Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    India Pakistan: ‘‘রাত আড়াইটের সময় মুনিরের ফোন…’’, নূর খানে ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা মানলেন শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রতি আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তান (India Pakistan)। অপারেশন সিঁদুর যে কতটা নিখুঁত তা মেনে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মধ্য রাতে পাক জেনারেল আসিম মুনিরের ফোনেই তিনি বুঝেছিলেন ইসলামাবাদ নিরাপদ নয়। নিজেই বললেন শরিফ (Shahbaz Sharif)। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতের ক্রমাগত প্রত্যাঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষত পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিকে দুরমুশ করে ছেড়েছে ভারত। আর সব থেকে বড় ঘা, হল রাজধানী ইসলামাবাদ সংলগ্ন নূর খান ছাউনিতে ভারতের প্রত্যাঘাত। সেখানে আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান।

    রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন

    বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই বিষয়টি শুক্রবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে উল্লেখ করেন। মালব্য লেখেন, ‘‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই স্বীকার করেছেন, জেনারেল আসিম মুনির তাঁকে রাত আড়াইটা নাগাদ ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, ভারত নূর খান বিমান ঘাঁটি এবং আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা চালিয়েছে। … প্রধানমন্ত্রী মাঝরাতে পাকিস্তানের ভেতরে হামলার খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। এটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নির্ভুল লক্ষ্য এবং বিক্রমের প্রমাণ।’’

    কী বলেছিলেন শরিফ

    পাকিস্তান (India Pakistan) মনুমেন্টে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় শরিফ (Shahbaz Sharif) জানান, ৯ মে এবং ১০ মে রাত। সময় তখন আড়াইটা মতো। ফোন করে তাঁকে ঘুম থেকে তোলেন জেনারেল আসিম মুনির। ধড়মড়িয়ে উঠে শরিফ জানতে পারেন, ভারত একেবারে পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে প্রত্যাঘাত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘৯/১০ তারিখ রাতে, জেনারেল আসিম মুনির আমাকে ফোন করে জানান যে ভারত নূর খান বিমানঘাঁটি সহ আমাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক বোমা হামলা চালিয়েছে।’’ নূর খান ছাউনি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ক্ষেত্র। এটাই সেনা বাহিনীর প্রধান পরিবহণ কেন্দ্র। আকাশে থাকা অবস্থায় কোনও যুদ্ধবিমানের জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে এই নূর খান ছাউনি থেকেই জ্বালানি নেয় তারা। আর এই ছাউনি থেকে ইসলামাবাদ খুব দূরে নয়। তাই এই হানা কার্যত পাকিস্তানের বুকে তীর মেরে দেওয়ার সামিল। ভারতের সেনা বাহিনী সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেও , মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন শরিফরা। অবশেষে সারা বিশ্বের সামনে সত্যিটা মেনে নিল পাকিস্তান।

  • Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    Balochistan: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল বালোচিস্তান, ফের প্রচারের আলোয় হিংলাজ মাতার মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল হয়েছে পাকিস্তানের বালোচিস্তান (Balochistan)। এই আবহে ফের একবার প্রচারের আলোয় উঠে এসেছে হিংলাজ মাতার মন্দির এবং কাটাস রাজ মন্দির। বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাঁদের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে একপ্রকার পাকিস্তানের সেনা ও সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছেন। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন বালোচিস্তানের হাজার হাজার মানুষ। বালোচিস্তানের এই দুই প্রাচীন মন্দিরের সঙ্গেই ভারতের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক এক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে।

    বালোচিস্তানের লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির

    পাকিস্তানের বালোচিস্তানের (Balochistan) লাসবেলা জেলায় অবস্থিত হল হিংলাজ মাতার মন্দির। এই মন্দির হিন্দুদের একান্ন শক্তি পীঠের অন্যতম বলে মানা হয়। হিংলাজ মাতার মন্দির হিংলাজ শক্তিপীঠ নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বালোচিস্তানের এই শক্তি পীঠেই মাতা সতীর মস্তক পড়েছিল। এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস। হিঙ্গল নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান। এই মন্দির সিন্ধি এবং বালোচিস্তানে বসবাসরত হিন্দু সমাজের কাছে অত্যন্ত ভক্তির জায়গা। শুধু তাই নয়, বালোচিস্তানে (Balochistan) বসবাসরত মুসলমানদের একাংশের কাছেও হিংলাজ মাতার মন্দির নানি পীর বলে পরিচিত।

    পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির

    একইভাবে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশের চকোয়ালে অবস্থিত হল কাটাস রাজ শিব মন্দির। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে পরিচিত এই মন্দির ফের একবার প্রচারের আলো উঠে এসেছে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মন্দির ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এখানেই সতীদাহের সময় ভগবান শিবের অশ্রু পড়েছিল। এই স্থানে রয়েছে একটি পবিত্র জলাশয়। শুধু তাই নয়, কাটাস রাজ শিব মন্দিরের অন্য গুরুত্বও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ঐতিহাসিকরা। প্রাচীন ভারতবর্ষে এই মন্দিরই হিন্দু ধর্মের শিক্ষা এবং দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বিশ্বাস করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, পাণ্ডবরা তাঁদের অজ্ঞাতবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। শুধু তাই নয়, আদি গুরু শংকরাচার্য এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। কাটাস রাজ শিব মন্দিরের গঠনে হিন্দু এবং বৌদ্ধ রীতির মিশ্রণ দেখা যায়। পাকিস্তানে হিন্দুদের (Balochistan) জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হিসেবে আজও রয়ে গিয়েছে। যদিও দেশভাগের পরবর্তীকালে এই মন্দিরে পুজো না করতে দেওয়ার অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে।

  • Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    Balochistan: বালোচিস্তানে গণবিদ্রোহ! ভারতকে রক্তাক্ত করার নীতিই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পাপের ফল ভোগ করছে পাকিস্তান (Pakistan)! বিগত কয়েক দশক ধরেই পাকিস্তানের একটাই নীতি, সেটা হল ভারতকে আঘাত করা এবং রক্তাক্ত করা। পাকিস্তান এই নীতিকে বাস্তবায়িত করতে সন্ত্রাসকে তোষণ করছে। জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে। সে দেশে প্রকাশ্যেই সদর দফতর খুলে বসে আছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। তাও সেনাবাহিনীর নাকের ডগায়। বিগত কয়েক দশক ধরেই এই জঙ্গিদের ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতের দুই সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে ধর্মীয় তথা রাজনৈতিক অস্থিরতাকে উস্কানি দেওয়ার লক্ষ্যে এই কাজ করে আসছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান যখন ভারতে আঘাত হানার চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন তারা কখনও ফিরে দেখেনি তাদের নিজের বাড়ির উঠোনেই বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন জ্বলে উঠছে। আয়তনের দিক থেকে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ হল বালোচিস্তান। এই প্রদেশের গণবিদ্রোহে বর্তমানে পাকিস্তানের সেনা ও সরকার একেবারে বিপর্যস্ত। সে দেশের সরকারের কাছে এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বালোচিস্তানের গণবিদ্রোহ (Balochistan)।

    ১৯৪৮ সালে জোর করে বালোচিস্তান (Balochistan) দখল করে পাকিস্তান

    ১৯৪৮ সালের বালোচিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়ে ওঠে। একপ্রকার জোর করে বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময়ে বালোচিস্তান প্রদেশের বেশ কিছু প্রভাবশালী উপজাতি নেতা ছিলেন, যাঁরা তাদের এই প্রদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চেয়েছিলেন। তবে, তাঁদের সেই চাওয়া এবং দাবিকে কোনও মূল্যই দেয়নি পাকিস্তানের (Pakistan) তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা। এক প্রকার জোর করে বালোচিস্তানের ওপরে নিজেদের কর্তৃত্ব চাপায় পাকিস্তান সরকার। বালোচিস্তান (Balochistan) যেন প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এক ভূমি। কী নেই এখানে! গ্যাস, কয়লা, তামা, সোনা সমস্ত কিছুই। প্রদেশের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, পাকিস্তান কখনও এই প্রদেশকে তার প্রাপ্যটুকু দেয়নি। তার মূল্য দেয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনা করা হয়েছে প্রদেশের মানুষদের সঙ্গে। তাঁরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান। কোনও উন্নয়ন পৌঁছায়নি প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এই প্রদেশে।

    পাকিস্তানি সেনার করুণ অবস্থা সামনে এসেছে গণবিদ্রোহে (Balochistan)

    খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধশালী এই অঞ্চলের জনগণের ক্ষোভ তাই পুঞ্জীভূত হতে থাকে। পাকিস্তান সম্পদ সমৃদ্ধ বালোচিস্তানকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা করায় সেখানকার মানুষজন হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়। তাঁরা বলতে থাকেন, ইসলামাবাদ বিগত কয়েক দশক ধরে যে গৃহীত নীতি অনুসরণ করে চলেছে তা বালোচিস্তানের বিরুদ্ধে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই তারা এই অস্ত্র হাতে নিয়েছে। ভারতকে রক্তাক্ত করতে গিয়ে পাকিস্তান এখন নিজের দেশেই পিছু হঠছে। বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে পাকিস্তানের সেনাকেও যেন অসহায় লাগছে। পাকিস্তানি সেনার কনভয়গুলিতে লাগাতার আক্রমণ, বোমা হামলা, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা, অতর্কিত হামলা- এই সমস্ত কিছুতেই অসহায় হতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। কড়া হাতে বিদ্রোহ দমন করতে চেয়েছে ইসলামাবাদ। তবে উলটে বালোচ বিদ্রোহীরা যেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, বালোচিস্তানের প্রায় ৫১ জায়গায় পাক সেনার উপরে ৭১টি হামলা চালিয়েছে তারা। বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির সঙ্গে রয়েছে গোটা প্রদেশের জনসমর্থন। অনেক চেষ্টা করেও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

    ২০০০ সাল থেকে বালোচ বিদ্রোহীরা সেনা ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে থাকে

    দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার বালোচিস্তানের মানুষদের প্রতি পাকিস্তান সরকারের এমন বঞ্চনা, বিদ্রোহে পরিণত হয় ২০০০ সালে। ওই বছরেই বালোচিস্তানের বিদ্রোহীরা তাদের নিকটবর্তী স্থানগুলির সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায়। এরপর ২০০৬ সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান উপজাতি গোষ্ঠীর নবাব আকবর বুগদিকে হত্যা করে। এতেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে শুরু করে। বিদ্রোহ দমনের নামে তারপর থেকেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শয়ে শয়ে যোদ্ধাকে হত্যা করতে থাকে। তাঁদেরকে নির্যাতন করতে থাকে। বিদ্রোহীদের অপহরণ করতে থাকে পাকিস্তানি সেনা। সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে বালোচিস্তান মানুষদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ২০২৫ সালে যা ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বালোচিস্তান।

    প্রতীকী স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন বালোচ নেতারা, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল জাতীয় পতাকা

    পাকিস্তান সরকারের এমন সন্ত্রাসের অভিযোগে বালোচিস্তান নেতারা বিগত কয়েক দশক ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাটি উল্লেখ করে আসছেন। তাঁরা বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিও আকর্ষণ করছেন। পাকিস্তান থেকে ইতিমধ্যে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের প্রস্তাবিত জাতীয় পতাকা। এর পাশাপাশি স্বাধীন বালোচিস্তান রাষ্ট্রের মানচিত্রও দেখা গিয়েছে। বালোচিস্তান প্রজাতন্ত্র নামে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। এ নিয়ে বালোচিস্তানের অন্যতম নেতা তথা লেখক মীর ইয়ার বালুচ বলেন, ‘‘পাকিস্তান অধিকৃত বালোচিস্তানের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। বালোচিস্তান (Balochistan) পাকিস্তানের অংশ নয়।’’ নিজের সমাজ মাধ্যমের পোস্টে মীর ইয়ার বালুচ রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বালোচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালের পাকিস্তান জোর করে বালোচিস্তান দখল করার পর থেকেই এই সমস্যা চলছে বলেও জানিয়েছেন মীর ইয়ার বালুচ। তাঁর মতে, ‘‘এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে গ্যাস-খনিজ এই সমস্ত কিছুই ইসলামাবাদ লুট করছে। বালোচিস্তানের স্থানীয় জনগণকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওই কারণে পাকিস্তানের সবচেয়ে দরিদ্র প্রদেশ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে বালোচিস্তান।’’ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বালোচিস্তানের পতাকা ও মানচিত্র হাতে সাধারণ মানুষের ছবিও পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে মীর ইয়ার বালুচকে।

    বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সরকারের মহিলা প্রধানমন্ত্রী নাইলা কাদরি

    সাবেক বালোচিস্তানের একটা বড় অংশ যেমন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত, আরও দুটি অংশ ঢুকে আছে, আফগানিস্তান ও ইরানের মধ্যে! তবে এখন পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশের নাম বালোচিস্তান, পাকিস্তানের মোট আয়তনের ৪৩ শতাংশ। এক লাখ একত্রিশ হাজার ৫৪৫ বর্গ মাইল! ঐতিহাসিকদের মতে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বালোচিস্তানের পার্লামেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করে! কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বালোচিস্তান জবরদখল করে! তবে অনেক বছর ধরেই বালোচিস্তানের জনগণ চালাচ্ছে একটি Government in Exile! সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী একজন মহিলা! তাঁর নাম নাইলা কাদরি! যাঁকে ইতিমধ্যেই বিতারিত করা হয়েছে দেশ থেকে! এই বালোচ নেত্রী পাকিস্তানের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির জন্য জাতিসংঘ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনও চেয়েছেন। পেশায় অধ্যাপিকা নইলা কাদরি বিশ্বাস করেন, একমাত্র সনাতনী ভারতের সঙ্গে পুরান সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আছে বালোচবাসীর! বালোচবাসীর মধ্যে হিন্দু আছেন শিখ আছেন মুসলিম আছেন, সকলে বালোচ পরিচয়ে আছেন! ধর্মের পরিচয়ে নেই! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বালোচিস্তান, যা একসময় একটি স্বাধীন দেশ ছিল, তা এখন পাকিস্তানের অবৈধ দখলে রয়েছে!

  • Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    Pakistan Army Headquarters: রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরছে পাক সেনার সদর দফতর! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন হানার জের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চার দিনের লড়াইয়ে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ দশা! পাকিস্তানের বায়ুসেনাঘাঁটিগুলিতে আগুন ঝরিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। একের পর এক বায়ুসেনার ছাউনি গুঁড়িয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে পাকিস্তান। নূর খানে হামলা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরও যে মোটেই নিরাপদ নয়, তা স্পষ্ট বুঝে যান ইসলামাবাদের ফৌজি অফিসারেরা। তাই ভারতের সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী সদর দফতর (Pakistan Army Headquarters) স্থানান্তরের কথা বিবেচনা করছে। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ভারতের এই হামলা পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হেনেছে।

    কেন এই পরিবর্তন?

    রাওয়ালপিন্ডির চকলালা এলাকায় অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার (GHQ), যা যৌথ বাহিনীর সদর দফতরের নিকটবর্তী। এই ঘাঁটির পাশেই অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ভিআইপিদের আসা-যাওয়া ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী নূর খান ঘাঁটির পূর্ব ও বর্তমান অবস্থার স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই ঘাঁটি পাকিস্তানের সুরক্ষা ও নজরদারি ব্যবস্থার কেন্দ্র ছিল। পাকিস্তানের পাল্টা ভারতের হামলায় এই ঘাঁটির অবস্থা খুবই খারাপ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ভারতের এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে রেডার ফাঁকি দিয়ে ভারতের ড্রোনের নিচু উচ্চতায় ঢুকে পড়া, পাক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে হামলা করা পাকিস্তানকে অস্বস্তিতে ফেলেছে।

    রাওয়ালপিন্ডিতে ভারতের ড্রোন হামলা

    পাক বিমানবাহিনীর এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে চকলালার নূর খান ছাউনিটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী ইসলামাবাদ (Pakistan Army Headquarters) থেকে এর দূরত্ব মেরেকেটে ১০ কিলোমিটার। একে পাক বায়ুসেনার সদর দফতর বললে অত্যুক্তি করা হবে না। শুধু তা-ই নয়, অধিকাংশ বড় অপারেশনে মুখ্য ভূমিকা থাকে নূর খান ঘাঁটির। সংশ্লিষ্ট ছাউনিটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডির গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। গত ৮ মে তারিখে ড্রোন দিয়ে যেসব স্থানে হামলা চালানো হয়েছিল তার মধ্যে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশন (এসপিডি) এবং রাওয়ালপিন্ডিতে কাশ্মীর নিয়ে কাজ করা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর একটি জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স-নর্থ উইং, পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডারের বাসভবন, অ্যাটক জেলার ন্যাশনাল ডিফেন্স কমপ্লেক্স (এনডিসি), যা ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টার-লঞ্চার যান তৈরি করে। এই হামলা ইসলামাবাদে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনা সদর দফতরের কাছে নয়াদিল্লি আঘাত হানতেই সংঘর্ষবিরতিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন  ইসলামাবাদের সেনাকর্তারা। এবার তারা ভাবছে কী করে সেনা সদর দফতর সরানো যায়।

    পাকিস্তানের দুর্বলতা প্রকাশ

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ আপাতত স্থগিত রেখেছে ভারত। কেউ কেউ একে সংঘর্ষবিরতি বলতেই পারেন, কিন্তু প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এই শব্দটি এড়িয়ে যাচ্ছেন। যুদ্ধের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটাকে শুধু বিরতি বলে বর্ণনা করা যাবে না বরং বলা যায় এটি বিরল এবং কৌশলগত স্থগিতাদেশ। ভারত বারবার দাবি করেছিল, পাকিস্তানের পক্ষ থেকেই সংঘর্ষ বিরতির আবেদন করা হয়ছিল। ভারতের আঘাত সইতে পারেনি ইসলামাবাদ। এখন তাদের সেনা সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনাই প্রমাণ করে ভারেতর দাবি সত্য। গত ৮ এবং ৯ মে রাতে ভারতের একাধিক বায়ুসেনাঘাঁটিকে নিশানা করে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী। এর পরই পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির আকাশসীমায় ঢুকে একের পর এক ছাউনিতে হামলা চালান ভারতের পাইলটেরা। ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে ইসলামাবাদ। বেশ কিছু গণমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে হামলার সময়কার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে পাক বায়ুসেনাছাউনিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে।

