Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    Samvidhan Hatya Divas: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর, আজ কেন প্রাসঙ্গিক সংবিধান হত্যা দিবস পালন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ জুন ভারতীয় গণতন্ত্রের কাছে এক কালো দিন। আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, আচমকা মধ্যরাতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। না, কোনও যুদ্ধ নয়। নিজের গদি বাঁচাতে দেশবাসীকে কার্যত বন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যার প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করছে বিজেপি। কী ঘটেছিল সেই সময়ে? কেমন ছিল সেই অন্ধকারময় অধ্যায়?

    ইতিহাসের পাতা উল্টে ফেরা যাক ঠিক ৫০ বছর আগেকার একটি অস্থির সময়ে। সালটা ১৯৭৫। যে সময় দেশ এক কঠিন সময়ের চরম নজির দেখেছিল ভারতবাসী। এমন একটা সময় যখন ক্ষমতাবলে দেশের সংবিধানকে হত্যা করেছিল দেশেরই শাসক। কংগ্রেস শাসনের স্বৈরতন্ত্রের সামনে ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র। বিরোধে ওঠা সব কণ্ঠকে নির্বিচারে করা হয়ছিল রোধ। বিরোধী হলেই ঠাঁই ছিল গারদ।

    ক্ষমতা হারানোর ভয় পেলেন ইন্দিরা…

    ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ইন্দিরা গান্ধী। বিপক্ষ প্রার্থী ছিলেন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির রাজনারায়ণ। এই ভোটে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কারচুপি করে জেতার অভিযোগ আনেন রাজনারায়ণ। সোশ্যালিস্ট পার্টির এই নেতা দ্বারস্থ হন এলাহাবাদ হাইকোর্টের। ইন্দিরার বিরুদ্ধে সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন জেতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এক ঐতিহাসিক রায়ে ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে তাঁকে ৬ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা।

    ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশাহারা ইন্দিরা তখন দ্বারস্থ হলেন সুপ্রিম কোর্টের। ১৯৭৫ সালের ২৩ জুন মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। ২৪ জুন বিচারপতি আইয়ার নির্দেশ দিলেন, যতক্ষণ না চূড়ান্ত রায় আসছে, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে সাংসদ হিসেবে কাজ চালাতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বিরোধীরা বলতে শুরু করেন, “চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রী থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।” অন্যদিকে, ইন্দিরার পদত্যাগের দাবিতে তখন দেশজুড়ে প্রবল আন্দোলন শুরু করেন জয়প্রকাশ নারায়ণ।

    চুপিসারে মধ্যরাতে জারি এমার্জেন্সি

    ক্ষমতা হারানোর ভয় আরও তাড়া করতে শুরু করে কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রীকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ঠিক একদিন পরেই, ১৯৭৫ সালের ২৫ এবং ২৬ জুন মধ্যরাতে, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন যাতে তাঁকে পদত্যাগ করতে না হয়। এই জরুরি অবস্থা চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত! এই গোটা সময় দেশ একটা চরম অন্ধকারময় অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। এই সময়ে গোটা দেশকে কার্যত কারাগারে পরিণত করেছিল কংগ্রেস সরকার। গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকার দুটোই সেদিন কেড়ে নেয় গান্ধী পরিবারের শাসন। সরকার চাইলে যে কোনও ব্যক্তিকে যতদিন খুশি জেলে ভরে রাখতে পারত। সব থেকে বড় কথা, কোনও রকমের শুনানি ছাড়াই কয়েক হাজার সরকার বিরোধী ব্যক্তি জেলে ছিলেন। তাঁদের জামিনের আবেদন করার অধিকারও ছিল না।

    প্রথম গ্রেফতারি ভোর আড়াইটেয়…

    ২৬ তারিখের ভোররাত, অর্থাৎ জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই করা হয় প্রথম গ্রেফতারি। সেই সময়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রভাবিত অর্গানাইজার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এইচ আর মালকানিকে পান্ডারা রোডে তাঁর বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণকে। কেন? কারণ, ইন্দিরা বিলক্ষণ জানতেন, তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র আরএসএস ও জন সংঘের। তাই, আগেভাগে এদের গারদে পাঠাতে উদ্যত হয়েছিলেন ইন্দিরা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল অধ্যাপকদের তালিকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হাসানের কাছে চেয়ে নেন ইন্দিরা-পুত্র সঞ্জয় গান্ধী। সেসময় জনসংঘ এবং আরএসএস-এর বহু প্রচারক কার্যকর্তা গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।

    সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ, বন্ধ নির্বাচন

    শুধু তাই নয়। গণমাধ্যমগুলির ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করে ইন্দিরা-সরকার। তালিকায় ছিল ৩,৮০১ সংবাদপত্র। সূর্য ওঠার আগেই দেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রগুলির অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সরকার। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালকে নির্দেশ দেন ইন্দিরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, সংবাদপত্রের খবর আগে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যাতে আসে। তারপর কোন খবর ছাপা হবে তা সরকার ঠিক করবে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশে সমস্ত ধরনের নির্বাচন।

    ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়

    এমনকি, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও জানত না। ২৬ জুন সকাল ৬টার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ১৫ জনেরও বেশি মন্ত্রী প্রথমবারের জন্য জানতে পারেন, জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে দেশে। এরপরই আকাশবাণীর বেতার ভাষণে জরুরি অবস্থা জারির কথা ঘোষণা করেন ইন্দিরা গান্ধী। পরিসংখ্যান বলছে, সেসময় মোট রাজনৈতিক গ্রেফতারির সংখ্যা ১,১০,৮০৬। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কোমরে দড়ি পরিয়ে পুলিশ জিপের সঙ্গে বেঁধে রাস্তায় হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। আর থানার লক আপে চলত অকথ্য পুলিশি অত্যাচার! যার জেরে অকালে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে। শূন্য হয়েছে অনেক মায়ের কোল। মুছেছে অনেক শিঁথির সিঁদুর। এমনকি, দেহ লোপাটও করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

    তোষামোদের প্রতিদানে জোড়ে ‘সেকুলার’

    বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। সেটাই তখন ছিল কংগ্রেস সরকারের কুক্ষিগত। ২৮ বছর ধরে তখন দেশ শাসন করছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস বললে ভুল হবে। গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাবা ও মেয়ের হাতেই ছিল ক্ষমতা। আর এই একটাই পরিবারের হাতে বন্দি ছিল একটা গোটা দেশ! দেশে যখন এই কালো অধ্যায় চলছে, বিরোধী সমস্ত নেতা যখন জেলের ভিতর, তখনই এক প্রকার গায়ের জোরে ১৯৭৬ সালে ৪২তম সংবিধান সংশোধনী এনে প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’ শব্দ। কেন? কারণ, তাঁর এই স্বৈরচারে সঙ্গ দিয়েছিল কমিউনিস্ট ও মুসলিম লিগ! তার প্রতিদান স্বরূপ দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় জোড়া হয় ‘সেকুলার’। প্রায় পৌনে ২ বছর পর, ১৯৭৭ সালের মার্চ মাসে দেশে লোকসভা নির্বাচন হলে, তাতে বিপুল পরাজয় হয় ইন্দিরা এবং কংগ্রেসের। গণতন্ত্রের হাতিয়ারে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে বদলা নিয়েছিল দেশবাসী।

    ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন

    সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করা শাসকদের আসল রূপ যাতে মানুষ মনে রাখে, দেশের এই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করে প্রতি-বছর ২৫ জুন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করে আসছে বিজেপি। লক্ষ্য, তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ জানানো, যাঁরা জরুরি অবস্থার সময়ে স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতনের ভুক্তভোগী ছিলেন। সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লড়াইকে সম্মান করা, যাঁরা প্রাণ বিপন্ন করেও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন। জরুরি অবস্থা চলাকালীন যারা অমানবিক কষ্ট সহ্য করেছিলেন, তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা। প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর জ্যোতিকে বাঁচিয়ে রাখা। যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এর পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।

  • Turkey: সফল বয়কট আন্দোলন! মে মাসে পাক-বন্ধু তুরস্কে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা কমল ২৪ শতাংশ

    Turkey: সফল বয়কট আন্দোলন! মে মাসে পাক-বন্ধু তুরস্কে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা কমল ২৪ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির আবহ তৈরি হয়, আর সেই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদকে সরাসরি সমর্থন জানায় তুরস্ক (Turkey)। শুধু রাজনৈতিক সমর্থনই নয়, পাকিস্তানকে ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেও সহায়তা করে তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিভিন্ন মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং দেশজুড়ে শুরু হয় তুরস্কের পণ্য ও পরিষেবা বয়কটের ডাক।

