Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটালেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেজে সিং। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকার সিয়াচেন হিমবাহ তুলে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানের হাতে (Congress Treachery Exposed)। ভারতীয় সেনার ওপর আস্থা না রেখেই এহেন সংবেদনশীল একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের অভিযোগ (Congress Treachery Exposed)

    জেনারেল সিং জানান, ২০০৬ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সেই সময় ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর ভরসা করতে পারেনি সরকার। জেনারেল সিংয়ের কথা যে নিছক গল্পকথা নয়, তার প্রমাণ প্রায় একই দাবি করেছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিবও। তিনিও জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সালে দুই দেশের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দুই দেশই সিয়াচেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছিল।

    কাঠগড়ায় ইউপিএ সরকার

    নানা দিক থেকে সিয়াচেন ভারতের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ঝড়-বৃষ্টি-তুষারপাত উপেক্ষা করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। এই সিয়াচেনকে রক্ষা করতেই হয়েছিল অপারেশন ‘মেঘদূত’। সেই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন আটশোরও বেশি জওয়ান। সেই সিয়াচেনকেই পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন ইউপিএ সরকার প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের মনমোহন সিং। জানা গিয়েছে (Congress Treachery Exposed), জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার পাক জঙ্গিদের সন্ত্রাস কড়া হাতে সামলাতে ব্যর্থ মনমোহন চেয়েছিলেন সীমান্ত সমস্যায় জর্জরিত সিয়াচেনকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে ভূস্বর্গে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। এর পুরো কৃতিত্ব কংগ্রেস নেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিলেন ইউপিএর শরিক দলের নেতারা। তবে তৎকালীন সেনা প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর আধিকারিকদের তীব্র বিরোধিতায় স্বপ্ন সফল হয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউপিএ সরকারের ওই স্বপ্ন সফল হলে আর সুরক্ষিত থাকত না ভারতের সীমান্ত। কারগিল যুদ্ধের সময় পাক সেনা যেভাবে সিয়াচেন দখল করতে চেয়েছিল, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে পারত ২০০৬ সালেই। সেক্ষেত্র গোটা কাশ্মীরের রাশ চলে যেত পাকিস্তানের হাতে।

    বড় প্রশ্ন

    ভারতীয় সেনার (Congress Treachery Exposed) ভূতপূর্ব জেনারেল বলেন, “প্রশ্নটা হল, যে সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হচ্ছেন জওয়ানরা, সেই সেনাই যখন সরকারকে পিছু হটার পরামর্শ দেয়নি, তখন কীসের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিল? এরকম ক্ষেত্রে সরকারের এই জাতীয় কাজ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিস্মিত করেছিল।” তিনি বলেন, “সিয়াচেনে ভারত যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তান। কারণ হাই অলটিটিউডে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনার রয়েছে। যা তাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সেনাদের নেই।” প্রাক্তন সেনা প্রধান বলেন, “ভারত সরকার এই প্রস্তাব (সিয়াচেন হিমবাহকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া) বিবেচনা করতে শুরু করলেও, আমার সঙ্গে একবারও কথা বলেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।” তাঁর অভিযোগ, পুরু বরফের চাদরে মোড়া সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে যেসব জওয়ান প্রাণ দিয়েছেন, কংগ্রেস সেই সব শহিদদের অপমান করার চেষ্টা করেছিল।

    বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন সিয়াচেন

    মনে রাখতে হবে, বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন হল সিয়াচেন। এই হিমবাহ প্রহরায় থাকা সেনা জওয়ানদের সব চেয়ে বড় শত্রু হল প্রতিকূল আবহাওয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৫ হাজার মিটারেরও বেশি। কখনও কখনও তাপমাত্রা পৌঁছে যায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রিতে। এখানে অক্সিজেনের মাত্র সমতলের প্রায় ১০ শতাংশ। তাই ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে পৌঁছলেই কমতে থাকে ওজন। বমি হতে থাকে। খিদে থাকেই না। সিয়াচেনে প্রায়ই ঘণ্টায় একশো মাইল বেগে ঝড় ওঠে। কখনও কখনও এই ঝড় টানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কঠিন নয়, কঠিনতম। সেসব বাধা-বিপত্তি-প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই বছরভর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন দেশপ্রেমিক ভারতীয় জওয়ানরা।

