Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। সোমবারই উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। বাতিল করা হয় ১৭টি ট্রেন। রাজধানী দিল্লির একাধিক জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমেছে। এছাড়াও  জলমগ্ন হয়ে রয়েছে একাধিক শহর। জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ সর্বত্র এক চিত্র। অতি ভারী বৃষ্টির জেরে সোমবার পর্যন্ত চলে গিয়েছে ২৪টি তরতাজা প্রাণ। মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাব বলছে মৃতের সংখ্যা ৩৯। মধ্যপ্রদেশে ফুঁসছে নর্মদা, হিমাচলে বিপাশা, দিল্লিতে যমুনা। অনেক পরিবার জলস্তর বৃদ্ধির কারণে আটকে পড়েছে। তাদের ড্রোনের মাধ্যমে খাবার সমেত অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক-সহ একাধিক রাস্তা। হিমাচলের প্রশাসন বলছে, সে রাজ্যের ছোট-বড় সাতশো রাস্তা বর্তমানে জলের তলায়। হিমালয় ঘেঁষা রাজ্যগুলিতে ধস নেমেছে জায়গায় জায়গায়। ঘরবাড়ি, গাড়ি সব কিছুই জলের স্রোতে ভাসছে একাধিক জায়গায়। আপাতত কয়েকদিন একনাগাড়ে এমন বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    ফুঁসছে যমুনা ও বিপাশা… 

    রাজধানী দিল্লিতে যমুনা নদী বিপদসীমা পার করে বইছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৩ মিটারে, মঙ্গলবার সকালে তা ২০৬.২৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) হরিয়ানাতেও বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে। হরিয়ানা থেকে জল ছাড়ার ফলেই ফুঁসছে যমুনা। সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হিমাচল প্রদেশের। সেখানে বিপাশা নদীর স্রোতে সব কিছু ভেসে যাচ্ছে। বিপাশার গ্রাসে জলে গিয়েছে ঘরবাড়ি, জাতীয় সড়ক। একাধিক জায়গায় বিপাশার রোষে খেলনার মতো ভাসছে ঘরবাড়ি, গাড়ি। জনবহুল এলাকাতেও জল ঢুকে গিয়েছে। হিমাচলে বেড়ে চলেছে হড়পা বানের তাণ্ডব। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধসে গিয়েছে বাড়ি। মানালি, কুলু, কিন্নৌর, চাম্বা এই শহরগুলির অবস্থা খুব খারাপ। বিপাশা ছাড়াও ইরাবতী, শতদ্রু, চন্দ্রভাগা, সব নদীর জলস্তরই পার করে গিয়েছে বিপদসীমা। 

    খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

    হিমাচলের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এরকম অবস্থায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজ নিলেন পরিস্থিতির। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা সমস্ত নাগরিককে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে আপদকালীন হেল্পলাইন নম্বর ১১০০, ১০৭০ এবং ১০৭৭ চালু করা হয়েছে।

    দিল্লিতে কন্ট্রোল রুম

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীতে ১৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হরিয়ানার পরিস্থিতি খারাপ (Heavy Rain) হওয়ায় হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে যমুনার ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর। এনিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে দিল্লি সরকার।

    বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর

    লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। কাঠুয়া, সাম্বা সহ একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পর পর তিন দিন বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। রবিবার অমরনাথ যাত্রা ফের শুরু হয়েছিল, তবে তা আবারও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে এখনও। সেখানে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ‘‘চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ’’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Chandrayaan 3: ‘‘চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ’’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি সপ্তাহের শুক্রবারই চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে চলেছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারত হতে চলেছে চতুর্থ দেশ (আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর)। রবিবার এমনই বিবৃতি দিলেন মহাকাশ মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরে ৬ চাকার রোভারটি ১৪ দিন ধরে অনুসন্ধান ও গবেষণা চালাবে বলে জানা গিয়েছে। রোভারটিতে রয়েছে একাধিক ক্যামেরা, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাবে।

    আরও পড়ুন: ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! ল্যান্ডিং কবে, জানিয়ে দিল ইসরো

