Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Supreme Court: চন্দ্রচূড় কেন দখল করে রেখেছেন সরকারি বাংলো? কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: চন্দ্রচূড় কেন দখল করে রেখেছেন সরকারি বাংলো? কেন্দ্রকে চিঠি সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়েছেন বছরখানেক আগে। স্বাভাবিকভাবেই হারিয়েছেন সরকারি বাসভবনে থাকার অধিকারও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Supreme Court) তার পরেও সরকারি বাংলো দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চিঠি দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। চিঠিতে (DY Chandrachud) জানানো হয়েছে, অবিলম্বে ওই বাংলো খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং শীর্ষ আদালতের বর্তমান বিচারপতিদের জন্য সেটি বরাদ্দ করতে হবে।

    চন্দ্রচূড়কে নিয়ে প্রশ্ন (Supreme Court)

    বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই। তাঁকে নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে বিচারপতির সংখ্যা ৩৩, যদিও থাকার কথা ৩৪। এই ৩৩ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত বাড়ি বরাদ্দ করা যায়নি চারজন বিচারপতির জন্য। এঁদের মধ্যে তিনজন রয়েছেন আদালতের ট্রানজিট আবাসনে, একজন অতিথিশালায়। কৃষ্ণ মেনন মার্গে রয়েছে ৫ নম্বর বাংলো। এটিই বরাদ্দ করা হয় প্রধানবিচারপতিদের। অবসর নেওয়ার পরেও সেই বাংলো এখনও কেন চন্দ্রচূড় দখল করে রেখেছেন, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যার জেরে কেন্দ্রকে চিঠি লিখল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

    কী বললেন চন্দ্রচূড়?

    এ প্রসঙ্গে চন্দ্রচূড় বলেন, “সরকারের তরফে ভাড়ায় নেওয়া বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িটি দু’বছর ধরে বন্ধ পড়েছিল। সেখানে সংস্কারের কাজ চলছে। সুপ্রিম কোর্টকে সেকথা জানিয়েওছিলাম। বাড়ির কাজ শেষ হলে পরের দিনই বাংলো ছেড়ে দেব বলেও জানিয়েছিলাম।” তিনি বলেন, “বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দুই মেয়ে আছে আমার। গুরুতর কোমর্বিডিটিজ রয়েছে ওদের, জিনগত কিছু সমস্যাও রয়েছে, বিশেষ করে নেমালিন মায়োপ্যাথি। এইমসে ওদের চিকিৎসাও চলছে। এগুলো আমার ব্যক্তিগত সমস্যা, জানি। আদালতকেও জানিয়েছি। আর কিছুদিনের ব্যাপার। সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলাম আমি। নিজের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। তবে অতীতে অন্য বিচারপতিদের নির্ধারিত সময়ের পরও বাসভবন ধরে রাখতে দেওয়া হয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে আদালত লিখেছে, ‘দেরি না করে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কাছ থেকে অবিলম্বে কৃষ্ণ মেনন মার্গের ৫ নম্বর বাংলোটির দখল নিন। ৩১ মে পর্যন্ত বাংলোটি ধরে রাখার যে সময়সীমা ছিল, তা পেরিয়ে গিয়েছে (DY Chandrachud)। ৩বি বিধির আওতায় ১০ মে পর্যন্ত নির্ধারিত ছ’মাসের সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে (Supreme Court)।

  • Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আনা সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার বলেছেন, দেশজুড়ে এই নতুন আইনগুলি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পর, এফআইআর দায়েরের তিন বছরের মধ্যেই বিচার নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। নতুন তিনটি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA)—২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইন তিনটি যথাক্রমে ঔপনিবেশিক যুগের ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC), ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) এবং ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।

    তিন বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে এবার জানালেন শাহ (Amit Shah)

    দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “এই তিনটি আইন এক ধরনের রূপান্তর আনতে চলেছে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়। এতদিন এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না থাকা। আমি ভারতের প্রতিটি নাগরিককে (New Criminal Law) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন আইনগুলির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং তারপরে, কোনও এফআইআর দায়ের হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে তার বিচার নিষ্পত্তি হবে—এটি নিশ্চিত করা হবে।”

