Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    Train Sabotage: চালকের তৎপরতায় ভেস্তে গেল ট্রেন অন্তর্ঘাতের চেষ্টা, প্রাণে বাঁচলেন গরিব রথের যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন বন্ধ থাকার পর রেলে ফের অন্তর্ঘাতের (Train Sabotage) চেষ্টা! চালকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দিলওয়ার নগর ও রহিমাবাদ স্টেশনের মাঝের ঘটনা। দুষ্কৃতীরা রেললাইনের ওপর কাঠের ব্লক ফেলে রেখেছিল। তাতে একটা গামছা জড়ানো। গামছায় লেখা ছিল ‘রাম’ নাম। গভীর রাতে ওই লাইনে আসছিল গরিব রথ। ট্রেন ধাক্কা খায় কাঠের ব্লকে। তবে ট্রেনটির গতি কম থাকায় এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। চালক সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি জানান সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষকে। কর্তৃপক্ষ লখনউ থেকে আসা ০৫৫৭৭ সহরসা আনন্দ বিহার গরিব রথ নামের ওই ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন মাহিলাবাদ স্টেশনে। ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঠের ব্লক সরিয়ে দেয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় রাম নাম লেখা গামছা। সন্দেহজনক এই সব জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে ১১০৯/১১ নম্বর পোলের কাছে। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। রেললাইনে পাওয়া জিনিসপত্রের ফরেনসিক পরীক্ষাও করবে পুলিশ।

    লাইনে কাঠের ব্লক (Train Sabotage)

    দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, গরিব রথকে লাইনচ্যুত করতে দুর্বৃত্তরা দিলাওয়ার নগর ও রহিমাবাদের মধ্যে প্রায় আড়াই ফুট লম্বা ও ছয় ইঞ্চিরও পুরু একটি কাঠের ব্লক আড়াআড়িভাবে রেখেছিল রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর। অন্তর্ঘাতের দিক থেকে নজর ঘোরাতে লাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল কিছু সবুজ গাছের ডালপালাও। তদন্তকারী এক পদস্থ পুলিশ কর্তা বলেন, “যে সময়ে (রাত ২.৪৩ মিনিট), যে অবস্থানে এবং যে পদ্ধতিতে বাধাটি স্থাপন করা হয়েছিল, তাতে ব্যাপক প্রাণহানির উদ্দেশে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা ছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে।” তিনি বলেন, “আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছি এবং ঘটনাটিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করছি।”

    অন্তর্ঘাতের চেষ্টা হয়েছে আগেও

    এর আগে গত বছর একাধিকবার ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। সময়মতো রেলকর্মী ও স্থানীয়দের তৎপরতায় সেগুলি ভেস্তে যায়।  উত্তরপ্রদেশেরই কানপুরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় কালিন্দী এক্সপ্রেস। সেবার কানপুরের শিবরাজপুরের কাছে রেললাইনের ওপর রাখা ছিল রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার (Train Sabotage)। সিলিন্ডার উদ্ধারের পাশাপাশি আরপিএফ ওই জায়গা থেকে সন্দেহজনক কয়েকটি জিনিসও উদ্ধার করে। সিলিন্ডারটি যেখানে (Uttar Pradesh) রাখা ছিল, সেখানে একটি হলুদ রংয়ের পদার্থও উদ্ধার করে পুলিশ (Train Sabotage)। কখনও রায়বরেলীতে রেললাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়। আবার কোথাও রেললাইনে ডাঁই করা মাটি, তো কোথাও আবার মোটরসাইকেলের স্ক্র্যাপ ফেলে রাখা হয়। কোথাও ফিশপ্লেট খুলে রাখা হয়। ফের একবার, রেলে নাশকতা তৈরির ছক বানচাল করা হল।

  • JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) ও তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ঊষা ভান্স। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই ভারতে আসতে পারেন তাঁরা। ভান্সের এই ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ভান্স কবে ভারতে আসছেন, তা জানা যায়নি। ইটালি সফরেও যাবেন তাঁরা। ইটালি সফর শেষে তাঁরা ভারতে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

    ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারত সফরে ভান্স (JD Vance)

    ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল। অনুমান, ভান্সের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেগুলি আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভান্স এমন একটা সময়ে ভারতে আসছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে গোটা বিশ্বে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ট্রাম্প যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। তবে চিন ছাড়া আপাতত ৯০ দিন বাকি দেশগুলির ওপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা

    আসন্ন ভারত সফরে তিন সন্তান ইউয়ান, বিবেক ও মিরাবেলকেও সঙ্গে আনতে পারেন ভান্স। ভারত সফরে এসে নয়াদিল্লির পাশাপাশি জয়পুর ও আগরায়ও যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের। পিটিআই সূত্রে খবর, আগামী ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ভান্স (JD Vance)। বৈঠকে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও পারস্পরিক শুল্কের হার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে ভারতের। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও সেরে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর। দু’দেশই চাইছে বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। তবে জয়শঙ্কর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে নয়া বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফার্স্ট এবং বিকশিত ভারতের নীতি নিয়ে এগোবে নয়াদিল্লি।

    উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে অনুমান (JD Vance)।

  • Amarnath Yatra: ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের অমরনাথ যাত্রা, চলছে রেজিস্ট্রেশন-পর্ব

    Amarnath Yatra: ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের অমরনাথ যাত্রা, চলছে রেজিস্ট্রেশন-পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra) রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল থেকে। অফলাইন এবং অনলাইন এই দুই পদ্ধতিতেই তীর্থযাত্রীদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ চলছেষ এ নিয়ে শ্রী অমরনাথ যাত্রার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেজিস্ট্রেশনের জন্য নেওয়া হচ্ছে ২২০ টাকা। অন্যদিকে, অফলাইন রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে দেশের ৬০০ ব্যাঙ্কের শাখা থেকে। চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2025) শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ৩ জুলাই থেকে। এই যাত্রা চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। ৩৯ দিন ধরে অমরনাথ যাত্রা চলবে। এই সময় তীর্থযাত্রীরা দুটি পথ দিয়ে অমরনাথের উদ্দেশে যেতে পারবেন। একটি হল, জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাম হয়ে। অপরটি হল গান্দেরবাল জেলার বালতাল থেকে।

    ৫ মার্চ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় (Amarnath Yatra)

    প্রশাসনের অনুমান, চলতি বছরে ছয় লাখেরও বেশি তীর্থযাত্রী অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। গত বছরের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রা। গত ৫ মার্চ এনিয়ে অমরনাথ যাত্রার কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তাঁর সভাপতিত্বেই অমরনাথ যাত্রা সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা (Amarnath Yatra 2025) হয় বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে বড় অ্যাজেন্ডা ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত কোথায় করা হচ্ছে?

    এর পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদের অন স্পট রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি, তাদের ডিজিটাল পরিচয়- এ নিয়েও আলোচনা হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু, শ্রীনগর, বালতাল, পহেলগাম, নুনওয়ান, পান্থাচক ইত্যাদি স্থানে তীর্থযাত্রীদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে ব্যবস্থা থাকছে চিকিৎসকদের দলের। বয়স্কদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে তীর্থযাত্রা (Amarnath Yatra) সহজেই অমরনাথ যাত্রা করতে পারেন, সেই নিয়ে সর্বদাই তৎপর প্রশাসন। এদিকে পোর্টাল খুলতেই তীর্থযাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা দিয়েছে। যাদের মধ্যে একজন হলেন রোহিত। তিনি এ বছরে দ্বিতীয়বারের জন্য অমরনাথ যাত্রা করছেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতায় জানিয়েছেন, অমরনাথ যাত্রা ফের একবার করতে তিনি উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন।

  • Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    Waqf Amendment Act 2025: ‘হিংসার ঘটনা উদ্বেগজনক’, ওয়াকফ আইন শুনানি প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act 2025) নিয়ে অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। বুধবার তাঁর বেঞ্চেই হয়েছে এই আইন সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেই সময়ই ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী বিক্ষোভে অশান্তির প্রসঙ্গ ওঠে। দেশের নানা প্রান্তেই এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে, একাধিক রাজ্যে অশান্তিও হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এদিন শুনানি চলাকালীন সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবীরা। তখনই উদ্বেগ প্রকাশ করেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। এই ধরনের ঘটনাগুলিকে তিনি উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

    প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ (Waqf Amendment Act 2025)

    ওয়াকফ আইকে ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এই ধরনের হিংসা বা অশান্তির ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। এমন ঘটনা উদ্বেগজনক।” পরবর্তী শুনানিতে অশান্তির প্রসঙ্গ শুনবেন বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবারই। সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সব মামলাকে এক সঙ্গে জুড়ে শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। এদিন এ সংক্রান্ত শুনানির পর নয়া আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট।

    আদালতের অন্তর্বর্তী প্রস্তাব

    তবে এদিন, (Waqf Amendment Act 2025) আদালত তিনটি অন্তর্বর্তী প্রস্তাব রাখে। এগুলি হল, আদালতে যদি কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ বলে চিহ্নিত হয়ে থাকে, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন কোনও মতেই সেটিতে রদবদল ঘটানো যাবে না। কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ না কি সরকারি সম্পত্তি, জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত চলাকালীন সেই সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে গণ্য করা হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইনে। কিন্তু এখনই সেই নির্দেশ কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে আদালত। ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে। একমাত্র ব্যতিক্রম সরকারি আধিকারিক কিংবা কোনও পক্ষের প্রতিনিধি হওয়ার দরুণ যাঁরা আপনাআপনিই (Supreme Court) বোর্ডের সদস্যপদ পান, তাঁদের ক্ষেত্রে ধর্ম পরিচয় বাধ্যতামূলক নয় (Waqf Amendment Act 2025)।