    আরও পড়ুুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    সারা বছরে সিয়াচেনে বরফ পড়ে ৩০-৪০ ফুট উঁচু। মাসের পর মাস স্নান না করেই থাকেন জওয়ানরা। কারণ স্নান করলেই বিপদ। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। অক্সিজেন কম থাকায় অনেক জওয়ান হারিয়ে ফেলেন স্মৃতি। শরীরে থাবা বসায় তুষারক্ষত। এই ক্ষতের জেরে হাত-পা-আঙুল খোয়ানোর নজিরও রয়েছে। বিশেষ হেলিকপ্টারে করে এখানে থাকা সেনাদের পৌঁছে দেওয়া হয় রসদ। সেই কাজটাও করতে হয় ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে। কারণ না হলেই পাক গোলায় ধ্বংস হয়ে যাবে হেলিকপ্টারটিই।

    প্রাক্তন সেনাপ্রধান বলেন (Congress Treachery Exposed), “দেশের সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতে আত্মবলিদান দিচ্ছেন সেনারা। কিন্তু দুঃখের কথা কী জানেন, কংগ্রেস সরকার এটা ভুলে গিয়েছে। সিয়াচেনের অছিলায় ভারতের এই ভূখণ্ডটিকে পাকিস্তানকে উপহার দিতে প্রস্তুত ছিল তারা। সিয়াচেন হিমবাহ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ভেবেছিল কংগ্রেস সরকার। শান্তি ফেরাতেই এটা করতে চেয়েছিল তারা। তবে এর চেয়ে বোকা বোকা সিদ্ধান্ত আর কিছুই হতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “ভোট শুরু হতেই আম্বানি-আদানি নিয়ে চুপ কেন?” রাহুলকে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    Lok Sabha Election 2024: “ভোট শুরু হতেই আম্বানি-আদানি নিয়ে চুপ কেন?” রাহুলকে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের দুই প্রধান শিল্পপতি আম্বানি-আদানিকে নিয়ে লাগাতার বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস (Congress)। তেলঙ্গানায় নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে গিয়ে এবার সেই আম্বানি-আদানিকে নিয়েই কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যে অস্ত্রে এত দিন রাহুল গান্ধীরা তাঁকে আক্রমণ করেছেন এ বার সেই অস্ত্রের অভিমুখ সুকৌশলে ঘুরিয়ে দিলেন মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বুধবার তেলঙ্গানার একটি জনসভায় (Lok Sabha Election 2024) যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরে কংগ্রেসের শাহজাদা একটাই কথা বলেন। রাফায়েল নিয়ে যখন কিছু হয়নি, তখন নতুন মন্ত্র পড়তে শুরু করেন তিনি। ব্যবসায়ীদের নাম নিয়ে আক্রমণ করতেন। ধীরে ধীরে তিনি এখন আর আম্বানি-আদানিদের নাম নেন না। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাহুল তাঁদের নিয়ে আর কোনও কথা বলছেন না। আম্বানি এবং আদানিকে নিয়ে বাজে কথা বলাও বন্ধ করেছেন। আমি তেলঙ্গানার মাটি থেকে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করছি, শাহজাদা বলুক এই নির্বাচনে আম্বানি-আদানির কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছেন? কত বস্তা কালো টাকা পৌঁছেছে? টেম্পো ভর্তি টাকা এসেছে? কী চুক্তি হয়েছে যে রাতারাতি অম্বানী-আদানিকে গালি দেওয়া বন্ধ করে দিলেন। নিশ্চয় ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ৫ বছর ধরে গালাগালি দিয়ে হঠাৎ রাতারাতি গালি দেওয়া বন্ধ করে দিলেন,  এর অর্থ চুরির টাকা টেম্পো ভর্তি করে আপনাদের কাছে এসেছে। এর জবাব দিতেই হবে।”

    রাহুলকে নিশানা

    উল্লেখ্য, বার বার মোদি (PM Modi) সরকারের বিরুদ্ধে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতিদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সংসদেও। তা নিয়েই এবার কংগ্রেস নেতার দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির আক্রমণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানা সরকার সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ১২,৪০০ কোটির বিনিয়োগ নিয়ে মউ স্বাক্ষর করেছে। এর ফলেই কি চুপ করে গিয়েছেন রাহুল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Air India Flights: ‘অসুস্থ’ এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক কেবিন ক্রু! কর্মীসঙ্কটের জেরে বাতিল ৭০টির বেশি উড়ান

