Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Dadi Ratan Mohini: প্রয়াত ব্রহ্মা কুমারীর কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী, শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের (Brahma Kumari) কর্ণধার দাদি রতন মোহিনী প্রয়াত হলেন। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক জগতের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ছিলেন দাদি রতন মোহিনী (Dadi Ratan Mohini)। সমাজ সংস্কার তথা সমাজ গঠনে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে জানা যায়। গভীর আধ্যাত্মিকতা, সহানুভূতির সঙ্গে নেতৃত্ব দান করতেন রতন মোহিনী। তিনি দেশ-বিদেশে আধ্যাত্মিকতা তথা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে অসংখ্য কাজ করেছেন বলে জানা যায়। ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের দাদি রতন মোহিনী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ১০১ বছর বয়সে। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত হল একটি যুগ। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ভক্ত তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন। রতন মোহিনীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবত।

    শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির

    দাদি রতন মোহিনীর (Dadi Ratan Mohini) প্রয়াণের খবর সামনে আসতেই এক্স মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রতন মোহিনীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে নিজের পোস্টে রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘আমি গভীরভাবে দুঃখিত এই খবর জানতে পেরে যে দাদি রতন মোহিনী পরলোকগমন করেছেন। ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁর অনবদ্য ভূমিকা ছিল। এই সংগঠন আমার ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক অবদান রেখেছে।’’ হিন্দিতে লেখা পোস্টে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, সমাজের সম্প্রীতি, শান্তি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য দাদির ভূমিকা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    শোক জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর (Brahma Kumari)

    অন্যদিকে, ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের (Brahma Kumari) কর্ণধারের প্রয়াণে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দাদি রতন মোহিনীকে তিনি নিজের শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন। দাদি রতন মোহিনীকে (Dadi Ratan Mohini) বিশ্বাস ও সরলতা ও নিঃস্বার্থপরতার প্রতীক হিসেবে নিজের পোস্টে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের পোস্টে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘‘তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) ব্যক্তিত্বের ভিত্তি ছিল গভীর বিশ্বাস, সরলতা এবং সমাজসেবা। তিনি অসংখ্য মানুষের কাছে প্রেরণা ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্যই ব্রহ্মা কুমারী আন্দোলন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতা ও মানবিকতার পাঠ শেখায় এই সংগঠন।’’

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    শোক প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নিজের পোস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দাদি রতন মোহিনী তাঁর সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন জনগণকে দিশা দেখাতে এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নতির সাধনে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তদের কাছে আজও তিনি প্রেরণা হয়ে থাকবেন।’’ অমিত শাহ আরও লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনী আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে অন্তরের শক্তিকে জাগ্রত করার পাঠ শেখাতেন। তিনি আমাদের কাছে প্রেরণা। তাঁর প্রয়াণ অত্যন্ত যন্ত্রণার। আমি তাঁর ভক্তদেরকে এই দুঃখের মুহূর্তে সমবেদনা জানাই।’’

    শোক প্রকাশ করেন লোকসভার স্পিকার

    ব্রহ্মাকুমারী সংগঠনের কর্ণধারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শোক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন যে আধ্যাত্মিকতার আলোকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দাদি রতন মোহিনী। স্পিকারের মতে, ‘‘অগণিত মানুষ তাঁর (দাদি রতন মোহিনী) দেখানো পথেই চলছেন। দাদি রতন মোহিনী সত্য শান্তি এবং জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।

    শোকবার্তা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের

    দাদি রতনমোহিনীর মৃত্যু মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘দাদি রতন মোহিনীর মহাপ্রয়াণে প্রত্যেকেই খুব দুঃখিত। তিনি বৈকুণ্ঠ ধামে যাত্রা করেছেন। পরম পূজ্য রাজযোগিনী রতনমোহিনী দাদিজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই। তিনি ছিলেন ব্রহ্মা কুমারী সংস্থানের কর্ণধার। সমাজ গঠনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার হাজার মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আধ্যাত্মিকতার। ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার ও ভারতীয় মূল্যবোধের আজীবন প্রচার করে গিয়েছেন তিনি। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তাঁকে মোক্ষ দেবে এই আশা করি।’’