    পাক সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা কমছে

    পাকিস্তানের ঘরের ভিতরে ঢুকে ভারতের এই হামলা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর (Pakistan Army Headquarters) জন্য বড় ধাক্কা। ফলে পাক সেনাবাহিনী এখন ঢেলে সাজানোর কথা ভাবছে ইসলামাবাদ। নেতৃত্ব পরিবর্তন, সদর দফতর স্থানান্তর তারই অঙ্গ। পাকিস্তান চাইছে তাদের সমরাস্ত্র এক জায়গায় না রেখে পাহাড়ঘেরা অঞ্চল যেমন বেলুচিস্তান বা খাইবার পাখতুনখোয়ায়র কোনও জায়গায় রাখতে। ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিমি দূরে রাওয়ালপিন্ডি একটি ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। যে কোনও সময় এখানে হামলা হতে পারে। তাই এখানে পরমাণু অস্ত্র রাখাও সুরক্ষিত নয়। ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পর পাকিস্তান সেনার সদর দফতর সরানোর পরিকল্পনা ইসলামাবাদের দুর্বলতা স্পষ্ট করে। এই কাজ তাদের সামরিক ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দেবে, বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেনা সদর দফতর স্থানান্তর একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। ঋণে ডুবে থাকা অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহস জোগাবে এবং সাধারণ মানুষের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা কমাবে।

  • BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    BrahMos Missiles: ড্রাগনকে শুঁড়ে জড়াচ্ছে হাতি! চিনকে বাগে আনতে চাই ব্রহ্মোস, আওয়াজ উঠছে দক্ষিণ চিন সাগরে

    সুশান্ত দাস

     

    গত এপ্রিল মাসে, ভারতে তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ভর্তি দ্বিতীয় বিমানটি ফিলিপিন্সে অবতরণ করে। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত প্রত্যাঘাত করতে পারে এমন আশঙ্কা করে চিন যখন পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ করছিল, ঠিক সেই সময়ই ফিলিপিন্সে ব্রহ্মোস নিয়ে পৌঁছয় ভারতের বিমানটি। ভারতের থেকে ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চুক্তি করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) এই দ্বীপপুঞ্জ-রাষ্ট্রটি। এর মধ্যে গত বছর এপ্রিল মাসে ব্রহ্মোসের প্রথম ব্যাচ সরবরাহ করা হয়েছিল। এবার পাঠানো হল দ্বিতীয় ব্যাচ।

    পথ দেখাল ফিলিপিন্স

    ভারতের থেকে ফিলিপিন্সের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কেনার সিদ্ধান্ত নিছক কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়। এর প্রধান দুটি ইতিবাচক দিক রয়েছে, অবশ্যই ভারতের দিক দিয়ে। এক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের নীতি অনুসারে দেশীয় অস্ত্র রফতানি করা হল। দুই, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ফলে তৈরি হওয়া বিপদের ওপর রাশ টানার একটা গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পন্থা হাতে পেল ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কেনার সাহস দেখিয়েছে। বাকিরা হয়ত মনে মনে চাইলেও, প্রকাশ্যে বলতে ভয় পাচ্ছিল। কারণ, গোটা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ভারত বাদে চিনকে চোখরাঙানি দেওয়া দূর, চিনের চোখে চোখ রেখে কথা বলার ঔদ্ধত্য কিছুদিন আগে পর্যন্ত কেউ দেখানোর সাহস পেত বলে মনে হয় না। সেক্ষেত্রে ফিলিপিন্স ভারতের থেকে ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles) কিনে সেই ভীতি অতিক্রম করে। তারা পথ দেখিয়েছে। বাকিরা সেই সাহস পেল সদ্যসমাপ্ত ভারত-পাক সংঘাতের পর।

    চিনের মায়াজাল ছিন্নভিন্ন

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। এই একটা নাম পাকিস্তানের হাল এমন বেহাল করে ছেড়েছে, যে তার আওয়াজ ইসলামাবাদ থেকে ছাড়িয়ে শোনা যাচ্ছে বেজিংয়েও। ভারতীয় সেনার এই সামরিক অভিযানে শুধু পাকিস্তান বেআব্রু হয়েছে, তাই নয়। বিশ্বের দরবারে ধসে গিয়েছে চিনা অস্ত্রের গরিমাও। এতদিন চিন তাদের অস্ত্রসম্ভারের বিপণন করে বিশ্বের কাছে যে মায়াজাল বুনেছিল, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) ও ড্রোনের হামলা কার্যত তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। চিন এতদিন নিজের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সকলকে (বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর ও লাগোয়া অঞ্চলে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভুক্ত রাষ্ট্রগুলি) ভীতি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখত। কিন্তু, পাকিস্তানে চিনা এয়ার-ডিফেন্স থেকে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, তাতে সকলের সংবিৎ ফিরেছে। চিনা বস্তু নিয়ে ভারতে প্রবলভাবে জনপ্রিয় একটা শব্দবন্ধ রয়েছে— ‘চাইনিজ প্রোডাক্ট’। এক এক করে এই দেশগুলিও তা উপলব্ধি করছে।

    ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর বদলে যায় গোটা প্রেক্ষাপট। একদিকে যেমন চিনা অস্ত্রের মুখোশ খুলে যায়। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় অস্ত্রের বৈপ্লবিক উত্থান। তারা একটা বিষয় সকলে বুঝে গিয়েছে। চিনকে বাগে আনতে হলে, চিনা প্রভাব খাটো করতে হলে, ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-কে (BrahMos Missiles) ঘরে তুলতেই হবে। তাই কালবিলম্ব না করে, ফিলিপিন্সের মতো ভারতের দুয়ারে লাইন দিতে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (South-East Asia) একের পর এক দেশ। কে নেই! তালিকায় রয়েছে— ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। সকলেই ব্রহ্মোস কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। হয়ত আগামীদিনে এই অঞ্চলের আরও দেশ ভারতের শরণাপন্ন হবে। ভারতের থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Missiles) কিনতে চাইবে। ফলে যেটা শুরু হয়েছিল ফিলিপিন্স দিয়ে, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা অঞ্চলে।

    চিনা অত্যাচারের শিকার

    এই দেশগুলির মধ্যে একটা বিষয় কমন বা অভিন্ন। তা হল, এরা সকলেই দক্ষিণ চিন সাগর এলাকায় চিনের নীপিড়ন-অত্যাচারের শিকার। চিনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, দমন করার নীতি, শোষণের স্বভাব, জবরদখলের ইতিহাস— এরা সকলেই তার সঙ্গে পরিচিত। সামরিক শক্তি দেখিয়ে চিন সাগর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে গা-জোয়ারি করে আসছে চিন। ফলে বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে, মাথা নিচু করে থাকতে হতো সকলকে। তারা সকলেই চিনের ওপর বীতশ্রদ্ধ। কিন্তু, ভারতের হাতে পাকিস্তানের পরাজয় চিনকে মাটিতে আছড়ে ফেলেছে।

    ভারতের তুরুপের তাস

    ভারতও চিনের এই নীতির সঙ্গে ভালোভাবেই অবগত। চিন এতদিন এইভাবেই ভারতকে চারদিক দিয়ে ঘেরার চেষ্টা চালিয়েছে। চিনের এই কৌশলের নাম ‘স্ট্রিং অফ পার্লস’ বা মুক্তোমালা। এখন চিনকে মোক্ষম সবক শেখাতে চাইছে ভারত। তাই, চিনা দমনের শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি হতে পারে ভারতের তুরুপের তাস। আর প্রধান হাতিয়ার ব্রহ্মোস (BrahMos Missiles)। তবে অস্ত্র নিক্ষেপ নয়, অস্ত্র বেচে এই কাজ হাসিল করতে উদ্যোগী ভারত। বেজিংকে শিক্ষা দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (South-East Asia) ভারসাম্য আনার চেষ্টায় নয়াদিল্লি। ধীরে ধীরে নিঃশব্দে ‘ড্রাগন’কে (চিনের প্রতীক) তার শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিতে শুরু করেছে ‘হাতি’ (ভারতের প্রতীক)।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুর! নতুন উচ্চতায় রাফালের শেয়ার, ধস চিনা যুদ্ধবিমানের স্টকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে (Operation Sindoor) দুরমুশ করতেই বড় ধস নামল চিনা জে-১০ যুদ্ধবিমানের স্টকে। অন্যদিকে বাড়ল রাফালের (Rafale) শেয়ার দর। অনেকেই মনে করছেন, এতেই পরিষ্কার হল ভারতের অপারেশন সিঁদুর ঠিক কতটা সফল! অন্যদিকে, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও ব্যর্থতাও সামনে আনল। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গিয়ে রাফালের ভয়ঙ্কর আঘাত যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে। একইভাবে চর্চায় রয়েছে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স। ভারতের দূর্ভেদ্য বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের আকাশই ধ্বংস করে দেয় চিনের তৈরি যুদ্ধ সরঞ্জাম। এই আবহে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতেই চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থা অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্ট কোম্পানির স্টকে ১২ শতাংশ পতন দেখা গেল। একইসঙ্গে লক্ষ্মীলাভ হল রাফালের।

    মোদির ভাষণের পরেই চিনা সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে

    ভারতের বিরুদ্ধে এই কোম্পানির জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। এবার এতেই দেখা গিয়েছে বড় ধস। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা সংস্থার শেয়ার আরও নীচে নামতে পারে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতার (Operation Sindoor) পরই এই শেয়ারের দাম দ্রুত গতিতে নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ভারত যে যুদ্ধ জিতেছে তা এবার প্রতিফলিত হল শেয়ার বাজারের দরেও। সামনে এল চিনা যুদ্ধ সরঞ্জামের বেআব্রু অবস্থা।

    রাফালের লক্ষ্মীলাভ (Operation Sindoor)

    প্রসঙ্গত, রাফাল যুদ্ধবিমান হল বিশ্বের প্রথমসারির ফাইটার জেটগুলির মধ্যে অন্যতম। ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে। অপারেশন সিঁদুরে এই যুদ্ধবিমানই (Operation Sindoor) ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা। পাক-ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে ঢুকতে আঘাত হানে এই যুদ্ধ বিমান। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিখুঁত আক্রমণ করে। তার পর থেকেই রাফালের অসামান্য দক্ষতা নিয়ে আলোচনা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতেই দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর লাফিয়ে বাড়ছে। তা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষে আদতে লক্ষ্মীলাভ হলো এই ফরাসি সংস্থার (Rafale)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বুধবারই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার খোলার পর প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে দাসো অ্যাভিয়েশনের শেয়ার দর প্রায় দেড় শতাংশ বেড়ে হয় ৩০৪.৪০ ইউরো। তবে শুধুমাত্র শুধু স্টকের দামই নয়, দাসো অ্যাভিয়েশনের ফিনান্সিয়াল রিপোর্টও এই সংস্থার শ্রীবৃদ্ধিকেই দেখাচ্ছে।

    ভারতের প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারে দাম বেড়েছে হু হু করে, চিনে পতন

    চলতি সপ্তাহে চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির শেয়ারের দামের ব্যাপক পতন হয়েছে যেখানে ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে হু হু করে। দেখা যাচ্ছে, সোমবার প্রতি শেয়ারের ৯৫.৮৬ ইউয়ানের থেকে অ্যাভিক চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বৃহস্পতিবার দেখা গিয়েছে, চিনা প্রতিরক্ষা সংস্থার শেয়ারের দাম ৮৫.২০ ইউয়ানে লেনদেন হচ্ছে। টানা তিন দিনে ১১.৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে চেংডু এয়ারক্রাফ্টের শেয়ারের দাম ।

