Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Union Budget: এবারও ‘পেপারলেস’ বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারামণ, কেন জানেন?

    Union Budget: এবারও ‘পেপারলেস’ বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারামণ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী বলবেন একে? বাজেট (Union Budget) পেশের পদ্ধতির বিবর্তন? নাকি অন্য কিছু? জানুয়ারির ৩১ তারিখে শুরু হবে বাজেট অধিবেশন। চলবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। তার আগে ১ ফেব্রুয়ারি হবে বাজেট পেশ। নরেন্দ্র মোদি সরকারের এটাই শেষ পূ্র্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। প্রথা অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচনের বছর পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয় না। হয় ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ। তাই এবারই শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)।

    ব্রিফকেস সংস্কৃতি…

    এতদিন আমরা দেখতাম যিনি পার্লামেন্টে বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তিনি নিয়ে যাচ্ছেন ব্রিফকেস (Briefcase)। দীর্ঘ দিনের এই প্রথায় ছেদ পড়ে নির্মলার জমানায়, ২০১৯ সালে। সেবার বাজেট করতে তিনি নিয়ে যান চিরাচরিত বহিখাতা। বাজেট (Union Budget) পেশের ধরনের গা থেকে ইংরেজ শাসনের গন্ধ ঝেড়ে ফেলতেই এই ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। স্বাধীনতা-উত্তর কালে ভারতের প্রথম অর্থমন্ত্রী আর কে শাঙ্কমুখম ছেট্টি লেদার পোর্টফোলিও ব্যাগে করে বাজেট পেশ করেছিলেন। তাঁর পরবর্তী কালের অর্থমন্ত্রীরা বাজেট পেশের জন্য নানা রকম ব্রিফকেস ব্যবহার করতেন। ২০২১ সালে ফের বাজেট পেশের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেন সীতারামণ। এবার তিনি বাজেট পেশ করেন ভারতে তৈরি ট্যাবলেটে। মোদির ডিজিটাল ইন্ডায়ার স্বপ্ন সার্থক করতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছিলেন তিনি। তাঁর আগে ভারতের কোনও অর্থমন্ত্রী এভাবে বাজেট পেশ করেননি। চলতি বছরও ‘পেপারলেস’ বাজেট পেশ করবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, তাঁদের সমস্যা বুঝি’, বাজেট প্রসঙ্গে বললেন সীতারামন

    ব্রিফকেস সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ যখন বাজেট (Union Budget) পেশের জন্য সাবেকি বহিখাতার ওপর নির্ভর করলেন, তখন তাঁর কারণও ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। সীতারামণ বলেছিলেন, আমি ভাবলাম ব্রিটিশদের অধীনতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসাই ভাল। আমি এটাও ভেবেছিলাম, আমাদের নিজেদের মতো করে কিছু একটা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভারতীয় এই জিনিসটি (বহিখাতা) বহন করা আমার পক্ষে সহজ ছিল। খুব বেশি করে ভারতীয় বলে মনেও হচ্ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Love Jihad: ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবি, মুম্বইয়ে লভ জিহাদ বিরোধী মিছিল হিন্দু সংগঠনের

    Love Jihad: ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবি, মুম্বইয়ে লভ জিহাদ বিরোধী মিছিল হিন্দু সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  গতকাল মুম্বইয়ের রাস্তায় জড়ো হয়েছিল হিন্দু জনতা। লভ জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ সহ হিন্দু রাষ্ট্র ইস্যুতে রবিবার মুম্বইয়ের রাজপথে হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। হিন্দু সংগঠনগুলি মহারাষ্ট্রের এক লক্ষেরও বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। সকাল ১০ টায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে লোকেরা জড়ো হয়েছিল এবং তারপরে শিবাজি পার্ক থেকে পেরেলের কামগার ময়দান পর্যন্ত একটি পদযাত্রা বের করেছিল। বিজেপির কিছু নেতা, সাধু-সন্ন্যাসী এই মোর্চায় যোগ দিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রণয়ন ও ধর্মের নামে জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা নেওয়ার দাবি তোলেন।

    কারা অংশগ্রহণ করেছিলেন এই পদযাত্রায়?

