Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Delhi Blast: ‘বিরিয়ানি’, ‘দাওয়াত’, ‘ম্যাডাম এক্স’, জঙ্গিদের ব্যবহার করা এসব শব্দের মানে জানেন?

    Delhi Blast: ‘বিরিয়ানি’, ‘দাওয়াত’, ‘ম্যাডাম এক্স’, জঙ্গিদের ব্যবহার করা এসব শব্দের মানে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য তৈরি থাকুন।” এই আপাত নিরীহ বাক্যটির নেপথেই ছিল বড়সড় অঘটনের সংকেত (Terror Module)। আজ্ঞে, হ্যাঁ। দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের অদূরে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) আগে আগে এহেন সাংকেতিক ভাষাই ব্যবহার করত জঙ্গিরা।

    আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা (Delhi Blast)

    ১০ নভেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ১৩ জন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমেই জঙ্গিদের ভাষা বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের পর ভারতে ‘হোয়াইট কলার মডেলে’র নানা কাজকর্মের কথা প্রকাশ্যে আসে। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, দেশ-বিদেশের জঙ্গি সংগঠন, মায় নিজেদের মধ্যেই বা কীভাবে যোগাযোগ রাখত এই জঙ্গি মডিউলের সদস্যরা? জানা গিয়েছিল, ‘সিগন্যাল’ নামের একটি অ্যাপের কথা।

    সিগন্যাল অ্যাপে চলত কথাবার্তা

    দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তিন চিকিৎসককে। তাদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সিগন্যাল অ্যাপে তৈরি একটি গ্রুপের মাধ্যমে চলত জইশ-ই-মহম্মদের ফিদায়েঁ মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ। ওই গ্রুপে যুক্ত ছিল বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী উমর-সহ ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথর এবং শাহিন শাহিদ। এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল আদিলের ভাই তথা জঙ্গি মডিউলের চাঁই মুজাফ্ফর রাথের। জানা গিয়েছে, এই গ্রুপেই উমর জানাত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারোক্সাইড-সহ (TATP) অন্যান্য রাসায়নিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। কোন রাসায়নিক কোথা থেকে কেনা হয়েছে, পরিমাণই বা কত, এর পর কী করা হবে, সেসব ব্যাপারেই কথাবার্তা উমরের সঙ্গে চলত এই গ্রুপের মাধ্যমেই (Terror Module)।

    বিরিয়ানি, দাওয়াত…

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলটি সাধারণ খাবারের নাম ব্যবহার করে নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে জঙ্গি কাজ-কারবার চালাত (Delhi Blast)। সূত্রের খবর, মুজামিল শাকিল, উমা উন নবি, শাহিন শাহিদ এবং আদিল আহমেদ রাথেরের সমন্বয়ে গঠিত জঙ্গি মডিউলটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড অ্যাপ টেলিগ্রামে যোগাযাগের জন্য বিরিয়ানি, দাওয়াতের মতো সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করত। সূত্রের খবর, ‘বিরিয়ানি’ বলতে বোঝানো হত ‘বিস্ফোরক পদার্থ’, ‘দাওয়াত’ বলতে বোঝানো হয়েছিল ‘একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে’। তদন্তকারীরা জানান, জঙ্গি হামলার বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পর তারা টেলিগ্রামে যে বার্তাটি শেয়ার করেছিল, সেটি হল, “বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য তৈরি থাকুন।”

    সূত্রের খবর, এই হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের মূল পরিকল্পনাকারী ইমাম ইরফান আহমেদ জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, সে-ই চিকিৎসকদের মৌলবাদী করে ঠেলে দিয়েছিল সন্ত্রাসের পথে। ২০২০ সালে সে ছেলের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় উমা উন নবির। এই নবি-ই পরবর্তীকালে লালকেল্লা বিস্ফোরণের ‘সুইসাইড বম্বার’ হিসেবে চিহ্নিত হয় (Delhi Blast)। এই গ্রুপে শাহিন পরিচিত ছিল ‘ম্যাডাম সার্জন’ নামে। তদন্তকারীরা এর পাশাপাশি ‘ম্যাডাম এক্স’ এবং ‘ম্যাডাম জেড’ নামে অজ্ঞাতপরিচয় দুই মহিলার নামও পেয়েছেন (Terror Module)। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও ছিল শাহিনের (Delhi Blast)।

  • White Collar Terror Module: ডক্টর্স টেরর মডিউল! গোয়েন্দা-নজরে পাকিস্তান–বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস করা কাশ্মীরিরা

    White Collar Terror Module: ডক্টর্স টেরর মডিউল! গোয়েন্দা-নজরে পাকিস্তান–বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস করা কাশ্মীরিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু–কাশ্মীরসহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি গত ২০ বছরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করা কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। সম্প্রতি “হোয়াইট কলার” সন্ত্রাস মডিউলে (White Collar Terror Module) উচ্চশিক্ষিতদের জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসক। উল্লেখ্য, ২০০০ সালের শুরুর দিকে শত শত কাশ্মীরি ছাত্র চিকিৎসাশিক্ষার জন্য পাকিস্তানে যান। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেকেই বাংলাদেশকে গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই পুরো গোষ্ঠীর বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন, যাতায়াতের ইতিহাস ও সীমান্ত–পার যোগাযোগ এখন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সন্ত্রাসে অর্থসাহায্য নিয়ে উদ্বেগ