    দাদি রতন মোহিনীর জন্ম ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ

    প্রসঙ্গত, দাদি রতন মোহিনী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৫ মার্চ। বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের হায়দরাবাদে। জানা যায়, দাদি রতন মোহিনী ব্রহ্মাকুমারী সংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ৮৮ বছরের এই আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষ হল তাঁর প্রয়াণে। এভাবেই তিনি মানুষের মঙ্গল এবং কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন সারাজীবন। আধ্যাত্মিকতার প্রচার ও ভারতীয় সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশনাতেই এই সংগঠন চলত। সামাজিকভাবে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করত এই সংগঠন। সমাজ সংস্কারের পাশাপাশি মহিলা সশক্তিকরণ, যুব সমাজের উন্নয়ন, নেশা মুক্ত সমাজগঠন, পরিবেশের সংরক্ষণ, এর সঙ্গে সঙ্গে যোগাভ্যাস- এই সমস্ত কিছুতেও তিনি অসংখ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর এই উদ্যোগগুলির জন্য তিনি বারবার প্রশংসিত হয়েছেন জাতীয় স্তরের নানা অনুষ্ঠানে। মিলেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিও। ২০১৪ সালে গুলবার্গ ইউনিভার্সিটি নাকে ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে। রতন মোহিণীর প্রয়াণে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন যেমন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাঁই। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া।

  • Maha Kumbh: বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে মহাকুম্ভ! ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে জার্মানি গেল এক হাজার বোতল পবিত্র গঙ্গা জল

    Maha Kumbh: বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে মহাকুম্ভ! ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে জার্মানি গেল এক হাজার বোতল পবিত্র গঙ্গা জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) ত্রিবেণী সঙ্গমের জল এবার পাড়ি দিল জার্মানিতে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের (UP Government) উদ্যোগে সম্প্রতি ১ হাজার বোতল জল গেল জার্মানিতে। জানা যাচ্ছে, জার্মানি থেকে সঙ্গমের এই জলের জন্য আবেদন করা হয়। সেইমতো প্রাথমিকভাবে ১ হাজার বোতল জলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাহাজে করে এই জলকে পাঠানো হয়েছে জার্মানিতে। এই প্রথম দেশের বাইরে মহাকুম্ভের পবিত্র জল পাঠানো হল। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, সঙ্গমের জলকে তাঁরা ভক্তদের মধ্যে প্রসাদের মতো করে বিতরণ করেছেন। যাঁরা মহাকুম্ভের অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তাঁদের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে মহাকুম্ভের জলের, জানাল যোগী সরকার (UP Government)

    এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও সামনে এসেছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার জানিয়েছে, মহাকুম্ভের (Maha Kumbh) ত্রিবেণী সঙ্গমের জলের আন্তর্জাতিক চাহিদাও রয়েছে। এ কারণে প্রয়াগরাজ থেকে জার্মানিতে এই জল পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রী পঞ্চদশ নাম জুনা আখড়ার আচার্য মহামন্ডলেশ্বর স্বামী অবধেশানন্দ আনন্দ গিরি জার্মানিতে এই জল পাঠানোর উদ্যোগটি তদারকি করেন। জার্মানিতে যে জল গিয়েছে সেখানে ৫০০ এবং ২৫০ মিলিমিটারের ১ হাজারটি বোতল পাঠানো হয়েছে।

    উত্তরপ্রদেশের ৭৫ জেলাতেই গিয়েছে এই জল

    চলতি বছরেই ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকুম্ভ মেলা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৬৬ কোটি ভক্তরা এসে পবিত্র স্নানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ করা হল বলেই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় এই জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে করা হচ্ছে বলেও খবর মিলেছে। দেশের বাইরে থেকেও অগণিত ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াগরাজে। প্রয়াগরাজের (Maha Kumbh) মুখ্য দমকল অধিকর্তা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মহাকুম্ভের পবিত্র জলের চাহিদা বাড়ছে। ইতিমধ্যে অসমে এই জলের জন্য একটি বড় ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, যদি দেশের অন্যত্র এই জলের চাহিদা থাকে তাহলে সেখানেও এই জল পাঠানো হবে। মহাকুম্ভের জলের গুরুত্ব সকলের কাছে প্রচার করা হবে।

