Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Seema Haider: নামী প্রযোজক সংস্থার তরফে অভিনয়ের প্রস্তাব সীমাকে! পেলেন চাকরির অফারও

    Seema Haider: নামী প্রযোজক সংস্থার তরফে অভিনয়ের প্রস্তাব সীমাকে! পেলেন চাকরির অফারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন সীমা হায়দার (Seema Haider)। যদিও তাঁর গতিবিধির সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেই মনে করেছে উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা। এখনও চলছে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু পাক রহস্যময়ী ভারতের মাটিতে পা রাখার পর থেকেই যেন তাঁর কপাল খুলতে শুরু করেছে। প্রতিমাসে একলাখি চাকরির অফার যেমন পেয়েছেন এই দম্পতি, ঠিক তেমনি আসছে অভিনয়ের কাজের সুযোগও। সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারের সচিনের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয়। কিন্তু এবার আসতে শুরু করেছে একের পর এক রোজগারের সন্ধান। 

    প্রতিমাসে একলাখি বেতনের চাকরির অফার পেয়েছে সীমা-সচিন (Seema Haider)

    চলতি সপ্তাহের গ্রেটার নয়ডার রাব্বুপুর গ্রামে সচিনের বসত বাড়িতে একটি চিঠি আসে। সে চিঠি ঘিরে পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। সুরক্ষা স্বার্থে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠির বিষয়ে জানায়। মেলে চিঠি খোলার অনুমতি!  চিঠি খুলতেই বোঝা যায় এযেন রত্নের খনি! দেখা যায় সচিন এবং সীমা উভয়কেই কাজের অফার দিয়েছেন এক গুজরাটি ব্যবসায়ী। প্রতিজনের মাসে বেতন পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ঠিক করেছেন ওই ব্যবসায়ী। এতো গেল চাকরির সুযোগ! পাশাপাশি অভিনয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে পাকবধূ সীমা হায়দারকে (Seema Haider)। 

    অভিনয়ের অডিশনও দিয়েছেন সীমা (Seema Haider)

    বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সীমা (Seema Haider) নাকি ছবির অডিশনও ইতিমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন। তাঁর অডিশন নিতে রব্বুপুর গ্রামে হাজির হয়েছিলেন দুই পরিচালক। জানা গিয়েছে ‘ফায়ারফক্স প্রোডাকশন হাউসের’ সদস্যরা সচিন-সীমার বাড়িতেও আসেন।  ‘আ টেলার মার্ডার স্টোরি’ নামের ওই ছবিতে নাকি ইতিমধ্যে অডিশনও দিয়েছেন পাবজি প্রেমিকা সীমা। সেখানে তাঁকে দেখা যেতে পারে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এজেন্টের ভূমিকায়। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে এখনও পর্যন্ত সীমা সম্মতি দেননি। কারণ উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং জেরা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে মুক্তি পেলেই তিনি অভিনয়ে নামবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Allahabad High Court: ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিভ-ইন সম্পর্ক অনৈতিক ও বেআইনি’, মত এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Allahabad High Court: ‘অপ্রাপ্তবয়স্কদের লিভ-ইন সম্পর্ক অনৈতিক ও বেআইনি’, মত এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পছন্দের সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে একত্রবাস করতে পারেনা নাবালক নাবালিকারা। ১৮ বছরের কম বয়সীদের একত্রবাস শুধু অনৈতিক নয় এবং তা বেআইনিও বটে। একটি লিভ-ইন মামলার শুনানি চলাকালীন এমনটাই পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)।

    মামলার বিস্তারিত বিবরণ

    একসঙ্গে থাকার অনুমতি চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) মামলা দায়ের করেছিল ১৭ বছর বয়সী আলি আব্বাস এবং তার ১৯ বছর বয়সী লিভ-ইন পার্টনার সালোনি যাদব।  সেই মামলাটির শুনানি এতদিন চলছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের(Allahabad High Court) বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি রাজেন্দ্র কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার শুনানি চলাকালীন আব্বাস আলী এবং সালোনির এই আবেদন খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ এবং ৩৬৬ ধারায় এই মামলা দায়ের করেছিল ওই দুই লিভ-ইন পার্টনার।

    আরও পড়ুন: ‘‘নন্দীগ্রামে শীঘ্রই শুরু হবে রেল প্রকল্পের কাজ’’, বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম

    কী বলল ডিভিশন বেঞ্চ?

