Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Niti Aayog Meet: “কেন্দ্র-রাজ্য টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। কেন্দ্র ও সব রাজ্য এক সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়।” নীতি আয়োগের (Niti Aayog Meet) দশম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয়রই লক্ষ্য উন্নত ভারত। প্রত্যেক রাজ্য উন্নত হলে ভারত উন্নত হবে। এটাই ১৪০ কোটি ভারতবাসীর আশা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকারদের উচিত, তাদের রাজ্যের অন্তত একটা পর্যটনস্থল যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা-সহ আন্তর্জাতিক মানের করা।” তিনি বলেন, “এক রাজ্য : এক বিশ্বব্যাপী গন্তব্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি প্রতিবেশী শহরগুলিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও আরও ত্বরান্বিত করবে।”

    উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর (Niti Aayog Meet)

    শনিবারের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে নীতি আয়োগের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের উন্নয়নের গতি বাড়াতে হবে। যদি কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্য একজোট হয় এবং টিম ইন্ডিয়ার মতো এক সঙ্গে কাজ করে, তাহলে কোনও লক্ষ্য পূরণই অসম্ভব নয়।” এবার নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকের থিম ছিল ‘বিকশিত রাজ্য, বিকশিত ভারত @২০৪৭’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিকশিত ভারত প্রতিটি ভারতীয়ের লক্ষ্য। যখন প্রতিটি রাজ্য বিকশিত হবে, তখন ভারতও বিকশিত হবে। এটাই ১৪০ কোটি নাগরিকের আকাঙ্খা।”

    অনুপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

    নীতি আয়োগের এই শীর্ষ বৈঠকে (Niti Aayog Meet) উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সূত্রের খবর, এর আগেরবার তাঁর বক্তব্যের মাঝপথে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে সেবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে এসেছিলেন মমতা। সেই কারণেই এবার তিনি যাননি। যদিও তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। তাই এই বৈঠকে যোগ দেওয়া আর না দেওয়া একই ব্যাপার (Niti Aayog Meet)।

  • Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    Nishikant Dubey: “১৯৯১ সালে করা ভারত-পাক চুক্তি মনে আছে?” রাষ্ট্রদ্রোহিতা কী, রাহুলকে মনে করালেন নিশিকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Indo Pak Military Pact)। তার পরেই শুক্রবার সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিলেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এই পদ্ম সাংসদ লিখেছেন, “রাহুল গান্ধীজি, এটি আপনার সরকারের সময় করা একটি চুক্তি। ১৯৯১ সালে আপনার দল সমর্থিত সরকার একটি চুক্তি করেছিল যে ভারত ও পাকিস্তান যে কোনও আক্রমণ বা সেনা আন্দোলন সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করবে। এই চুক্তি কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা?” তিনি লিখেছেন, “কংগ্রেস পাকিস্তানি ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করজি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা কি আপনার পক্ষে শোভা পাচ্ছে?”

    নিশিকান্তর নিশানায় কংগ্রেস (Nishikant Dubey)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমরা ১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী জাতি হিসেবে বিবেচনা করি। ৭৮ বছর ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের কাশ্মীরের অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। তার পরেও আপনারা (কংগ্রেস) পাকিস্তানকে ছাড় দিয়ে আসছেন। সেটা ১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চুক্তি হোক, সিন্ধু জল চুক্তি হোক কিংবা ১৯৭৫ সালের শিমলা চুক্তিই হোক। আমরা সংসদেও কোনও জাতির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে কথা বলি না।” পদ্ম সাংসদ বলেন, “কিন্তু ১৯৯১ সালে যখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। তখন কেন্দ্রে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছিল কংগ্রেস এবং ১৯৯৪ সালে যখন পিভি নরসিমহা রাওয়ের সরকার ছিল, তখন এই চুক্তি (চুক্তি) বাস্তবায়িত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে এবং বিমান বাহিনী কীভাবে কাজ করবে তা পাকিস্তানকে ১৫ দিন আগে থেকে জানাতে হবে…এসব কি রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমান নয়?” তিনি বলেন, “কংগ্রেস কেবল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে…ভারতের উচিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা শুরু করা এবং যারা এই চুক্তি করেছে এবং কংগ্রেস পার্টি…তাদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা উচিত।” এখানেই থেমে থাকেননি নিশিকান্ত। তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে ১৯৬৮ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার কচ্ছ এলাকায় ৮২৮ বর্গিকিমি পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছিল।  বিজেপি সাসংদ বলেন, ‘‘গোটা সংসদ বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক সালিশিসভার কাছে মাথা নত করে ভারতের ‘আয়রন লেডি’ পাকিস্তানকে গুজরাটের কচ্ছ প্রণালীর থেকে ৮২৮ বর্গ কিমি ভূমি পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এটা পরিষ্কার যে, কংগ্রেস সর্বদা পাকিস্তানের পক্ষে।’’

