Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    JJ Irani: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি (J J Irani)। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে জীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ২০১১ সালে টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নেন তিনি। কী ভাবে পৌঁছলেন এই সাফল্যের শীর্ষে? পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির জীবনের কিছু বিশেষ অংশ জেনে নিন।  

    ১৯৩৬ সালে নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন ডঃ জামশেদ জে ইরানি। সেখানেই পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে নাগপুরের সায়েন্স কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন ডঃ ইরানি। ১৯৫৮ সালে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিতে এমএসসি করেন। এরপর জে এন টাটা স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি দেন।    

    ১৯৬৩ মেটালারজিতে পিএইচডি করেন জে জে ইরানি। সে বছরই কর্মজীবনে পা রাখেন। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে শুরু করেন কর্মজীবন। ছ বছর পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। 

    ১৯৬৮ থেকে টাটা গ্রুপের সঙ্গে পথচলা শুরু। ডিরেক্টর-ইন-চার্জের সহকারী হিসেবে যোগ দেন টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানিতে। এখন যা টাটা স্টিল নামে পরিচিত।  তারপর ধীরে ধীরে টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে এক নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হওয়া শুরু হয় ডঃ ইরানির নাম। ডঃ জামশেদ জে ইরানি হয়ে ওঠেন ‘ভারতের স্টিল ম্যান’। 

    আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত   

    এরপর শুধুই সাফল্যের সিঁড়ি চড়া। আর ফিরে তাকাতে হয়নি ডঃ ইরানিকে। পৌঁছে যান সফলতার শীর্ষে। ১৯৭৮ সালে টাটার সংস্থায় জেনারেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছরই ফের পদোন্নতি। ১৯৭৯ একই সংস্থায় জেনারেল ম্যানেজারের পদে চলে যান। ১৯৮৫ টাটা স্টিল-এর প্রেসিডেন্ট হন জে জে ইরানি। এরপর ১৯৮৮ টাটা স্টিলে জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন।  

    ১৯৯২ টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে উন্নতি। অবশেষে ২০১১ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ১৯৯৮ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন তাঁকে। পরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ সম্মান পান।   

    সোমবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘স্টিল ম্যান’। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত টাটা গোষ্ঠি-সহ গোটা দেশ। শোকপ্রকাশ করেন এক সময়ের সতির্থ রাজীব সোনিও। নেটমাধ্যমে রাজীব লেখেন, “আমরা এক কিংবদন্তিকে হারালাম। একটি যুগের অবসান ঘটল।”
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?   

    Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাটে (Gujarat)। সেখানে বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তার আগেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির। কর্নাটকের ভোটে (Karnataka Elections) ৩৫টির মধ্যে ১৭টি আসনে জয় পেল পদ্ম শিবির। তবে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি, বিজয়পুরা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ওই জয় পেয়েছে বিজেপি। এই মিউনিসিপ্যালিটিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে মোদি-অমিত শাহের দল।

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দেশজুড়ে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। তার সুফলও ঘরে তুলছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্য জয় করে চলেছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিরোধীদের পরাস্ত করে ক্ষমতা দখল করছে গেরুয়া পার্টি। কেবল কর্নাটকের বিজয়পুর মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন নয়, ওই রাজ্যেরই কোল্লেগাল সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের উপনির্বাচনেও সাতটি আসনের মধ্যে ছটিতে বিজয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। রাজ্যে দলের এই ফলে যারপরনাই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এই অপ্রত্যাশিত ফলের কারণে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বিজয়পুরার বিধায়ক বিজেপির বাসনাগৌড়া পাটিল ইয়াটনাল এবং দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিজয়পুরা উত্তরে কংগ্রেস (Congress) জয়ী হয়েছে মাত্র ১০টি আসনে। এআইএমআইএম জিতেছে দুটি আসন। আর জনতা দল সেকুলার জিতেছে মাত্রই একটি আসনে। পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। বিজয়পুরা ও কোল্লেগালের ভোট হয়েছিল ২৮ অক্টোবর। ফল প্রকাশ হয় ৩১ তারিখ, সোমবার।