    গত ২ মাসে মহারাষ্ট্রে ৪০ টিরও বেশি হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা সংঘটিত হয়েছে, তবে গতকালের মোর্চাকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হচ্ছে। লভ জিহাদ, ধর্মের নামে জমি দখল এবং ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবিতেই মুম্বইয়ে হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা সংগঠিত করেছে সকল হিন্দু সমাজ। এতে প্রায় এক লক্ষ হিন্দু অংশগ্রহণ করেছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও হিন্দু সংগঠন, উৎসব মন্ডল এবং নাগরিক ও হিন্দুদের কল্যাণে কাজ করে এমন এনজিও গতকালের মিছিলে অংশ নিয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) সহ হিন্দু সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির একাধিক নেতা ও বিধায়ক এবং শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীও সমাবেশে অংশ নেন। মুম্বই বিজেপির সভাপতি আশিস শেলার, বিধায়ক প্রবীণ দারেকার, বিধায়ক অতুল ভাটখালকর, বিধায়ক নীতেশ রানে প্রমুখ বিজেপি নেতারা সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। মিছিল উপলক্ষে পুরো পথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশ।

    অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন হায়দ্রাবাদের বিধায়ক টি রাজা সিং। তিনি আবেগঘন ভাষণ দেন এবং হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। এছাড়াও ভিএইচপি মুখপাত্র এবং জেটি সেক্রেটারি, শ্রীরাজ নায়ার বলেছেন, “প্রায় এক লাখ হিন্দু মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এবং লভ জিহাদ এবং ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে তাঁদের আওয়াজ তুলেছিলেন। হিন্দুদের নৃশংসতার হাত থেকে বাঁচাতে সরকারের উচিত ধর্মান্তর বিরোধী আইন আনা।” বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে বলেছেন যে হিন্দুদের নিপীড়নের চেষ্টা করা হয়েছে, এবং হিন্দুদের একত্রিত হয়ে একটি বার্তা দিতে হবে।

    হিন্দু সংগঠনের তরফে কী কী দাবি তোলা হয়েছিল?

    তাঁরা গতকাল লভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন, ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ধর্মান্তর বিরোধী আইনের দাবি করেছেন। আবার ধর্মের নামে জমি দখল করা, মসজিদের লাউডস্পিকার থেকে আওয়াজ ইত্যাদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লভ জিহাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও দেখা যায়।                                  

  • Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    Bharat Jodo Yatra: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। আদতে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়া। রাজনৈতিক মহলের মতে, যে উদ্দেশ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে পাড়ি দিলেন কাশ্মীর পর্যন্ত, সেই লক্ষ্য তাঁর আদৌ পূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে বড়সড় একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন। ভারত জোড় যাত্রায় রাহুল ব্যয় করেছেন প্রায় পাঁচ মাস। কন্যাকুমারীতে শুরু হওয়া ওই পদযাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে শ্রীনগরে, ৩০ জানুয়ারি। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে এক ছাতার তলায় আনতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেসের কমিউনিকেশন হেড তথা প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ গত সপ্তাহেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কংগ্রেসকে অবশ্যই যে কোনও কার্যকর বিরোধী জোটের পাশে থাকতে হবে। তবে বিরোধী ঐক্যের ভরকেন্দ্র যে কংগ্রেসই, সেদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, যে কোনও বিরোধী জোটের ভরকেন্দ্র অবশ্যই কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিরোধী জোট অর্থবহ হবে না।

    বিরোধী জোটের স্বপ্ন…

    অতএব বিরোধীদের একজোট করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে সমমনস্ক ২১টি রাজনৈতিক দলকে ভারত জোড় যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ফাইনাল ইভেন্টে তারা আহ্বান জানিয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, ডিএমকে, এবং সিপিআই(এম)কে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তেলগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং সিপিআইকেও। অদ্ভুতভাবে আমন্ত্রিত দলের তালিকায় নেই আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দল, ভারত রাষ্ট্র সমিতি এবং গুলাম নবি আজাদের ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ আজাদ পার্টি।

