Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bihar Liquor Ban: এই রাজ্যে মদ্যপ ভিআইপিদের জন্য রয়েছে বিশেষ শাস্তি, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও

    Bihar Liquor Ban: এই রাজ্যে মদ্যপ ভিআইপিদের জন্য রয়েছে বিশেষ শাস্তি, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ মদ। তবুও আড়ালে রমরমিয়ে চলছে মদের ব্যবসা, আর এই খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। আর সেই জন্যই বিহার সরকারের তরফে এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষদের মদ খাওয়ার দৃশ্য প্রায়ই সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, শাস্তি দেওয়ার জন্য বিহারের নেশাগ্রস্ত ভিআইপি-দের জন্য বিশেষ সেলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জনসমক্ষে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধরা পড়লে এইসব ভিআইপিদের জন্য শাস্তি হিসেবে একটি ঘরে ২৪ ঘণ্টার জন্য রাখা হবে। আর এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বিহারের আবগারি দফতরে।

    অর্থাৎ কোনও ভিআইপি যদি মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েন, তাঁর জন্য রয়েছে ঘরে বন্দি থাকার শাস্তি। বিহারের সমস্তিপুরে যে আবগারি দফতর রয়েছে সেখানে করা হয়েছে এই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে একটি বিছানা, সোফা সেট। রয়েছে এসির ব্যবস্থাও। এই ভিআইপি সেলে মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়া ভিআইপিকে ২৪ ঘণ্টা রাখা যাবে। আবগারি সুপারিনটেনডেন্ট, এসকে চৌধুরী, বলেছেন যে সরকারী কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ যারা মদ সেবন করে ধরা পড়ে তাদের রাখার জন্য ভিআইপি সেল তৈরি করা হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য একটি প্রশিক্ষিত কুকুরও রাখা হবে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মদ পরিবহন, বিক্রি, ব্যবহার এবং উৎপাদনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরে, বিপুল সংখ্যক লোককে কেবল মদ সেবনের জন্য জেলে রাখা হয়েছিল। যে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ, সেখানে নেশাগ্রস্ত ভিআইপিদের জন্য এমন আয়োজনের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছেন অনেক নেটিজেনরা। তারা বলেছেন যে, সাধারণ মানুষ ও ভিআপিদের মধ্যে ভেদাভেদ কেন করা হবে? 

    প্রসঙ্গত, এনভি রামানা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকার সময় মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিহার সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২০১৬ সালে বিহারে মদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আদালতের ওপরে চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরেই সেখানে লিকার অ্যামেন্ডমেন্ট বিল আনা হয়। এই বছরের মার্চে তা বিধানসভায় পাশও হয়ে যায়। পয়লা এপ্রিল থেকে যা লাগু হয়েছে। মদ নিষেধাজ্ঞা বিল, ২০২২-এর সংশোধনীতে বলা হয়, প্রথমবারের অপরাধীরা জরিমানা জমা দেওয়ার পরে ডিউটি ​​ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে জামিন পাবেন। এই জরিমানার পরিমাণ ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। অপরাধী জরিমানা জমা দিতে না পারলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়াও এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের জন্য পুলিশ যখন কোনও অপরাধীকে গ্রেফতার করবে, তখন অভিযুক্তকে সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করতে হবে যেখান থেকে সে মদ পেয়েছে। ফলে বিহার সরকার বিহারকে মদহীন করতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।

  • Mulayam Singh Yadav: প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব, রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া

    Mulayam Singh Yadav: প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব, রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব (Mulayam singh Yadav)। সোমবার মৃত্যু হয় উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়মের। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২২ অগাস্ট হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। অক্টোবরের ২ তারিখে মুলায়মকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে (ICU)। এদিন সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

    ১৯৩৯ সালের ২২ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের এটাওয়া জেলার সাইফাই গ্রামে জন্ম মুলায়ম সিং যাদবের (Mulayam singh Yadav)। সুঘর সিং যাদব ও মূর্তি দেবীর সন্তান ছিলেন তিনি। সর্বশ্রী মধু লিমায়ে, কর্পুরী ঠাকুর, রাম সেবক যাদব, রাজ নারায়ণ এবং জনেশ্বর মিশ্রের মতো রাজনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পরেই রাজনীতির জগতে পা রাখেন মুলায়ম। ডঃ রাম মনোহর লোহিয়ার সমাজবাদী ভাবধারায় প্রাণিত হয়েছিলেন তিনি।

    উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে মুলায়ম সিং যাদব (Mulayam singh Yadav) প্রথমবার জয়ী হন ১৯৬৭ সালে। তার ঠিক দু বছরের মাথায় বসেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। ১৯৯২ সালে দল গড়েন নিজে। নাম দেন সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। ১৯৯৩ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে মুলায়ম গাঁটছড়া বাঁধেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    রাজনৈতিক কেরিয়ারে বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন মুলায়ম সিং যাদব (Mulayam singh Yadav)। সব চেয়ে বেশি বিতর্কিত বিষয়টি হল ১৯৯০ সালে অযোধ্যায় করসেবকদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ওই বছর নভেম্বরে করসেবা করছিলেন করসেবকরা। সেই সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব। গুলি চালনার নির্দেশ দেন তিনি। মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজন করসেবকের। এঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার দুই করসেবকও। একজন রাম কোঠারি, অন্যজন তাঁর ভাই শরদ কোঠারি। এই ঘটনার ঠিক বছরের মাথায় পুরোপুরি ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় অযোধ্যার বিতর্কিত কাঠামো।

    করসেবা করতে গিয়ে করসেবকরা নিহত হওয়ায় জনগণের একাংশ তাঁকে ‘মোল্লা মুলায়ম’ তকমা দেয়। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মুলায়ম সিং যাদব (Mulayam singh Yadav) উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনবার। বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন আটবার। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    Indian Army Dog: লড়েছিল বীরের মত, অবশেষে মৃত্যু হল ভারতীয় সেনবাহিনীর কুকুর ‘জুম’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ রক্ষা আর হল না। দুদিনের লড়াই শেষ। লড়েছিল বীর সৈনিকের মত। গুলিবিদ্ধ হয়েও নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে যে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করে চলছিল, আজ তারই মৃত্যু হল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (terrorist) দমনে অংশ নিয়ে গুলিতে (bullet) গুরুতর জখম হয়েছিল সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’ ( Army Dog Zoom)। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল জুমের (Indian Army Dog)।

    সেনা আধিকারিকদের মতে, জুম প্রায় বেলা ১১.৪৫ মিনিট অবধি চিকিৎসায় ভাল সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু আচমকা হাঁপাতে শুরু করে সে। তখনই প্রাণ হারায় সে। বেলা ১২টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়৷ শ্রীনগরের আর্মি ভেটেরিনারি হাসপাতালে একটি মেডিকেল টিমের কড়া পর্যবেক্ষণে ছিল জুম (Indian Army Dog)।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে আহত হয়েও যোদ্ধার মত লড়াই করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর ‘জুম’

    প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) অনন্তনাগে সোমবার ভোরে সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যায় ‘জুম’ (Indian Army Dog)। তারই সহায়তায় এনকাউন্টারে লস্কর -ই – তৈবার দুই সন্ত্রাসবাদীকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু সংঘর্ষে জঙ্গিদের ছোঁড়া দু’টি গুলি এসে লাগে তার গায়ে। তারপরেও জঙ্গিদের কামড়ে ধরে লড়াই চালিয়ে যায় সে। এরপর পশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালেই মৃত্যু হল ‘জুম’-এর।

    আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের তরফে ট্যুইট করে তাঁর (Indian Army Dog) মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এদিন জুম-এর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে।

  • LPG Price: দীপাবলির আগে কল্পতরু কেন্দ্র সরকার, রেল কর্মীদের বোনাস সহ ২২ হাজার কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় তেল সংস্থাগুলিকে

    LPG Price: দীপাবলির আগে কল্পতরু কেন্দ্র সরকার, রেল কর্মীদের বোনাস সহ ২২ হাজার কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় তেল সংস্থাগুলিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি আসন্ন। তার দিন দশেক আগেই খুশির খবর দিল কেন্দ্র। আগেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ৭৮ দিনের বেতন অতিরিক্ত পেতে চলেছেন রেলকর্মীরা। এদিন সেই জল্পনাকেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। পিএলবি (Production Linked Bonus) হিসেবে ১৮৩২ কোটি টাকা মঞ্জুর করল ক্যাবিনেট। এরফলে রেলের ১১ লক্ষ ২৭ হাজার কর্মীর সুবিধা লাভ করবেন বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছে, কোনও সুবিধাভোগী ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৭ হাজার নয়শো একান্ন টাকা পেতে পারেন। বুধবারেই ক্যাবিনেটের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দেশজুড়ে থাকা রেলের নন-গেজেটেড কর্মীরা এই বোনাস (Railway Bonus) পান। তবে আরপিএফ  (RPF/RPSF) আধিকারিকরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তাঁরা এই বোনাস (Bonus) পান না। চলতি বছরের হিসেবে এই নিয়ে টানা 12 বছর কালী পুজোর মুখে এই বোনাস পাচ্ছেন রেলকর্মীরা। এদিনের মন্ত্রিসভার ঘোষণায় খুশির হাসি রেলকর্মীদের মুখে।

