন্নত অর্থনীতিগুলোর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি থাকবে মাত্র ১.৬ শতাংশের মতো।

    ভারতের চ্যালেঞ্জ

    অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতের (Indian Economy) জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। ইনফোমেরিকস রেটিংসের অধিকর্তা মনোরঞ্জন শর্মা বলেন, “ভারতকে এখন এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো খাতে আরও বিনিয়োগ করতে হবে।” আগামী কয়েক বছরেই বোঝা যাবে ভারত তার দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে কতটা টেকসই ও সর্বস্তরে বিস্তৃত করতে পারে। কাঠামোগত সংস্কার, শ্রমবাজারের আধুনিকীকরণ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিই হবে এই লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি।

    ভারত একটি প্রধান চালিকাশক্তি

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আগেই বলেছেন, এমন সময়ে যখন বিশ্বের বহু বড় অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়ছে, ভারত বিশ্বের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির একটি প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক নীতি ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ দেশটিকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে। জর্জিয়েভা আরও বলেন, “ভারত সাহসী সংস্কার ও ধারাবাহিক নীতিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করছে।” আইএমএফের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারত বিশ্বের দ্রুততম-বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখছে।

    প্রবৃদ্ধি আগামি দিনেও মজবুত থাকবে

    আরবিআই জানিয়েছে, স্থিতিশীল দেশীয় চাহিদা, অনুকূল মৌসুমি বৃষ্টি, শক্তিশালী বেসরকারি বিনিয়োগ এবং সরকারি ব্যয়ের বৃদ্ধি প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy) ৭.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে—যা গত দুই বছরের মধ্যে দ্রুততম। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি প্রবৃদ্ধি পুরো বছর জুড়েই মজবুত থাকবে, যদিও বিশ্বের অস্থিরতা কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।” তবে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আইএমএফ ও আরবিআই উভয়ই মনে করছে যে ভারতের দেশীয় অর্থনীতি দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। শহর ও গ্রামে চাহিদা বাড়ছে, ভোগব্যয় সম্প্রসারিত হচ্ছে, এবং সরকারের জিএসটি সংস্কার দীর্ঘমেয়াদে বৃদ্ধির ভিতকে আরও শক্ত করছে।

  • ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআর-এর (SIR) কাজ। আগেই জানা গিয়েছিল, সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এসআইআরের সময়সূচি ঘোষণা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রথম পর্যায়ে তারা ঘোষণা করেছিল বিহারে এসআইআরের কাজের নির্ঘণ্ট। তার কারণ, নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সে রাজ্যে।

    কোন কোন রাজ্যে এসআইআর (ECI)

    এদিন দ্বিতীয় দফায় ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। যে সব রাজ্যে আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হবে আগে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হওয়ার কথা মার্চের শেষাশেষি, তাই মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে এসআইআর প্রক্রিয়া। এই তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরির নামও। এদিন বিকেল ৪টে ১৫মিনিট নাগাদ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, সফল হয়েছে প্রথম দফার এসআইআর। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে।

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্যগুলির একটি হল (ECI), অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত ও অপসারণ করা। এজন্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করার কাজেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধেই তৎপরতা চালানো হচ্ছে (SIR)। এদিনের বৈঠকে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই দফায় এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে। তবে অসমে এই পর্বে এসআইআর হচ্ছে না। সেখানে এসআইআর হবে আলাদা করে।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “এসআইআরের দায়িত্ব বৈধদের রাখা, অবৈধদের বাদ দেওয়া। আর যে কোনও নির্বাচনের আগে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিহারে এসআইআর সফল হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ বা আবেদন আসেনি।” এসআইআরের সময় প্রথমে এনুমারেশন ফর্ম প্রিন্ট করা হবে। যে রাজ্যে এসআইআর হবে, সেখানকার ভোটারদের সূচি সোমবার রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। সেই সূচিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ওই ফর্ম দেওয়া হবে। বিহারের মতো আধার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে মান্যতা দেওয়া হবে। যদিও আধার কখনওই নাগরিকত্ব ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না (SIR)।

