Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India: ২০২৪ সালে রেকর্ড ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    India: ২০২৪ সালে রেকর্ড ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে উপার্জন করে রেকর্ড পরিমাণ টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা (India)। এনিয়ে সম্প্রতি এক তথ্য় সামনে এনেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ভারতে বিদেশ থেকে এসেছে ১২৯.৪ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তাই নয়, তার আগের তিন বছরেও প্রায় একই পরিমাণ টাকা ঢুকছে এদেশে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিদেশভূমে পড়ে থেকে টাকা কামানোতে ভারতীয়রা অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই তথ্য যেমন সামনে এল, একইভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বাজারে ভারতীয়রা উপার্জনের দিক থেকে অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলেছে, এটাও প্রতিষ্ঠিত হল।

    কী জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

    দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (India) সূত্রে জানানো হয়েছে, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী ভারতীদের উদ্যোগেই দেশে আসছে এই কোটি কোটি মার্কিন ডলার। এই প্রসঙ্গেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে (India Remittance)। সেই রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২৪ সাল নিয়ে টানা তিন বছর রেমিট্যান্স হিসাবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা (India)।

    বিগত ২৫ ধরে অটুট রয়েছে ভারতের রেকর্ড

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের (India) তরফে আরও জানানো হয়েছে, নব্বইয়ের দশকেই বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব আসে। এর ফলে দেশের অন্দরে বিদেশে উপার্জনের টাকার আগমন বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে এই রেমিট্যান্স বা পরিযায়ী টাকা গ্রহণের ব্যাপারে ভারত বিশ্বের মধ্য়ে শীর্ষে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিগত ২৫ বছর ধরে শীর্ষস্থানে নিজেকে বজায়ও রেখেছে ভারত।

    ভারত ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে কোন কোন দেশে

    এই রেমিট্যান্স গ্রহণের নিরিখে ২০২৪ সালে ভারতের পরেই দ্বিতীয় স্থান পায় মেক্সিকো। ২০২৪ সালে ওই দেশে বিদেশি অর্থ ঢুকেছে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে চিনে পরিযায়ীদের অর্থ হিসাবে প্রায় এসেছে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

  • Waqf Amendment Bill: চোদ্দ পুরুষের ভিটে ওয়াকফ সম্পত্তি! বোর্ডের দাবিতে মাথায় হাত, বিল পাশ হতেই বিজেপিতে ৫০

    Waqf Amendment Bill: চোদ্দ পুরুষের ভিটে ওয়াকফ সম্পত্তি! বোর্ডের দাবিতে মাথায় হাত, বিল পাশ হতেই বিজেপিতে ৫০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোদ্দ পুরুষের ভিটেয় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন তাঁরা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Amendment Bill) দাবি, ওই ৪০০ একর জমি ওয়াকফ সম্পত্তি। তার পরেই গত ১৭৪ দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে (BJP) কেরলের মুন্নামবাম গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার। এদের সিংহভাগই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। ৩০ মার্চ সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল। তারপর শনিবার ওই গ্রাম পরিদর্শনে যান বিজেপি নেতারা। সেই সময় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা।

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    মুন্নামবাম পরিদর্শন শেষে বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন, “এটি রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদকে সংশোধনী বিল পাশ করতে শক্তি জুগিয়েছে। জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়া পর্যন্ত আমরা আপনাদের পাশে থাকব। এই বিলের মাধ্যমে আপনাদের জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়ার ক্ষমতা আছে। মুন্নামবামের মানুষ তাঁদের নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়কদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কণ্ঠ সংসদে পৌঁছেছে এবং এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি উজ্জ্বল মুহূর্ত।”

    কেউ কথা রাখেনি!

    এদিন যে ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা সবাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে সিপিএমের ঝান্ডা বয়েছেন। ওয়াকফ বিল পাশের পর এখন তাঁরাই হাতে তুলে নিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। বিজেপির তরফে স্থানীয়দের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে, একমাত্র পদ্ম-পার্টিই তাঁদের লক্ষ্যের সঙ্গে একমত। অথচ, সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস উভয়ই মুসলিম ভোটব্যাংকের (Waqf Amendment Bill) স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। প্রসঙ্গত, এলডিএফ এবং ইউডিএফের দাবি, তারা মুন্নামবামের মানুষের পাশে রয়েছে। তবুও উভয় ফ্রন্টের সাংসদরা বিলের সংশোধনীর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।

    মুন্নামবামের আন্দোলন যখন শুরু হয়, তখন আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ায়নি সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস। প্রথম থেকেই তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতারা। ওয়াকফ বিল পাশের পরে এটাকেই হাতিয়ার করতে ওই গ্রামে যাতায়াত করতে শুরু করেন ওই দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা। এদিন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়ে তারই জবাব দিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের ৫০ জন (Waqf Amendment Bill)।

