Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chhattisgarh: ভূপতি ও রূপেশের পর মাওবাদী নেতা রামধনও করতে পারেন আত্মসমর্পণ

    Chhattisgarh: ভূপতি ও রূপেশের পর মাওবাদী নেতা রামধনও করতে পারেন আত্মসমর্পণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ভূপতি এবং রূপেশের পর বস্তারে অস্ত্র সমর্পণ করার সম্ভাবনা রয়েছে আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতার। প্রধান নেতৃত্বদের মধ্যে মাওবাদী (Maoist) কমান্ডার রামধনের নিরাপত্তারক্ষীরা ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেছেন। ৩০-৪০ জন মাওবাদী অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন আবুঝামাদ-সহ উত্তরের বস্তার অঞ্চল মাওবাদী প্রভাব মুক্ত হয়েছে।

    ২৫০ জনের বেশি কট্টর মাওবাদীর অস্ত্র সমর্পণ (Chhattisgarh)

    ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তার এবং মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলা প্রশাসনের কাছে ২৫০ জনেরও বেশি কট্টর মাওবাদী অস্ত্র সমর্পণ করার পরই এই খবর আসে। তবে এই জেলা দীর্ঘদিন মাওবাদীদের কুখ্যাত শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যেসব মাওবাদী (Maoist) নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাল্লুজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি। তিনি অবশ্য নিষিদ্ধ সিপিআইএম মাওবাদীর পলিটব্যুরো সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। রূপেশ নিজেও উচ্চপদের মাওবাদী নেতা ছিলেন। তবে সেনাবাহিনীর মাওবাদী দমন অভিযান গত কয়েক মাসে বিরাট সাফল্য এসেছে। তবে উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ হল মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করিয়ে তাঁদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা।

    রামধনের কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে

    ভূপতি এবং রূপেশের আত্মসমর্পণের পর মাদ অঞ্চলে আরও এক প্রধান মাওবাদী নেতার অস্ত্র সমর্পণের ইঙ্গিত মিলেছে। সূত্রের খবর, মাওবাদীদের (Maoist) সিসিএম রামধনের কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। খুব দ্রুত যে কোনও সময়ে অস্ত্রসমর্পণ করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। এই কুখ্যাত নেতা রামধনের উত্তর বস্তার অঞ্চলে সক্রিয় ছিলেন এবং তাঁর মাথার দাম ছিল বিরাট অঙ্কের টাকা। তিনি কাঙ্কের জেলার পানখাঢঞ্জুরের কাছে মাহলা ক্যাম্পের (Chhattisgarh) কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

    উদ্ধার হয়েছিল অস্ত্র

    অক্টোবরেই ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) জগদলপুরে ১১০ জন মহিলা ক্যাডার এবং ৯৮ জন পুরুষ মাওবাদী (Maoist) আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাওবাদী নেতা ছিলেন ভাস্কর ওরফে রাজমান মান্ডভি, রনিতা, রাজু সালাম, ধন্নু ভেট্টি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার দন্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি, রতন এলম অঞ্চলিক কমিটির সদস্য। তাঁদের কাছে পাওয়া অস্ত্রগুলির মধ্যে ছিল ১৯টি একে-৪৭, ১৭টি এসএলআর রাইফেল, ২৩টি আইএনএসএ রাইফেল, একটি আইএনএসএএস এলএমজি, ৩৬টি ৩০৩ রাইফেল, চারটি কার্বাইন, ১১টি বিজিইএল লঞ্চার, ৪১টি বারো-বোর বা সিঙ্গেল শট বন্দুক এবং একটি পিস্তল।

  • Amit shah: “একশো বখতিয়ার খিলজিও নালন্দাকে স্পর্শ করতে পারবে না”, তোপ অমিত শাহের

    Amit shah: “একশো বখতিয়ার খিলজিও নালন্দাকে স্পর্শ করতে পারবে না”, তোপ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিহার নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচার ব্যাপক জমে উঠেছে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah) এক জনসভায় ভাষণ দেন। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এনডিএ সরকারের ব্যাপক প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেন, “বিকাশ ভি বিরাতস ভি অর্থাৎ উন্নয়ন এবং ঐতিহ্য একান্ত প্রয়োজন দেশের জন্য। এনডিএর শাসনে একশো বখতিয়ার খিলজিও নালন্দাকে (Nalanda University) স্পর্শ করতে পারবে না।”

    খিলজির অত্যন্ত জঘন্য কাজ (Amit shah)

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “এই খানেই কুমারগুপ্ত বিশ্ব বিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। আনুমানিক ৮০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্য বহন করে চলেছিল এই জায়গা। প্রাচ্য জ্ঞান চর্চা এবং বিদ্যার প্রধান পীঠস্থান ছিল। তাকে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে বখতিয়ার খিলজি। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Nalanda University) গ্রন্থাগারে যে বইপত্র ছিল তা ছ’মাস ধরে জ্বলছিল। জলন্ত আগুনের ধোঁয়া বহুদিন পর্যন্ত ছিল। এই কাজ ছিল খিলজির অত্যন্ত জঘন্য কাজ। বিহারের সংস্কৃতি, জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা এবং আধ্যাত্মিক পরিসরকে মোদিজির নেতৃত্বে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এই ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের পুনঃজাগরণ ঘটেছে।”

    ১ কোটি ২১ লক্ষ জীবিকা দিদি প্রকল্পের সুবিধা

    বিহারের আর্থিক পরিসরে উন্নয়ন নিয়ে শাহ (Amit shah) বলেন, “এই রাজ্যে আমরা অনেক বড় কারখানা এবং কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন করব। শিল্প উন্নয়নের সঙ্গে কৃষকদের আয়ও অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি হবে। বিহারে কেবলমাত্র একটি পরিবারের উন্নয়ন হয়েছে। পরিবারের লোকেদের রাজনীতি করার সুযোগ মিলেছে। অপরদিকে নীতীশ কুমার এবং নরেন্দ্র মোদি বিহারের দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করেছেন। নারীর ক্ষমতায়ন এবং প্রগতিতেও বিরাট অবদান রয়েছে এনডিএ সরকারের। ১ কোটি ২১ লক্ষ জীবিকা দিদি প্রকল্পে ১০,০০০ টাকা করে ব্যাঙ্কের খাতায় দেওয়া হয়েছে।”

