Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের দারুণ ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের দারুণ ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে অবতরণ করতে এখনও দিন পাঁচেক বাকি। তার আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠের দারুণ দারুণ ছবি পাঠাতে শুরু করলো ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করেছে ইসরো। একইসঙ্গে এদিন প্রথম ‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গতি ও উচ্চতা কমালো ল্যান্ডার মডিউল।

    আরও পড়ুন: প্রপালশন মডিউল থেকে ছিন্ন হল চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম

    চন্দ্রপৃষ্ঠের ভিডিও ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    আগামী ২৩ তারিখ চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। বর্তমানে চাঁদের ঠিক ওপরে ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতের চন্দ্র মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। তবে, এরই মধ্যে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। ইসরোর তরফে শুক্রবার দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সংস্থার ট্যুইটার হ্যান্ডেলে। তাতে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Lander Vikram) শরীরে লাগানো ক্যামেরায় বন্দি হওয়া ২টি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, একটি ভিডিও তোলা হয়েছে ১৫ তারিখ। চাঁদের সেই ভিডিও তুলেছে ল্যান্ডার পজিশন ডিটেকশন ক্যামেরা (LPDC)। অন্যদিকে, ১৭ অগাস্ট যে ভিডিও তোলা হয়েছে, সেটি তুলেছে ল্যান্ডার ইমেজার এল-১ ক্যামেরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ধূসর চন্দ্রপৃষ্ঠের এবড়োখেবড়ো নানা অংশ। ফ্রেমের বড় অংশ জুড়ে শুধুই চাঁদ ও তার পৃষ্ঠে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নামকরা সব গহ্বর। প্রসঙ্গত, এর আগেও চাঁদের বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

     

    সফল ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর প্রথম ডিবুস্টিং প্রক্রিয়া

    এদিকে, এদিন বিকেলে ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ প্রথম ‘ডিবুস্টিং’ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এর ফলে, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর কক্ষপথ কিছুটা কমেছে। বর্তমানে এটি ১১৩ কিমি x ১৫৭ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় ডিবুস্টিং প্রক্রিয়াটি আগামী ২০ তারিখ রাত ২টো নাগাদ হতে চলেছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার প্রোপালশন মডিউল থেকে আলাদা হয় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তার পর, শুক্রবার অর্থাৎ, আজ থেকে বৃত্তাকার কক্ষপথ থেকে চন্দ্র পৃষ্ঠের দিকে আরও নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) বৃত্তাকার ১০০ কিমি x ১০০ কিমি কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এরপর ১০০ কিমি x ৩০ কিমি কক্ষপথে প্রবেশ করিয়ে ল্যান্ডারকে চাঁদের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হবে। ২৩ অগাস্ট ল্যান্ডারটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে স্পর্শ করার জন্য সেখানে চূড়ান্ত অবতরণ শুরু করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে। আজ, শুক্রবার ভোরে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের উখরুল জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হয় গুলি বিনিময়ও। সংঘর্ষ থামলে দেহ উদ্ধার হয় কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন যুবকের। এঁরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। হিংসা দীর্ণ এই রাজ্যের (Manipur) কুকি সংগঠনগুলির দাবি, মেইতেইরাই খুন করেছে ওই তিনজনকে।

    ফের অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে

    পক্ষকাল শান্তি থাকার পরে ফের নতুন করে অশান্তির ঘটনায় ত্রস্ত মণিপুরবাসী। অশান্তির আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে থোয়াই গ্রামে। উখরুলের পুলিশ সুপার এন ভাশুম বলেন, “গ্রামের পূর্ব দিকে থাকা পাহাড়ি এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গ্রামের প্রহরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতের কোনও খবর নেই।

    দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান

    ঘটনার পরে পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে (Manipur) যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও সেনা। গত ৫ অগাস্ট বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় পৃথক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিনজন মেইতেই এবং দুজন কুকি সম্প্রদায়ের। তার পর থেকে শান্তির সুপবন বয়ে যাচ্ছিল চিত্রাঙ্গদার দেশে। শুক্রবার ভোরে ফের অশান্তির আগুন জ্বলায় কপালে ভাঁজ প্রশাসনেরও।