  • Waqf Amendment Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে ব্যাপক সমর্থন অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের

    Waqf Amendment Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে ব্যাপক সমর্থন অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025)। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। এই বিলের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে খাওয়া রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-নেত্রীদের একাংশ। তবে এই বিলকে সমর্থন করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ড (Muslim Women Personal Law Board)। শুধু তাই নয়, সরকারকে ওয়াকফ বোর্ডের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি নারীর অধিকার নিশ্চিত করার অনুরোধও জানিয়েছে।

    প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Waqf Amendment Bill 2025)

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাইস্তা আম্বর বলেন, “আজকের সরকারের এই পদক্ষেপটি অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল আগের সরকার ও ধর্মীয় নেতাদের।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইতিবাচক কাজ করা উচিত। যাঁরা ওয়াকফে দান করেন, তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে যে তাঁদের দান গরিবদের জন্য ব্যয় করা হবে। কিন্তু তা হচ্ছিল না। এটা নয় যে সব ওয়াকফ জমি অপব্যবহার হয়েছে, কিন্তু ওয়াকফ বোর্ড সততার সঙ্গে কাজ করেনি এবং তাদের যা করা উচিত ছিল, তা করেনি। আমরা সরকারের কাছ থেকে আশা ও অনুরোধ করি যে যদি বিলটি এসে থাকে, তাহলে ওয়াকফ জমি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে গরিবদের জন্য ব্যবহার করা হোক।”

    পূর্বতন সরকারকে তুলোধনা

    তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত কোনও সরকার মুসলমানদের জন্য কাজ করেনি। তারা শুধু ভোটের রাজনীতি করেছে।” শাইস্তা আম্বার (Waqf Amendment Bill 2025) বলেন, “আমরা বিজেপি সরকারকে অনুরোধ করছি তারা যেন নারীদের অধিকার নিশ্চিত করে এবং ওয়াকফ বোর্ডে স্বচ্ছতা আনে। অন্যান্য দলগুলি এতদিন কী করেছিল? তারা কি ঘুমিয়ে ছিল? আমি বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করছি, এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে তারা যেন অবৈধভাবে দখল করা ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধার করতে সাহায্য করে। এজন্য তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” তাঁর প্রস্তাব, মুসলিম সম্প্রদায়ের তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তিতে বাসস্থান নির্মাণ করা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের (Muslim Women Personal Law Board) অগাস্ট মাসে শাইস্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময়ই তিনি ওয়াকফ সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন (Waqf Amendment Bill 2025)।

    কী বললেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী?

    এদিকে, এবার ওয়াকফ সংশোধনী বিলের (Waqf Amendment Bill 2025) সমর্থনে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই আইনটি কোনও মসজিদ, উপাসনালয় বা কবরস্থান স্পর্শ করবে না।” তিনি বলেন, “বিলটি বরং ওয়াকফ বোর্ডগুলির কার্যকলাপে আরও বেশি স্বচ্ছতা আনবে।” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ওয়াকফ কোনও ধর্মীয় সংস্থা নয় বরং একটি আইনি সংস্থা। তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই সহজ ও সরল। ওয়াকফ প্রতিষ্ঠাতা (‘ওয়াকিফ’) যে মহৎ উদ্দেশ্যে ওয়াকফ তৈরি করেছিলেন (Muslim Women Personal Law Board), তা ‘মুতাওয়ালি’ (ব্যবস্থাপক) সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন কি না, তা দেখা হয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “ওয়াকফ কোনও ধর্মীয় সংস্থা নয়, এটি একটি আইনি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। ‘মুতাওয়ালি’ শুধু একজন তত্ত্বাবধায়ক বা ব্যবস্থাপক। সম্পত্তির ওপর তাঁর কোনও অধিকার নেই। কারণ একবার ওয়াকফ তৈরি হয়ে গেলে সম্পত্তির মালিকানা আল্লাহর কাছে চলে যায়।”

    উপকৃত হবেন মুসলিম মহিলা ও প্রান্তিকরা

    প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিলটি মুসলিম নারীদের এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলিকে ক্ষমতায়িত করবে। তাঁর ভাষায়, “এই বিলটি (Waqf Amendment Bill 2025) মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়িত করবে এবং এই সম্প্রদায়ের বিধবাদের ও প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করবে।” তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ বিষয়টিকে জবাবদিহিমূলক করা হচ্ছে। সব কিছু অনলাইনে পাওয়া যাবে, ডিজিটাইজেশন করা হবে, আপনি দেখতে পারবেন কোন সম্পত্তি কোথায় আছে, কে মুতাওয়ালি (ব্যবস্থাপক), ওয়াকিফ (যিনি সম্পত্তি উৎসর্গ করেছেন) এর উদ্দেশ্য অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট সম্পত্তি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই, এখন এই সব কিছুই খুব স্বচ্ছ (Muslim Women Personal Law Board)।”

    ভোট কুড়োতে ‘ওয়াকফ জুজু’!