    Air India Flights: ‘অসুস্থ’ এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক কেবিন ক্রু! কর্মীসঙ্কটের জেরে বাতিল ৭০টির বেশি উড়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মীসঙ্কটের জেরে বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India Flights) এক্সপ্রেস। একসঙ্গে প্রায় ৩০০ কর্মী আচমকাই ছুটি নিয়েছেন। ফলে কর্মীসঙ্কটের জেরে বাধ্য হয়ে ৭০টির বেশি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান বাতিল (Flights Cancelled) করতে বাধ্য হয়েছে বিমান সংস্থা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যতম বিমান পরিবহণ সংস্থার এই অব্যবস্থা যাত্রীদের চরম সমস্যায় ফেলেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Air India Flights) 

    সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার শতাধিক সিনিয়র কেবিন ক্রু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে সকলেই ছুটি নিয়েছেন (Crews Mass Sick Leave)। এই খবর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তাঁরা তাঁদের মোবাইল বন্ধ করে দেন। এরপর এয়ার ইন্ডিয়া (Air India Flights) এক্সপ্রেস ম্যানেজমেন্ট ওই সিনিয়র কেবিন ক্রু-দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলে তা বিফলে যায়। একসঙ্গে এত কর্মী আচমকাই ছুটি নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবায়। বাতিল করতে হয়েছে ৭৯টির মতো বিমান।

    তবে কেন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল? 

    শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিমান সংস্থাটি। তবে সূত্রের খবর টাটা গোষ্ঠীর সংস্থাটিতে চাকরির নতুন যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদেই এই ঘটনা (Flights Cancelled)ঘটেছে। নয়া নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে কর্মীদের মধ্যে। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। তাই এই গণ অসুস্থতা বলে মনে করছেন অনেকে। 

    আরও পড়ুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    যাত্রীদের অভিযোগ

    এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বাতিল হওয়ার খবর জানিয়ে সমাজমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করছেন যাত্রীরা। 

    অনেকেরই অভিযোগ, বিমানবন্দরে এসে তাঁরা বিমান বাতিলের খবর পেয়েছেন। কেন তাঁদের আগে থেকে জানানো হল না, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন।

    এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flights) মুখপাত্র বলেন, ‘‘বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় আমাদের যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। বিমান বাতিলের কারণে সমস্যায় পড়া যাত্রীদের টিকিটের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিংবা অন্য দিন বিমানে যেতে চাইলে তার ব্যবস্থাও করা হবে।’’ তবে হঠাৎ করে ৭৯ টি উড়ান বাতিল হওয়ায় নির্দিষ্ট সময় বিমান না পেয়ে বহু যাত্রীর সমস্যা হয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা এয়ার ইন্ডিয়া (Air India Flights) এক্সপ্রেস ঘোষণা করলেও যাত্রীদের একটা বড় অংশ পুরো টিকিটের দাম ফেরত চাইছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করবে না ভারত।” বুধবার কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা শ্যাম পিত্রোদার মন্তব্যের জবাব এই ভাষায়ই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, “আমি এখন বুঝতে পেরেছি কী কারণে জাতীয় পার্টি (কংগ্রেস) প্রেসিডেন্ট পদে দ্রৌপদী মুর্মুকে রুখতে চেয়েছিল। কারণ তাঁর গায়ের রং কালো।”

    মোদির নিশানায় পিত্রোদা (Sam Pitroda)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমাদের দেশের লোকজন কী মানুষের ক্ষমতা কিংবা প্রতিভা যাচাই করবেন গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে? গায়ের রং নিয়ে খেলার অধিকার শাহজাদাকে (রাহুল) কে দিল?” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পিত্রোদা বলেছিলেন, “পূর্ব ভারতের মানুষের সঙ্গে চিনাদের সাদৃশ্য রয়েছে, আর দক্ষিণ ভারতের লোকজন আফ্রিকানদের মতো দেখতে।” কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যেই এদিন কার্যত জ্বলে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আজ আমি ভীষণ রেগে রয়েছি। আমায় যদি কেউ গালি দেয়, আমি রাগ করি না। সেটা আমি সহ্য করে নিই। কিন্তু শাহজাদার দর্শন আমায় এমন আঘাত করেছে যে, আমি এখন ভীষণ রেগে রয়েছি।”