    ভারত-পাক চুক্তি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ৬ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত (Nishikant Dubey) হয়েছিল সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচলের অগ্রিম নোটিশ সম্পর্কিত চুক্তিটি। এই চুক্তির (Indo Pak Military Pact) লক্ষ্য ছিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা এবং দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বা অনিচ্ছাকৃত উত্তেজনার ঝুঁকি হ্রাস করা। চুক্তিটির মূল বিধান ছিল, উভয় দেশ সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া, কৌশল এবং সৈন্য চলাচল সম্পর্কে একে অপরকে পূর্বাভাস দেবে। পরিকল্পিত কার্যকলাপ শুরু হওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আদান-প্রদান করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী, আগ্রাসনের কোনও ধারণা রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে এই ধরনের সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা উচিত নয়। দুই দেশই সম্মত হয়েছিল যে প্রধান সামরিক মহড়ার কৌশলগত দিকটি অন্য দিকে পরিচালিত হবে না এবং সীমান্তের কাছাকাছি কোনও লজিস্টিক নির্মাণ করা হবে না।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য

    অপারেশন সিঁদুরের অধীনে জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে তাদের জঙ্গি পরিকাঠামোর ওপর হামলার বিষয়ে ‘অবহিত’ করেছিলেন বলে রাহুল গান্ধী যে অভিযোগ তুলেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে রাহুলের অভিযোগকে তথ্যের সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “আমরা শুরুতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করেছিলাম – এটা স্পষ্টতই অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। একে অভিযান শুরুর আগে বলে মিথ্যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তথ্যের এই সম্পূর্ণ ভুল উপস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে।” পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে (Nishikant Dubey) জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের কথা উল্লেখ করেছে বিদেশমন্ত্রক।

    পিআইবির ফ্যাক্ট চেক ইউনিটের দাবি

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক (Indo Pak Military Pact) ইউনিটও দাবি করেছে যে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তারা বলেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটি দর্শকদের বিভ্রান্ত করার জন্য বেছে বেছে সম্পাদনা করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে জানানো হয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে ইএএম অ্যাট দ্য রেট ডঃ জয়শঙ্করের উদ্ধৃতি দিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে ভারত অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে পাকিস্তানকে আগাম তথ্য দিয়েছিল। এটি মিথ্যে।”

    পিআইবির কর্তাদের বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য অভিযানের সময় একটি পরিকল্পিত বার্তার অংশ ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল এটি তুলে ধরা যে ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল জঙ্গি শিবিরগুলিকে টার্গেট করবে এবং পাকিস্তানি সামরিক কাঠামোগুলিতে হামলা এড়িয়ে চলবে (Indo Pak Military Pact), যতক্ষণ না পাকিস্তান পরিস্থিতি আরও খারাপ করে (Nishikant Dubey)।

  • ISI Agent: গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র পাক হাইকমিশন! প্রার্থী বাছাই থেকে মগজধোলাই, কীভাবে চলত?

    ISI Agent: গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র পাক হাইকমিশন! প্রার্থী বাছাই থেকে মগজধোলাই, কীভাবে চলত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচরবৃত্তির (ISI Agent) কেন্দ্র হল পাকিস্তানের হাইকমিশন, গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ভিসা অফিসার হিসেবে পাকিস্তান আদতে আইএসআই আধিকারিকদেরই নিয়োগ করে দিল্লিতে তাদের হাই কমিশনে (Pakistan High Commission)। ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্মী আহসানুর রহিম ওরফে দানিশকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করে দিল্লি। তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে যে প্রায় ২৪ জন ব্যক্তিকে পাকিস্তানের ভিসার জন্য আবেদন করিয়েছিল দানিশ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশ এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং পরবর্তীকালে ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু সে অর্থে এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক তথ্য না পাওয়া যাওয়াতে, তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    ভিসা অফিসার নয়, দানিশ ছিল আইএসআই আধিকারিক (ISI Agent)