    প্রসঙ্গত, বিজয়পুরায় ভোট হল ছ বছর পরে। সিটি মিউনিসিপ্যালিটি থেকে কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর এই প্রথম হল নির্বাচন। বোর্ড গঠনে নির্দল প্রার্থীদেরও সমর্থন মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিকে, কোল্লেগালে যে সাতটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, সেগুলিতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দেন কিছু দিন আগেই। তার জেরেই হয়েছে উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনের পর ৩১ আসনের কোল্লেগালের রাজনৈতিক ছবিটা দাঁড়াল এইরকম। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৩, কংগ্রেসের ১১ এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির ২। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Bridge collapse: ১২৫ জনের বদলে সেতুতে ছিলেন ৫০০ জন! মোরবি সেতু বিপর্যয়-কাণ্ডে গ্রেফতার ৯

    Gujarat Bridge collapse: ১২৫ জনের বদলে সেতুতে ছিলেন ৫০০ জন! মোরবি সেতু বিপর্যয়-কাণ্ডে গ্রেফতার ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায়  ৯ জনকে গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিশ (Gujarat)। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ‘ওরেভা’-র ২ জন ম্যানেজার। গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জন টিকিট বিক্রেতা, ২ জন কনট্রাক্টর এবং ৩ নিরাপত্তারক্ষীকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে এই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রশাসন সূত্রে খবর, ওরেভা নামে একটি সংস্থা ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই সেতুটি সংস্কার করে। অভিযোগ, কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই সংস্কারের পর ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়। ২৬ অক্টোবর মোরবির সেতু ( machu dam bridge collapse) চালু হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনা ঘটে। সংস্কারের দায়িত্বে থাকা সংস্থার উপরতলার কর্মীরা নিখোঁজ। যদিও দোষী কোনও ব্যাক্তিকেই ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছে গুজরাট সরকার। গত মার্চে সেতুর সংস্কারের দায়িত্ব নেয় ওরেভা। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। যদিও চুক্তি অনুযায়ী ওরেভা সংস্থা সংস্কার এবং মেরামতের জন্য সেতুটি আট থেকে ১২ মাস বন্ধ রাখতে বাধ্য। কিন্তু চুক্তি ভেঙেই সেই সেতু খুলে দেয় তারা।  সিএফএল বাল্ব তৈরির জন্যই সারা দেশে বিখ্যাত ওরেভা। বাল্ব ছাড়াও সংস্থাটি তৈরি করে ঘড়ি, ইলেকট্রিক বাইক। মাচ্ছু নদীর উপর ভেঙে পড়া সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ করা ছাড়া তারা অন্য কোনও সেতুর নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, এমন কোনও তথ্যও পাওয়া যায়নি। কী করে তারা এই সেতু সংস্কারের বরাত পেল তা জানতে তদন্ত চলছে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    মোরবি পুরসভার প্রধান আধিকারিক দাবি করেছেন, তাদের অনুমতি ছাড়াই সংস্কারের পর ওই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নেওয়া হয়নি। যেখানে সেতুর ধারণক্ষমতা ছিল ১২৫ জন। সেখানে রবিবার সেই সেতুতে ১২ থেকে ১৭ টাকার টিকিট কেটে উঠেছিলেন প্রায় ৫০০ জন। এখনও পর্যন্ত সেতু ভেঙে মারা গিয়েছেন অন্তত ১৪১ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মাচ্ছু নদীর জল-কাদায় প্রায় ১০০ দেহ আটকে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Assam Police: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে কড়া নির্দেশ অসম পুলিশের, কী এমন হল?