    ভারত মণ্ডপমে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে (Amit Shah) ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এই সংস্কার প্রতিটি নাগরিকের অধিকারকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এটি তাঁদের নিরাপত্তার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং সহজলভ্য করে তোলাই এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় আইনি সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।” তিনি আরও জানান, এই আইনগুলির প্রণয়নের (New Criminal Law) পেছনে ছিল বিস্তৃত পরামর্শ, বহু বিশেষজ্ঞের মতামত ।

  • Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা প্রলোভনে হিন্দু মহিলাদের (Hindu Girls) ফাঁদে ফেলে তাঁদের ‘লাভ জিহাদ’-এর শিকার বানানোর অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস কাউন্সিলরের নাম আনোয়ার কাদরী। ইতিমধ্যেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর মাথার দাম মধ্যপ্রদেশ (Indore) প্রশাসন ১০,০০০ টাকা ঘোষণা করেছে। তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ?

    এ নিয়ে মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ রাজেশ দন্দিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় আনোয়ার কাদরী অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার (Indore) অভিযোগে ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।

    স্থানীয়ভাবে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামে পরিচিত কাদরি (Hindu Girls)

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কাউন্সিলর আনোয়ার কাদরী একাধিক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত — এজন্য তাঁকে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামেও ডাকা হয়। ‘লাভ-জিহাদ’ অভিযানে অর্থায়ন এবং একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার নাম (Indore) আসার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আনোয়ার। উল্লেখযোগ্যভাবে, আনোয়ার কাদরী তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাহিল শেখ এবং আলতাফ খানকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রদান করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ মূলত ব্যবহৃত হত হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণী ও মহিলাদের নানা প্রলোভনের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলার কাজে। সাহিল এবং আলতাফ ওই অর্থের সাহায্যে পরিকল্পিতভাবে মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতেন এবং পরবর্তীতে তাদের বিয়ে করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, লাভ জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হল, ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নারীদের টার্গেট করা। এই কার্যকলাপের পেছনে আনোয়ার কাদরীর প্রত্যক্ষ অর্থায়ন ও মদত ছিল বলেই তদন্তকারীদের ধারণা।

  • Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    Rath yatra 2025: মুসলমান ভক্তকে দর্শন দিতে যাত্রা পথে দাঁড়ায় জগন্নাথের রথ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর মন্দিরে বিধর্মীদের প্রবেশাধিকার নেই। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও জগন্নাথ দর্শন না করেই পুরী থেকে ফিরতে হয়েছিল শুকনো মুখে (Muslim Devotee)। তবে পুরীর রথযাত্রার (Rath yatra 2025) সঙ্গে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ভগবান জগন্নাথের এক মুসলমান ভক্তের কাহিনি। আজ আমরা জানব সেই চমকপ্রদ কাহিনি।

    ভক্ত সালবেগা (Rath yatra 2025)

    ওড়িশার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। চন্দ্র মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় রথে চড়ে মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যান জগন্নাথ, বলরাম এবং শুভদ্রা। আটদিন মাসির বাড়িতে কাটিয়ে ত্রিদেব ফিরে যান শ্রীমন্দিরের রত্নবেদিতে। এই রথযাত্রার সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছেন জগন্নাথের মুসলিম ভক্ত সালবেগার ভক্তিগাথা। তিনি ছিলেন ওড়িশার ভক্ত-কবি। মুসলমান পরিবারে জন্ম নিয়েও তিনি তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন জগন্নাথদেবের উপাসনায়।

    জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়

    এক মুঘল সুবেদার ও হিন্দু ব্রাহ্মণ মহিলার পুত্র সালবেগা। এক মারাত্মক আঘাত পেয়েও দৈবীবলে বেঁচে যাওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন জগন্নাথ দেবের একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি স্বপ্নে দেখেন, জগন্নাথ স্বয়ং তাঁর চিকিৎসা করছেন। আর তিনি প্রতিদিনই সুস্থ হচ্ছেন একটু একটু করে। সুস্থ হয়ে উঠে সালবেগা তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন জগন্নাথের সেবায়। রচনা করেন চিরস্মরণীয় একাধিক ভজন ও ভক্তিগীতি। এর মধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় হল ‘আহে নীলা শৈল’ (Rath yatra 2025)।

