Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশ অপরাধের স্বর্গরাজ্য, বলছে পরিসংখ্যান

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশ অপরাধের স্বর্গরাজ্য, বলছে পরিসংখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের (Yunus Government) আমলে বাংলাদেশে (Bangladesh) ব্যাপকভাবে বেড়েছে অপরাধ। নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, গণপিটুনি, তোলাবাজি এবং জমি দখলের মতো ঘটনা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগ।

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পরিসংখ্যান ভয়াবহ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে (Bangladesh) ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬১০টি, খুনের ঘটনা ৩,৫৫৪টি, দাঙ্গা হয়েছে ৯৭টি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪,১০৫টি। অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে ৫টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ১২,৭২৬টি এবং অপহরণ হয়েছে ৮১৯টি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ৪৭৯টি এবং চুরির মামলা হয়েছে ২,৩০৪টি। অন্যান্য অপরাধে মামলা হয়েছে ৬৮,৬৮০টি। অস্ত্র আইনে দায়ের হয়েছে ১,৪৩৬টি মামলা, প্রতারণার মামলা ৫০০টি, মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা ৩৮,১৭৬টি এবং পাচারের মামলা হয়েছে ১,৭৩০টি। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা অবনত হয়েছে।

    ভালুকায় মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ও আওয়ামি লিগের প্রতিক্রিয়া

    সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় ঘটে যাওয়া একটি হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লিগ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেখানে পুলিশ উদ্ধার করে এক মা ও তার দুই সন্তানের গলাকাটা মৃতদেহ। এই নৃশংস ঘটনায় গোটা দেশের মানুষ স্তম্ভিত। অথচ, এই পরিস্থিতির মধ্যেও ইউনূস (Yunus Government) দাবি করে যাচ্ছেন যে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি ঘটেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের নানা প্রান্তে বেড়েই চলেছে খুন, ধর্ষণ, জমি দখলসহ নানান অপরাধ। এতে করে সাধারণ মানুষ প্রতিমুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন (Bangladesh)।

    প্রথম আলোর তথ্য এবং সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা

    ‘প্রথম আলো’-এর প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিমাসে খুনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জানুয়ারিতে খুনের মামলা হয়েছে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি, মার্চে ৩১৬টি, এপ্রিল মাসে ৩৩৮টি, মে মাসে ৩৪১টি এবং জুনে ৩৪৪টি। এছাড়া, মিডিয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে যে সম্প্রতি বিএনপির একদল কর্মী ‘লালচাঁদ’ নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং তারপর তাঁর মরদেহের উপর নাচতে থাকে। অন্যদিকে, কুমিল্লায় বিএনপির এক নেতা একটি হিন্দু পরিবারে ঢুকে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে, যা নিয়ে দেশজুড়ে চরম ক্ষোভ ছড়ায়। তবে এসব ঘটনার (Bangladesh) পরও ইউনূস সরকার কার্যকর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে—বাংলাদেশকে অপরাধমুক্ত করতে এই সরকার আদৌ কতটা আন্তরিক?

  • Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইয়েমেনে (Yemen) ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল কেরলের মেয়ে পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya)। তার ঠিক একদিন আগে এল চমকে দেওয়ার মতো খবর। জানা গিয়েছে, আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের তারিখ। প্রিয়াকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছিল ভারত। ফাঁসির ঠিক একদিন আগে মঙ্গলবার আসরে নেমে পড়েন সুন্নি মৌলানা কান্থাপূরম এপি আবুবাকার মুসলিয়ার। তিনি ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ নামেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, ইয়েমেনের তালাব আবদো মাহাদির নামে যে নাগরিককে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে প্রিয়ার, তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ওই মৌলানা। ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    ময়দানে ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ (Nimisha Priya)

    বছর চুরানব্বইয়ের এই মৌলানা ইয়েমেনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও কথা বলেছেন। মঙ্গলবার ধামার এলাকায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত তথা সুফি নেতা শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজাও। মৌলানার অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের এক আত্মীয় হুদেইয়া স্টেট কোর্টের বিচারক। তিনি ইয়েমেনি সুরা কাউন্সিলেরও সদস্য। ধামারের বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফলে সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওই মৌলানা। তাঁর দেখা করার কথা সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও। যাতে কোনওভাবে অন্তত প্রিয়ার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া যায়। ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে গেলে ব্লাড মানি জোগাড় করার সময় মিলবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মর্মেই ইয়েমেন সরকার আপাতত (Nimisha Priya) স্থগিত করেছে কেরলের নার্সের ফাঁসি।