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বিল পাশ হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তোষণের রাজনীতি করে খাওয়া রাজনীতিকরা। তাঁরা মুসলমানদের ‘ওয়াকফ জুজু’ দেখাচ্ছেন। বিলটি পাশ হতেই শুক্রবার (মুসলমানদের কাছে অতি পবিত্র এই দিন জুম্মাবার নামে পরিচিত) মুসলমান অধ্যুষিত কলকাতার পার্কসার্কাসে জমায়েত করে মুসলমানদের কয়েকটি সংগঠন। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, এটি তৃণমূলেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill 2025) তাস খেলেই তারা পার হতে চাইছে ২০২৬ সালের ভোট বৈতরণী (Muslim Women Personal Law Board)।

  • US Woman on India: ‘ভারতই সন্তানদের মানুষ করার সেরা ঠিকানা’, কেন জানালেন আমেরিকান মহিলা?

    US Woman on India: ‘ভারতই সন্তানদের মানুষ করার সেরা ঠিকানা’, কেন জানালেন আমেরিকান মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারততীর্থ মহামনবের মিলনক্ষেত্র। বরবার বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ মিলিত হয় এই পুণ্যভূমিতে। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে শক-হূণ-পাঠান-মোঘল থেকে ইংরেজ, পর্তুগীজ এমনকি আমেরিকানরাও। সকলকে নিজের সঙ্গে একাত্ম করে নিয়েছে ভারতবাসী। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই ভারতের বৈশিষ্ট্য। সম্প্রতি কার্স্টেন ফিশার (US Woman on India) নামে এক আমেরিকান জানিয়েছেন তিনি তাঁর সন্তানদের ভারতেই বড় করতে চান। গত চার বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ভারতে থাকছেন তিনি। দিল্লিতে তাঁর তিন সন্তানকে বড় করছেন কার্স্টেন। সম্প্রতি এক ভিডিওতে তাঁর এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন কার্স্টেন (Kristen Fischer)।

    সহানুভূতিশীল মন

    কার্স্টেন বলেন, “ভারতে বসবাসের মাধ্যমে আমার সন্তানরা বিভিন্ন মানুষ এবং সংস্কৃতির প্রতি সহানুভূতি বাড়াতে পারবে, যা তাদের সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।” ফিশার জানান, ভারতের পরিবারগুলি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পারস্পরিক সম্পর্কের প্রতি তাদের বিশেষ যত্ন থাকে। তিনি বিশ্বাস করেন, এর ফলে তার সন্তানরা আরও গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হবে, যা আত্মকেন্দ্রিক মার্কিন সংস্কৃতির তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, “ভারতে যে অঞ্চলে দারিদ্র্য এবং ধন-সম্পদের বৈপরীত্য রয়েছে, সেখানে জীবন যাপনের মাধ্যমে সন্তানরা সহজতা, কৃতজ্ঞতা এবং নিজেদের কাছে যা আছে তার মূল্য বুঝতে শেখে।”

    পরিবারের অনুভূতি

    ভারতীয় সমাজে সম্পর্কের গভীরতা এবং একে অপরকে সহায়তা করার পরিবেশের প্রশংসা করে কার্স্টেন তাঁর ভিডিওতে বলেন, “যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ উপার্জন করা কিছুটা সহজ, কিন্তু সত্যিকারের সুখ আসে সম্পর্ক এবং পরিবারের অনুভূতি থেকে, যা আমি ভারতে খুঁজে পেয়েছি।” এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে ভারতে বসবাসের ফলে তাঁর সন্তানরা বিশ্বের নানা প্রান্তের বন্ধু তৈরি করতে সক্ষম হবে, যা ভবিষ্যতে তাদের পেশাগত জীবনে সহায়ক হতে পারে। ফিশারের মতে, ভারতে আসার পর তিনি আরও বেশি সুখী। সাম্প্রদায়িক এবং সাংস্কৃতিকভাবে নিজেকে আরও সম্পৃক্ত অনুভব করেন, যা তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কখনোই অনুভব করেননি।

  • Indian Army: ১০ মিলিসেকেন্ডেই দুশমন খতম! পাক-সীমান্তে বসছে এআই-নির্ভর রোবোটিক ওয়েপন সিস্টেম