    কিংবদন্তী অনুসারে, একবার রথযাত্রার সময় মাঝ পথে আচমকাই থেমে যায় জগন্নাথের রথ। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সালবেগা। তারপর ফের রথ চলতে শুরু করে। পরে ওই জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণ করা হয়। সালবেগার প্রতি জগন্নাথদেবের ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আজও ওই মন্দিরের সামনে কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যায় জগন্নাথদেবের রথ। সালবেগার ভক্তিভাবনায় পরিপূর্ণ ভজন ও গান আজও মুখে মুখে ফেরে ওড়িশাবাসীর। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সেই গানের মাধ্যমে (Muslim Devotee) ভক্ত সালবেগার ভক্তিরস পৌঁছে যায় স্বয়ং জগন্নাথ দেবের কানে।

    তিনি যে ভক্তের ভগবান (Rath yatra 2025)!

  • Amaranth Yatra: প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রবিবার অমরনাথের পথে ফের ৭ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী

    Amaranth Yatra: প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রবিবার অমরনাথের পথে ফের ৭ হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩ জুলাই শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা (Amaranth Yatra)। ইতিমধ্যেই দেবদর্শন করে ফেলেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি তীর্থযাত্রী (Holy Cave)। রবিবার ভোরে জম্মুর বেস ক্যাম্প থেকে ফের রওনা দিলেন ৭ হাজার ২০০ জনেরও বেশি পুণ্যার্থীর একটি দল। ৩ জুলাই শুরু হওয়া এই তীর্থযাত্রা চলবে ৩৮ দিন ধরে। এদিন যে পুণ্যার্থীর দল অমরনাথ গুহার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৫৮৭ জন নারী এবং ৩০ জন শিশু। ভগবতী নগর বেস ক্যাম্প থেকে এদিন ভোর ৩.৩৫ থেকে ৪.১৫-এর মধ্যে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পৃথক দুটি কনভয়ে যাত্রা শুরু করেন তীর্থযাত্রীরা। বুধবারের পর সব চেয়ে বড় তীর্থযাত্রীর দল এদিন রওনা দেন দেব দর্শনে।

    অমরনাথের পথে (Amaranth Yatra) 

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে অমরনাথ যাত্রাপথে। এদিন প্রথম কনভয়ে ছিল ১৪৭টি গাড়ি। এই গাড়িগুলি ৩ হাজার ১৯৯ জন তীর্থযাত্রী নিয়ে গাঁদারবাল জেলার খাড়া ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বালতাল রুটে যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় কনভয়ে গাড়ি ছিল ১৬০টি, পুণ্যার্থী ছিলেন ৪ হাজার ৯জন। এঁরা যাত্রা করেন অনন্তনাগ জেলার ঐতিহ্যবাহী ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পহেলগাঁও রুটে। শনিবার রাতভর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে জম্মুতে। এদিন ভোরেও বৃষ্টি হচ্ছিল ঝমঝমিয়ে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দেব দর্শনের বেরিয়ে পড়েন তীর্থযাত্রীরা। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার তীর্থযাত্রী পৌঁছেছেন ৩ হাজার ৮৮০ মিটার উচ্চতার গুহা মন্দিরে।

    নাম নথিভুক্ত করেছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ 

    জানা গিয়েছে, এখনও (Amaranth Yatra) পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষ তীর্থযাত্রার জন্য অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। জম্মুজুড়ে ৩৪টি আবাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের দেওয়া হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। পুণ্যার্থীদের নাম নথিভুক্ত করণের উদ্দেশ্যে খোলা হয়েছে ১২টি কাউন্টার।

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলায় বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেও পুণ্য যাত্রায় অংশ নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে (Holy Cave) জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে ভগবতীনগর বেস ক্যাম্প (Amaranth Yatra)।

  • Piyush Goyal: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না ভারত,” সাফ জানালেন পীযূষ

    Piyush Goyal: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না ভারত,” সাফ জানালেন পীযূষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমেরিকার সঙ্গে নয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি (India US Trade Agreement) স্বক্ষর করবে না ভারত।” শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal)। একই সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, “নয়াদিল্লি তার নিজের শর্তেই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে।”

    সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই (Piyush Goya)

    ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের পণ্যে শুল্কের পরিমাণ ছিল ২৬ শতাংশ। পরে নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার আগে ৯০ দিনের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৯ জুলাই। ফলে তার আগেই ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হবে কি না, তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।