    ‘ব্লাড মানি’

    প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবার ধামার গোষ্ঠীর সদস্য। এতদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনও উপায় ছিল না। এই প্রথম মৌলানার হস্তক্ষেপে প্রিয়ার হয়ে আর্জি জানানো সম্ভব হল। ‘ব্লাড মানি’ হল এমন এক ধরনের ক্ষতিপূরণ যা একজন অপরাধী সাধারণত খুনি, যাঁকে খুন করেন, তাঁর পরিবার কিংবা আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে থাকে। ইয়েমেনে (Yemen) এটি একটি আইনি প্রথা যেখানে রক্তের প্রতিশোধের পরিবর্তে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় (Nimisha Priya)।

  • S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে চলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! সোমবার বেজিংয়ে চিনা (China) বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ওই বৈঠকে বাধাদানকারী বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও রাস্তায় থাকা বিভিন্ন বাধা সরানোর আহ্বানও জানান তিনি। জয়শঙ্কর দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। কারণ দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে দুই দেশই।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “এই প্রসঙ্গে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে দুই দেশের বাণিজ্যে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা বা প্রতিবন্ধকতা যেন আরোপ না করা হয়। আমি আশা করি, এই বিষয়গুলি নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা করতে পারব।” তিনি জানান, গত ন’মাসে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে। জয়শঙ্করের এই চিন সফর হচ্ছে পাঁচ বছর পরে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর। ওই সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক

    প্রসঙ্গত, জয়শঙ্করের ওই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এল যখন চিন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সার-সহ ভারতের বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতারও সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “গত ন’মাসে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি করেছি। এটি সীমান্তে উত্তেজনার অবসান এবং সেখানে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার ফল।”  তিনি বলেন, এই হল পারস্পরিক কৌশলগত আস্থার মৌলিক ভিত্তি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মসৃণ বিকাশের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখন আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত-সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ের মোকাবিলা করা, যার মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিও।”

    চিনের সংবেদনশীল খাতগুলিতে রফতানি নিয়ন্ত্রণের নাম না করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “ভবিষ্যতের সহযোগিতা নির্ভর করবে উভয় পক্ষই বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতা থেকে সরে আসে কি না, তার ওপর। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলি নিশ্চিতভাবেই পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা বাড়াতে পারে (China)। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হল বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতা এড়ানো।”

  • S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    S Jaishankar: পাঁচ বছর পরে চিন সফরে জয়শঙ্কর, বৈঠক করলেন উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের জন্য প্রতিবেশী দেশ চিন সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সোমবার চিনের রাজধানী বেজিংয়ে চিনের (China) উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। উল্লেখ করেন ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি। জয়শঙ্করের আশা, তাঁর সফরের সময় যেসব আলোচনা হবে, তা এই ইতিবাচক ধারাই বজায় রাখবে।

    জয়শঙ্করের বার্তা (S Jaishankar)

    এবার এসসিও-র (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) সভাপতিত্ব করেছে চিন। হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকে জয়শঙ্কর তাকে সমর্থন জানান। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে ভারতের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “আজ বেইজিংয়ে পৌঁছানোর পরপরই উপ-রাষ্ট্রপতি হান ঝেং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভালো লাগল। চিনের এসসিও সভাপতিত্বের প্রতি ভারতের সমর্থন জানিয়েছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টিও উল্লেখ করেছি এবং আমার সফরের বিভিন্ন আলোচনা এই ইতিবাচক ধারাকে বজায় রাখবে বলেই আশা করছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    এদিন হান ঝেং-এর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর জানান যে, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে সফরের আলোচনাগুলি ইতিবাচক ধারার দিকেই যাবে। তিনি বলেন, “কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত চিনের সফল এসসিও সভাপতিত্বকে সমর্থন করে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আপনি (চিনের উপরাষ্ট্রপতি) যেমন বলেছেন, তা গত অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর থেকে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে, আমার এই সফরের আলোচনাগুলি সেই ইতিবাচক ধারাকেই বজায় রাখবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা ফের শুরু হওয়ায় ভারতে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে (S Jaishankar)।” চিনের (China) উপরাষ্ট্রপতিকে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করেছি। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রার পুনরারম্ভ ভারতে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে উপকৃত হবে দুই দেশই।”

    আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল

    বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে জটিল আখ্যা দিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা যখন আজ সাক্ষাৎ করছি, তখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। প্রতিবেশী দেশ এবং প্রধান অর্থনীতি হিসেবে, ভারত ও চিনের মধ্যে মুক্তভাবে মত ও দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় অত্যন্ত জরুরি। আমি এই সফরের সময় এমন আলোচনার প্রত্যাশাই করছি (S Jaishankar)।” প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুর সফর শেষে চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সোমবার সেখানেই চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই শেষবারের মতো গত ফেব্রুয়ারি মাসে জোহানেসবার্গে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানে উভয় পক্ষই পারস্পরিক আস্থা ও সমর্থনের ওপর জোর দেন।

    এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক

    ১৫ জুলাই তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হবে এসসিওর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। মূলত সেই বৈঠকে যোগ দিতেই চিনে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী চিন সফর করবেন। এছাড়াও, তিনি ওই সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেবেন।” ২০২০ সালে গালওয়ানে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘাত হয়। সেই ঘটনার পর এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তার পর এই প্রথমবার চিনে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্করের আগে শি জিনপিংয়ের দেশে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। জুন মাসে এসসিও বৈঠকে অংশ নিতেই সে দেশে গিয়েছিলেন রাজনাথ ও ডোভাল।

    ভারতে আসতে পারেন ওয়াং ই

    এদিকে, আগামী (S Jaishankar) মাসে ভারত সফরে আসতে পারেন ওয়াং ই। তিনি বৈঠক করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। এটি হবে বিশেষ প্রতিনিধি প্রক্রিয়ার আওতায় দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ (China) মেটানোর পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকায় যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি ছিল গত ৪০ বছরের মধ্যে ভারত ও চিনের মধ্যে সব চেয়ে খারাপ সীমান্ত সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুই দেশেরই কয়েকজন করে সেনা। এই ঘটনার পরেই তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ভারত ও চিনের মধ্যে।

    দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া সেই উত্তেজনার পারদ কমাতেই সচেষ্ট হয়েছে দুই দেশই। গত অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠক হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। সেখানেই ঠিক হয় দুই দেশের মধ্যে থেমে যাওয়া আলোচনা ফের শুরু করা হবে। সেই মতোই চলছে (China) সব কিছু। ফের শুরু হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে (S Jaishankar) বন্ধ থাকা কৈলাস মানস সরোবর যাত্রাও।

  • Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক দশক ধরে মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের এক নবজাগরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে (Indonesia)। বিশেষ করে দেশটির বালি দ্বীপ, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, সেখানে ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপপুঞ্জজুড়ে মোট ১২টি বিখ্যাত মন্দিরের পুনঃসংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যে দেশের ৮৭ শতাংশের বেশি মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দু জনসংখ্যার হার এক শতাংশের সামান্য বেশি, সই দেশে পরপর মন্দির সংস্কারের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    এক হাজার মন্দির তৈরি (Hindu Temples)

    সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) হিন্দু সম্প্রদায় এক পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছে। যার নাম “এক হাজার চান্দি নুয়াসান”। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল— গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে এক হাজার নতুন মন্দির নির্মাণ করা। “চান্দি” শব্দটি ইন্দোনেশিয়ান সংস্কৃতিতে মন্দির বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা মূলত হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের উপাসনাস্থল হিসেবে বিবেচিত।

    চলছে প্রচার (Hindu Temples)

    এই কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে এক ব্যাপক প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্মের মূল্যবোধ, শান্তির বার্তা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি তুলে ধরা হচ্ছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। গোটা দ্বীপপুঞ্জে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেক যুবক হিন্দু এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে (Indonesia)। অনেকে একে ‘হিন্দু সংস্কৃতির নতুন জোয়ার’ হিসেবেও অভিহিত করছেন।

    সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) হিন্দু ধর্মের প্রসার ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এর ফলে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক চিরকালই গভীর এবং এই কর্মসূচি সেই বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গুরুত্বপূর্ণ মন্দির

    সংস্কার চলছে এমন মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কেদুলান মন্দির, যা ভগবান শিবকে উৎসর্গ করে নির্মিত। এই মন্দিরটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে এবং বর্তমানে এর সংস্কারকাজ জোরকদমে চলছে। এছাড়া রয়েছে কালাসান মন্দির, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের স্পষ্ট প্রভাব দেখা যায়। এটিও ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং বর্তমানে এটি সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। লাউসান মন্দির নামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির, যার স্থাপত্যে বৌদ্ধ ধর্মীয় শৈলী লক্ষ করা যায়, সেটিও পুনঃসংস্কারের আওতায় এসেছে। এ ছাড়া সুকুয়া মন্দির, যা মধ্য জাভা প্রদেশে অবস্থিত, সেখানেও সংস্কারকাজ চলছে পুরোদমে।

  • Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন (Terrorists), বিশেষত লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। এই মর্মে ভারতকে সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। নেপালি আধিকারিকদের সতর্কবার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নেপাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট আয়োজিত একটি সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতকে এই বার্তা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা সুনীল বাহাদুর থাপা।

    ভারত-নেপাল সীমান্ত (Terrorists)

    ভারতের সঙ্গে নেপালের স্থলসীমান্ত বিস্তৃত ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার। এটি একটি উন্মুক্ত সীমান্ত, ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে দুই দেশের নাগরিকরাই নিয়মিতভাবে চাকরি কিংবা অন্য কোনও কাজে নিত্য সীমান্ত পারাপার করেন। এই দুই দেশের মধ্যে একটি দৃঢ় সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে।  নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টার আশঙ্কা, এটাকেই কাজে লাগাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পরিচয় গোপন করে কিংবা ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে তারা।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গ্রেফতার

    ২০১৭ সালে সশস্ত্র সীমা বল পাক মদতপুষ্ট এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। নেপালের রুট ব্যবহার করেই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই সামরিক ও কৌশলগত সাফল্যের প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের সব সীমান্তেই সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে অনায়াসেই রোধ করা যায় কোনও অবৈধ কার্যকলাপ এবং সুরক্ষিত থাকে জাতীয় নিরাপত্তা (Terrorists)।

    মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও অস্থির শাসন ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিবেশও ভারতের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। এহেন আবহে এল নেপালি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সতর্কবার্তা। কাঠমাণ্ডুর ওই সেমিনারে নেপালের কর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত সার্ক-এর ঐক্য ও সমগ্র অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নেপালি কর্তাদের এহেন মন্তব্যে ফের একবার মান্যতা পেল ভারতের দাবি। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবারই দাবি করে আসছে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান (Terrorists)।

  • North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    North Korea: কিমের দেশে কঠোর নিয়ম, উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শোনালেন পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় উত্তর কোরিয়া (North Korea), এদেশের শাসকের নাম কিম জং উন। তাঁর নামের সঙ্গে গোটা বিশ্ব পরিচিত। আধুনিক পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম কঠোর শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান উত্তর কোরিয়ায়। করোনা মহামারির সময় থেকে সে দেশে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি উঠে যায়, পরে ফের একবার তা চালু হয়েছে।

    কঠোর নির্দেশ ছিল পর্যটকদের ওপর

    উত্তর কোরিয়া সফরকারী একটি পর্যটক দলের অংশ ছিলেন ভুবানী ধরন (Bhubani Dharan)। জানা গেছে, ওই দলে মোট ২২ জন সদস্য ছিলেন এবং তাঁরা চলতি বছরের মার্চ মাসে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। ৩ মার্চ সেখানে তাঁরা যান, ৬ মার্চ সে দেশ থেকে ফেরত আসেন। তাঁদের দলটি ফিরে আসার পরে আবার একবার কিম জং উনের দেশে পর্যটনের দরজা সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

    উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে প্রবেশের সময়ই পর্যটকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেমন:

    সর্বদা কিম জং উন-এর নাম সম্মানের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে।

    তাঁকে সম্বোধন করার সময় ‘ক্যাপ্টেন’ বা ‘মার্শাল’ উপাধি যোগ করতে হবে।

    সরকারের পক্ষ থেকে দুইজন গাইড বরাদ্দ করা হয়, যারা সব সময় পর্যটকদের সঙ্গে থাকেন এবং নির্দেশনা দেন।

    একা কোথাও যাওয়া যাবে না।

    কোনও কুৎসিত বা অস্বস্তিকর জিনিসের ছবি তোলা যাবে না।

    সেনা সদস্য বা কঠোর পরিশ্রমরত কোনো ব্যক্তির ছবি তোলা যাবে না।

    ‘উত্তর কোরিয়া’ শব্দ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। পরিবর্তে উচ্চারণ করতে হবে ‘DPRK’ — অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া।

    কী জানালেন ভুবানী ধরণ?

    নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভারতীয় পর্যটক (North Korea) ভুবানী ধরন জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ায় চারদিন ও তিন রাত কাটিয়েছেন। এই সময়ে তাঁর মনে কাজ করছিল কৌতূহল, উত্তেজনা এবং একধরনের নার্ভাসনেস। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া পৌঁছানো তাঁদের পক্ষে সহজ ছিল না। তাঁদের গন্তব্য যে শহরে ছিল, সেই রাচন (Rason)-এ কোনও বিমানবন্দর নেই। ফলে তাঁদের প্রথমে পৌঁছাতে হয় চিনের ইয়ানজি শহরে। সেখানে নিরাপত্তা পরীক্ষার পরে তারা উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত পার হওয়ার জন্য একটি বাসে ওঠেন। উত্তর কোরিয়া সীমান্ত পার হওয়ার মুহূর্তে পর্যটকদের উপর শুরু হয় কড়া নজরদারি। তাঁদের সঙ্গে ছিল সরকারের মনোনীত দুই গাইড, যাঁরা প্রতিটি পদক্ষেপে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী তাঁদের জিনিসপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। প্রতিটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের তালিকা পর্যটকদের নিজেই তৈরি করতে বলা হয়।

    কোথায় কোথায় পরিদর্শন

    ভুবানী ধরন আরও জানান, উত্তর কোরিয়ায় (North Korea) পৌঁছানোর পর তাঁরা প্রথমে কোনও হোটেলে নয়, বরং একটি মিনারেল ওয়াটার কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের দেখানো হয় কীভাবে পানীয় জল তৈরি হয়। তিনি বলেন, পুরো ব্যাপারটি সাজানো মনে হয়েছে, কারণ সেখানে মাত্র দু’জন কর্মী ছিলেন, এবং কেউই তেমনভাবে কাজ করছিলেন না। চারদিনের অবস্থানকালে তাঁদের দলটি বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে, যার মধ্যে ছিল একটি জাদুঘর, হরিণ পার্ক, একাধিক স্কুল, কয়েকটি কারখানা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,একটি আদালত কক্ষ। এই সফরে প্রথমবারের মতো ভুবানী ধরন সরাসরি উত্তর কোরিয়ার কোনও নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন, যখন তিনি একটি স্কুলে যান। সেই স্কুলের এক শিশু তাঁকে বলে, “আমি তোমার মতোই ভ্রমণ করতে চাই।”

    কোনও নাগরিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি

    ভুবানী ধরন আরও জানিয়েছেন যে উত্তর কোরিয়ায় ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা পরিবারগুলিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাসতে এবং ছবি তুলতে দেখা গেছে, কিন্তু কেউই পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলতেন না। রাতে শহরের পরিবেশ ছিল ভয়ানক রকমের নিরব। তিনি যে শহরে ছিলেন, সেখানে তাঁর হোটেল কক্ষে একটি ছোট জানালা ছিল, যার মাধ্যমে তিনি কেবল বাইরের একটি নির্দিষ্ট অংশ দেখতে পেতেন। তিনি লক্ষ্য করেন, রাতে শহরের রাস্তায় কেউ থাকত না, যেন পুরো শহর নিস্তব্ধ হয়ে যেত। তবে ভোর পাঁচটা বাজতেই মানুষজন আবার কাজে নেমে পড়ত।

    ভারত সম্পর্কে কী জানেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) নাগরিকরা

    ভারতের সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে চাইলে উত্তর কোরিয়ার স্থানীয়রা শুধু একটি শব্দ বলতেন — “বাহুবলী”। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, উত্তর কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক সিনেমা, বিশেষত ভারতীয় সিনেমাও কোনও না কোনওভাবে পৌঁছে যাচ্ছে। ভুবানী ধরন জানিয়েছেন, তাঁর পুরো ভ্রমণের খরচ হয়েছে প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা। তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার একাধিক স্কুলে তিনি এমন ছবি দেখতে পেয়েছেন, যেখানে আমেরিকার সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা হচ্ছে — যা তাদের সেনাবাহিনী এবং রাষ্ট্রের আদর্শ অনুযায়ী শিক্ষাদানের অংশ।

    পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই

    উত্তর কোরিয়ায় পর্যটকদের বহির্বিশ্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগের সুযোগ নেই। সেখানে মোবাইল সিগন্যাল নেই, নেই ইন্টারনেট, এমনকি সাধারণ যোগাযোগ মাধ্যমও অপ্রাপ্য। তবে তিনি বলেন, যখন তাঁদের দলটি উত্তর কোরিয়া, চীন এবং রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পরিভ্রমণ করছিল, তখন মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য মোবাইল সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময়ই তাঁর মোবাইলে একটি সতর্কবার্তা আসে। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আবার পর্যটন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই পরিস্থিতি দেখে ভুবানী ধরন কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েন। তবে সঙ্গে থাকা গাইডরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, “আপনারাই হচ্ছেন সেই শেষ দল, যারা উত্তর কোরিয়া সফরের সুযোগ পেলেন।”