    Indian Army: ১০ মিলিসেকেন্ডেই দুশমন খতম! পাক-সীমান্তে বসছে এআই-নির্ভর রোবোটিক ওয়েপন সিস্টেম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বসতে চলেছে ‘টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম’ (Ten AI Weapon System / TAIWS)। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে পাহারা দেবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর ওয়েপন সিস্টেম। শীত-গ্রীষ্ম বা বর্ষা, পাকিস্তানের দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ হতেই থাকে। ওয়াঘার ওপার থেকে জঙ্গি ভারতে ঢোকার কোনও বিরাম নেই। কখনও রাতের অন্ধকারে, কখনও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার আড়ালে পাক জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢুকে ভারতের মাটিকে অশান্ত করতে, দেশের রক্তক্ষরণ ঘটাতে চায়। সেই সন্ত্রাসের আঁতুরঘর পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতেই সীমান্তে নজিরবিহীন এক অস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা।

    কী করবে টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম

    এমন অস্ত্র না কেউ কখনও দেখেছে, না শুনেছে! শুনলে মনে হবে কল্পবিজ্ঞানের গল্প! কিন্তু সেটাই এবার বাস্তবে করে দেখাল ভারত। মুহূর্তে শত্রুকে চিহ্নিত করে কয়েক মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই তাকে ঘায়েল করে দেবে টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম (TAIWS)। এতে রয়েছে ঘন গাছপালা স্ক্যান করার জন্য দুটি ক্যামেরা। রয়েছে একটি মাঝারি মেশিনগান ব্যবহার করে যে কোনও হামলা মোকাবিলা করার ক্ষমতা। সব থেকে বড় বৈশিষ্ট হল এই সিস্টেম মাত্র ১০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে লক্ষ্যগুলিকে সারিবদ্ধ, সনাক্ত, ট্র্যাক এবং গুলি করতে পারে। এআই-ভিত্তিক “ট্র্যাক অ্যান্ড শুট” অস্ত্র, সম্প্রতি এরো ইন্ডিয়া ২০২৫-এ প্রদর্শন করা হয়েছিল।

    ১০ মিলিসেকেন্ডে দুশমন খতম

    এই যন্ত্রের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি ক্যামেরা প্রথমে চিহ্নিত করবে শত্রুকে। তারপর মেশিনগানের সাহায্যে অনুপ্রবেশকারী বা জঙ্গিকে গুলি করে আক্রমণ শানাবে। শত্রুর গতিবিধি আঁচ করে মাত্র ১০ মিলিসেকেন্ডেই শত্রুর খেল খতম করে দেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর এই ওয়েপন সিস্টেম। তবে শত্রুপক্ষের উপর গুলি চালানো হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বাঙ্কারে বসে সিস্টেমটির নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মী। আগামী মাসে এই সিস্টেমটি মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    এই সিস্টেমে রয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য

    এই সিস্টেমে রয়েছে একটি উচ্চক্ষমতাযুক্ত ডে ক্যামেরা ও অত্যাধুনিক থার্মাল ইমেজ ক্যামেরা অন্ধকার বা ঝড়-কুয়াশার মতো প্রতিকূল আবহাওয়াতেও ২ কিলোমিটার পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম। টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম-এর ক্যামেরা ৪০এক্স পর্যন্ত জুম করাও যাবে। মিডিয়াম মেশিন গানের ১.৮ কিলোমিটার পাল্লার গুলি জঙ্গল বা পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শত্রুকেও ঘায়েল করে দিতে পারে নিমেষে। তবে, এই সিস্টেমের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, এর সেকেন্ডারি ক্যামেরার নেটওয়ার্ক, যা ভূখণ্ডের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে ৫০০ মিটার থেকে ২ কিমি ব্যবধানে স্থাপন করা যাবে। ফলে, একটি ক্যামেরা থেকে শত্রু নিজেকে আড়াল করতে সক্ষম হলেও, বিভিন্ন পয়েন্ট ও অ্যাঙ্গলে থাকা ক্যামেরায় সহজেই ধরা পড়ে যাবে।

    রিমোট থাকবে সেনা অফিসারের হাতেই

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। স্বায়ত্তশাসিত ড্রোন থেকে শুরু করে স্মার্ট ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত। যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অস্ত্র ব্যবস্থা অনেক সুবিধা প্রদান করে, তবুও এর কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। তাই শত্রু দমন করলেও মানবতার দিক থেকে কোনও প্রশ্ন উঠুক তা চায় না ভারত। তাই টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম (TAIWS) শত্রুকে শনাক্ত করলেও তার উপর গুলি চালানো হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বাঙ্কারে রিমোট হাতে দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মী।