    মঙ্গলবার শুরু প্রশিক্ষণের কাজ

    মঙ্গলবার থেকে (ECI) শুরু হবে প্রশিক্ষণের কাজ। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। তার পরের দিন থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ার কাজ চলবে। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ২০২৬ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হবে অভিযোগ। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। যা চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। জানা গিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে যাবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সফট কপি ইআরও পোর্টালে আগেই তুলে দেবে কমিশন। পরে সেগুলি যাবে ছাপার জন্য। একজন ভোটারের জন্য দু’টো করে এনুমারেশন ফর্ম ছাপানো হবে।

    এনুমারেশন ফর্ম

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। এনুমারেশন ফর্মগুলি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। এই ফর্মে ভোটারের নাম, এপিক নম্বর, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ বেশিরভাগ তথ্য ছাপা থাকবে। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ জমা দিতে হবে। দু’টি ফর্মের মধ্যে একটি থাকবে সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে, অন্যটি নিয়ে যাবেন বিএলওরা। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, বিহারের মতোই এ রাজ্যেও বর্তমানে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা সবাই এনুমারেশন ফর্ম পাবেন (ECI)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এসআইআর করে সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়া হল এসআইআর।

    এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ শাসক দলের নেতাদের একাংশকে হাত করে বিভিন্ন আইডি প্রুফ সংগ্রহ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে বহু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গা। বাম আমলে ২০০২ সালের পরে দলে দলে এদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেওয়া হলেও, সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা। বিরোধীদের মতে, এদের ভোটেই পুষ্ট হয়েছে শাসক দল। তাই এসআইআরের মাধ্যমে এদের ছাঁটাই করতে পারলেই কেল্লাফতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই একই ভয় পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলও। গদি খোয়াবার ভয়ে তারা সোচ্চার হয়েছে এসআইআরের বিরুদ্ধে। এসআইআর নিয়ে অপপ্রচারও চালানো (SIR) হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    এখন দেখার, এ রাজ্যে এসআইআর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় কিনা (ECI)!

  • PM Modi: “একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির হাতেই”, বিশ্বকে নতুন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির হাতেই”, বিশ্বকে নতুন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরালো করার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ভার্চুয়ালি আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ( ASEAN Summit) ভাষণে ঘোষণা করেন যে একবিংশ শতাব্দীতে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলোর যৌথ নেতৃত্বেই গঠিত হবে নতুন ভবিষ্যৎ। মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আসিয়ান ভারতের (India-ASEAN Relations) অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি–র অন্যতম মূল স্তম্ভ।

    উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে

    মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির গোষ্ঠী আসিয়ান-এর বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত না-থাকলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। নিজের বক্তব্যে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “একবিংশ শতাব্দী আমাদের শতাব্দী। এটা ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে, আসিয়ান কমিউনিটি ভিশন ২০৪৫ এবং বিকশিত ভারত ২০৪৭ গোটা মানবতার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।” বক্তৃতায় আসিয়ান গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে বোঝাপড়ার দিকটি তুলে ধরেন মোদি। একই সঙ্গে এ বছর সফল ভাবে আসিয়ান গোষ্ঠীর সম্মেলন আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিমকে। ২০২৬ সালের সম্মেলন আয়োজন করবে ফিলিপিন্স। প্রসঙ্গত, এই বছরের আসিয়ান সম্মেলনকে ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব তিমুর-লেস্তে আনুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ২৬ বছরের মধ্যে এমনটা প্রথম হল। প্রায় ১৪ লক্ষ জনসংখ্যার এই ছোট দেশটি এখন আসিয়ানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন কাঠামোর অংশ হয়ে উঠবে।

    আসিয়ানে ভারতের গুরুত্ব

    আসিয়ান সম্মেলনে ভারতের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। ভারত যে আসিয়ান (India-ASEAN Relations) দেশগুলোর নেতৃত্ব দিতে চায়, তা পরিষ্কার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে আসিয়ান গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল ভারত। ভারত ওই বছর আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হিসেবে যুক্ত হয় এবং ১৯৯৫ সালে পূর্ণাঙ্গ ‘ডায়ালগ পার্টনার’ হয়। তার পরে এই গোষ্ঠীতে ভারতের প্রভাব ক্রমশ বেড়েছে। ২০১৮ সালে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ করেছিল ভারত। আসিয়ান সম্মেলনে রবিবার সকালেই মালয়েশিয়ায় পৌঁছন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমে শোনা গিয়েছিল আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকেই মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। পরে অবশ্য জানা যায়, মোদি মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন না। এদিন ভার্চুয়ালি মোদি বলেন, “ভারত সর্বদা আসিয়ানের নেতৃত্ব এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এর নীতিকে সমর্থন করে। ভারত এবং আসিয়ান একসঙ্গে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশর প্রতিনিধিত্ব করে। কেবল ভৌগোলিক নয়, গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে এই দেশগুলোর। বলা যায়, আমরা গ্লোবাল সাউথের সহযাত্রী। একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করি। একইসঙ্গে নানাক্ষেত্রের নীতি নির্ধারণে নিজেদের বক্তব্য পেশ করি।”