  • China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    China Rare Earth Metal: পরিবেশ নষ্ট করেই চলছে বিরল খনিজের সন্ধান! মানুষের জীবন নিয়ে উদাসীন চিন সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের ইনার মঙ্গোলিয়ার বায়ান ওবো শহরের প্রান্তে দাঁড়ালে চোখে পড়ে ধূসর রঙের এক বিস্তৃত, ক্ষতবিক্ষত ভূমি । এক সময়ের সবুজ তৃণভূমিকে আধুনিক প্রযুক্তির এক অপরিহার্য খনিজের (China Rare Earth Metal) খোঁজে বছরের পর বছর ধরে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছে। এই ছোট্ট শহরের নাম হয়তো অনেকেই শোনেননি, কিন্তু বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি-নির্ভর জীবনের চালিকা শক্তি এই জায়গা থেকেই আসে। বায়ান ওবো হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেক বিরল মাটি বা ‘রেয়ার আর্থ’ খনিজের উৎস। এই খনিজগুলো স্মার্টফোন, ব্লুটুথ স্পিকার, টিভি স্ক্রিন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই খনিজগুলো ছাড়া চলে না আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্র।

    চিনের বড় হাতিয়ার

    বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে চিন বিরল মাটি খনন ও পরিশোধনে অনেক এগিয়ে। এর ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে বেজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিতে চিনের প্রধান শক্তিই হচ্ছে এই বিপুল খনিজ ভাণ্ডার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য ও শুল্ক নিয়ে দর কষাকষিতে এই ‘বিরল খনিজ’ চিনের বড় হাতিয়ার। বায়ান ওবো ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর জীবন কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে। বায়ান ওবো ও চিনের জিয়াংসি প্রদেশের গানঝৌ শহরে কেন্দ্রীভূত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিরল খনিজ আহরণ ও পরিশোধন শিল্প (China Rare Earth Metal)। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বিরল খনিজ এখান থেকেই তোলা হয়। তবে এই আধিপত্যের পেছনে রয়েছে ভয়াবহ পরিবেশগত মূল্য।

    মূল্য চোকাচ্ছে পরিবেশ

    বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চিনের দুটি প্রধান রেয়ার আর্থ খনন কেন্দ্র—উত্তরের বায়ান ওবো এবং দক্ষিণের জিয়াংসির গানঝৌতে দেখা মিলেছে বিষাক্ত বর্জ্যে ভরা কৃত্রিম হ্রদের। দূষিত জল ও মাটির কথা শোনা গিয়েছে ওই অঞ্চলের মানুষের মুখে। কিছু এলাকায় ক্যানসার ও জন্মগত ত্রুটির ঘটনাও দেখা গিয়েছে, যা এই খনন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। চিনের কমিউনিস্ট সরকার এই খবর সামনে আসতে দেয় না। এই খবর বিশ্বের সামনে আনতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। খনির মালিক আটকে রাখেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের, সঙ্গে চলে পুলিশের জেরা। সব ভিডিও ডিলিট করার পরেই মুক্তি মেলে সাংবাদিকদের। তারপরই আর যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তাই খনির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

    দূষণের চিত্র

    বায়ান ওবোতে চলছে নিয়মিত খনন, যেখানে খোঁজা হচ্ছে নিওডিমিয়াম ও ডিসপ্রোসিয়াম নামের বিরল খনিজ (China Rare Earth Metal)। এই ধাতুগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বৈদ্যুতিক গাড়ি, কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ থেকে শুরু করে এমআরই মেশিন পর্যন্ত বহু প্রযুক্তিপণ্যে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এসব আহরণের প্রক্রিয়ায় উন্মুক্তভাবে তোলা হয় টন টন মাটি, যা ছড়ায় ক্ষতিকর ধুলো ও রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান। প্রতি এক টন বিরল খনিজ উত্তোলনে তৈরি হয় প্রায় ২ হাজার টন বিষাক্ত বর্জ্য। খনিজের খোঁজে জমির ওপরিভাগ একের পর এক স্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এতে উঠে আসে ভারী ধাতু ও তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা।