    অস্ত্র ব্যবস্থায় এআই

    অস্ত্র ব্যবস্থায় এআই-এর ব্যবহার নতুন কোনও ঘটনা নয়। কয়েক দশক ধরে, সামরিক গবেষকরা লক্ষ্য শনাক্তকরণ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন সামরিক প্রয়োগ উন্নত করার জন্য এআই অ্যালগরিদমের ব্যবহার অন্বেষণ করে আসছেন। সম্প্রতি, মানবহীন আকাশযান (UAV) এবং ড্রোনের মতো স্বায়ত্তশাসিত অস্ত্র তৈরিতে এআই ব্যবহারের আগ্রহ বেড়েছে, যা সরাসরি মানুষের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই কাজ করতে পারে। এই অস্ত্রগুলি সামরিক অভিযানের গতি এবং দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। তবে ভারতীয় সীমান্তে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার প্রথম।

    কবে বসবে এইওয়েপন সিস্টেম

    আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে সেনার বাঙ্কারে এই অস্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। আগামী দিনে কাশ্মীর সীমান্ত সুরক্ষিত করতে ভারতীয় সেনার এই সমরাস্ত্র যে নিজের কেরামতি দেখাতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেনা ও বন্দুকের গুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার সীমান্ত পাহারায় নয়া উদাহরণ তৈরি করতে চলেছে টেন এআই ওয়েপন সিস্টেম (TAIWS)। সাম্প্রতিক অতীতে সীমান্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একাধিক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তির অস্ত্র বসাতে চলেছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানি সন্ত্রাসী ও অনুপ্রবেশকারী রুখতে আগামী দিনে ভারতের (India) নয়া বাজি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর ওয়েপন সিস্টেম।

  • Ram Navami in Ayodhya: ড্রোন দিয়ে ভক্তদের উপর ছেটানো হবে সরযূর জল, ২ লক্ষ প্রদীপের আলোয় ঝলমলে রামনবমীর অযোধ্যা

    Ram Navami in Ayodhya: ড্রোন দিয়ে ভক্তদের উপর ছেটানো হবে সরযূর জল, ২ লক্ষ প্রদীপের আলোয় ঝলমলে রামনবমীর অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রামনবমী। পালিত হবে রামলালার জন্মদিন। তার আগে সেজে উঠছে অযোধ্যা (Ram Navami in Ayodhya)। লক্ষাধিক ভক্তের ভিড়ে সরগরম সরযূ নদীর ধার। অযোধ্যায় রামনবমী উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ত্রেতা যুগে অযোধ্যায় সূর্যবংশীয় রাজা দশরথ এবং রানী কৌশল্যার পুত্র রূপে, পবিত্র চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিতে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপে শ্রীরামচন্দ্র অধর্মের বিনাশ এবং ধর্ম স্থাপনের উদ্দেশ্যে ধরাধামে অবতীর্ণ হন। তাই চৈত্র শুক্ল নবমী তিথিটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র রামনবমী হিসাবে খ্যাত। রামজন্মভূমি অযোধ্যা এই সময় আনন্দে মেতে ওঠে।

    সেজে উঠেছে পথ-ঘাট

    রামনবমী (Ram Navami in Ayodhya) উপলক্ষে সাজ সাজ রব অযোধ্যায়। শহরের প্রধান মন্দির এবং রাস্তাগুলি বর্ণিল ফুল ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে, যা ভক্তদের মনে আনন্দের সঞ্চার করছে।​ চলতি বছর রামনবমী পালিত হবে ৬ এপ্রিল রবিবার। এই দিনে ভগবান শ্রী রামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ভক্তরা বিশেষ পুজো ও উপবাস পালন করেন। পূজার শুভ মুহূর্ত বেলা ১১টা ০৮ থেকে দুপুর ১টা ৩৯ পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে এদিন ১৮ ঘণ্টা ধরে ভক্তরা রামলালার মূর্তি দর্শন করতে পারবেন। ২০ লাখ ভক্ত সমাগম হবে, বলে মনে করছে অযোধ্যা মন্দির ট্রাস্ট।

    ড্রোন দিয়ে সরযূর জল

    রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যার (Ram Navami in Ayodhya) শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির বিশেষভাবে সজ্জিত হয়েছে। মন্দিরের প্রধান ফটক ও গর্ভগৃহে ভগবান রামের সিংহাসনকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে, যা ভক্তদের মধ্যে ভক্তি ও উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে।​ সমগ্র অযোধ্যা শহরটি উৎসবের রঙে রঙিন হয়েছে। রাস্তায় ঝলমলে আলোকসজ্জা, পরিষ্কার ও প্রশস্ত রাস্তা, সরযূ নদীর তীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। ভক্তদের উপর সরযূর জল ছেটানোর জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্র বিজয় সিং শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, “রাম নবমীতে আগত ভক্তদের উপর সরযূ নদীর পবিত্র জল ছেটানো হবে। এর জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে। মা সরযূর প্রতি ভক্তদের গভীর বিশ্বাসের কথা মাথায় রেখে এই আয়োজন করা হয়েছে। এটি প্রযুক্তি এবং ঐতিহ্যের এক অনন্য সঙ্গম।”