    মূল বিষয় হল অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) কথায়, “বর্তমান আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের মূল বিষয় হল অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব। ভারত সর্বদা আসিয়ান-কেন্দ্রিকতা এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে আসছে। অনিশ্চয়তার এই যুগেও, ভারত-আসিয়ান অংশীদারিত্ব অগ্রগতি করেছে। একবিংশ শতাব্দী ভারত এবং আসিয়ানের শতাব্দী, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। ভারত আসিয়ানের দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে। সব রকমের সঙ্কটে একসঙ্গে কাজ করবে।” উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রায় সব আসিয়ান–ভারত সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন, শুধু ২০২২ সালের সম্মেলন ব্যতিক্রম। বর্তমানে ১০টি দেশ আসিয়ানের সদস্য। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড, ব্রুনেই, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম। এ বারের সম্মেলনে পূর্ব তিমুরও আসিয়ানের সদস্য হয়েছে। মোদি তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ভারত ও আসিয়ানের অংশীদারিত্ব আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং মূল্যবোধে আমরা অভিন্ন।’

    ভারত–আসিয়ান সামুদ্রিক সহযোগিতার বছর

    মোদি (PM Modi) আরও জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নীল অর্থনীতিতে ভারত ও আসিয়ানের সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি ঘোষণা করেন, ২০২৬ সালকে ‘ভারত–আসিয়ান সামুদ্রিক সহযোগিতার বছর’ হিসেবে উদযাপন করা হবে, যা ভারত মহাসাগরজুড়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার নতুন অধ্যায় সূচিত করবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী মোদি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে আলোচনার উল্লেখ করে ‘এক্স’–এ লেখেন, “আমার প্রিয় বন্ধু মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তাঁকে মালয়েশিয়ার আসিয়ান চেয়ারম্যানশিপের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি এবং আসন্ন সম্মেলনগুলোর সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” মোদির অনুপস্থিতিতে সোমবার আসিয়ানের ইস্ট এশিয়া সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Exercise Trishul: তাড়া করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! স্যর ক্রিকে বিশাল যুদ্ধমহড়া করছে ভারত, ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান

    Exercise Trishul: তাড়া করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! স্যর ক্রিকে বিশাল যুদ্ধমহড়া করছে ভারত, ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আতঙ্ক! তাই স্যর ক্রিকে (Sir Creek) ভারতের আসন্ন যুদ্ধমহড়া নিয়ে পাকিস্তান ভয়ে কাঁপছে। আতঙ্ক এমন গ্রাস করেছে যে, ওই এলাকায় নোটাম জারি করে বিমানের ওঠা-নামা বন্ধ করে দিয়েছে। জারি করেছে সতর্কতা।

    ‘এক্সারসাইজ ত্রিশূল’

    ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার সমন্বয় বাড়াতে ৩০ অক্টোবরের গুজরাট-রাজস্থান সীমান্ত ও আরব সাগরে শুরু হচ্ছে ‘এক্সারসাইজ ত্রিশূল’ (Exercise Trishul)। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন বাহু, তথা— স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার এই সংযুক্ত যুদ্ধাভ্যাস (India’s Tri-Service Military Drill) চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই মহড়া বাহিনীর মধ্যে ‘সমন্বয়’, ‘আত্মনির্ভরতা’ ও ‘উদ্ভাবন’ এই তিন স্তম্ভের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    অন্যতম বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া