  • China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে লড়াইতে ভারতকে পাশে পেতে চাইছে চিন (China Visa)। তার জেরে আপাতত ভারত-চিন সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে (Trump Tariff Threats)। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা আগের চেয়ে এখন ঢের বেশি শান্ত। এহেন আবহে বেজিং বারবার ভারতের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বন্ধুত্বের হাত। ভারত-চিন সম্পর্কের কী উন্নতি হয়েছে তা জানাতে গিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। তিনি জানান, ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস ও উপদূতাবাস চিনে যাওয়ার জন্য ৮৫ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয়রা যাতে আরও বেশি করে চিন ভ্রমণ করেন, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ভিসা নিয়ম শিথিল (China Visa)

    ভারত ও চিনের মধ্যে সফর অনায়াস করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে বেজিং। শিথিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মও। আগে চিনে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে গেলে আগে থেকে অনলাইনে সময় নিতে হত। এখন আর তা করতে হয় না। সরাসরি ভিসা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করতে পারেন ভারতীয় নাগরিকরা। ভিসা দ্রুত মঞ্জুর করার বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    দিল্লিকে পাশে চাইছে বেজিং

    মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগেই বদলাতে শুরু করেছে ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক (China Visa)। তিক্ততা ভুলে দুই দেশই ক্রমশ কাছাকাছি আসতে চাইছে। সম্প্রতি ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চিনের ক্ষেত্রে এই হার ছিল অত্যধিক চড়া। এ নিয়ে শুরু হয় চিন আমেরিকা শুল্ক যুদ্ধ। শুল্ক হার নিয়ে তামাম বিশ্ব তোলপাড় হওয়ায় তিন মাসের জন্য শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই তালিকায় নেই চিন। উল্টে চিনা পণ্যের ওপর চাপানো হয়েছে আরও চড়া শুল্ক হার। চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধ যখন তুঙ্গে, তখন ক্রমশই চিন বেশি করে ঝুঁকছে ভারতের দিকে। চিনের একাধিক কর্তার মতে, ক্ষমতার রাজনীতি ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে চিন ও ভারতকেই (Trump Tariff Threats)।

    দুঃসময়ে যে ‘হাতি’কে বড্ড বেশি প্রয়োজন ‘ড্রাগনে’র (China Visa)!

  • India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের দুনিয়ায় পা রাখল ভারত। লেজার অস্ত্রের (India’s First Laser Weapon) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এর এই অস্ত্র মনে করাচ্ছে জর্জ লুকাসের তৈরি বিখ্যাত সিরিজ স্টার ওয়ারস-এর (Star Wars) যোদ্ধাদের। যেখানে যোদ্ধাদের অত্যাধুনিক তলোয়ার থেকে প্রতি নিয়ত বেরোচ্ছে আলোক রশ্মি। যা মাঝখান থেকে চিরে দিতে পারে একটা আস্ত বিমানকেও। এবার প্রায় একই রকম শক্তি নিজের হাতে তুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা। শত্রু রাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান থেকে গুপ্তচর ড্রোন, যে কোনও কিছু নিমিষে ধ্বংস করে দিতে পারে ডিআরডিও-র তৈরি এই লেজার অস্ত্র।

    ৩০ কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান সফল

    ডিআরডিও সূত্রে খবর, রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এক দল গবেষক এই সদ্য নির্মিত ৩০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান করায়। যাতে সফল হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির মাধ্যমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল ভারতের নাম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নতুন মার্ক-২(এ)  ডিইডব্লু সিস্টেমটি দূর পর্যন্ত যে কোনও শত্রু ড্রোনের আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। সেই ড্রোন এক ঝটকায় উড়িয়েও দিতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, এই অস্ত্র থেকে নির্গত লেজার বা আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যে কোনও ড্রোন বা হেলিকপ্টারকে আকাশপথেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। যা স্থল ও নৌসেনা উভয়েই নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে পারবেন।

    সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের ন্যাশনাল ওপেন এয়ার রেঞ্জে লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারের পরীক্ষা করা হয়। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম’ বা ডিইডব্লিউ। বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে আছে এই হাতিয়ার। এটি তৈরির মূল কৃতিত্ব ডিআরডিওর ‘সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস’-এর (সিএইচইএসএস)। লেজার হাতিয়ারের গবেষণায় হারদরাবাদের একাধিক ল্যাবরেটরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য পেয়েছে ডিআরডিও। পরে নকশা অনুযায়ী অস্ত্রটিকে তৈরি করে একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। ট্রাক আকৃতির গাড়ির উপর ‘মার্ক-টু(এ) লেজার’কে বসানো হয়েছে। যুদ্ধের সময়ে একে একাধিক রণাঙ্গনে মোতায়েন করতে পারবে ফৌজ।