    কী বললেন পীযূষ

    ট্রাম্প আগেই আভাস দিয়েছেন ৯ জুলাইয়ের পর তিনি আর ওই সময়সীমা বাড়াতে চান না। জুনের শেষ সপ্তাহে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলার পর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ভারত। তারই প্রেক্ষিতে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নিউজিল্যান্ড, ওমান, আমেরিকা, চিলি বা পেরু, অনেক দেশের সঙ্গে চুক্তির জন্য আলোচনা চলছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তখনই হয়, যখন পারস্পরিক সুবিধা থাকে। যখন ভারতের স্বার্থরক্ষা করে চুক্তিটি করা হয়। জাতীয় স্বার্থকে সর্বদা অগ্রাধিকার দিয়ে ভারত সর্বদা উন্নত দেশগুলির সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত।” প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে আমেরিকায় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে বৈঠকের পরে পীযূষ বলেছিলেন, “আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফার্স্ট নীতি নিয়ে আমরা এগোব।”

    সেই পীযূষই (Piyush Goyal) এদিন বলেন, “একেবারে উইন-উইন চুক্তি হতে হবে। এবং ভারতের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকাই একমাত্র শর্ত। জাতীয় স্বার্থ সব সময়ই অগ্রাধিকার পায়। এবং সেক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যদি কোনও ভালো চুক্তি সম্পন্ন হয়, ভারত সব সময় উন্নত দেশগুলির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তুলবে।”

    বৃহস্পতিবারই হোয়াইট হাউসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমাদের সঙ্গে সকলেই চুক্তি করতে চায়। গতকালই আমরা চিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি। আরও একটা বড়সড় চুক্তি করতে চলেছি, সম্ভবত ভারতের সঙ্গে। বিরাট বড়মাপের (India US Trade Agreement) চুক্তি হবে।” তার পরেই এদিন পীযূষের মুখে শোনা গেল চুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থের অগ্রাধিকারের কথা (Piyush Goyal)।

  • Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষমতা তাক লাগিয়ে গিয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। এবার আরও শক্তি বাড়তে চলেছে। এবার সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন করে আরও অস্ত্র কেনার (Defence Purchase) জন্য তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (Defence Acquisition Council) দেশীয় উৎস থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা অপারেশন সিঁদুরের পর সামরিক বাহিনীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

    কী কী থাকছে কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায়?

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিএসি-র (DAC) বৈঠকে যে যে সামরিক সরঞ্জামের কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকেই (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামরিক কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায় অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’, সাঁজোয়া গাড়ি (আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল্‌) এবং অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধব্যবস্থার (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) উপকরণ। নৌসেনার জন্য আকাশহানা প্রতিরোধী ‘সুপার র‌্যাপিড গান’, মাইন চিহ্নিতকারী জাহাজ এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘সাব-মার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল’ রয়েছে এই তালিকায় (Defence Purchase)। দেশেই হবে ১২টি মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (MCMVs) নির্মাণ। এই জল সুরক্ষা যান তৈরির বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা। এই ৯০০-১,০০০ টনের বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলি জলের নিচে মাইন নিস্ক্রিয় করতে কার্যকরী, যুদ্ধের সময় বন্দর বা জলপথ অবরোধ করা প্রতিহত করতেও কাজে লাগবে।

    ১০,০০০ কোটি টাকায় তিনটি গুপ্তচর বিমান

    আবার বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে (Defence Purchase) বিশেষ গুপ্তচর বিমান। ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেলিয়ান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেসেন্স (ISTAR) বিমান। ৩৬,০০০ কোটি টাকার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) কেনা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এটি তৈরি করবে সেনাবাহিনীর তিনটি রেজিমেন্ট ও বিমানবাহিনীর তিনটি স্কোয়াড্রনের জন্য। এই মিসাইলগুলি অত্যন্ত দ্রুত শত্রুপক্ষের বিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ধ্বংস করতে পারে, ৩০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনও শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে।

  • Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    Dalai Lama: দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন, চিনের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রচলিত প্রথা মেনেই তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন হবে। সেই অধিকার থাকবে তাঁদের সংস্থা গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই।

    ভারতের জবাব (Dalai Lama)