    এই মহড়াকে কেন্দ্র করে ভারত সরকার ইতিমধ্যে একটি নোটাম (NOTAM বা Notice to Airmen) জারি করেছে। অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট সময়কালে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিমান চলাচলে বিশেষ বিধিনিষেধ থাকবে। এই ১১ দিন মহড়া চলাকালীন রাজস্থান ও গুজরাট সীমান্তের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার জন্য সমস্ত বিমানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, মহড়ার জন্য সংরক্ষিত আকাশসীমা ২৮,০০০ ফুট (প্রায় ৮.৫ কিলোমিটার বা ৮৫০০ মিটার উঁচু) পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। যে কারণে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম যৌথ সামরিক অনুশীলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই উচ্চতা বলে দিচ্ছে যে মহড়ায় কেবল স্থল বা সমুদ্র মহড়া নয়, যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সহ বড় বিমান অভিযানও জড়িত। এই বিরাট পরিধি এবং অবস্থানই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এতে বৃহৎ আকারের কমব্যাট সিমুলেশন এবং উন্নত অস্ত্র পরীক্ষাও জড়িত থাকবে।

    বার্তা একটাই— প্রস্তুত ভারত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, সাদার্ন কমান্ডের জওয়ানরা এই মহড়ায় অংশ নেবেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ডে যৌথ অভিযান চালানোর মহড়া দেবেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছে খাল বা নালা এবং মরুভূমিতে আক্রমণ, সৌরাষ্ট্র উপকূলে ডাঙায় ও জলে অভিযান এবং গোয়েন্দা নজরদারি এবং অনুসন্ধান, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং সাইবার যুদ্ধের মতো বিভিন্ন ডোমেনের অভিযানের অনুশীলন।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ত্রিশূল’ অনুশীলন (Exercise Trishul) শুধু একটি মহড়াই নয়, বরং পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের কৌশলগত প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং তিন বাহিনীর সমন্বিত শক্তি প্রদর্শনেরও এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এক্সারসাইজ ত্রিশূল শুধু এক সামরিক অনুশীলন নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা— ভারত যে কোনও সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

    পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজনাথ

    এই মহড়া আরও একটা দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য। তা হল, মহড়ার স্থান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) স্যর ক্রিক অঞ্চলের কাছে পাকিস্তানের সামরিক উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করার কয়েকদিন পরেই এই মহড়া শুরু হচ্ছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নানা প্রান্তে মহড়া চালিয়েছে। কিন্তু, স্যর ক্রিক অঞ্চলে ভারতের আসন্ন সামরিক মহড়া (Exercise Trishul), পাকিস্তানের মধ্যে আতঙ্কের চোরাস্রোত বইয়ে দিয়েছে। স্যর ক্রিক হল গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মাঝে সিন্ধু নদের ব-দ্বীপে তৈরি ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জলাভূমি বা খাঁড়িবেষ্টিত অঞ্চল। দশমীর দিন ভূজে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অস্ত্র পুজোর পর রাজনাথ সিং বলেছিলেন, “যদি পাকিস্তান স্যর ক্রিক সেক্টরে কিছু করার দুঃসাহস দেখায়, তাহলে ইতিহাস-ভূগোল দুই-ই বদলে দেওয়া হবে।”

    ‘ত্রিশূল’-এর ভয়ে থরহরিকম্প পাকিস্তান

    গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছিল, পাকিস্তান সম্প্রতি ওই এলাকায় সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ বাড়িয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই ভারতের এই বৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া (India’s Tri-Service Military Drill) ইসলামাবাদের উদ্দেশে এক স্পষ্ট বার্তা বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ভারত নোটাম জারি করতেই হাঁটু কেঁপে গিয়েছে পাকিস্তানের। অপারেশন সিঁদুর-এর সময় ভারতীয় বাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ও ১১টি সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছিল। ফলে, ত্রিশূল (Exercise Trishul) শুরুর আগেই থরহরিকম্প পাকিস্তান তড়িঘড়ি নিয়েছে পদক্ষেপ। একাধিক রুটে নোটাম জারি করেছে ইসলামাবাদ। মধ্য ও দক্ষিণ এয়ারস্পেসের একাধিক এয়ার ট্রাফিক রুটের জন্য এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এই নোটাম জারি থাকবে। যদিও নোটাম জারির কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেনি পাকিস্তান। তবে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন। ভারতের যুদ্ধমহড়ার পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে ইসলামাবাদকে।

  • PM Modi: ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ‘বন্দেমাতরম’ স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ‘বন্দেমাতরম’ স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দেশবাসীকে ছট পুজোর বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর মতে, এই পুজো শুধু আধ্যাত্মিক পুজোই নয়, একই সঙ্গে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং সমাজের ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। ১২৭তম ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে ‘বন্দেমাতরম’ সার্ধশতবর্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের উল্লেখ করে দেশবাসীকে আগামী দিনগুলিকে স্মরণ করার কথা মনে করিয়ে দেন। অপারেশন সিঁদুর এবং নকশাল বিরোধী অভিযান বা অপারেশন কাগারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য নিয়েও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসাও করেন তিনি।