    দুই লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

    উত্তরপ্রদেশ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রামনবমী (Ram Navami in Ayodhya) উপলক্ষে দুই লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে সরযূর তীরে। এই দীপোৎসব কেবল আধ্যাত্মিকতার প্রতীকই নয়, পর্যটকদের জন্য একটি অনন্য দৃশ্যও উপস্থাপন করবে। এ ছাড়া, অষ্টমীর দিন কনক ভবন থেকে একটি ঐতিহ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হবে, যা রাম কথা পার্কে শেষ হবে। রাম কথা পার্কে নৃত্য, সঙ্গীত এবং নাটকের মতো পরিবেশনা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন স্থানে ভজন ও কীর্তনের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, যা ভক্তদের মনে ভক্তি ও আনন্দের সঞ্চার করছে।​

    সূর্যতিলক কখন

    এইদিন পুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচারগুলির মধ্যে একটি হল সূর্য তিলক। সূর্যের রশ্মি দিয়ে রামলালা মূর্তির প্রতীকী অভিষেক করা হয় বছরের এই দিনে। গত বছর, অযোধ্যায় (Ram Navami in Ayodhya)  নব উদ্বোধন হওয়া রাম মন্দিরে প্রথমবারের মতো এই ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল গোটা বিশ্ব। এই ঘটনাকে সূর্যের আশীর্বাদের প্রতীক বলে ধরে নেওয়া হয়। যেহেতু রামচন্দ্র সূর্যবংশী রাজবংশের বংশধর তাই এই সূর্য তিলকের আয়োজন। এই অনুষ্ঠান কেবল তিলকের আকারে সূর্যের শক্তির শারীরিক রূপকেই সম্মান করে না বরং রামের মধ্যে বিদ্যমান সূর্যের গুণাবলী – তেজ, শক্তি এবং নির্দেশনার মূর্ত প্রতীক। রাম নবমীর দিন ঠিক দুপুর ১২টায় সূর্য তিলকের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। সূর্য দেবতার আশীর্বাদের প্রতীক হিসেবে সূর্যের আলো সরাসরি দেবতার কপালে পড়ার জন্য এই নির্দিষ্ট মুহূর্তটি বেছে নেওয়া হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি প্রায় ৫ মিনিট স্থায়ী হবে।

    বিপুল ভক্ত-সমাগমের প্রস্তুতি

    রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যায় (Ram Navami in Ayodhya) বিপুল ভক্ত সমাগম আশা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যাতে দর্শনার্থীরা কোনও ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তাই জন্য বিভিন্ন স্থানে ভাণ্ডার, পানীয় জল, স্বাস্থ্য শিবির এবং শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষকে গরমের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে চটির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকছে ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা। এর আগে, উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছিল যে ভক্তদের সুবিধার্থে, শৃঙ্গারহাট থেকে রাম পথের ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত মাদুর বিছানো হবে এবং নিয়মিত জল ছিটানো হবে। ধর্মপথের পাশে ছায়াযুক্ত অস্থায়ী শিবির স্থাপন করা হবে এবং ২৪৩টি স্থানে পানীয় জলের সুবিধা প্রদান করা হবে। ধর্মপথ, রামপথ, ভক্তিপথ, আরতি ঘাট, চৌধুরী চরণ সিং ঘাট এবং দর্শন পথ সহ গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে তিন-পর্যায়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভক্তদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে রাম মন্দির ট্রাস্ট দর্শনের সময়কাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, শহরের বিভিন্ন স্থানে স্টল স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় খাবার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। আরেকটি আকর্ষণ হবে সরস মেলা, যেখানে সারা দেশের হস্তশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শিত হবে। এখানে স্থানীয় কারিগরদের শিল্প প্রদর্শন করা হবে। রামনবমীর দিন যাঁরা অযোধ্যায় উপস্থিত হতে পারবেন না, তারা প্রসার ভারতীর সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই উৎসব উপভোগ করতে পারবেন।

  • Amitabh Bachchan: রামনবমীতে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ শোনাবেন অমিতাভ বচ্চন! কখন, কোথায় দেখতে পাবেন জেনে নিন

    Amitabh Bachchan: রামনবমীতে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ শোনাবেন অমিতাভ বচ্চন! কখন, কোথায় দেখতে পাবেন জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে অযোধ্যায় ‘রামকথা’ (Ram Katha) শোনাবেন বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। যে অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবে গোটা দেশ। রামলালার প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম। মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন অযোধ্যায় পাড়ি দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। রামলালার টানে একাধিক জমিও কিনেছেন অযোধ্যা নগরীতে। রামলালার জন্য গড়িয়ে দিয়েছেন সোনার হারও।