    তফশিলি জাতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। হিংসার সূত্রপাত তা থেকেই। সংঘর্ষের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩ মে। হিংসার আগুনে পুড়েছে ঘরবাড়ি, দোকানদানি। ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। অকালে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জখমও হয়েছেন বহু। হিংসার জেরে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল মেইতেই অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর, ইম্ফল পূর্ব, পশ্চিম এবং কাকচিং।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    কুকি-জোমি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও কাঙ্গপোকপি এলাকাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের কাছে জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি অভিযোগ। মণিপুরের এই হিংসায় অবশ্য জড়িয়ে পড়েননি সে রাজ্যের নাগা সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে মণিপুর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “মণিপুরে (Manipur) ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। মণিপুরের সঙ্গে রয়েছে ভারত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Himachal Pradesh: ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি! মৃত বেড়ে ৭৪, বৃষ্টি বন্ধই হচ্ছে না হিমাচল প্রদেশে

    Himachal Pradesh: ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি! মৃত বেড়ে ৭৪, বৃষ্টি বন্ধই হচ্ছে না হিমাচল প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হিমাচলের বিভিন্ন জায়গায় এখন শুধু স্বজনহারানোর কান্না। বৃষ্টির জেরে হড়পা বান আর ধসের তাণ্ডব চলছে গোটা হিমাচল প্রদেশ জুড়ে। সিমলা, সোলান, মান্ডি, চাম্বা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে শুক্রবারও বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বজ্রগর্ভ মেঘ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় হাওয়া অফিস। গত রবিবার থেকে হিমাচলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। টানা তিন দিন ধরে নাগাড়ে বর্ষণের পর, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবারও রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। 

    একাধিক জায়গায় ধস

    রাজধানী সিমলায় গত কয়েক দিনে মুহুর্মুহু ধস নেমেছে একাধিক জায়গায়। সেই ধসে চাপা পড়ে কেউ নিখোঁজ, কারও দেহ উদ্ধার হয়েছে। কেউ পরিজনদের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে শিউরে ওঠা ছবি ভেসে উঠেছে সিমলা-সহ হিমাচলের বেশির ভাগ অংশে। ভূমিধসের কারণে সিমলার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ। বর্ষার মরসুম শুরুর পর থেকে ভারী বর্ষণজনিত দুর্ঘটনায় হিমাচলে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত কয়েক দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। হিমাচলের চারিদিকে এখন শুধুই হাহাকার, মৃত্যু যন্ত্রণা।

    কেন বারবার ধস

    পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরিবেশগতভাবে হিমালয় ভঙ্গুর। সেখানে, অবৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্মাণ হয়েছে। বনভূমি কেটে কেটে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। অবৈজ্ঞানিক নির্মাণের ফলে মাটি নীচে জলপ্রবাহ বাধা পাচ্ছে। এর ফলে ঘন ঘন ধস নামছে। চলতি বছরে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৫৫ দিনে উত্তরের এই পাহাড়ি রাজ্যে মোট ১১৩টি বড় মাপের ধস নেমেছে। বিগত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশের সিমলা, কাংড়া এবং মান্ডি জেলার বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। একের পর এক ঘরবাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। ভেসে গিয়েছে বহু গ্রাম, চাষের জমি। এমনকি, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তাও ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে রাজ্যের ৭০০-র বেশি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জল এবং খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিপদের মুখে পড়েছে হিমাচলের জনজীবন।

    আটকে বহু পর্যটক

    বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সূত্রে খবর, হিমাচল প্রদেশের বহু জায়গায় পর্যটক এবং স্থানীয়েরা আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ২৯টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি দল ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বাকি ১৫টি দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা এবং স্থানীয় প্রশাসনও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ বেঙ্গালুরুতে পালিত হবে ‘জিরো শ্যাডো ডে’! জানেন কী এর বৈশিষ্ট্য?

    ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি 

    এদিকে, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু উপদ্রুত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, রাজ্যের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিক ভূমিধসের ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে পরিকাঠামোর। সেগুলির পুনর্নির্মাণের চ্যালেঞ্জ ‘পাহাড় প্রমাণ’। হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকাও পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্য জুড়ে আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি এই রাজ্যের অর্থনীতি মূলত পর্যটন এবং আপেল ব্যবসার উপর নির্ভর করে। এই দুই ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। হোটেল এবং গেস্ট হাউসে লোক নেই, পর্যটকদের অভাবে রোজগার নেই ট্যাক্সিচালকদেরও। হেলিকপ্টার এবং মোটর বোটের মাধ্যমেও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Coast Guard: মধ্যরাতে দুঃসাহসিক অভিযান উপকূলরক্ষী বাহিনীর, আরব সাগরে উদ্ধার চিনা নাগরিক

    Indian Coast Guard: মধ্যরাতে দুঃসাহসিক অভিযান উপকূলরক্ষী বাহিনীর, আরব সাগরে উদ্ধার চিনা নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ ও ১৭ অগাস্ট মধ্যরাত্রে এক দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্য দিয়ে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard) আরব সাগর থেকে উদ্ধার করল এক চিনা নাগরিককে। বৃহস্পতিবার এই গোটা ঘটনা উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবারের মধ্যবর্তী রাতে একটি চিনা জাহাজ পানামার পতাকাবাহী একটি রিসার্চ ভেসেল ডং ফাং কান ট্যান-২ মুম্বই উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আরব সাগরে অবস্থান করছিল। ওই জাহাজটি আমিরশাহীর দিকে যাচ্ছিল।

    জানা যায়, মধ্যরাতে জাহাজটির ভিতরে থাকা এক চিনা নাগরিক হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। জাহাজে উপস্থিত সকলে প্রাথমিকভাবে মনে করে যে, চিনা নাগরিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে একটি ফোন আসে (Indian Coast Guard)। তখন তাঁরা জানতে পারেন যে জাহাজের এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সম্ভবত তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। দ্রুত তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীকালে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা করা হয় এবং ফোনে প্রাথমিকভাবে কী কী করনীয় তাও বলা হয়। এরপরেই তোড়জোড় শুরু করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard)।

    মধ্যরাতে আরব সাগরে অভিযান  

    বুধবার মধ্যরাতে উত্তাল ছিল আরব সাগর। প্রবল বেগে বইছিল ঝড়ো হাওয়া। সেই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard) প্রতিবেশী দেশের নাগরিককে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাতের অন্ধকারে। এই অভিযান একেবারেই সহজ ছিল না। কিন্তু সেসব কোনও কিছুতে মাথায় রাখেননি বাহিনীর সদস্যরা। মধ্য আরব সাগরের ওই জাহাজ থেকে অসুস্থ চিনা নাগরিককে হেলিকপ্টারে থেকে স্লিদারিং পদ্ধতিতে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে আনা হয় দমনে। সেখানে চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

    ট্যুইট চিনা দূতাবাসের ধন্যবাদজ্ঞাপন

    ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর (Indian Coast Guard) এমন কাজের জন্য প্রশংসা জানিয়ে ট্যুইট করেছে চিনা দূতাবাস। সেখানে তারা লেখে যে, অসুস্থ চিনা নাগরিককে আরব সাগর থেকে উদ্ধার করে যেভাবে চিকিৎসা করা হলো তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Zero Shadow Day: আজ বেঙ্গালুরুতে পালিত হবে ‘জিরো শ্যাডো ডে’! জানেন কী এর বৈশিষ্ট্য?

    Zero Shadow Day: আজ বেঙ্গালুরুতে পালিত হবে ‘জিরো শ্যাডো ডে’! জানেন কী এর বৈশিষ্ট্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই ছায়া চুরি যাওয়ার দিন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবার তা দৃশ্যমান হচ্ছে। আহ্নিক ও বার্ষিক গতির অক্ষ এবং সূর্যের অবস্থান। দুয়ের জেরেই আজ, বেঙ্গালুরুতে ‘জিরো শ্যাডো ডে’ (Zero Shadow Day)। আজ, দুপুর ১২টা বেজে ২৪ মিনিটে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় মানুষ নিজের ছায়া নিজে দেখতে পাবেন না, এমনই অভিমত বিজ্ঞানীদের। যদিও বাস্তবে এই ঘটনাটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড বা তার কম সময় নেয়, তবে এর প্রভাব এক থেকে দেড় মিনিট স্থায়ী হতে পারে। 