    মিশনের ৩ উদ্দেশ্য

    মহাকাশ মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশনের তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, এই মিশনের দ্বারা চাঁদের মাটি ছোঁয়া, দ্বিতীয়ত, রোভারটিকে চাঁদের মাটিতে সক্রিয়ভাবে চালানো এবং তৃতীয়ত চাঁদের বিভিন্ন অজানা দিকগুলি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালানো। রবিবার কেন্দ্রীয় মহাকাশ মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মোদি জমানায় মহাকাশ গবেষণায় ভারত এগিয়েছে অনেকটা বেশি। ইসরোর পরিকাঠামোগত অনেক উন্নয়নই হয়েছে মোদি জমানায়। প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মোদির জমানায় মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেসরকারি দরজাও খুলে দেওয়া হয়েছে। মহাকাশ মন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক মার্কিন সফর মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আমেরিকার মতো দেশ যারা আমাদের অনেক আগে মহাকাশ গবেষণা চালাচ্ছে, তারাও আজ ভারতের দিকে তাকিয়ে। আমাদের দেশের সঙ্গে তারা বেশ কয়েকটি মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’’

    মিশনের খুঁটিনাটি

    ২০১৯ সালে ভারত ‘চন্দ্রযান ২’ উৎক্ষেপণ করেছিল। ল্যান্ডিংয়ের আগে, মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযানের। চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও রোভার ‘প্রজ্ঞান’। তারপর চার-চারটে বছর কেটে গিয়েছে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পুরোদস্তুর প্রস্তুতি নিয়ে নামছে ইসরো। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে। এস সোমনাথ বলেন, “আমরা চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সক্ষম হব।” ইতিমধ্যেই, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3) মহাকাশে বহনকারী রকেটের সাথে সংযুক্ত করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে ‘জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’ বা ‘জিএসএলভি মার্ক ৩’ (GSLV Mark 3) রকেটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩’। বুধবার, এই রকেটের মাথায় পেলোড সংযুক্ত করা হয়। এই পেলোডের মধ্যে রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। মূলত তিনটি জিনিস রয়েছে এই মডিউলে। একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার ও একটি প্রোপালসন মডিউল। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে এই পেলোড ফেয়ারিংয়ে ভর করে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল চাঁদের উপরে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে চাঁদের বুকে অবতরণ-পর্ব শুরু করবে ল্যান্ডার ও রোভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত! বন্ধ স্কুল, বাতিল ট্রেন, মৃত ২৪

    Heavy Rain: অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত! বন্ধ স্কুল, বাতিল ট্রেন, মৃত ২৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে উত্তর ভারতে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৃষ্টির কারণে দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে সোমবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলি। অন্যদিক হিমাচলে সোম ও মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে স্কুলগুলি। হিমাচলে এখনও অবধি ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ১৭টি ট্রেন। হিমাচলের ১০টি জেলায় ধসের কারণে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শেষ তিন দিনে হিমাচলের ছোট-বড় সাতশোর বেশি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে ধসের কারণে। 

    বর্ষা ঢোকার পর থেকেই ধস নামতে শুরু করে উত্তর ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে

    বর্ষা ঢোকার পর থেকেই হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে ব্যাপক ধস নামতে শুরু করে। একাধিক জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় ধসের কারণে। দিন কয়েক আগেই হড়পা বানের কারণে উত্তরাখণ্ডে ভেসে যায় একটি সেতু। অতি ভারী বৃষ্টিতে জম্মু-কাশ্মীরে বন্যার সতর্কতাও জারি করে প্রশাসন। মাঝখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রাও। প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে জনজীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত। দিল্লিতে যমুনা নদী এবং মধ্যপ্রদেশের নর্মদা নদী আপাতত ফুঁসছে বলে খবর রয়েছে। এমন অবস্থায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদী তীরবর্তী স্থানগুলিতে। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে নর্মদা নদীর জল বাড়ায় চারজন মানুষ আটকে পড়েন। তাঁদের ড্রোনের মাধ্যমে খাদ্য সমেত অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। রবিবারও রাজস্থান সমেত উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে ভারী বর্ষণের খবর মিলেছে। হিমাচল প্রদেশেও একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বিপাশা নদীর বন্যার কারণে ৬ জন মানুষ আটকে পড়েন। পরে তাঁদের সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে উদ্ধার করা হয়। হিমাচলের একাধিক জনবহুল অঞ্চলে হাঁটু পর্যন্ত জল জমার খবর পাওয়া গিয়েছে।