    ডিভিশন বেঞ্চ (Allahabad High Court) এদিন বলে, একত্রবাসের বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। দুই বিচারপতির ডিভিশন জানিয়েছে, কোনও যুগল যদি একসঙ্গে থাকতে চায় তাহলে তাদের দুজনকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। তাদের যদি বিয়ের বয়স নাও হয় তাহলে অন্তত তাদের আঠারো বছর বয়স হতে হবে। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে একসঙ্গে থাকা বৈআইনি এবং অনৈতিক বলে পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত (Allahabad High Court)। আদালত আরও জানিয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের নাবালক বা নাবালিকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং তাদের একত্রবাসে থাকার অনুমতি দেওয়া যায় না। পাশাপাশি আলি আব্বাসের বয়স ১৮ এর নিচে হওয়াতে আদালতের এটাও পর্যবেক্ষণ যে পক্সো আইন শুধুমাত্র মেয়েদের ওপর যৌন শোষণের ক্ষেত্রেই বিচার্য নয়, এটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ আইন। তাই স্বাভাবিকভাবে নাবালক নাবালিকা একসঙ্গে থাকলে তা পক্সো আইনের ধারায় মামলাযোগ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Startup Festival: চলতি মাসে বেঙ্গালুরুতে স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যাল! লক্ষ্য গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন

    Startup Festival: চলতি মাসে বেঙ্গালুরুতে স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যাল! লক্ষ্য গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ বেঙ্গালুরুতে হতে চলেছে স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যাল (Startup Festival)। তিনদিনের এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতারা। এবং তাঁরা সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার। এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ইন্ডিয়ান স্টার্টআপ ফাউন্ডেশন (Startup Festival)। প্রসঙ্গত এই সংস্থা একটি এনজিও কোম্পানি যেটি ভারতের স্টার্টআপ ইকো সিস্টেমের উন্নয়নের উপর কাজ করে।  জানা গিয়েছে, দশ হাজারের উপর স্টার্টআপ সংস্থা এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করবে, শুধুমাত্র ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থাই নয়। এর পাশাপাশি ব্রিটেন এবং জাপান সমেত অন্যান্য বিদেশি স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে এই ফেস্টিভ্যালে। ৫০০ এর বেশি বিনিয়োগকারীকে এখানে দেখা যাবে।

    স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্য (Startup Festival)

    ইন্ডিয়ান স্টার্টআপ ফাউন্ডেশনের কনভেনার এবং চেয়ারম্যান জে এ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই ফেস্টিভ্যাল (Startup Festival) হতে চলেছে একটি ভাইব্রান্ট হাব। যেখানে সমস্ত স্টার্ট আপ কমিউনিটি নিজেদের জন্য বিপুল শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একশোর উপর স্টার্টআপ সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে। তাদেরকে একটা মূলমঞ্চে স্থান দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে থেকে শীর্ষস্থান অধিকারকারী দশটি সংস্থাকে ক্যাশ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।’’

     আইএসএফ সংস্থার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ ভারতে যে সমস্ত বাধা গুলি রয়েছে সেগুলিকে কাটিয়ে তোলা এবং কৃষি, খাদ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে গ্রামীণ উদ্যোগপতি তৈরি করা। ভারতের মতো দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতেই হবে এবং নতুন নতুন সুযোগ এবং কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’’

    কারা হাজির থাকবেন এই ফেস্টিভ্যালে? 

    প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান স্টার্টআপ ফাউন্ডেশনের (Startup Festival) এমন উদ্যোগ গত বছরই নেওয়া হয়েছিল। এবং সেই ফেস্টিভ্যালে ২ হাজারের উপর স্টার্টআপ সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিল বলে জানা গিয়েছে। চলতি অগাস্ট মাসে কর্নাটকের এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে, সত্য সাঁই ইউনিভার্সিটি ফর হিউম্যান এক্সেলেন্সের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন সাঁইকে।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি এখানে হাজির থাকবেন। কর্নাটকের ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে এখানে উপস্থিত থাকবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth Certificate: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    Birth Certificate: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অধিবেশনে সংসদে পাশ হল ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। জানা গিয়েছে, এবার থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের (Birth Certificate) মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা, ভোটার তালিকায় নাম তোলা, আধার কার্ড পাওয়া, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন, সরকারি চাকরিতে যোগ, পেনশনের আবেদন করা, আইটি ফাইল প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলটি আইনে পরিণত হলে অনেক সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। পাসপোর্ট থেকে আধারের আবেদন করার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হবে এই বার্থ সার্টিফিকেট। প্রসঙ্গত এর আগে, জন্মের তারিখ এবং জন্মের স্থান প্রমাণ করার ক্ষেত্রে একাধিক নথি পেশ করতে হত। নয়া বিলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে।

    জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস  তৈরি করতে সাহায্য করবে এই বিল 

    জানা গিয়েছে এই বিল জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে। এরফলে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যাবে। এর ফলে ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া (Birth Certificate) আরও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিহবহাল মহলের একাংশ। এই বিলটি গত মাসের ২৬ তারিখ সংসদে পেশ করা হয়েছিল। ১ অগাস্ট সেটি পাশ হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। 

    কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী?

    ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তাঁর মতে, ‘‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট’, ১৯৬৯-কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা সংশোধন করা হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবাকে আরও নাগরিক বান্ধব করে তুলতে সংশোধন প্রয়োজন। তাই এই বিল (Birth Certificate) আনা হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেই এই আইন সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করা হয়েছে। এই নয়া বিলে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের বিধান যুক্ত হয়েছে। আবার অনলাইনেই বার্থ সার্টিফিকেট ডেলিভার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। বলা হচ্ছে, এটা নাকি জাতি সংঘর্ষেরই ভয়ঙ্কর পরিণতি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি তাই? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় ষড়যন্ত্র, এবং বিজেপি সরকারকে ফেলে দিয়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার নোংরা রাজনীতি? যত দিন যাচ্ছে, এটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, ড্রাগ বা মাদকের আন্তর্জাতিক চোরাকারবার, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা এবং সর্বোপরি বিদেশি শক্তি, বিশেষত চিনের অঙ্গুলি হেলনেই এখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।

    হাইকোর্টের রায় দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে (Manipur Violence) বিক্ষোভকারীরা

    মণিপুরের ভৌগোলিক যা অবস্থান, তাতে ৯০ শতাংশ হল পাহাড়ি এলাকা, ঘন জঙ্গল এবং চিন, মায়ানমারের সীমান্ত। সবদিক থেকে আফিম চাষের আদর্শ জায়গা। তাই একদিকে আফিমের চাষ যেমন রমরম করে হয়ে আসছে, তেমনি সীমান্ত দিয়ে এর চোরাচালানের কারবারও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে দিনের পর দিন। ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে এটা হল গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল। আর ঠিক এই জায়গাতেই আঘাত হানতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি শাসিত সেখানকার সরকার। নিজেদের বেআইনি সাম্রাজ্যে কোপ পড়তেই গোটা মণিপুরকে অশান্ত করার নোংরা খেলায় (Manipur Violence) নেমে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি। এই রকম একটা অবস্থায় আগুনে ঘি পড়েছে সেখানকার হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ে।

    কী বলা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে?

    এই রাজ্যে বাস করেন প্রায় ৩৪ টি জনজাতি সমাজের মানুষ। এঁদের মধ্যে নাগা, কুকি, মিজো, মেইতি উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সবথেকে বেশি হলেন মেইতি গোষ্ঠীর, যাঁরা মূলত সমতল অঞ্চলে বসবাস করেন। এই মেইতিরা মণিপুরের মোট যা এলাকা, তার ১০ শতাংশ অঞ্চলে বসবাস করেন। মণিপুরে বহুদিন ধরেই তাঁরা তফশিলি উপজাতির (ST) স্বীকৃতির দাবি করে আসছিলেন। আর এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে মেইতি-বিরোধী আদিবাসীরা। গত এপ্রিল মাসে মণিপুর হাইকোর্ট মেইতিদের তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য সেখানকার রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভাবনাচিন্তা করার নির্দেশ দেয়। একদিকে কালো কারবারে সরকারের থাবা, অন্যদিকে নিজেদের বসবাসের এলাকাতেও আধিপত্য খর্ব হওয়ার আতঙ্ক, এই দুটি কারণে তারা হইহই করে মাঠে নেমে পড়ে। ৩ মে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ মণিপুর নামে সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়। তাতে নেতৃত্ব দেন কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতারা। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরের কাছে তোরবুং এলাকায় প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়। ধীরে ধীরে আগ্নিগর্ভ হতে শুরু করে মণিপুর। একে একে তোরবুং, গোবিন্দপুর, সাবাল মানিং, মামাং লেইকাই, কাংভাই, ফুবাকচাওতে বাড়িঘরে আগুন দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ। মণিপুরে যে ব্যাপক হিংসা (Manipur Violence) হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের প্রাণ গেছে। ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে হিংসার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। মিজোরামের একটি রিপোর্টে বলা হয়, মণিপুর থেকে মোট ৬৫০০ মানুষ নিজের বাড়িঘর ছেড়ে মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

    সংরক্ষণ কেন চান মেইতিরা (Manipur) আর কেন ক্ষুব্ধ (Manipur Violence) কুকিরা?