    গত বছরে এই বোনাসের জন্য রেলের তরফে মোট ১৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। আগে অনুমান করা হয়েছিল চলতি বছরে সেই পরিমাণ বেড়ে ২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সেই রাস্তায় হাঁটল না। এবারে পিএলবি (Production Linked Bonus) দিতে কেন্দ্রের খরচ হচ্ছে ১৮৩২ কোটি টাকা। যা কিনা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা কম।

    [tw]


    [/tw]

    কেন্দ্রের তরফে রেলকর্মীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে রেল মালবহনের বাজার পুনরুদ্ধার করতে এবং উপযুক্ত উদ্যোগের মাধ্যমে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার জেরে করোনা মহামারীর সময়ে ধাক্কা খেলেও ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে রেল আর্থিক দিক থেকে গতি ফিরে পেয়েছে।

    এছাড়াও এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিতরণকারী সংস্থাগুলিকে ২২ হাজার কোটি টাকার অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।অনুরাগ বুধবার জানান, গৃহস্থালীতে ব্যবহারের রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি (LPG Price Subsidy) দিতে গিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির উপর বিপুল পরিমাণে আর্থিক বোঝা চেপেছে। তাই এই এককালীন অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে গৃহস্থালীর গ্যাস সরবরাহের সুযোগ করে দেবে।’’

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতে আমজনতার আর্থিক সঙ্কট বাড়লেও উৎপাদন শুল্ক, সেস-সহ তেলের হরেক করের উপর নির্ভর করে মোদী সরকার রাজকোষ সামাল দিয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশনে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতির গ্যাস প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলির এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরির বিবৃতি ও পেশ করা পরিসংখ্যানে তা জানানো হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    Gambia: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, হু-এর সতর্কবার্তা জারির পরেই তদন্ত করতে বিশেষ প্যানেল গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাম্বিয়ায় (Gambia) ৬৬ জন শিশুমৃত্যুর কারণ হতে পারে ভারতীয় কাফ সিরাপ, এমনটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। এরপরেই কেন্দ্র সরকার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পুরো তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এবারে বুধবার অর্থাৎ গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার চার বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল গঠন করেছে। ভারতে তৈরি চারটি কাফসিরাপের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতার ভিত্তিতে পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করবে এই বিশেষ প্যানেলটি। তারপরে সেই রিপোর্ট ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

    এই কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন, প্রজ্ঞা যাদব, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুনের বায়োসেফটি লেভেল ল্যাবের প্রধান, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এপিডেমিওলজি বিভাগের আরতি বাহল এবং সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) এর জয়েন্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার এ কে প্রধান। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল কমিটির মেডিসিনস-এর ভাইস-চেয়ারপার্সন ওয়াইকে গুপ্ত।

    আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    ইতিমধ্যেই হরিয়ানা সরকার মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের সোনিপাত ইউনিটে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। হুয়ের তরফে মনে করা হচ্ছে গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর কারণ ভারতে তৈরি চারটি কাশির ওষুধ। তাই অবিলম্বে কেন্দ্র থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ও গতকাল আবার কেন্দ্র সরকার প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, এর আগেই হু-এর তরফে পাঠানো সতর্কতায় জানানো হয়েছিল, চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় ইথিলিন গ্রাইকল এবং এথিলিন গ্লাইকল রয়েছে। হুয়ের তরফে বার্তা পাওয়ার পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন হরিয়ানার রেগুলেটরি অথরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ও তারপরেই তদন্ত শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১১ অক্টোবর হু সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে পণ্যের নুমনার পরীক্ষার ফলাফল বিস্তারিতভাবে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু মৃত্যুর সঙ্গে চারটি সিরাপের সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে। অন্যদিকে হরিয়ানা সরকার ইতিমধ্যেই সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