    কী বললেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি জেনেছি, শাহজাদার ফিলোজফার এবং গাইড কাকু (পিত্রোদা) থাকেন আমেরিকায়। তিনি একটি বড় রহস্য ফাঁস করেছেন। যাঁদের গায়ের রং কালো, তাঁরা আফ্রিকা থেকে এসেছেন।” এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলেছেন পিত্রোদা। কখনও উত্তরাধিকার ট্যাক্স, কখনও আবার রাম মন্দির এবং রাম জন্মভূমি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনের মুখে এবং ভোট চলাকালীন একের পর এক ‘বালখিল্য’ মন্তব্য করায় পিত্রোদার মন্তব্য একান্তই তাঁর নিজস্ব বলে দূরত্ব রচনা করেছে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: “সুপ্রিম কোর্টে আমার নাম নিয়ে দুই গালে চড় খেয়ে এসেছে”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিকে, পিত্রোদার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা, তা বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। তাঁর মতে, পিত্রোদার এহেন মন্তব্য বর্ণবাদী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক। তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের মধ্যে (PM Modi) ঐক্য রয়েছে। তাঁরা ভারতীয়, ভারতীয়দের সঙ্গেই একাত্মতা বোধ করেন।” কংগ্রেসের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিশি’রও এদিন কড়া সমালোচনা করেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • UBS: শীঘ্রই ভারত হবে তৃতীয় সবচেয়ে বড় উপভোক্তা বাজার

    UBS: শীঘ্রই ভারত হবে তৃতীয় সবচেয়ে বড় উপভোক্তা বাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ এর মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে বড় উপভোক্তা বাজার তৈরি হবে ভারতবর্ষ (India) । জাপান ও জার্মানিকে উপভোক্তা বাজারের দৃষ্টিতে ছাপিয়ে যাবে ভারত। সম্প্রতি ইউবিএস (UBS) ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং সংস্থার রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে ভারতে ৪ কোটি অতি সমৃদ্ধ ধনী মানুষ বসবাস করেন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা আরও দ্বিগুণ হয়ে যাবে। রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে আগামী পাঁচ বছরে এই সংখ্যা ৮ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছবে। এই বৃদ্ধি দেশের ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধি এবং ব্যয় করার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে।

    ইউবিএস-এর প্রতিবেদন (UBS)

    ইউবিএস (UBS) ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ভারতের গ্রামীণ অংশে আরও উন্নতি হবে। বর্তমানে ভারতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিকাজ হওয়ায় দেশের কৃষকরা অন্য দেশে ফসল বিক্রি করতে পারছেন। যার ফলে তাঁদের আয় বেড়েছে। অন্যদিকে ঘরোয়া মার্কেটেও আগের মতন কৃষকদের ঠকানো হচ্ছে না। ফলে ঘরোয়া বাজারে যারা কৃষি পণ্য বিক্রি করছেন তাঁরাও মোদি জামানায় ভালো আছেন। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে মোদি জামানায় পেঁয়াজ রফতানি একটি ভাল সিদ্ধান্ত প্রতিপন্ন হয়েছে। অন্যদিকে কথায় কথায় বিদেশে রফতানি নিষিদ্ধ না করায় কৃষকদের এবং কৃষি পণ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদেরও অনেক লাভ হয়েছে। দেশে মুদ্রাস্ফীতি ২০২৫ সালের মধ্যে ৪.৫ শতাংশেরও নিচে চলে আসবে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য শুভ সংকেত। এর ফলে ভারতীয়দের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। মোদি জামানায় করোনা মহামারী সত্ত্বেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেনি। সাময়িক ধাক্কা খাওয়ার পরেও বাজার আবার নতুন করে স্থিতিশীল হয়েছে।