    এক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কোনওভাবেই পাকিস্তান হাইকমিশনের (Pakistan High Commission) ভিসা অফিসার ছিল না দানিশ। আদতে সে ছিল আইএসআইয়ের ইন্সপেক্টর র‍্যাঙ্কের একজন অফিসার (ISI Agent)। জানা যায়, সে নিজের এই সমস্ত কার্যকলাপগুলি রিপোর্টিং করত তার উর্ধ্বতন আইএসআই অফিসারদের। যাদের মধ্যে একজনের নাম হচ্ছে শোয়েব। এদেশে থেকে দানিশ আইএসআইয়ের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করত। এর পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড সংগ্রহ করত। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দানিশের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছিল ইসলামাবাদ থেকে। সে ভারতের ভিসা পায় ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি। তথ্য বলছে, আইএসআইয়ের এজেন্ট দানিশের বাড়ি পাকিস্তানের নাড়োয়ালে। বর্তমানে এই স্থান পাকিস্তানের পাঞ্জাবে অবস্থিত। গত ১৩ মে দানিশকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা হয়। কারণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে সে ভারতের নাগরিকদের আইএসআই এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করছে। এরপাশাপাশি এদেশে পাকিস্তানপন্থী বিভিন্ন ইস্যুকে প্রচারও করছে সে।

    জ্যোতিদের মতো এজেন্টদের নিয়োগ করত পাক হাই কমিশনের আইএসআই আধিকারিকরা

    এই দানিশেরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল হরিয়ানার জ্যোতি মালহোত্রা। যে কিনা একজন ট্রাভেল ভ্লগার (ভিডিও ব্লগার)। এই ইউটিবারও পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করত। হরিয়ানা থেকে পুলিশ সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হাইকমিশনের একটা ইতিহাস রয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ করার। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ পাক হাইকমিশনের বিরুদ্ধে নতুন নয়। এমনটাই জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। হাইকমিশনকে ব্যবহার করেই এ দেশে এজেন্ট নিয়োগের কাজ চালিয়ে যায় তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়োগ (ISI Agent) করা এজেন্টদের পোস্টিং দেওয়া হয়।

    কাদেরকে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করত আইএসআই, কীভাবে হত মগজধোলাই?

    দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পাকিস্তান ডেস্ক পাক গুপ্তচরদের বিষয়ে যে তথ্য জোগাড় করেছে, এবং জ্যোতিকে জেরা করে যাা উঠে এসেছে, তার থেকে আইএসআই-এর মোডাস অপারান্ডি বা কার্যপদ্ধতি ফাঁস হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দানিশের মতো আইএসআই এজেন্টরা এখানে জ্যোতিদের মতো ব্লগার ও ইনফ্লুয়েন্সারদের মূূলত টার্গেট করত। প্রার্থী বাছাইয়ে জোর দেওয়া হত তিনটি বিষয়ের ওপর। যাদের টাকার প্রয়োজন, ঘুরতে ভালোবাসে এবং একা থাকে— খোঁজা চলত এমন ক্যান্ডিডেটদের। এই শর্তগুলো মিলে গেলেই টোপ ফেলা হত। যেমন প্রথমেই পাকিস্তান ঘুরে আসার আমন্ত্রণ দেওয়া হয়। সহজে ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে সেখানে থাকা-খাওয়া-ঘোরার সুবন্দোবস্ত— সবকিছু করে দেয় আইএসআই। শুধু তাই নয়। এর পর ধীরে ধীরে, তাদের বলা হয় পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে আনতে। এই ভাবে ধীরে ধীরে জাল ফেলা হয়। আটকা পড়লে, আসল খেলা শুরু হয়। বলা হয় ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের তথ্য বা ছবি সরবরাহ করতে এবং সামরিক ও কেন্দ্রীয় কর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে গোপন নথি ও তথ্য হাতাতে। আইএসআই-এর টোপ গিলে নেয় জ্যোতি। আরও অনেকের কাছে ফেলা হয়। যারা গেলে না, তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়।