    ইতিহাস বলছে, পাকিস্তান–ভিত্তিক কিছু সংগঠন চিকিৎসাশিক্ষার জন্য কাশ্মীরি ছাত্রদের সাহায্য করত। মেধাবী-প্রতিভাবান তরুণদের পাকিস্তানে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিত, এই সংগঠনগুলি। প্রসঙ্গত, ওই ছাত্রদের ভর্তি কার্যক্রমে সহায়তা করত যে সংগঠনগুলি, তাদের পরে সন্ত্রাসে অর্থসাহায্যের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ অবৈধভাবে চালানো হত। পরে তাদের মগজধোলাই করে সন্ত্রাস সৃষ্টিতে ব্যবহার করা হত। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা অনেক চিকিৎসক ভারতে ডিগ্রি স্বীকৃতি ও বাধ্যতামূলক স্ক্রিনিং পরীক্ষায় সমস্যায় পড়েন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির দাবি, খুব কম সংখ্যক ব্যক্তি লস্কর-ই-তৈবা বা হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। অধিকাংশই সাধারণভাবে চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত হন বা বিদেশে চলে যান। তা সত্ত্বেও, যাদের ভ্রমণ, অর্থের উৎস বা যোগাযোগের ধরন সন্দেহজনক, তাদের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

    বাংলাদেশ জনপ্রিয় বিকল্পে পরিণত

    পাকিস্তানে শিক্ষিত চিকিৎসকদের ওপর নজরদারি বাড়ায় গত এক দশকে বহু কাশ্মীরি ছাত্র বাংলাদেশে চিকিৎসাশিক্ষায় ভর্তি হন। ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে তারা তুলনামূলক কম খরচে ও নিশ্চিত ভর্তির সুযোগে আকৃষ্ট হন। যদিও বাংলাদেশকে এক বছর আগেও ভারতে নিরাপত্তার ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখা হত না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ ভারতের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিল। গত বছর হাসিনা পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধিতা বাড়ে। তদন্তকারীরা বলছেন—কিছু ক্ষেত্রে কাশ্মীর থেকে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে ডাক্তারিতে ছাত্র ভর্তির জন্য এজেন্টরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সমান্তরালভাবে কাজ করেছিল। এক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের পরিষ্কার ব্যাখ্যাও মেলেনি।

    পাকিস্তানে বারবার ভ্রমণ

    কিছু শিক্ষার্থীর পাকিস্তান কিংবা উপসাগরীয় দেশে অযৌক্তিক ভ্রমণও প্রশ্ন তুলেছে গোয়েন্দা মহলে। সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসকের “হোয়াইট কলার” সন্ত্রাস চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারের পর তদন্ত আরও জোরদার হয়েছে। এই মডিউলে সমাজে পরিচিত, শিক্ষিত মানুষদের ব্যবহার করে অর্থ ও বার্তা আদান–প্রদান এবং লজিস্টিক সহায়তার কাজ করা হত বলে তদন্তকারীদের দাবি। বিদেশে চিকিৎসাশিক্ষার সঙ্গে অর্থের উৎস, ভর্তির প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য অপব্যবহারের সংযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    বিদ্যা-বুদ্ধি থাকার পরও কেন সন্ত্রাসের পথে

    দিল্লির লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে হরিয়ানার আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে তাঁদের মধ্যে নির্দোষদের মুক্তিও দিল এনআইএ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে তাঁদের কোনও নির্দিষ্ট যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানুষের কাছে ঈশ্বরের সমান, চিকিৎসকদের অগ্রভাগে রেখে দেশে যে সন্ত্রাসের জাল বোনা হয়েছিল, তাকে ‘হোয়াইট কলার টেরর মডিউল’ বলে উল্লেখ করছেন তদন্তকারীরা। চিকিৎসকদের ‘ভগবান’ বলা হয়, কারণ তাদের হাতে নির্ভর করে জীবন-মৃত্যু। কারোর জীবনে যেখানে ‘ঈশ্বর’ হয়ে ওঠেন কোনও চিকিৎসক, সেখানেই আজ চিকিৎসকই ‘শয়তান’! কারণ দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে  ১০ নভেম্বর যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, তার পিছনে হাত ছিল চিকিৎসকদেরই। বিস্ফোরণের সময় গাড়িতে ছিলেন ডঃ উমর। বিস্ফোরক উদ্ধার হয় আরেক চিকিৎসক, মুজাম্মিলের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে। নাম উঠে এসেছে ডঃ শাহিন নামক আরেক মহিলা চিকিৎসকের, যিনি ভারতে জইশের (Jaish-e-Muhammad) মহিলা শাখার প্রধান। দিল্লির এই বিস্ফোরণ চোখ খুলে দিয়েছে গোয়েন্দাদের যে সন্ত্রাস শুধুমাত্র সমাজের নিম্নস্তরের বা গরিব যুবদের মগজ ধোলাই করেই চালানো হয় না, বরং অতি উচ্চ-শিক্ষিতরাও সন্ত্রাসে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত দিচ্ছেন।

    শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ ডাটাবেস তৈরি করে তদন্ত

    জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ, এনআইএ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানে এবং ২০১০ সালের পর বাংলাদেশে চিকিৎসাশিক্ষা নিতে যাওয়া সব কাশ্মীরি শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেস তৈরি করছে। তাদের শিক্ষার অর্থায়ন কীভাবে হয়েছে, ভর্তি করাতে কে সাহায্য করেছে, পরিবারের সঙ্গে সীমান্তের ওপারে কোনও সংযোগ ছিল কিনা, দেশে ফিরে তারা কী ধরনের কাজ করছেন—এসবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাদের অস্বীকৃত ক্লিনিক চালানো বা বারবার স্ক্রিনিং পরীক্ষায় ব্যর্থতার মতো তথ্য রয়েছে, তাদের নাম বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে, বলে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট অঞ্চলে মেডিক্যাল ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর যাচাইয়ের প্রয়োজন হবে কিনা, সেটিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

  • Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    Sheikh Hasina: ‘‘ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে’’, মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন হাসিনা-পুত্র সজীব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানালেন বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) ছেলে সজীব ওয়াজেদ। তিনি বলেন, “গত বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে আমার মায়ের ওপর চালানো হত্যার চেষ্টা প্রতিরোধে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।” এর পাশাপাশি তিনি ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং যে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর মায়ের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেন। ওয়াজেদ থাকেন আমেরিকায়।