    ছায়াশূন্য দিবসের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

    এই ছায়াশূন্য দিবসের (Zero Shadow Day) বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল, ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন দিনে ঠিক দুপুরবেলা সূর্য একেবারে মাথার ওপর আসে কয়েক মুহূর্তের জন্য। এর ফলে কোনও বস্তু বা মানুষের ছায়া পড়লেও, তা দেখা যায় না। কারণ সূর্যের অবস্থানের নিরিখে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ছায়া উল্লম্ব ভাবে তাঁরই পায়ে নিচে হারিয়ে যায়। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার (ASI) গণনা অনুসারে, কয়েক মিনিটের জন্য সূর্য কোনও কিছুর উপর ছায়া ফেলে না। এই ঘটনা একবার নয়, ক্রান্তীয় অঞ্চলে বছরে দু’বার ঘটে। এই সময়ে সূর্য মাথার ঠিক উপরে তার সর্বোচ্চ বিন্দুতে থাকে। কিন্তু তাতেও কোনও ছায়ার সৃষ্টি হয় না। এই ঘটনাটি বিষুবরেখার কাছে ঘটে। কর্কট ক্রান্তি রেখা এবং মকর ক্রান্তি রেখার মধ্যবর্তী অংশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। বেঙ্গালুরুও এমনই একটি এলাকায় মধ্য়ে পড়ে। 

    আরও পড়ুন: আদিত্য এল-১ পৌঁছল শ্রীহরিকোটা, সূর্য মিশনের প্রস্তুতি তুঙ্গে ইসরোর

    কোথায় কোথায় জিরো শ্যাডো ডে

    এই বিরল ঘটনা বেঙ্গালুরুতে গত ২৫ এপ্রিল ঘটেছিল। আজকের পর আবার আগামী বছর ২৫ এপ্রিল এই ঘটনা ফের ঘটতে পারে। শুক্রবার দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে কিছু সময়ের জন্য ছায়া (Zero Shadow Day) পড়বে না। ম্যাঙ্গালোর, বান্টওয়াল, সাক্লেশপুর, হাসান, বিদাদি, বেঙ্গালুরু, দাসারহাল্লি, বাঙ্গারাপেট, কোলার, ভেলোর, আরকোট, আরাককোনাম, শ্রীপেরামবুদুর, তিরুভাল্লুর, আভাদি, চেন্নাই, ইত্যাদিতে শুক্রবার শূন্য ছায়া দিন হবে।  শূন্য ছায়া দিবসকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বিজ্ঞানীরাও পৃথিবীর পরিধি পরিমাপের জন্য এই ঘটনাটি ব্যবহার করেন। আমাদের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২০০০ বছর আগেও এই ধরনের গণনা করতেন। এর মাধ্যমে আজ পৃথিবীর ব্যাস এবং পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতিও পরিমাপ করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    Traditional Medicine: “ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে”, বললেন হু প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনে (Traditional Medicine) ভারতের একটি সমৃদ্ধশালী ইতিহাস রয়েছে। এই ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের মধ্যে আয়ুর্বেদের পাশাপাশি রয়েছে যোগাও। আজ, বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডর্স আধানম ঘেব্রেইসাস। এদিন গুজরাটের গান্ধীনগরে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন গ্লোবাল সামিটে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তা। সেখানেই তিনি ভারতের ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    হু প্রধানের বক্তব্য

    বুধবারই ভারতে এসেছেন হু প্রধান। এদিনের সম্মেলনে তিনি বলেন, “দুরারোগ্য ব্যাধি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং অন্য আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের (Traditional Medicine) খোঁজ চালাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। মানুষকে সুস্বাস্থ্য দিতে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের অবদান কম নয়।” এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন টেডর্স। তিনি বলেন, “গতকাল (বুধবার) গুজরাটের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হাজার পরিবারের পাঁচ হাজার সদস্যের স্বাস্থ্যের দেখভাল করে। তাঁরা যেভাবে ওষুধ ব্যবহার করছেন, তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমি এও দেখেছি, প্রাথমিক পর্যায়ে কীভাবে তাঁরা ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন ব্যবহার করছেন। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ক্ষেত্রে একটা বড় ব্যাপার হল মানব স্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবেশের যোগ। জামনগরে খোলা হয়েছে গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টার। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এর উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।”