    ৫০ বছরে রেকর্ড বৃষ্টি উত্তর ভারতে

    ইতিমধ্যে অতি ভারী বর্ষণের (Heavy Rain) ফলে উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যের করুণ চিত্র দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। কোথাও জলে ভাসছে গাড়ি, তো কোথাও বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েছে জল। হাওয়া অফিস বলছে, সাম্প্রতিক অতীতে দিল্লিতে অতি ভারী বর্ষণের এমন নজির দেখা যায়নি। শেষবার এমন প্রবল বর্ষণ দিল্লিতে হয়েছিল ১৯৮২ সালের জুলাইতে। হরিয়ানার আম্বালায় রবিবার বৃষ্টি হয়েছে ৩২২ মিমি। অন্যদিকে দিল্লিতে এর পরিমাণ ১৫৩ মিমি। বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে হিমাচলে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৫ মিমি। পাঞ্জাব হরিয়ানা সমেত সব রাজ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই রাজ্যগুলিতে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lion Safari: নন্দনকাননে পর্যটকদের বাস ঘিরে ধরে ঘুরল সিংহের দল, তারপর?

    Lion Safari: নন্দনকাননে পর্যটকদের বাস ঘিরে ধরে ঘুরল সিংহের দল, তারপর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লায়ন সাফারি’তে (Lion Safari) গিয়ে গর্তে পড়ে গেল পর্যটক বোঝাই বাস। মানুষের গন্ধ পেয়ে দ্রুত ছুটে এল এক পাল সিংহ। বাসের ভিতরে তখন ইষ্টমন্ত্র জপ করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। শনিবার হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নন্দনকাননে। খবর পেয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করেন পর্যটকদের। শিকার হাতছাড়া হওয়ায় জঙ্গলের গভীরে ফিরে যায় হতাশ শ্বাপদের দল।

    ‘লায়ন সাফারি’

    যাঁরা জগন্নাথ দর্শনে পুরী যান, তাঁদের অনেকেই নন্দনকানন চিড়িয়াখানায় ‘লায়ন সাফারি’তে (Lion Safari) যান। ভুবনেশ্বরের ওই চিড়িয়াখানায় পশুরা থাকে মুক্ত পরিবেশে। গহীন অরণ্যে কাছ থেকে হিংস্র পশুর দেখার অভিজ্ঞতাই আলাদা। এই অভিজ্ঞতাই অর্জন করতে গিয়েছিলেন ৩০ জন পর্যটক। চিড়িয়াখানারই একটি বাসে করে লায়ন সাফারিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাস চলতে শুরু করার পরেই আনন্দে আত্মহারা হন পর্যটকরা। কিছু সময় পরে বাস ঢুকে পড়ে জঙ্গলের কোর এরিয়ায়। এখানেই বাস করে পশুরাজের দল। আচমকাই একটি গাড্ডায় পড়ে যায় বাস। বাসটিকে গর্ত থেকে তুলতে অনেক মেহনত করেন চালক। তার পরেও বাস দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।

    চলে এল সিংহের দল

    জঙ্গলের বাতাসে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মানুষের গন্ধ। সেই গন্ধ পেয়েই বাসটির কাছে চলে আসে সিংহের (Lion Safari) দল। গর্জন করতে থাকে শ্বাপদের দল। বাসের চারপাশে ঘুরঘুর করতে থাকে তারা। বাসের ভিতরে তখন পর্যটকদের অনেকেই প্রাণ ভয়ে কাঁদতে শুরু করে দিয়েছেন। সিংহের দল আস্ত খেয়ে ফেলবে ভেবে ইষ্টনামও জপ করতে শুরু করেন পর্যটকদের অনেকেই। এভাবেই কেটে যায় ঘণ্টা দেড়েক।