    আভ্যন্তরীণ বাজার দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি

    ইউবিএসের (UBS) দাবি ভারতের শক্তিশালী আভ্যন্তরীণ বাজার দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ভারতের বৃহৎ আভ্যন্তরীণ বাজার উৎপাদন এবং বিক্রয়ের জন্য বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল। বিশেষ করে বর্তমানে যখন বিভিন্ন কোম্পানি চিন থেকে দূরে সরে আসতে চাইছে সেখানে ভারত একটি আকর্ষণীয় বিকল্প। বর্তমানে বৈদ্যুতিন সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ভারতকে চিনের বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছে। বহু মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা বর্তমানে ভারতে তাদের কারখানা খুলেছে। ভারত সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতেও খুব অল্প সময়ে যুগান্তকারী বিপ্লব এনেছে। যা চমকে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। যদিও ভারতকে কর কাঠামোতে পরিবর্তন এনে এই সমস্ত কোম্পানিগুলিকে স্থায়ী বিকল্প প্রদান করার আরো সুযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেজিংয়ের অর্থনীতিকে টেক্কা! ভারতীয় অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেট ছাড়াল চিনকে

    প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর কাজে লেগেছে

    ভারত নিজেকে বিশ্ব দরবারে যেভাবে উপভোক্তা বাজার হিসেবে তুলে ধরেছে তাতে বহুজাতিক সংস্থাগুলি ভারতের দিকেই ঝুঁকেছে। যদিও উৎপাদনকারী হিসেবে ভারতকে এখনো চিনের সমান জায়গায় আসতে অনেকটা পথ পেরোতে হবে। কিন্তু উপভোক্তা বাজার হিসেবে ভারত এখনও এক নম্বর পছন্দ একথা বলাই বাহুল্য। মোদি জমানায় অর্থনীতির ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে নীতি নির্ধারণ হয়েছে তাতে বহুজাতিক সংস্থাগুলি ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নিজেই বহু দেশের সফরে গিয়েছেন এবং সেখানে ভারতের কথা তুলে ধরেছেন। এতে বিনিয়োগকারীদের ভারতের প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে। বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা ভারতকে আকর্ষণীয় ঠিকানা হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে পণ্য সামগ্রী, খুচরা বাজার এবং পরিষেবা বিভাগে ভারত এখন সেরা গন্তব্যস্থল।

    ইউবিএস ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান

    প্রসঙ্গত যে সংস্থা (UBS) রিপোর্ট প্রকাশিত করেছে সেই ইউবিএস ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি ৫০ টি দেশে বাণিজ্যিক পরিষেবা দিয়ে থাকে। একে বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান মনে করেন ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীরা। ইউ বি এস এর রিপোর্টকে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মঙ্গলবার ৭ মে ছিল তৃতীয় দফার নির্বাচন। সারা দেশে নির্বিঘ্নে ভোটদান হলেও ভোট শেষে রাতের অন্ধকারে ঘটল অগ্নিকান্ডের (Betul fire incident) ঘটনা। আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় দমকল। ধীরে ধীরে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জানা গেছে, বাসে মোট ছটি ইভিএম ছিল। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Betul fire incident)

    ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের গোলা গ্রামের কাছে ঘটেছে। ভোট শেষ হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের বেতুল ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম (Electronic Voting Machines) নিয়ে বাসে ফিরছিলেন পোলিং অফিসারেরা। ঠিক সেই সময় পথে হঠাৎ বাসে আগুন (Betul fire incident)লেগে যায়। হঠাৎ করে আগুন লেগে যাওয়ায় বাস থেকে চালক-সহ সকলে নেমে যান। দুটি ইভিএম মেশিন অক্ষত অবস্থায় বের করা গেলেও বাকি চারটি ইভিএম আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
    জানা গেছে, বেতুলের ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮, ২৭৯ এবং ২৮০ নম্বর বুথের ইভিএম–এর ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে (Election commission) জানানো হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বিচার করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে ওই ছটি বুথে আবারও ভোট হবে কি না। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হয়েছে (Lok Sabha election 2024), তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪ টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১, উত্তরপ্রদেশের ১০, মধ্যপ্রদেশের ৯ টি, ছত্তীসগঢ়ের ৭ টি, বিহারের ৫ টি, অসমের ৪ টি, গোয়ার ২ টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১ টি এবং দমন ও দিউয়ের ১ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেতুল লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃতীয় দফায় মোট ৭২.৬৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় (Betul fire incident) ইভিএম মেশিন গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কমিশন আবারও এই কেন্দ্রে পরবর্তীতে ভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা তা সময়ই বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Radhika Khera: “ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় আমায় অফার করা হয়েছিল মদ”, তোপ কংগ্রেসত্যাগী নেত্রীর