  • Amit Shah: জঙ্গিদের অসৎ পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে বিভিন্ন সংস্থাকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ শাহের

    Amit Shah: জঙ্গিদের অসৎ পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে বিভিন্ন সংস্থাকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের অসৎ পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে বিভিন্ন সংস্থাকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার শ্রীনগরের রাজভবনে একটি উচ্চ-স্তরের নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। সেখানে জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ছিল মূল আলোচ্য বিষয়। সম্প্রতি কাঠুয়া-জম্মু সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং জম্মু বিভাগের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলের পরিস্থিতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

    উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা (Amit Shah)

    এর আগে এদিনই শাহ আর একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে বিভিন্ন পরিকাঠামো ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাঁকে জানানো হয় যে জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের আপগ্রেডেশন, একাধিক নতুন সেতু নির্মাণ এবং রাস্তা চওড়া করার ফলে দুই প্রধান শহরের মধ্যে সফরের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। আগে জম্মু থেকে শ্রীনগরে যেতে আট ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগত। চেনানি ও বানিহাল টানেল এবং রাস্তা চওড়া করায় এখন এই সময় কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে (Terrorists)।

    ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধন

    আগামী ১৯ বা ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাটরা-শ্রীনগর ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধন করতে পারেন। এটি একটি পরিকাঠামো প্রকল্প, যার লক্ষ্য রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করা। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে কাশ্মীরে নিয়মিত ট্রেন চলাচল পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এটি এখনও শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই পর্যটকরা ট্রেনে করে কাশ্মীর ভ্রমণ করতে পারবেন (Amit Shah)।

    বৈঠকে যাঁরা ছিলেন

    এদিনের নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। এঁদের মধ্যে ছিলেন সেনা, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেন। বর্তমানে যে সব অভিযান চলছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন। সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ রোধ করার উপায় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। শাহ নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেন, তারা যেন অসাংবিধানিক উপাদান এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আস্থা পেতে তাদের অপারেশনে জনবান্ধব পদক্ষেপ বজায় রাখার ওপরও জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর এক পদস্থ কর্তা। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই নিরন্তর হতে হবে। কিন্তু জনগণের প্রতি সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে হবে।”

    জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল

    জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Terrorists)। তাই কেন্দ্র সরাসরি এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। শাহ বলেন, “এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।” লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনিও (Amit Shah)। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ভূমিকা আর আগের মতো নেই। গত কয়েক বছরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত নতুন প্রোটোকল গড়ে উঠেছে। তার ফলে এখন এই অঞ্চলের বিষয়গুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তদারকি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

    উন্নয়ন নিশ্চিত করার নির্দেশ

    এর আগে উন্নয়ন পর্যালোচনা সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার অধীনে বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ও কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন। এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ  সিনহাও অংশ নেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্র ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উচ্চপদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল পরিকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, পর্যটন বৃদ্ধি, সংযোগ সুবিধা উন্নত করা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে কল্যাণমূলক (Terrorists) প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। শাহ বলেন“জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত ও সমৃদ্ধিশালী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হল জম্মু ও কাশ্মীর উভয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা (Amit Shah)।”

    তিনদিনের ভূস্বর্গ সফরের সময় শাহ স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। শাসন ব্যবস্থা, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে তিনি স্থানীয়দের মতামতও নেন। আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর কাঠুয়া জেলার হীরানগর সেক্টর পরিদর্শনের সময় শাহ বিএসএফ কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। একটি অভিজাত সীমান্ত সুরক্ষা ইউনিট (Terrorists) হিসেবে বাহিনীর প্রশংসাও করেন তিনি (Amit Shah)।

  • Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    Rafale M: অপেক্ষার অবসান! ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ভারতে আসতে চলেছে রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান। ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale M) কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা (Modi Cabinet)। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় খবর।

    ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বুধবারই এই চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS)। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল কেনার সময় যেমন দুই সরকারের মধ্যে সরাসরি চুক্তি হয়েছিল, ঠিক তেমনভাবেই এক্ষেত্রেও ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট ডিল হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্রের দাবি, ৬৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন (Rafale M) ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট পাবে ভারত। এর মধ্যে ২২টি হবে সিঙ্গল-সিটার বা এক আসন বিশিষ্ট এবং ৪টি টুইন সিটার বা দুই আসন বিশিষ্ট। শেষোক্ত চারটি প্রশিক্ষণের কাজেও ব্যবহৃত হবে।

    নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন

    তবে, বায়ুসেনার সংস্করণের থেকে রাফালের নৌবাহিনীর সংস্করণ কিছুটা আলাদা হবে। মূলত, নৌসেনার চাহিদা অনুযায়ী, তাতে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছে। রাফাল-এম (Rafale M) যুদ্ধবিমানের সামনের অংশটি আরও লম্বা, শক্তিশালী। এছাড়া, এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার বা বিমানবাহী রণতরী থেকে টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ে সুবিধার্থে এই বিমানে একটি শক্তিশালী আন্ডারক্যারেজ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিমান বা রণতরীর ডেকের কোনও ক্ষতি না হয়। এছাড়া, ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীগুলিতে ব্যবহৃত শর্ট টেক-অফ বাট অ্যারেস্টেড রিকভারি (স্টোবার) বা স্কি-জাম্প পদ্ধতির জন্য এই বিমানগুলিকে তেমনভাবেই মডিফাই করা হয়েছে।

    মিগ-২৯কে-এর জায়গা নেবে রাফাল-এম

    নৌসেনার এক কর্তা জানান, রাফাল-এম যুদ্ধবিমান বিশেষভাবে বিমানবাহী রণতরী থেকে ওঠা-নামার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং একবার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে, এই জেটগুলি ভারতীয় নৌবহরের পরিপূরক হবে। এই জেটগুলি বর্তমানে ব্যবহৃত মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে। ওই কর্তা জানান, একবার রাফাল-এম (Rafale M) জেটগুলি আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন হয়ে গেলে, ভারতের জলসীমায় নৌসেনার (Indian Navy) সক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

    চার বছর পর থেকে আসবে বিমানগুলি

    জানা গিয়েছে, এই চুক্তির মাধ্যমে ২৬টি রাফাল মেরিন ফাইটার জেট কেনার পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্ট, রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তি স্বাক্ষরের চার বছর পর বিমান সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। অর্থাৎ, ২০২৯ সালের শেষ নাগাদ প্রথম ব্যাচ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সবকটি যুদ্ধবিমান (Rafale M) ২০৩১ সালের মধ্যে সরবরাহ করার কথা রয়েছে।

  • RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI Repo Rate: কমবে বাড়ি-গাড়ির ঋণের কিস্তি! ফের একবার রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রার নেতৃত্বে মানিটারি পলিসি কমিটির বৈঠক চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। সেখানেই মধ্যবিত্তের উপর চাপ কমাতে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক ধাক্কায় রেপো রেট কমল ২৫ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বা ০.২৫ শতাংশ।

    সাধারণ মানুষের স্বস্তি

    বুধবার এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় মালহোত্রা (RBI Governor, Sanjay Malhotra) জানিয়েছেন, রেপো রেট (RBI Repo Rate Cut) কমিয়ে এখন হল মাত্র ৬ শতাংশ। যা ছিল ৬.২৫ শতাংশ। মানিটারি পলিসি কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রেপো রেট কমানোর পক্ষে ছিল। এই বিষয়ে ব্যাঙ্কগুলিকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথাও বলা হয়েছে। এই ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে সাধারন মানুষের উপর থেকে ইএমআই’য়ের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা। আরবিআই রেপো রেট কমানোয় বাড়ি এবং গাড়ির ঋণে মাসিক কিস্তি কমতে পারে বলে অনুমান আর্থিক বিশ্লেষকদের। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই। প্রসঙ্গত, গত দুই বছর রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল আরবিআই। গভর্নর পদ থেকে শক্তিকান্ত দাস অবসর নেওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ০.২৫ শতাংশ রেপো রেট কমান আরবিআইয়ের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা। মুদ্রানীতি কমিটির সিদ্ধান্তের মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ফের ০.২৫ শতাংশ কমানো হল রেপো রেট।

    অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাই লক্ষ্য

    যে সুদের হারে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে আরবিআই ঋণ দিয়ে থাকে তাকেই বলে রেপো রেট। এটি কমলে এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বহিরাগত ঋণে সুদের হার কমে। এর জেরে স্বস্তি পাবে ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়া আমজনতা। কমবে তাদের মাসিক কিস্তির অঙ্ক। সে কারণে ঋণ গ্রহণকারীর মুখে হাসি ফুটেছে। সুদের হার কমলে লগ্নির জন্য টাকা ধার নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর জেরে ব্যবসা বৃদ্ধি, বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ বাড়ানো সহজ হয়। অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তাই এই পদক্ষেপ কার্যকরী হিসাবে বিবেচিত হয়।

  • Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনওরকম আপোষ নয়। মোদি সরকারের নীতি মেনেই চলছে দেশের আদালত। মঙ্গলবার দেশের দুই প্রান্তের দুই আদালতে সন্ত্রাসের শাস্তি ঘোষিত হল। হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) পাঁচ দোষীর ফাঁসির সাজা বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে ২০০৮ সালের ১৩ মে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৮০ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৭০ জন। সেই নাশকতা সংক্রান্ত একটি মামলায় মঙ্গলবার চার দোষীর আজীবন জেলের সাজা দিল জয়পুরের বিশেষ আদালত।

    হায়দরাবাদে জোড়া বিস্ফোরণ মামলা

    হায়দরাবাদে ২০১৩ সালের জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) দোষী পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। জোড়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন, আহত হয়েছিলেন ১৩১ জন। এই মামলায় এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) কোর্ট দোষীদের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত (Telangana High Court) সেই সাজা বহাল রাখল। এনআইএ-র তদন্তে জানা গিয়েছিল, দোষী পাঁচ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর সদস্য। ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে বাস স্ট্যান্ড এবং বিখ্যাত একটি খাবারের দোকানের কাছে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের কারণে অনেক মানুষ হতাহত হন। এই ঘটনায় একে একে গ্রেফতার করা হয় আইএম সদস্য মহম্মদ আহমেদ সিদিবাপা ওরফে ইয়াসিন ভাটকল, জিয়া-উর-রহমান ওরফে ওয়াকাস, আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি, তেহসিন আখতার এবং আইজাজ শেখকে।

    দোষীদের বিরুদ্ধে রয়েছে পোক্ত প্রমাণ

    ভাটকল আইএমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। ওয়াকাস পাকিস্তানের নাগরিক। ২০১৩ সালের অগাস্টে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে ধরা পড়ে ইয়াসিন এবং হাড্ডি। এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০১৪ সালের মার্চে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হয় ওয়াকাস এবং তেহসিন। তেহসিন বিহারের বাসিন্দা। তার পরে পুণের আইজাজও ধরা পড়ে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেই সময় পাঁচজনকেই এনআইএ আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল বিস্ফোরণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত রিয়াজ ভাটকল। তেলঙ্গানা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পোক্ত প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। দোষীরা যা করেছে তা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই এনআইএ আদালতের রায়েই বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়দানের আগে গোটা কোর্ট চত্বরদের ছিল কড়া নিরাপত্তা। হায়দরাবাদেও মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী। যদিও এখনও সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে পারবে ওই পাঁচ জন।

    জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ড

    অন্যদিকে, ২০০৮ সালের জয়পুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Jaipur blast) ৪ দোষীর আজীবন কারাবাসের সাজা শোনাল জয়পুরের বিশেষ আদালত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সরওয়ার আজমি, শাহবাজ হুসেন, সাইফুর রহমান এবং মহম্মদ সইফকে ‘ভারতীয় ন্যায়সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’র বিভিন্ন ধারা, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ডের ১৭ বছর পর চাঁদপোল বাজারে বোমা রাখা সংক্রান্ত ওই মামলায় চার অভিযুক্তেরই সাজা হল আদালতে। গত ৪ এপ্রিল বিচারক রমেশ যোশি চার অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০০৮ সালের এই বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৭১ জনের। জখম হন ১৮৫ জন। ১৭ বছর পর এই মামলার শুনানি চলছে।

    দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক

    ১৩ মে ২০০৮। রাজস্থানের জয়পুরে (Jaipur blast) সন্ধে ৭টা ২০ মিনিট থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। জয়পুরের ত্রিপোলিয়া বাজার, মানস চক, হনুমান মন্দির, চটি চৌপল জেহেরি বাজার-সহ আটটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা জয়পুরে। চাঁদপোল বাজারের কাছে একটি বোমা পাওয়া যায়। তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিস্ফোরণে বাইসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতেই বোমা রাখা ছিল। এদিকে এই গোটা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নেয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এটিএস-কে তদন্তভার দেওয়া হয়। তদন্ত থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে ১২ জন সন্ত্রাসবাদী বোমা নিয়ে বাসে করে দিল্লি থেকে জয়পুরে আসে। সেখানে ৯টি সাইকেল বোমা ফিট করা হয়। তারপর তা আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। এরপর শতাব্দী এক্সপ্রেসে করে সন্ত্রাসবাদীরা দিল্লি ফিরে আসে। তাদের পরিকল্পনা মতো ৮টি বোমা ফাটলেও নবম বোমাটি ফাটেনি। সেটিকেই উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছিল জয়পুর পুলিশের ‘বম্ব স্কোয়াড’।

  • Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সংসদে পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Act)। এর পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা পরিণত হয়ে গিয়েছে আইনে। এবার  ৮ এপ্রিল, থেকে দেশের সর্বত্র তা কার্যকার হল। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবার তা জানিয়ে দিল মোদি সরকার। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ -এর ধারা (১) এর উপধারা (২) এর ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এই আইনকে কার্যকর করল। ওয়াকফ আইন কার্যকর হওয়ার পরেই বিরোধীদের তোপ দাগেন মোদি। তাঁর মতে, আগের ওয়াকফ আইন সংবিধানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল। যা হতে দেওয়া যায় না। কারণ, দেশের সংবিধান সবার ওপরে।

    সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের (Waqf Amendment Act)

    লোকসভায় ও রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়ে যেতেই পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। দেশের শীর্ষ আদালতে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে ওয়াকফ আইনের বিষয়ে। এই আইন বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানির আবেদন করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারপক্ষের যুক্তি না শুনে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারবে না শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী রাজনীতিবিদরা ছাড়াও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সহ দশটিরও বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন সদস্য। এরপরেই বিলটি (Waqf Amendment Act) পাশ হয়ে যায়। এর আগে ৩ এপ্রিল লোকসভায় বিলটি পাশ হয়। ২৮৮ জন সদস্য এই বিলকে সমর্থন করেন। ২৩২ জন সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

    মোদির বিবৃতি

    এই আবহে সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি। ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act) নিয়ে মোদি বলেন, ‘‘তোষণের ওই বীজ রোপণ হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে। ভারতের সঙ্গে যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছিল তাদের কাউকে বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতার লোভে দেশের বিভাজন হয়। এতে কংগ্রেস ও কট্টর মুসলিমদের লাভ হয়। কিন্তু গরিব, পিছিয়ে থাকা পসমন্দা মুসলিম সমাজের কী লাভ হয়? তাঁরা অশিক্ষা ও আয় না থাকার চক্রে আটকে পড়েন। আর মহিলারা শাহ বানোর মতো অবিচারের শিকার হন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যে সংবিধান ন্যায়ের কথা বলে তার থেকেও শক্তিশালী ছিল ওই আইন। ওই আইন এনে কট্টরপন্থী মুসলিম ও ভূমি মাফিয়াদের হাত শক্ত করা হয়। তাঁদের জমি হরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে আইন ন্যায়ের জন্য ছিল তা ভয়ের কারণে পরিণত হয়।’’

  • Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দিরে উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। তারপর থেকে অনেক জল গড়িয়েছে সরযূ নদী বেয়ে। এক বছর পরে উদযাপিত হয়েছে রামলালার অভিষেকের প্রথম বর্ষপূর্তি। সদ্য উদযাপিত হয়েছে রামনবমীও। এবার আগামী মাসেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ভগবান রামকে অযোধ্যার রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এর পাশাপাশি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলায় রাম দরবার বা রাজ দরবারের উদ্বোধন হবে। অর্থাৎ আগামী মাসেই রামের রাজত্ব অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে একথা বলাই যায়।

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবের মতো অতটা জমকালো হবে না অনুষ্ঠান

    তবে এই অনুষ্ঠান রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মতো অতটা জাঁকজমকপূর্ণ বা জমকালো হবে না বলেই জানিয়েছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট নিজেদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি যে ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। এই অনুষ্ঠান অতটাও জমকালো হবে না। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আট হাজার লোকের উপস্থিতি ছিল। তবে রাম দরবার প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ছোটখাটোভাবে সুন্দর করে করা হবে বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনাও তুঙ্গে।

    রাম দরবার (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমেই কাজ সম্পূর্ণ হবে রাম মন্দিরের

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে ২০২৫ পর্যন্ত সময় লাগবে। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে দিয়েই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় রাম মন্দিরের। এরপরে ২০২৪ সালেই উদ্বোধন করা হয় রাম মন্দির (Ayodhya)। রাম মন্দিরের বর্তমানে নির্মাণ কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। নৃপেন্দ্র মিশ্র একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন সচিবও ছিলেন।

    কী বলছেন নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র

    নৃপেন্দ্র মিশ্র সম্প্রতি জানিয়েছেন, মন্দির কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এই মাসের (এপ্রিল) শেষের দিকে সম্পূর্ণ হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে যে প্রাচীরের অবশিষ্ট কাজ রয়েছে সেগুলি ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এ নিয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মন্দিরে (Ram Mandir) এখনও কুড়ি হাজার ঘনফুট পাথর স্থাপন করা হয়নি। মন্দিরে নির্মাণ কাজ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে এবং ভিতরের সমস্ত মূর্তি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে স্থাপন করা হবে।’’ এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রামলালার মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন কর্নাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। ৫১ ইঞ্চি লম্বা মূর্তি স্থাপিত রয়েছে গর্ভগৃহে। অন্যদিক, রাম দরবারে ব্যবহৃত পাথরের খোদাইয়ের কাজ করছেন জয়পুরের ২০ জন দক্ষ শিল্পী।

    গড়া হয়েছে সন্ত তুলসী দাসের বিরাট মূর্তি

    একইসঙ্গে, রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে রামচরিত মানসের রচনাকার সন্ত তুলসী দাসের একটি বিশাল মূর্তিও প্রাজ্ঞণে স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম মন্দিরের কুড়ি একর জমিকেই ব্যাপকভাবে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রাম মন্দির তৈরি হয়েছে নাগরীতে রীতিতে। প্রসঙ্গত, প্রাণ প্রতিষ্ঠা যখন সম্পন্ন হয় তখন শুধুমাত্র গর্ভগৃহ এবং প্রথম তলাটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।

    গড়ে তোলা হয়েছে রামকথা জাদুঘর

    অযোধ্যায় রামের মূল মন্দির থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রামকথা জাদুকর। এখানেই ভগবান রাম যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছেন। রামায়ণের বিভিন্ন ঘটনাবলীও এখানে লিপিবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি রাম মন্দির আন্দোলনের ২০০ বছরের ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে এই জাদুঘরে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে যে সমস্ত জিনিসগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও এখানে সংরক্ষিত করা হয়েছে রামভক্তদের জন্য।

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

LinkedIn
Share