    রাম-নামে বিভোর অমিতাভ

    রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে ছেলে অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে সশরীরে হাজিরও হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তারকাদের ভিড়ে একমাত্র বিগ বি’র সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কুশলমঙ্গল বিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল। এবার রামনবমীর পুণ্যতিথিতে রামকথা পাঠ করার গুরুদায়িত্ব পড়ল বিগ বি’র কাঁধে। জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান হবে। জিও হটস্টার-এ লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন কোটি কোটি মানুষ। বিগ বি শিশুদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনও পরিচালনা করবেন, সেখানে রামায়ণের কিছু নির্বাচিত গল্প আরও আকর্ষণীয় ভাবে তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। তাছাড়াও আযোধ্যার বিশেষ পুজো এবং মন্দিরগুলিতে অনুষ্ঠানের নানা দৃশ্য তুলে ধরা হবে। ভদ্রাচলম, পঞ্চবটি, চিত্রকূট এবং আযোধ্যার আরতি, ভজন দেখানো হবে। তাছাড়াও কৈলাশ খের এবং মালিনী অবস্থি সহ জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

    বিরাট সম্মান, বললেন বিগ বি

    এই পবিত্র অনুষ্ঠানে এহেন গুরুভার পেয়ে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নিয়েছেন বিগ বি (Amitabh Bachchan)। সিনিয়র বচ্চনের কথায়, “এমন পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া জীবনের এক বিরাট সম্মান। রামনবমী শুধু উৎসব নয়, এক গভীর প্রতিফলনের মুহূর্ত। শ্রীরামের ধর্ম, ভক্তি এবং আদর্শ উদযাপনের সময়। প্রযুক্তির আশীর্বাদে জিও হটস্টার-এর দৌলতে সারা দেশ এদিন সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার এক অভূতপূর্ব উদযাপনে একত্রিত হবে।” প্রসঙ্গত, প্রতি বছর চৈত্র নবরাত্রির শেষ দিনে ভারত জুড়ে রাম নবমী উদযাপিত হয়। এদিন ভগবান রামের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়।

  • Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    Chicken’s Neck Corridor: সদা সতর্ক সেনা, ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ‘চিকেন’স নেক করিডর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকভাবে ধোঁয়াশা থাকলেও শুক্রবার সকালে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমস্টেক সম্মেলন উপলক্ষে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৃহস্পতিবার প্রথম মুখোমুখি হন দুই রাষ্ট্রনেতা৷ ব্যাংককে চাও ফ্রায়া নদীর পাশে শাংরি-লা হোটেলে আয়োজিত নৈশভোজে পাশাপাশি বসতেও দেখা যায় তাঁদের৷ এর আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, বিমস্টেকের অঞ্চলের মধ্যমণি উত্তরপূর্ব ভারত। স্বল্প কথাতেই মোদি বুঝিয়ে দেন, উত্তরপূর্বের এই ৭ রাজ্য শুধু ভারত নয়, বরং বিমস্টেক-ভুক্ত দেশগুলির শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের যোগসূত্র ‘চিকেন’স নেক করিডর’ (Chicken’s Neck Corridor)। প্রশাসনিক এবং কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন (India China Relation), ভুটান, বাংলাদেশ এবং নেপালের সীমান্তের একশো কিলোমিটারের মধ্যে থাকায় শিলিগুড়ি করিডর অতি গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে এই এলাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

    চিকেন’স নেক-এর নিরাপত্তায় সেনা

    চিকেন’স নেক-এর (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শিলিগুড়ি করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন। উন্নত সামরিক প্রস্তুতির মাধ্যমে যেকোনও সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করতে তারা প্রস্তুত। করিডরের কাছে সুকনায় সদর দফতর অবস্থিত ত্রিশক্তি কোরের। যারা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোর রাফাল যুদ্ধবিমান, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্য করিডরের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে আরও জোরদার করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘চিকেন’স নেক ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক অঞ্চল। সেখানে যে কোনও হুমকির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিনীকে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব।’’

    বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে—

    উন্নত সামরিক সম্পদ মোতায়েন: ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারা এয়ারবেসে রাফাল ফাইটার জেটের একটি স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে। পাশাপাশি মিগ-২১ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

    ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট: করিডরে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি রেজিমেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে, যা যে কোনও সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।

    সার্ফেস-টু-এয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা: ভারতীয় সেনা শিলিগুরি করিডোরে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে, যা আকাশসীমায় শত্রুর অনুপ্রবেশ রোধ করতে সক্ষম।

    এমআরএসএএম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: এই ব্যবস্থাগুলি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এবং আকাশপথের ওপর অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে।

    নিয়মিত সামরিক মহড়া: ত্রিশক্তি কোর নিয়মিত যুদ্ধের অনুশীলন করে। যার মধ্যে টি-৯০ ট্যাঙ্কের সঙ্গে লাইভ-ফায়ার মহড়াও অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি পায়।