    Radhika Khera: “ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় আমায় অফার করা হয়েছিল মদ”, তোপ কংগ্রেসত্যাগী নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন এআইসিসির মুখপাত্র রাধিকা খেরা (Radhika Khera)। সোমবারই তোপ দাগলেন পুরনো দলের বিরুদ্ধে। দলের হিন্দু বিরোধী আদর্শ অনুসরণ না করায় দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে ধমক দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রাধিকার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’ হয়েছিল, সেই যাত্রায় শামিল হয়েছিলেন রাধিকাও। সেই সময় তাঁকে মদ্যপান করতে বলা হয়েছিল।

    রাধিকার অভিযোগ (Radhika Khera)

    সদ্য কংগ্রেস-ত্যাগী রাধিকা বলেন, “রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’র সময় ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যান সুশীল আনন্দ সুখা আমায় মদ অফার করেছিলেন। সেই সময় তিনি এবং দলের পাঁচ-ছ’জন মদ্যপ অবস্থায় আমার ঘরের দরজায় করাঘাত করেছিলেন। আমি বিষয়টি শচিন পাইলট এবং জয়রাম রমেশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই হয়নি।” তাঁর (Radhika Khera) দাবি, কংগ্রেসের হিন্দুত্ব-বিরোধী আদর্শ অনুসরণ করতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

    ‘আমায় ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল’

    রাধিকা বলেন, “৩০ তারিখ সন্ধ্যায় আমি কংগ্রেসের রাজ্য অফিসে সুশীলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমায় দেখেই গালাগালি দিতে শুরু করেন তিনি। চড়া গলায় কথা বলতে থাকেন। তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা আমায় ঘরবন্দি করে ফেলেন। তিনি এবং তাঁর দুই রাজ্য মুখপাত্র আমায় গালাগালি দিতে থাকেন। আমি আর্ত চিৎকার করি। কিন্তু কেউই দরজা খোলেননি। উল্টে আমায় মারধর করা হয়। আমি কংগ্রেসের মহামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাই। কিন্তু কেউই আমার অভিযোগকে পাত্তা দেননি।”

    আরও পড়ুুন: ভোটের মধ্যেই ‘ভাইপো’কে দলীয় উত্তরসূরীর পদ থেকে সরালেন ‘পিসি’!

    গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাধিকা। বলেন, “কংগ্রেসের গায়ে যে হিন্দুত্ব-বিরোধী তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছিল, তা আমি কখনওই বিশ্বাস করতাম না। তবে সেদিন(২২ জানুয়ারি) সত্যটা প্রকাশ্যে আসে।” তিনি বলেন, “আমি সব সময় শুনতাম যে কংগ্রেস রামের বিরোধী, সনাতন ধর্ম বিরোধী এবং হিন্দু বিরোধী। কিন্তু আমি কখনও এটা বিশ্বাস করতাম না। কারণ মহাত্মা গান্ধী প্রত্যেকটা বৈঠক শুরুর আগে গাইতেন ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’। ঠাকুমার সঙ্গে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পর আমি কংগ্রেসের আসল চেহারাটা দেখতে পাই। আমি কেন অযোধ্যায় গিয়েছিলাম, জিজ্ঞাসা করা হয়। আমায় ধমকও দেওয়া হয় (Radhika Khera)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rabindra Jayanti: বাংলায় করলেন কবিতাপাঠ, কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

    Rabindra Jayanti: বাংলায় করলেন কবিতাপাঠ, কবিগুরুর জন্মদিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী (Rabindra Jayanti) উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের একটি ভিডিও পোস্ট করে সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কবিতার কয়েকটি লাইন আবৃত্তি করেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমি রবীন্দ্রনাথ গুরুদেব ঠাকুরকে তাঁর জয়ন্তী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর চিরন্তন প্রজ্ঞা এবং প্রতিভা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অসংখ্য মানুষকে অনুপ্রাণিত ও আলোকিত করে চলেছে।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে (Rabindra Jayanti) শ্রদ্ধা জানান। 