    ‘ভারতের কাছে বড় সুযোগ’

    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও। তিনি বলেন, “এই বিশ্ব সম্মেলন (Traditional Medicine) ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। এখানে বার্তা বিনিময় হচ্ছে, আইডিয়া দেওয়া নেওয়া হচ্ছে, গাঁটছড়া বাঁধা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বও হচ্ছে। সর্বোপরি, এক সঙ্গে কাজের সুযোগের দুয়ার খুলে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “আজও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের সাহায্যেই চিকিৎসা হচ্ছে বহু মানুষের। ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এই যে বিশ্ব সম্মেলন হচ্ছে, এটাকে একটা প্লাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্লাটফর্মে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা, ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের ওপর এভিডেন্স ভিত্তিক অ্যাকশনও করা যেতে পারে। যার দ্বারা বিশ্বব্যাপী উপকৃত হতে পারে লাখ লাখ মানুষ।

    আরও পড়ুুন: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    INS Vindhyagiri: কতটা শক্তিশালী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’? চিনে নিন এই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) হাতে শুভ সূচনা হলো ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) নতুন যুদ্ধজাহাজের। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) নামের ওই স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট গোত্রের রণতরীকে নির্মাণ করেছে গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের আওতায় ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হয়েছে দেশে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে জিআরএসই-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ হলো প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া বরাতের তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য ‘স্টেলথ’

    প্রজেক্ট-১৭ আলফা-র আওতায় নির্মিত জাহাজগুলোর নকশা করেছে নৌসেনার (Indian Navy) অধীনস্থ সংস্থা ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো (পূর্বতন ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন)। ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিচালিত এই জাহাজের মূল বৈশিষ্ট্য হল এগুলো ‘স্টেলথ’ (Stealth Missile Frigate) প্রকৃতির। অর্থাৎ, শত্রুর রেডারে এই জাহাজগুলো সহজে ধরা পড়ে না। এর প্রধান কারণ হলো, জাহাজের নকশা এমনভাবে করা হয়, যাতে ধারালো কোণ থাকে না। এই জাহাজগুলোর নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে কম্পোজিট মেটিরিয়াল। এছাড়া, এদের রঙের আস্তরণ এমন থাকে, যা রেডারের তরঙ্গ প্রতিফলিত করে না। ফলত, এই শ্রেণির জাহাজগুলোর রেডার-ক্রস সেকশন অত্যন্ত নগন্য।

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র ডিজেল-ইলেকট্রিক ইঞ্জিন

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র (INS Vindhyagiri) মূল চালিকাশক্তি হলো চারটি ইঞ্জিন। ২টি ডিজেল ও ২টি ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন চালিত এই জাহাজটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৫০ মিটার। এর ওজন প্রায় ৬ হাজার ৬৭০ টন। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২ নট। (প্রায় ৬০ কিমি/ঘণ্টা)। এই জাহাজটি ২৮ নট গতিতে একটানা ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে সক্ষম। অন্যদিকে, ১৬-১৮ নট গতিতে এটির পাল্লা বেড়ে যায় ৫,৫০০ নটিক্যাল মাইল। জাহাজে ৩৫ অফিসার সহ ২২৬ জনের থাকার সংস্থান রয়েছে।

    যুদ্ধজাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা

    জাহাজের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত মজবুত। এতে রয়েছে একাধিক সেন্সর, রেডার ইডব্লিউ সুইট। ‘আইএনএস বিন্ধ্যাগিরি’-তে রয়েছে অত্যাধুনিক এমএফ-স্টার আয়সা রেডার। আকাশ হোক বা ভূমি— শত্রুর যে কোনও জাহাজ, ড্রোন, বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্র, তা সে যত ছোটই হোক না কেন, ৩৬০ ডিগ্রি নজরদারি চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন এই রেডারে সব ধরা পড়বে। ৪৫০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও নিশানাকে ট্র্যাক করতে সক্ষম এই বিশেষ রেডার। এছাড়া, এতে রয়েছে দ্বিতীয় সারফেস-সার্চ রেডার, যা ৪৬০ কিমি পর্যন্ত যে কোনও যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ট্র্যাক করতে সক্ষম। 

    এই জাহাজে সোনার ও রেডারের ক্ষমতা কেমন?

    ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে রয়েছে ডিআরডিও-নির্মিত সোনার, যা জলের নিচে থাকা সাবমেরিন ও টর্পিডোকে বা আন্ডার-ওয়াটার মাইনকে ট্র্যাক ও ট্র্যাক করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি, এতে লাগানো হয়েছে অত্যাধুনিক ‘শক্তি’ ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুইট (ইডব্লিউ স্যুইট)। দেশীয় ওই বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা একদিকে যেমন যে কোনও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চিহ্নিত করতে সক্ষম, তেমন ভাবেই প্রথাগত রেডারের সিগন্যাল জ্যাম করতে বা নিরস্ত্র করতেও পারে। শুধু তাই নয়, শত্রু যদি চায় এই জাহাজের সিগন্যাল ব্লক করতে, তখন এই ইডব্লিউ স্যুইট পাল্টা তাকে রুখে দিতে সক্ষম, যাতে জাহাজের নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

    অস্ত্রের বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    এবার নজর দেওয়া যাক এই ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-র অস্ত্রসম্ভারের দিকে। ‘পি-১৭এ’ ফ্রিগেটগুলোতে বিভিন্ন বিপদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। স্থলে বা জলে (ভাসমান) যে কোনও হামলা প্রতিহত করার জন্য এতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই জাহাজে রয়েছে ৮টি ‘ব্রহ্মোস’ জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি শব্দের ৩ গুণ। এছাড়া রয়েছে একটি ৭৬ এমএম ‘ওটো মেলারা’ নেভাল গান এবং ১টি ৩০ এমএম ‘একে-৬৩০’ ক্লোজ-ইন উইপন সিস্টেম (সিআইডব্লিউএস)।

    আকাশপথে হামলা প্রতিহত করার জন্য এই জাহাজে রয়েছে ৩২টি ‘বারাক-৮’ ইআর মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। ১৫০ কিমি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, জাহাজ-বিধ্বংসী মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করতে পারদর্শী। ইজরায়েলের এই মিসাইল বর্তমানে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতেই উৎপাদন করা হচ্ছে। 

    ভূমি ও জলের ওপরের মতোই জলের নিচে দিয়ে করা হামলার জবাব দিতেও পারদর্শী ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri)। সাবমেরিন বা টর্পিডো ধ্বংস করতে এতে রয়েছে ২টি টর্পিডো লঞ্চার। এক-একটি লঞ্চারে ৩টি করে টর্পিডো তৈরি থাকে। এছাড়া রয়েছে, সাবমেরিন-বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার যা ১ কিমি পর্যন্ত যে কোনও বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। 

    আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার

    প্রতিঘাতের পাশাপাশি ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri) জাহাজে আছে অত্যাধুনিক আত্ম-সুরক্ষা ব্যবস্থা। যার মধ্যে রয়েছে ২টি ‘মারীচ’ টর্পিডো-কাউন্টার মেজার ডিকয় সিস্টেম এবং চারটি ‘কবচ’ ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ডিকয় লঞ্চার। শত্রুর টর্পিডো বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে এই মারীচ ও কবচ জাহাজের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। তখন, শত্রু টর্পিডো-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এদের টার্গেট ভেবে ধ্বংস করে, বেঁচে যায় জাহাজ। অন্যদিকে, এই জাহাজে ২টি হেলিকপ্টার থাকতে পারে। হ্যাঙ্গারে থাকে একটি, অন্যটি থাকতে পারে ডেকে। সম্ভবত, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ‘ধ্রুব মার্ক-৩’ বা ‘ওয়েস্টল্যান্ড সি-কিং’ হেলিকপ্টার থাকবে। পরবর্তীকালে, উল্লেখিত হেলিকপ্টারের জায়গায় আসবে সিকর্সকি ‘এমএইচ-৬০ রোমিও’ হেলিকপ্টার (Indian Navy)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

