Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chinese Rocket: চিনের ২৩ টনের বিশাল রকেট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে

    Chinese Rocket: চিনের ২৩ টনের বিশাল রকেট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চীনের প্রায় ১০ তলা বিল্ডিংয়ের মতো লম্বা ২২.৫ মেট্রিক টনের বিশাল একটি রকেট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীর দিকে নেমে আসছে (China Rocket Crash)। গত ৩১ অক্টোবর লংমার্চ (Long March Missile) নামে ওই মহাকাশযানটিকে চিনের মহাকাশসংস্থা উৎক্ষেপণ করেছিল। এই রকেটে করেই তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে নানা সামগ্রী পাঠিয়েছে চিন। চিনের মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, স্পেস স্টেশনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর জন্য এটাই তাদের শেষ উদ্যোগ। রকেটটির (China Rocket Crash) সফল উৎক্ষেপণের পরেও বর্তমানে রকেটটি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছে চিনা মহাকাশ সংস্থা।

     

    সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে, সমগ্র মধ্য আমেরিকা, আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকার কোন স্থানে বিশাল এই রকেটটির ধ্বংসাবশেষটি পড়তে পারে। চীনা মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, রকেট ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি যাতে পুনরায় না ঘটে তা নিয়ে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই রকেটটি বায়ুমণ্ডলে করবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৪টা বেজে ৩০ মিনিটে। রকেটটির অধিকাংশ অংশ বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথেই পুড়ে যাবে। তবে যে অংশটি অবশিষ্ট থাকবে গোটা বিশ্বের ৮৮ শতাংশ মানুষের বিপদের একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।



    প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ৫ থেকে ৯ টন ওজনের লং মার্চ মহাকাশযানের একাংশ ভেঙে পড়েছিল ভারত মহাসাগরে। ২০২০ সালেও চিনের মহাকাশযানের একটি ছোট অংশ আইভরি কোস্টে পড়েছিল বলে জানা যায়। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশ। এই আইন সব দেশকে মেনে চলতে বাধ্য করা উচিত বলে মত তাঁদের।

  • IPhone Factory Worker Fled: শ্রমিকরা চীনের বৃহত্তম আইফোন কারখানা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে

    IPhone Factory Worker Fled: শ্রমিকরা চীনের বৃহত্তম আইফোন কারখানা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চীনের আইফোন কারখানা বেড়া টপকে পালাচ্ছেন কারখানাটির শ্রমিকরা। চীন সরকারের কঠোর ‘জিরো কোভিড টলারেন্স” (Zero Covid Tolerance) নীতির কারণে চাংঝোউ শহরে অবস্থিত ফক্সকনের কারখানাতে আটকে পড়ে হাজার হাজার শ্রমিক।
    অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রায় ১০ জন শ্রমিক কারখানার বেড়া টপকে বাইরে ঝাপ দিচ্ছে। ভিডিওটি কিছু সময়ের মধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

    [tw]


    [/tw] 

    চীনে অবস্থিত নিজস্ব কারখানায় চুক্তিভিত্তিকভাবে আইফোন উৎপাদন করে ফক্সশন (Foxconn)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারখানায় কর্মী সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ এবং বিশ্বের অর্ধেক ফোনই এই কারখানা থেকে উৎপাদন করা হয়। তবে আমেরিকার সঙ্গে বানিজ্যগত যুদ্ধ ও দেশটিতে সরকার কঠোর ভাবে লকডাউন আরোপ করায় আইফোন তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়াও নানা বড়ো বড়ো কোম্পানি চিন থেকে তাদের ম্যানুফেকচারিং হাব গুলো তুলে নিতে পারে। চিনে দেশজুড়ে লকডাউন লাগু থাকায় কোম্পানির শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশী দূরের রাস্তা অতিক্রম করে তাদের হোমটাউনে ফিরে যাচ্ছে। তারা চীন সরকারের তৈরি কোভিড অ্যাপ যার মাধ্যমে সরকার মানুষের গতিবিধিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে সেই অ্যাপটি মোবাইল থেকে সরিয়ে ফেলছে।

    তবে রবিবারই কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে যে, শ্রমিকদের কেউ বেরিয়ে যেতে চাইলে আটকানো হবে না। তাদের জন্য সরকার সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থার আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে। যদিও সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, শ্রমিকেরা পুলিশ প্রশাসনকে এড়াতে গণপরিবহন ব্যবহার করছে না।