    ওয়াজেদের অভিযোগ (Sheikh Hasina)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরা আইনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে, বিচারকদের বরখাস্ত করছে এবং শেখ হাসিনাকে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে।” হাসিনা-পুত্র বলেন, “ভারত সব সময়ই আমাদের ভালো বন্ধু। সঙ্কটের সময়ে ভারত আমার মায়ের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তিনি যদি বাংলাদেশ না ছাড়তেন, জঙ্গিরা তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের কাছে চির কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।”

    হাসিনার প্রত্যর্পণ

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দেশান্তরী প্রধানমন্ত্রীর ছেলের এহেন বার্তা এমন একটা সময়ে এল, যখন ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হাসিনাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। আদালতের এই রায়ে বাংলাদেশে যেমন খুশির হাওয়া দেখা গিয়েছে, তেমনি সঞ্চার করেছে ব্যাপক ক্ষোভেরও। বাংলাদেশের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনার প্রত্যর্পণ চাওয়ার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ওয়াজেদের অভিযোগ, নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ধাপে আইনি প্রক্রিয়াকে বঞ্চিত করেছে। তিনি বলেন, “প্রত্যর্পণ ঘটতে হলে বিচার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা উচিত। বাংলাদেশে বর্তমানে যে সরকার রয়েছে, তা অনির্বাচিত, অসাংবিধানিক এবং বেআইনি (PM Modi)। আমার মাকে দোষী সাব্যস্ত করতে তারা আইন সংশোধন করেছে, যাতে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা যায়। তাই এই আইনগুলিও বেআইনিভাবে সংশোধন করা হয়েছে। আমার মাকে তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের (Sheikh Hasina) আইনজীবী নিয়োগ করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তাঁর আইনজীবীদের আদালতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”

    হাসিনা-পুত্রের দাবি

    হাসিনা-পুত্রের দাবি, ট্রাইব্যুনালের গঠনই এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে পূর্বনির্ধারিত রায় নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, “বিচারের আগে আদালত থেকে সতেরোজন বিচারককে বরখাস্ত করা হয়েছিল। নিয়োগ করা হয়েছিল নতুন বিচারকদের। এঁদের মধ্যে আবার কয়েকজনের বিচারকের আসনে বসে কাজ করার কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। এঁরা ছিলেন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তাই সেখানে কোনওরকম যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। অথচ কাউকে প্রত্যর্পণ করতে যথাযথ প্রক্রিয়া থাকা বাধ্যতামূলক।”

    প্রসঙ্গত, ট্রাইবুনালকে পক্ষপাতদুষ্ট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (Sheikh Hasina) একটি প্রক্রিয়া বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাসিনা স্বয়ং-ও। তিনি বাংলাদেশছাড়া হওয়ার পর ক্ষমতার রশি যায় ইউনূসের হাতে। তারপর থেকে হাসিনার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের হয়েছে একের পর এক মামলা। সেই সব মামলার বিচার হয় ট্রাইব্যুনালে। হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত (PM Modi)।

  • Al Falah University: ‘জঙ্গি তৈরির কারখানা’ আল ফালাহ্! গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা

    Al Falah University: ‘জঙ্গি তৈরির কারখানা’ আল ফালাহ্! গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি মডিউলের (White-Collar Terrorism Module) সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হল আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) প্রতিষ্ঠাতা জওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে। মঙ্গলবারই ইডির দীর্ঘ তল্লাশির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। ‘জঙ্গি’ ডাক্তারদের ‘আস্তানা’ আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তথা আল-ফালাহ্ গ্রুপের চেয়ারম্যান জওয়াদ সিদ্দিকিকে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA)- বা আর্থিক তছরুপ আইনের অপরাধমূলক ধারায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে পাওয়া অর্থ বিভিন্ন পথে ঘুরিয়ে ব্যক্তিগত বা পরিবার-ঘনিষ্ঠ সংস্থার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।

    জঙ্গি তৈরির কারখানা

    দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort Blast) এবং ডাক্তারদের জঙ্গি যোগের অভিযোগ উঠে আসার পরে আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন ‘জঙ্গি তৈরির কারখানা’ হিসেবেও চিহ্নিত করে থাকেন অনেকে। ১০ নভেম্বর দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার পরে প্রথম তদন্তকারীদের নজরে আসে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃতদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও না কোনও যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল। এমনকী, দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘সুইসাইড বম্বার’ উমর-উন-নবিও আল ফালাহ্-র সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডিং বা অর্থের জোগান কোথা থেকে আসছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।

    আল-ফালাহ্ ট্রাস্ট এবং অন্যান্য সংস্থার ভূমিকা

    ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আর্থিক তছরূপ, ভুঁইফোড় সংস্থা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পুরো ঘটনায় আল-ফালাহ্ ট্রাস্ট এবং অন্যান্য সংস্থার ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত কমপক্ষে নয়টি ভুয়ো কোম্পানি, যাদের সবগুলিই একই ঠিকানায় নিবন্ধিত, ইডির তদন্তের আওতায় রয়েছে। মঙ্গলবার সারাদিন এই সূত্র ধরে কমপক্ষে ২৫টি জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। দিল্লির ওখলাতেও চালানো হয় অভিযান। নিরাপত্তার জন্য ঘিরে রাখে পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনী। উদ্ধার করা হয় নগদ ৪৮ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টের নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে ক্যাটারিং- অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি দেওয়া হয়েছিল জওয়াদের স্ত্রী-সন্তানের মালিকানাধীন সংস্থাগুলিকে। এদিন তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা। এছাড়া কয়েকটি শেল কোম্পানিরও সন্ধান পেয়েছে সংস্থা, যেগুলিকে অর্থ পাচারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ।