    আরও পড়ুুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    গত সপ্তাহে জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে রাজীব রঞ্জন সিং খাড়গেকে জানিয়ে দেন, অন্য কাজ থাকায় তিনি ওই যাত্রায় যোগ দিতে পারছেন না। যদিও বিরোধী ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আসলে শক্তিশালী বিরোধী জোটের প্রাসঙ্গিকতার কথা সকলে স্বীকার করলেও, কংগ্রেসকে তার মুখ হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তার জেরে ডাক পেয়েও সচেতনভাবে কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন অনেকেই।

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ভারত জোড় যাত্রাকে (Bharat Jodo Yatra) কংগ্রেসের অভ্যন্তরণী বিষয় বলে জানিয়েছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, আমরা এই যাত্রায় যোগ দেব না। যাত্রা শেষে বিরোধী ঐক্য নিয়ে কথা বলা যাবে। বিহারে জন সুরজ অভিযানে অনেক হেঁটেছি। এই অজুহাতে ভারত জোড় যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছেন ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দেননি আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও। অখিলেশ যাদবে সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশের প্রধান এই দুই বিরোধী দলই যোগ দেননি কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রায়। যদিও ডাক পেয়েছিল ওই দুই দলই।

    কংগ্রেসের তরফে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর অখিলেশ বলেছিলেন, কংগ্রেস এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। যদিও সমাজবাদী পার্টির সহযোগী দল রাষ্ট্রীয় লোক দলের তরফে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর ছেলে তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দুজনেই যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের ওই যাত্রায়। যোগ দিয়েছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিও। তৃণমূল এই যাত্রায় যোগ না দিলেও, দলের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এই যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে সংবাদ মাধ্যমে তিনি এও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির একটা বোঝাপড়া রয়েছে। মোদি যাতে আপসেট হয়ে পড়েন, এমন কোনও কাজ মমতা করবেন না। যখন মোদিজি বলেছিলেন ভারতকে কংগ্রেস মুক্ত করতে হবে, তখন মমতাও বলেছিলেন বাংলা থেকে কংগ্রেসকে দূর করা উচিত।

    যে লক্ষ্যে রাহুল পাঁচ মাস ধরে হাঁটলেন, সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কি? বলবে সময়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তন করা হল রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম। এবার থেকে ‘অমৃত উদ্যান’ হিসেবে পরিচিতি পাবে রাষ্ট্রপতি ভবনের ঐতিহ্যশালী স্থান। আজই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অমৃত উদ্যানের উদ্বোধন করবেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মুঘলরা অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাই তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং সেগুলোর নতুন নামকরণ করা উচিত। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেন ও মুঘলদের সঙ্গে যুক্ত সব জায়গার নাম পরিবর্তন করা হবে।

    মুঘল গার্ডেনের নাম এখন ‘অমৃত উদ্যান’

    জানা গিয়েছে, ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে বদলে ফেলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের ‘মুঘল গার্ডেন’-এর নাম। শনিবার একথা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতির ডেপুটি প্রেস সচিব নবিকা গুপ্তা। আর আজ রবিবার, ২৯ জানুয়ারি এই অমৃত উদ্যানের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই সর্বসাধারণের জন্য এই উদ্যান খুলে দেওয়া হবে। তারপর আগামী দু-মাস অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনগণের জন্য খোলা থাকবে এই উদ্যান।

    আরও পড়ুন: নাম বদলে গেল জাতীয় ঐতিহ্য মুঘল গার্ডেনের, কী হল নতুন নাম?

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুঘল গার্ডেনের নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হলে সংবাদমাধ্যমে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “তারা (মুঘলরা) অনেক হিন্দুকে হত্যা করেছে এবং মন্দির ধ্বংস করেছে। তাদের নামে নামকরণ করা সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করা উচিত এবং নতুন নামকরণ করা উচিত। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব।”

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং রাষ্ট্রপতি ভবনের মুঘল গার্ডেনের নাম অমৃত উদ্যান করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে ভালোভাবে উদযাপন করা উচিত।