    প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের কঠোর কোভিড নীতির (Zero Covid lockdown) কারণে দেশ আর্থিক দিক থেকে ক্ষতির মুখে পড়বে। চীনে গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার হরণ নিয়ে বরাবর সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। সম্প্রতি ২০ তম পার্টি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিনিয়োগকারীরাও চিনে থাকতে চাইছে না। এছাড়াও রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। এই কোম্পানিগুলিই চিনের অর্থনীতির একএকটি স্তম্ভ ছিল। এছাড়াও চীনের স্বৈরাচারী কমিউনিস্ট সরকারের এক বাচ্চা নীতি( One Child Policy) চীনকে বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে যা ভবিষ্যতে চীনের কর্মক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Qatar Fifa World Cup: ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবার আগেই অভিবাসী শ্রমিকদের বের করে দিয়েছে কাতার

    Qatar Fifa World Cup: ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবার আগেই অভিবাসী শ্রমিকদের বের করে দিয়েছে কাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসেরও বাকি নেই। তবে আয়োজক কাতারকে সামলাতে হচ্ছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। কাতারের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে মানবাধিকার রক্ষা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান। সম্প্রতি কাতার ফিফা বিশ্বকাপের (Qatar Fifa World Cup) জন্য রাজধানী দোহার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের বের করে দিচ্ছে।

    স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ নভেম্বর টুর্নামেন্ট (Qatar Fifa World Cup) শুরুর আগেই কাতারের নিরাপত্তা রক্ষীরা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ১২ টি বিল্ডিংয়ে বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের বাসস্থান থেকে বের করে শহরের অন্য স্থানে তাদের স্থানান্তরিত করা হয়। 
    যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই বিল্ডিংগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায় এই শ্রমিকদের ওই বিল্ডিং থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।আল মনসুরা এই এলাকাটিতে বিদেশী পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক দিন ধরেই নতুন নতুন বিল্ডিং বানানো হচ্ছে। 

    [tw]


    [/tw] 

    বাংলাদেশের একজন পরিযায়ী শ্রমিক যে ড্রাইভার হিসেবে কাতারে কাজ করে তাকে একপ্রকার জোর করে তার বাসস্থান থেকে বের করে দেয় কাতার নিরাপত্তা রক্ষীরা। পরে সে সারা রাত তার গাড়ির ভেতরে শুয়ে কাটায়। ইউনুস জানায় এই নিয়ে তাকে  তিনবার তার আস্তানা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নে এর আগেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে খনিজ তেল সমৃদ্ধ এই ধনী দেশটি। পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন পরিস্থিতির জন্য সরব হয়েছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশ।কাতারে বিশ্বকাপের (Qatar Fifa World Cup) সময় হাজির থাকবেন না বলে জানিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
    অস্ট্রেলিয়াও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় সেখানে একজন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ফলে অসংখ্য সাধারণ শ্রমিককে দুর্দশা ও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার তরফে বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, কাতার বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, যদিও তার জন্য অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারকে অনেক দুঃখ-কষ্ট-দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও কাতারে সমকামীতা নিষিদ্ধ তাই সমকামী দর্শকদের কাতারে নিশ্চয়তার দাবী জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এক ফুটবলার।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও কাতার কর্তৃপক্ষ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, প্রথম আরব দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বলেই কাতারকে বেনজিরভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে। সমকামীতার বিষয়ে কাতার কর্তৃপক্ষ জানান, বিশ্বকাপে এলজিবিটিকিউ-সহ সমস্ত ফ্যানেরাই স্বাগত। তবে তাঁদের কাতারের রক্ষণশীল সংস্কৃতি মেনে চলতে হবে। 
    প্রসঙ্গত, ভারত,বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল,ফিলিপাইন, উগান্ডা সহ আফ্রিকার নানা দেশ থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রচুর মানুষ কাতারে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে আসেন। বর্তমানে কাতারে মূল অভিবাসীদের সংখ্যা শতকরা ২০ শতাংশ বাকি ৮০ শতাংশই বাইরে দেশ থেকে জীবিকার সন্ধানে কাতারে গিয়ে বসবাস করছে। এরাই মূলত কাতারের চালিকা শক্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Grand Mother: ইন্দোনেশিয়ায় ৫৪ বছরের বৃদ্ধাকে গিলে ফেলল বিশালাকার অজগর