    ‘ড্রোন ঘাতক’ লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর, শত্রুর নজরদারি সেন্সর, অ্যান্টেনা বা রাডার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারবে ‘মার্ক-টু(এ)’। চোখের পলক ফেলার আগে নিখুঁত নিশানায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে এই সমরাস্ত্র। লেজার হাতিয়ারটি ৩০ কিলোওয়াট শক্তি সম্পন্ন। তবে এর পাল্লার বিষয়টি গোপন রেখেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা। ডিআরডিওর তরফে অত্যাধুনিক অস্ত্রটিকে ‘ড্রোন ঘাতক’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, ‘মার্ক-টু(এ)’র সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর নামমাত্র খরচ। এক-দু’লিটার পেট্রলের দামে কয়েক সেকেন্ডের জন্য লেজার রশ্মি ছুড়তে পারবে এই হাতিয়ার।

    ৩০-কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

    ● এই লেজার অস্ত্র ড্রোন, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আকাশপথের হুমকি ৫ কিলোমিটার দূর থেকেই ধ্বংস করতে পারে।

    ● শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল জ্যাম করতে সক্ষম।

    ● স্থল ও সমুদ্র – দুই জায়গায়ই এটি ব্যবহারযোগ্য।

    ● ৩৬০ ডিগ্রি সেন্সর দ্বারা সজ্জিত, যা টার্গেটিং-এ নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।

    ● সহজেই বিমান, রেল, সড়ক বা জলপথে মোতায়েন করা যায়।

    ● বিভিন্ন সামরিক প্রয়োজনে এর ডিজাইনকে মানিয়ে নেওয়া যায়।

    বদলে যাবে আকাশ প্রতিরক্ষার সংজ্ঞা

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সংজ্ঞা বদলে দেবে ডিআরডিওর তৈরি অত্যাধুনিক এই অস্ত্র (India’s First Laser Weapon)। এর দু’রকম ব্যবহারের কথা বলেছেন সাবেক সেনাকর্তারা। দীর্ঘ দিন ধরেই ড্রোনের সাহায্যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে হাতিয়ার ও মাদক চোরাচালান চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। বাহিনীতে ‘মার্ক-টু(এ)’ চলে এলে সেই সূচক অনেকাংশেই নেমে আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া যুদ্ধ বা সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে শত্রুর ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা ড্রোনকে পুড়িয়ে শেষ করতে পারবে নতুন লেজার হাতিয়ার। তবে ভারতীয় সেনা কবে থেকে এটি ব্যবহার করবে, তা স্পষ্ট করেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য ‘সূর্য’

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য এরই আরও উন্নত সংস্করণ ‘সূর্য’, ৩০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। যার সীমা ২০ কিমি। এটি এখন গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ‘সূর্য’কে সামনে আনার চেষ্টায় রয়েছে ডিআরডিও। নতুন লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারটির সঙ্গে ‘সূর্য’-র কোনও মিল রয়েছে কি না, সেটা জানা যায়নি। তবে ‘সূর্য’র মাধ্যমে লেজার, মাইক্রোওয়েভ বা পার্টিকল বিমের (কণা রশ্মি) মতো কেন্দ্রীভূত শক্তিকে শত্রুর উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে বলে জানা গিয়েছিল। ‘সূর্য’ নিয়ে গবেষণার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ডিআরডিওর লেজার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যে হাতিয়ারটির প্রোটোটাইপ তৈরি করার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারবে তারা। তবে এর জন্য একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

  • Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    Murshidabad Unrest: মুর্শিদাবাদকাণ্ডের নেপথ্যে বাংলাদেশিদের হাত! চাঞ্চল্যকর তথ্য কেন্দ্রের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) বিস্তীর্ণ অংশ। এই হিংসার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিস্ফোরক এই তথ্য উঠে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্তে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বাংলার পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু বলা হয়নি।

    উসকানিমূলক বক্তব্য (Murshidabad Unrest)

    এর আগে ৯ এপ্রিল সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইন বিরোধী সমাবেশে বেশ কিছু উসকানিমূলক বক্তব্য রাখা হয়। তার কিছু ভিডিও এসে পৌঁছায় ওই সংবাদ মাধ্যমের কাছে। জঙ্গিপুরের পিডব্লুডি মাঠে এই সমাবেশ হয়েছিল। আয়োজক ছিল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশন। তাকে সমর্থন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্ট অফ ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন।

    এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারীরা বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তাতে মুর্শিদাবাদের হিংসায় এসডিপিআইয়ের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, এসডিপিআইয়ের সদস্যরা গত বেশ কয়েকদিন ধরে ওয়াকফের নামে এলাকার মুসলিম যুবকদের উসকানি দিচ্ছিল। এসডিপিআইয়ের সদস্যরা প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবক ও কিশোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বলছিলেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবক ও কিশোরদের বলা হয় যে, সরকার ওয়াকফের নামে মুসলমানদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেবে। ফলে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করতে হবে। শনিবার মুর্শিদাবাদের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইজাজ আহমেদের। বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর পরিবারেরও দাবি, মুর্শিদাবাদে উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে এসডিপিআই।

    পিএফআইয়ের প্রভাব!

    পুলিশের মতে, এক সময় পশ্চিমবাংলায় সিমির ঘাঁটি ছিল এই মুর্শিদাবাদই। সিমির যোগ ছিল জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে। সিমির লোকজন অবশ্য পরে কট্টরপন্থী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেয়। তার পর বদলে যায় মুর্শিদাবাদের ছবি। বস্তুত, পিএফআইয়ের ঘাঁটিতে পরণিত হয় মুর্শিদাবাদ। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইউএপিএর অধীনে পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, এই সিমি ও পিএফআইয়ের এই লোকজনও এসডিপিআইয়ের সঙ্গে জড়িত। মুর্শিদাবাদে এসডিপিআই বেশ শক্তিশালী। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে দুস্কৃতীরা প্রাথমিকভাবে সহায়তা পেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA) পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) ও অন্যান্য সংবেদনশীল জেলার কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সম্ভাব্য সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। তিনি রাজ্য প্রশাসনকে অন্যান্য সংবেদনশীল জেলাগুলোয়ও কঠোর নজরদারি বজায় রাখার এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেন। তার পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজির সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এছাড়াও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদে বিএসএফের প্রায় ন’কোম্পানি, অর্থাৎ কমপক্ষে ৯০০ জন সদস্য মোতায়েন করেছে। এই ন’টি কোম্পানির মধ্যে ৩০০ বিএসএফ সদস্য স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য সরকারের অনুরোধে পরে অতিরিক্ত কোম্পানিগুলিও পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি আগেই জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ডিজিপি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয়ভাবে মোতায়েন থাকা বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    উত্তেজনা অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুর্শিদাবাদের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভের জেরে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোড়া এবং সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। আধিকারিকদের বক্তব্য, হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে উত্তেজনা অব্যাহত থাকলেও, নতুন করে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা (Murshidabad Unrest)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মুর্শিদাবাদের তিনটি সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্কতামূলকভাবে অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সহায়তায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার বিষয়টি, পরে যাদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় ঘাসফুল নেতৃত্ব।

    এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ব্যর্থতা, রেলওয়ে সম্পত্তিতে হামলা এবং হিংসার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে (Murshidabad Unrest)।

  • S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘‘ভারতের ব্র্যান্ড প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ’, ২৬/১১ হামলা টার্নিং পয়েন্ট’’, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার পাকিস্তানকে তোপ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)। পাকিস্তানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্ট করার কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, “একটা সময় ছিল যখন হামলা হত এবং আমরা শুধু নিন্দা করতাম, তারপর নীরব বসে থাকতাম। কিন্তু ২৬/১১ মুম্বই হামলা এমন এক টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। এটা ভারতের নীতি, চিন্তাভাবনা ও স্টাইল পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল। মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলা ছিল ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এরপর ভারত বুঝেছিল, পাকিস্তানের মতো দেশের পিছনে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।”

    পাকিস্তান এখনও পুরনো পথে চলছে

    চারোতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারত যে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে তা তুলে ধরেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়েছিল। কারণ সে সময় ভারতীয়রা সম্মিলিতভাবে অনুভব করেছিল যে প্রতিবেশী দেশের এ ধরনের আচরণ আর সহ্য করা হবে না। এখনও পাকিস্তান আগের মতোই আছে। তবে আমি আশা করি তাদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে।” জয়শঙ্করের কথায়, গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত অনেক এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান এখনও তাদের খারাপ অভ্যাস থেকে বেরোতে পারেনি। তিনি বলেন, “ভারত বদলেছে। কিন্তু পাকিস্তান, দুর্ভাগ্যবশত, এখনও পুরনো পথে চলছে। ভারতের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই নেতিবাচক।”