    তুরস্কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা (Turkey)

    তৎকালীন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারও তুরস্কের (Turkey) বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করে। ভারতীয় পর্যটকদের (Indian Tourists) মধ্যেও তুরস্ক বর্জনের প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে তুরস্কে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা। যেখানে ২০২৪ সালের মে মাসে তুরস্কে গিয়েছিলেন ৪১,৫৫৪ জন ভারতীয়, সেখানে ২০২৫ সালের মে মাসে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১,৬৫৯ জনে।উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মে মাসেই তুরস্কে সর্বাধিক পর্যটক ভিড় করেন।

    ভ্রমণ সংস্থাগুলিও সামিল হয় বয়কট তুরস্ক আন্দোলনে (Turkey)

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের পরে পাকিস্তান ভারতের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, যা ভারতের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে রুখে দেয়। তখনই প্রকাশ্যে আসে যে ওই হামলার সময় পাকিস্তান তুরস্কের(Turkey) নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করেছে। এই তথ্য সামনে আসার পর দিল্লি থেকে তীব্র কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয় এবং একাধিক পদক্ষেপ করা শুরু হয়। MakeMyTrip, EaseMyTrip, ClearTrip-এর মতো প্রধান পর্যটন সংস্থাগুলি ঘোষণা করে যে তারা আর তুরস্কগামী কোনও ট্যুর প্যাকেজ প্রচার করবে না। এইভাবে দেশজুড়ে ‘বয়কট তুরস্ক’ আন্দোলন আরও তীব্রতর হয় (Indian Tourists)।

    মোদির সাইপ্রাস সফর

    এই কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর করেন তুরস্কের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সাইপ্রাসে। এই সফরকে অত্যন্ত কৌশলগত এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্তোদুলিদেসের সঙ্গে একাধিক ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি তাঁকে ১৯৭৪ সাল থেকে তুরস্কের দখলে থাকা উত্তর সাইপ্রাস অঞ্চল ঘুরে দেখান। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যেব এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, “তুরস্ক প্রমাণ করেছে, তারা পাকিস্তানের পাশে আছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে অবস্থান নিতে প্রস্তুত।”

  • Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি, এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে ভারত সরকার। ভারত সরকারের মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনরায় বিবেচনা করতে শুরু করেছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশে বাড়তে থাকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। এই আবহে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।

    নয়া চুক্তি হতে পারে ১০ থেকে ১২ বছরের জন্য

    দুই দেশের মধ্যে থাকা বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, আগেই ভারত সরকার বাংলাদেশকে (Bangladesh) জানিয়েছিল যে গঙ্গার জলের (Ganga Water Treaty) বড় অংশ ভারতের প্রয়োজন, কারণ দেশের উন্নয়নের জন্য এটি অপরিহার্য। নতুন যে চুক্তি হতে পারে, তাতে এই দাবির প্রতিফলন ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এই নতুন চুক্তি ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য কার্যকর হতে পারে। মূল গঙ্গা জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সেই চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল কোন দেশ গঙ্গার কতটা জল পাবে। মে মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, পহেলগাঁও হামলার পর সবকিছু বদলে গিয়েছে। আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে গঙ্গা জলচুক্তি ৩০ বছরের জন্য পুনর্নবীকরণ করা হবে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে পালটে গেছে, তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে এই বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক ও রুটিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তবু ঢাকাকে জানানো হয়েছে ভারতের জল চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এই বাস্তবতার প্রতিফলন পড়বে নতুন চুক্তিতে।

    কত জল প্রয়োজন ভারতের?

    বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ (Bangladesh) উভয় দেশ গড়ে ৩৫,০০০ কিউসেক করে জল ব্যবহার করে। প্রতি ১০ দিন অন্তর জল ভাগাভাগির হিসেব নির্ধারিত হয়। তবে বর্তমানে ভারতের আরও ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ কিউসেক অতিরিক্ত জলের (Ganga Water Treaty) প্রয়োজন পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবিষয়ে। দুই রাজ্যেই সেচ ও পানীয় জলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

  • World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day) ছয়টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, যার মধ্যে রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও (World Record)। এই ছয়টি বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয় একেবারে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের দিনেই।

    অন্ধ্রপ্রদেশে জোড়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (World Record)

    ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশে দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত। আরকে সৈকতে ৩,০৩,৬৫৪ জন একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন। এখানেই হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যোগ অনুশীলনের সর্ববৃহৎ রেকর্ডের (World Record) স্বীকৃতি পায় এই সমাবেশ। একই সঙ্গে ২২,০০০ আদিবাসী ছাত্রছাত্রী ১০৮ মিনিট ধরে ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

    মোহালির এইমস তৈরি করল এশিয়ার রেকর্ড

    মোহালির এইমস-এ স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় যোগ দিবসে। একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন তাঁরা। এই যোগ শিবিরের মাধ্যমে তাঁরা এশিয়া বুক অব রেকর্ডসে (World Record) নাম তোলেন।

    গুজরাটে ভুজঙ্গাসনে গিনেস রেকর্ড

    গুজরাটের ভাটনগরে ২,১২১ জন একসঙ্গে ভুজঙ্গাসন করেন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day)। এর মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হন তাঁরা।

    কুরুক্ষেত্রের ব্রহ্মসরোবর-এ রেকর্ড জমায়েত

    হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ এক লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ছিল স্কুল ছাত্রছাত্রী। তারা বিভিন্ন আসন ও প্রাণায়াম অনুশীলন করে। এখানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। এই বিশাল শিবির একাধিক রেকর্ড ভেঙে দেয়।

    কৃষ্ণা নদীর উপর ভাসমান যোগাভ্যাস

    আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীতে একটি অভিনব রেকর্ড তৈরি হয়। সেখানে এক হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী স্পিডবোট ও অন্যান্য প্রায় ২০০টি জলযানে ভাসমান অবস্থায় যোগাভ্যাস করেন। এই উদ্যোগে সহায়তা করে এনটিআর জেলা প্রশাসন।

    লখনউয়ে সূর্য নমস্কার ভেঙে দিল পুরনো রেকর্ড

    উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে সূর্য নমস্কার অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় হয়। সরদার প্যাটেল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই যোগ শিবিরে প্রায় ১,২০০ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও। এই আয়োজন অনেক আন্তর্জাতিক রেকর্ড ভেঙে দেয় (World Record)।

  • RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক। সংঘ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বৈঠক শুরু হবে ৪ জুলাই এবং চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। সেখানে দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    সংঘের সাংগঠনিক দৃষ্টিতে ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে

    বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর বিবিধ ক্ষেত্রের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদকরাও (Prant Pracharak Baithak) এই বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-এর প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজেদের রাজ্যের রিপোর্ট দেবেন, প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে।

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। প্রান্ত প্রচারকদের এই বৈঠকে হাজির থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত। সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে ও সমস্ত সহ-কার্যবাহরাও উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, ডঃ মোহন ভাগবত ২৮ জুন দিল্লিতে হাজির হবেন।

  • Murugan Conference: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন শুরু, ডিএমকেকে তোপ বিজেপির

    Murugan Conference: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন শুরু, ডিএমকেকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুরুগন ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলনকে (Murugan Conference) ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তামিলনাড়ুতে। পুলিশ বেশ কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে এই সম্মেলন করার অনুমতি দিয়েছে। এতদিন যে অনুষ্ঠান হত ১১ দিন ধরে, সেটাই এবার শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিন দিনে।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা (Murugan Conference)

    বিজেপির তামিলনাড়ু রাজ্য সভাপতি নাইনার নাগেন্দ্রন বলেন, “মাদুরাইয়ে তামিল দেবতা মুরুগনের জন্য অনুষ্ঠিত বিশাল সম্মেলনের বিষয়ে আদালত ন্যায়বিচার করেছে।” রাজ্যের শাসক দল ডিএমকের বিরুদ্ধে এই অনুষ্ঠান বিঘ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগও করেন তিনি। নাগেন্দ্রন বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আমরা হয়তো ডিএমকে সরকারের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাইনি, কিন্তু আমরা আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এটি একটি বিরাট সাফল্য।” প্রসঙ্গত, মুরুগা বকথারগালিন আনমেগা মান্ডু (মুরুগা ভক্তদের আধ্যাত্মিক সম্মেলন) নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তামিলনাড়ু পুলিশ এতে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। ১৩ জুন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ এই সম্মেলনের অনুমতি দেয়।  তবে হিন্দু মুনানিকে মাদুরাই পুলিশ নির্ধারিত শর্তগুলি মেনে চলার নির্দেশ দেয়।