    Grand Mother: ইন্দোনেশিয়ায় ৫৪ বছরের বৃদ্ধাকে গিলে ফেলল বিশালাকার অজগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশে রবার সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ৫৪ বছরের এক বৃদ্ধা। দু’দিন খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে জঙ্গলে গিয়ে বৃদ্ধার পরিবারের চোখে ধরা পড়ে ২২ ফুটের এক বিশালাকার অজগর সাপের। তার পেটের এক অংশ ফুলে ছিল। বিষয়টিতে সন্দেহ হতেই সাপটিকে মেরে তার পেট কেটে ফেলে বৃদ্ধার নাতি সহ গ্রামবাসীরা। দেখা যায় সাপটির পাচনতন্ত্রে কুঁকড়ে পড়ে আছে ঠাকুমার মৃতদেহ।

    [tw]


    [/tw]

    চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ২৩ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশের তেরজুন গাজা গ্রামে। ওই গ্রামেই থাকতেন ৫৪ বছরের প্রৌঢ়া জাহরা। শুক্রবার বিকেলে (২১ অক্টোবর) তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পরিবারের লোকজনদের জানিয়েছিলেন, স্থানীয় রাবার বাগান থেকে রাবার সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন। আর ফেরেননি। তেরজুন গাজা গ্রামের প্রধান, আন্তো জানিয়েছেন, সম্ভবত ওই রাতেই সাপটি প্রথমে জাহরাকে কামড় দিয়েছিল।এবং তারপরে শ্বাসরোধ করার জন্য তার চারপাশে সাপটি নিজেকে জড়িয়েছিল বলে মনে করা হয়।তারপরে মাথার দিক থেকে গিলে নিয়েছিল তাঁকে। এই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা অন্তত ঘন্টা দুয়েক ধরে চলে বলে মনে করছেন তিনি।

    [tw]


    [/tw] 

    তিনি আরও বলেন, গ্রামবাসীরা সাপটিকে হত্যা করে এবং তার পেট কেটে ফেলে। তারপর সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল। আমরা যে মহিলাক খুঁজছিলাম, তিনি ছিলেন সাপটির পেটের ভিতর।এই এলাকায় এর থেকেও বড়ো ২৭ ফুটের একটি অজগর রয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি দৈত্যাকার অজগর দেখা গিয়েছে। ২৭ ফুটের অজগরটিকে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তার বিশাল আকৃতির জন্য সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রামের দুটি ছাগলকে সে গিলে ফেলেছে। গ্রামে এই দৈত্যাকার অজগর দেখা যাওয়ায় পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Diwali Holiday: আগামী বছর থেকে দীপাবলী উপলক্ষে স্কুল ছুটি নিউইয়র্কের

    Diwali Holiday: আগামী বছর থেকে দীপাবলী উপলক্ষে স্কুল ছুটি নিউইয়র্কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর। আগামী বছর থেকে দীপাবলী (Diwali) উপলক্ষ্যে ছুটি থাকবে নিউইইয়র্কের সমস্ত স্কুল। বৃহস্পতিবার একথা ঘোষণা করেন নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস। দীপাবলীকে সরকারি ছুটি (Diwali Holiday) ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছিলেন সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা। অবশেষে দীর্ঘদিনের সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা। স্থানীয় আইনসভার সদস্য জেনিফার রাজকুমার বলেন, নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী ২ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ এবং জৈন ধর্মালম্বীদের স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। আলোর উৎসবে সেই কারণেই এখানকার সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন,চলতি শিক্ষাবর্ষে এই পরিবর্তন আনলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কারণেই আগামী বছর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

    [tw]


    [/tw] 

    সাধারণত,নিউ ইয়র্কের অধিকাংশ স্কুলে প্রতিষ্ঠা দিবসের ছুটি থাকে। আগামী বছর থেকে সেটাই দীপাবলির ছুটিতে (Diwali Holiday) বদলে যাবে।

    মেয়র অ্যাডামাস বলেন, আমরা চাই দীপাবলী কী, সেটা আজকের পড়ুয়ারা জানুক। এই উৎসব পালন করলে স্কুল পড়ুয়ারা এমনিতেই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবে। তাছাড়া আলোর উৎসবে অংশ নিলে মজাও পাবে ছোটরা।