    এদিকে, ইতিমধ্যেি আরজেডির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রাথী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তেজস্বী যাদবের নাম। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ঘোষণা করা হয়েছে মুকেশ সাহনির নাম। বিহারে ৬ এবং ১১ নভেম্বর নির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। তাই রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচার এখন তুঙ্গে।

  • Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৩ সালে ঘটেছিল নেল্লি  গণহত্যাকাণ্ড। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গঠিত হয় তিওয়ারি কমিশন। ১৯৮৫ সালে রিপোর্টও (Tiwari Commission Repot) দেয় কমিশন। তার পর থেকে প্রায় চার দশক পার হয়ে গেলেও, প্রকাশ্যে আসেনি ওই রিপোর্ট। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই রিপোর্ট পেশ করার কথা ঘোষণা করল অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। অসমবাসী জানতে পারবেন বর্তমান নগাঁও জেলার এই নৃশংস গণহত্যার প্রকৃত সত্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা (Tiwari Commission Repot)

    সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৮৩ সালে নেল্লিতে একটি ভয়াবহ গণহত্যা ঘটেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল, নাম ছিল তিওয়ারি কমিশন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কমিশনের রিপোর্ট কখনও রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপন করা হয়নি। আসন্ন ২৫ নভেম্বরের বিধানসভার অধিবেশনে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৯৮৩ সালের নেল্লি গণহত্যার প্রেক্ষিতে গঠিত তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট পেশ করব।” তিনি বলেন, “এটি অসমের ইতিহাসের একটি অংশ, যা পরে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা স্টাডি এবং বিশ্লেষণ করেছেন। তাই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে অন্তত মানুষ সেই সময়ে কী ঘটেছিল, তার সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।”

    নেল্লি হত্যাকাণ্ড

    ১৯৮৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অসমের মধ্যাঞ্চলের নেল্লি এলাকায় এবং তার আশপাশে ঘটেছিল নেল্লি হত্যাকাণ্ড। এই সময় অসম আন্দোলন বা বিদেশি বিরোধী আন্দোলন ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মানুষ। সেই সময় এলাকার শয়ে শয়ে আদিবাসী বাঙালি মুসলমানদের বসতিতে আক্রমণ চালিয়েছিল। দা, বর্শা ও লাঠি হাতে নিয়ে উন্মত্ত জনতা তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল, অবরোধ করেছিল রাস্তা, যারা প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করেছিল, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও শিশু। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২৭ জন নারী এবং ২৫৩ জন শিশু। যদিও মানবাধিকার সংগঠন এবং গবেষকদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা এই হিসেবের তুলনায় অনেক বেশি। অভিযোগ, পুলিশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে সিআরপিএফ পৌঁছনোর পর (Tiwari Commission Repot)।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিই শূন্য ছিল ১৯৮০ সাল থেকে। বিদেশি-বিরোধী আন্দোলনের জেরে ১৯৮২ সালে ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভাও। পরের বছর ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় চার দফায় হবে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন বয়কট করেন অসম আন্দোলনের সমর্থকরা। তা সত্ত্বেও হিংসা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই ভোট হয়। জয়ী হয় কংগ্রেস। হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে সোনিয়া গান্ধীর দল। অসম আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সংক্ষেপে, আসু। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও বহিষ্কার করা হোক। তাদের নাম মুছে ফেলা হোক ভোটার তালিকা থেকে। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশের মানুষের অবাধ অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাবে অসমের জনসংখ্যাগত কাঠামো (Tiwari Commission Repot)।

    কাঠগড়ায় কংগ্রেস

    নেল্লি হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করতে হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বাধীন অসমের কংগ্রেস সরকার তৎকালীন আইএএস কর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির নেতৃত্বে তিওয়ারি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ১৯৮৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর সইকিয়ার কাছে ৬০০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পেশ করে। যদিও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজও এই রিপোর্ট পেশ করা হয়নি বিধানসভায়। রিপোর্টে বলা হয়, সরকারের নথিপত্রে মাত্র তিনটি শ্রেণিবদ্ধ (classified) কপি সংরক্ষিত রয়েছে (Tiwari Commission Repot)। গত চার দশকে রিপোর্টটি কেন প্রকাশ করা হয়নি, তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। অনেকে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ায়।

    কেন প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্ট

    যদিও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রিপোর্টটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তাই প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বলেন, “অসম সরকারের কাছে থাকা ৬০০ পৃষ্ঠার তিওয়ারি কমিশন রিপোর্টের কপিগুলিতে কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির সই ছিল না। তাই প্রতিবেদনটি আসল কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা তখনকার বিভিন্ন কেরানির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, ফরেনসিক পরীক্ষাও করেছি এবং রিপোর্টটি সত্য বলে জানতে পেরেছি। আগের বিভিন্ন সরকার রিপোর্ট প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু কোনও না কোনও সরকারকে এটি প্রকাশ করতেই হত। কারণ এটি আমাদের ইতিহাসের একটি অধ্যায় (Tiwari Commission Repot)।”

  • Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধারাবাহিকভাবে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘ (UNSC) দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পারভথনেনি হরিশ এই মর্মে আহ্বান জানান পাকিস্তানকে (Pakistan)।

    ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির আহ্বান (Pakistan)