    তিব্বতি ধর্মগুরুর ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল চিন। শি জিনপিংয়ের নাম না নিয়েই এর জবাব দিল ভারত (India Slams China)। তিব্বতি ধর্মগুরু নির্বাচনে চিনের নাক গলানোর বিষয়টি যে ভালো চোখে দেখা হচ্ছে না, সেকথা শি জিনপিংয়ের দেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের অধিকার রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বর্তমান দলাই লামার হাতেই। সাংবাদিক বৈঠকে রিজুজু বলেন, “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেন দলাই লামা। তাঁর অনুগামীরা চাইছেন, দলাই লামার ইচ্ছে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাই উত্তরসূরি বেছে নিক। এর বাইরে অন্য কারও এই প্রক্রিয়ায় নাক গলানোর অধিকার নেই।”

    তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন

    ৬ জুলাই ধর্মশালায় পালিত হবে তিব্বতি এই ধর্মগুরুর ৯০তম জন্মদিন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজু। থাকবেন আরও এক মন্ত্রী রাজীব রঞ্জনও। ৯০তম জন্মদিনের কয়েক দিন আগেই বুধবার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দলাই লামা। তিনি জানিয়েছিলেন, ছ’শো বছরের প্রাচীন প্রথা ও ঐতিহ্য মেনেই চলবে আমাদের সংস্থার কাজকর্ম (Dalai Lama)। উত্তরসূরি নির্বাচনের অধিকার থাকবে কেবল গাদেন ফোদরাং ট্রাস্টের হাতেই। অন্য কেউ নাক গলাতে পারবে না।

    প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে লাসা (তিব্বতের রাজধানী) থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন দলাই লামা। কারণ সেই সময় তিব্বত আক্রমণ করেছিল চিন। তার পর থেকে চিন তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে। পরে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। ওয়াকিবহাল মহলের (India Slams China) মতে, তাঁর সাম্প্রতিক এই ঘোষণাটি কেবল তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা নয়, চিনা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মীয় ঐতিহ্যের স্বাধীনতাকেও জোরালোভাবে তুলে ধরে (Dalai Lama)।

  • Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    Prant Pracharak Baithak: আজ থেকে শুরু আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক, কী কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে দিল্লিতে বসছে তিনদিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক (Prant Pracharak Baithak)। দিল্লিতে আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। উপস্থিত থাকবেন সকল সহ-সরকার্যবাহ, কার্যবিভাগের প্রধান এবং আরএসএস-অনুপ্রাণিত ৩২টি সংগঠনের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক। এছাড়া দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ-প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ-ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক (Prant Pracharak Baithak) অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করা হবে। এটি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সভা নয়। আলোচনাগুলি বিভিন্ন প্রান্তে সাংগঠনিক কাজের অগ্রগতি এবং অভিজ্ঞতার চারপাশে আবর্তিত হবে।

    ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল অম্বেকর জানান, এই সভার মূল লক্ষ্য হল শতাব্দী বর্ষ (শতবর্ষ)। সমস্ত প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজ নিজ রাজ্যে পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছেন। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে। যা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। সভার (Prant Pracharak Baithak) পরে এই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

    বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা

    মার্চ থেকে সারা দেশে ১০০টি প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫টি ৪০ বছরের কম বয়সি স্বয়ংসেবকদের জন্য এবং ২৫টি ৪০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়সিদের জন্য। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলির সময়, সেবা বিভাগ (পরিষেবা বিভাগ) সহ বিভিন্ন কার্য বিভাগগুলি বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এর পাশাপাশি, স্বয়ংসেবকরা স্থায়ী প্রকল্পের (স্থায়ী সেবা প্রকল্প) সঙ্গেও জড়িত এবং দুর্যোগের সময় ত্রাণ কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা পুরী জগন্নাথ রথযাত্রা এবং আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছিলেন। সভায় বিভিন্ন কার্যবিভাগের কার্যকারিতা নিয়েও আলোচনা করা হবে। প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।

    শতাব্দী বর্ষে বছরব্যাপী উৎসব নিয়ে আলোচনা

    ২ অক্টোবর নাগপুরে বিজয়াদশমী উৎসবের মাধ্যমে সরসংঘচালক মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে শতাব্দী বর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো এক বছর চলবে শতাব্দী বর্ষের অনুষ্ঠান। একই দিনে, সারা দেশে শাখা, মণ্ডল এবং বস্তি (ইউনিট, সার্কেল এবং স্থানীয়) স্তরে উদযাপন করা হবে। স্বয়ংসেবকরা একটি গৃহ যোগাযোগ অভিযান (ঘরে-ঘরে যোগাযোগ অভিযান) পরিচালনা করবেন, যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি যাবেন, সংঘ সাহিত্য (আরএসএস সাহিত্য) বিতরণ করবেন এবং আলোচনা করবেন।