    মেইতিদের কাছে একটি স্পষ্ট তত্ত্ব হল, জনসংখ্যার তত্ত্ব। ১৯৫১ সালে মণিপুরে মেইতিদের জনসংখ্যার অনুপাত ছিল ৫৯ শতাংশ। আর ২০১১ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে। ফলে মণিপুরের জনজাতি হিসাবে কুকিরা তাঁদের জল-জঙ্গল-জমি দখল করছে বলেই মেইতিদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, এমনটাই দাবি তাঁদের। তাই মেইতিরা তাঁদের সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং জনজাতির পদমর্যাদা চান। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং বিজেপি সরকারকে মেইতি সমাজের প্রত্যক্ষ সমর্থক বলে অভিযোগ করছেন কুকিরা। এমনকী কুকি সমাজের এক রাজনৈতিক নেতা বলেন, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী কুকি বিরোধী! তাই আমাদের আন্দোলন চলবে। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, শুধু জল-জঙ্গল-জমি নয়, সংরক্ষণের কারণে পুলিশ-প্রশাসনে তাঁরা যে সব সুবিধা ভোগ করে আসছেন, তাতেও ভাগ বসাবে মেইতিরা। মেইতিরা ধীরে ধীরে আরও ক্ষমতাবান হয়ে উঠবে। পাশাপাশি মেইতি জনগোষ্ঠীর মানুষ পাল্টা কুকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সমস্ত হিংসার পিছনে কুকিদের অস্ত্র কারবার, চোরাকারবার, মাদক পাচার, মাফিয়া, দুষ্কৃতী এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। ফলে দুই গোষ্ঠীর দাবি-পাল্টা দাবি ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত আগে থেকেই।

    মাদক চক্র কতটা প্রভাবশালী (Manipur Violence)?

    মণিপুরের এই অশান্তির (Manipur Violence) পিছনে সেখানকার মাদক চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক চোরাকারবারের প্রত্যক্ষ প্রভাব আছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলও মনে করছে। মণিপুর (Manipur) সরকারের সূত্র অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৮৬৬৪ একরের বেশি আফিম চাষ ধ্বংস করেছে বিজেপি শাসিত সরকারের পুলিশ। এর বেশির ভাগটাই করা হত পার্বত্য জেলায়। আবার ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৮৮৯ একর আফিম চাষ ধ্বংস করেছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। মণিপুরের এই মাদক চক্র শুধু ভারতেই নয়, মায়ানমার হয়ে লাওস, থাইল্যান্ড, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র হিসাবে কাজ করছে। তাই মণিপুরে মাদক চাষ বন্ধ হলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে চিন সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মাদক চোরাচালানে। আর সেই কারণেই সাময়িক ভাবে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। মণিপুরের আগের সরকারগুলি, বিশেষ করে কংগ্রেস সরকারের আমলে আইন হলেও, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট ১৯৮৫, মাদক চোরাচালান রোধে তেমন কার্যকর হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী এবং কংগ্রেসের নেতাদের আর্থিক লাভে ভাটা পড়েনি। বর্তমানে বিজেপি সরকার এই অবৈধ মাদক চাষ এবং চোরাচালান রোধে কঠোর মনোভাব নিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের আড়ালে সক্রিয় হয়ে পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর করে তোলা হচ্ছে। মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম দিল্লিও (MTFD) মণিপুরের হিংসা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলেছে, আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়ারা অতি সক্রিয় হয়েছে এখানে। 

    উল্লেখ্য মণিপুরে সাসপেনশন অফ অপারেশন এগ্রিমেন্ট (SoO) স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে কুকিদের সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মণিপুর এবং ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই কুকি সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরাই মেইতিদের মন্দির, ধর্মস্থলে হিংসাত্মক আক্রমণ করেছিল। অসম রাইফেল এই ঘটনায় বিশেষ অপারেশনও করেছিল। অভিযোগ আরও ওঠে যে এই কুকির সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরা বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং মিজোরাম থেকে অবৈধ আফিম, গাঁজা, কোকেন, হেরোইন, ইয়াবা মাদক চোরাচালানের কাজ করে থাকে। এছাড়াও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী পাচারের মোটা অর্থ কুকিদের এই জঙ্গি সংগঠনকে সতেজ রাখে। সেই রসদে ভাটা পড়তেই বিক্ষোভ, হিংসাত্মক আন্দোলন।

    আসলে বিজেপি সরকারকে সরিয়ে পাহাড় এবং মাদকের কারবারের রাশ পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনাই যা আন্দোলনকারীদের মূল লক্ষ্য, তা এখন অনেকের কাছেই পরিষ্কার। চিনের হাত মাথায় থাকায় এই কাজে বিক্ষোভকারীরা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তথ্য বলছে, চোরাকারবারের কিং পিন যারা, তারা আসলে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী। মণিপুর এবং মিজোরামে কাজ করা চায়না ন্যাশনাল আর্মি (সি এন এ) এবং জোমি রিভলিউশনারি আর্মির (জেড আর এ) সঙ্গে এদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। এদের কাছ থেকে অস্ত্র এবং অর্থ পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কে এন এ)।  

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের বক্তব্য (Manipur Violence)