    তিনি বলেন, “আমরা পাকিস্তানকে আহ্বান জানাচ্ছি যে বেআইনিভাবে অধিকৃত এলাকাগুলিতে অনবরত যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে জনগণ পাকিস্তানের সামরিক দখল, দমন, নিষ্ঠুরতা এবং বেআইনি সম্পদ শোষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে।” হরিশ এদিন আরও একবার জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অবিনশ্বর অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল, আছে এবং চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অবিনশ্বর অংশ হিসেবেই থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতের সুপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তাঁদের মৌলিক অধিকারগুলি ভোগ করছেন। অবশ্যই আমরা জানি, এই ধারণাগুলি পাকিস্তানের কাছে একেবারেই অচেনা।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হরিশ জানান, অধিকৃত কাশ্মীরে নিত্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। অবৈধভাবে দখলদারির পাশাপাশি সেখানে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শাসনযন্ত্রের ওপর ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই বিক্ষোভ থামাতে জনতার ওপরই খড়্গহস্ত প্রশাসন। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, জখম শতাধিক। রাষ্ট্রসংঘে তথ্য দিয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলল ভারত।

    “বসুধৈব কুটুম্বকম”

    এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ ভারতের “বসুধৈব কুটুম্বকম” – এই চেতনার প্রতি ভারতের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন (Pakistan)। ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও সবার সমৃদ্ধির পক্ষে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “এটি শুধু আমাদের বিশ্বদৃষ্টির ভিত্তি নয়, বরং এটাই সেই কারণ যার জন্য ভারত সর্বদা সকল সমাজ ও জনগণের জন্য ন্যায়, মর্যাদা, সুযোগ ও সমৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই কারণেই ভারত বহুপাক্ষিকতা, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর আস্থা রাখে।” রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) খোলা বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাষ্ট্রসংঘের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এর প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলিও স্বীকার করেন।

    রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা

    তিনি বলেন, “যে সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক সংস্থা – রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি, সেই সময়ে এই বিতর্কের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসংঘ উপনিবেশমুক্তি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। এই সংগঠনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আশার প্রদীপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি উপনিবেশ-মুক্তির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, গ্লোবাল সাউথের নতুন রাষ্ট্রগুলির উদ্ভবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির উচ্চাভিলাষী মানদণ্ড নির্ধারণ করেছিল, এবং আমাদের মনোযোগকে মহামারী, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির দিকে কেন্দ্রীভূত করেছিল (Pakistan)।”

    পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন প্রেমচন্দ্রনও

    হরিশের এহেন মন্তব্যের দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রসংঘের ফোর্থ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের প্রতিনিধি কেরলের বাম সাংসদ প্রেমচন্দ্রন। হরিশের মতোই তিনিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের দমন-পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে তারা যেন অবৈধভাবে দখল করে রাখা কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা বন্ধ করে। সেখানকার মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছে। পাক সেনা ও তাদের সহযোগীরা সেই নিরীহ আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে (UNSC)।” পাকিস্তানের (Pakistan) মুখোশ খুলে দিয়ে প্রেমচন্দ্রন বলেন, “পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ, যেখানে সামরিক একনায়কতন্ত্র চলে। ভুয়ো নির্বাচন, জনপ্রিয় নেতাদের কারাদণ্ড, ধর্মীয় উগ্রবাদ, রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের জনক এই দেশ। ফলে অন্যকে জ্ঞান দেওয়া ওদের উচিত নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার বার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-সহ অধিকাংশ স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠাতা দলিলের অনুমোদনের পর জন্ম হয় রাষ্ট্রসংঘের (Pakistan)।

  • Sardar Vallabhbhai: ‘লৌহমানব’ বল্লভ ভাইয়ের ১৫০তম জন্মদিনে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পালিত হবে ‘জাতীয় একতা দিবস’

    Sardar Vallabhbhai: ‘লৌহমানব’ বল্লভ ভাইয়ের ১৫০তম জন্মদিনে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজে পালিত হবে ‘জাতীয় একতা দিবস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের লৌহমানব বলা হয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে (Sardar Vallabhbhai)। তিনি দেশের একতা এবং অখণ্ডতার প্রতীক। দেশের জাতীয় সংহতি রক্ষায় তার ভূমিকা বিশেষ ভাবে স্মরণীয়। এই বছর ৩১ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন সার্ধশতবর্ষে পদার্পণ করবে। তাই তাঁর জন্মদিনকে স্মরণ করে ‘জাতীয় একতা দিবস’ (Rashtriya Ekta Diwas) পালন হয়ে থাকে গোটা দেশ জুড়ে। এইবারেও বিরাট কর্মযজ্ঞের আয়োজন হতে চলেছে। প্যাটেল নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং ভারতীয়ত্ববোধের তাগিদে স্বাধীনতা উত্তর ভারতে ৫৬০টির বেশি দেশীয় রাজ্যকে এক জাতিতে একত্রিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর এই অসামান্য কীর্তি দেশের কাছে আজও স্মরণীয়।

    ব্রিটিশ বিরোধী ছিলেন বল্লভভাই (Sardar Vallabhbhai)

    গুজরাটের কুর্মী পরিবারে জন্মে ছিলেন প্যাটেল (Sardar Vallabhbhai)। পিতা-মাতা ছিলেন জভেরভাই এবং লাডবাঈ। তাঁর বাবা ঝাঁসির রানীর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন। মা ছিল অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ। গুজরাটি মিডিয়ামে প্রথম জীবনে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। গোধরায় প্র্যাকটিস করেন। তবে তাঁর কাজের গুণে ব্রিটিশ সরকার নানা প্রলোভন দিয়েছিল কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সারা জীবন ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতাই করেন। লবণ আইন সত্যাগ্রহ, অসহযোগ আন্দোলন সহ একাধিক আন্দোলনে গান্ধীজির সঙ্গে একজোট হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও অখণ্ডতার জন্য কাজ করেন (Rashtriya Ekta Diwas)।

    কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রদর্শনী

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Vallabhbhai) জন্ম দিবসে গুজরাটের নর্মদা জেলার একতা নগরে প্যারোড এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। তবে এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা, শৃঙ্খলা এবং বীরত্ব প্রদর্শন করবে। একই ভাবে এই জাতীয় একতা দিবসের কুচকাওয়াজে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী বা সিআইএসএফ, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ বা আইটিবিপি এবং সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি অংশগ্রহণ করবে। আবার অসম, ত্রিপুরা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজ্যের এনসিসি বাহিনী এই কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করবে। তবে প্রদর্শনীতে ঘোড়া ও উটে চড়েও বাহিনীরা প্রদর্শনী দেখাবে। সঙ্গে থাকবে নানা মার্শাল আর্ট ও যুদ্ধের মহড়া।

    মার্শাল আর্টস প্রদর্শন করবেন মহিলারা

    প্যাটেলের জন্মদিনে (Sardar Vallabhbhai) কুচকাওয়াজে থাকবে মহিলা পুলিশ অফিসার এবং সাধারণ কর্মীদের অংশগ্রহণও। প্রধানমন্ত্রী গার্ড অফ অনার প্রধানে নেতৃত্ব দেবেন একজন মহিলা অফিসারকে। সিআইএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর মহিলা কর্মীরা মার্শাল আর্টস প্রদর্শন করবেন। কেউ কেউ আবার নিরস্ত্র ভাবে যুদ্ধের মহড়া প্রদর্শন করবেন। এই সব কিছুর উদ্দেশ্য হল দেশে নারী সুরক্ষা এবং ক্ষমতায়ণকে তুলে ধরা। দেশের নারীদের শৌর্যকে তুলে ধারাই জাতীয় একতার প্রতীক (Rashtriya Ekta Diwas)। তবে অনুষ্ঠান এখানেই থেমে থাকছে না সঙ্গে গুজরাট পুলিশের ঘোড়া বাহিনী, আসাম পুলিশের মোটর সাইকেল ডেয়ারডেভিল শো এবং বিএসএফের উট কন্টিজেন্ট এবং উট মাউন্টেডব্যাণ্ডের একটি মারচিং দলও থাকবে। এটাও বেশ আকর্ষণীয় বলে মনে করছেন অনেকে।

    কুকুরের কুচকাওয়াজ

    বল্লভভাই-এর (Sardar Vallabhbhai) ১৫০ তম জন্মদিনে বিএসএফের তরফে ভারতীয় নানা জাতের কুকুরকে দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশেষ করে রামপুর হাউন্ড, মুধোল হাউন্ডের দক্ষতাকে প্রদর্শন করবে। এই জাতের কুকুরগুলি বিএসএফের কর্মক্ষমতাকে অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। আত্মনির্ভর সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় এই উদ্যোগকে বিশেষ ভাবে সফল করেছে। তবে সর্বভারতীয় পুলিশ কুকুর প্রতিযোগিতায় মুধোল হাউন্ড রিয়া প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই বছরে কুকুরের কুচকাওয়াজে কুকুর স্কোয়াডে নেতৃত্ব দেবে।

    ১০টি ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে

    ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বা এনসিসি ক্যাডেট এবং স্কুল ব্যান্ড তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের জাঁকজমককে আরও বাড়িয়ে তুলবে। তরুণ এনসিসি ক্যাডেটরা তাদের শৃঙ্খলা এবং উৎসাহের মাধ্যমে একতার বার্তা দেবে। সেই সঙ্গে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সূর্য কিরণ দলের একটি দর্শনীয় বিমান প্রদর্শনীতে কুচকাওয়াজকে আরও সুন্দর এবং সমৃদ্ধি করবে।

    তবে বৈচিত্র্যের মধ্যে বার্তা দিতে বিভিন্ন রাজ্যের সুসজ্জিত ট্যাবলোও এই প্রদর্শনীতে ব্যবহার হবে। জাতীয় একতার (Sardar Vallabhbhai) প্রতীক হিসবে এনএসজি, একডিআরএফ, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, আন্দামান ও নিকোবর, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড এবং পণ্ডিচেরির ১০টি ট্যাবলো প্রদর্শিত হবে। জাতীয় একতা দিবসে সিআরপিএফের পাঁচজন কর্মকর্তাকে শৌর্যচক্র এবং বিএসএফের ১৬ জনকে বীরত্বের পদক দেওয়া হবে।

  • India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    India Pakistan Relation: ‘‘ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনওদিন যুদ্ধে জিততে পারবে না’’, দাবি প্রাক্তন সিআইএ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধেই পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) পরাজয় নিশ্চিত। এমনই অভিমত আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন আধিকারিক জন কিরিয়াকুর। দেড় দশক সিআইএ-র হয়ে কাজ করেছেন কিরিয়াকু। সম্প্রতি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বাস্তবে যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের ভালো কিছু হবে না। কারণ প্রথাগত যে কোনও যুদ্ধে ভারতের কাছে তাদের হার হবে। তাই ভারতকে ক্রমাগত প্ররোচনা দিয়ে পাকিস্তানের লাভ কিছু নেই।’’ একসময় পাকিস্তানে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এই আধিকারিক।

    ষড়যন্ত্র বন্ধ করুক পাকিস্তান

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই মার্কিন আধিকারিক দাবি করেছেন, পাকিস্তানের উচিত ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা। পাকিস্তান যতই পরিকল্পনা করুক না কেন, যে কোনও ধরনের গতানুগতিক যুদ্ধে পাকিস্তান ভারতের কাছে খুব খারাপ ভাবে হারবে। তাঁর মতে, ইসলামাবাদের উচিত কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে তার ফলে পাকিস্তানের জন্য ভালো কিছুই হবে না। একইসঙ্গে কিরিয়াকু যোগ করেছেন, “আমি পারমাণবিক অস্ত্রের কথা বলছি না, কেবল গতানুগতিক যুদ্ধের কথা বলছি। ভারতকে বারবার উস্কে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।”

    ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, বরাবরই পাকিস্তানকে যুদ্ধে টেক্কা দিয়েছে ভারত। তবে গত এক দশক ধরে ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিচ্ছে দিল্লি। ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, ২০১৯-এ বালাকোট স্ট্রাইক ও সব শেষে সিঁদুর অভিযানে পাকিস্তানকে উচিত জবাব দিয়েছে ভারত। তবে তাতেও সিধে হয়নি পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে এখনও চোরাগোপ্তা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। এমন প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে সতর্ক করে বার্তা দিলেন প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা আধিকারিক। কিরিয়াকুর দাবি, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে পারবে না পাকিস্তান। বরং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে আখেরে পাকিস্তানেরই ক্ষতি বেশি হবে।

    পাক পরমাণু ভান্ডারের চাবি পেন্টাগনের হাতে

    ২০০১ সালে ভারতের (India Pakistan Relation) সংসদে হামলার পরই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ অবধারিত হয়ে উঠেছিল বলেও এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন সিআইএ কর্তা। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের যে একটা টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল, সে কথাও স্বীকার করেছেন কিরিয়াকু। তবে সেই সময় আল-কায়দা, আফগানিস্তান নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিল আমেরিকা। ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি বলেও দাবি মার্কিন গোয়েন্দাকর্তার। দু’দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেই সময় তিনি জানতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারের চাবিকাঠি পেন্টাগনের হাতে তুলে দিয়েছেন তৎকালীন পাক প্রেসিডেন্ট তথা সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফ।

    ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো

    প্রসঙ্গত, সিআইএ-র গুপ্ত তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ২০১২ সালে কিরিয়াকুকে গ্রেফতার করেছিল মার্কিন সরকার। বিচারে ৩০ মাসের জেল হয় তাঁর। কিন্তু তার পরেও তিনি থেমে থাকেননি। আমেরিকা এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন। অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের নাজেহাল দশা করেছিল ভারত। এই আবহে পরমাণু বোমা হামলার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছিল পাকিস্তান। পালটা জবাবের বার্তা দিয়েছিল ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতের মিসাইলে পাক ঘাঁটি অকেজো হয়ে পড়ে। এর জেরে ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছিল পাকিস্তান। এই সবের পরও পাকিস্তান দাবি করছে, তারা নাকি ভারতের সঙ্গে এই সংঘাতে ‘জিতেছে’।

    ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল

    এই আবহে ভারত-পাক যুদ্ধ (India Pakistan Relation) নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সিআইএ অফিসার জন কিরিয়াকু। তাঁর দাবি, ভারত ও পাক যুদ্ধ হলে পাকিস্তান কোনওদিন জিততে পারবে না। এরই সঙ্গে জন কিরিয়াকু দাবি করেন, ২০০১ সালে যখন ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলা হয়, তার ২-৩ সপ্তাহ পরেই তিনি পাকিস্তানে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি জানান, আমেরিকা ভেবেছিল, ভারত পাকিস্তানের ওপর হামলা করবে। এবং তাঁর কথায়, ভারত সেই সময় পাকিস্তানের ওপর হামলা করলে তা ন্যায্য হত। এরপর ২০০৮ সালেও মুম্বই হামলার পরেও আমেরিকা মনে করেছিল যে ভারত হামলা চালাবে পাকিস্তানের ওপর। জন কিরিয়াকুর কথায়, ভারত পরিপক্ক দেশ হিসেবে ধৈর্যশীল। তবে পাকিস্তান বারবার ভারতকে খোঁচালে তারা যোগ্য জবাব পাবে।

    মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা

    মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন অফিসার জন কিরিয়াকু আরও দাবি করেন, প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের জমানায় পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। সিআইএ-র সন্ত্রাসবিরোধী ডেস্কের প্রাক্তন আধিকারিক কিরিয়াকু এক সময়ে ছিলেন পাকিস্তানেও। গত জুলাই মাসে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, ইসলামাবাদের যাবতীয় পরমাণু হাতিয়ার পেন্টাগনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ বেশ কয়েক বছর আগেই পাক সরকার একজন মার্কিন জেনারেলের হাতে তুলে দিয়েছে। ফলে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে।’’কিরিয়াকু মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘‘কোটি কোটি ডলার অনুদান দিয়ে জেনারেল পারভেজ মুশারফকে কিনে নিয়েছিল আমেরিকা। তিনিই পরমাণু অস্ত্রের চাবি এক মার্কিন জেনারেলের হেফাজতে দিয়েছিলেন।’’ প্রায় ১৫ বছর সিআইএ-র নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কিরিয়াকুর কথায়, ‘‘আমরা পাক পরমাণু অস্ত্র কিনে নিয়েছিলাম।’’

  • Central Banks: আরবিআই একা নয়, বিপুল সোনা কিনছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিও, কারণ কি জানেন?