    সারা দেশে নগর/খণ্ড (বিভাগ) স্তরে, সামাজিক সদ্ভাব বৈঠক (সামাজিক সম্প্রীতি সভা) আয়োজন করা হবে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ একত্রিত হয়ে সামাজিক কুফল দূর করে এবং সম্প্রীতি ও ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়াও, জেলা কেন্দ্রগুলিতে (জেলা কেন্দ্রগুলিতে), প্রধান নাগরিক গোষ্ঠী (বিশিষ্ট নাগরিক সেমিনার) অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশগুলিতে হিন্দুত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হবে। শতাব্দী বর্ষ উপলক্ষে যুবসমাজের অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়ে বিশেষ কর্মসূচিও আয়োজন করা হবে।

    আরএসএস (RSS) নিয়ে যুবসমাজে উৎসাহ

    অম্বেকর বলেন, সংঘ সম্পর্কে জানতে এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য সমাজে কৌতূহল এবং উৎসাহের এক দৃশ্যমান ঢেউ দেখা যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক যুবক-যুবতী সংঘে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই বছরের প্রশিক্ষণ বর্গে উল্লেখযোগ্যভাবে যুবসমাজের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়া, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে, “জয়েন আরএসএস” প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২৮,৫৭১ জন অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন।

  • Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    Photonic Radar: আর অদৃশ্য নয় শত্রুর স্টেলথ বিমান, যুগান্তকারী ‘ফোটনিক রেডার’ তৈরি করল ভারত, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেডার প্রযুক্তিতে বিরাট লাফ দিতে চলেছে ভারত। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এমন একটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেডার তৈরি করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষমতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখবে। আর এই বৈল্পবিক প্রযুক্তি সম্পন্ন রেডারের নাম হল ‘ফোটনিক রেডার’ (Photonic Radar)। এটি তৈরি করেছে ডিআরডিও (DRDO) অধিনস্থ সংস্থা ইন্সট্রুমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাবলিশমেন্ট (আইআরডিই)। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে, শীঘ্রই হবে এর পরীক্ষা। তার পর আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করার কাজ শুরু হবে।

    এই ফোটনিক রেডার ঠিক কী?

    সাধারণত, ভারত সহ সবকটি উন্নত দেশ যে রেডার বর্তমানে ব্যবহার করে, তা হল এইএসএ প্রযুক্তির। পুরো অর্থ অ্যাকটিভ ইলেকট্রোনিক্যালি স্ক্যানড্ অ্যারে। এই ধরনের রেডারগুলি ইলেকট্রনিক পদ্ধতি মেনে কাজ করে। এই সব রেডারে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের মাধ্যমে বস্তুকে ট্র্যাক করা হয়। কিন্তু, ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) এখানে সবার চেয়ে আলাদা। এটি কোনও সাধারণ রেডার নয়। এটি এমন এক প্রযুক্তি যা ইলেকট্রনিকের বদলে ফোটনিক ব্যবহার করে। অর্থাৎ এতে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের পরিবর্তে আলো (লেজার বা অপটিক্যাল সিগন্যাল) ব্যবহার করা হয়, যার ফলে এই রেডার বহু গুণ বেশি শক্তিশালী, দ্রুত ও নির্ভুল।

    কীভাবে কাজ করে ফোটনিক রেডার?