    অপর দিকে দেশের প্রাক্তন সেনা প্রধান এমএম নরভানেও দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে মণিপুরের হিংসার (Manipur Violence) পিছনে বহিরাগত চিনের বিশেষ শক্তি মদত দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবাদী সংগঠনকে পরিচালনা করছে বাইরের শক্তি। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা যেমন একটা বড় সমস্যা, তেমনি আমাদের দেশের অভ্যন্তরে কোনও সীমান্তবর্তী এলাকার সমস্যাও আমাদের জন্য আরও খারাপ। দেশের জাতীয় সুরক্ষা নীতিকে সুরক্ষিত রাখা একান্ত প্রয়োজন। বাইরের শত্রুর সঙ্গে সেনা লড়াই করছে, কিন্তু ভিতরের শত্রুর সঙ্গে নাগরিকদের লড়াই করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ভীষণ প্রয়োজন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, জানাল আরবিআই

    2000 Notes: ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে বাজারে থাকা দু হাজার টাকার নোটের মোট ৮৮ শতাংশই তাদের কাছে ফিরে এসেছে। যার মূল্য ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। এবং সেখানে বলা হয় যে বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট (2000 Notes) তুলে নেওয়া হবে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় চলতি বছরে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোটগুলি ব্যাঙ্কে এসে হয় বদল করে নিতে হবে অথবা অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে।

    নোট বদলের থেকে জমা করার প্রবণতা বেশি

    সবে অগাস্ট মাস শুরু হয়েছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এখনও পর্যন্ত দুই মাস বাকি রয়েছে নোট জমা বা বদলের জন্য।  অথচ তারই মধ্যে ৮৮ শতাংশ নোট ফিরে চলে এসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব বলছে, ১৯ মে পর্যন্ত বাজারে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকার মূল্যের ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোট চালু ছিল। যার মধ্যে তাদের কাছে ফিরে এসেছে  ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ব্যাঙ্কে এসে নোট বদল করার চেয়েও জমা করার প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। ব্যাঙ্কে নোট জমা করার প্রবণতা বেশি হওয়ায় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,‘‘এর ফলে ব্যাঙ্কের কাছে নগদের যে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল, তা অনেকটাই কাটবে এবং দেশের মানুষের নোট জমা করার প্রবণতার ফলে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে বাড়তে থাকবে ডিপোজিট।’’

    ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও অবৈধ হবেনা ২,০০০ টাকার নোট (2000 Notes)

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসের ৮ তারিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেও নোট জমা না পড়লে তা অবৈধ হয়ে যাবে না। ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোট বদল করা বা জমা করার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সে সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।’’ অর্থাৎ কিনা নোট বদল করার থেকেও জমা করার প্রবণতা বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Betla Forest: অরণ্য দর্শন বা জঙ্গল সাফারির আদর্শ ডেস্টিনেশন ‘বেতলা’

    Betla Forest: অরণ্য দর্শন বা জঙ্গল সাফারির আদর্শ ডেস্টিনেশন ‘বেতলা’

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: পশ্চিমবঙ্গের একদম প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যেরই এক অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল লাতেহার জেলার বেতল। পোশাকি নাম যদিও বা “পালামৌ”, কিন্তু অরণ্য প্রেমিক পর্যটকদের কাছে এর পরিচিতি “বেতলা” (Betla Forest) নামেই। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহোদর সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উক্তি “বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ” এই পালামৌকে কেন্দ্র করেই লেখা। বিখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর বিভিন্ন উপন্যাসে অতীব সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে এই লাতেহার জেলার বেতলা, কেচকি, মহুয়াডার, ছিপাদোহর, কেড়, গাড়ু-র অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এখানকার সহজ, সরল আদিবাসী মানুষের জীবনের কথা।

    যাবেন কীভাবে (Betla Forest)?

    কলকাতা থেকে সরাসরি যাওয়ার জন্য চেপে বসতে হবে হাওড়া-ভূপাল এক্সপ্রেস অথবা শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেসে। নামতে হবে ডাল্টনগঞ্জ অথবা তার আগের স্টেশন বারাওডি-তে। এই দুই জায়গা থেকেই গাড়িতে যেতে হবে বেতলা। দূরত্ব ডালটনগঞ্জ ২৪ এবং বারাওডি ১৬ কিমি।

    কোথায় থাকবেন (Betla Forest)?

    বেতলায় (Betla Forest) থাকা খাওয়ার জন্য রয়েছে ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজম বা জেটিডিসি-র হোটেল বনবিহার (কলকাতা অফিস: ঊষা কিরণ বিল্ডিং, ১২/ এ , ক্যামাক স্ট্রিট , কলকাতা ১৭ )। এছাড়া বেতলা, মারুমাড় প্রভৃতি স্থানে রয়েছে ট্রি হাউস, বন বাংলো প্রভৃতি। এগুলি বুকিং করার জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই ঠিকানায়- ডিএফও, ডালটনগঞ্জ (দঃ) ফরেস্ট ডিভিশন, ডালটনগঞ্জ টাইগার প্রোজেক্ট, পালামৌ ন্যাশনাল পার্ক, ডালটনগঞ্জ ৮২২১০১। অথবা ফোন করা যেতে পারে ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে।

    কী কী দেখবেন (Betla Forest)?