    ভিসা অফিসারের মুখোশে আইএসআই অফিসারদের পাঠানো হয় হাইকমিশনে

    প্রসঙ্গত, আইএসআই (ISI Agent) এভাবেই পাক হাইকমিশনকে ব্যবহার করে। এদেশে তাদের এজেন্ট খোঁজে এবং তাদেরকে বিভিন্ন কাজও দেয়। তথ্য পাচার করার কাজে লাগায় তাদেরকে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এই সমস্ত পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ দেয় পাক সেনা। সেনা অফিসাররাই বাছাই করা আইএসআই অফিসারদের গুপ্তচর হিসেবে হাইকমিশন (Pakistan High Commission) গুলিতে পাঠায়। এখানে তারা আসে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে। তারা নিজেদের বলে ভিসা অফিসার। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের মে মাসে দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে দুজনের নাম। যারা নিজেদের পরিচয় দেয় ভিসা অফিসার কিন্তু তারা ছিল আইএসআই এজেন্ট। এ দুজনের নাম ছিল আবিদ হোসেন এবং তাহীর খান। এই দুজনকে ভারত থেকে বহিষ্কার করা হয়।

    পাক যড়যন্ত্র বুঝতে পেরে পাক হাইকমিশনে কর্মী সংখ্যা কমায় দিল্লি

    শুধু তাই নয়, ভিসার জন্য যে সমস্ত ভারতীয়রা পাকিস্তানে যেতে আবেদন করে তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ফোনের সিম কার্ডও সংগ্রহ করে আইএসআই। এগুলো বিভিন্নভাবে তারা কাজে লাগায়। ঠিক এই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের হাই কমিশনের (ISI Agent) কর্মী সংখ্যা ১৮০ থেকে ৯০ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে এরকম একটি স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল। যেখানে একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত ভিসা অফিসারের মুখোশ খোলা হয়। দেখা যায় হাইকমিশনের ওই কর্মী আসলে আইএসআই এজেন্ট।

    ২০১৬ সালেও সামনে আসে পাক হাইকমিশনের গুপ্তচরবৃত্তি

    ২০১৬ সালের একই ঘটনা ঘটে। যেখানে দিল্লি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও এক আইএসআই এজেন্টে। জানা যায়, তার নাম ছিল মেহমুদ আক্তার। ঘটনা ক্রমে, সেও ছিল হাইকমিশনের কর্মী। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে প্রতিটি দেশই নিজেদের হাইকমিশনে বেশ কিছু কূটনৈতিক রক্ষাকবচ পায়। এটাকে ব্যবহার করেই দিল্লির হাইকমিশনকে আইএসআই-এর হাব বানিয়েছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে এই আক্তারকে আইএসআই নিয়োগ করে ২০১৩ সালে এবং হাইকমিশনের কর্মী হিসেবে তখনই পাঠায়।

  • Monsoon in Kerala: ১৬ বছরে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি! বর্ষা ঢুকে পড়ল কেরলে, বাংলাতে কবে প্রবেশ?

    Monsoon in Kerala: ১৬ বছরে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি! বর্ষা ঢুকে পড়ল কেরলে, বাংলাতে কবে প্রবেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা ঢুকে গেল দেশের মূল ভূখণ্ডে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আট দিন আগেই কেরলে বর্ষা (Monsoon in Kerala) প্রবেশ করল শনিবার। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ১৬ বছরে এত তাড়াতাড়ি দেশে বর্ষার আগমন হয়নি। ২০০৯ সালের পর এই বছরই নির্ধারিত সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল দেশে। কেরলে বর্ষা তার স্বাভাবিক আসার তারিখ ১ জুনের চেয়ে ৮ দিন আগেই এসে পৌঁছেছে। ১৬ বছরের পরিসংখ্যানও প্রকাশ করা হয়েছে।

    কোন বছরে কবে বর্ষার প্রবেশ

    গত বছর কেরলে বর্ষা (Monsoon in Kerala) এসেছিল ৩০ মে। ২০২৩ সালে ৮ জুন দক্ষিণের এই রাজ্যে প্রবেশ করেছিল দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। এছাড়াও আইএমডি-র তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ২৯ মে, ২০২১ সালের ৩ জুন, ২০২০ সালের ১ জুন, ২০১৯ সালের ৮ জুন এবং ২০১৮ সালের ২৯ মে কেরলে বর্ষা ঢুকেছিল। কেরলে বর্ষার সবচেয়ে তাড়াতাড়ি প্রবেশের নজির তৈরি হয়েছিল ১৯১৮ সালে। সে বছর ১১ মে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা ঢুকে পড়েছিল কেরলে। এ ছাড়া, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে দেরি করে কেরলে বর্ষা প্রবেশের নজির রয়েছে ১৯৭২ সালে। সে বছর বর্ষা এসেছিল ১৮ জুন। শনিবার কেরল, কর্নাটকের দক্ষিণ অংশ এবং গোয়ার কিছু অংশে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৯ মে পর্যন্ত কেরল এবং কর্নাটকের উপকূলে বর্ষণ চলবে। সঙ্গে থাকতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও।