    পাকিস্তানের পিছনে সময় নষ্টের মানে নেই

    বর্তমানে ভারত সরকার প্রকাশ্যে খুব একটা পাকিস্তান প্রসঙ্গ তোলে না, খুব কমই আলোচনা করে, কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) স্পষ্ট করে বলেন, “পাকিস্তান নিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করার কোনও প্রয়োজন নেই।” বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “ভারত বদলে গিয়েছে। এদিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান নানাভাবে অন্যায় কাজে লিপ্ত থেকেছে। আমি বলব, ২৬/১১ মুম্বই হামলা ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আমার মনে হয়, সে সময় ভারতের জনগণ এবং সব রাজনৈতিক দল বলেছিল, এটা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।” ২০০৮ সালে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে পরোক্ষ কটাক্ষ করে জয়শঙ্কর বলেন,“আমার মনে হয় সমাজে এই অনুভূতি খুব প্রবল ছিল, কিন্তু সেই সময় সরকার হয়তো এটা পুরোপুরি বুঝতে পারেনি, সেটা আলাদা বিষয়।” রাজ্যসভার সাংসদ জয়শঙ্কর জানান, ২০১৪ সালে সরকার বদলের পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলতে থাকলে, তাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ভারত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে গিয়েছে। বিশ্বে ভারতের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান পুরনো নীতি অনুসরণ করে চলেছে।

    ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি, পাকিস্তানের সন্ত্রাস

    আফগানিস্তানে আমেরিকার উপস্থিতির সময় পাকিস্তানের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, যে সন্ত্রাসের অবকাঠামো পাকিস্তান গড়ে তুলেছিল, তা পরে তাদের বিরুদ্ধেই ফিরে এসেছে। জয়শঙ্করের কথায়, “আজকের দিনে ভারতের ব্র্যান্ড হল প্রযুক্তি। আর ওদের ব্র্যান্ড হয়ে গেছে সন্ত্রাসবাদ। আমরা সন্ত্রাসের জবাব দেব, কিন্তু কেন তাদের নিয়ে সময় নষ্ট করব?” তবে, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে ভারত যে একচুলও জমি ছেড়ে কথার বলার মেজাজে নেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ উঠতেই বিদেশমন্ত্রী নিরাপত্তার চ্য়ালেঞ্জকে কী ভাবে নরেন্দ্র মোদি সরকার পার করেছে তার খতিয়ানও তুলে ধরেন।

    সন্ত্রাসের জবাব দিতেই হবে

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সংযোজন, “২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মতো হামলা যদি বর্তমান সময়ে হত, আর আমরা যদি জবাব না দিতাম তাহলে পরবর্তী হামলার সময় কী ভাবে আমরা নিজেকে রক্ষা করতাম? সন্ত্রাসবাদীদের এটা কখনও ভাবতে দেওয়া চলবে না যে তারা সীমান্তের বাইরে রয়েছে বলেই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পরে, এমন একজন ব্যক্তিও ছিল না যে মনে করেছিল যে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত। তখনকার ইউপিএ সরকার শুধু দফায় দফায় আলোচনা করেছিল। অথচ কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছতে পারেনি। শুধুমাত্র এটা ভাবতে ভাবতেই সময় কাটিয়ে দেয় যে পাকিস্তান আক্রমণের খরচ পাকিস্তান আক্রমণ না করার খরচের চেয়েও বেশি।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতিতেই শক্তিশালী ভারত

    সন্ত্রাস মোকাবিলায় মোদি সরকারের আমলে যে কৌশল নেওয়া হয়েছে তা ২০০৮ সালের মুম্বইয় হামলার সময় থেকে পালটে গিয়েছে অনেকটাই। বিদেশমন্ত্রী মনে করিয়েছেন, “উরি হামলার পর ভারত কী ভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছিল সকলের নিশ্চই মনে আছে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ধরন পালটে গিয়েছে অনেকটাই। আগে ভারত সীমান্তের উপর সন্ত্রাসবাদ সহ্য করত। তবে সেসব এখন অতীত। ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে কোনও বড় সন্ত্রাসবাদ হামলা হয়নি দেশে। বর্তমান ভারতে যে কোনও সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব দেবে।” চিন সম্পর্কে জয়শঙ্কর বলেন, ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিক্রিয়া ছিল “দ্রুত, জোরালো এবং সুসংগঠিত”—যা একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রতিফলন।

  • National Herald Case: বিপাকে সনিয়া-রাহুল, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধীদের হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড!