  • Yogi Adityanath: সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মই (Sanatan Dharma) ভারতের (India) রাষ্ট্রীয় ধর্ম। রাজস্থানের ভিনমলে নীলকণ্ঠ মহাদেব মন্দিরের পুননির্মাণ ও মূর্তি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে হাজির ছিলেন তিনি।

    আদিত্যনাথ উবাচ…

    বক্তৃতা দিতে গিয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সনাতন ধর্মই ভারতের রাষ্ট্রীয় ধর্ম। যখন আমরা স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারি, কেবল তখনই আমরা রাষ্ট্রীয় ধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারি। তিনি বলেন, আমরা যখন জাতীয় ধর্মের সঙ্গে একাত্মবোধ করি, তখন আমাদের দেশও সুরক্ষিত থাকে। এদিনের অনুষ্ঠানে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, অতীতে কখনও যদি আমাদের ধর্মীয় স্থানকে ধ্বংস করা হয়ে থাকে বা তাকে অপবিত্র করা হয়ে থাকে, তাহলে সেই স্থানগুলিকে পুরনো মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রচার অভিযান চালানো জরুরি। ঠিক যেমন অযোধ্যার রাম মন্দিরের ক্ষেত্রে হয়েছে। তিনি (Yogi Adityanath) বলেন, ৫০০ বছর ধরে লড়াই চালানোর পর সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতায় সুউচ্চ, সুরম্য রামমন্দির তৈরি হচ্ছে। আপনারা সবাই তাতে সাধ্য মতো দান করেছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জলবিদ্যুৎ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতও। মন্দির উদ্বোধনের পর লাগোয়া এলাকায় একটি রুদ্রাক্ষ বৃক্ষ রোপণ করেন আদিত্যনাথ ও শেখাওয়াত।

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বারাণসীর জ্ঞানবাপী ও মথুরার শাহি ইদগা মসজিদ নিয়েও অযোধ্যার মতোই দাবি তুলেছে হিন্দুত্ববাদী নানা সংগঠন। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্কের আঁচ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে মসজিদটির বাইরের দেওয়াল সংলগ্ন এলাকায় মা শৃঙ্গার গৌরী স্থল বলে দাবি করেছেন হিন্দুরা। মা শৃঙ্গার গৌরীর কাছে প্রার্থনা করার দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছেন পাঁচ হিন্দু মহিলা। এদিকে, মসজিদের ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করে হিন্দত্ববাদী সংগঠন। তাঁদের এও দাবি, আদালতের নির্দেশে ভিডিওগ্রাফি করার সময় ওজুখানায় শিবলিঙ্গ দেখা গিয়েছে। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, ওজুখানায় থাকা বস্তুটি শিবলিঙ্গ নয়, সেটি আদতে একটি ফোয়ারা।

    আরও পড়ুুন: আরএসএস, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ফলওয়ালাকে রিপোর্টার নিয়োগ করেছিল পিএফআই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Indian Air Force: মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার তিনটি বিমান, মৃত ১ পাইলট

    Indian Air Force: মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার তিনটি বিমান, মৃত ১ পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ঘণ্টার ব্যবধানে ভেঙে পড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার তিনটি বিমান। শনিবার সকালে মাঝ আকাশে বায়ুসেনার দুই যুদ্ধবিমানের (Air Force fighter jets) মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এর ফলে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মোরেনাতে ভেঙে পড়ল সুখোই এসইউ ৩০ ও মিরাজ ২০০০ বিমান। দুটি বিমানই গোয়ালিয়র এয়ার বেস থেকে উড়েছিল। অনুশীলনের সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে বায়ুসেনা সূত্রে খবর। সুখোইতে ছিলেন ২ জন পাইলট, মিরাজে ছিলেন এক জন পাইলট। সুখোই-এর ২ পাইলটকে সুরক্ষিত উদ্ধার করা গেছে। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানটির পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, রাজস্থানের ভরতপুরে ভেঙে পড়েছে বায়ুসেনার একটি বিমান। সেটি যুদ্ধবিমান না কি প্রশিক্ষণ বিমান, তা ধ্বংসাবশেষ দেখে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না।

