Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    Saeed Izadi: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্রধান সাঈদ ইজাদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের হানায় হত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইন শাখার প্রধান সাঈদ ইজাদি। শনিবার খবরটি নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। জানা গিয়েছে, ইরানের কোম শহরে রাতভর হামলায় নিহত হয়েছেন (Hamas) তিনি (Saeed Izadi)।

    ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বক্তব্য (Saeed Izadi)

    এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, “সাঈদ ইজাদি, যিনি ইজরায়েল ধ্বংসের জন্য ইরানি শাসনব্যবস্থার পরিকল্পনার একজন মাথা ছিলেন, কোম অঞ্চলে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের হামলায় নিহত হয়েছেন।” প্রসঙ্গত, এর আগে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ কোমে রাতে চালানো ইজরায়েলি হামলায় ইজাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইরানের কোম শহরে হামলায় দেশটির কুদস ফোর্সের প্যালেস্তাইনি কর্পসের কমান্ডার সাঈদ ইজাজি নিহত হয়েছেন।

    কে ছিলেন ইজাদি

    ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, ইজাদি ছিলেন কুদস ফোর্সের প্যালেস্টাইন কর্পসের কমান্ডার। তিনি ইরান সরকার ও হামাসের মধ্যে প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি। ওই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন। এই হামলার পর গাজায় একটি প্রাণঘাতী যুদ্ধ শুরু হয়, যাতে ৫৪,০০০-এর বেশি প্যালেস্তাইনি নিহত হন। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তিনি ছিলেন আইআরজিসি (ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস)–এর ঊর্ধ্বতন কমান্ডারদের সঙ্গে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সামরিক সমন্বয়ের দায়িত্বে (Saeed Izadi)। তাঁর ভূমিকায় ইজাদি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য হামাসকে ইরানের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য বাড়ানোর দায়িত্বেও ছিলেন।”

    জানা গিয়েছে, ইজাদিকে লেবানন থেকে পরিচালিত হামাস বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ। তিনি হামাসের সামরিক শাখাকে পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন, যাতে হামাস গাজায় তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে। জানা গিয়েছে, ইজাদি অক্টোবর ৭ এর হামলার আগে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়েছিলেন। ইজাদির মৃত্যুকে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিরাট সাফল্য (Hamas) এবং নিহত অসামরিক মানুষ ও বন্দিদের জন্য ন্যায়বিচার বলে উল্লেখ করেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Saeed Izadi)।

  • Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে দুই দেশেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইরান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইরান ও ভারত সরকার। ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে এক হাজার ভারতীয় নাগরিককে (Indian Students) ইরান থেকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।

    মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে

    জানা যাচ্ছে, ইরানের (Iran) আকাশসীমা এখনও সীমিতভাবে বন্ধ থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে ইরানের মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে উড়িয়ে আনার জন্য। এই বিশেষ ফ্লাইটগুলোর প্রথমটি আজ রাতেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। ইরানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এই ফ্লাইটগুলো কেবলমাত্র ভারতীয়দের জন্য নির্ধারিত এবং যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

    আগেই দেশে ফিরেছেন ১১০ জন পড়ুয়া (Iran)

    এর আগে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্করভাবে উত্তপ্ত উত্তর ইরান থেকে ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে (Indian Students) সফলভাবে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে সে সময় ইরানের কোনও বিমানবন্দর ব্যবহার না করে তাদের প্রথমে আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর সেখান থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। উভয় দেশের ভারতীয় দূতাবাস এই অভিযানে সমন্বয় রাখে নিজেদের মধ্যে। এবার ইরানের অভ্যন্তর থেকেই সরাসরি বিশেষ বিমানে করে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, যা একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

    ইজরায়েল থেকেও শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান

    শুধু ইরান (Iran) নয়, ইজরায়েলেও চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে থাকা ভারতীয়দেরও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। তেল আভিভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কাছাকাছি সীমান্ত অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনছে বলে খবর।

  • Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি অভিবাসীদের হাতে ট্রোলড হন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Trump Munir Meet)। জনসমক্ষে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে এতকিছুর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক গোপন বৈঠক হয়। এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ হওয়ার পিছনে একাধিক কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

    পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র

    প্রথমত, ধারণা করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের (Trump Munir Meet) কয়েকটি অঞ্চলে — বিশেষ করে নূর খান ও কিরানা হিলস এলাকায় — আমেরিকার গোপন পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ভারতের বিমান হামলার পর ওই অঞ্চলগুলিতে মার্কিন উপস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টভাবে বেড়ে যায় বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও, যেখানে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন, নুর খান এয়ারবেস এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। তাদের কোনও কিছু করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেসে আমেরিকার কার্গো আসা-যাওয়া করত। ওই কার্গোর ভিতরে কী থাকে, সেই সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাও জানে না। একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা। অর্থাৎ এখন পাকিস্তানের এয়ারবেসের ভিতরে কী হচ্ছে, তা পাকিস্তান নিজেই জানতে পারছে না। আমেরিকা এই এয়ারবেসের কার্যত দখল নিয়ে নিয়েছে। তাই পাকিস্তানকে ভেঙে পড়তে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিরাপদ নয়। প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক দীপক ভোরার মতে, আসলে পাকিস্তানের নিজের বলে কিছুই নেই পুরোটাই অন্যের থেকে নেওয়া।

    ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসা

    দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প (Trump Munir Meet) পরিবারের পাকিস্তানে বড়সড় ক্রিপ্টো ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলে গুঞ্জন। পাকিস্তানের মুদ্রার প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাওয়ায় অনেকেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছেন। এই নতুন বাজারে প্রবেশের একটি সুবর্ণ সুযোগ দেখছে ট্রাম্প পরিবার। পাকিস্তানে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রবেশ করছে ট্রাম্প পরিবার-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’ (ডব্লিউএলএফ)। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ডিফাই ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানির ৬০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই পুত্র এরিক ট্রাম্প ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের হাতে। ডব্লিউএলএফ-এর সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন জ্যাকারি উইটকফ, যিনি ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার স্টিভ উইটকফের পুত্র। কোম্পানিটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি, স্টেবলকয়েন এবং ডিফাই খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    ২০২৫ সালের ২৬ এপ্রিল, ইসলামাবাদে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের উদ্যোগে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ (প্রস্তাবপত্র) সই করে ডব্লিউএলএফ। এই কাউন্সিলটি গঠিত হয় মাত্র এক মাস আগে, যার নেতৃত্বে আছেন বিলাল বিন সাকিব – পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্পদ টোকেনাইজেশন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্সের জন্য স্টেবলকয়েন চালু এবং ডিফাই পাইলট প্রকল্পের জন্য নিয়ন্ত্রক স্যান্ডবক্স তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব রক্ষা করা আমেরিকার নিজেদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহ

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও ট্রাম্প (Trump Munir Meet) কাছে টানছেন মুনিরকে। আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিলে হয়তো ইরানের পাশের দেশ পাকিস্তানে ফের ঘাঁটি গাড়তে চাইবে তারা। সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে বাধ্য করছে আমেরিকা। ইসলামিক বিশ্বের যে কথা এতদিন ইসলামাবাদ বলে এসেছে। তা-ও আসলে ভাঁওতা। ইসলামিক বিশ্বে সংঘাত একটি জটিল সমস্যা। তা সে শিয়া-সুন্নি বিভেদই হোক বা বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্খা। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলেও কিছু নেই — আছে কেবলমাত্র স্থায়ী স্বার্থ। ভূরাজনীতির জগৎ আবেগের উপর নির্ভর করে না, বরং জনগণের চাহিদার উপর নির্ভর করে। একটি দেশের জন্য যা কিছু ভালো তা তার স্থায়ী স্বার্থ এবং যে দেশ এটি অর্জনে তাকে সহায়তা করে সেই দেশ তার বন্ধু। এই নীতিকেই সামনে রেখে ভারতও তার বিদেশনীতি পরিচালনা করছে, যেখানে দেশের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হচ্ছে।

  • Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) হানায় কাঁপছে ইরান। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইরানের হেভি ওয়াটার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরে। এই হেভি ওয়াটার, যার বিজ্ঞানের ভাষায় নাম হল ডিউটেরিয়াম অক্সাইড (D2O), সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় যে বিক্রিয়ায় নিউট্রনের গতিকে ধীর করার জন্য। এখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ইউরেনিয়াম। এই পদ্ধতিতে তৈরি হয় ২৩৯-প্লুটোনিয়াম, যারই মাধ্যমে তৈরি হয় পরমাণু বোমা। দেখা যায় ভারত অথবা উত্তর কোরিয়া এভাবেই তৈরি করেছে তাদের পরমাণু অস্ত্র।

    আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে

    এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ইজরায়েলের (Israel) ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে যে, তারা অত্যন্ত কৌশলগতভাবে এই এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে এবং তা আরক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরকে ধ্বংস করতে চালানো হয়েছে। কারণ তারা প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন বন্ধ করতে চেয়েছিল। কারণ এই প্লুটোনিয়ামের মাধ্যমেই ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জানা যায়, ইরান এই আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু করে আজ থেকে ২২ বছর আগে, ২০০৩ সালেই। কিন্তু কোনও রকমের বৈধ ছাড়পত্র তারা পায়নি এই কাজের। এই আরক রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার জন্য তাদেরকে কোনও অনুমতি দেয়নি ইন্টারন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স। কিন্তু তারপরেও গোপনে এই কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছে ইরান।

    ব্যর্থ হয় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    পরবর্তীকালে ইজরায়েল এবং ইরানের যুদ্ধ শুরু হলে তেল আভিভ থেকে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে একটি সম্প্রচার করা হয়। এই সম্প্রচারের মাধ্যমে তারা জানায় যে, আরকে অবস্থিত নাগরিকরা যেন তাড়াতাড়ি সেই স্থান খালি করেন। তারা আরও জানায় যে, সেখানে যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে সেগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। জানা যায়, অত্যন্ত উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজরায়েল হামলা চালায় ওই পরমাণু কেন্দ্রে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও ইজরায়েলের হামলাকে রুখতে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়।

    পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম ধ্বংস

    ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম পরবর্তীকালে মেনে নেয় যে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে ওই কেন্দ্রে। তারা আরও বলে যে ইজরায়েলের ঘোষণার পরেই খালি করে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ আরককে এবং সেখানে বর্তমানে কোনও তেজস্ক্রিয় বিপদ নেই। এখনও পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ যে ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম, তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ইজরায়েলের হানায় এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উয়েপন-গ্রেড প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন।

    ইরাক ও সিরিয়াতেও এমন হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল

    প্রথমেই তবে ইরানের ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায়নি ইজরায়েল (Israel)। যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক ৭ দিনের মাথায়, যখন ইরান বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের হাসপাতালে। তারপরেই প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। তাঁদের দেশের অসামরিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইরান। এনিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধা্নমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অভিযোগ করেন, “এই মুহূর্তে ইরানের সরকার আমাদের অসামরিক এলাকাগুলিতে হামলা চালাচ্ছে (Israel)। কিন্তু আমরা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করছি। তারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, আমেরিকার দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছে, বেইরুটে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনকে সালে বহ হত্যা করেছে, এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার আমেরিকানকে হত্যা করেছে।” এরপরেই ইরানের (Iran) ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইজরায়েল এমন হামলা চালিয়েছিল ১৯৮১ সালে ইরাকের অসিরাক রিঅ্যাক্টরে, পরবর্তীকালে ২০০৭ সালে সিরিয়াতে। এরপরেই ২০২৫ সালে এই একই হামলা দেখা গেল ইরানে।

    কী বলছেন ইরানের রাজনৈতিক নেতারা?

