Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    PFI on RSS: টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে প্রাণপাত করছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) নেতারা। উন্নততর ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তাঁরাও। সেই তাঁদেরই ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI) নামে একটি মুসলিম সংগঠনের গুপ্তচররা। বৃহস্পতিবার দিনভর দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় প্রায় দুশো পিআইএফ নেতাকর্মীকে। ধৃতদের জেরা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, আসাম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। গ্রেফতার করা হয় ১৯৬ জনকে। এদের মধ্যে ৪৫ জন নেতাও রয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, আরএসএস নেতাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পিএফআইয়ের গুপ্তচর শাখা তাহলিলকে। তারাই আরএসএসের নেতা, বাড়ির লোকজন, গাড়ির চালক মায় পরিচারকদের গতিবিধির ওপরও নজরদারি চালাত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরএসএসের যত শাখা রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজখবর রাখত তাহলিল।  

    আরও পড়ুন : খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    সূত্রের খবর, আরএসএসের নেতাদের অফিস ও বাড়িতে রেকিও করেছে পিআইএফের গোয়েন্দারা। এই তাহলিলের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈইবার যোগাযোগ ছিল। আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে অনেক তথ্যই তাহলিল দিয়েছে লস্কর-ই-তৈইবাকে। পিএফআইয়ের মতে, আরএসএস নেতাদের সম্পর্কে জোগাড় করা তথ্য ফাইনাল রোডম্যাপের ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কেবল তাই নয়, তাহলিলের আরও একটি কাজ হল সমাজে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে কৌশলে বিভেদ ঘটানো। যাতে করে জনমানসে আরএসএস সম্পর্কে নঞর্থক ধারণা তৈরি হয়।

    সম্প্রতি দিল্লিতে মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার পরের দিনই তাঁকে রাষ্ট্রপিতা অভিধায় ভূষিত করেছে ভারতীয় ইমাম সংগঠন। জাতি গঠনে এই আরএসএস প্রধানের ভূমিকাও স্বীকার করেছে তারা। এহেন আবহে পিএফআইয়ের এমন তথ্য সামনে আসায় শঙ্কিত দেশবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PFI: খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    PFI: খুন, বিস্ফোরক রাখা, সন্ত্রাসবাদে মদত— কী কী অভিযোগ পিএফআই-এর বিরুদ্ধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক বছরে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্বক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

    কী কী অভিযোগ রয়েছে পিএফআই-এর বিরুদ্ধে—

    • অধ্যাপকের হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই চরমপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে। 
    • অন্য ধর্মের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের খুন করার অভিযোগ রয়েছে। 
    • অস্ত্র এবং বিস্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। 
    • নাগরিকদের ভয় দেখানো থেকে সরকারি সম্পত্তির ধ্বংস এই ইসলামিক সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। 
    • সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্য করা, সন্ত্রাসবাদীদের জন্য ট্রেনিং ক্যাম্পের আয়োজন করা এবং সাধারণ মানুষদের এই সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য মগজ ধোলাই করার মতো অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: এনআইএ হানার প্রতিবাদ, কেরলে পাথর- পেট্রল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ পিএফআই সমর্থকদের

    বৃহস্পতিবার এনআইএ (NIA) এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, অসম, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। এখনও পর্যন্ত ১৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। ৫টি মামলায় মোট ১০৬ জন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৫ জন নেতা। তল্লাশিতে প্রচুর টাকা, অস্ত্র এবং বিপুল ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।

    এনআইএ-এর অভিযানের প্রতিবাদে কেরল এবং কর্নাটকের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পিএফআই সদস্যরা। শুক্রবার কেরলে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাকও দিয়েছিল সংগঠন। দেশজুড়ে এই ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হচ্ছে। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক    

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ একাধিক সংগঠন মিলিত হয়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি করে। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SC on Hijab Row: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    SC on Hijab Row: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে, এটা চলতে পারে না, হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিন ধরে শুনানি হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। হিজাব বিতর্কে (Hijab Row) সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলছে দ্রুত শুনানি শেষ করতে। ধৈর্য হারাচ্ছে। তাই দ্রুত শেষ করতে হবে সওয়াল পাল্টা সওয়াল।

    চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক সরকার নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। কর্নাটকের উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। কেবল কর্নাটক নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও শুরু হয় অশান্তি। মামলা হয় কর্নাটক হাইকোর্টে। হিজাব পরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে কর্নাটক আদালতও। তার বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতে।

    সেই থেকে এ পর্যন্ত হিজাব বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছেই। বুধবার ফের শুনানি হয় ওই মামলার। এদিনও হয় সওয়াল পাল্টা সওয়াল। পরে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ঢুলিয়া প্রবীণ আইনজীবী হুজাফে আহমদিকে বলেন, আমরা আপনাদের সবাইকে এক ঘণ্টা সময় দিলাম। আপনারা শেষ করুন। এটা অতিরিক্ত শুনানি হয়ে যাচ্ছে। হুজাফে আহমদি এক আবেদনকারীর হয়ে সওয়াল করছেন। এদিন বেঞ্চ জানিয়েছে, হিজাব মামলায় বিভিন্ন আইনজীবী ইতিমধ্যেই তাঁদের যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। আমরা আমাদের ধৈর্য হারাচ্ছি। বেঞ্চ যে অসীম ধৈর্য নিয়ে সওয়াল পাল্টা সওয়াল শুনছেন, এদিন তা স্বীকারও করেন হুজাফে। তিনি বলেন, আমি স্বীকার করি আপনারা অসীম ধৈর্য নিয়ে এই মামলার সওয়াল পাল্টা সওয়াল শুনছেন। এর পরেই বেঞ্চ হালকা রসিকতার ছলে বলেন, আপনি কি মনে করেন এছাড়া অন্য উপায় রয়েছে?  

    এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিঙ্গ কে নাভাদগি এবং অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন। প্রবীণ আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে এবং সলমান খুরশিদ সওয়াল করেন মুসলিম আবেদনকারীদের হয়ে।

     

  • Chandigarh Airport: ভগৎ সিংয়ের নামে হবে চণ্ডীগড় বিমানবন্দর! ‘মন কি বাত’ -এ কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Chandigarh Airport: ভগৎ সিংয়ের নামে হবে চণ্ডীগড় বিমানবন্দর! ‘মন কি বাত’ -এ কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির রাজপথের পর এবার চণ্ডীগড় বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের (Chandigarh Airport) নাম রাখা হবে শহিদ ভগৎ সিং-এর নামে (Shaheed Bhagat Singh)৷ এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মবার্ষিকীর আগেই এ কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ আজ রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ (Mann Ki Baat) মোদি জানান, স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

    প্রতি মাসের শেষ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর  রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন। আজ এই রেডিও অনুষ্ঠানের ৯৩ তম পর্বে তিনি বক্তৃতা দেওয়ার সময় জানান, চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নামকরণ করা হবে শহীদ ভগৎ সিংয়ের নামে। তিনি বলেন, “মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরটি এখন শহীদ ভগৎ সিংয়ের নামে নামকরণ করা হবে।”

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার!

    এই বিমানবন্দরের নাম নিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল, কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মিলিতভাবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সরকার এই বিমানবন্দর তৈরি করেছিল। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিমানবন্দরের নাম চণ্ডীগড় বিমানবন্দর হিসাবে প্রচার করেছে, কিন্তু পাঞ্জাব সরকার একে মোহালি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নাম দিয়েছে। এর আগে হরিয়ানা আপত্তি জানিয়েছিল যে বিমানবন্দরের নাম শুধুমাত্র চণ্ডীগড়ের নামে রাখা উচিত নয়, কারণ এটি উভয় রাজ্যের যৌথ রাজধানী। পাঞ্জাব সরকার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নাম শহীদ-ই-আজম ভগৎ সিং হিসাবে রাখার ঘোষণা করেছিল। একই সঙ্গে হরিয়ানা সরকার এই বিমানবন্দরের নাম মঙ্গল সেনের নামে রাখতে চেয়েছিল। ফলে এই নামকরণ নিয়ে বহু বছর ধরে বিতর্ক হয়ে আসছে। দুই রাজ্যের মধ্যে বিষয়টি পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টেও পৌঁছেছিল, যেখানে উভয় রাজ্যকে একসঙ্গে বসে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    পরবর্তীকালে, অগাস্টে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা চণ্ডীগড়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম শহীদ-ই-আজম ভগৎ সিং-এর নামে নামকরণ করতে সম্মত হয়। বিষয়টি নিয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌতালার মধ্যে একমত হয়েছিল। ফলে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা দুই রাজ্যের সরকারের সম্মততেই বদলে যাচ্ছে বিমানবন্দরের নাম।   