    রান ফর ইউনিটি (PM Modi)

    লৌহমানব শ্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকেও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এ বছর ৩১শে অক্টোবর গুজরাটে নর্মদাতটে সামরিক কুচকাওয়াজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা মনে (Mann Ki Baat) করিয়ে দেন তিনি। বলেন, “আমি আপনাদের সকলকে ৩১ অক্টোবর দেশজুড়ে আয়োজিত “রান ফর ইউনিটি বা একতায় দৌড়”-এ অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। তবে কেবল একা নয়, অন্যদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করুন। দেশের রাষ্ট্রীয় একতার প্রতীক বল্লভভাই প্যাটেল।”

    ১৫০ বছরে বন্দেমাতম

    এদিনের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে মনের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত ‘বন্দেমাতরম’ গানটি সার্ধশতবর্ষে পদার্পণ (Mann Ki Baat) করেছে। স্বাধীনতা আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সময়ে এই গানের গুরুত্ব অপরিসীম। আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ৭ নভেম্বর, ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচনা করেছিলেন এই গান। ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসে স্থান পায় এই গানটি। ১৪০ কোটি মানুষকে একত্রিত করে বন্দেমাতরম গান। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাই।” তিনি বলেন, “ভারতীয় সভ্যতার ভিত্তি বেদ। সেখানে পৃথিবী মাতা এবং আমি তাঁর সন্তান এই অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বন্দেমাতরম’ লিখে মাতৃভূমি এবং তাঁর সন্তানদের মধ্যে একই সম্পর্ককে একটি মন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একইভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিসরা মুন্ডা এবং ভারতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য তাঁর লড়াইয়ের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, “আগামী ১৫ নভেম্বর ‘জনজাতীয় গৌরব দিবসে’র সময় সকলেই এই ভারতমাতার বীর পুত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব।”

  • Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    Hindus Under Attack: দেশ-বিদেশে হিন্দু ‘নির্যাতন’ অব্যাহত, কেমন কাটল এই সপ্তাহটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণ (Hindus Under Attack) অব্যাহত। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই নিপীড়ন ধীরে ধীরে এক ধরনের গণহত্যার রূপ নিচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ব এই সব আক্রমণের গভীরতা ও ব্যাপ্তিকে উপেক্ষা করেছে (Roundup Week)। কারণ এর পেছনে রয়েছে ভয়াবহ হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মানসিকতা। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, ধর্মীয় উৎসবের শোভাযাত্রায় আক্রমণ, মন্দির-মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুরা এখন তাদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও অভূতপূর্ব হিন্দু-বিদ্বেষের মুখোমুখি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত ১৯ অক্টোবর থেকে এই মাসেরই ২৬ তারিখ পর্যন্ত কী কী ঘটনা ঘটেছে ভারত এবং ভারতের বাইরে (Roundup Week)।

    কেরলের ছবি (Hindus Under Attack)

    প্রথমে দেখে নেওয়া যাক ভারতের ছবিটা। কেরলের কমিউনিস্টরা মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে ঘটে যাওয়া হিজাব বিতর্কের জন্য হিন্দুত্বকেই দায়ী করেছেন। কোচির সেন্ট রিটা পাবলিক স্কুলের এক মুসলিম ছাত্রী খ্রিষ্টান-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটিতে হিজাব পরার অধিকার দাবি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশ এবং পুলিশি সুরক্ষার সহায়তায় জানায়, স্কুলের ইউনিফর্ম সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী তথা সিপিআই(এম)-এর নেতা ভি শিবনকুট্টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় অকারণে হিন্দুদের টেনে আনা হয়। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব দীপাবলি উৎসব প্রসঙ্গে বলেন, “দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য অর্থের অপব্যয় করা উচিত নয়।” কেরলের বিখ্যাত গুরুভায়ুর মন্দিরের অডিটে এর সম্পদ ব্যবস্থাপনায় চরম অনিয়ম ধরা পড়েছে। এটি রাজ্যের কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে মন্দির-অব্যবস্থাপনার দীর্ঘ ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। অডিটে প্রকাশ, মন্দিরে ভক্তদের দান করা সোনা, হাতির দাঁত, জাফরান ও রান্নার সামগ্রী-সহ বিভিন্ন মূল্যবান দ্রব্যের খোঁজ মিলছে না। ডিউড” চলচ্চিত্রের পরিচালক কীর্তিশ্বরণ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে তিনি ইভি রামস্বামী নাইক্কারের আদর্শে প্রাণিত। তিনি এমন এক চলচ্চিত্র বানিয়েছেন যা বিয়ের পবিত্রতাকে উপহাস করে, পরকীয়াকে রোমান্টিকভাবে উপস্থাপন করে, এবং নৈতিক অবক্ষয়কে মূল্যবোধ হিসেবে দেখায় (Roundup Week)।