    আল-ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তার

    আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলার ধৌজ এলাকায় অবস্থিত এবং এখানে একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি হাসপাতাল রয়েছে। ফরিদাবাদে স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, ১৯৯০ সালে যখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সম্প্রসারণ শুরু হয়েছিল, চ্যান্সেলর নির্বিচারে অনেক গ্রামীণ রাস্তা দখল করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি ৩০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছিল, তবে পরে আশেপাশের জমি কিনে ভবনগুলি প্রসারিত করা হয়েছিল। ৭৬ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০৯-১৩ নম্বরে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং, ১৪ নম্বরে একটি ওয়ার্কশপ, ৯ নম্বরে একটি মর্গ এবং ২৫ নম্বরে একটি হাসপাতাল ভবন রয়েছে। গার্লস হস্টেলটি ২৫ এবং ৫ নম্বরে একত্রিত করে নির্মিত হয়েছে, ছেলেদের হস্টেল এবং ডাইনিং হল ২৪-২ নম্বরে অবস্থিত। এছাড়াও, ১২৩-১১ এবং ১২ নম্বরে ডাক্তারদের জন্য একটি বহুতল আবাসিক কমপ্লেক্স, ১৯-১৯ নম্বরে অ্যানাটমি বিল্ডিং এবং ১৮-২ নম্বরে মেডিক্যাল বিল্ডিং রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সব নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছে। ডঃ উমর ও অন্যান্য অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তকারী সংস্থাগুলোর তৎপরতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছিল। তবে ডাক্তার মডিউল নিয়ে তদন্তকারী এজেন্সিগুলো পদক্ষেপ শুরু করার পরে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেয় এবং শ্রমিকরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়।

    জালিয়াতির মামলায় ধৃত আর এক ভাই

    ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের ভাইকে প্রায় ২৫ বছরের পুরনো একটি জালিয়াতির মামলায় হায়দরাবাদ থেকে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জাওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকির ছোট ভাই, অভিযুক্ত হামুদ আহমেদ সিদ্দিকি (৫০)-কে গ্রেফতারের জন্য ১০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইয়াংচেন দোলকার ভুটিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের মাহু শহরে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলায় রবিবার হামুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুয়ো বেসরকারি ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করে শত শত বাসিন্দাকে আমানত দ্বিগুণের টোপ দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে হামুদের বিরুদ্ধে। কেলেঙ্কারি ফাঁস হতেই ২০০০ সালে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পুলিশ কয়েক দশক ধরে তাঁকে খুঁজছিল। অবশেষ তাঁকেও গ্রেফতার করা হল।

    সিদ্দিকি ভাইদের উত্থান

    জানা গিয়েছে, সিদ্দিকি ভাইদের পূর্বপুরুষের বসবাস ছিল মধ্যপ্রদেশের মাউ-র (বর্তমান নাম অম্বেডকর নগর) কায়স্থ মহল্লাতে। জাভেদ এবং হামুদের বাবা মহম্মদ হাম্মাদ সিদ্দিকি সেখানে কাজি ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, নয়ের দশকের প্রথমের দিকে সিদ্দিকি পরিবার একটি ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি বা বিনিয়োগকারী সংস্থা খুলেছিল। স্থানীয় সেনা কর্মী, সেনার ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ীদের সেই সংস্থায় বিনিয়োগ করার জন্য আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা। কাজি মহম্মদ হাম্মাদ সিদ্দিকি এলাকায় সজ্জন ও সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। আর তাঁর সম্মানের কথা চিন্তা করেই অনেকে সেখানে বিনিয়োগও করেন। কিন্তু সংস্থা ডুবে যাওয়ার পরে জাওয়াদ এবং হামুদ একে অন্যকে দোষারোপ করে মধ্যপ্রদেশ ছেড়ে চলে যায়। দিল্লি বিস্ফোরণের পর ফের তাদের হদিশ মেলে।

  • Batukeshwar Dutt: বটুকেশ্বর দত্ত, এক বিস্মৃত-প্রায় বিপ্লবীর জীবন কাহিনি

    Batukeshwar Dutt: বটুকেশ্বর দত্ত, এক বিস্মৃত-প্রায় বিপ্লবীর জীবন কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল। সংসদে বোমা ছুড়লেন বিপ্লবী ভগৎ সিং এবং তাঁর সঙ্গী বটুকেশ্বর দত্ত। বোমা নিক্ষেপের সময় তাঁরা স্লোগানও দেন ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ! এবং সাম্রাজ্যের ধ্বংস!’ এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল তামাম বিশ্ব। ব্রিটিশ সরকারের হাতে ধরা পড়েন এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামী। বিচারে উভয়েই দোষী সাব্যস্ত হন। ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি হয়। সাজা দেওয়া হয়েছিল বটুকেশ্বর দত্তকেও। তা সত্ত্বেও বটুকেশ্বর দত্ত ক্রমেই চলে গেলেন বিস্মৃতির আড়ালে।

    বটুকেশ্বরের পরিচিতি (Batukeshwar Dutt)

    এই বটুকেশ্বর পরিচিত ছিলেন বিকে দত্ত, বট্টু এবং মোহন নামেও। বাবার নাম গোষ্ঠ বিহারী দত্ত। ১৯১০ সালের ১৮ নভেম্বর অধুনা পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ গ্রামের ওনারিতে এক বাঙালি কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বটুকেশ্বর। কানপুরের পণ্ডিত পৃথিবীনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। চন্দ্রশেখর আজাদ ও ভগৎ সিংয়ের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বটুকেশ্বর। ১৯২৪ সালে এঁদের সঙ্গে তিনি দেখা করেছিলেন কানপুরে। বটুকেশ্বর হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের কাজ করার সময় বোমা বাঁধতে শিখেছিলেন।

    দেশপ্রেমের শেকড়

    কানপুরের স্কুলে পড়ার সময়ই দেশপ্রেমের শেকড় গেড়ে বসেছিল বটুকেশ্বরের হৃদয় মন্দিরে। তিনি গোপনে রামকৃষ্ণ মিশনের কর্মীদের দ্বারা বিতরিত ব্রিটিশ-বিরোধী লিফলেটগুলি ছাত্রদের ব্যাগে ভরে দিতেন। তিনি যখন কৈশোরে পা দেন, তখন দেশে জ্বলছে প্রতিরোধের আগুন। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ভগত সিং, সুখদেব এবং রাজগুরুকে। তাঁদের সঙ্গে ফাঁসিকাঠ শেয়ার করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বটুকেশ্বর। ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি হলেও, বটুকেশ্বরকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জেলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। ১৯৩৮ সালে তাঁকে এই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয় যে তিনি আর হিংসাত্মক কার্যকলাপে জড়াবেন না।