    আরও পড়ুুন: আরএসএসের প্রাক্তন প্রধানকে নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট দিগ্বিজয়ের, মধ্যপ্রদেশে বিপাকে কংগ্রেস

    খবর পেয়ে নন্দনকানন কর্তৃপক্ষ পাঠান উদ্ধার কারী দল। ওই দলের সদস্যরা প্রথমে সিংহদের (Lion Safari) ফিরিয়ে দেয় তাদের আস্তানায়। পরে অন্য একটি বাসে করে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনেন জঙ্গলের বাইরে। স্বস্তির শ্বাস ফেলেন পর্যটকরা। অবশ্য এই প্রথম নয়, ২০২১ সালেও একবার নন্দনকাননের ভিতরে ঠিক একইরকমভাবে কাদায় আটকে গিয়েছিল পর্যটকদের বাস। অন্য একটি বাস পাঠিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁদের। ওই ঘটনার ঠিক দু বছর পরে ফের একবার একই ঘটনা ঘটায় প্রশ্ন উঠছে চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই। নন্দনকাননের অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিল্ড অফিসার জানান, দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। কীভাবে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সামনেই চার রাজ্যে, তারপর লোকসভা ভোট! হায়দরাবাদে বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    BJP: সামনেই চার রাজ্যে, তারপর লোকসভা ভোট! হায়দরাবাদে বৈঠকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক চলছে হায়দরাবাদে। এদিন সকালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভবনে দলের সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার পৌরোহিত্যে শুরু হয় এই বৈঠক। চলতি বছরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এই আবহে শীর্ষ নেতৃত্বের এমন বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি সূত্রে খবর, এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন ১১টি রাজ্যের দলীয় সভাপতিরা ছাড়াও বিজেপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা।

    তিনটি পৃথক অঞ্চলে ভাগ

    ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে যথেষ্ট ব্যাকফুটে রয়েছে বিরোধীরা। তাদের নেই কোনও নির্দিষ্ট প্রধানমন্ত্রী পদের মুখ। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ফের একবার মোদি সরকার গঠনের। এমন অবস্থায় পুরো দেশকে কয়েকটি সাংগঠনিক জোনে ভাগ করেছে বিজেপি। উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের মধ্যে রাখা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। সূত্রের খবর, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দুটি বৈঠক গত সপ্তাহে হয়ে গিয়েছে। রবিবার চলছে দক্ষিণের বৈঠক।

    কোন কোন জোনে কী কী রাজ্য?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, গুজরাত, দমন দিউ-দাদরা এবং নগর হাভেলি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং হরিয়ানাকে উত্তরাঞ্চল জোনে রাখা হয়েছে। ৫৪৩ সদস্য বিশিষ্ট লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে পূর্বাঞ্চলে রাখা হয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরাকে। অন্যদিকে, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মুম্বই, গোয়া, আন্দামান-নিকোবর এবং লাক্ষাদ্বীপকে দক্ষিণাঞ্চলে রাখা হয়েছে।

    সব বৈঠকেই হাজির ছিলেন নাড্ডা

    এই সব জোনের বৈঠকেই হাজির ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, জোনের অন্তর্ভুক্ত রাজ্যগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং মন্ত্রীরা। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, রাজ্য সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরাও ছিলেন। এই বৈঠকগুলিতে একেবারে মাটির তলায় কীভাবে বিজেপির প্রচার করা যায়, সে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। আগামীদিনের কর্মসূচিগুলির রূপরেখাও তৈরি হচ্ছে এই জোন বৈঠকগুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লির (Delhi Rain) জনজীবন। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির বিরাম ছিল না শনিবারও। রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন অংশ। বহু এলাকায় বাড়িতে ও দোকানের ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। ভোগান্তির শিকার শহরবাসী। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুজল। সেই জল পেরিয়েই কর্মক্ষেত্রে গিয়েছেন বহু মানুষ।