    National Herald Case: বিপাকে সনিয়া-রাহুল, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গান্ধীদের হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) অস্বস্তি বাড়ল সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার ওই মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। চার্জশিটে নাম রয়েছে সনিয়া ও রাহুলের। নাম রয়েছে কগ্রেসের ওভারসিজ ইউনিটের প্রধান শ্যাম পিত্রোদারও। নাম আছে কংগ্রেস নেতা সুমন দুবের। আগামী ২৫ এপ্রিল বিশেষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি।

    আদালতে চার্জশিট পেশ ইডির

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই প্রথম বার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। টাকা তছরুপের মামলায় মঙ্গলবার জেরা করা হয় সনিয়ার জামাই রবার্ট বঢরাকে। তার কয়েক ঘণ্টা পরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া এবং সাংসদ রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ইডি। এপ্রিলের শুরুর দিকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা করেছিল ইডি। বিশেষ বিচারক বিশাল গগনে সেই চার্জশিট পর্যালোচনা করেন। তার পরেই মঙ্গলবার তা গৃহীত হয়। বিশেষ বিচারক বিশাল জানিয়েছেন, ওই দিন কেস ডায়েরি দাখিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে তদন্তকারী অফিসার এবং ইডির আইনজীবীকে।

    কী কী রয়েছে ইডির চার্জশিটে

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ২০১৭ সালের আয়কর মূল্যায়ন আদেশের উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের চার্জশিটে অভিযোগ করেছে যে, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির (এআইসিসি) গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) এবং ইয়ং ইন্ডিয়ানের প্রধান কর্মকর্তাদের সাথে, তালিকাভুক্ত নয় এমন একটি পাবলিক কোম্পানি এজেএল-এর ২,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখলের জন্য একটি “অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র” করেছিলেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই এমনটাই জানিয়েছে। ইডি উল্লেখ করেছে যে, এজেএল-এর ৯৯ শতাংশ শেয়ার মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ইয়ং ইন্ডিয়ান-একটি বেসরকারি সংস্থায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। ইয়ং ইন্ডিয়ানে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর প্রত্যেকের ৩৮ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে, বাকি ২৪ শতাংশ যৌথভাবে ছিল প্রয়াত মতিলাল ভোরা এবং অস্কার ফার্নান্দেজের, যাদেরকে ইডি গান্ধী পরিবারের “ঘনিষ্ঠ সহযোগী” বলে বর্ণনা করেছে।

    কর ফাঁকির অভিযোগ

    চার্জশিটে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, অভিযুক্তরা ৯০.২১ কোটি টাকার বকেয়া ঋণ, যা আগে এআইসিসি কর্তৃক এজেএলকে দেওয়া হয়েছিল, তা ৯.০২ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তর করার ষড়যন্ত্র করেছিল, যা পরে নামমাত্র মূল্যে ইয়ং ইন্ডিয়ানে স্থানান্তরিত করা হয়। ইডির দাবি, এই পদক্ষেপ কার্যকরভাবে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে এজেএলের বিশাল রিয়েল এস্টেট সম্পদের “লাভজনক মালিকানা” প্রদান করেছে। যদিও ইয়ং ইন্ডিয়া কোম্পানি আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত ছিল। ইডি বলেছে যে কোম্পানিটি কোনও দাতব্য কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। চার্জশিটে ২০১৭ সালের আয়কর মূল্যায়ন আদেশের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বলা হয় ইয়ং ইন্ডিয়া ৪১৪ কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকি দিয়েছে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত পিএমএলএ আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারার আওতায় আর্থিক নয়ছয় ও তার জন্য শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন ইডির বিশেষ সরকারি কৌঁসুলী এনকে মাত্তা ৷ এদিন বিচারক বলেন, “অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করা হোক৷” পরবর্তী শুনানির মধ্যে বিচারক গগনে ইডিকে অভিযোগের সফ্ট কপি ও তথ্যগুলির ওসিআর ফরম্যাট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷

    ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    সম্প্রতি এই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সনিয়া এবং রাহুলের ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে ইডি। শনিবারই দিল্লি, মুম্বই ও লখনউয়ের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়। কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের (AJL) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগের তদন্তে নেমে এই স্থায়ী সম্পত্তিগুলি নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে ইডি। দিল্লি ও মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় বাড়ি, লখনউয়ের বিশ্বেশ্বরনাথ রোডে এজেএল বিল্ডিং এবং দিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গে ন্যাশনাল হেরাল্ড হাউস নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে ইডি। সেজন্য ওইসব সম্পত্তি খালি করতে বলা হয়েছে ইডির তরফে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা কী

    এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ইডি দিল্লি, মুম্বই ও লখনউতে মোট ৬৬১ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি এবং ৯০.২ কোটি টাকার এজেএল শেয়ার প্রাথমিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে। ২০১৪ সালের ২৬ জুন নয়া দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পাটিয়ালা হাউস কোর্টের জারি করা নির্দেশের ভিত্তিতে ২০২১ সালে ইডি এই মামলার তদন্ত শুরু করে। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন, যার ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড হল এজেএল প্রকাশিত একটি সংবাদমাধ্যম। ইয়ং ইন্ডিয়ানের মালিকাধীন এই সংবাদমাধ্যম। ইয়ং ইন্ডিয়ানে ৩৮ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে সনিয়া ও রাহুলের। অভিযোগ, এজেএল নামে যে সংস্থার হাতে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে কোটি কোটি টাকার দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।