    সম্মেলনে যোগ হেভিওয়েটদেরও

    বিজেপির সমর্থনে এই সম্মেলনের আয়োজন করে দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু মুনানি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন (Murugan Conference)। তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মুরুগার ছ’টি মন্দিরের (স্থানীয়ভাবে “আরুপাডাই ভীডু” নামে পরিচিত) অনুকরণে নির্মিত মন্দির দর্শনে বহু মানুষ ভিড় জমান। তামিল দেবতা মুরুগনের সম্মানার্থে আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ, প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই এবং বিজেপির জোটসঙ্গী ও তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল এআইএডিএমকে।

    বক্তৃতা দিতে গিয়ে পবন কল্যাণ বলেন, “কিছু গোষ্ঠী আমাদের সংস্কৃতি ও বিশ্বাসকে নিয়ে উপহাস করে। একে ধর্মনিরপেক্ষতা বলে। এরা অচিরেই অদৃশ্য হয়ে যাবে।” আন্নামালাই বলেন, “আজ মাদুরাইয়ে আমাদের মতাদর্শের সম্মেলনে পাঁচ লাখ মানুষ এসেছেন। তাঁরা জানেন, তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজবেন, তাও এসেছেন। এটি শাসক দলের জন্য একটি সতর্কবার্তা (Murugan Conference)।”

  • National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার (National Emergency) ২১ মাসে অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী দফতর, এমনই দাবি পিএন. ধরের। যিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রধান সচিব। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক ধরনের অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর তৎকালীন মুখ্যসচিব পিএন. ধর। তাঁর লেখা বই “Indira Gandhi, Emergency and Indian Democracy”–তে। ধরের অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী-র প্রত্যক্ষ প্রভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কার্যক্রম বিপথ পরিচালিত হতে থাকে। তিনি লিখেছেন, মোরারজি দেশাইয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে সঞ্জয় গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাসভবনকে কার্যত প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।

    সঞ্জয় গান্ধীর প্রভাব (National Emergency)

    তিনি আরও জানান, সঞ্জয় গান্ধী, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা বংশী লাল, এবং তাঁদের অনুগতরা জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একচ্ছত্র প্রাধান্য অর্জন করেন। এই সময় তাঁরা সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি, একটি নতুন গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনার কথাও ভাবা হয়েছিল। পি. এন. ধর লেখেন, ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

    ইন্দিরা গান্ধী বেশি চিন্তিত ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে

    ধরের মতে, ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি চিন্তিত (National Emergency) ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে। কারণ, সঞ্জয়ের দাদা রাজীব গান্ধী তাঁর আচরণে বিরক্ত ছিলেন। পি. এন. ধর লেখেন, একদিন রাজীব গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে বলেন, তিনি মায়ের জন্য খুব চিন্তিত, কিন্তু ভাইয়ের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অসহায়। তিনি বলেন, “আমি কেবল দর্শক মাত্র।”

    কমিউনিস্ট তত্ত্বকেই মেনে নেন ইন্দিরা গান্ধী

    পি. এন. ধর আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর বন্ধু ছিল কমিউনিস্টরা। বামপন্থীদের মতে, জেপি আন্দোলন ছিল আমেরিকার মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র। ইন্দিরা গান্ধী এই ধারণাকেই গ্রহণ করেন, যার ফলেই জরুরি অবস্থা (National Emergency) জারি করা হয়, এমনটাই মত পিএন ধরের। পিএন ধর (PN Dhar) তাঁর বইতে আরও লেখেন ১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, ইন্দিরা গান্ধী হঠাৎ ঘোষণা করেন যে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং দুই মাস পরেই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের (Assembly Bypoll Results) বলি এক নাবালিকা। পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ঘটনা (Updates)। চার রাজ্যের ৫টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার। ফল বের হয় ২৩ জুন, সোমবার। এদিন বাংলার কালীগঞ্জ আসনেও ভোটের ফল বেরিয়েছে। ভোট গণনা চলাকালীন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বছর নয়েকের এক ছাত্রীর। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বড়চাঁদগড় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই নাবালিকা জখম হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আলিফা আহমেদ। বছর আটত্রিশের আলিফা এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে।