    ইরানের (Iran) রাজনৈতিক নেতারা ইজরায়েলের এমন হানাকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাঁরা জানিয়েছেন যে, এভাবেই তারা (ইজরায়েল) আন্তর্জাতিক আইনকে না মেনে এমন কাজ করেছে। ইজরায়েলের এমন হানার পরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেইকে একটি সরাসরি সম্প্রচারে আসতে দেখা যায়। সেখানে তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং বলেন যে, ইজরায়েল যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার প্রত্যাঘাত হবেই। আমরা তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেব। এই আবহে ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে এই যুদ্ধে ইরান ব্যবহার করতে পারে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে এবং ইরাকের জঙ্গি সংগঠন শিয়া মিলিশিয়াকে।

  • Operation Sindoor: ‘‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ভারত’’, স্বীকার পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর

    Operation Sindoor: ‘‘আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ভারত’’, স্বীকার পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঁদুরে (Operation Sindoor) মেঘ দেখেছিল পাকিস্তান। শাহবাজ শরিফের পর ইশাক দার। পাক প্রধানমন্ত্রীর পর উপপ্রধানমন্ত্রীও মেনে নিলেন ভারতের হামলায় (India-Pakistan Conflict) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি। সেদেশের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি পরিষ্কার স্বীকার করেছেন তাঁদের দুই গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটি, রাওয়ালপিন্ডির নুর খান এয়ারবেস এবং শোরকোট বিপর্যস্ত হয়েছে অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কায়। এর আগে পাকিস্তানের সেনা ও সরকার নয়াদিল্লির প্রত্যাঘাতকে প্রকাশ্যে মানতে চাননি।

    সৌদি যুবরাজের ফোন

    গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছিল ভারত। জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশাক দার সেই অভিযানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দেন। অতীতে পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনী বারবার এই হামলার ফলে ক্ষয়ক্ষতির কথা অস্বীকার করে আসছিল। এই আবহে পাক উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানও ভারতকে (India-Pakistan Conflict) জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত আঘাত হানে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, ভারতের হানার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই সৌদি যুবরাজ ফয়সল বিন সলমন নাকি ফোন করে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘আমি কি জয়শঙ্করকে বলব পাকিস্তান থেমে যেতে চাইছে?” সৌদি আরবও যে নীরবে ভারত-পাক সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করেছিল, সেটাই ফুটে উঠেছে পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর দাবিতে।

    ট্রাম্পের দাবি খারিজ

    মে মাসের শেষদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। তাঁকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, পাকিস্তান সেদিন সকালে হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে ভোর রাতে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এবার সেই একই কথা বললেন ইশাক দারও। অর্থাৎ, ভারতের প্রত্যাঘাতে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছেন। তবে ভারত প্রতিবারই তাঁর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের দাবি যে ঠিক নয় তা-ও ফুটে উঠল পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর কথায়। ইশাক দার বলেন, ‘‘সৌদি প্রিন্স ফয়সল বিন সলমন আমাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কিনা। তিনি জয়শঙ্করকে ফোন করে জানান, পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan Conflict) থামতে প্রস্তুত।” তখন দিল্লি জানিয়েছিল, পাকিস্তান যদি সংঘাত বন্ধ করতে চায়, তাহলে তাদের সরাসরি ভারতের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেই মতো এরপরই সামরিক চ্যানেলে পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতের কাছে সংঘাত বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছিল। আর তাতে সাড়া দিয়েই ভারত হামলা বন্ধ করেছিল।

  • Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে ইজরায়েল। ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইহুদি দেশটি। এর পরমাণু কেন্দ্র, সামরিক কেন্দ্র এবং গোয়েন্দা পরিকাঠামোগুলিতে বড় আঘাত হানে তারা (Nuclear Blueprints)। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হানায় ২২৪ জন ইরানির মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্র দাবি করছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান এই যুদ্ধ রাতারাতি শুরু হয়নি। এর বীজ বহু বছর আগে থেকেই পোঁতা শুরু হয়েছিল ইজরায়েল। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির রাতে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ-এর এজেন্টরা ছোট্ট দলে গঠন করে ইরানের রাজধানী দক্ষিণ তেহরানের একটি গুদামে প্রবেশ করে। নিরাপত্তা রক্ষী আসার আগেই অপারেশন শুরু করে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা। তখন তাদের হাতে সময় ছিল ৬ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। এক বছর ধরে ওই গুদামের নজরদারি চালায় মোসাদ (Mossad)। তারপরে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয় যাতে নির্ধারণ করা যায়, কতটা সময় পাবে ওই গুদামে ঢোকার জন্য।