    শহরের জলছবি

    শহরের জলছবির দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর একাধিক রাস্তায় জল থইথই করছে। শহরের অনেক জায়গাই কোমর সমান জল। তার মধ্যেও শহরবাসী সারছেন নিত্যদিনের কাজ। কোমর সমান জল উজিয়েই রিক্সা টানছেন চালক। চলতে চলতে জলের কারণে কোথাও আবার মাঝ রাস্তায়ই অচল হয়ে গিয়েছে গাড়ি।

    জলযন্ত্রণা (Delhi Rain) সহ্য করেই মানুষ গিয়েছেন কাজে। জলের কারণে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গিয়েছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হন স্কুল-কলেজ-অফিসযাত্রীরা। জমা জলের কারণে মিন্টো ব্রিজের আন্ডারপাসে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। যান চলাচল বন্ধ করতে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।

    লুদ সতর্কতা

    শনিবার কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে সারাদিনই। কোথাও কম, কোথাও আবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর। হাওয়া অফিসের তরফে কোনও কোনও এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এদিকে, করোল বাগের টিব্বা কলেজ সোসাইটি এলাকায় (Delhi Rain) দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বছর আঠান্নর মহিলা রঞ্জিত কাউরের। কালকাজি এলাকায় দেশবন্ধু কলেজের পিছনের দেওয়াল ভেঙে পড়ায় প্রায় ১৫টি সৌখিন গাড়ি ও ১২টি বাইক ভেঙে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি”, রাজস্থানের জনসভায় বললেন মোদি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ধারাপাত চলবে আরও দু-তিন দিন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের পর ২৪ ঘণ্টায় একসঙ্গে এত বৃষ্টি হয়নি দিল্লিতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২৬ মিলিমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Vande Bharat: ‘নীল-সাদা’ নয়! এবার ছুটবে ‘গেরুয়া’ বন্দে ভারত

    Vande Bharat: ‘নীল-সাদা’ নয়! এবার ছুটবে ‘গেরুয়া’ বন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিকতা, গ্ল্যামার, বিশ্বমানের সুবিধা, সব কিছুই মেলে বন্দে ভারতে (Vande Bharat)। এই ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের উৎসাহও চোখে পড়ার মতো। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে ২৫টি রুটে ছুটছে বন্দে ভারত। নীল-সাদা রঙের যে ট্রেন দেখতে অভ্যস্ত দেশবাসী, তা এবার বদলে হচ্ছে ‘গেরুয়া’, এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম বন্দে ভারত ছোটে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

    ২৮ তম বন্দে ভারত হতে চলেছে গেরুয়া

    ২৭ তম বন্দে ভারত পর্যন্ত রং ছিল নীলন-সাদা। এবার গেরুয়া রং ‘গায়ে মাখবে’ দেশের ২৮ তম বন্দে ভারত। ইতিমধ্যে সামনে এসেছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ট্যুইট করা নতুন বন্দে ভারতের ছবি। সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে গেরুয়া পোশাকে বন্দে ভারতকে। তবে আগামী দিনে সব বন্দে ভারতকেই ‘গেরুয়া’ করা হরে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী মোদি দুটি নতুন বন্দে ভারতের (Vande Bharat) উদ্বোধন করেন। একটি গোরখপুর থেকে লক্ষ্ণৌ এবং অপরটি সবরমতী থেকে যোধপুর।

    হঠাৎ কেন গেরুয়া হচ্ছে বন্দে ভারত (Vande Bharat)?

    এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের জাতীয় পতাকা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন বন্দে ভারতের রং বদলে গেরুয়া করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলক ভাবে এই রং বদলানো হচ্ছে। শনিবার চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী। শুধু রং বদল নয়, বন্দে ভারতে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। নিরাপত্তার বিষয়েও বেশ কিছু বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বন্দে ভারত এবং অন্যান্য ট্রেনেও এই নিরাপত্তা পদ্ধতি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন রেলমন্ত্রী?

    রেলমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘বন্দে ভারত (Vande Bharat) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ভারতের ইঞ্জিনিয়াররা তা তৈরি করেছেন। বন্দে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে বেশ কিছু সুরক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অ্যান্টি ক্লাইম্বিং ডিভাইস। বন্দে ভারত চালুর পর থেকে আমরা এসি, টয়লেট ইত্যাদি বিষয়ে যে সমস্ত ফিডব্যাক পেয়েছি, তা কার্যকর করা হচ্ছে। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ভাড়া কমছে এসি চেয়ার কার, বন্দে ভারত-সহ সকল এগজিকিউটিভ শ্রেণির ট্রেনে!

    Indian Railway: ভাড়া কমছে এসি চেয়ার কার, বন্দে ভারত-সহ সকল এগজিকিউটিভ শ্রেণির ট্রেনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! এখন এগজিকিউটিভ ক্লাস ট্রেনগুলির (Indian Railway) ভাড়া পকেট সাশ্রয়ী হতে চলেছে, এমনটাই খবর রয়েছে ভারতীয় রেল সূত্রে। জানা গিয়েছে, ভাড়া কমছে বন্দে ভারত-সহ দেশের সমস্ত এগ্‌জিকিউটিভ ক্লাস ট্রেন, ভিস্তাডোম এবং এসি চেয়ার কার ট্রেনের। রেল জানিয়েছে, সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে ভাড়া। ভাড়া কত কমবে সেটা কীভাবে স্থির করা হবে? রেল বলছে, ওই ট্রেনগুলির টিকিট বিক্রির পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে ভাড়া কত কমবে।  শনিবারই ভারতীয় রেলের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি সামনে এসেছে।

    কী বলছে রেল?

    রেলওয়ে বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এসি চেয়ার কার, অনুভূতি এবং ভিস্তাডোম কোচ-সহ সমস্ত এগ্‌জিকিউটিভ ক্লাস ট্রেনে এই ভাড়া প্রযোজ্য হবে। সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল ভা়ড়া কমানো হতে পারে। তবে রিজার্ভেশন চার্জ, জিএসটি-সহ বাকি পরিষেবা মূল্য আলাদা করে নেওয়া হবে।’’ রেল (Indian Railway) এও জানিয়েছে, গত এক মাসে যে ট্রেনগুলির মোট সিটের ৫০ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রি হয়নি, সেগুলিতে নতুন ভাড়া অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। তবে ট্রেনের ভাড়া কত কমবে, তা এবার ঠিক করবেন রেলের বিভিন্ন জোনের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু রেলবোর্ড সিদ্ধান্ত নেবেনা।

    উৎসবের মরসুমে মিলবে না এই সুবিধা

    তবে রেলের তরফে এও বলা হয়েছে, পুজো বা উৎসবের মরশুমে কিন্তু এধরনের ছাড়ের সুবিধা মিলবে না। জানা গিয়েছে, যাত্রীদের ট্রেন যাত্রায় উৎসাহ দিতেই রেলের এই পদক্ষেপ। কারণ, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে, ইন্দোর-ভোপাল, জবলপুর-ভোপাল এবং মাদগাঁও-মুম্বইয়ের মতো নতুন রুটে চালু হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা খুবই কম। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, তারপরেই ট্রেনের (Indian Railway) ভাড়া কমানোর কথা ভাবনাচিন্তা করে রেল মন্ত্রক। তবে যাত্রার সময় যে কোনও স্ট্রেচে তৎকাল অপশন নিলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra: প্রবল বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া! আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা

    Amarnath Yatra: প্রবল বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া! আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরের অনেক অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায়  ধস নামার খবরও মিলেছে। এমন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের মনে হয়েছে অমরনাথ যাত্রা পুণ্যার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এতে সাময়িক বিরতি রাখা হয়েছে। তবে রাজ্যের প্রশাসন এও জানিয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি হলেই আবার যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে। তথ্য বলছে, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৭,২০০ পুণ্যার্থী বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন। শুক্রবার প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, “যাত্রা সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হচ্ছে। অমরনাথ গুহার দিকে কোনও পুণ্যার্থীকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। রাজ্যের প্রসাসন বলছে, গত সাত দিনে ৮৫ হাজার পুণ্যার্থী অমরনাথ গুহা দর্শন করেছেন।

    বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায়

    বৃষ্টির কারণে ধসের আশঙ্কা তো রয়েছেই পাশাপাশি রাস্তার অবস্থাও নানা জায়গায় বেশ খারাপ বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে, প্রবল বৃষ্টিতে নানা জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রাস্তাগুলি গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের সংযোগকারী জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। মেহাদ, শেরি, এবং রম্বন জেলায় ধস নামার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, রম্বন, শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ যাওয়ার রাস্তা সহ একাধিক অঞ্চলে ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে একাধিক জায়গায়।

    শুক্রবারই অমরনাথের (Amarnath Yatra) উদ্দেশে যাত্রা করেন পুণ্যার্থীদের অষ্টম ব্যাচ

    শ্রীনগর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অমরনাথ মন্দির। ১২ হাজার ৭৫৬ ফিট উঁচুতে অবস্থিত অমরনাথ দর্শনে প্রতিবছর ভিড় করেন হাজার হাজার ভক্ত। চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছিল ১ জুলাই। এ পর্যন্ত সাতটি ব্যাচ মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা করার পর শুক্রবারই অমরনাথ রওনা দেয় পুণ্যার্থীদের অষ্টম ব্যাচ। সেরাজ্যের প্রশাসন বলছে, বালতাল এবং পহেলগাঁওয়ের ক্যাম্প থেকে ২৪৭টি গাড়িতে মোট ৭ হাজার ১০ জন পুণ্যার্থী অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। হিসাব বলছে, ৫ হাজার ১৭৯ জন মহিলা, ২১ জন শিশু, ২২৮ জন সাধু এবং ৩৩ জন সন্নাসিনী রয়েছে। ৯৪টি গাড়িতে বালতাল থেকে রওনা দিয়েছিলেন ২৪০ জন ভক্ত। পহেলগাঁও থেকে ১৫৩টি গাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন ৪ হাজার ৬০০ পুণ্যার্থী। কিন্তু, তাঁদের সকলকেই ফিরে যেতে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) একের পর এক দুর্যোগ চলছেই। এবার মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে রাজ্যের পিথোরাগড় জেলায় একটি আস্ত সেতু জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে ওই এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। বর্ষা শুরু হতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। 

    মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভাঙল সেতু

    দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী ধামি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নির্দেশ দেন সতর্ক থাকতে। জেলায় জেলায় খোলা হয় ত্রাণ শিবির। কারণ ভারতবর্ষের এই রাজ্যে (Uttarakhand) বর্ষার সময় হড়পা বান, ধস এগুলো হয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে পিথোরাগড়ের ধরচুলা এলাকার চল গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে একনাগাড়ে বৃষ্টি পড়ছিল বলে খবর। মেঘভাঙা বৃষ্টির দাপটে যে সেতুটি ভেঙে পড়েছে, সেটিই ছিল গ্রামের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র মাধ্যম। পার্বত্য এলাকা এমনিতেই দুর্গম, একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ভেঙে পড়ায় জীবন জীবিকার রশদ ক্রমশই ফুরিয়ে আসছে। ওই গ্রাম এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বলছে, ‘‘সেতু ভাঙার পর তার ধ্বংসাবশেষ ভেজা মাটির সঙ্গে মিশে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে। ফলে ওই অংশে পৌঁছতে পারছেন না কেউই।’’

    প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনাস্থলের ভিডিও

    ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেতুর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এলাকা পরিষ্কার করার কাজ করছেন স্থানীয়রাই।

    এমন বিপত্তির মাঝেও অবশ্য রেহাই আপাতত মিলবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী পাঁচদিন ধরে। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সমেত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে এবং পশ্চিম ভারতের গুজরাতের বেশ কিছু অঞ্চলে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধসের মুখোমুখি হতে পারেন মানুষ। সেই কারণে আগে থেকেই সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share