    কী বলছেন মৃতের মা

    স্থানীয়দের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এদিন ভোট গণনায় তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ইঙ্গিত মিলতেই মেলেন্দি এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। ওই বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। সেই সময় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই নাবালিকা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তামান্না খাতুন নামের ওই ছাত্রীর। বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের ছোড়া বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, “তৃণমূল রক্তপাত ছাড়া ভোটে জিততে পারে না।” তাঁর (Assembly Bypoll Results) প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এটাই জয়ের মূল্য?” তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তামান্নার মা-ও। মৃতের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “কারা বোমা ছুড়েছে, আমি দেখেছি। আমরা সিপিএম করি। ওদের নাম না জানলেও, সকলের মুখ চেনা, সবাই তৃণমূল করে।”

    কোন কেন্দ্রে কে জয়ী

    এদিন অকাল বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে গুজরাটের কাদি এবং বিসাবদর কেন্দ্রের, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রে এবং কেরলের নীলম্বুর কেন্দ্রে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম আসনে জয়ী হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আপ প্রার্থী সঞ্জীব অরোরা। নীলাম্বুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন (Updates) কংগ্রেসের আর্যদান শৌকথ। গুজরাটের দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপির কিরীট প্যাটেল ও রাজেন্দ্র চাভদা (Assembly Bypoll Results)।

  • Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “আমি আগেও বলেছিলাম যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এ এই দেশ মাওবাদ মুক্ত হবে। আজ আমি আবারও বলতে চাই, যেভাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বীরত্ব দেখাচ্ছে, তাতে আমরা অবশ্যই এই লক্ষ্য পূরণ করব।” রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি মাওবাদীদের অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিষ্ণু দেও সাই (ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী) একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় আত্মসমর্পণ নীতি তৈরি করেছেন। আসুন, আত্মসমর্পণ করুন এবং ছত্তিশগড়ের উন্নয়নে অবদান রাখুন। এ জন্য কোনও আলাপ-আলোচনার দরকার নেই। সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখুন। অস্ত্র ত্যাগ করুন এবং সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।”

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান (Amit Shah)

    ছত্তিশগড় সরকার যে মাওবাদী বিরোধী অভিযানকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে উৎসাহ দিয়েছে, সে জন্যও শাহ প্রশংসা করেন। তিনি জানান, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ে বিষ্ণু দেব সাইয়ের সরকার এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল তাঁরা বন্ধ হয়ে থাকা নকশালবিরোধী অভিযানকে দ্রুত গতিতে চালু করেছেন। আমি দেখেছি, সরকার গঠনের পর থেকেই এই দুই নেতা শুধু অভিযানকে গতি দেননি, বরং সময়ে সময়ে এর দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী উৎসাহিত হয়েছে এবং এই লড়াই আরও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিজয় শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী সাইকে নকশালবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    অটল বিহারী বাজপেয়ী

    এদিন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে স্মরণ করেন শাহ। ছত্তিশগড় গঠনের জন্য তাঁকে কৃতিত্বও দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ছত্তিশগড়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছরকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী। আমি গত ১১ বছর ধরে ছত্তিশগড়ে আসছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, ছত্তিশগড় গঠনের পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর। ছত্তিশগড়কে (Chhattisgarh) সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছত্তিশগড় সরকার তাদের ২৫ বছর উদযাপন করছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে (Amit Shah)।”

    ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি

    ছত্তিশগড়ের নব রায়পুরে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ছত্তিশগড় ও মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, আরও মজবুত করবে।” শাহ বলেন, “আজকের দিনটি ছত্তিশগড়ের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বলা যায়, আজ থেকে তিনটি নতুন উদ্যোগ শুরু হচ্ছে যা এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে – ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং এনএফএসইউ-এর ট্রানজিট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে (Amit Shah)।”