    হাতানো হয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র

    ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার (Mossad) এখান থেকে হাতিয়ে নেয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র, পরিকল্পনা নিয়ে লেখা অনেক নথি ছিল। এই সবই ইরান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিল এবং এগুলো ছিল ইরানের পরমাণু অস্ত্রের সম্পর্কিত। জানা যায়, এরপরে মোসাদের এজেন্টরা অত্যন্ত গোপনে সেই গুদাম ত্যাগ করে (Nuclear Blueprints)। তারা এমন টর্চ ব্যবহার করে যাতে কারও নজরে না আসে। এভাবেই তারা ইরানের বোমার নকশা হাতিয়ে নেয়। পরে জানা যায়, যে পরিমাণ উপাদান তারা সেই গুদাম থেকে নিয়ে এসেছিল, তার ওজন হয় ৫০০ কেজি।

    নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দেখে চুরি গিয়েছে নথি (Mossad)

    প্রসঙ্গত, ওই গুদামের ছিল কঠোর নিরাপত্তা। রক্ষীরা কীভাবে কাজ করবে, কতক্ষণ ডিউটি করবে, কীভাবে নজরদারি চালাবে—তা সূক্ষ্মভাবে দেখভাল করা হতো প্রতিদিন। এছাড়াও সেখানে ছিল অ্যালার্ম সিস্টেম—অর্থাৎ, অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে পড়লে গোটা গুদাম জুড়ে শুরু হয়ে যেত অ্যালার্ম। কিন্তু ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিস তা অকেজো করতে সক্ষম হয়। ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিসের এই অভিযান বাস্তবিকপক্ষে কোনও সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। সকাল পর্যন্ত মোসাদের চুরি ধরতেই পারেনি ইরানের সরকার। এর পরে, যখন প্রহরী বা নিরাপত্তারক্ষী এসে দেখে যে দরজা ভাঙা এবং সমস্ত কিছু খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তখন তারা বুঝতে পারে যে চুরি হয়েছে।

    মঞ্চে দাঁড়িয়ে নথি প্রকাশ করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

    এই ঘটনার ঠিক একেবারে তিন মাস পরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠেন বক্তব্য রাখতে। তখনই তিনি একটি কালো ফোল্ডার এবং ডিস্কের স্তূপ নিয়ে ওঠেন এবং সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন মোসাদের এই সাফল্যের কথা। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান বিশ্বের কাছে মিথ্যা কথা বলেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কারবার করছে এবং পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অনেক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য হিসেবে ইরান, নেতানিয়াহুর দেখানো সেই আর্কাইভকে জাল বলে উড়িয়ে দেয়।

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

  • Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    Pakistan: ইরানের পিঠে ছুরি মারতে কি গোপনে আমেরিকাকে সাহায্য করছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানকে সমর্থন করেছে আরও এক মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান (Pakistan)। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক বলে মনে হলেও, আদতে তা নয় বলেই (Viral Posts) দাবি সোশ্যাল মাধ্যমে একাধিক ভাইরাল হওয়া পোস্টে। এই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়ালেও, আসলে গোপনে বন্ধু ইরানকে পিছন থেকে ছুরি মারতে চায় ইসলামাবাদ! ভাইরাল হওয়া কোনও কোনও পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান আসলে আমেরিকাকে সাহায্য করছে ইরানের ওপর নজরদারি চালিয়ে।  এ নিয়ে কিছু প্রমাণও দেখানো হয়েছে। ওই সব পোস্টের বক্তব্য, ইজরায়েলি হামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ইরানকে সমর্থন করার পর পাকিস্তান ছুরি মেরেছে ইরানের পিঠে।

    ইউজারের পোস্ট (Pakistan)

    এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার একটি পোস্টে বলেছেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটেলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোড ব্যবহার করে ইরানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে দিচ্ছে। ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলির একটিতে, ফ্লাইটরাডার২৪-এ বিএসিএম ১১-৯০০১ বিমানটি দেখা যাওয়ার একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ, সোমবার ইজরায়েলি হামলার জন্য ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র আইআরআইসি-র তেহরানে অবস্থিত সদর দফতরের স্থানাঙ্ক পাকিস্তানের সহায়তায় সরবরাহ করা হয়েছে ইজরায়েলিদের। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারের তরফে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। ব্যাটলফিল্ড এয়ারবোর্ন কমিউনিকেশনস নোডকে একটি উড়ন্ত গেটওয়ে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফোরকাস্ট ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসিএন হল একটি সামনের সারির বিমানে রাখা যোগাযোগ পুনঃপ্রেরণ এবং নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক তথ্য বিনিময়ের মাধ্যম, যা বহু সামরিক, সরকারি ও বেসরকারি যোগাযোগ ব্যবস্থার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে (Pakistan)।

    ইরানের পিঠে ছুরি!

    পাকিস্তান ইরানের পিঠে ছুরি মারতে পারে এমন কিছু ভাইরাল পোস্ট সামনে এল ঠিক সেই সময়, যখন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা। মুনির বর্তমানে পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকায় রয়েছেন। তাঁর মূল লক্ষ্য হল, দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। এই সফরে মুনিরকে আমেরিকায় পড়তে হয়েছে বিক্ষোভের মুখে। পাক নাগরিক এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের একটা অংশ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান (Viral Posts)। মুনির “পাকিস্তানের অপরাধী স্বৈরাচার” ও “ফ্যাসিবাদের সমর্থক” বলেও স্লোগান দেন তাঁরা। মুনিরকে “গণহত্যাকারী” বলেও দেগে দেন বিক্ষোভকারীরা।

    মুনিরকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে বলা হয়, “ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসকারী পাকিস্তানি-আমেরিকানরা ফোর সিজনস হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, জেনারেল আসিম মুনিরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে তাঁর করা অপরাধের কথা (Pakistan)।” প্রসঙ্গত, এর আগে এই সপ্তাহেই ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা জেনারেল মোহসেন রেজায়ী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “যদি ইজরায়েল ইরানের ওপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালাবে। এই মন্তব্যের পর পাকিস্তান অবশ্য দ্রুত তা অস্বীকার করে এবং জানিয়ে দেয়, তারা এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি ইরানকে দেয়নি।

    পাকিস্তানের বক্তব্য

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের এক সিনিয়র অফিসার এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য বলেন, “ইজরায়েল যদি ইরানের ওপর পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে, তাহলে পাকিস্তান ইজরায়েলের ওপর পারমাণবিক হামলা চালাবে — এমন আশ্বাস আমাদের দিয়েছে পাকিস্তান।” যদিও এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মহম্মদ আসিফ বলেন, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি তারা দেয়নি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের পারমাণবিক সক্ষমতা আমাদের জনগণের কল্যাণ এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য, শত্রুদের শত্রুতামূলক পরিকল্পনার বিরুদ্ধে (Viral Posts)। আমাদের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের কোনও নীতি নেই, যা ইজরায়েল বর্তমানে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করছে (Pakistan)।”

    ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পশ্চিমের বালুচিস্তান প্রদেশে ৯০৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ইরান-পাকিস্তানের। গত বছরের জানুয়ারি মাসে সেই বালুচিস্তান সীমান্তেই সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল ইরান ও পাকিস্তান। ওই প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-আল-আদেলের ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করে মিসাইল ছুড়েছিল ইরান। পাকিস্তানও পাল্টা মিসাইল ছোড়ে ইরানে। যদিও ইরানে বালুচ বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলেই সেই সময় দাবি করেছিল ইসলামাবাদ।

    ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েলের সম্প্রতিক বিবাদে মূলত বালুচিস্তান নিয়েই শঙ্কিত পাকিস্তান। এমনিতেই সেখানে বালুচ বিদ্রোহীদের কার্যকলাপ নিয়ে চিন্তা রয়েছে পাকিস্তানের। তার ওপর যদি প্রাণ বাঁচাতে ইরান থেকে বহু মানুষ দলে দলে সেখানে ভিড় করে, সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হতে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান (Viral Posts)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। তাই আমেরিকাকে চটানো পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয় (Pakistan)।