  • Hyderabad: হায়দ্রাবাদে নবরাত্রি প্যান্ডেলে দুই বোরখা পরিহিতার তাণ্ডব, ভাঙা হল মূর্তি

    Hyderabad: হায়দ্রাবাদে নবরাত্রি প্যান্ডেলে দুই বোরখা পরিহিতার তাণ্ডব, ভাঙা হল মূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে দেশজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিত হচ্ছে নবরাত্রি (Navratri)। ৫ অক্টোবর অবধি মা দুর্গার নয়টি রূপের আরাধনা চলবে। এই উপলক্ষে বহু জায়গায় ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে উৎসবে মেতেছেন দেশবাসী। আর এর মাঝেই তাল কাটল হায়দ্রাবাদে (Hyderabad)। দুই মুসলিম মহিলার বিরুদ্ধে হিন্দু দেবীকে (Hindu Goddess) অপমান করার অভিযোগ উঠেছে নিজামের শহরে (Muslim women in burqa damaged the idol of Goddess Durga)।

    অভিযোগ, দুই মুসলিম মহিলা পুজো প্যান্ডেলে বোরখা পরে প্রবেশ করেন। অতর্কিতে দুর্গা মূর্তি ভাঙেন। এই দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও নবরাত্রিতে ওই দুই মহিলা কোনও উস্কানিমূলক কাজ করে সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এই দুই মহিলাই ওই এলাকার একটি চার্চেও হামলা চালান। মাদার মেরির মূর্তি ভাঙচুর করেন তারা।

    ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের খইরাতাবাদে। নবরাত্রির দিন দুই মুসলিম মহিলা দুর্গা পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশ করেন। তারপর তারা মূর্তি ভাঙার চেষ্টা করেন। খইরাতাবাদের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, তারা প্যান্ডেলে ঢুকে প্রথমে ভাঙচুর শুরু করে্ন। এমনকি দুর্গা মূর্তির বেশ কিছু অংশ ভেঙে দেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন এবং ওই দুই মহিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। 

    হায়দ্রাবাদের সেন্ট্রাল জোনের ডিসিপি রাজেশ কুমার এই বিষয়ে বলেন, “সকালের দিকে দুই মহিলা খইরাতাবাদের একটি প্যান্ডেলে প্রবেশ করে  মূর্তি ভাঙচুর করেন। সেই সময়ে ওই প্যান্ডেলের উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি বাধা দিলেও তারা শোনেননি। তারা ওই ব্যক্তির ওপরেও হামলা চালায়। তারপর স্থানীয়রা এসে ওই দুই মহিলাকে আটক করেন।” 153-A, 295, 295-A, 451, 504 r/w 34 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ওই দুই মহিলার বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ পিএফআই! মিলেছে জঙ্গি যোগের প্রমাণ, ছড়ানো হচ্ছে সন্ত্রাস, কী বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক?

    পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই দুই মহিলা কে, তাদের পরিচয় কী এবং তারা কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই দুই মহিলা মানসিকভাবে সুস্থ কিনা তাও দেখা হচ্ছে। দুজনের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি ওই দুজনই মানসিক ভারসাম্যহীনতার শিকার। গত বছরেও হায়দ্রাবাদের কুকাটপল্লীতে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দিরে (Hindu Temple vandalized) কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলায় দেবী দুর্গার প্রতিমা (Goddess Durga Idol) সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এবছরও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • PFI Protests in Kerala: এনআইএ হানার প্রতিবাদ, কেরলে পাথর- পেট্রল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ পিএফআই সমর্থকদের