    Assam Police: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিদের অংশগ্রহণ নিয়ে কড়া নির্দেশ অসম পুলিশের, কী এমন হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধার্মিক কোনও অনুষ্ঠান নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল অসম পুলিশ (Assam Police)। এই রাজ্যের পুলিশের তরফ থেকে জেলার সমস্ত পুলিশকে বলা হয়েছে কোনোরকমের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিদেশিরা যোগ দিলে তাঁদের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে। আর এমন কোনও অনুষ্ঠানে বিদেশিদের উপস্থিতি দেখলেই বিশেষ সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অসম পুলিসের তরফে। কিছু বিদেশিদের ভিসার নিয়ম উলঙ্গন করার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে অসম পুলিশ, সূত্রের খবর।

    সম্প্রতি ১০ জন বিদেশির মধ্যে ৩ জন সুইডিশ এবং ৭ জন জার্মান কে ভিসার নিয়ম উলঙ্ঘন করার জন্য এবং বিদেশি আইন অমান্য করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও অসমের বিশেষ ডিজিপি জানিয়েছেন, কাজিরাঙ্গায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মোপদেশ দেওয়ার অভিযোগে ৭ জার্মান নাগরিককে আটক করেছে। মাথাপিছু তাদের ৫০০ ইউএসডি (USD) জরিমানাও করা হয়েছে এবং তাদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। ফলে এমন ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে থাকায় বিদেশিদের ওপর বিশেষ নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম পুলিশ (Assam Police)।

    আরও পড়ুন: আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও গৃহীত হবে ‘দুয়ারে সরকার’ আবেদনপত্র! প্রশাসনিক নির্দেশ কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার অসমের ডিব্রুগড়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ডিব্রুগড় জেলার নামরুপ পুলিশ স্টেশন এলাকায় প্রার্থনা ও শান্তিসভার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। ফলে ডিব্রুগড় জেলা পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেনডেন্ট (ডিব্রুগড়) বিটুল চেতিয়া জানিয়েছেন, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে তাঁরা অসমে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের  জরিমানা দিতে হবে এবং পরবর্তীতে তাঁদের এই দেশ ছেড়ে সুইডেনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

  • Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    Two finger test: ‘অপমানজনক ও অবৈজ্ঞানিক’! ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের প্রমাণ পেতে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ (Two Finger Test) – এ না সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ এই পদ্ধতিটিকে ‘অবৈজ্ঞানিক এবং অপমানজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পদ্ধতিতে ধর্ষিতার পরীক্ষা হলে তা ‘অশোভন আচরণ’ বলে ধরা হবে। বহুদিন আগেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশে। তবে এখনও নিয়মের কোনও তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন জায়গায় করা হয় এই পরীক্ষা। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।           

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলে, “ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে বারবার দুই আঙুলের পরীক্ষার ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছে এই আদালত। এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এর ফলে  নির্যাতিতারা ফের  বিভীষিকার শিকার হন। দুই আঙুলের পরীক্ষাটি একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। আগে মনে করা হত যে, যৌন সম্পর্কে সক্রিয় মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। কিন্তু এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।”

    আরও পড়ুন: রেলে নিয়োগ, শূন্যপদ ৫৯৬, জানুন বিস্তারিত 

    সুপ্রিম কোর্ট বলে, “একজন মহিলা যৌন সম্পর্কে কতটা সক্রিয় তার ওপর তাঁর ধর্ষণের সাক্ষ্য নির্ভর করে না। এটা পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতাবাদীদের প্রস্তাব করা পরীক্ষা। কারণ তারা মনে করত, একজন মহিলা যৌন সক্রিয় হলে  তাঁর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করা যায় না।” আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতাদের ওপর টু ফিঙ্গার টেস্ট না করা হয় তা নিশ্চিত করতে।  

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল যে, ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার উপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা মানে তাঁর গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করা। সরকারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে অন্য উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেয় আদালত। সেই সময় বিচারপতি বিএস চৌহান এবং বিচারপতি এফএমআই কালিফউল্লার বেঞ্চ বলেছিল, ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ – এর রিপোর্টে ধর্ষণ বিষয়ক কিছুই প্রমাণ হয় না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat bridge collapse: আমি মর্মাহত, মন পড়ে রয়েছে আক্রান্তদের সঙ্গে! আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    Gujarat bridge collapse: আমি মর্মাহত, মন পড়ে রয়েছে আক্রান্তদের সঙ্গে! আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনার ফলে সোমবার গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করা হল। বর্তমানে, গুজরাটরাজস্থানের তিন দিনের সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই দুর্ঘটনার কারণে তাঁর সফরসূচী পরিবর্তন করা হয়েছে। আজ সোমবার আমদাবাদে মোদির রোড শো হওয়ার কথা ছিল। তা বাতিল করা হয়েছে। বিজেপির মিডিয়া সেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। তা-ও স্থগিত করা হয়েছে। একমাত্র ২৯০০ কোটি টাকার রেল প্রকল্প উদ্বোধন করার অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃত অন্তত ১৩২, ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল

    রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবিতে একটি পুরনো সেতু ভেঙে পড়ে। কিছুদিন আগেই কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল। গুজরাটি নববর্ষের দিন সেটি খুলে দেওয়া হয়। ওধভজি পটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘটনার পরই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমভাবে সাহায্য করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    আজ মোরবি যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মোরবি গিয়ে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মোদি। গতকালই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই দুঃসময়ে সরকার সব রকম ভাবে শোকাহত পরিবারের পাশে আছে। গুজরাট সরকার গতকাল থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন্দ্রও রাজ্য সরকারকে সব রকম সাহায্য করছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন একতা নগরে আছি কিন্তু আমার মন পড়ে রয়েছে মোরবির আক্রান্তদের সঙ্গে। আমার জীবনে খুব কমই এমন ব্যথা অনুভব করেছি আমি। একদিকে বেদনায় ডুবে থাকা হৃদয়, অন্যদিকে কর্তব্যের পথ।’ 

  • Bank Hike FD Rates: চারটি ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতের উপর সুদ বাড়ল, বিনিয়োগ মুনাফা কোন কোন ব্যাঙ্কে?

    Bank Hike FD Rates: চারটি ব্যাঙ্কে স্থায়ী আমানতের উপর সুদ বাড়ল, বিনিয়োগ মুনাফা কোন কোন ব্যাঙ্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশা করাই অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলছে দেশের চারটি ব্যাঙ্ক। আপনি যদি অর্থ সঞ্চয় করতে আগ্রহী হন সেক্ষেত্রে এর থেকে আর ভালো সময় নেই। বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডের মতো বিনিয়োগ ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে বেশি রিটার্ন পাওয়া গেলেও সেগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হন। তাই সুরক্ষিত বিনিয়োগের জন্য অনেকেই ফিক্সড ডিপোজিট করে থাকেন। 
    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) দ্বারা টানা রেপো রেট বৃদ্ধির পরে, কম বেশী প্রতিটি ব্যাংকই ২০২২ সালের মে মাস থেকে ফিক্সড ডিপোজিট (FDs) এবং সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার বাড়িয়েছে।
    বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড়ো ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও তার পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সহ  আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক সম্প্রতি ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের হার বাড়িয়েছে।
    তবে এই ব্যাংকগুলির থেকেও ছোট ব্যাংক (Small Financed Bank) গুলি তাদের গ্রাহকদের জন্য লাভজনক হারে সুদের হার বাড়িয়েছে।
    বর্তমানে আইডিএফসি(IDFC) ব্যাংক, আরবিএল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, কানাড়া ব্যাংক(Canara Bank) গ্রাহকদের ৭% এরও বেশী সুদের হার বাড়িয়েছে।

    আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক (IDFC First Bank)

    আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংক ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বর্ধিত সুদের হার ঘোষণা করেছে। সেই সুদের হার হল নিম্নরূপ—
    ৭৫০ দিনের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিটের জন্য, ব্যাঙ্ক সাধারণ গ্রাহকদের ৭.২৫% এবং বয়স্ক নাগরিকদের ৭.৭৫%।

    আরবিএল ব্যাংক (RBL Bank)

    RBL ব্যাঙ্ক সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ১ বছর ৩ মাসে  ফিক্সড ডিপোজিটেত উপর ৭% হারে সুদ অফার করে এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৭.৫০% হারে।

    ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া(Union Bank of India)

    ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া হল একটি সরকারী ব্যাঙ্ক। ১৭ অক্টোবর থেকে ২ কোটির নিচে থাকা স্থায়ী আমানতের উপর (FD) সুদের হার বাড়িয়েছে।  সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ব্যাঙ্কটি ৭ দিন থেকে 10 বছর মেয়াদী স্থায়ী আমানতের উপর ৩% থেকে ৭% পর্যন্ত সুদের হার বাড়িয়েছে।

    কানারা ব্যাংক(Canara Bank)

    কানারা ব্যাংকটিও হল সরকারী ব্যাংক। কানারা ব্যাঙ্ক ৬৬৬ দিনে মেয়াদের জন্য একটি বিশেষ ফিক্সড ডিপোজিট প্ল্যান চালু করেছে।  এই পরিকল্পনা অনুসারে, ব্যাংক তার সাধারণ গ্রাহকদের জন্য ৭% হারে সুদের হার অফার করছে এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুদের হার হবে ৭.৫%।
    কানারা ব্যাঙ্ক বর্তমানে ৭ দিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সাধারণ জনগণের জন্য ৩.২৫% থেকে ৭.০০% এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ৩.২৫% থেকে ৭.৫০% হারে সুদ প্রদান করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Liz Truss: পুতিনের নির্দেশেই হ্যাক করা হয়েছিল ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ফোন!

    Liz Truss: পুতিনের নির্দেশেই হ্যাক করা হয়েছিল ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের ফোন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (Britain) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের (Liz Truss) ব্যক্তিগত ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) হয়ে কাজ করে এমন সন্দেহভাজন সংস্থাই এ কাজ করেছে। ট্রাস যখন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী তখনই হ্যাক করা হয় তাঁর ব্যক্তিগত ফোন। শনিবার এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের নামকরা সংবাদপত্র ডেইলি মেইল।

    ব্রিটেনের ওই নামী সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন গুপ্তচররা ট্রাসের (Liz Truss) ঘনিষ্ঠ বন্ধু কোয়াসি কোয়ার্টেংয়ের সঙ্গে কথোপকথন ও গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে একাধিক দেশের সঙ্গে ট্রাসের আলোচনার গোপন বিবরণের খোঁজ পেতেই ট্রাসের ফোন হ্যাক করেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাসের কথোপকথনও এজেন্টদের হাতে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। হ্যাকাররা বছরখানেক ধরে ট্রাসের ফোন থেকে ডেটা ডাউনলোড করেছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের শক্তপোক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা, তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে তার পরামর্শ এবং কীভাবে সাইবার হুমকির মোকাবিলা করতে হবে তার পরামর্শ দেওয়াও।

    আরও পড়ুন: ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    বিদেশমন্ত্রীর পদ থেকে পরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ট্রাস (Liz Truss)। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বরিস জনসন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন ট্রাস। তবে বেশিদিন ওই পদে ছিলেন না তিনি। মাত্র দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন ট্রাসও। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ফের এগিয়ে আসেন ঋষি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকলেও, একেবারে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান বরিস এবং লিজ। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষিকে বেছে নেয় তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি। রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ঋষি। পরে শপথ নেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • LPG Gas Price: মাসের শুরুতেই স্বস্তি! একধাক্কায় ১১৫.৫০ টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম

    LPG Gas Price: মাসের শুরুতেই স্বস্তি! একধাক্কায় ১১৫.৫০ টাকা কমল রান্নার গ্যাসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বরের শুরুতেই সাধারণ মানুষের জন্য খুশির খবর। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মাঝে আজ কমানো হল এলপিজি অর্থাৎ রান্নার গ্যাসের দাম (LPG Gas Price)। জনগণকে স্বস্তি দিতে সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে। এদিন বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১১৫.৫০ টাকা কমানো হয়েছে। তবে কমেনি ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। পুরনো দামই রাখা হয়েছে এই সিলিন্ডারগুলির। প্রসঙ্গত, ৬ জুলাই থেকে সারা দেশে ১৪ কেজি ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে একনজরে দেখে নিন, কোন কোন মেট্রো শহরে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কত হয়েছে।