    অতএব, …

  • Khalistani Extremists: কানাডা এখন ভারত-বিরোধী উপাদানের নিরাপদ আশ্রয়, অবশেষে কবুল সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার

    Khalistani Extremists: কানাডা এখন ভারত-বিরোধী উপাদানের নিরাপদ আশ্রয়, অবশেষে কবুল সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের দাবিকেই মান্যতা দিল কানাডার (Canada) নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিল, কানাডা এখন ভারতবিরোধী উপাদানের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে ভারতকে লক্ষ্য করে হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রচার, তহবিল সংগ্রহ এবং পরিকল্পনার জন্য কানাডার মাটি ব্যবহার করছে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা (Khalistani Extremists)। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডাকে একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হিংসার প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং পরিকল্পনার জন্য, যার প্রধান লক্ষ্য হল ভারত।”

    নয়াদিল্লির অভিযোগ (Khalistani Extremists)

    সিএসআইএসের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেই এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। কানাডার এই প্রতিবেদন ভারতের দীর্ঘদিনের অভিযোগকে সমর্থন করে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, কানাডা থেকে পরিচালিত খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলির উপস্থিতি ও কার্যকলাপ ভারতবিরোধী। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, “১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে কানাডায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিংসাত্মক উগ্রপন্থীদের (PMVE) হুমকি প্রধানত কানাডা-ভিত্তিক খালিস্তানি উগ্রপন্থীদের (CBKEs) মাধ্যমেই দেখা যাচ্ছে, যারা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলের মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের লক্ষ্যে হিংসাত্মক উপায় অবলম্বন ও সমর্থন করে চলেছে।”

    সিএসআইএসের প্রতিবেদন

    সিএসআইএসের প্রতিবেদনে কানাডাভিত্তিক খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের একটি ছোট গোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে, যারা এখনও তাদের লক্ষ্য পূরণে হিংসার পথ অবলম্বন করে চলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “একটি ছোট গোষ্ঠীর মানুষকে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ তারা এখনও কানাডাকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারতের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রচার এবং অর্থসংগ্রহের জন্য। বিশেষভাবে, কানাডা থেকে উদ্ভূত প্রকৃত ও কল্পিত খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা ভারতে বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে কানাডা থেকে পরিচালিত করে চলেছে।” রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসায় বিশ্বাসী এই গোষ্ঠীগুলি কানাডাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে হামলার পরিকল্পনা ও প্রচার করে চলেছে।

    কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার ‘স্বীকারোক্তি’

    বস্তুত, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার এই ‘স্বীকারোক্তি’ এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন নয়াদিল্লি ও অটোয়ার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে, বিশেষ করে ২০২৩ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি (Canada) হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে (Khalistani Extremists)। কানাডা প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারত সরকারের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছে। যদিও নয়াদিল্লি তা অস্বীকার করে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কানাডার দাবি অযৌক্তিক। কানাডার বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে নয়াদিল্লি। সিএসআইএসের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত সরকার খালিস্তানপন্থীদের আন্দোলন দমন করতে বিদেশে হস্তক্ষেপমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকায় কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করাও।

    কানাডা সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সম্প্রতি দু’দিনের জন্য কানাডা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য, জি৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এবার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল কানাডা। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সম্মেলনেই যোগ দিতে কানাডায় গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এই বৈঠকের সময়ই ফাঁস হয়ে যায় কানাডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েন কার্নি। মুখের হাসি চওড়া হয় মোদির (Khalistani Extremists)। জানা গিয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রীই নয়া হাইকমিশনার নিয়োগ ও বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরুর মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে রাজি হন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে ভারত-কানাডা তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক ফের মজবুত হতে পারে।