    বাংলায় কবে বর্ষার প্রবেশ

    কেরলে বর্ষা (Monsoon in Kerala) ঢুকে পড়লেও পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগাম প্রবেশের সম্ভাবনা আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কেরলে আগাম বর্ষা প্রবেশ করলে বাংলার ক্ষেত্রেও তা হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের আনুষ্ঠানিক সময় ১০ জুন। আপাতত বঙ্গোপসাগরের উপরে নিম্নচাপের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তার প্রভাবেই শনিবার সকাল থেকে শহর কলকাতার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা। বেলা বারোটা থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার ফলে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভিজতে পারে কলকাতাও। বর্ষার আগমন সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে আসে। বিশেষ করে কৃষিক্ষেত্রে, যা ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সময়মতো বৃষ্টিপাত ভূগর্ভস্থ জলের স্তর উন্নত করে, জলাশয় ভরাট করে এবং ধান, ডাল, তৈলবীজ, তুলা এবং শাকসবজির মতো খরিফ ফসলের আগাম বপনে সহায়তা করে। এই সবকিছুই খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ আয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

  • Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে মিলেছে বড়সড় সাফল্য। খতম হয়েছে তাদের শীর্ষ নেতা বাসবরাজু। দেশের ভিতরে উগ্র বামপন্থাকে (Communist) এমন যোগ্য জবাব দেওয়ার পরে সেনা জওয়ানরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সামনে এসেছে সেই ভিডিও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বামপন্থী দলগুলির অবস্থান তা একবার ফের তাদের দেশদ্রোহিতার মুখোশকেই উন্মোচন করল। সিপিআই ও সিপিএমের মতো দলগুলির বিবৃতিতেই স্পষ্ট যে তার ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ জাতীয় জীবনের বিরোধী।

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী। মাওবাদী দমন অভিযানের পরেও তাদের বিবৃতিতেও স্পষ্ট হয়ে উঠল যে তারা এখনও পর্যন্ত ভারতীয় হয়ে উঠতে পারেনি। এভাবেই তারা নিন্দা জানাল বাহিনীর গুলিতে খতম হওয়া নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর। প্রসঙ্গত, বাসবরাজু ছিলেন মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (Communist)। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সাধারণ মানুষদের হত্যা, সেনা জওয়ানদের হত্যা একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল। এই ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, সেই সিপিআই (মাওবাদী) নেতাকে যখন খতম করা হল, তখন তারই সমর্থনে এগিয়ে এল এবং নিন্দা জানাল সিপিআই ও সিপিএম।

    কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতিতে জাতীয়তা-বিরোধিতার ছায়া (Communist)

    এদের মধ্যে সিপিএম তাদের নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, অমানবিক নীতি গ্রহণ করেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সিপিআই এটাকে ‘বিচার বহির্ভূত’ পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছে। ‘‘ঠান্ডা মাথায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বদাই অধিকারের কথা বলে। খুব সত্যি কথা বলতে তারা এ নিয়ে ভন্ডামি করে। কমিউনিস্ট পার্টি অধিকারের কথা মাওবাদীদের জন্য বলে কিন্তু মাওবাদী হামলায় মৃতদের জন্য অধিকারের কথা বলে না। প্রসঙ্গত, বামপন্থীদের এমন বিবৃতি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়। এর মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে সেই শত শত জওয়ানদেরকে। যাঁরা তাঁদের নিজেদের উৎসর্গ করেন দেশের জন্য!

    ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন জওয়ান শহিদ হন, বাসবরাজু ছিল হামলার মূলচক্রী