    এদিকে নিউ ইয়র্কে ভারতের কনসাল জেনারেল রণধীর জওসওয়াল বলেন, প্রবাসী ভারতীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হল, তিনি নিউইয়র্কের মেয়র অ্যাডামসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ভারতীয় উৎসবগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া বৈচিত্র এবং বহুত্ববাদের বার্তা দেয়। এর ফলে সমাজের সকল স্তরের মানুষই এই ঐতিহ্যের অভিজ্ঞতার শরিক হওয়ার সুযোগ পাবে। নিউইয়র্কে বসবাসরত ২০ লক্ষ ভারতীয় এর জন্য কৃতজ্ঞ।

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই দীপাবলীর সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দীপাবলীর সময় নিউ ইয়র্কের স্কুলে ছুটি ঘোষণা করায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই দাবি করেছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Cyclone Sitrang: বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে মৃত বেড়ে ৩৫

    Cyclone Sitrang: বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে মৃত বেড়ে ৩৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে সিত্রাং (Cyclone Sitrang) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শেষ খবর অনুযায়ী ৩৫ জন নিহত হয়েছে। সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ হাজারেরও বেশী ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    বাংলাদেশের দূর্যোগ মোকাবিলা মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Sitrang) মোকাবিলার জন্য ৬ হাজার দুশো পঁচিশটি নিরাপত্তা কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষেরও বেশী মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ১০ হাজার ঘরবাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে এবং ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে,জমি গুলি জলমগ্ন।

    তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে মূলত বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চল গুলিতেই ঝড়ের প্রভাবে বেশী লক্ষ্যণীয়।

    [tw]


    [/tw] 

    এদিকে, বাংলাদেশে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভাসানচর দ্বীপের প্রায় ৩০ হাজার ও কক্সবাজারে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে কোনও বন্যা বা বড়োসড়ো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

    ভারতের উওর পূর্বের রাজ্যগুলিতে এই ঝড়ের (Cyclone Sitrang) প্রভাব দেখা গিয়েছে।উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির কিছু অঞ্চলে ঝড়ের দাপটে কিছু গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বেশ কিছু ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশের বরিশালে এসেই তান্ডব শুরু করে।

    উত্তর পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের (Cyclone Sitrang) কারণে, মেঘালয়ের বিভিন্ন জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করতে জেলা কালেক্টরদের সাথে বৈঠক করেন। ড্রোন ব্যবহার করে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেবার নির্দেশ দিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw] 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Dirtiest Man: ৭০ বছর পর স্নান করেই মারা গেলেন ইরানের এক ব্যক্তি

    Dirtiest Man: ৭০ বছর পর স্নান করেই মারা গেলেন ইরানের এক ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানি নাগরিক আমু হাজি (Amou Haji )বিশ্বের সবচেয়ে অপরিস্কার মানুষ কয়েক দশক ধরে স্নান করতেন না। স্থানীয়দের দাবি, আমু জল ও সাবান ভয় পেতেন। এছাড়াও যৌবনে একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার কারণে স্নান করা বন্ধ করে দেন। কয়েক মাস আগেই গ্রামবাসীরা তাঁকে এক প্রকার জোর করে স্নান করান। এই ঘটনার কয়েক মাস পরেই মারা গেলেন তিনি।

    [tw]


    [/tw]

    ইরানের সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে, ইরানের ফার্স প্রদেশের দেজগাহ গ্রামে খুপরি দিয়ে তৈরী একটি ঘরে বসবাস করতেন।

    [tw]


    [/tw] 

    ইরানি এক সংবাদমাধ্যম ২০১৪ সালের তাদের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানিয়েছিল,আমু হাজি সাধারণত তাঁর গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কে দুর্ঘটনায় যেসব প্রাণী মারা যেত সেগুলোর মাংস থেকেই জীবন ধারণ করতেন। পশুপাখির মল দিয়ে তৈরি এক ধরনে্র পাইপ সেবন করতেন তিনি। আমু হাজি বিশ্বাস (Amou Haji)করতেন, স্নান করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। সে সময় তোলা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, আমু হাজি একই সময়ে একাধিক সিগারেট/পাইপ খেতেন।

    [tw]


    [/tw] 