    Central Banks: আরবিআই একা নয়, বিপুল সোনা কিনছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিও, কারণ কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনায় সোনা ফলে! তাই তামাম বিশ্বেই এই সোনালি ধাতুর কদর রয়েছে দীর্ঘকাল ধরে। তবে ইদানিং চাহিদা বাড়ছে সোনার। মানুষ তো বটেই, ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় তথা শীর্ষ ব্যাঙ্কগুলিও (Central Banks) সোনা কিনে মজুত করছে। এ বছরে ধারাবাহির ভাবে সোনা কিনে মজুত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের ভাণ্ডারে জমা থাকা সোনার মূল্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা থাকা সোনার মূল্য ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০৯ কোটি টাকারও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সোনার প্রতি নস্টালজিয়া নয়, কিংবা সাময়িক বাজার উদ্বেগের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরক্ষাও নয়, এটি আদতেই একটি কৌশল। ভূ-রাজনৈতিক পুনর্গঠন, অনিশ্চিত বন্ডের মুনাফা এবং অসম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই বিশ্বে, সোনা ফের সর্বোচ্চ মূল্য সংরক্ষণের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    “কাঠামোগত অস্থিরতা” (Central Banks)

    এই পরিবর্তনের মূল কারণ হল “কাঠামোগত অস্থিরতা”। আন্তর্জাতিক সেটেলমেন্টস ব্যাঙ্কের মতে, উন্নত দেশগুলির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ২ শতাংশের নীচে আটকে রয়েছে। অথচ বছরের পর বছর সুদের হার ব্যাপকভাবে বাড়ানোর পরেও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এহেন পরিস্থিতিতে প্রচলিত নিরাপদ সম্পদ, যেমন সরকারি বন্ড থেকে লাভ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি ডলার, ইউরো ইত্যাদির মতো ফিয়াট অ্যাসেটের ওপর আস্থা হারায়, তখন তারা বাস্তব ও দৃশ্যমান সম্পদের দিকে ঝোঁকে। সোনা, বন্ড বা মুদ্রার মতো নয়। এর কোনও কাউন্টারপার্টি রিস্ক নেই। মুদ্রাস্ফীতির কারণে এর মান কমে না, এবং নিষেধাজ্ঞা বা রাজনৈতিক চাপের কারণে এটি স্থগিতও করা যায় না। এই স্থিতিশীলতাই বোঝায় কেন সোনা ফের অতীতের নিদর্শন নয়, বরং আধুনিক মজুত ব্যবস্থাপনার মূলভিত্তি হিসেবে ফিরে আসছে।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    ইনফরমেরিক্স রেটিংসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মনোরঞ্জন শর্মা বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির সোনা কেনার এই প্রবণতা (Gold Hoarding) কেবল প্রচলিত ধারণার কারণেই নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত উদ্দেশ্য।” তিনি বলেন, “এই সঞ্চয়ের একটি বড় অংশ এসেছে ডি-ডলারাইজেশন প্রচেষ্টার কারণে, বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতিগুলিতে যেমন চিন, ভারত, রাশিয়া, তুরস্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সোনা সবরকম নিষেধাজ্ঞা থেকে সুরক্ষা দেয়, আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়, আর্থিক স্থিতিশীলতা মজবুত করে এবং ক্রমবর্ধমান আর্থিক ব্যবস্থায় স্বাধীন মুদ্রানীতি পরিচালনার জন্য নমনীয়তা দেয়।” খ্যাতনামা এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “সোনা আর্থিক দমননীতি এবং ক্রমবিবর্তিত ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধেও এক ধরনের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে (Central Banks)।”

    ৯০০ টন সোনা

    চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি সম্মিলিতভাবে প্রায় ৯০০ টন সোনা কিনবে (Gold Hoarding) বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ধারাবাহিকভাবে চতুর্থ বছর যেখানে গড়ের চেয়ে বেশি কেনাকাটা হবে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ‘সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’ অনুযায়ী, প্রায় ৭৬ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মনে করছে আগামী পাঁচ বছরে তাদের মজুতে সোনার অংশ বৃদ্ধি পাবে। আর ৭৩ শতাংশ ব্যাঙ্ক মনে করছে বৈশ্বিক মজুতে মার্কিন ডলারের অংশ কমে যাবে। শর্মা বলেন, “এই লাগাতার অফিসিয়াল সোনা কেনা সোনার দামে একটি কাঠামোগত ভিত্তি তৈরি করেছে, এমনকি বৈশ্বিক সুদের হার বেশি থাকলেও।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির এই ক্রয় সোনার একটি নির্ভরযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ হিসেবে খ্যাতিকে আরও মজবুত করেছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক ও খুচরো বিনিয়োগকারীদেরকে ইটিএফ, খনিশিল্পের শেয়ার, এবং সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহিত করছে।”

    আইএমএফের সিওএফইআর ডেটাবেস

    আইএমএফের সিওএফইআর ডেটাবেস অনুযায়ী, বর্তমানে মার্কিন ডলার এখনও মোট বৈশ্বিক মুদ্রা মজুতের প্রায় ৫৮ শতাংশ অংশ ধরে রেখেছে। এটি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। ডলারের এই আধিপত্য এখন শুধু অর্থনৈতিক কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার ওপর আরোপিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশঙ্কা বহু সরকারকে মার্কিন সম্পদে অতিরিক্ত নির্ভরতা নিয়ে চিন্তিত করে তুলেছে (Central Banks)। অন্যদিকে সোনা এই ব্যবস্থার বাইরে থাকে। এটি নিজের দেশে সংরক্ষণ করা যায়, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য করা যায়, এবং কোনও নির্দিষ্ট দেশের নীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। এই কারণেই পশ্চিমি অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে নিজেদের আর্থিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে চাওয়া উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলির কাছে সোনা (Gold Hoarding) বিশেষভাবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

    কী বলছেন অর্থনীতিবিদরা

    শর্মা বলেন, “আগে যেখানে দামের ওঠানামা প্রধানত জল্পনামূলক প্রবাহ এবং ইটিএফের দ্বারা প্রভাবিত হত, এখন সরকারি খাতে স্বর্ণ সঞ্চয় একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে কাজ করছে, যা সোনাকে আরও স্থিতিশীল এবং কম চক্রাকার করে তুলছে।” তিনি বলেন, “খনি উৎপাদন বৃদ্ধির সীমাবদ্ধতা এবং পুনর্ব্যবহারের অভাবের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শক্তিশালী ক্রয় ফিজিক্যালি সোনার বাজারকে আরও সংকুচিত করছে। তাই সাংহাই ও মুম্বইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এশীয় কেন্দ্রগুলিতে প্রিমিয়াম প্রায়ই বেড়ে যাচ্ছে।” শর্মা বলেন, “এটি ভূরাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসের পাশাপাশি সোনার ফের একটি কৌশলগত রিজার্ভ সম্পদ হিসেবে আবির্ভাবকেও প্রতিফলিত করে (Central Banks)।”