    Supreme Court: প্রয়োগ করা যাবে না ‘ইভটিজিং’, ‘প্রস্টিটিউট’, পরিবর্তে কী লিখতে হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার করার সময় ব্যবহার করা যাবে না ‘ইভটিজিং’ শব্দটি। নিষেধ করা হয়েছে ‘প্রস্টিটিউট’ বা ‘হুকার’ শব্দ প্রয়োগেও। ‘হাউস-ওয়াইফ’ শব্দটিও ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব শব্দের বদলে ব্যবহার করতে হবে যথাক্রমে ‘যৌন নির্যাতন’, ‘যৌনকর্মী’ এবং ‘হোমমেকার’। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ‘হ্যান্ডবুক অন কমবাটিং জেন্ডার স্টিরিওটাইপস’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন। তাতেই দেওয়া হয়েছে ‘ডুজ’ অ্যান্ড ‘ডোনটজে’র পাঠ।

    শব্দ তালিকা

    ওই পুস্তিকায় ৪৩টি শব্দের একটি তালিকা দিয়ে বলা হয়েছে রায় দেওয়ার সময় বিচারপতিরা যেন কোনওভাবেই এই শব্দগুলি প্রয়োগ না করেন। কেবল তাই নয়, মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী এবং মামলার পক্ষের লোকজনও যেন শব্দগুলি এড়িয়ে চলেন। তার পরিবর্তে পুস্তিকায় উল্লিখিত শব্দগুলি ব্যবহার করেন। প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “এই শব্দগুলির মধ্যে রয়েছে লিঙ্গবৈষম্য। তাই এসব শব্দ বাদ দিয়ে রায় লেখা সহ আদালতের যাবতীয় কাজ করতে হবে পুস্তিকায় উল্লিখিত বিকল্প শব্দ প্রয়োগ করে।”

    কী লেখা যাবে না

    পুস্তিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও মামলার রায় দিতে গিয়ে ‘অ্যাফেয়ার’ শব্দটি লেখা বা উচ্চারণ করা যাবে না। এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘রিলেশনশিপ আউটসাইড অফ ম্যারেজ’। ‘ইভটিজিং’ শব্দটিও মামলার শুনানি চলাকালীন লেখা বা বলা যাবে না। তার বদলে লিখতে হবে ‘স্ট্রিট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট’ বা ‘রাস্তায় যৌন হেনস্থা’। তিরিশ পাতার ওই পুস্তিকায় ‘রক্ষিতা’ শব্দটিও ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তার পরিবর্তে লিখতে হবে ‘কোনও পুরুষের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে রোম্যান্টিক বা যৌন সম্পর্ক রয়েছে এমন মহিলা’।

    আরও পড়ুুন: এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়ল ছত্তিশগড়ের আটটি গ্রামে

    ‘অবিবাহিতা মা’ শব্দবন্ধটিও প্রয়োগ করা যাবে না। তার বদলে লিখতে হবে কেবল ‘মা’ শব্দটিই। মামলার শুনানি চলাকালীন ‘জারজ’ সন্তান শব্দবন্ধটিও ব্যবহার করা যাবে না। তার পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘অ-বৈবাহিক’ সন্তান। ‘হাউস-ওয়াইফে’র পরিবর্তে প্রয়োগ করতে হবে ‘হোমমেকার’ শব্দটি।পুস্তিকা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বলেন, “এর উদ্দেশ্য অতীতের বিচারের সমালোচনা করা বা সন্দেহ করা নয় বরং কেবল এটা দেখানো যে কীভাবে অজান্তেই স্টিরিওটাইপ শব্দ ব্যবহার করা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হলো ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এক তারকাখচিত অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে (GRSE) নৌসেনার নতুন স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) নামের এই রণতরী ভারতীয় নৌসেনার ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার সহ শীর্ষ পদাধিকারীরা। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন ভারত ক্রিকেট অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