    হাজির মৃত্যুর পর, “বিশ্বের সবচেয়ে অপরিস্কার মানুষ” এর  খেতাবটি ভারতের মহারাষ্ট্রে ৬৭ বছর বয়সী একজন ভারতীয় ব্যক্তির কাছে যাবে যিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্নান করেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করেছেন। গত মাসেই রাশিয়ান সেনা অধিকৃত এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। যদিও ইউক্রেন সেনার তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে দোনেটস্ক (Donetsk) , লুহানস্ক (Luhansk) , খেরসন (Kherson)  এবং জাপেরিঝিয়া (Zaporizhzhia) এই অঞ্চলের কোনোটিকেই রুশ সেনারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

    [tw]


    [/tw]

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গত আট মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রবল প্রতিরোধে একাধিক বড় ধরনের পরাজয়ের পর ভ্লদিমির পুতিন ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে মার্শাল ল জারির মাধ্যমে সেনাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে রুশ রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি যেসব ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তা রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সমর্থনে অর্থনীতি, শিল্প ও উৎপাদনের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা রাশিয়ার জন্য, আমাদের জনগণের জন্য নির্ভরযোগ্য ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জটিল ও বৃহৎ আকারের সমস্যার সমাধানে কাজ করছি।যুদ্ধের সমর্থনে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে তিনি রাশিয়ার সব প্রদেশের নেতাদের অতিরিক্ত কর্তৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই সামরিক আইনেই দখলীকৃত চারটি অঞ্চলে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত করা রয়েছে। এলাকায় ভ্রমণ, জনসমাবেশ এই গুলির উপরে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    এদিকে কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর খেরসনে আবারো আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। খেরসন পুনর্দখলে ইউক্রেনের এটিই শেষ চেষ্টা বলে মনে করছেন রুশ কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কায় খেরসনের কিছু এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার  বেসামরিক লোকজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া এই সামরিক আইন জারী করার পরেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি উল্লেখ করে, সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে ইউক্রেনে ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হল। দূতাবাসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেনে থাকা ছাত্র-ছাত্রী-সহ ভারতীয় নাগরিকদের যে কোনও উপায়ে অবিলম্বে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    তবে শুধু রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে রুশ সামরিক আইন জারির প্রেক্ষিতেই, ভারতীয় দূতাবাস থেকে এই ধরনের পরামর্শ জারি করা হল, তেমনটা নয়। গত আট মাস ধরে যুদ্ধের পর, বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে বড় ধরনের পাল্টা-আক্রমণের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। গত দুই সপ্তাহে বিভিন্ন ইউক্রেনীয় শহরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ-সহ প্রধান প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে লোকালয়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, আত্মঘাতী ড্রোন। ইউক্রেন সরকারের অভিযোগ, দেশের এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই, ইউক্রেনের বহু অংশেই অন্ধকার নেমে এসেছে। সামনেই শীত আসছে। তার আগে যতটা সম্ভব এলাকা দখলের চেষ্টায় রাশিয়া মরণ কামড় দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে দুই দেশেরই কোনও না কোনও সময়ে নানা সংকট ঘনিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল ঘটে গেল সেতু ধ্বংসের মতো ঘটনাও (Russia-Crimea Bridge Blast)। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র সেতু ছিল এটি। আর সেই সেতুতেই ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটার ফলে সেতুর একাধিক অংশ ধসে পড়ে। যার ফলে ফের একবার রাশিয়াকে বিপদের মুখে পড়তে হল। রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণকে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    ক্রিমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা কের্চ সেতু (Kerch Bridge)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ বাহিনীর কাছে রসদ, অস্ত্র, জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পথ ছিল কের্চ সেতু। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই ব্রিজে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাশিয়ার যুদ্ধে এই আঘাতের ফলে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ও কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।

    গতকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই রাশিয়া প্রশাসন নড়েচড়ে বসছে। যুদ্ধের আবহে এই বিস্ফোরণকে (Russia-Crimea Bridge Blast) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সন্দেহের তির ইউক্রেনের দিকেই রয়েছে বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা নাগাদ রাশিয়ান ডুবুরিদের কের্চ ব্রিজ পরিদর্শন করতে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন সেতুর ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশকে অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফলে এই সেতু ফের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করার জন্য যা যা করণীয়, তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তরফে।

    অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের (Russia-Crimea Bridge Blast) পিছনে ইউক্রেন রয়েছে বলে দাবি করলে, পুতিন তথা রাশিয়ার প্রশাসনের তরফে ইউক্রেনের উপর তার আক্রমণ বাড়ানোর ও প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মনে করা হয়েছে, এবার যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়াও ছিনিয়ে নিতে চাইছে ইউক্রেনীয় সেনা (Russia-Ukraine War)। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। পরে গণভোটের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অঙ্গীভূতও করা হয়। এরপর যোগাযোগের জন্য সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে দুই লেনের এই সেতু উদ্বোধন করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    তবে জানেন কি, একসময় ক্রিমিয়া (Crimea) রাশিয়ার (Russia) দখলে ছিল। যদিও এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র ছিল। কিন্তু প্রায় ৬০ বছর আগে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। ১৯৫৪ সালে ইউএসএসআর সুপ্রিম সোভিয়েতের প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান ক্লিমেন্ট ভোরোশিলভ এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেসময় ইউক্রেন-রাশিয়া ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতে একজোট হয়েছিলেন ও বাইরের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। রাশিয়ার শত্রুদের থেকে ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতেই ইউক্রেনের কাছে এই উপদ্বীপকে হস্তান্তর করা হয়। যদিও মনে করা হয়, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্যই ক্লিমেন্টের এই পদক্ষেপ। কিন্তু পরে ফের রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে নিলে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং এখনও তা অব্যাহত।

  • Omicron China: চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিল ওমিক্রন

    Omicron China: চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিল ওমিক্রন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে চিনের উহান ভাইরাস বা করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপরের ইতিহাসটুকু সকলেরই জানা। এই মুহূর্তে ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চিনে আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস। এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিনে ওমিক্রনের (Omicron China) নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট BF-7 এবং BA.5.1.7। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনার এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, এই ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হয়েছে চিনের উত্তর পশ্চিমে। রবিবার ওমিক্রনের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রায় ১৮৭৮ জন সংক্রমিত হয়েছে।

    ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ১৬ অক্টোবর থেকে চিনের ২০তম পার্টি কংগ্রেসের বৈঠক অনুষ্ঠিত করাতে চলছে। চিনে ফের ওমিক্রনের (Omicron China) দাপট বাড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে  চিন সরকারের কপালে । যদিও সরকারি তরফে কোন বিবৃতি ঘোষণা করেনি। প্রসঙ্গত, এই পার্টি কংগ্রেসেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর (Xi jinping) ক্ষমতা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য চিনের কমিউনিস্ট পার্টির রূপরেখা দেবেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের আশঙ্কা অচিরেই সারা চিনে ছড়িয়ে পড়বে ওমিক্রনের (Omicron China) এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছেন, করোনার নতুন একটি রূপ আসা মানেই, সেটির বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকর হবে, সেটি মানুষের শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলবে, সেটির বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা কার্যকর হবে – সব নিয়েই সন্দেহ থাকে।

    শুধু তাই নয়, এই নতুন রূপ ফুসফুস বা শ্বাসনালী সংক্রমণ বাদ দিয়ে আর কোনও ক্ষতি করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। সেই কারণেই, যে কোনও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টই বিজ্ঞানীদের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তাই বিজ্ঞানীরা আপাতত চিনের এই ওমিক্রন (Omicron China) ভাইরাসের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন।

    চিন করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য সারা দেশে আগেই জিরো টলারেন্স নীতি (Zero Tolerance Policy) গ্রহণ করেছিল। কিছুদিন আগেও করোনার গ্রাফ নেমে আসায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু চিনের ছুটির মরশুম শেষ হবার পরই ওমিক্রনের (Omicron China) হানা সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পুনরায় দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করেছে চিনা কমিউনিস্ট সরকার। চিনের শানহি প্রদেশে কঠোর লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা করা হয়েছে। একেবারে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। স্কুল, কলেজ, অফিস, ব্যবসা সব বন্ধ। মঙ্গোলিয়া প্রদেশের রাজধানী হোহটে বাইরের গাড়ি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমাতে মঙ্গলবার থেকে শহরে ঢোকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

    যদিও অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ চিন। তাদের এই জিরো কোভিড টলারেন্স নীতির ফলে ভবিষ্যতে আর্থিক ভাবে পঙ্গু হয়ে পড়বে চিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share