    খোঁজ নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    ঘটনার কথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান। এর বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দেন তিনি। ট্যুইটারে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি লেখেন, ‘মোরিনায় সুখোই-৩০ ও মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনার খবর খুবই মর্মান্তিক। বায়ুসেনাকে দ্রুত উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, বিমান চালকরা যেন নিরাপদে থাকেন। ‘

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এ ধরনের যুদ্ধ বিমান মাঝআকাশে বিকল হলে পাইলটের ইজেক্ট করার সুযোগ থাকে। অর্থাৎ বিমানের উপরের ঢাকনা খুলে পাইলট ছিটকে বেরিয়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তেমনই ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সুখোই থার্টি বিমানটিতে দু’জন পাইলট ছিলেন। মিরাজ বিমানটিতে ছিলেন একজন পাইলট। সূত্রের খবর, এঁদের মধ্যে দু’জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের দু’জনের অবস্থাই সঙ্কটজনক। বাকি একজনের খোঁজ এখনও মেলেনি।


    রাজস্থানে দুর্ঘটনা

    অপর আর একটি ঘটনায় ভরতপুরের নাগলা দিদা এলাকায় একটি চার্টার্ড বিমান ভেঙে পড়ে শনিবার সকালে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, দুর্ঘটনাস্থলে বিমানচালকের খোঁজ মেলেনি। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। বিমানে কত জন ছিলেন, তা-ও স্পষ্ট নয়। শনিবারই রাজস্থানের উদয়পুর সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগে বায়ুসেনার বিমানে দুর্ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

  • Dhanbad: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে, চিকিৎসক দম্পতি সহ মৃত ৬, আশঙ্কাজনক ২

    Dhanbad: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে, চিকিৎসক দম্পতি সহ মৃত ৬, আশঙ্কাজনক ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ আগুন বেসরকারি হাসপাতালে (Hospital)। অগ্নিকাণ্ডের জেরে শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যু বাঙালি চিকিৎসক দম্পতির (Doctor Couple)। ওই ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের (Dhanbad) কাছে পুরনো বাজার এলাকার একটি হাসপাতালে। 

    আগুন…

    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত একটা নাগাদ হাজরা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে আগুন লাগে। গলগল করে বের হতে থাকে ধোঁয়া। ঘটনাটি নজরে পড়ে স্থানীয় কয়েকজনের। ততক্ষণে গোটা হাসপাতাল চত্বর ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। তার মধ্যেই রোগীদের হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চিকিৎসক দম্পতি সহ ছজনকে। পাটলিপুত্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে চলে আসে দমকলের আটটি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসক দম্পতির নাম বিকাশ হাজরা ও প্রেমা হাজরা। ওই পরিবারের এক পরিচারিকা সহ মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের।

    আরও পড়ুুন: আরএসএস, বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে ফলওয়ালাকে রিপোর্টার নিয়োগ করেছিল পিএফআই!

    গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ধানবাদ (Dhanbad)  পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ছিল কিনা। কী থেকে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এসি মেশিন থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে প্রথমে আগুন লাগে হাসপাতালের (Dhanbad) দোতলায় থাকা ওষুধের দোকানে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে সপরিবারে থাকতেন ওই চিকিৎসক দম্পতি। হাসপাতালের সঙ্গে ওই রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে যাওয়ার জন্য ছিল করিডর। করিডরের দরজা বন্ধ থাকায় আগুন টের পেলেও, তীব্র ধোঁয়ায় দরজা খুলে বের হতে পারেননি ওই দম্পতি। প্রবল ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হয় মৃত্যু হয় তাঁদের। ছ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অগ্নদগ্ধ আরও চারজন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Egyptian President: মিশরের এসইজেড-এ ডেডিকেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া পেতে পারে ভারত!