    জম্মু-কাশ্মীরের চিত্র

    জম্মু-কাশ্মীরের আখনূর এলাকায় জোরিয়ানের ১৬ বছর বয়সী এক হিন্দু কিশোরী পালিয়ে যায় এক ছেলের সঙ্গে। তার পরিবারের দাবি, এটি প্রলোভন ও মগজধোলাইয়ের ফল। ঘটনাটি ভারতজুড়ে তথাকথিত গ্রুমিং ও ধর্মান্তর র‌্যাকেট নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সূচনা (Hindus Under Attack) করেছে। বেঙ্গালুরুর হেন্নুরের দোদ্দারামান্না লেআউট এলাকায় দীপাবলির রাতে (Hindus Under Attack) ইসলামি উগ্রবাদীদের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আতশবাজি পোড়ানো নিয়ে শুরু হওয়া ঝগড়ার পর পাঁচ মুসলিম যুবক দা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ফিরে এসে স্থানীয়দের হুমকি দেয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তার পরেই শুরু হয় সংঘাত।

    নমাজ আদায়ে বিতর্ক

    পুনের শনি‌ওয়ার ওয়াদায় একটি বিতর্কের সূত্রপাত হয়, যখন একটি ভিডিওতে দেখা যায় কিছু মুসলিম নারী ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ওই কাঠামোর ভেতরে নমাজ আদায় করছেন। এই ঘটনার জেরে শুরু হয় প্রতিবাদ। পুলিশের কাছে দায়ের করা হয় অভিযোগ। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির মেধা কুলকার্নি এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন। তিনি গোমূত্র ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান এবং শিব বন্দনা করেন। তাঁর দাবি, এই নমাজ আদায় অপমানজনক। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত (Roundup Week)।

    বিপাকে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র

    এদিকে, ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন (Hindus Under Attack) সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তিনি এক শ্বেতাঙ্গের ভারতীয় এবং তাঁদের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বলে অভিযোগ। বিতর্কের সূত্রপাত এক্স হ্যান্ডেলে বিশৃঙ্খল একটি রাস্তার ভিডিও পোস্ট করে তিনি যা লিখেছেন, তার নির্যাস হল ভারতীয়রা তাঁদের নির্বোধ দীপাবলির আবর্জনা দিয়ে পশ্চিমী দেশগুলিকে পুরো নোংরা জায়গায় পরিণত করেছে। বেঙ্গালুরুর এক নারী তাঁর সঙ্গী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তারা তাঁকে বিয়ের জন্য ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেছিলেন। মামলাটি এইচএসআর লেআউট থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ইসহাক।

    আমেরিকার ছবি

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও অপমান করা হয় হিন্দুদের। দীপাবলির উৎসব চলাকালীন কিছু খ্রিস্টান চরমপন্থী এই উৎসবকে অশুভ বলে অপমান করতে থাকে। তারা অংশগ্রহণকারীদের নিন্দাও করে। তাদের অভিযোগ, ভারতীয়রা আমেরিকা ও কানাডায় বন্যপ্রাণ ধ্বংস করছে।

    প্রসঙ্গত, অধিকাংশ হেট ক্রাইম মূলত (Hindus Under Attack) কিছু ধর্মীয় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মতাদর্শে নিহিত হিন্দু-বিরোধী ঘৃণা দ্বারা পরিচালিত হয়। ইসলামি দেশগুলিতে এই হিন্দু-বিরোধী ঘৃণার প্রকাশ সুস্পষ্ট। কিন্তু ভারতের মতো তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক রূপের হিন্দু-বিরোধী মনোভাব দেখা যায়। এটি হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)।

LinkedIn
Share