    যদিও রক্তে তখনও তাঁর ফুটছে স্বাধীনতা সংগ্রামের আগুন। ১৯৪২ সালে বটুকেশ্বর যোগ দেন ভারত ছাড়ো আন্দোলনে। আবারও ঠাঁই হয় জেলে। আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন বটুকেশ্বর। ভর্তি করা হয় এইমসে। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাম কিষান। জানতে চান, তাঁর শেষ ইচ্ছে কী। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বটুকেশ্বর বলেছিলেন, “আমি কেবল আমার বন্ধু ভগত সিংয়ের পাশে সমাহিত হতে চাই।” তাঁর শেষ ইচ্ছে মতো, তাঁকে সমাহিত করা হয় ভগত সিংয়ের সমাধির পাশেই।

  • Bangladesh: ডোভালের আমন্ত্রণে বুধে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

    Bangladesh: ডোভালের আমন্ত্রণে বুধে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির সাজা নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি মোতাবেক হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভারতকে চিঠি দেওয়া কথা মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। এহেন ডামাডোলের বাজারে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)। ১৯ নভেম্বর, বুধবার ভারতে আসছেন সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে খলিলুরের ভারত সফরের বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও বাংলাদেশের তরফে কিছু জানানো হয়নি আনুষ্ঠানিকভাবে।

    কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সম্মেলন (Bangladesh)

    ২০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে হবে ভারত মহাসাগরীয় এলাকার পাঁচটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই অক্টোবর মাসে খলিলুরকে নয়াদিল্লিতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ডোভাল। সেই আমন্ত্রণেই সাড়া দিয়ে দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দুই দেশের দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনার সীমা নেই। তবে, বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কিছুক্ষণের জন্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন ডোভাল ও খলিলুর। ওই বৈঠকে সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    হাসিনা সরকারের পতন

    গত বছরের ৫ অগাস্ট ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়ান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাশ যায় অন্তর্বর্তী সরকারের (NSA) হাতে। তার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ নয়। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পড়শি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও টানাপোড়েন চায় না ভারত। তবে একই সঙ্গে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকেও নিজের কথাবার্তার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন রাজনাথ। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওই মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ (Bangladesh)। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে দাবি করা হয়, রাজনাথের ওই মন্তব্য শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্মানজনক নয়। ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হচ্ছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। এহেন আবহেই ভারতে আসতে চলেছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূ্র্ণ।

    শ্যেন দৃষ্টি খলিলুরের ভারত সফরে

    বাংলাদেশের পাশাপাশি এই কনক্লেভে যোগ দেবেন মলদ্বীপ, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরাও। সূত্রের খবর, এই কনক্লেভে সমুদ্র, সীমান্ত, সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও ভারত তো বটেই, বাংলাদেশবাসীরও শ্যেন দৃষ্টি খলিলুরের ভারত সফরের দিকে (NSA)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে দুই দেশের আঞ্চলিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আবেদন ভারতের কাছে করতে পারে বাংলাদেশ। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, ডোভাল-খলিলুরের মুখোমুখি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দুই দেশের সীমান্ত নিয়ে। ভারতে এসআইআর শুরু হতেই বাংলাদেশে পালাচ্ছে অনুপ্রবেশকারীরা। সেই (Bangladesh) বিষয়টি নিয়েও হতে পারে আলোচনা। বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপও বাড়ছে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় হতে চলেছে দুই দেশের দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক।

    ‘বিমসটেক’ সম্মেলন

    প্রসঙ্গত, এর আগে তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে ‘বিমসটেক’ সম্মেলনের ফাঁকে খলিলুরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। সেই সময় অবশ্য খলিলুর ছিলেন ইউনূসের প্রতিনিধি। তখনও বাংলাদেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়নি তাঁকে (NSA)। উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ক্রমাগত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরে ধরে পুশব্যাক করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে প্রথম দিকে ব্যাপক আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এখন আর সেরকম কোনও আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। চোরাচালান নিয়েও দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বাংলাদেশি পাচারকারীদের যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা গুলি করে, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ঢাকার।

    ডামাডোলের বাজার

    এসবের মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই ভারত তিনটি সামরিক ছাউনি স্থাপন করেছে। চিকেনস নেকের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় সেনা। আবার আগামী কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন উত্তরপূর্ণ ভারতজুড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার মহড়া চলবে। যার জেরে জারি করা হয়েছে নোটাম। এই সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। এই আবহে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার (NSA) বৈঠক যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য (Bangladesh)।

  • Madvi Hidma: ২৬-এর বেশি নাশকতার মাস্টারমাইন্ড, এনকাউন্টারে নিহত মাও শীর্ষ নেতা হিডমা

    Madvi Hidma: ২৬-এর বেশি নাশকতার মাস্টারমাইন্ড, এনকাউন্টারে নিহত মাও শীর্ষ নেতা হিডমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে মাও-সন্ত্রাস দমনে ফের বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী (Security Forces)। এনকাউন্টারে নিহত মাওবাদীদের শীর্ষনেতা মাড়বী হিডমা। অন্ধ্রপ্রদেশের আলুরি সীতারামরাজু জেলায় জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিডমার (Madvi Hidma Killed)। জঙ্গল থেকে ছ’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে হিডমার দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এখনও এনকাউন্টার চলছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্যে হিডমার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাও রয়েছেন।