    কলকাতা- ১১৫.৫০ টাকা কমানোর পরে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৯৯৫.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮৪৬ টাকা হয়েছে।

    দিল্লি- দাম কমানোর পরে এবার থেকে বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডার ১৮৫৯.৫ টাকার পরিবর্তে ১৭৪৪ টাকায় পাওয়া যাবে।

    মুম্বই- দাম কমে যাওয়ার ফলে এটি ১৮১১.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৬৯৬ টাকায় পাওয়া যাবে।

    চেন্নাই- দামের পরিবর্তনের ফলে এবার থেকে চেন্নাইয়ে বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার ২০০৯.৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮৯৩ টাকায় পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারি থেকে রেলওয়ে টাইম টেবিল! জেনে নিন নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে বদলে যাওয়া নিয়মগুলি

    গত জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে সাতবার দাম কমানো হল বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম (LPG Gas Price)। গত ছয় মাসে ১৯ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের মোট দাম কমেছে ৬১০ টাকা। গত ১ অক্টোবরও বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমেছিল। এবারও এই মাসে ফের দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের। তবে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমলেও স্বস্তি মিলল না গৃহস্থের। ঘরোয়া গ্যাস অর্থাৎ ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দামও একনজরে দেখে নিন।

    দিল্লিতে ১০৫৩ টাকা, কলকাতায় ১০৭৯ টাকা, চেন্নাইতে ১০৬৮.৫ টাকা এবং মুম্বইতে ১০৫২.৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ঘরোয়া রান্নার গ্যাস। প্রসঙ্গত, প্রতি মাসের শুরুতেই দেশের তেল কোম্পানিগুলি বাণিজ্যিক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ও ঘরোয়া সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তন করে (LPG Gas Price)। শেষবার গত ৬ জুলাই এই ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল ৫০ টাকা। এরপর আর দামে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে এক্ষেত্রে গৃহস্থে স্বস্তি না আসলেও বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম কমায় হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকানে রান্নার খরচ কমে যাবে।

  • Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    Citizenship Ammendment Act: সিএএ মামলার শুনানি শুরু সুপ্রিম কোর্টে, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act), সংক্ষেপে সিএএ (CAA) মামলার শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত (UU Lalit)। তিনি অবসর নেবেন ৮ নভেম্বর। তার ঠিক দু দিন আগেই শুরু হবে শুনানি। সিএএ-র বিরুদ্ধে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ২৫০টি। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ২৩২টি। এই আবেদন নিয়ে কেন্দ্র, অসম, ত্রিপুরা সরকার ও আবেদনকারীদের অবস্থান জানাতে তিন সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। যেহেতু ললিত অবসর নেবেন ৮ তারিখে, তাই শুনানি হবে অন্য বেঞ্চে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে জানান, সিএএ ক্ষতিকর নয় বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সময় চাওয়া হয়েছে রাজ্যগুলির স্বার্থে।

    ২০১৯ সালে তৈরি হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Ammendment Act)। এই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন এবং পার্শি সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় রাখা হয়নি মুসলমানদের। তার জেরেই শুরু হয় সমালোচনা।

    এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে মূল আবেদন হিসেবে ধরা হয়েছে ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের আবেদনপত্রটি। তাদের দাবি, আইনটি সমতার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধভাবে আসা নাগরিকদের একটি অংশকে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর পর দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, চার সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাতে। হাইকোর্টগুলিকেও নির্দেশ দিয়েছিল সেখানে চলা এ সংক্রান্ত শুনানি স্থগিত রাখতে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে শীঘ্রই চালু হবে সিএএ! নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়ে আশার আলো দেখালেন শুভেন্দু

    মুসলিম লিগের পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Ammendment Act) বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মনোজ ঝা, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, এআইএমআইএমের আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। আবেদন করেছিল জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, পিস পার্টি, সিবিআই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিহাই মঞ্চের মতো কয়েকটি সংগঠনও। আইনজীবী এমএল শর্মা এবং আইনের বেশ কিছু পড়ুয়াও আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই গুজরাটের দুই জেলায় বসবাসকারী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এদিন এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share