    চাকরির গ্যারান্টি

    শাহ জানান, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ছত্তিশগড় সরকার ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে (Chhattisgarh)। এর মাধ্যমে রাজ্যে নতুন শিল্প আসবে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ের আই-হাবেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান আসছে ঠিকই, কিন্তু রাজ্যের যুব সমাজ যদি নিজেদের উদ্যোগে শিল্পপতি হওয়ার চেষ্টা না করে, তাহলে ছত্তিশগড়ে প্রকৃত শিল্প বিপ্লব হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আই-হাব (i-hub) যুবকদের স্টার্টআপ শুরু করতে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেবে। এটি ছত্তিশগড়ের যুবকদের জন্য এক বড় সুযোগ এবং মঞ্চ তৈরি করবে। এখানকার যুবসমাজ যদি এমএসএমই (MSME) শিল্পপতি না হয় এবং এই ধরণের সংস্কৃতি না গড়ে তোলে, তাহলে ছত্তিশগড় কখনওই উন্নত হতে পারবে না।” তিনি এনএফএসইউতে চালু হতে যাওয়া কোর্সগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বলেন, “মোদি সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এনএফএসইউয়ের গ্র্যাজুয়েশন মানেই চাকরির গ্যারান্টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশের ফলে ফরেনসিক স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য বড় শহরের (Chhattisgarh) ওপর নির্ভরতা কমে যাবে (Amit Shah)।”

  • Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবিকে ‘মিথ্যে’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর সময় ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে চা ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি দিয়েছে পিআইবি।

    পিআইবি-র বিবৃতি

    সরকারি তথ্য প্রচার দফতর পিআইবি (PIB) এক বিবৃতিতে জানায়, “কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট দাবি করছে যে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের সময় মার্কিন বাহিনী ভারতীয় আকাশপথ ব্যবহার করেছে। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।” পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট জানায়, এই অপারেশনের পর যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, অভিযানে ব্যবহৃত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি অন্য রুটে গিয়েছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা কোনওভাবেই ব্যবহার করা হয়নি।

    শান্ত থাকার আহ্বান ভারতের

    ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এর মধ্যেই খবর ছড়ায়, ইরানে ‘মিডনাইট হ্যামার’ মিশনে ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন। যা সম্পূর্ণত ভুয়ো খবর। কেন্দ্র সরকার এই গুজব পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে জানায়, ভারত নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা থেকে সরে এসে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    মোদির বার্তা

    ইরানে মার্কিন হামলার পরই সেখানকার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন। মোদি এই প্রসঙ্গে লেখেন, “ইরানের রাষ্ট্রপতি পেজেস্কিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল হোক পরিস্থিতি এই দাবি জানিয়েছি।”

    আমেরিকার হামলা নিয়ে বিতর্ক

    গত ২০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে (ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে) ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা চালাতে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ এবং ‘বি ২ বম্বার’ কাজে লাগানো হয়েছে। ২১ জুন রাতের দিকে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম জটিল ও বৃহৎ বিমান হামলা। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে আমেরিকা ব্যবহার করেছে জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। এই বোমার ওজন ১৩ হাজার কেজির বেশি। কনক্রিটের ১৮ মিটার ভিতরে এবং মাটির ৬১ মিটার নীচে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এই বোমা। যদিও ফরদোয় ইরানের পরমাণুকেন্দ্র মাটির ৮০ থেকে ৯০ মিটার নীচে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তাই আমেরিকার এই বোমা আদৌ ইরানের পরমাণুকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমেরিকার এই বোমা হামলা ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন।এর মধ্যেই ভুয়ো খবর ছড়ায়, মার্কিন বোমারু বিমানগুলি নাকি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপ থেকে উড়ান দিয়েছিল। আন্দামান সাগর অতিক্রম করে আরব সাগর হয়ে ইরানের ‘স্ট্রাইক জোনে’ পৌঁছায় সেগুলি। স্বভাবতই ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে কথা বিতর্ক শুরু হয়। জল্পনা ছড়ায় যে ভারত হয়তো এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছে।

    সত্য জানাল দিল্লি

    ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই এই দাবি খারিজ করে দেয়। ফ্যাক্ট চেকের পর দেখা গিয়েছে, ভারত আদৌ তাদের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করতে দেয়নি মার্কিন সেনাকে। তাছাড়া সেই প্রশ্নই ওঠে না, কারণ, গুয়াম থেকে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানে হামলা চালায়নি। মনে করা হচ্ছে, ভারতের শত্রুপক্ষই আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে বাজারে মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে। মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কাইন আমেরিকার হামলার পর যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন কোন রুট ব্যবহার করে ইরানে ঢুকেছিল মার্কিন বোমারু বিমান। সেখানে কোথাও ভারতের এয়ারস্পেস ব্যবহার করার কথা বলা হয়নি।

LinkedIn
Share