    স্যাটেলাইট চিত্র ভয়ঙ্কর

    স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায় গত কয়েক দশকে বায়ান ওবো খনির (China Rare Earth Metal) ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বনাঞ্চল ধ্বংস করে, নদী-লেকে বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে বহরে বাড়ছে খনি অঞ্চল। গানঝৌতে দৃশ্যপট আরও ভয়াবহ—খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় উন্মুক্ত বিষাক্ত “লিচিং পুকুর” রয়েছে। এখানে মাটি থেকে খনিজ আলাদা করতে অ্যামোনিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে স্থানীয় নদী ও কৃষিজমিতে দূষণের প্রমাণ মিলেছে। ২০১২ সালে সরকার হস্তক্ষেপ করে খনি লাইসেন্স কমিয়ে দিলেও ততদিনে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায় এই অঞ্চলের।

    গ্রামবাসীদের দুর্দশা

    স্থানীয় কৃষক হুয়াং জিয়াওচং অভিযোগ করেছেন, তার জমির চারপাশে চারটি খনি রয়েছে। যেখানে ভূমিধস অপ্রতিরোধ্য। তাঁর কথায়, “এই সমস্যা আমার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। এটা সরকারিভাবে সমাধান করতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষ, দুর্বল। আমাদের কিছু করার নেই।” বায়ান ওবো ও গানঝৌর স্থানীয়রা এখনও ‘আগে উন্নয়ন, পরে পরিষ্কার’ নীতির শিকার বলে মনে করেন অধ্যাপক জুলি ক্লিংগার। তাঁর রেয়ার আর্থ ফ্রন্টিয়ার (Rare Earth Frontiers) বইয়ে এ বিষয়ে বিশদে লিখেছেন তিনি। জুলি বলেন, যদিও এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে, কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। বিশেষ করে বাওতোউ শহরের দক্ষিণে উইকুয়াং বাঁধের পাশের গ্রামগুলোতে ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত বাস করা মানুষদের হাড় ও গাঁটে বিকৃতি, ফ্লোরাইড বিষক্রিয়া এবং আর্সেনিক বিষাক্ততার প্রমাণ মিলেছে।

    ভবিষ্যতের হুমকি

    বায়ান ওবো খনির দক্ষিণে বাওটো শহরে অবস্থিত ওয়েইকুয়াং বাঁধ ঘিরে সবচেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামের মানুষদের হাড়ের বিকৃতি, অতিরিক্ত ফ্লোরাইড ও আর্সেনিক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার পরে সেখানকার মানুষদের সরিয়ে নিয়েছে, কিন্তু ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ বিষাক্ত বর্জ্যভরা পুকুর আজও রয়ে গেছে। যার বিষাক্ত জল যেকোনও সময় মিশে যেতে পারে চিনের অন্যতম প্রধান জলের উৎস হোয়াংহো নদীতে। বিশ্বজুড়ে স্মার্ট ডিভাইস, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল ও উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রের চাহিদা বাড়ছে। চিন (China Rare Earth Metal) এখন বিদেশেও খনন সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। তবে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন—সঠিক ব্যবস্থা না থাকলে যেখানেই খনন হোক না কেন, প্রকৃতি ও মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বেই।

    কিন্তু তা নিয়ে কী একটুও ভাবছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার?

  • Bangladesh: মৌলবাদী ইউনূসের বাংলাদেশে অব্যাহত বুদ্ধিজীবী নির্যাতন, গ্রেফতার অর্থনীতিবিদ

    Bangladesh: মৌলবাদী ইউনূসের বাংলাদেশে অব্যাহত বুদ্ধিজীবী নির্যাতন, গ্রেফতার অর্থনীতিবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার ১০ই জুলাই, রাতে ঢাকার ধানমন্ডির নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বরকতকে (Abul Barkat)। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ নাসিরুল ইসলাম।

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউনূস সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা দায়ের করেছিল আবুল বরকতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ — তিনি জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সময় (২০০৯-২০১৪) ২৯৭.৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের সাথে যুক্ত ছিলেন।

    অভিযোগে বলা হয়, বরকত এবং তৎকালীন বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যাংকের গভর্নর মিলে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে AnonTex গ্রুপের ২২টি কোম্পানিকে অবৈধভাবে ঋণ অনুমোদন করেন। অদৃশ্য কারখানা ও ভবনের নামে ঋণ প্রদান, ভূয়া দলিল তৈরি ও অস্বাভাবিক দামে জমি কিনে ব্যাংকের অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    ড. আবুল বরকত বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। তিনি জাপান সরকারের “অর্ডার অফ দ্য রাইজিং সান” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং ২০২১ সাল থেকে TIGER (Transformation, Integration and Globalization Economic Research)-এর বৈজ্ঞানিক গবেষণা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