    কৌশলগত সতর্কতা

    ভারত এই অঞ্চলের (Chicken’s Neck Corridor) নিরাপত্তা নিয়ে সদা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং চিনের বাংলাদেশে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার বাড়তে থাকা সম্পর্ক ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হতে পারে, বিশেষত শিলিগুরি করিডরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। এর জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে যান। যেখানে তিনি সামরিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে উচ্চস্তরের আলোচনাও হয়েছে।

    ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি

    ‘চিকেনস নেক’ (Chicken’s Neck Corridor) এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব ২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কটের সময় স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যখন ভারতীয় বাহিনী সফলভাবে চিনের ভুটানি ভূখণ্ডে রাস্তা নির্মাণের প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছিল। যা শিলিগুরি করিডরের জন্য হুমকি হতে পারত। অতীতের ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভারত তার প্রতিরক্ষা অবকাঠামো এবং প্রস্তুতি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। উন্নত অস্ত্রশস্ত্র, কৌশলগত মোতায়েন এবং ধারাবাহিক নজরদারি সহ, ভারত ‘চিকেনস নেক’ এর নিরাপত্তা শক্তিশালী করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ করিডরের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, বলে সেনা সূত্রে খবর। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।

  • S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে স্থলবেষ্টিত আখ্যা দেওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) কড়া সমালোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে, সহযোগিতা হল একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গী, এটি কোনওভাবেই পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়।” সরকারি বিবৃতিত বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনে (বিমস্টেক) তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।” তিনি বলেন, “ভারত বিমস্টেকে তার দায়িত্ব উপলব্ধি করে এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্ক অবগত।” তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বাস করে যে আঞ্চলিক সহযোগিতা একটি সমন্বিত পদ্ধতি এবং এটি নির্বাচিত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে।”

    ইউনূসের দাবি (S Jaishankar)

    গত সপ্তাহে চার দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে তিনি দেখা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। চিনকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। সেই সূত্রেই চিনকে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “সমুদ্রের (বঙ্গোপসাগর) একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য ইউনূসের দাবির প্রতি পরোক্ষ খোঁচা।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “বঙ্গোপসাগরে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কিলোমিটারের উপকূলরেখা রয়েছে ভারতের। বঙ্গোপসাগরে এটিই দীর্ঘতম উপকূলরেখা। বিমস্টেকের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে এবং সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ দেশকেই যুক্ত করে ভারত। কেবল তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে সমন্বয়ও রক্ষা করে ভারত।” বিশেষ করে উত্তরপূর্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী জানান, এই যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল হিসেবে উঠে এসেছে উত্তরপূর্ব ভারত। তিনি (S Jaishankar) জানান, ভারত বিশ্বাস করে সহযোগিতা একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়, শুধুমাত্র একটি লাভদায়ক বা সুবিধাজনক বিষয় বেছে নেওয়া নয়।

    জয়শঙ্কর বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক অবস্থানে পণ্য, পরিষেবা ও মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভৌগোলিক স্ট্র্যাটেজি মাথায় রেখেই আমরা বিগত এক দশক (Muhammad Yunus) ধরে বিমস্টেককে শক্তিশালী ও মজবুত করছি (S Jaishankar)।”

  • Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Lok Sabha)পর রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। তার পরেই এই ঘটনাকে ‘এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য সাংসদ এবং সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই বিল পাশ হওয়াকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন মোদি।

    স্বচ্ছতার লক্ষ্যেই নয়া বিল

    বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে এখন তাইল্যান্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখান থেকেই শুক্রবার সকালে সমাজমাধ্যমে মোদি লেখেন, “সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার ঘটনা আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এত দিন যাঁরা প্রান্তিক এবং বঞ্চিত ছিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন আইন তাঁদের সাহায্য করবে। ওয়াকফ ব্যবস্থার ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বহু দশক ধরে ওয়াকফ ব্যবস্থা আর স্বচ্ছতার অভাব কার্যত সমার্থক ছিল। এই কারণে মুসলমান মহিলা, গরিব মুসলমান এবং পসমন্দা মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংসদে পাশ হওয়া এই বিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখবে।”

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বর

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হবে এই ওয়কফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill), আশা প্রধানমন্ত্রীর। মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই বিল পাশ মোদি সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রয়াস। প্রথমটি ছিল তিন তালাক। উল্লেখ্য, দু’দিন ধরে সংসদে ম্যারাথন বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার রাতে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এ বার রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। তার পরই তা আইনে পরিণত হবে। ওয়াকফ বিল অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা করবে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল, ২০২৫ অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিলের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে, এই বিলকে সমর্থন করার জন্য সমস্ত দল এবং সংসদ সদস্যদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’

LinkedIn
Share