    সকাল থেকেই মাওবাদী দমনে অভিযান

    অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও ওড়িশা, এই তিনরাজ্যের সংযোগস্থলের কাছে, মারেডুমিলী জঙ্গলে মঙ্গলবার সকালে মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামে পুলিশ। সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলাকালীনই হিডমা মারা যায় বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হিডমা ওরফে সন্তোষ, তার স্ত্রী এবং আরও চার মাওবাদী ছত্তিশগড় থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু জঙ্গল ঘিরে ফেলে পুলিশ। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অন্ধ্রপ্রদেশ গোয়েন্দা বিভাগের কাছে মাওবাদীদের গতিবিধি নিয়ে খবর আসছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ-ছত্তিশগড় এবং ওড়িশা সীমানার দিকে তারা এগোচ্ছে বলে জানা যায়। সেই মতো অভিযানে নেমে সাফল্য পেলাম আমরা।”

    কে ছিল হিডমা

    মাওবাদীদের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি, দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির নেতা ছিল হিডমা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মির ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রধান এই হিডমা। তার বয়স ৪০ বছর মতো। ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার জনজাতি অধ্যুষিত পুবর্তী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। নব্বইয়ের দশকে যোগ দেন মাওবাদীদের সঙ্গে। মাওবাদী ব্যাটেলিয়নের প্রধান হিসেবে মহিলা-সহ প্রায় ১৮০ থেকে ২৫০ জনের দলকে নেতৃত্ব দিতেন তিনি। কমপক্ষে ২৬টি সশস্ত্র হামলায় নেতৃত্ব দেয় সে, যাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য থেকে সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। সম্প্রতি মাল্লোজুলা বেমুগোপাল রাও ওরফে সোনু আত্মসমর্পণ করার পর থেকে হিডমার উপর নজর ছিল পুলিশের। ৫১ বছর বয়সি হিডমা নকশালপন্থীদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে গণ্য হতো। ১৯৮১ সালে ছত্তিশগড়ের সুকমায় জন্ম হিডমার। পরবর্তীতে মধ্যপ্রদেশে চলে যায় সে। ব্যাটেলিয়ন অফ দ্য পিপল’স লিবারেশন গেরিলা আর্মি-কে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, সেন্ট্রাল কমিটির কনিষ্ঠতম সদস্য হিসেবে উঠে আসে। এই কমিটি সিপিআই মাওবাদী-র সিদ্ধান্তগ্রহণের সর্বোচ্চ সংগঠন। সেন্ট্রাল কমিটিতে বাস্তার অঞ্চলের একমাত্র উপজাতি প্রতিনিধিও ছিল হিডমা। তার মাথার দাম রাখা হয়েছিল ৫০ লক্ষ টাকা।

    মাওবাদীদের কাছে জোর ধাক্কা

    একাধিক মাওবাদী হামলায় হিডমার নাম সামনে আসে। তবে তার সাম্প্রতিক কালের কোনও ছবিই নাকি পাওয়া যায় না। ভীম মাণ্ডবী খুনের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ২০১০ সালে দান্তেওয়াড়ায় যে হামলা হয়, যাতে ৭৬ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারান তার পরিকল্পনাতেও হিডমা যুক্ত ছিল। ২০১৩ সালে ঝিরগ্রাম ঘাটিতে মাওবাদী হামলায় কংগ্রেস নেতা-সহ ২৭ জন মারা যান, তাতেও নাম উঠে আসে হিডমার। ২০২১ সালে সুকমা-বিজাপুরে মাওবাদী হামলায় ২২ জন সৈনিক প্রাণ হারান, যার চক্রীও ছিল হিডমা। এমনিতেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে মাওবাদীদের। লোকজন দলে দলে আত্মসমর্পণের রাস্তাও বেছে নিচ্ছে। এই আবহে হিডমার মৃত্যু মাওবাদীদের কাছে জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের দাবি, সিপিআই (মাওবাদী) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব থেকে তরুণ সদস্য এই হিডমা।

    মাওবাদী মুক্ত ভারত

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদকে পুরোপুরি নির্মূল করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ। গত কয়েক মাসে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে আত্মসমর্পণ করেন কয়েকশো মাওবাদী। স্পষ্ট ভাষায় শাহ জানিয়েছেন, “যারা হিংসাত্যাগ করে মূল স্রোতে ফিরছেন তাঁদের স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা এখনও বন্দুক চালিয়ে যাবে তাঁদের নিরাপত্তা বাহিনীর মারণ শক্তির মুখোমুখি হতে হবে।” সম্প্রতি একাধিক মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করেছে, সেই তালিকায় রয়েছে মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও। নিজের অনুগামীদের অস্ত্র ফেলে মূলস্রোতে ফেরার ডাক দিয়েছে সে-ও। তার বার্তা ছিল, “সক্রিয় মাওবাদীদের হিংসার রাস্তা ছেড়ে আত্মসমর্পণ করা উচিত। মূলস্রোতে ফিরে মানুষের কাজ করতে হবে।” আর তার পরই এনকাউন্টারে মৃত্যু হল হিডমার।

    সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় সাফল্য

    হিডমার শেষ ঠিকানা পূর্ব গোদাবরীর ঘন ছায়াজঙ্গল। অন্ধ্র পুলিশের ডিজিপি হরিশ কুমার গুপ্তা নিশ্চিত করেছেন, বিশাল এলাকায় এখন চলছে সার্চ অ্যান্ড ক্লিয়ারেন্স অভিযান। বস্তার রেঞ্জ আইজি পি. সুন্দররাজও জানান ১৮ নভেম্বরের এই এনকাউন্টার নকশাল নেটওয়ার্কের জন্য বড় ধাক্কা। উদ্ধার হয়েছে একাধিক একে ৪৭ রাইফেল, বিপুল গোলাবারুদ। এই এনকাউন্টার নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হিডমার মৃত্যু শুধু এক কমান্ডারের মৃত্যু নয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বস্তার ও আশপাশের এলাকায় মাওবাদী কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ ভেঙে পড়ল এই এনকাউন্টারের ফলে। অভিযান সফল হওয়ায় গ্রেহাউন্ড ও অন্ধ্র পুলিশের ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র। দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এটি সাম্প্রতিক বছরগুলির সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