    PFI Protests in Kerala: এনআইএ হানার প্রতিবাদ, কেরলে পাথর- পেট্রল বোমা ছুড়ে প্রতিবাদ পিএফআই সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দেশের ১৫টি রাজ্যে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) ৯৩টি কার্যালয়ে অতর্কিতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ (NIA)। এনআইএ হানার প্রতিবাদে এর প্রতিবাদে (protest) আজ কেরলে বনধের ডাক দিয়েছে পিএফআই। বনধকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। রাজধানীর তিরুবনন্তপুরম সহ বেশ কিছু জায়গায় বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ, পাথর-পেট্রল বোমা ছোড়া, পুলিশের ওপর হামলাবাজি, সরকারি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটেছে।  

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    পুলিশ সূত্রে খবর, বনধ এবং অবরোধের কারণে আহ কেরল ও কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সব জেলাতেই কমবেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের বহু জায়গায় সরকারি বাসে হামলা চালানো হয়েছে। কোঝিকড়ে বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোল্লামে মোটরসাইকেল আরোহী পিএফআই কর্মীরা দুই পুলিশ কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

     


      
       
    সারা দেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও মূলত পিএফআই- এর দূর্গ কেরল।  দক্ষিণের এই রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই রয়েছে এই সংগঠনের অফিস। বৃহস্পতিবার এনআইএ এবং ইডি উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, অসম, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশে অভিযান চালায়। এখনও পর্যন্ত ১৯৬ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। দেশজুড়ে এই ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জোড়াল হচ্ছে। বিভিন্ন অসামাজিক ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ২০০৬ সালে গঠিত, এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ , সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে পিএফআই। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার খুব শীঘ্রই পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই দলটিকে বেআইনি ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে, বলে খবর।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Bhagwant Mann: সত্যিই মদ্যপ ভগবন্তকে নামিয়ে দেওয়া হয় বিমান থেকে? তদন্তের নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর

    Bhagwant Mann: সত্যিই মদ্যপ ভগবন্তকে নামিয়ে দেওয়া হয় বিমান থেকে? তদন্তের নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্মুখী বিমান চলাচল এবং বিমান পরিবর্তনের জন্য আসল সময়ের থেকে দেরিতে ছেড়েছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লিগামী বিমান। এর সঙ্গে পাঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের(Bhagwant Mann) কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে লুফথানসা কর্তৃপক্ষ। বিমান দেরিতে ছাড়ার কারণ জানতে চাওয়া এক নেটিজেনের প্রশ্নের উত্তরে ট্যুইটারে বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, বিমানের ট্র্যাফিক সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে দিল্লিগামী বিমানটি ছাড়তে বিলম্ব হয়। অন্য কোনও কারণ নেই।

    উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের বিরোধী দলনেতা সুখবীর সিং বাদল অভিযোগ করেছিলেন, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে রবিবার যখন পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁর পা টলছিল। অশান্তিও করছিলেন। সেই কারণে লুফথানসা কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দিতে বাধ্য় হয়। তাঁর মালপত্র বিমানে থেকে যাওয়ায় তা নামাতে দেরি হয়। সেজন্য বিমান ছাড়তেও বিলম্ব হয়।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আনার উদ্দেশে আট দিনের জার্মানি সফরে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে বিমান ধরে দিল্লি ফেরার কথা ছিল তাঁর। দুপুর ১.৪০ মিনিটে বিমান ছাড়ার কথা থাকলেও তা আসলে ছাড়ে বিকাল ৫.৩৪ মিনিটে। এরপরেই সেই দেরির কারণ হিসেবে মানকে দায়ী করে ট্যুইট করেন শিরোমনি আকালি দল নেতা সুখবীর সিং।

    আরও পড়ুন: মিলল সোনিয়ার সম্মতি, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে অশোক-শশী লড়াই?