    Egyptian President: মিশরের এসইজেড-এ ডেডিকেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া পেতে পারে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লির (New Delhi) সভাপতিত্বে সাফল্য লাভ করবে আসন্ন জি-২০ (G20) বৈঠক। একথা জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট (Egyptian President) আবদেল ফতে এল সিসি। বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এবারের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে বৈঠকও করেন। জানা গিয়েছে, সুয়েজ ক্যানাল ইকনোমিক জোনে ভারতীয় কারখানাগুলিকে জায়গা দেওয়া যায় কিনা, মিশরের তরফে তা বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ভারতকে এজন্য মাস্টারপ্ল্যান করতেও বলা হয়েছে। মিশরের তরফে ভারত থেকে আরও বেশি লগ্নি আহ্বান করা হয়েছে। লগ্নিকারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে মিশরের তরফে।  

    জি ২০…

    জি ২০তে ভারতের সভাপতিত্ব চলাকালীন দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। জি ২০তে গ্লোবাল সাউথের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবেও বলেও জানান তিনি। মিশরের প্রেসিডেন্টের আগমন ও বৈঠক নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ট্যুইট-বার্তায় বলেন, মিশরের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গভীর। এশিয়ার সঙ্গে আফ্রিকাকে সংযুক্তকারী প্রাকৃতিক সেতু হল মিশর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রেসিডেন্ট আল সিসি ভারত ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন। দুই দেশ সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। প্রসঙ্গত, এর আগেও দুবার ভারতে এসেছেন আল সিসি। একবার ২০১৫ সালে এবং পরের বার ২০১৬ সালে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের পর সিসিকে (Egyptian President) ঘরোয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হয় রাষ্ট্রপতি ভবনে। তাঁকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বয়ং। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিশিষ্টরা।

    এদিন দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুব সমাজের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সম্প্রচারে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিও হয়েছে দুই দেশের।

    আরও পড়ুুন: মার্কিন অভিযানে সোমালিয়ায় খতম ইসলামিক স্টেটের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল

    দুই দেশের তরফে জারি করা হয়েছে যৌথ বিবৃতিও। তাতে বলা হয়েছে, ভারত ও মিশর (Egyptian President) দুই দেশই বহুপাক্ষিকতা, রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের নীতি, আন্তর্জাতিক আইন, জোট নিরপেক্ষতা এবং সমস্ত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে আগ্রহী। দুই দেশের প্রেসিডেন্টই শান্তি এবং সহবত বজায় রাখার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলেও যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    Padma Shri: গরিবের ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’! পদ্মশ্রী পেলেন জব্বলপুরের ২০ টাকার চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় চিকিৎসকদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা, অর্থ লোভের কাহিনী। এরই মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছেন কেউ কেউ। এক চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁকে এককথায় ঈশ্বরই বলা চলে। যেখানে কিছু চিকিৎসক এমন রয়েছেন, টাকা ছাড়া চিকিৎসাই করেন না, সেখানে এমন একজনও রয়েছেন, যিনি দিনের পর দিন মাত্র ২০ টাকাতেই চিকিৎসা করে চলেছেন। কেউ কেউ আবার সামান্য ২০ টাকা দিতেও পারেন না। কিন্তু তাতেও কোনও আপত্তি নেই এই ডাক্তারবাবুর। তাঁদেরকে বিনামূল্যেই চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁকেই আজ পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি হলেন ডা. এম সি দাওয়ার।

    গরিবের ডাক্তারবাবু এবার পেলেন পদ্মশ্রী

    এখন বয়স ৭৭। রোগী দেখা শুরু করেছিলেন মাত্র দুই টাকা দিয়ে। পরিস্থিতির চাপে তা সামান্য বাড়াতে হয়েছিল। তাও সেটা সামান্য। দুই টাকার পরিবর্তে সেটা বাড়িয়ে করেন ২০ টাকা। চেম্বার খোলার আগেই রোগীগের লম্বা লাইন পড়ে যায়। এবারের পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায় তাঁরও নাম রয়েছে। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে বাকিদের সঙ্গে তিনিও গ্রহণ করবেন পদ্ম সম্মান।