    বেতলা ভ্রমণের মূল কারণই হল অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শন এবং অবশ্যই অরণ্য দর্শন বা জঙ্গল সাফারি। ১৯৮৬ সালে জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্কের শিরোপা লাভ করে বেতলা।ভারতের ৯ টি জাতীয় উদ্যান এবং ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্যতম এই অরণ্য (Betla Forest)। ১০২৬ বর্গ কিমি আয়তন বিশিষ্ট এই জাতীয় উদ্যানের ২১৩ বর্গ কিমি অঞ্চল কোর এরিয়া। বাকিটা বাফার জোন। মূলত পলাশ, মহুয়া, বাঁশ, করৌঞ্জিয়া গাছের নিবিড় অরণ্যে বাস চিতল হরিন, শম্বর, গউর, বাইসন, বার্কিং ডিয়ার, বন্য শূকর, জংলি কুকুর, বন বিড়াল, আর দামাল হাতির পাল। বাঘও আছে এই ব্যাঘ্র প্রকল্পে। তবে শারদুল মহারাজের দর্শন লাভ কিন্ত কপাল ভালো থাকলে তবেই সম্ভব। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ১৯৩২ সালে এই অরণ্যেই হয় ভারতের প্রথম ব্যাঘ্র গণনা।
    এছাড়াও এখানে দেখা মেলে হরেক রঙের, হরেক কিসিমের পাখির, যার মধ্যে রয়েছে ময়ূর, হর্নবিল, বনমোরগ, কোয়েল, বিরল প্রজাতির ঈগল প্রভৃতি। এখানে জঙ্গল সাফারির জন্য ফোন করতে পারেন ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে।

    জঙ্গল সাফারি শেষ করে চলে আসুন মাত্র ৫ কিমি দূরে আর এক অপূর্ব সুন্দর স্থানে “কেচকি”। দূরে দূরে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি, ইতস্তত বিক্ষিপ্ত গাছ গাছালির সারি, আর মাঝে কিশোরীর উচ্ছলতায় বয়ে চলেছে কোয়েল নদী। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এই কেচকিতেই শ্যুটিং হয়েছিল বিশ্ব বরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিশ্ব বন্দিত ছবি, আর এক যশস্বী সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ছবি “অরণ্যে  দিনরাত্রি”। একই সঙ্গে দেখে নিন প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে চেরো রাজা মেদিনী রায়ের দূর্গের ভগ্নাবশেষ, বড়াডিহার শিবমন্দির, কেচকির খুব কাছেই কোয়েল এবং ঔরঙগা নদীর সঙ্গম, বাসুদেব মনডল ড্যাম, সেভেন রিভার পয়েন্ট, কোয়েল ভিউ পয়েন্ট, কুসুম বন বাংলো প্রভৃতি। আর বেতলা থেকে নেতারহাট যাওয়ার পথেই পড়বে দুটি অনন্য সুন্দর স্পষ্ট, লোধ ফলস এবং সুগা বাঁধ। ঘন অরণ্যের মাঝে অবস্থিত এই লোধ ফলস মহুয়াডার থেকে প্রায ১৪ কিমি দূরে। বুরহা নদীর জলধারা থেকে সৃষ্ট এই লোধ ফলস ঝাড়খণ্ড রাজ্যের উচ্চতম এবং ভারতের ২১ তম উচ্চতম ফলস। প্রায় ১৪৩ মিটার উচ্চতা থেকে পাথরের বুকে ধাক্কা খেতে খেতে নেমে আসছে জলধারা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। আর মারুমার থেকে ২০ কিমি দূরে বারেসাদ। এখানে রয়েছে সুগা বাঁধ। এই দুটি স্পট দেখে এই পথেই চলে যেতে পারেন নেতারহাট। ফেরার পথে ইচ্ছে হলে চলে যাওয়া যায় রাঁচি। প্রয়োজনে রাঁচি থেকেই ট্রেন ধরে ফিরে আসা যায় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Assam: ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ! অসম পুলিশের জালে ২ রোহিঙ্গা পাচারকারী

    Assam: ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতে অনুপ্রবেশ! অসম পুলিশের জালে ২ রোহিঙ্গা পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ভারতে রোহিঙ্গা মুসলিম পাচার! দুই অভিযুক্ত দালালকে ত্রিপুরা থেকে গ্রেফতার করল অসম পুলিশের এসটিএফ। ২৯ জুলাই গ্রেফতার হওয়া এই দুই যুবকের নাম সাগর সরকার এবং কাজল সরকার। তাদেরকে পশ্চিম ত্রিপুরার মোহনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অসম (Assam) পুলিশের এসটিএফ এক বাংলাদেশি নাগরিককেও শনাক্ত করতে পেরেছে। অসম (Assam) পুলিশ হানা দেয় অভিযুক্ত কাজল সরকারের বাড়িতে। এবং সেখান থেকে এসটিএফ টিম একজন বাংলাদেশি নাগরিককে শনাক্ত করে যার নাম বিষ্ণুচন্দ্র মণ্ডল। পরবর্তীকালে তাকে ত্রিপুরা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    রোহিঙ্গা পাচার 