    বিমান দেরিতে ছাড়ার কারণ দর্শালেও ভগবন্ত মান মদ্যপ অবস্থায় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন কিনা সেকথা জানতে চাওয়া হলে অবশ্য লুফথানসার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তথ্যসুরক্ষার কারণে কোনও নির্দিষ্ট যাত্রী সম্পর্কে তথ্য দিতে তারা রাজি নয়। আপ যদিও আগেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এর কোনও ভিত্তি নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে, বলে জানিয়েছেন  বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gurugram Safari Park: গুরুগ্রামে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সাফারি পার্ক

    Gurugram Safari Park: গুরুগ্রামে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম সাফারি পার্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার আরাবল্লী পাহাড়ে (Aravalli mountain range) বিশ্বের বৃহত্তম সাফারি পার্ক তৈরি করতে চলেছে হরিয়ানা সরকার (Haryana Govt)।

    সম্প্রতি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের (Manohar Lal Khattar) নেতৃত্বে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল একদিনের সফরে দুবাইয়ের (Dubai) শারজাহ সাফারি পার্ক (Sharjah Safari Park) পরিদর্শন করতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, হরিয়ানার এনসিআর (NCR) অঞ্চলটি হবে সাফারি পার্ক তৈরির জন্য আদর্শস্থান। তিনি আরও জানান, জঙ্গল সাফারি পার্ক শুধুমাত্র যে পর্যটন শিল্পকে (Tourism Industry) উৎসাহিত করবে তাই নয়। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক ভারতে এলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসবে। পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

    প্রস্তাবিত এই সাফারি পার্কটি আনুমানিক ১০ হাজার একর জুড়ে বিস্তৃত থাকবে। হরিযানার গুরুগাঁও (অধূনা গুরুগ্রাম) এবং নুহ জেলা দুটিকে কভার করবে এই পার্কটি। সরকারি তরফে ঘোষণা করা হয়েছে এই পার্কটির কাজ সম্পন্ন হলে এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সাফারি পার্ক। বর্তমানে ২০২২ সালে দুবাইতে উদ্বোধন হওয়া শারজাহ পার্কটি বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সাফারি পার্ক। শারজাহ পার্কটি দুই হাজার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।

    কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, হরিয়ানার (Haryana) পরিবেশ দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারও এই প্রকল্পের জন্য অর্থ সহায়তা করবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক (Internatonal) দুটি সংস্থাকে এই পার্কটি তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে। এই দু’ সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জয়ী সংস্থা প্রকল্পটির বরাত পারে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিগ্বিজয় ডামি প্রার্থী, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের 

    প্রসঙ্গত, আরাবল্লী পর্বতমালায় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বন্য পশু এবং প্রজাপতির বাস। হরিয়ানা সরকারের সমীক্ষা (Survey) অনুযায়ী, আরাবল্লী পর্বতে ১৮০ প্রজাতির পাখি, ১৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী এবং ৫৭ প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া গিয়েছে।

    হরিয়ানা সরকারের এই ঘোষণার পরেই সাধুবাদ জানিয়েছে পরিবেশ প্রেমীরা। বর্তমানে, পরিবেশের বিরুদ্ধে গিয়ে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে একাধিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্যগুলি। সেই ট্রেন্ডের বিপরীতে গিয়ে সাফারি পার্কের উদ্যোগে খুশি পরিবেশপ্রেমীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    S Jaishankar: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভাষণ দিতে গিয়ে ইউক্রেন প্রসঙ্গ টেনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) থামাতে হবে। এরপর আবার তিনি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে রয়েছে এবং সেখানেই অনড় থাকবে। গতকাল, ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭তম অধিবেশনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

    তিনি বলেন, “ইউক্রেনের সংঘাত ক্রমাগত উদ্বেগ সৃষ্টি করার কারণে, আমাদের প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয় যে আমরা কার পক্ষে। আমরা প্রতিবার সহজ, সরল ও সৎ উত্তর দিয়ে এসেছি। ভারত শান্তির পক্ষে আছে এবং দৃঢ়ভাবে সেখানে থাকবে। আমরা সেই পক্ষে রয়েছি যারা রাষ্ট্রসংঘের সনদ এবং এর নীতিগুলিকে সম্মান করে। আমরা যুদ্ধ নয়, আলোচনা এবং কূটনীতিকে একমাত্র উপায় হিসেবে মনে করি।” অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রভাবের উপর জোর দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “চলমান ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাব অর্থনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানীর ওপর।” ফলে এইসব কথা উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্ব জুড়ে শান্তির জন্য এবং কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘যুদ্ধ থামান’, রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়াকে আর্জি জয়শঙ্করের