    রাজনৈতিক দল হয়ে বাণিজ্যিক সংস্থাকে ঋণ কীভাবে

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald Case) সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় ২০০৮ সালে। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সোনিয়া, রাহুল এবং কংগ্রেস নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা। ইয়ং ইন্ডিয়ান মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে এজেএলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, যার সম্পত্তির মোট মূল্য ২,০০০ কোটিরও বেশি। কিছুদিন পর কংগ্রেসের তরফে ‘দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়’ বলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের ঋণ মুকুব করে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস এমনটা করতে পারে না। স্বামীর যুক্তি, কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। তাই তারা কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে ঋণ দিতে পারে না। কারণ তারা নিজেরা ঋণ দেয় না। ২০২১ সালে টাকা নয়ছয়ের তদন্ত শুরু করে ইডি।

    সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট তাৎপর্যপূর্ণ

    ইতিমধ্যে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) ইডি রাহুল এবং সোনিয়াকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শেষবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। তাঁর মাকেও ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড (ওয়াইআইএল)-এ তার ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার হরিয়ানার একটি রিয়েল এস্টেট চুক্তির সঙ্গে জড়িত অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্তকারী সংস্থা ব্যবসায়ী রবার্ট বঢ়রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আগামিকাল ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। রবার্ট, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির স্বামী, রাহুল গান্ধির শ্যালক। এই জিজ্ঞাসাবাদের কিছুক্ষণের মধ্যেই সনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • Poswuyi Swuro: তাঁর গ্রামেই ছিলেন নেতাজি, প্রয়াত হলেন নাগাল্যান্ডে সুভাষের সহযোগী পসউই স্বুরো

    Poswuyi Swuro: তাঁর গ্রামেই ছিলেন নেতাজি, প্রয়াত হলেন নাগাল্যান্ডে সুভাষের সহযোগী পসউই স্বুরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগাল্যান্ডে প্রয়াত হলেন পসউই স্বুরো (Poswuyi Swuro)। যিনি ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর শেষ জীবিত সহযোগী। ১৫ এপ্রিল বিকেল ৪:০৩ মিনিটে নিজের রুজাঝো গ্রামের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, পসউই স্বুরো নাগাল্যান্ডের একটি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি তাঁর নিজের সম্প্রদায়ের একটি বড় স্তম্ভ ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বও ছিলেন তিনি। আজাদ হিন্দ ফৌজকে ভারত ভূমিতে সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) সঙ্গে কাটিয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন। ইতিহাসে তাঁর অবদান ভোলার নয়। চল্লিশের দশকে নাগাল্যান্ডে যখন আজাদ হিন্দ বাহিনী পৌঁছায় তখন তিনি নেতাজির দোভাষী হিসেবে কাজ করেছিলেন। একইসঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজকে নাগাল্যান্ডে গাইডও করেছিলেন বলে জানা যায়।

    তাঁর গ্রামে নেতাজি ছিলেন ন’দিন

    তাঁর ওই গ্রামে নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) ছিলেন ধারাবাহিকভাবে নয় দিন। এই সময়ে স্থানীয় নাগা নেতৃত্বের সঙ্গে নেতাজির যে বৈঠক হত সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন পসউই স্বুরো (Poswuyi Swuro)। নেতাজির সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবেই তিনি কাজ করতেন। বহু ভাষায় তাঁর জ্ঞান ছিল বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি তাঁর দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান পসউই স্বুরোকে এক বিশেষ জায়গা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষজন তাঁকে খুবই শ্রদ্ধা করতেন। দশকের পর দশক ধরে তিনি জনসেবার কাজের সঙ্গে যুক্ত। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা, সহানুভূতির সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁর কাছে ভিড় উপচে পড়ত। ইতিহাসবিদ থেকে গবেষক প্রত্যয়কেই যেতেন তাঁর কাছে। তাঁরা উদগ্রীব হয়ে শুনতেন নেতাজির সঙ্গে তাঁর কথোপকথন।

    নেতাজির নির্দেশে সংগ্রহ করতেন খাবার (Poswuyi Swuro)

    নেতাজি সঙ্গে তাঁর দিনগুলো ঠিক কেমন কাটত? রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ক্ষেত্রীয় প্রচারক সুনীল মহন্তর সঙ্গে পসউই স্বুরো এক বৈঠকে বসে ছিলেন। সেখানেই তিনি নেতাজি তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের অনেক অজানা কাহিনী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘নেতাজির নির্দেশেই আমি বিভিন্ন গ্রামে যেতাম। সৈন্যদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করতাম।’’ এমন স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রয়াণে নাগাল্যান্ডের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা তেমজেম ইমনা, গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর (Poswuyi Swuro) অবদানকে স্মরণ করেছেন।

LinkedIn
Share