    আরও পড়ুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    ডাক্তার আদতে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। অবিভক্ত স্বাধীন ভারতে ১৯৪৬-য়ের ১৬ জানুয়ারি তাঁর জন্ম। দেশ ভাগের পরে পরিবার নিয়ে চলে আসেন। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে বাড়ি ডা. এম সি দাওয়ারের। তাঁকে চেনেন না এমন কোনও লোক নেই সেই জেলায়। পাড়ার লোকজন বলেন, ‘ক্যাপ্টেন ডাক্তার’। কারণ একসময় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর হয়ে লড়াই করেছিলেন। সেনা ক্যাম্পের ডাক্তারও ছিলেন। ১৯৭২ সাল থেকে নিজের চেম্বার খোলেন সাধারণ মানুষের জন্য। সেই সময় তাঁর ফি ছিল ২ টাকা। এখন হয়েছে ২০ টাকা। দিতে না পারলেও আপত্তি নেই। ডাক্তারবাবুর সাফ কথা, “মানুষটা তো আগে বাঁচুক।”

    পদ্মশ্রীতে ভূষিত হওয়ার পরে, ডা. দাওয়ার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “কঠোর পরিশ্রম ফল দেয়, এমনকি দেরি হলেও। এটি তারই ফল এবং এটি মানুষের আশীর্বাদ যে আমি এই পুরস্কার পেয়েছি।” নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এত কম পারিশ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে অবশ্যই বাড়িতে আলোচনা হয়েছিল, তবে এটি নিয়ে কোনও বিতর্ক ছিল না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল জনগণের সেবা করা, তাই ফি বাড়ানো হয়নি। সাফল্যের মূল মন্ত্র হল আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ করেন তবে আপনি অবশ্যই সাফল্য পাবেন এবং সাফল্যও সম্মানিত হবে।”

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিল ভারত, কেন জানেন?

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিল ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল ভারত (India)। ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরের সিন্ধু জল চুক্তি সংশোধনের জন্য ইসলামাবাদকে নোটিশ পাঠিয়েছে ভারত সরকার। সরকার সাফ জানিয়েছে, পাকিস্তানের একাধিক ভুল পদক্ষেপের ফলেই সিন্ধু জল চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। চুক্তি সংশোধনের জন্য নোটিশ জারি করতে বাধ্য হয়েছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, সিন্ধু জল চুক্তি হওয়ার পর জল বণ্টনে বরাবরই নরম মনোভাব দেখিয়ে এসেছে ভারত।

    বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায়…

    স্বাধীনতার পর থেকেই এই সিন্ধু নদের জল ব্যবহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। টানা ছ বছর ধরে আলাপ আলোচনার পর ১৯৬০ সালে ভারত পাকিস্তান (Pakistan) দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় সিন্ধু জল চুক্তি। বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের করাচিতে গিয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। পাকিস্তানের তরফে ওই চুক্তিতে সই করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান।

    একাধিক নদীর জলবণ্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও তথ্য আদানপ্রদানের জন্য স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি। ২০১৫ সালে একটি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগের অনুরোধ জানায় পাকিস্তান। এই কমিটি ভারতের কিষেন গঙ্গা ও ব্যাটল হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্টসের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে আপত্তিকর দিকগুলি পরীক্ষা করে দেখবে। ২০১৬ সালে পাকিস্তান একতরফাভাবে এই অনুরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। তারা জানিয়ে দেয়, কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন এই আপত্তিকর (Indus Water Treaty) জায়গাগুলি বিচার করে দেখুক। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ভারতও একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: মনোবল ধরে রাখাই সাফল্যের চাবিকাঠি! ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

    ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাঙ্ক ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনা করে একটি সর্বসম্মত পথ বেছে নিতে বলে। তার পর থেকে লাগাতার চেষ্টা করেও ভারত এ ব্যাপারে পাকিস্তানকে রাজি করাতে পারেনি। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পার্মানেন্ট ইন্ডাস কমিশনের পাঁচটি বৈঠক হয়েছে। সেগুলিতে এনিয়ে কোনও আলোচনাই করতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। তাই সিন্ধু জল চুক্তির শর্তগুলি লঙ্খনের ফলে পাকিস্তানকে নোটিশ দেয় ভারত। সংশ্লিষ্ট কমিশনারদের মাধ্যমে ২৫ জানুয়ারি এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই নোটিশের উদ্দেশ্য হল, সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) লঙ্ঘন সংশোধন করার জন্য পাকিস্তানকে ৯০ দিনের মধ্যে আন্তঃসরকারি আলোচনায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

LinkedIn
Share