    পাকিস্তানকে কোন কোন অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল চিন

    এর আগে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবেই চিনা মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয়। চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের একাধিক ছবি সাংবাদিক সম্মেলন করে দেখায় ভারতীয় সেনা। এরপর থেকেই ঝুঝো হংডা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম তীব্রভাবে কমতে দেখা যায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করে, চিন পাকিস্তানকে যে মিসাইল সরবরাহ করেছিল, তার নাম পিএল-১৫। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অকেজো হয়ে গিয়েছে এই মিসাইল।

    সহজেই অকেজো হয়ে যায় চিনা ক্ষেপণাস্ত্র

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই ৯ ও ১০ মে রাতে পাকিস্তান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি ও সামরিক পরিকাঠামো লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যার মধ্যে ছিল চিনা পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তুরস্কের তৈরি বাইকার ইহা কামিকাজে ড্রোন সহ উন্নত অস্ত্রশস্ত্র। তবে ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে সমস্ত হুমকি প্রতিহত করে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ও জে-১০ যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত পিএল-১৫ হল একটি বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি খুব সহজেই নিষ্ক্রিয় করে দেয় দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই আবহে চিনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই কারণেই চিনা কোম্পানির স্টকের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে দেখা গেল।

  • Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা ভীত-সন্ত্রস্ত কুকুর যেমন লেজ গুটিয়ে নেয়, পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতি চেয়ে সেভাবেই ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। একথা বললেন পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন (Michael Rubin)। বর্তমানে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা। এটা তারা অস্বীকার করতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক সবদিক থেকেই বিজয়ী হয়েছে।’’ তাঁকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ৭ মে ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) তিনি কী চোখে দেখেন? তখন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই জিতেছে এই যুদ্ধ। ভারতের কূটনৈতিক জয় এটা এই কারণেই যে সারা বিশ্বের এখন দৃষ্টি রয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা এদিকেই।’’

    পাকিস্তানে জঙ্গি-আইএসআই-সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, মত রুবিনের

    এরপর তিনি (Michael Rubin) এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের জঙ্গি, আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এখন সারা বিশ্ব দাবি জানাচ্ছে, পাকিস্তান যেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে সন্ত্রাসকে বাদ দেয়। একটা জিনিস আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, তা হল ভারতের সঙ্গে প্রতিটা যুদ্ধ পাকিস্তানই শুরু করে।’’

    পাকিস্তান শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে

    পেন্টাগণের এই প্রাক্তন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান যখন পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত তা রুখে দেয় এবং প্রত্যাঘাত করে। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিকে ভারত অকেজো করে দিতে সক্ষম হয়। এই সময়েই পাকিস্তান একটি ভীত কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য ছুটতে শুরু করে। তার কারণ হল ভারতের এমন প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ করার মত কিছুই ছিল না। তারা কেবল শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে (Operation Sindoor)।’’ এখন প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তান কী করবে! তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সমস্যা রয়েছে। বিতর্ক রয়েছে। তাদের সেনা প্রধান আসিফ মুনিরকে নিয়েও সমস্যা কম নয়!’’

    কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে (Operation Sindoor) নিজের কৃতিত্ব দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়েই মাইকেল রুবিন বলেন, ‘‘কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস। তাঁর কাছে ডানতে চাওয়া হলে, তিনি ইন্টারনেট আবিষ্কারেরও কৃতিত্ব নেবেন। তিনি বলে দিতে পারেন বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনিই। আবার তিনি ক্যান্সার নিরাময় করতেও সক্ষম, এমন দাবিও করে দিতে পারেন।’’ এ নিয়েই প্রাক্তন মার্কিন আমলার বক্তব্য যে, ভারতীয়রা ট্রাম্পকে যেন আক্ষরিক অর্থে কোনও গুরুত্ব না দেয়।

    ভারত-পাক উত্তেজনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে

    একইসঙ্গে রুবিন ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে (Operation Sindoor) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ যাতে না হয়, সেইই কারণে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হল অবাধ যুদ্ধ রোধ করা এবং যেকোনও ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধকে আটকানো। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবিষয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ– দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে, এটাই স্বাভাবিক।’’

    অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানের ফলে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা যায়। ভারতের এমন অভিযানের পরেই পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সেসব কিছুকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ভারত পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে রেডার পরিকাঠামো, বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি হয়।

  • Bangladesh: মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘নিঁখোজ’ বাংলাদেশের পাক-হাইকমিশনার

    Bangladesh: মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘নিঁখোজ’ বাংলাদেশের পাক-হাইকমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি এক মহিলার (Bangladesh) সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হল সেদেশে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনারের। এতেই লজ্জায় ঢাকা ছাড়লেন পাক হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এমন ঘটনায় মুখ পুড়েছে পাকিস্তানেরও। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে এনিয়ে রীতিমতো খবরও প্রকাশিত হয়েছে। কমবেশি সমস্ত সংবাদমাধ্যমই দাবি করেছে, পাক হাইকমিশনারের (Pak High Commissioner) নাকি খোঁজ মিলছে না। সম্প্রীতি এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় তাঁকে। হানি ট্র্যাপের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই গা ঢাকা দেন ওই পাক কূটনীতিক। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্র (Bangladesh) ‘প্রথম আলো’-তে। প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, ইন্টারনেট মাধ্যমে হানি ট্র্যাপের ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।

    অনেকের মতে ইসলামাবাদে রয়েছেন মারুফ

    এক্ষেত্রে অনেকে মনে করছেন যে তিনি অন্য কোনও দেশে পালিয়ে গিয়েছেন। অন্য সূত্রের খবর, তাঁকে নাকি অবিলম্বে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। মারুফ এই কাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরেই পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার পদে নিযুক্ত মহম্মদ আসিফকে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি জানাচ্ছে যে গত ১১ মে মারুফ পালিয়ে যান। অনেকে আবার এটাও মনে করছেন, ঢাকা ছেড়ে তিনি দুবাই হয়ে ইসলামাবাদে গিয়েছেন।

    ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাস থেকে দায়িত্বে ছিলেন মারুফ (Bangladesh)

    এমন কাণ্ড ঘাটিয়ে মারুফের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে (Pak High Commissioner) বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রককে জানিয়েছে। অন্যদিকে, একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ যে মারুফ দু সপ্তাহের জন্য ছুটিতে থাকবেন। কোনও কোনও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে তিনি বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন। নিজের দেশে ফেরার পরেই তিনি একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাস থেকে পাকিস্তানের হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মারুফকে। বাংলাদেশ (Bangladesh) একাধিক কূটনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন তিনি।

  • India Pakistan War: ‘‘পাকিস্তান একে এখনও জয় বলবে?’’ ইসলামাবাদের দাবি খারিজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের

    India Pakistan War: ‘‘পাকিস্তান একে এখনও জয় বলবে?’’ ইসলামাবাদের দাবি খারিজ মার্কিন সংবাদমাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। তারই পাল্টা হিসেবে কৌশলগত সামরিক অভিযান অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। একশো জঙ্গি নিকেশ করা হয়। বে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চারদিন ধরে চলা ভারত-পাকিস্তান (India Pakistan War) সীমান্ত সংঘর্ষ ঘিরে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কে ‘জিতল’ ভারত-পাক সংঘাত? উল্লেখ্য, সংঘর্ষবিরতির পর থেকেই পাকিস্তানে উল্লাসের আমেজ। এমনকী জয় ঘোষণা করে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। তবে এবার স্যাটেলাইট ছবি তুলে ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে বলেছে, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করেছে ভারত, তার ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান যে দাবি করছে, তার কোনও স্যাটেলাইট চিত্র নেই। এরপরই বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইসলামাবাদ যা দাবি করছে, তার অধিকাংশই ভুয়ো।

    উপগ্রহ চিত্রের বিশ্লেষণ

    নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক সাংবাদিক টুইটে উপহাসের সুরে লেখেন, “ভারতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না করে পাকিস্তান কি এখনও একে জয় বলবে?” মার্কিন সংবাদমাধ্যমের উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ভারতীয় বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হলেও, পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন স্থানে তাদের হামলার তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ যেসব আক্রমণের দাবি করেছেন, সেগুলির অনেকটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত অপ্রমাণিত ফুটেজের উপর ভিত্তি করে। এমনকি পাকিস্তান (India Pakistan War) দাবি করেছিল তারা আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে, যা উপগ্রহ চিত্রে প্রমাণিত হয়নি। বরং, ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিক এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের বহু ড্রোন এবং বিমান আক্রমণ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, কোনও সুনির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।” যার প্রমাণ মিলেছে উপগ্রহ চিত্রে।

    আকাশপথে হানা ও অসামরিক উড়ান ব্যাহত

    ভারতের (India Pakistan War) একাধিক শহর – জম্মু, উধমপুর, পাঠানকোট, অমৃতসর, ভাতিন্ডা, জয়সলমীর সহ ১২টিরও বেশি অঞ্চলে ব্ল্যাক আউট ঘোষণা করা হয় ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের হানার আশঙ্কায়। মে ৭ থেকে মে ১০ পর্যন্ত ওই অঞ্চলে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। ২০০-র বেশি অভ্যন্তরীণ উড়ান বাতিল ও একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের হামলায় সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। কিন্তু সন্ত্রাস দমনের জন্যেই লড়ছে ভারত। জঙ্গিদের খতম করার জন্যেই করা হয়েছিল অপারেশন সিঁদুর। কোনও নির্দিষ্ট দেশের সেনা বা জনবসতি লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনও আক্রমণ করেনি। তবে, সামরিক ঘাঁটি ও জনবসতি এলাকা লক্ষ্য করে পাকিস্তান আক্রমণ করার কারণে হাত গুটিয়ে বসে ছিল না ভারতীয় সেনা বাহিনী। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী জানান, নির্দিষ্ট কিছু পাকিস্তানি এয়ারফিল্ড উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। যার স্যাটেলাইট চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘যুদ্ধের আগে ও পরে উচ্চ রেজুলেশনের স্যাটেলাইট চিত্রে ভারতীয় হামলায় পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোর ‘স্পষ্ট ক্ষতি’ দেখা গিয়েছে।’’ ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘‘স্যাটেলাইট চিত্রে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে ভারতের হামলা ব্যাপক ছিল। ভারতের হামলায় বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের সামরিক কেন্দ্রগুলোতে। হাই-টেক যুদ্ধের নতুন যুগে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করে আক্রমণ চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। স্যাটেলাইট চিত্রে তারই প্রমাণ মিলেছে।’’

    পাকিস্তানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট কোনও চিত্র নেই

    ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘দ্বিতীয় দফার লড়াইয়ে প্রতীকী হামলা ও শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে একে অপরের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলির ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল ভারত ও পাকিস্তান। এই আবহে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা ও বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ভারত স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পাকিস্তানের করাচি বন্দরের কাছে ভোলারি বিমান ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়েছেন।’’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের দাবি অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ভোলারি সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়া, নূর খান বিমান ঘাঁটিকেও নিশানা করেছিল ভারত। নূর খান বিমান ঘাঁটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের তত্ত্বাবধান ও সুরক্ষা ইউনিটেরও কাছেই অবস্থিত।’’ ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে যে, তারা পাকিস্তানের কয়েকটি প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়েকে নিশানা করেছিল। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সেই দাবি অনুযায়ী উপগ্রহ চিত্রে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন স্পষ্ট। এদিকে ১০ মে রহিম ইয়ার খান বিমানবন্দরে রানওয়ে চালু না থাকার কথা জানিয়ে নোটিশও জারি করেছিল পাকিস্তান। এছাড়া পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সারগোধা বিমানবন্দরের রানওয়ের দুটি অংশে হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারতীয় সেনা। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘যেসব জায়গায় পাকিস্তান (India Pakistan War) আঘাত হেনেছে বলে দাবি করা হয়েছে সেসব স্থানের স্যাটেলাইট ইমেজে সীমিত এবং পাকিস্তানি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট কোনও চিত্র এখনও দেখা যায়নি।’’

  • Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    Bangladeshi Islamist: “আত্মঘাতী জঙ্গি পাঠিয়ে তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব”, হুমকি বাংলাদেশি মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কলকাতায় আত্মঘাতী জঙ্গি (Suicide Bombers) পাঠাব। তালিবানের ধাঁচে কলকাতা দখল করব।” এমনই হুমকি দিতে শোনা গেল বাংলাদেশি এক মৌলবীকে (Bangladeshi Islamist)। তার ওই হুমকি-বার্তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বক্তব্যের মধ্যেই সে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারও করছিল। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ‘ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুস’-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে।

    কলকাতা দখল করো (Bangladeshi Islamist)

    সেখানে ওই বাংলাদেশি মুসলিমকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশি সেনাবাহিনী আমাকে এখনই বলে, কলকাতা দখল করো, তাহলে আমি একটি পরিকল্পনা করব। ৭০টি যুদ্ধ বিমান ব্যবহারের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমি কলকাতা দখল করতে সাতটি বিমানও ব্যবহার করব না। আমার ৭০টি বিমানের কী দরকার? আমি জানি সেখানে কারা থাকে, যারা মূর্তি পুজো করে, তারা।” বাংলাদেশি ওই মুসলমানকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, তাদের (হিন্দুদের) প্রিয় খাবার হল মলমূত্র, গোবর এবং কচ্ছপের মতো নোংরা জিনিস। আমি জানি, তারা কতটা কম বোঝে। আমি এও জানি, তারা শারীরিকভাবে কতটা দুর্বল। আমি জানি, তাদের ধর্মের প্রতি তাদের কতটা বিশ্বাস। আমি এই সবই জানি। যদিও আপনি এই জিনিসগুলি না জানেন, তাহলে আপনি একজন মুসলিম সেনাপতি হতে পারবেন না, বুঝেছেন?” ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি জানি, এই হিন্দুরা রক্ত দেখলে কতটা ভয় পায়। মূর্তিপূজারিরা রক্ত দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।”

    আত্মঘাতী বোমারুদের ব্যবহার করব

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক (Bangladeshi Islamist) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে বেশ (Suicide Bombers) কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি দুরমুশ করে দেয় ভারতীয় সেনা। এর পরেই সংঘাত শুরু হয় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এই আবহেই ভাইরাল হল এক বাংলাদেশি মুসলমানের কলকাতা ওড়ানোর ছকের হুমকি। ভিডিওয় তাকে বলতে শোনা যায়, “যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাকে অনুমতি দেয়, তাহলে আমি যা করব, তা হল – আমি সব চেয়ে বেশি আত্মঘাতী জঙ্গিদের কলকাতায় পাঠাব। আমি কী ব্যবহার করব? আত্মঘাতী জঙ্গিদের ব্যবহার করব।” সে বলছে, “ইসলামিক আয়াত, তাদের নিয়ম হল আগে মর, তারপর মার। জেন জেড বলছে, এটা তো আগে কখনও শুনিনি, প্রথমবার শুনছি। কিন্তু স্যার, আমি মারা যাওয়ার পর কীভাবে হিন্দুদের হত্যা করতে পারি?”

    প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর

    ইসলামিক আয়াতের প্রসঙ্গ টেনে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি আক্রমণ করব। তারপর তারা আমাকে আঘাত করবে। আরবি দেশগুলিতে আমি আর একটি আয়াত শিখেছি, ইসলামি আয়াত, প্রথমে মর, তারপর কাফেরদের হত্যা কর। দুটি সুপারপাওয়ার – আমেরিকা ও রাশিয়াকে পরাজিত করতে তালিবানরা এই কৌশল প্রয়োগ করেছিল।” তাকে আরও বলতে শোনা যায়, “আল্লাহু আকবর বলো। তারা এমন বাইক ব্যবহার করেছিল যার শরীরে বোমা বাঁধা ছিল। তারা সেনা ক্যাম্পের দিকে রওনা হয়েছিল। তাদের (Bangladeshi Islamist) গুলি করা হয়েছিল। একটি গুলিতে আপনি সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবেন না। তারা তাদের বোমা ভর্তি বাইকটা ক্যাম্পের দেয়ালে সজোরে ধাক্কা দেয়।” সে বলে, “বাইকটি (Suicide Bombers) ক্যাম্পের দেয়ালে ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণে ৩০০ জন আমেরিকান নাগরিক মারা গিয়েছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ক্যাম্পটিও। প্রথমে কে মারা গিয়েছিল? মুসলিম বাইকার। পরে সে কাকে হত্যা করে? কাফেরদের।”

    বাংলাদেশের ভারত দখলের স্বপ্ন

    ভিডিওয় মৌলানা আবদুল কুদ্দুস নামের ওই মৌলবীকে বলতে শোনা যায়, “বাইক নিয়ে বোমা হামলা ঘটাব! বাইক আরোহীর গায়ে বাঁধা থাকবে বোমা। যত পারব, তত আত্মঘাতী বাহিনী পাঠাব।” প্রসঙ্গত, এই মাসের শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্য দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজিবির প্রাক্তন ডিজি আলম ফজলুর রহমান। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট এনকোয়ারি কমিশনের চেয়ারপার্সন (Bangladeshi Islamist)। ওই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।” তিনি এও লেখেন, “পাকিস্তানকে সামরিকভাবে রক্ষা করা এখন আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এটা একটা স্ট্র্যাটেজিক বিষয়। পারস্পরিক নির্ভরতার বিষয়। যদি ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তবে চিনের সঙ্গে মিলে ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যকে (Suicide Bombers) দখলে নেওয়া এটা ভারতের পাকিস্তান আক্রমণের রিজিওনাল ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া (Bangladeshi Islamist)।”

LinkedIn
Share