    রোহিঙ্গা পাচারের অভিযোগে অসম (Assam) পুলিশ গতবছরই শিলচরে একটি এফআইআর করে। এবং তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ। এসটিএফ টিম তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে নটি আধার কার্ড, দুটি প্যান কার্ড এবং কিছু বাংলাদেশি নথি। পাশাপাশি বাংলাদেশের টাকাও উদ্ধার হয়েছে কাজল সরকারের বাড়ি থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ একটি চার্জশিট পেশ করেছে। যেখানে ৬ জন ভারতীয় নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশ থেকে এদেশে রোহিঙ্গা পাচারে জড়িত। এনআইয়ের এই মামলা গুয়াহাটিতে চলছে। ২০২২ সালের ৪ জুন, ৬ জন ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ৩৭০(৩) ৩৭০(৫) ধারায় মামলা লাগু করা হয়েছে।  রোহিঙ্গা পাচারের পাশাপাশি যৌন শোষণ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত ষড়যন্ত্রের মামলাও দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে ভুয়ো নথি নিয়ে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার অভিযোগে এনআইএ ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে একটি মামলা দায়ের করে। মানব পাচারের অভিযোগে কুমকুম আহমেদ চৌধুরী, আশিকুল আহমেদ, বাপন আহমেদ চৌধুরী, শাহ আলম লস্কর, জামালউদ্দিন চৌধুরীদের নামে মামলা দায়ের হয়। জানা গিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই অসমের (Assam) কাছার জেলার বাসিন্দা। 

    কী বললেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী? 

    প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন যে অসম একটা রোহিঙ্গা পাচারের ফ্রী করিডরে পরিণত হয়েছে। এবং বাংলাদেশ বা অন্যান্য স্থান থেকে রোহিঙ্গারা অসম হয়ে দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর এবং কাশ্মীরে যাচ্ছে। কিছু মানব পাচারকারীর তাদেরকে সাহায্য করছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরা পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে রোহিঙ্গা পাচার মামলায় কাজ করে চলেছে অসম পুলিশ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসের ১১ তারিখে আগরতলা কোর্টে পাঁচজন বাংলাদেশী নাগরিককে আদালত জেলে পাঠায়। যাদের মধ্যে দুজন মহিলা ছিল। রেলওয়ে পুলিশ ১০ জুন আগরতলা-বেঙ্গালুরু হামসফর এক্সপ্রেস থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। যাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে। তারা হল, শফিকুল ইসলাম, মোঃ রফিক, মমতাজ আখতার, রোজিনা বেগম এবং শাহ আলি শেখ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে স্থানীয় দালালদের সাহায্যে তারা ভারতে প্রবেশ করে। এবং সেই দালালরা কুড়ি হাজার টাকার বিনিময়ে গোপন পথে তাদেরকে ভারতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Sudha Murty: সুধা মূর্তি বাইরে গেলে ব্যাগে নিজের খাবার নিয়ে যান! কেন জানেন?

    Sudha Murty: সুধা মূর্তি বাইরে গেলে ব্যাগে নিজের খাবার নিয়ে যান! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছেন সুধা মূর্তি (Sudha Murty)। সম্প্রতি একটি শো-তে দেশের বাইরে নিজের খাওয়াদাওয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। আর সেই মন্তব্যেই বিতর্কের ঝড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

    কে এই সুধা মূর্তি (Sudha Murty)?

    সুধা মূর্তি (Sudha Murty) একজন প্রবীণ ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষিকা এবং একইসঙ্গে একজন কন্নড় ও ইংরেজিতে বিখ্যাত লেখিকা। প্রথম জীবন একজন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষিকা ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী হিসেবে শুরু করেন। তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন এবং গেটস ফাউন্ডেশনের জনস্বাস্থ্য সেবা উদ্যোগের একজন  সদস্য। সুধা মূর্তি বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের শাশুড়ি।

    কেন তাঁকে (Sudha Murty) নিয়ে হঠাৎ বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়?