    অন্যদিকে রাষ্ট্রসংঘের ৭৭ তম সাধারণ অধিবেশনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, কীভাবে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। তিনি এদিন পাকিস্তানের নাম না নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানে চিনের ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন তিনি। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ভারত আন্তঃসীামান্ত সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। ফলে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

    তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদের কোনও যৌক্তিকতা হয় না। সন্ত্রাসবাদ কখনও কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না।  রক্ত কখনও কোনও সমস্যার উত্তর হতে পারে না বলেও তিনি মনে করেন। যাঁরা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা আদতে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনেন। কারণ যাই হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনও সমর্থন করা যায় না।

    উল্লেখ্য, চলতি মাসেই চিন লস্কর-ই- তৈবার জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী ঘোষণা করার আহ্বানে বাধা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানা যায় যে ভারত এই আহ্বানে সমর্থন করেছিল। উল্লেখ্য, মীর ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মামলায় ওয়ান্টেড।

    তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারত জি-২০ এর সভাপতিত্ব গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ঋণ, খাদ্য এবং জ্বালানী সুরক্ষার গুরুতর সমস্যাগুলি মোকাবেলায় নয়াদিল্লি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাজ করবে।

  • PFI Ban: লক্ষ্য ছিল দাঙ্গা! আর একটা ‘শাহিনবাগ’-এর ছক কষেছিল পিএফআই?

    PFI Ban: লক্ষ্য ছিল দাঙ্গা! আর একটা ‘শাহিনবাগ’-এর ছক কষেছিল পিএফআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক কষেছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India), সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। অন্তত দিল্লি পুলিশের দাবি এমনই। আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পিএফআই ও তার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থাকে। তার পরেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার ধরপাকড়। তার পরেই দিল্লি পুলিশ ফাঁস করেছে সদ্য নিষিদ্ধ ওই সংগঠনের পরিকল্পনা।

    জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনের মতো একটি আন্দোলন সংগঠিত করার পরিকল্পনা করেছিল। দেশে দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির ছকও কষেছিল ওই ইসলামিক সংগঠন।

    জেলায় জেলায় গোয়েন্দাও নিয়োগ করেছিল পিএফআই। সূত্রের খবর, পিএফআই জেলাস্তরে গোয়েন্দা বিভাগ খুলেওছিল। এই গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করতেন। সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হত পিএফআইয়ের ক্যাডারদের কাছে। পিএফআইয়ের হিটলিস্টে যাঁরা ছিলেন, মূলত তাঁদের সম্পর্কেই তথ্য সংগ্রহ করতেন গোয়েন্দারা। অন্য একটি সাংবাদ মাধ্যম সূত্রেও জানা গিয়েছে, এই সংগঠন ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব ভারতে হিন্দু-বিরোধী দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিল।

    আরও পড়ুন : পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত মুসলিম সম্প্রদায়ের

    সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি কুড়োতে পিএফআইয়ের একটি গোষ্ঠী গণআন্দোলনও সংঘটিত করেছিল। এই গোষ্ঠী বোধহয় রাজনৈতিক, তবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের যোগ ছিল। পূর্ব দিল্লির দাঙ্গার মতো ঘটনাও ঘটাতে চেয়েছিল তারা।

    এদিকে, পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলন হতে পারে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমন আশঙ্কা করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জামিয়া নগর এলাকা, যেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত, সেখানে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে দিল্লিতে যে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা হয়েছিল, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর দিল্লির শাহিনবাগে শুরু হয়েছিল সিএএ বিরোধী আন্দোলন। এটা তারই জের।

    এদিকে, ২৭ সেপ্টেম্বর এনআইএ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় ধরপাকড় শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই দফায় আটটি রাজ্যে চলেছে অভিযান। আটক করা হয়েছে পিএফআইয়ের ১৭০ জন সদস্যকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share