  • Delhi Artificial Rain: দূষণরোধে দিল্লিতে হবে কৃত্রিম বৃষ্টি, জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

    Delhi Artificial Rain: দূষণরোধে দিল্লিতে হবে কৃত্রিম বৃষ্টি, জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: বায়ু দূষণে (Delhi Air Pollution) নাজেহাল দেশের রাজধানী দিল্লির আবহাওয়া। বিগত কংগ্রেস সরকার, আপ সরকার দেশের এই প্রাণকেন্দ্রের দূষণ নিয়ে খুব একটা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টিপাত নিয়ে দেশের আইআইটিগুলি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিল। তাকেই কাজে লাগাবে দিল্লি বিজেপি। বায়ু দূষণ রোধে দিল্লি সরকার এই বছর প্রথমবার দেশের জাতীয় রাজধানীর বুকে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত (Delhi Artificial Rain) ঘটাবে। তবে এই বৃষ্টির কথা খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা নিজেই জানিয়েছেন।

    ২৮, ২৯, ৩০ হবে কৃত্রিম বৃষ্টি (Delhi Artificial Rain)

    দিল্লির বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেন, “২৮, ২৯, ৩০ অক্টোবর দিল্লির আকাশে মেঘ থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যদি সব রকম অনুকূল পরিবেশ ঠিক থাকে তাহলে ২৯ অক্টোবর ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হতে পারে। বুরারি এলাকায় ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে।” ত্দবে দিল্লিতে এই প্রথমবার ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে (Cloud Seeding) কৃত্রিম বৃষ্টিপাত (Delhi Artificial Rain) করানো হতে পারে দূষণ রুখতে।

    দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা বলন, “আইআইটি কানপুর থেকে দিল্লি পর্যন্ত একটি ট্রায়াল ফ্লাইট ওড়ানো হয়েছে। মীরট, খেকরা, বুরারি, আলিগড় আবার কানপুরে ফিরে গিয়েছে। খেকরা এবং বুরারির মধ্যে ক্লাউড সিডিং করা হয়েছে।”

    ৩.২১ কোটি টাকার খরচে হবে বৃষ্টি

    কৃত্রিম বৃষ্টির (Delhi Artificial Rain) এই প্রক্রিয়ায় মোট খরচের কথা তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, “৩.২১ কোটি টাকার এই উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হবে। একটি বিশেষ বিমান উড়বে উত্তর পশ্চিম দিল্লি এবং দিল্লির আশপাশের এলাকা দিয়ে। সেখানে জলীয় বাষ্প পূর্ণ মেঘের উপরে সিলভার আয়োডিনের ন্যানোপার্টিক্যাল, আয়োডাইজড নুন ও রক স্টলের মিশ্রণ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর জেরে মেঘে জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত হবে এবং বৃষ্টি বর্ষণ করবে।”

    উল্লেখ্য দিল্লি সরকার আইআইটি কানপুরের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ৫টি ক্লাউড সিডিং (Cloud Seeding) ট্রায়াল করার কথা জানা গিয়েছে। উত্তর পশ্চিম দিল্লিতেও ক্লাউড সিডিং ট্রায়াল করা হবে। দীপবালির পর দিল্লির বাতাসের মান মারাত্মক আকার নিয়েছে। বৃহস্পতিবার আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণমান ছিল ৪২৯। ব্যাপক পরিমাণে আতশবাজি পড়ানোর ফলে গোটা রাজধানী ধুলোর চাদরে ঢেকে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হলেই চোখ জ্বালা, শ্বাস কষ্টের মতো নানা সমস্যার দেখা মিলছে।

  • Delhi Police: দিল্লিতে বড় আত্মঘাতী হামলার ছক পাকিস্তানের! ধৃত ২ সন্দেহভাজন ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি

    Delhi Police: দিল্লিতে বড় আত্মঘাতী হামলার ছক পাকিস্তানের! ধৃত ২ সন্দেহভাজন ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানীতে জঙ্গি হামলার একটি বড়সড় ছক বানচাল (Terror Plot Foiled) করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ল ২ সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট জঙ্গি (ISIS Operatives Arrested)। শুক্রবার সকালে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল ওই দুই সন্দেহভাজন আইসিস বা আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। এক সন্দেহভাজন জঙ্গি দিল্লির বাসিন্দা। অপরজনের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। দুজনেরই বয়স ২০ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে বলে জানা গেছে।

    অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরির মশলা উদ্ধার

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অভিযানের সময় ধৃত দুই জঙ্গিরই নাম আদনান। এক জঙ্গিকে দিল্লির সাদিক নগর থেকে এবং অন্যজনকে ভোপাল থেকে ধরা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির কোনও একটি জনবহুল এলাকায় জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র (Terror Plot Foiled) করা হয়েছিল। যে অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক সংগ্রহ করেছিল তারা, যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে বিস্ফোরক উপকরণ, অ্যাসিড, সালফার পাউডার, বল বিয়ারিং এবং আইইডি সার্কিটের মতো বোমা তৈরির রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়েছে।

    দিল্লিতেই আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল!

    ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা (Delhi Police) জানতে পেরেছেন, তাদের পরিকল্পনা বেশ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, আইইডি বিস্ফোরণের প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। এই দু’জন আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। দিল্লিতেই ফিদায়েঁ হামলার ছক ছিল তাদের। তারা আইসিসের সঙ্গে যুক্ত হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের সঙ্গে আর কে জড়িত, কোথায় হামলার পরিকল্পনা ছিল, কোথা থেকে হামলার নির্দেশ আসছে, যাবতীয় তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই গ্রেফতারির ফলে দিল্লিতে বড়সড় নাশকতার ছক (Terror Plot Foiled) ভেস্তে গেল, আত্মবিশ্বাসী গোয়েন্দারা (Delhi Police)।

    নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত!

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গিদের নেপথ্যে আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলেই অনুমান। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার হয়ে নাশকতা ছড়াতে ভারতে এসে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম ব্যবহার করেছে ধৃতরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে (Delhi Police)। আসল পরিচয় গোপন করতেই এই কৌশল। তবে দুই জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার পরেও অপারেশন চলছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, নাশকতার ষড়যন্ত্রে (Terror Plot Foiled) আরও কয়েক জন আইএস জঙ্গি জড়িত থাকতে পারে।

  • Indian Armed Forces: ৭৯০০০ কোটি টাকার অস্ত্র, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনায় সায় কেন্দ্রের, বিরাট বদলের পথে তিন বাহিনী

    Indian Armed Forces: ৭৯০০০ কোটি টাকার অস্ত্র, আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনায় সায় কেন্দ্রের, বিরাট বদলের পথে তিন বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতের রণনীতি ও যুদ্ধকৌশলের সঙ্গে সেনাশক্তির সামঞ্জস্য বজায় রাখতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Armed Forces) তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) জন্য ৭৯ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম (Modern Weapon Systems) কেনার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ পরিষদের বৈঠক ছিল বৃহস্পতিবার। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে এই বৈঠক হয়। সেখানে বিভিন্ন সমরাস্ত্র ও আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, আরও শক্তি বাড়ছে ভারতীয় সেনার। যার জেরে তিন বাহিনীতেই ঘটবে বিরাট বদল। নতুন রূপে সেজে উঠবে দেশের তিন সশস্ত্র বাহিনী।

    স্থল সেনার ঝুলিতে যা যা আসছে…

    স্থল সেনার ঝুলিতে ঢুকতে চলেছে মোট তিনটি প্রতিরক্ষা সামগ্রী (Indian Armed Forces)। যথাক্রমে নাগ মিসাইল সিস্টেম মার্ক-২ (NAMIS Mk-II), গ্রাউন্ড-বেসড মোবাইল ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম (GBMES), ম্যাটেরিয়াল হ্যান্ডলিং ক্রেন-সহ হাই মোবিলিটি ভেহিক্যল (HMVs)। এর মধ্যে নাগ মিসাইল সিস্টেম শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক, বাঙ্কার ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়। গ্রাউন্ড-বেসড মোবাইল ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম কাজ করে রেডার সিগন্যাল ধরতে। শত্রুপক্ষের ইলেকট্রনিক সিগন্যাল ও রেডার সিগনেচার শনাক্ত ও ট্র্যাক করতে সক্ষম এটি। সবশেষে হাই মোবিলিটি ভেহিক্যল মূলত সেনা লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করে থাকে। ভারী সরঞ্জাম পরিবহণে কাজে আসে।

    নৌবাহিনী যা পেতে চলেছে…

    ভারতীয় নৌসেনার জন্য আসছে ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক (LPDs), ৩০ মিমি নেভাল সারফেস গান (NSG), অ্যাডভান্সড লাইট ওয়েট টর্পিডো (ALWT) ও ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রা-রেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম সঙ্গে স্মার্ট অ্যামুনিশন। ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক প্ল্যাটফর্মগুলি নৌসেনা ও বিমানবাহিনীর যৌথ অপারেশনে ব্যবহৃত হবে (Indian Armed Forces)। পাশাপাশি, শান্তিরক্ষা, মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলা কার্যক্রমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এলপিডি। ৩০ মিমি নেভাল সারফেস গান মূলত নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে লো ইন্টেনসিটি মেরিটাইম অপারেশনস (LIMO) এবং জলদস্যুতা বিরোধী (Anti-piracy) অভিযানে আরও কার্যকর করে তুলবে। ডিআরডিও-র তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট ওয়েট টর্পিডো যে কোনও ধরনের সাবমেরিন— কনভেনশনাল হোক কিংবা পারমাণবিক— সবাইকেই টার্গেট করতে সক্ষম। এছাড়া, কোনও বস্তুকে টার্গেটে আনতে তৈরি হচ্ছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রা-রেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম।

    বায়ুসেনার ঘরে যা ঢুকছে…

    বায়ুসেনার (Indian Armed Forces) জন্য কোল্যাবরেটিভ লং রেঞ্জ টার্গেট স্যাচুরেশন/ডিস্ট্রাকশন সিস্টেম (CLRTS/DS) তৈরিতে অনুমোদন দিয়ে পরিষদ। এই ব্যবস্থাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড্ডয়ন, অবতরণ, নেভিগেট করা, লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম। এটি মূলত দূর পাল্লার লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে আঘাত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ১০০০ কিলোমিটার পাল্লার এই সোয়ার্ম ড্রোন এই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার সাহায্যে নিশানা চিহ্নিত করে হামলা চালাতে পারে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের অংশ

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর (Indian Armed Forces) জন্য উন্নত অস্ত্র, সহায়তা সরঞ্জাম কিনে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অনুমোদনগুলি কেবল সামরিক শক্তি বৃদ্ধিই করবে না বরং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে আরও শক্তিশালী (Modern Weapon Systems) করবে। চলতি বছরের বাজেটে মোট ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যা গতবছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, সামরিক খাতে আরও ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হতে পারে। আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সেই বাজেট পেশ করা হতে পারে।

LinkedIn
Share