    সম্প্রতি ‘খানে মে কৌন হ্যায়’ নামক এক শো-তে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে তিনি (Sudha Murty) তাঁর অনেক বক্তব্যের মাঝে একটি বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি বলেন, বিদেশে গেলে তাঁর খাবার-দাবারের বিষয়ে অনেক বাছ-বিচার আছে। তিনি বিদেশ ভ্রমণ করার সময় নিজের সাথে একটি আলাদা ব্যাগে খাবার এবং খাবার তৈরির সরঞ্জাম সঙ্গে করে নিয়ে যাত্রা করেন। তাঁর বক্তব্য অনুসারে তিনি নিরামিষ ভোজী। তাই এই পথ অবলম্বন করেন। একই চামচ নিরামিষ ও আমিষ খাবারে ব্যবহার হওয়ায় তিনি ভয় পান বাইরের খাবার খেতে, যেহেতু পিয়াজ-রসুন থেকে তিনি দূরেই থাকেন। তিনি আরও বলেন, আমি যখন বিদেশে যাই, একসঙ্গে ২৫-৩০ টা চাপাটি বানিয়ে নিই। আর নিই ফ্রাই করা সুজি। শুধু একটু গরম জল মিশিয়ে নিলেই ‘রেডি টু ইট’। এমনকি একটি ব্যাগে তাঁর সঙ্গে থাকে ছোট্ট একটি কুকারও। আর এই সব মন্তব্যের জন্যই চরম পরিমাণে ট্রোল হতে হয়েছে সুধা মূর্তিকে।

    তাঁকে (Sudha Murty) উদ্দেশ্য করে কে কী বললেন?

    কিছু ট্যুইটার ব্যবহারকারী তাঁকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, “তিনি একজন প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ কাস্টেস্ট মহিলা”। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি। আরও একজন ইউজার লেখেন, “এত সমস্যা নিয়ে বিদেশে ভ্রমণ করেন কেন? কেন সারাজীবন ভারতীয় গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন না? ডলারের জন্য গরুর মাংস খাওয়া ওয়েস্ট কান্ট্রিতে পা রাখবেন না।” 
    এসবের মাঝে অনেকে সুধা মূর্তির পক্ষেও কথা বলেছেন। অনেকে জানান, এটি তাঁর (Sudha Murty) সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিন পিয়াজ-রসুন খান না, নিরামিষ খান। সেই কারণেই তিনি নিজের খাবারের আলাদা ব্যাগ বহন করেন। আর এই বিষয়টিকে এত ছোট করে দেখাটা একটা বোকামি, এটি সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ITR Refund: ঘরে বসে কীভাবে দেখবেন নিজের আইটিআর রিফান্ডের স্ট্যাটাস? জেনে নিন

    ITR Refund: ঘরে বসে কীভাবে দেখবেন নিজের আইটিআর রিফান্ডের স্ট্যাটাস? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করদাতাদের (ITR Refund) জন্য জুলাই মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। ৩১ জুলাই পর্যন্ত কোনওরকম পেনাল্টি ছাড়া আইটিআর (ITR Refund) জমা করার সুযোগ রয়েছে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের আইটিআর পূরণের কাজ চলছে। যাঁরা এখনও পর্যন্ত নিজেদের আয়কর জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কী করবেন! সে নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।  আবার অন্যদিকে, যাঁরা আয়কর জমা করেছেন এবং তার স্ট্যাটাস দেখে নিতে চান, তাঁরাও সহজেই তা দেখতে পারবেন। এবং এই স্ট্যাটাস দেখতে আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে না। আজকের দিনে ঘরে বসেই দেখে নিতে পারবেন, আয়কর জমার (ITR Refund) ক্ষেত্রে আপনার বর্তমান স্ট্যাটাস।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে, বাড়ি ফিরে বললেন অপহৃতরা

    করদাতাদের জন্য নতুন কিছু সুবিধা

    করদাতাদের কথা মাথায় রেখে নতুন পরিষেবা এনেছে আয়কর দফতর। এতে মিলছে দারুণ সুবিধা। সহজ হয়ে করদানের প্রক্রিয়া। আয়কর দফতরের পোর্টালে মিলছে এই নতুন সুবিধা। এই সুবিধার দরুন যেকোনও করদাতা ঘরে বসেই তাদের রিফান্ড স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। এই রিফান্ডের চেক করদাতারা করতে পারেন TIN-NSDL ওয়েবসাইটের দৌলতে। আয়কর দফতর জানিয়েছে, যদি কোনও করদাতা তাঁর করের পরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা কর দিয়ে থাকেন, তবে অতিরিক্ত টাকা তিনি রিফান্ড হিসাবে পেয়ে যাবেন। যে সমস্ত করদাতারা আয়কর জমা (ITR Refund) করেছেন তাঁরা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় তা চেক করে নিতে পারেন।   

    কীভাবে দেখবেন নিজের স্ট্যাটাস

    প্রথমে আয়কর দফতরের e-filing portal-এ যেতে হবে। 

    এখানে নীচের দিকে দেখা যাবে ‘Your Refund Status’, এতে ক্লিক করুন।

    এরপর নিজের প্যান নম্বর, আর্থিক বছর এসব দিন।

    এবার আপনি একটি ওটিপি পাবেন। এটা ওয়েবসাইটে দিতে হবে।

    এরপরেই আপনার বর্তমান স্ট্যাটাস (ITR Refund) দেখা যাবে সহজেই।  
        
    যদি আপনার আয়কর জমায় কোনও সমস্যা না থাকে, তখন স্রিনে উঠবে  ‘Record Not Found’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share