    শান্তিনিকেতনে কবিগুরুর জন্মোৎসব পালিত হল

    শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন এদিন। রাজ্য বিজেপির এক্স হ্যান্ডেল থেকেও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করা হয়। তবে শুধু রাজনীতিবিদরা নন, শান্তিনিকেতন সহ গোটা রাজ্যে কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে (Rabindra Jayanti) শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গনে বৈতালিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে অংশ নিয়েছিলেন বহু রবীন্দ্র অনুরাগী। গৌড় প্রাঙ্গনে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। সকাল সাতটায় উপাসনা গৃহে উপাসনার পর সকাল ন’টায় মাধবী বিতানে কবিগুরুর জন্মোৎসব পালিত হয়। এছাড়াও নিউটাউনের রবীন্দ্রতীর্থে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিগুরুকে স্মরণ করা হয়।

    “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    তিনটি দেশকে জাতীয় সঙ্গীত উপহার দিয়েছেন কবিগুরু

    কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindra Jayanti) না থাকলে বাংলা সাহিত্যের একটা অধ্যায় অসম্পূর্ণ থেকে যেত। কবিতা, উপন্যাস, সংগীতের যে বিপুল ভান্ডার কবিগুরু বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন তা আগে কেউ করেনি। তিনটি দেশকে জাতীয় সঙ্গীত উপহার দিয়েছেন কবিগুরু। এনে দিয়েছেন সাহিত্যে নোবেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: বেজিংয়ের অর্থনীতিকে টেক্কা! ভারতীয় অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেট ছাড়াল চিনকে

    Indian Economy: বেজিংয়ের অর্থনীতিকে টেক্কা! ভারতীয় অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেট ছাড়াল চিনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংয়ের দেশের অর্থনীতিকে মাত দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত (Indian Economy)! আজ নয়, গত তিন বছর ধরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চিনকে টেক্কা দিয়ে চলেছে ভারত। ডিএসপির মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, চিনের ইক্যুইটি মার্কেট ভারতের ইক্যুইটি মার্কেটের চেয়ে ঢের এগিয়ে। চিনের বর্তমান ইক্যুইটি মার্কেট ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ। এটা এমন একটা সময়, যখন চিনের জিডিপি ভারতের জিডিপির চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।

    চড়ছে ভারতীয় অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেটের পারদ (Indian Economy)

    ২০০৪ সাল থেকে ২০২১ এই সতেরো বছরে চিনের অর্থনীতি ভারতের জিডিপিকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে গতি হারায়। এর পরেই চড়চড়িয়ে উঠতে থাকে ভারতীয় অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেটের পারদ। গত তিন বছরে তা ছাপিয়ে গিয়েছে চিনের অর্থনীতি ও ইক্যুইটি মার্কেটকে। জানা গিয়েছে, গত তিন বছর ধরে লোকসানে চলছে চিনা শেয়ার বাজারও। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে এতদিন সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আনত না চিন। ফলতে শুরু করেছে (Indian Economy) তারই বিষময় ফল।

    স্টক ইনডেক্স 

    ভারতের ফ্রন্টলাইন স্টক ইনডেক্স, নিফটি ৫০ ইনডেক্স ব্যবসা করেছে ২৩ গুণ ট্রেইলিং। সেখানে সাংহাইয়ের সূচক করেছে মাত্র ১১ গুণ ট্রেইলিং। জানা গিয়েছে, কোয়ালিটির দিক থেকে ভারতীয় মার্কেট উচ্চ শ্রেণির এবং ব্যয়বহুল বলে বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, তুলনায় সস্তা চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মার্কেট। ভারতীয় স্টক মার্কেটগুলি একের পর এক রেকর্ড করে চলেছে। স্বল্প মেয়াদ থেকে দীর্ঘ মেয়াদের রিটার্নের ক্ষেত্রে দেওয়া হচ্ছে রেকর্ড ব্রেকিং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের স্টক মার্কেট দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো বলে প্রমাণিত হতে চলেছে। ভারতের বুক রেসিওর দরও চড়া, প্রায় আমেরিকার সমান। এর রিটার্নও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিটার্নের সমান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত যদি তাৎপর্যপূর্ণভাবে সস্তা হত, তাহলে এটি দীর্ঘমেয়াদি লগ্নিকারীদের জন্য এক্সেলেন্ট এন্ট্রি পয়েন্ট হত।

    আরও পড়ুুন: ভোটের মধ্যেই ‘ভাইপো’কে দলীয় উত্তরসূরীর পদ থেকে সরালেন ‘পিসি’!