    “বাংলাদেশে ৩০ বছরের মধ্যে হিন্দু থাকবে না” — আবুল বরকতের সতর্কবার্তা (Abul Barkat)

    ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাগ্রন্থ “Political Economy of Reforming Agriculture-Land-Water Bodies in Bangladesh”-এ ড. বারকত আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যে হারে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দেশত্যাগ করছে, সেই ধারা বজায় থাকলে ২০৪৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনও হিন্দু থাকবে না।

    ঢাকা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন:
    “গত ৪৯ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন হিন্দু বাংলাদেশ ত্যাগ করছেন — অর্থাৎ বছরে প্রায় ২,৩০,৬১২ জন। ১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১.১৩ কোটি হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের কারণে।”

    তিনি জানান, বাংলাদেশে সেনাশাসনের সময় এই নিপীড়ন ছিল সর্বোচ্চ স্তরে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার আগে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ এবং স্বাধীনতার পরে ‘ভেস্টেড প্রপার্টি আইন’-এর মাধ্যমে সরকারের হাতে ৬০% হিন্দুদের জমি চলে যায়।

    তাঁর বইটি তিনি উৎসর্গ করেন তাঁর শৈশবের বন্ধুদের, যারা ‘বুনো’ উপজাতির সদস্য ছিলেন — এবং বর্তমানে যাদের আর কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

    ইউনূসের ইসলামপন্থী তোষণ নীতি (Yunus)

    মোহাম্মদ ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ইসলামপন্থার উত্থান নজিরবিহীনভাবে বেড়ে যায়। তিনি প্রথমেই উগ্র ইসলামি সংগঠন জামায়াতে ইসলামী-র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।

    এরপর ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানিকে মুক্তি দেন। এই একই সময়ে হিন্দুদের উপর ধারাবাহিক হামলাগুলোকে ছোট করে দেখাতে শুরু করেন ইউনূস। কখনও তিনি এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আবার কখনও বলেছেন, “এগুলোর মাত্রা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে”।

    এই সময়কার শিক্ষাব্যবস্থায়ও ইতিহাস বিকৃতি ঘটে। নতুন পাঠ্যবইয়ে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা নাকি করেছিলেন জিয়াউর রহমান — যিনি ইসলামপন্থীদের কাছে প্রিয় মুখ।

    এছাড়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় Hizb ut-Tahrir নামক এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ আজাজকে।

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে কূটনীতিকের ক্ষোভ (Yunus Government)

    পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মরক্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ প্রকাশ্যে ফেসবুকে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

  • Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রিসে (Greece) রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তোলার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন চিনা নাগরিককে (Chinese Nationals), যাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা। তাঁদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে সেদেশের প্রশাসন। এই ঘটনার পর গ্রিসের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা দেশের সমস্ত বিমানঘাঁটি এবং বিমান নির্মাণ ও মেরামতি কেন্দ্রগুলোতে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা দেশের টানাগ্রা শহরের কাছে হেলেনিক অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি (HAI)-এর সংলগ্ন একটি সেতুর উপর উঠে রাফাল এবং তার অস্ত্রসজ্জার ছবি তুলছিলেন। ওই এলাকাতেই অবস্থিত গ্রিক বায়ুসেনার ১১৪তম কমব্যাট উইং এবং বিমান মেরামতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। গোপনে ছবি তোলার সময় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

    শুরু হয়েছে তদন্ত (Greece)

    গ্রিসের সামরিক বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে—কেন বিদেশি নাগরিকেরা এমন স্পর্শকাতর এলাকায় গোপনে ছবি তুলছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল।ইতিমধ্যে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে, এই চেষ্টার পেছনে চিনের রাফাল সংক্রান্ত গোপন তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন-এর তৈরি রাফাল বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম আধুনিক যুদ্ধবিমান। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল (Greece)।

    মোবাইল ফোন ও ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    এর আগে দাসো কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল, চিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাফালের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে এবং বিমানটির প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছে (Chinese Nationals)। ফলে এই নতুন ঘটনার সঙ্গে ভারত ও রাফালকে ঘিরে গুপ্তচর কার্যকলাপের যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, আটক চার চিনা নাগরিককে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে এই ঘটনার পেছনে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র বা গুপ্তচরবৃত্তির যোগ আছে কি না, তা বোঝা যায়। একই সঙ্গে তাঁদের বিদেশে যোগাযোগ, চলাফেরার রুট এবং পূর্বের সফর সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।

LinkedIn
Share