    একথা বলা দরকার, বাসবরাজু (Basavaraju) শুধুমাত্র একজন নেতা নয়, সে ছিল অপারেশনাল হেড এবং মাস্টারমাইন্ড। ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন শহিদ হন। বাসবরাজু ছিল এই মাওবাদী হামলার মূলচক্রী। বাসবরাজুর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ের ঝিরানকাটে গণহত্যা ঘটানো হয়। সেখানেও অজস্র রাজনৈতিক নেতাকে খুন করা হয়। যদি কমিউনিস্ট নেতারা মনে করেন, বাসবরাজুকে খতম করার ঘটনা বিচার বহির্ভূত, তাহলে তারা মাওবাদী গণহত্যাকে কোন চোখে দেখেন? প্রসঙ্গত, দেশের বামপন্থী দলগুলি ভারতীয় সেনাকে লেঠেল বলেও সম্বোধন করে। কমিউনিস্ট পার্টি (Communist) কখনও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের আত্মত্যাগকে মর্যাদাও দেয় না। এভাবেই ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মর্যাদার ওপরে আঘাত করে তারা। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে কমিউনিস্টরা প্রশ্ন তুলছে। যাঁরা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করছেন, দেশের ঐক্যকে রক্ষা করছেন, অখণ্ডতাকে রক্ষা করছেন।

    নাগরিক হত্যার সময় চুপ থাকে বামপন্থী দলগুলি (Communist)

    এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে যেই রাজনৈতিক দলগুলি সংবিধানের আওতায় থেকে কাজ করছে। কিন্তু তারা সেই ধরনের কথাই বলছে যা সংবিধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারণ দেশের সংবিধানের কথা কমিউনিস্ট দলগুলির (Communist) তখনই মনে পড়ে যখন তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করতে পারে। নিরীহ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালায়। যখন নাগরিকদেরকে হত্যা করা হয় তখন সংবিধানের কথা এই বামপন্থী দলগুলোর মনে পড়ে না। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদ-লেনিনবাদ) তারা সরাসরি এই অপারেশনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছে। প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের উপস্থিতি ভারতবর্ষের অনুন্নয়নের একটি বড় কারণ।

    অনুন্নয়নকে কাজে লাগায় মাওবাদীরা

    দেখা যাচ্ছে, সড়কের অভাব, রেল যোগাযোগের অভাব, অনুন্নয়ন- এইগুলোই বেকারত্ব বাড়ায় যা মাওবাদীরা ব্যবহার করে। এভাবেই নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে কাজে লাগায় তারা। মোদি জমানায় উন্নত হচ্ছে মাওবাদী প্রাভাবিত অঞ্চলগুলি। সেখানে পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছে তাই মাওবাদীরা। বাসবরাজুর মতো গুরুত্বপূর্ণ মাওবাদী নেতাকে খতম করা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বড় মাইলস্টোন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্টে ২৭ জন মাওবাদীকে খতম করা গিয়েছে। সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।

  • Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    Illegal Bangladeshi: ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে ঢাকাকে ফের বলল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে যে বিপুলসংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর সুবিধার্থে নাগরিকত্বের পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া যেন দ্রুত শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবার ঢাকাকে এই কথা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণদীপ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘যে সমস্ত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক হোক বা অন্য কোনও দেশের, আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে, যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশের সরকারকে ইতিমধ্যে তাদের জাতীয় নাগরিকত্ব যাচাই করতে বলেছি।’’ রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতের কাছে ২৩৬০ জনেরও বেশি অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা রয়েছে। যাদের ফেরত পাঠানো প্রয়োজন। জানা গিয়েছে এই বিপুল সংখ্যার মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জেলেও রয়েছে।

    অবৈধ বাংলাদেশিরা গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, অবৈধ বাংলাদেশিরা (Illegal Bangladeshi) গোপনে এবং সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। কোনও রকমের বৈধ নথি ছাড়া। যার ফলে এ দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার, ১২১ অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাদেরকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এরা সকলে ৮৩১ জনের একটি গোষ্ঠীর অংশ, যারা সাম্প্রতিককালে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। এদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  এর আগে,  মে মাসে শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমের দক্ষিণ সালমারা জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে কমপক্ষে পাঁচ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন তাদেরকে আবার বাংলাদেশ ফেরত পাঠায়।

    দেশজুড়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান

    এপ্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশে তাঁত শিল্পের পতনের কারণে বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ভারতে প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘‘বিগত কয়েক মাসে আমরা এক হাজার বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছি। অসমে গ্রেফতার করার পরেই তাদেরকে আবার পুনরায় দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে দিল্লিতে ও পুলিশ প্রশাসন অভিযানে নামে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় জন বাংলাদেশি (Illegal Bangladeshi) মহিলাকে আটক করা হয়। এছাড়া গুজরাটেও একই ধরনের অভিযান চালানো হয় এবং সেখানে ১০০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

  • SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    SwaRail: রেল আনছে ‘স্বরেল’! টিকিট বুকিং থেকে ট্রেনের তালিকা এক অ্যাপেই মিলবে সব পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রেলওয়ে (Indian Railways) অ্যাপ চালু করল ভারতীয় রেলওয়ে। যাত্রী পরিষেবাকে আধুনিক এবং সহজতর করে তুলতেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। অ্যাপের নাম দেওয়া হয়েছে স্বরেল (SwaRail App)। ভারতীয় রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগে বেশ কিছু পরিষেবা আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট, ইউটিএস ইত্যাদি অ্যাপে পাওয়া যেত। এবার থেকে স্বরেল অ্যাপে এই সমস্ত পরিষেবা একজায়গাতেই পাওয়া যাবে। খুব শীঘ্রই এই অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে বলে জানিয়েছে রেল।

    স্বরেল অ্যাপের (SwaRail App)-এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স

    ১. সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সেন্টার (CRIS) এই অ্যাপ ডেভেলপ করেছে। সমস্ত ধরনের রেল যাত্রীরাই এই অ্যাপের সহায়তা পাবেন।

    ২. ট্রেনের তালিকা, সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত টিকিট কাটা যাবে এই অ্যাপেই। SwaRail অ্যাপের My Bookings সেকশনে গিয়ে পূর্বের ভ্রমণের ইতিহাসও দেখা যাবে।

    ৩. অ্যাপে রয়েছে একটি সিঙ্গল-অন-সিস্টেম। একসঙ্গে অজস্র ফিচার্সের সুবিধে রয়েছে অ্যাপটিতে। আইআরসিটিসির লগ ইন তথ্য দিয়ে এই অ্যাপে লগ ইন করা যাবে।

    ৪. ট্রেনের সমস্ত তথ্যই এই অ্যাপে দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে রেল। ট্রেন যদি দেরি করে তাহলে সেই তথ্যও মিলবে এখানে।

    ৫. ট্রেনে ওঠার সময় যাত্রীর কোচ কোনদিকে তাও দেখিয়ে দেবে এই অ্যাপ। এর ফলে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৬. এর পাশাপাশি ট্রেন (Indian Railways) সফরে থাকাকালীন নির্দিষ্ট ভেন্ডরের থেকে খাবার অর্ডার করা যাবে এই অ্যাপ থেকেই।

    ৭. অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স হিসেবে এই অ্যাপে রয়েছে রেল মদদ এর সাহায্যে রেল সফরকালীন যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে।

    ৮. অ্যাপে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল আর-ওয়ালেটের সুবিধাও। বাতিল যাত্রা, বাতিল টিকিটের রিফান্ড চাইলে এখান থেকেই মিলবে টাকা। এই ওয়ালেট দিয়ে টিকিটও বুক করা যাবে।

    ৯. জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ভাষায় দেখা যাবে এই অ্যাপের ইন্টারফেস। ফলে ভাষাজনিত সমস্যাও দূর হবে।

  • National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    National Herald Case: সোনিয়া-রাহুলের অনুরোধে তাঁদের সংস্থায় মোটা অঙ্কের অনুদান কংগ্রেস নেতাদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্ত (National Herald Case) করতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল ইডির (ED) হাতে। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর অনুরোধে তাঁদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।

    লাখ লাখ টাকা অনুদান (National Herald Case)

    ইডির দাবি, রাহুল গান্ধীর সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ান্সে গান্ধীদের অনুরোধেই লাখ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। এই ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থাটিই বর্তমানে ন্যাশনাল হেরাল্ড চালায়। এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া। বাকি দুই শেয়ার হোল্ডার হলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা অস্কার ফার্নান্ডেজ এবং মতিলাল ভোরা। এই সংস্থাই ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ এবং নবজীবন – এই তিনটি সংবাদপত্র অধিগ্রহণ করে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কাছ থেকে। ইডির দাবি, ঘুরপথে মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছে গান্ধীদের পরিচালিত ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারি

    আদালতে ইডির অভিযোগ, সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ১৪২ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ৭৫১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার আগে পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন সোনিয়া, রাহুল। ইডির দাবি, সংস্থাটি (National Herald Case) যাতে আড়ে-বহরে বেড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করতে রাহুল ও সোনিয়া বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের ওই সংস্থায় অনুদান দেওয়ার অনুরোধ জানান। গান্ধী পরিবারকে খুশি করতে বিভিন্ন রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা লাখ লাখ টাকা অনুদান দেন। এই তালিকায় রয়েছেন কর্নাটকের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, তেলঙ্গনার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের নেতা। ছোটবড় বহু কংগ্রেস নেতা গান্ধী পরিবারের ওই সংস্থায় মোটা টাকা অনুদান দেন। ২০২২ সালেও ওই সংস্থা বিপুল পরিমাণ অনুদান পেয়েছিল। ইডি (ED) এমনতর দাবি করলেও, এ ব্যাপারে অবশ্য কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি (National Herald Case)।

  • IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় তরতরিয়ে চড়ছে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারা। ব্রিটেনকে ষষ্ঠস্থানে ঠেলে দিয়ে বছর দুয়েক আগেই ভারত (India) দখল করেছিল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির পঞ্চম স্থানটি। এই স্থানটিতে দীর্ঘদিন ধরে ছিল রাজার দেশ। ২০১৪ সালে (IMF) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্রিটেনকে সরিয়ে পঞ্চম স্থানে চলে আসে মোদির ভারত। তারপরেই চতুর্থ স্থানে থাকা জাপানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে  ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (আইএমএফ) দাবি, চলতি বছরই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চতুর্থ স্থানে চলে আসবে ভারত।

    আইএমএফের প্রতিবেদন (IMF)

    আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর ভারতের নমিনাল জিডিপি পৌঁছবে ৪,১৮৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এটি থাকবে জাপানের নমিনাল জিডিপি ৪,১৮৬.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য ওপরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডারের (IMF) পূর্বাভাস, ভারত আগামী দু’বছর ধরে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে সব চেয়ে দ্রুতগতিতে বিকাশমান দেশ হিসেবে থাকবে। উল্টে দিকে, জাপানে ২০২৫ ও ২০২৬ – এই দুই বছরেই মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে মন্দার প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বৈশ্বিক বাণিজ্যের মন্দা তাদের রফতানি নির্ভর অর্থনীতিতে চাপ ফেলছে। ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক গতি সম্ভবত তাকে গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরে তুলে নিয়ে যাবে।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৫,৫৮৪.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা তাকে জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ করে তুলবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানি বর্তমানে চলা বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে ইউরোপের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তগুলির একটি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২৫ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধি শূন্য থাকবে এবং ২০২৬ সালে সামান্য উন্নতি করে ০.৯ শতাংশ হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে জার্মানির জিডিপি ৫,২৫১.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ৩০,৫০৭.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আনুমানিক জিডিপি নিয়ে (IMF) বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখবে। চিন থাকবে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তার জিডিপি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে ১৯,২৩১.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার জানিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের এক তরঙ্গ শুরু করেছে। তাই তাদের অর্থনীতিতে মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির হার ১.৮ শতাংশে এবং ২০২৬ সালে ১.৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে (India)।

    মন্থর প্রবৃদ্ধি!

    ইউরোজোন এলাকায়ও মন্থর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ১.২ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রবৃদ্ধি আগামী দুবছরে যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস (IMF)। স্পেন তার অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে তার প্রবৃদ্ধির হার হবে ২.৫ শতাংশ। তবে ২০২৬ সালে এটি হ্রাস পেয়ে ১.৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ এবং ১.৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    আইএমএফের রিপোর্টে আর্থিক বৃদ্ধির হার 

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২.১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৩ লাখ কোটি ডলার। গত ১০ বছরে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৫ শতাংশ। কিন্তু জাপানের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বর্তমানে বিশ্বে অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত (IMF)। শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে চিন, জার্মানি এবং জাপান। এই বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৫ সালেই জাপানকে পিছনে ফেলে দেবে নরেন্দ্র মোদির ভারত। শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালে জার্মানির অর্থনীতিকে টপকে যাওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা (India)। ডব্লিউইও-এর এপ্রিল ২০২৫ সংস্ককরণ বলছে, জানুয়ারি ২০২৫ সালের আপডেটের তুলনায় একটি নিম্নমুখী সংশোধন দেখানো হয়েছে। এটি বর্ধিত বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা ও ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রভাব প্রতিফলিত করে। এদিকে, আইএমএফ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

    শুল্কযুদ্ধের মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য জাপানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা জাপানের জন্য তার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। ২০২৫ সালের পূর্বাভাস জানুয়ারিতে ১.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করেছে। এই হ্রাস অর্থনৈতিক (India) কর্মদক্ষতার ওপর মার্কিন শুল্কের প্রত্যাশিত নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (IMF)।

LinkedIn
Share