    বোতাম টিপে রণতরীর শুভ-সূচনা

    এদিন বোতাম টিপে ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’কে (INS Vindhyagiri Launch) জলে ভাসিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে, স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে, নারকেল ফাটিয়ে ও মালা পরিয়ে জাহাজের পুজো করা হয়। সেই শুভ কাজ করেন রাষ্ট্রপতি। তার পর তিনি জাহাজটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং বোতাম টিপে জাহাজের নাম ফলক প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের জলসীমার সুরক্ষিত রাখার জন্য ভারতীয় নৌসেনার প্রশংসা করেন। সময়মতো জাহাজের নির্মাণ শেষ করার জন্য জিআরএসই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার। 

    ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    নৌসেনার ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের অধীনে সাতটি নিলগিরি-শ্রেণির (এই প্রজেক্টের প্রথম জাহাজ ‘আইএনএস নিলগিরি’-র নামে শ্রেণিভুক্ত) ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) হলো এই প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। সেই দিক থেকে কলকাতার জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা জিআরএসই-র মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Per Capita Income: স্বাধীনতার শতবর্ষে ভারতের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকা, বলছে রিপোর্ট

    Per Capita Income: স্বাধীনতার শতবর্ষে ভারতের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়াবে ১৪.৯ লাখ টাকা, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় যে শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থা। এবার প্রায় একই কথা জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই-ও। তারাও জানাল, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। সমীক্ষা করার পর এসবিআই জানিয়ে দিয়েছে, ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে, ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকাম (Per Capita Income) বৃদ্ধি পাবে সাত গুণ।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের পরের দিনই একটি রিপোর্ট পেশ করে এসবিআই। তাতেই তারা রীতি মতো হিসেব কষে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতবাসীর পার ক্যাপিটা ইনকাম ২ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১৪.৯ লক্ষ টাকা। এসবিআইয়ের ওই রিসার্চ রিপোর্টে নমিনাল ইনকামের কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে ২০৪৭ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতির হিসেব অবশ্য দেখানো হয়নি। আজ ১৪.৯ লক্ষ টাকার যে মূল্য, ২৪ বছর পরে অবশ্য একই থাকবে না। মুদ্রাস্ফীতির কারণে পার ক্যাপিটা ইনকামের (Per Capita Income) একটি হিসেব তুলে ধরে দেখানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। অনুমান করা হয়েছে, বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশ।

    মুদ্রাস্ফীতির হার

    গত ১০ বছরে অন্তত এভাবেই বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার। সেই হিসেবে ২০৪৭ সালে ১৪.৯ লক্ষ টাকার প্রকৃত মূল্য আজকের টাকার অঙ্কে দাঁড়াবে ৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এই মুহূর্তে ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকামের পরিমাণ খুবই কম। পার ক্যাপিটা ইনকামে ভারত রয়েছে বাংলাদেশেরও নীচে। স্বাধীনতার শতবর্ষের মধ্যে দেশে ওয়ার্কফোর্সের পাশাপাশি বাড়বে ট্যাক্সদাতাদের সংখ্যাও। করদাতাদের দিতে হবে এখনের চেয়ে সাতগুণ বেশি ট্যাক্স। ২০৪৭ সালে সব মিলিয়ে করের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৮.২ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: ১০০ কেজিরও বেশি মাদক বাজেয়াপ্ত, এমবিএ পাশ যুবক সহ গ্রেফতার ৭ পাচারকারী

    রিপোর্টে বলা হয়েছে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় ট্যাক্সদাতাদের সংখ্যা একলপ্তে বেড়ে যাবে অনেকখানি। যাঁদের আয় কম এমনতর ২৫ শতাংশ মানুষের নাম বাদ যাবে ট্যাক্সদাতাদের তালিকা থেকে। যাঁরা আয়কর দেবেন, তাঁদের মধ্যে ১৭.৫ শতাংশ করদাতার আয় হবে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। পাঁচ শতাংশ মানুষের আয় হবে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে (Per Capita Income)। আর ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে আয় করবেন করদাতাদের মধ্যে তিন শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share