  • Amit Shah: ‘পাতালের তল থেকেও খুঁজে বের করব’, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    Amit Shah: ‘পাতালের তল থেকেও খুঁজে বের করব’, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের পাতাল থেকে খুঁজে বের করেও শাস্তি দেওয়া হবে। তারা পালাতে পারবে না, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। সোমবার হরিয়ানায় অনুষ্ঠিত নর্দার্ন জোনাল কাউন্সিলের ৩২তম বৈঠকে শাহ বলেন, “দিল্লি বিস্ফোরণের অপরাধীদের আমরা পাতালের তল থেকেও বের করব এবং নিশ্চিত করব যে তারা দেশের আইনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।” গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ঘটনাটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে “জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা” আখ্যা দিয়ে জানায়— দোষীদের কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।

    পুরো নেটওয়ার্ক ভাঙতে তৎপর

    সোমবার, এনআইএ এই ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে। কাশ্মীরের বাসিন্দা জাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশ-কে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণে (Delhi Blast) প্রযুক্তিগত কিছু সাহায্য চক্রান্তকারীদের যুগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। এনআইএ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে আহত প্রত্যক্ষদর্শীরাও রয়েছেন। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ, উত্তর প্রদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বৃহত্তর চক্রান্ত উদ্‌ঘাটন ও পুরো নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। এনআইএ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। জঙ্গি যোগের সূত্র মেলায় তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ তদন্ত দল। এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার এবং একাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ি ছাড়াও আরও দু’টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা।

    দিল্লি বিস্ফোরণে শাহী-বার্তা

    দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছি। এই ঘটনার নেপথ্যে জড়িত প্রত্যেক দোষীকে খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা এ বার দেখবে আমাদের সংস্থাগুলির ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শিকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।’’ উল্লেখ্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ দেশজুড়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করেছে। তদন্তে নেমে শ্রীনগর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের বেশিরভাগই কাশ্মীরের। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। একে একে সামনে আসছে দেশে ছড়িয়ে থাকা ‘হোয়াইট কলার টেরর’-এর ভয়াবহ তথ্য। এদিন শাহ বলেন, ‘‘দিল্লির এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় যেভাবে শাস্তি দেওয়া হবে, তা বিশ্বের কাছে বার্তা দেবে— ভারতে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ যেন না পায়।’’

    তদন্তে নয়া মোড়

    দিল্লির ভয়াবহ (Delhi Blast) বিস্ফোরণের তদন্তে বড়সড় মোড়। তদন্তকারী সংস্থাগুলির সন্দেহ, জইশ-যোগে আত্মঘাতী হামলাকারী ডাক্তার উমর উন নবি হয়তো ‘শু-বম্বার’ (Shoe Bomber) হিসেবেই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। ফরেন্সিক পরীক্ষার নয়া তথ্য সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। তদন্ত সূত্রের খবর, উমরের আই-২০ গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এক জুতোর ভিতরেই মিলেছে বিস্ফোরণ ঘটানোর মতো ধাতব উপাদান। গাড়ির ড্রাইভারের সিটের নীচে, ডানদিকের সামনের চাকার কাছে পড়েছিল জুতোটি। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, জুতো এবং গাড়ির টায়ার দুই জায়গাতেই মিলেছে টিএটিপি (TATP)-র চিহ্ন। অতিসংবেদনশীল এই বিস্ফোরককে দুনিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি চেনে ‘মাদার অফ স্যাটান’ নামে। বিস্ফোরক মজুত ছিল বলেই নয়, বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রথম ধাক্কা বা ইনিশিয়েশন মেকানিজম সম্ভবত জুতোর মাধ্যমেই চালানো হয়েছিল বলে সন্দেহ দানা বাঁধছে।

  • Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    Nitish Kumar Oath Ceremony: ১০ বার! বৃহস্পতির শুভক্ষণেই শপথ নেবেন নীতীশ, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমবারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumars Oath Ceremony)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন একাধিক বিশিষ্ট নেতা। বিহার বিধানসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হবে ১৯ নভেম্বর। তার পরের দিনই পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে হবে নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।

    উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী (Nitish Kumar Oath Ceremony)

    নীতীশের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই কারণে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ওই ময়দানে। জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও। সোমবার থেকেই ওই ময়দানে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। হাই-প্রোফাইল এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ময়দান। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি শপথ গ্রহণের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ স্তরের নেতা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জেপি নাড্ডা। তাঁদের উপস্থিতি বিহারে বিজেপির শক্তিশালী অবস্থানই স্পষ্ট করে। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিধানসভার ২৪৩টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ৮৯ কেন্দ্রের রাশ। তার পরেই রয়েছে নীতীশের দল। তারা পেয়েছে ৮৫টি আসন। যদিও বিজেপি এবং নীতীশের দল জেডিইউ প্রার্থী দিয়েছিল ১০১টি করে আসনে।

    আর কারা থাকবেন

    এর আগে ন’বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। টানা ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। এবার তিনি শপথ নিতে চলেছেন দশমবারের জন্য। এটি হবে বিহারের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিরল ও নজিরবিহীন মাইলফলক (Nitish Kumar Oath Ceremony)। ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি এবং এনডিএ পরিচালিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদলও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে (PM Modi) পারেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও।

    বম্ব স্কোয়াডের লোকজন

    সোমবার গান্ধী ময়দান ঘুরে দেখেন বম্ব স্কোয়াডের লোকজন। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য। প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনের পাশাপাশি মাঠে বিছানো হয়েছে সবুজ কার্পেট। অতিথিদের বসার জন্য ১ হাজার ৫০০টি সোফার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মাঠ সাজানোর জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে লরি লরি ফুল (Nitish Kumar Oath Ceremony)। এদিকে, মঙ্গলবারই বিদায়ী মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন নীতীশ। বৈঠক শেষে তাঁরা চলে যান রাজভবনে। সেখানেই ১৯ নভেম্বর বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পেশ