  • IMF: ‘সত্যি বিস্ময়’, মোদি সরকারের সরাসরি ব্যাংকে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পের প্রশংসা আইএমএফের

    IMF: ‘সত্যি বিস্ময়’, মোদি সরকারের সরাসরি ব্যাংকে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পের প্রশংসা আইএমএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সরকার পরিচালিত ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার বা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নগদ হস্তান্তর প্রকল্পকে একটা ‘বিস্ময়’ বলে উল্লেখ করল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা সংক্ষেপে আইএমএফ। তাদের মতে, ভারতে চালু হওয়া একাধিক সমাজ কল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (Direct Benefit Transfer) প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করল আইএমএফ(IMF)। এই প্রকল্পকে “লজিস্টিক বিস্ময়” হিসাবেও বর্ণনা করেছে তারা।   

    একটি সাংবাদিক বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময়, আইএমএফের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর পাওলো মাওরো (Paolo Mauro) বলেছেন, “ভারতের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের কাছে প্রায় প্রতিটি মহাদেশ এবং আয়ের প্রতিটি স্তরের উদাহরণ রয়েছে। ভারতের পারফর্ম্যান্স সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”  

    আরও পড়ুন: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ  

    তিনি বলেন, “দেশের বিশাল আকার চিন্তা করলে এটা আসলে এক আশচর্য। কয়েক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছয় এই প্রকল্পগুলি। ভারত সরকার তা সফলভাবে বাস্তবায়িত করছে।”  তিনি আরও বলেন, “ভারতের এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে যা বিশেষ করে মহিলাদের জন্যে। বয়স্ক এবং কৃষকদের জন্যেও প্রকল্প রয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, ভারতের প্রচুর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন রয়েছে।”   

    মাওরোর মতে, বর্তমানে ভারতে প্রচুর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সম্পর্কিত সাফল্য রয়েছে। নগদ স্থানান্তর প্রকল্পকে সফল করতে অন্যান্য সনাক্তকরণ ব্যবস্থার পাশাপাশি আধার কার্ড ব্যবহারেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। মাওরো বলেন, “অন্যান্য দেশেও, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এমন মানুষের কাছে টাকা পাঠানোর প্রযুক্তি চালু আছে। অনেকের কাছে প্রচুর টাকা নেই, কিন্তু তাদের কাছে একটি মোবাইল ফোন আছে।”    

    তিনি আরও বলেন, “মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার বিষয়টি অনবদ্য। দেশগুলি একে অপরের থেকে এসব শিখতে পারে। আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ার চেষ্টা করি যেখানে দেশগুলি এই ধরণের অভিজ্ঞতার ভাগ করে নিতে পারে।”

    আইএমএফের ফিসকাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ভিটর গাসপার ( Vitor Gaspar) বলেন, “প্রযুক্তির মাধ্যমে কী করে সহজেই মানুষের সমস্যার সমাধান করা যায় তার অনুপ্ররণাদায়ক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ভারত।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    Karnataka hijab row: ‘সুপ্রিম’ দুয়ারেও সমাধান অধরা! হিজাব পরা নিয়ে ভিন্নমত দুই বিচারপতির, মামলা গেল উচ্চতর বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো তথা দশেরার (Dusshera) ছুটির আগেই কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) নিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায় দিল শীর্ষ আদালত। এই মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ ‘স্প্লিট’ রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ, এখনও হিজাব মামলার প্রকৃত ফলাফল স্পষ্ট নয়। রায়দান করে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত (Justice Hemant Gupta) বলেছেন যে ‘মতের ভিন্নতা’ ছিল। তাই মামলাটি উচ্চতর বেঞ্চের কাছে পাঠানোর দায়িত্বভার প্রধান বিচারপতিকে দিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার (Sudhanshu Dhulia) বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এই মামলার রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত। তিনি মুসলিম ছাত্রীদের আবেদন খারিজ করে দিলেও  বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়া বলেন, হিজাব পরা নিজের পছন্দের বিষয়। সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি ধুলিয়া মুসলিম ছাত্রীদের আবেদনের যৌক্তিকতা মেনে নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ ‘খণ্ডিত রায়’ দিয়েছে। রায় দিতে গিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্নমত হওয়ায় এই মামলায় এবার সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে থাকা উচ্চতর বেঞ্চই এই মামলার রায় দেবেন।

    আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

    কর্নাটক সরকারের হয়ে আদালতে সওয়াল-জবাব করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কর্নাটক সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং কে নাভাগলি এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ। অন্যদিকে মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন সিনিয়র আইনজীবী দুষ্মন্ত দাবে এবং সলমন খুরশিদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cough Syrup: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    Cough Syrup: গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যু, ৪টে কাশির সিরাপের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ হরিয়ানা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) স্ক্যানারে ভারতের তৈরি চারটি কাশির সিরাপ (Cough Syrup)। সিরাপগুলি ব্যবহারে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে হু। হু-র দাবি, এই সিরাপগুলির মধ্যে ক্ষতিকারক বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া গেছে। দিন কয়েক আগেই আফ্রিকায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়। তারপরই এই সতর্কতা জারি করেছে হু। হরিয়ানা ভিত্তিক সিরাপ প্রস্তুতকারক মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর কারখানায় উৎপাদনে বড় ধরনের অনিয়ম পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘এখন যিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তিনি পাঁচবার শিবির বদলেছেন’, নীতীশকে শাহি কটাক্ষ

    ডাব্লুএইচও বিবৃতি জারি করে বলে, “গাম্বিয়াতে যে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে তার সঙ্গে সরাসরি এই কাশির সিরাপের যোগসূত্রের সম্ভাবনা রয়েছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভারতে তৈরি চারটি কাশির সিরাপ নিয়ে সাবধানতা জারি করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। সিরাপগুলি হল, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কোফ্যাক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, ম্যাকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ। এই সমস্ত সিরাপগুলি হরিয়ানার মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের তৈরি। হু- এর সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে চারটি পণ্যের প্রতিটির নমুনার বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, এই সিরাপগুলিতে ক্ষতিকারক ডায়েথিলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন রয়েছে। যেগুলি খেলে মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।    

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ডব্লিউএইচও-র বিবৃতির জবাব দিয়ে বলে, “এই চারটি কাশির সিরাপ ভারতের কোথাও বিক্রি হয়নি। এই পণ্য রপ্তানির অধিকার শুধুমাত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের। কোম্পানি এই সিরাপগুলি তৈরি করেছে এবং শুধুমাত্র গাম্বিয়াতে রপ্তানি করেছে। গাম্বিয়াতে রপ্তানি করা কাশির সিরাপ ভারতের কোথাও বিক্রি বা বিতরণ করা হয় না। কোম্পানি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরিই রিপোর্ট আসবে। তার ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”     

    কেন্দ্রীয় ও হরিয়ানা সরকারের ফার্মাসিউটিক্যাল বিভাগের যৌথ পরিদর্শনের পরে উৎপাদন সংক্রান্ত প্রায় ১২টি ত্রুটি নজরে এসেছে। এসবের ভিত্তিতে সকল প্রকারের উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সরকারকে জবাব দিতে বলা হয়েছে ওই সংস্থাকে। হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ জানিয়েছেন, ওষুধ কোম্পানির নমুনা কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি, তার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাত দিনের মধ্যে জবাব না দিলে সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।     
     
    অনিল ভিজ আরও বলেন, “আপাতত ওই সংস্থার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, ওই সংস্থা সিরাপ তৈরিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামের লগবুক দেখাতে পারেনি। সিরাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কোনও নথি বা প্রমাণপত্রও দিতে পারেনি তারা।  

    আর এর পরেই মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে। বিবৃতিতে বলা হয়, “সকল প্রকার গাইড লাইন মেনেই সংস্থা ওষুধ প্রস্তুত করে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: বাজেয়াপ্ত নয়, মাদক চক্র বিনাশ করাই লক্ষ্য, গুয়াহাটিতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে মাদকদ্রব্য পাচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) তিনদিনের উত্তর-পূর্ব ভারত সফরে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে শনিবার “মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা” বিষয়ক একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশ নেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের মাদক পাচার পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য সমাধান পরীক্ষা করার লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি সেখানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য শুধু মাদক আটক করা নয়, মাদকের আতঙ্ককে উপড়ে ফেলা। তিনি উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির বর্তমান সরকারদের মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    অমিত শাহ (Amit Shah) গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিজিপিদের সঙ্গে ‘মাদক পাচার এবং জাতীয় নিরাপত্তা’ বিষয়ে একটি আঞ্চলিক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “মাদকদ্রব্য জব্দ করা আমাদের মিশন নয়। উপড়ে ফেলাই আমাদের লক্ষ্য।” তাঁর মতে, উত্তর-পূর্বের প্রতিটি রাজ্যের পুলিশকে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং প্রতিটি মাদক পাচারের পথ নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, “সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ডিজিপিদের একে অপরকে সাহায্য করা উচিত। মণিপুর থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত করা হলে সেখানেই সেটি শেষ হয় না। আপনাদের দেখা উচিত যে, মাদকদ্রব্য কোথায় ও কার কাছে যাচ্ছে।“

    আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে এটি দ্বিতীয় সম্মেলন। প্রথমটি চণ্ডীগড়ে ছিল এবং আজ, কেন্দ্রের লক্ষ্যই ছিল উত্তর-পূর্বে মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং লড়াই করা। তিনি আরও বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ৭৫,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তিনি খুশি যে, ৭৫,০০০ কেজির পরিবর্তে, ১,৫০,০০০ কেজি মাদক ধ্বংস করা হয়েছে। এটা একটা বড় অর্জন।

    তাঁর তত্ত্বাবধানে সেদিন প্রায় ৪০,০০০ কেজি জব্দ করা মাদক নষ্ট করা হয়েছে। সেসময় ভার্চুয়ালি ভাবে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। এছাড়াও গুয়াহাটিতে এনসিবি ১১,০০০ কেজি, আসাম পুলিশ প্রায় ৮০০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য নষ্ট করেছে। আবার ত্রিপুরায় সর্বোচ্চ ১২০০০ কেজি, অরুণাচল প্রদেশে ৪০০০ কেজি মাদকদ্রব্য, মেঘালয়ে ১৬০০ কেজি, মণিপুরে ১৯০০ কেজি, মিজোরামে ১৫০০ কেজি এবং নাগাল্যান্ডে ৩৯৬ কেজি মাদক পোড়ানো হয়েছে।

    সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে তার রাজ্যে পপি এবং গাঁজা চাষ রোধ করার প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “ভারতকে মাদক মুক্ত করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন এবং আমাদের এটিকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে।”

     

  • Amit Shah: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    Amit Shah: লক্ষ্মীপুজোর দিন কামাখ্যা মন্দিরে প্রার্থনা অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার লক্ষ্মীপুজো। এদিনই আসামের কামাখ্যা মন্দিরে (Kamakhya Temple) গিয়ে প্রর্থনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিন দিনের আসাম সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শেষ দিনে গেলেন ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম এক পীঠ কামাখ্যা দর্শনে।

    নীলাচল পাহাড়ের মাথায় রয়েছে দেবী কামাখ্যার মন্দির। দেবী এখানে মহামায়া রূপে অধিষ্ঠিতা। এদিন এই মন্দিরই দর্শন করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং জলসম্পদ মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা। রাজ্যের যে গেস্ট হাউসে তিনি রাত্রিবাস করছিলেন, সেখান থেকেই সরাসরি অমিত শাহ চলে আসেন মন্দিরে। প্রথমেই তাঁরা যান মন্দিরের গর্ভগৃহের পবিত্রতম এলাকায়। সেখানেই সারেন প্রার্থনা। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য করেন কামাখ্যা মন্দিরের তিন পুরোহিত। জানা গিয়েছে, অমিত শাহ (Amit Shah) মন্দিরের মধ্যে ছিলেন মিনিট দশেকেরও বেশি সময়। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে রীতি মেনে করেন মন্দির পরিক্রমা। পরে উপস্থিত দর্শনার্থীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তার পরেই বেরিয়ে আসেন মন্দির চত্বর ছেড়ে। 

    আরও পড়ুন : আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

    কামাখ্যা মন্দির দর্শন শেষে অমিত শাহ (Amit Shah) চলে যান আসাম অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ স্টাফ কলেজে। সেখানে করেন বক্তৃতা। সেখান থেকে অমিত শাহ যাবেন গোলাঘাট জেলার দেরগাঁও এলাকায়। পুলিশ কর্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন তিনি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেয় আসামে পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বন্যা-মুক্ত আসামের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং বরিষ্ঠ আধিকারিকরা। বিজেপি (BJP) সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির নবগঠিত কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণও দেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেপি নাড্ডাও। মাদক পাচার ও জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে এক আলোচনা চক্রে যোগ দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পরে যোগ দেন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। এদিন যান কামাখ্যা মায়ের দর্শনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share