    ভারতের প্রাসঙ্গিকতা 

    শিখ অধিকারকর্মী ও কিছু কানাডীয় সাংসদের সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কার্নি বলেন, “ভারতের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও গঠনমূলক সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না (Canada)।” সিএসআইএসের প্রতিবেদনে এও জানানো হয়েছে, চরমপন্থী খালিস্তানপন্থীরা কানাডার জাতীয় নিরাপত্তার ওপর বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে। যদিও ২০২৪ সালে কানাডার মাটিতে কোনও খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী হামলার ঘটনা ঘটেনি, তবুও বিদেশে এসব গোষ্ঠীর হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্ত থাকা কানাডিয়ান নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে রয়ে গিয়েছে (Khalistani Extremists)।

    খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী সংগঠন

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কানাডার মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে প্রায় ৫টি খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী সংগঠন। কানাডার মাটি থেকেই তারা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বিরোধী নানা কার্যকলাপ। কানাডায় একাধিক মন্দিরে ভারত বিরোধী স্লোগানও লিখেছিল খালিস্তানপন্থীরা। সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ভারতে ফিরে যেতেও বলেছিল খালিস্তানপন্থীরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জমানায় এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি (Canada)।

    এখন দেখার, কার্নি এদের মুখে লাগাম পরাতে পারেন কি না (Khalistani Extremists)!

  • PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপ হোক বা এশিয়া— সংঘর্ষের সমাধান যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ক্রোয়েশিয়ায় (PM Modi in Croatia) ফের একবার শান্তির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি ভারতের অবিচল অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাইপ্রাস, কানাডার পর ক্রোয়েশিয়া সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই গুরুত্বপূর্ণ দেশে মোদির সফর ছিল কর্মব্যস্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ, যা ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

    মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

    বুধবার ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই দেশে মোদি (PM Modi in Croatia) প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পা রাখলেন। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ (Andrej Plenkovic)। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম ত্রিদেশীয় সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ক্রোয়েশিয়া সফর তাঁর তালিকায় আগে থেকেই ছিল। এই সফরে দুই দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সই করেছে।

    ক্রোয়েশিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    ক্রোয়েশিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia)। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে পৌঁছানোর পর, সেখানকার ভারতীয়রা “বন্দে মাতরম” এবং “ভারত মাতা কি জয়” ধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্যও পরিবেশন করা হয়। এদিন সাদা পোশাক পরা ক্রোয়েশিয়ান নাগরিকদের একটি দল ‘গায়ত্রী মন্ত্র’ এবং অন্যান্য সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানান। এই অনুষ্ঠান ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন তুলে ধরে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “সংস্কৃতির বন্ধন দৃঢ় এবং প্রাণবন্ত! জাগরেবে স্বাগত জানানোর একটি অংশ এখানে দিলাম। ক্রোয়েশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির এত শ্রদ্ধা দেখে খুশি হলাম।” আরেকটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জাগরেবে তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনার একটি সুন্দর দুই মিনিটের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও রয়েছে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “জাগরেবে স্মরণীয় স্বাগত, উষ্ণতা এবং স্নেহে পরিপূর্ণ!”

    প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের সঙ্গে বৈঠক

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) জাগরেবে ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে প্লেনকোভিচের সঙ্গে প্রতিনিধি-স্তরের বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে উভয় নেতা বিশ্ব শান্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ওষুধ শিল্প, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিচ্ছন্ন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাহাজ নির্মাণ, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান মোদি। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক বিনিময় এবং শিল্প পর্যায়ের অংশীদারিত্ব থাকবে।

    সফরকালে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে:

    কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা

    ২০২৬-২০৩০ সালের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি

    ২০২৫-২০২৯ সালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি

    জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি চেয়ার স্থাপন

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোরান মিলানোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ায় যোগব্যায়ামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস যথাযোগ্য উৎসাহে পালিত হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। তিনি এপ্রিল ২২ তারিখে ভারতের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ক্রোয়েশিয়ার জনগণ ও সরকারের সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

    ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা

    প্রধানমন্ত্রী প্লেনকোভিচ জাগরেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Croatia) সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়। বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, এই সফর ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে যা শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে, বলে মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

LinkedIn
Share