    এদিন নীতীশের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরিও। রাজ্যের বিদায়ী জলসম্পদ মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরি বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১৯ নভেম্বর থেকে বর্তমান বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে সেই প্রস্তাব অনুযায়ী সুপারিশও করেছেন।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী এদিন পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগ করবেন ১৯ নভেম্বর। সেদিনই রাজ্যপালের কাছে নয়া সরকার গঠনের দাবিও জানাবেন (Nitish Kumar Oath Ceremony)।

    জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন

    অতীতে বহু রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পাটনার এই গান্ধী ময়দান। তবে এনডিএ শিবিরের দাবি, অতীতের সেই সব ঘটনাকেই ছাপিয়ে যাবে নীতীশের এবারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে ময়দানে প্রস্তুত করা হচ্ছে একটি জার্মান হ্যাঙ্গার। এই বিশাল হ্যাঙ্গারে এক সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক বসতে পারবেন। হাজার তিরিশেক চেয়ারও রাখা হচ্ছে। পাটনার জেলাশাসক এসএম ত্যাগরাজন বলেন, “এটা স্পষ্ট যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এখানেই হবে। সেজন্য নেওয়া হচ্ছে যাবতীয় প্রশাসনিক প্রস্তুতি। অনুষ্ঠানটিকে ঐতিহাসিক করে তোলার জন্য প্রস্তুতি প্রায় সারা (PM Modi)।”

    কী বলছে নীতীশের দল

    সরকার গড়ার লক্ষ্যে জেডিইউয়ের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় কুমার ঝা প্রথমে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে। রবিবার তিনি দেখা করেছিলেন নীতীশের সঙ্গে। পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “কয়েক দিনের মধ্যেই নয়া সরকার গঠন করা হবে। এনডিএর ইস্তেহারে আমরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Nitish Kumar Oath Ceremony)।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীতীশের দলের এক নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এটি একটি জমকালো অনুষ্ঠান হবে। সমাগম হতে পারে (PM Modi) বিপুল দর্শকের। আমাদের দল নয়া মন্ত্রিসভায় আরও বেশি প্রতিনিধিত্বের প্রত্যাশা করছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় আমাদের দলের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র ১২ জন।”

  • India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    India Russia Relation: ভারতে আসছেন পুতিন, হবে ভারত-রাশিয়া গুচ্ছের চুক্তি সই! তার আগে গুরুদায়িত্বে জয়শঙ্কর-ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (India Russia Relation) সঙ্গে নয়া চুক্তি চূড়ান্ত করতে চলেছে নয়াদিল্লি। ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরে আসার কথা রুশ প্রেসিডেন্টের। সেই সফরেই নয়াদিল্লি একগুচ্ছ নয়া চুক্তি ও উদ্যোগ চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    পুতিনের সফর (India Russia Relation)

    তিনি পুতিনের সফরকে কেন্দ্র করে ২৩তম বার্ষিক ভারত–রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মস্কোয় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “এই বিশেষ উপলক্ষটি আমার কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি জানান, উভয় পক্ষই বহু ক্ষেত্রে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, উদ্যোগ এবং প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরা এগুলি আগামী দিনগুলিতে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। এই সব পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে আমাদের বিশেষ এবং সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ ও সুদৃঢ় করবে।” জানা গিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের আশপাশে ভারতে আসার কথা পুতিনের। এই সফরে তিনি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। গত বছর মোদি মস্কো সফর করেছিলেন বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে।

    বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করে। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই এই লক্ষ্যকে গঠনমূলকভাবে নেবে। সংঘাতের দ্রুত অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থেই।” তিনি বলেন, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীলতার একটি উপাদান হিসেবে কাজ করেছে এবং এই অংশীদারিত্বের বিকাশ দুই দেশ এবং বৃহত্তর বিশ্বের স্বার্থ পূরণ করে (India Russia Relation)।” দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করব। এই খোলামেলা আলোচনা বরাবরই আমাদের সম্পর্ককে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন সংঘাত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তানের ঘটনাবলিও।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মস্কোয় জয়শঙ্করের এই সফরটি আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক একটি পদক্ষেপ, যেখানে কৌশলগত সহযোগিতা আরও মজবুত করতে উল্লেখযোগ্য ফলের সম্ভাবনা রয়েছে (S Jaishankar)।প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার জন্য ফি বছর একটি করে বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। এখন পর্যন্ত এই ধরনের ২২টি সম্মেলন হয়েছে। রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এটি নয়াদিল্লির বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

    ডোভাল-নিকোলাই বৈঠক

    এদিকে, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সোমবার পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন (India Russia Relation)। দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সহকারী ও রাশিয়ার মেরিটাইম বোর্ডের চেয়ারম্যান নিকোলাই পাত্রুশেভ ভারতে পৌঁছেছেন। তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (S Jaishankar) অজিত ডোভাল এবং ভারতের জাতীয় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমন্বয়ক ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাসগুপ্তের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।” উল্লেখ্য যে, পাত্রুশেভের এই সফরটি এমন একটি দিনে হল, যেদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন করে বৈঠক করতে মস্কো পৌঁছেছেন।

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করছে ভারত। গত অগাস্ট মাসেই রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। গিয়েছিলেন ডোভালও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন নয়াদিল্লির মোদি এবং মস্কোর পুতিন সরকার (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর রুষ্ট ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের হুমকি উপেক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে রাজি হয়নি ভারত। ডোভাল, জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর এবং (S Jaishankar) নরেন্দ্র মোদি-পুতিনের ফোনে কথা, ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের সমালোচনা, পুতিনের ভারতে আসার সম্ভাবনা, এমন নানা বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সেই সময় যে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, তা ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ইঙ্গিত ছিল। সেই সম্পর্কই আরও মজবুত হবে পুতিনের আসন্ন ভারত সফরে (India Russia Relation)।

LinkedIn
Share