    বর্তমানে বিশ্ববাজার উল্লেখযোগ্যভাবে আশাবাদ-পর্বের মধ্যে দিয়ে চলছে। কর্পোরেট পারফরমেন্সও ভালো। আর্নিংস গ্রোথও চলছে সমানতালে। এহেন দৃশ্যপটে ব্রাজিল উঠে এসেছে ব্যতিক্রমী হিসেবে। এই দেশের আর্নিংস গ্রোথই যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে তা নয়, ভ্যালুয়েশন ট্রেন্ডের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। ইন্ডিয়ান ইক্যুইটিতে সেফটির মার্জিনের অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে (Indian Economy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে তারকা, প্রভাবীরাও সমানভাবে দায়ী, জানাল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court: প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে তারকা, প্রভাবীরাও সমানভাবে দায়ী, জানাল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে এল পতঞ্জলি মামলা। নিষিদ্ধ করার পরেও বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে সেই নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন। তাই পতঞ্জলিতে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ও অনলাইন বিজ্ঞাপন সরানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের (Misleading Ads Case) মুখ হওয়ার জন্য মোটা টাকা নিলে তারকারাও সমানভাবে দায়ী থাকবেন বলে মঙ্গলবার এমনই জানায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। 

    সুপ্রিম কোর্টের রায় (Supreme Court)

    কোনও পণ্যের বিষয়ে সমপ্রচারিত বিজ্ঞাপন যদি প্রতারণামূলক (Misleading Ads Case) প্রমাণিত হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িত তারকা এবং ইনফ্লুয়েন্সাররাও (প্রভাবী) সমানভাবে দায়ী থাকবেন। ৭ মে মঙ্গলবার পতঞ্জলি মামলার শুনানিতে এই রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এদিন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলেছে, কোনো বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ার আগে সম্প্রচারকদের একটি স্ব-ঘোষণা ফর্ম ফাইল করতে হবে, যেখানে বিজ্ঞাপনে প্রাসঙ্গিক নিয়মাবলী মেনে চলার কথা উল্লেখ থাকবে।

    শুনানি চলাকালীন বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন (Misleading Ads Case) প্রতিরোধের নির্দেশিকা, ২০২২ সালের কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এ আমানুল্লাহর বেঞ্চ। তারা বলেন, কোনো পণ্য বা দ্রব্যের প্রচারণার সঙ্গে জড়িত হওয়ার আগে কোনো ব্যক্তিকে অবশ্যই সেগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য বা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে যে, সেটি প্রতারণামূলক নয়।  

    আরও পড়ুন: “স্টিং ভিডিওটি পুরোটাই সাজানো,” বলছেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা

    পতঞ্জলি মামলা

    উল্লেখ্য সম্প্রতি কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযান এবং আধুনিক ওষুধের বিরুদ্ধে পতঞ্জলি এবং তার প্রতিষ্ঠাতাদের প্রচারের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)  দ্বারা দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানিতে এমনটা জানায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আইএমএ অভিযোগ করে, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করা হয়েছে পতঞ্জলীর বিজ্ঞাপনে। আইএমএ আরও বলেছিল, পতঞ্জলীর বিজ্ঞাপনে (Misleading Ads Case) ক্রমাগত পদ্ধতিগতভাবে ভুল তথ্য প্রচার করা হয়। পতঞ্জলি পণ্যগুলির ব্যবহার করে, নির্দিষ্ট কিছু রোগ নিরাময় হয় বলে, মিথ্যা দাবি করা হয়। এবার সেই মামলার শুনানিতেই তারকা ও ইনফ্লুয়েন্সারদের সাবধান করল সুপ্রিম কোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share