    বর্তমান রেডার সিস্টেমগুলি বস্তু সনাক্ত করার জন্য রেডিও ওয়েভ বা বেতার তরঙ্গ নির্গত করে কাজ করে। তবে, এই সিস্টেমগুলি স্টেলথ বিমান সনাক্তকরণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কারণ, স্টেলথ বিমানগুলির শরীরে এমন বিশেষ ধরনের কোটিং করা থাকে, যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) সংকেত এড়াতে বা শোষণ করতে সক্ষম। ফলে, তরঙ্গগুলি রেডারে ফিরে আসে না। যার জেরে, রেডারে বিমানগুলি ধরাও পড়ে না। অন্যদিকে, ফোটনিক রেডারগুলি আলোক বা লেজার তরঙ্গ বিকিরিত করে। অর্থাৎ, বর্তমান সার্কিটের বদলে এখানে ব্যবহৃত হয় লাইট-ভিত্তিক উপাদান। এই লেজার তরঙ্গ বা ওয়েভ সংকেতগুলি উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমানগুলিও সনাক্ত করতে সক্ষম।

    ফোটনিক রেডারে সিগন্যাল তৈরি হয় লেজার লাইটের মাধ্যমে। এখানে মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল তৈরির জন্য ২টি লেজারের মধ্যে ইন্টারফেরেন্স বা বিটিং করা হয়। ইলেকট্রনিক রেডারের মতো ট্র্যাডিশনাল সিগন্যাল জেনারেটর ব্যবহার হয় না — এখানে আলো দিয়েই রেডার সিগন্যাল তৈরি হয়। যে কারণে, ফোটনিক রেডার ভবিষ্যতের যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জিং সমাধান প্রদান করতে চলেছে বলে বিশ্বাস প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

    ফটোনিক রেডারের (Photonic Radar) বিশেষত্ব

    ফটোনিক রেডার খুব বেশি ব্যান্ডউইথে কাজ করতে পারে, ফলে “অত্যন্ত কম রেডিও ক্রস-সেকশন” লক্ষ্যবস্তু যেমন স্টেলথ বিমানের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়। উদাহরণ স্বরূপ, মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের আরসিএফ হল ০.০১ বর্গমিটার। যা একটা পাখির সমান। ফলে, সাধারণ রেডারে এই বিমান ধরা পড়ে না। যেহেতু ফোটনিক রেডার লেজার প্রযুক্তি বা আলোর কণা ব্যবহার করে, তাই ইলেকট্রনিক রেডারের তুলনায় অনেক দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। যেহেতু ফটোনিক রেডার (Photonic Radar) অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে, তাই একে জ্যাম করা কঠিন, এবং শত্রুপক্ষ সহজে এর সিগন্যাল ধরতে পারে না। এটি একসঙ্গে ট্র্যাক, স্ক্যান, জ্যাম এবং যোগাযোগ ফাংশন চালাতে সক্ষম। অপটিক্যাল উপাদান ব্যবহারের কারণে এটি ছোট ও হালকা হয়, যা ফাইটারের জন্য আদর্শ।

    বিশ্বে ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা

    বর্তমানে চিন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যেই ফোটনিক রেডার নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। কিন্তু ডিআরডিও এই প্রযুক্তি হাতে আনতে পারলে, এটি হবে ভারতের জন্য একটি বিরাট লাফ। ভারতীয় বায়ুসেনা এই রেডার রাফাল, সুখোই-৩০ ও তেজস যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া, আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলে, এটি ভারতকে স্টেলথ প্রযুক্তি ও হাইপারসনিক অস্ত্রের যুগে রেডার-সেন্সর এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক যুদ্ধশৈলীতে প্রবল শক্তিশালী করে তুলবে। যা জানা যাচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে যুদ্ধবিমানে বসিয়ে এই ফোটনিক রেডারের ফ্লাইট-টেস্ট পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় ডিআরডিও (DRDO)। ইতিমধ্যেই ফোটনিক সিগন্যাল জেনারেটর, অপটিক্যাল অ্যামপ্লিফায়ার এবং রেডার হেড-এর প্রোটোটাইপগুলি তৈরি হচ্ছে। এই প্রযুক্তি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভারত দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় ফোটনিক রেডার (Photonic Radar) হাতে পাবে।

    ভারত যদি এই রেডার মোতায়েনে সফল হয়, তাহলে চিন, আমেরিকা তাদের স্টেলথ যুদ্ধবিমান নিয়ে যে আস্ফালন করে, তা এক লপ্তে ফিকে হয়ে যাবে। ফলে, এশিয়া তথা বিশ্বের ভূ-রাজনীতিতে যে বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে, তা বলা বাহুল্য। এখন, ভারত কত দ্রুততার সঙ্গে এই যুগান্তকারী রেডার প্রযুক্তি সম্পূর্ণ করায়ত্ত এবং মোতায়েন করতে পারে, সেটাই দেখার।

LinkedIn
Share