Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Modi Biden Meeting: “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    Modi Biden Meeting: “ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আস্থার সম্পর্ক”, বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টোকিওতে চলছে কোয়াড বৈঠক (Quad summit)। তারই ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের দুই রাষ্ট্রপ্রধান। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) বলেন, “ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক (India US relation) সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য বিষয়েও বিভিন্ন সময় দুই দেশ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে।” 

    ইউক্রেনের (Ukraine) ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের এদিন কড়া নিন্দা করেছেন বাইডেন (Joe Biden)। এবিষয়ে ভারতের (India) অবস্থানের প্রশংসা করেছেন তিনি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের (Ukraine Russia war) ফলে যেভাবে গোটা বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

    আরও পড়ুনঃ বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে যখন আমেরিকা হুঁশিয়ারি জারি করেছিল, যে দেশ রাশিয়াকে সমর্থন করবে তারাই আমেরিকার শত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে। এমতাবস্থায় ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনার নিন্দা করেছিল গোটা বিশ্ব। অনেকেরই মনে হয়েছিল এবার আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হবে। এই ঘটনার কোনওরকম প্রভাব যে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে পড়বে না এদিন তা পরিস্কার করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, কোনও দেশের রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেটা আমেরিকার দেখার বিষয় না।

    আরও পড়ুনঃ ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    কোভিড (covid-19) পরিস্থিতি সামলানোর বিষয়েও মোদিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বাইডেন। চিন (China) যে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অসফল হয়েছে সেকথাও এদিন বলেন মার্কিন প্রধান। 

    [tw]


    [/tw]

    জো বাইডেন আরও বলেন, “এমন অনেক কিছু আছে যা আমাদের দুই দেশ একসঙ্গে করতে পারে এবং করবেও। মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্ব তৈরির লক্ষ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি এও বলেন যে, “আমি খুশি যে আমরা ভারতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা, ক্লিন এনার্জি উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ করতে পেরেছি। আমি আনন্দিত যে আমরা ভারত-মার্কিন ভ্যাকসিন অ্যাকশন প্রোগ্রাম পুনর্নবীকরণ করছি।” 

    কোয়াড বৈঠকের পরে আধঘণ্টা বৈঠক করেন মোদি-বাইডেন। এর আগে শেষ এপ্রিলে একসঙ্গে হয়েছিলেন এই দুই নেতা। 

       

  • Modi in Germany: “আর চলছে-চলবে নয়, করতে হবে-তে বিশ্বাস রাখে ভারত”, মিউনিখে মোদি

    Modi in Germany: “আর চলছে-চলবে নয়, করতে হবে-তে বিশ্বাস রাখে ভারত”, মিউনিখে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি-৭ বৈঠকে (G7 summit) যোগ দিয়ে পশ্চিমের দেশগুলিকে ভারতের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বার্তা, গত শতাব্দীতে জার্মানি (Germany) এবং অন্য দেশগুলি শিল্প বিপ্লব থেকে উপকৃত হয়েছিল। ভারত তখন পরাধীন ছিল। সেই কারণে সুবিধা আদায় করতে পারেনি। কিন্তু এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে (4th Industrial revolution) পিছিয়ে থাকবে না ভারত। তারাই এখন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার সকালে জার্মানি পৌঁছেছেন মোদি (Modi in Germany)। এ বারের বৈঠকের জন্য জার্মানিতে দু’দিন কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গেও মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা রয়েছে।

    রবিবার, মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে জরুরি অবস্থার  প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী কংগ্রেসকে (Congress) আবার কোণঠাসা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি এদিন বলেন, “ভারতীয়দের ডিএনএতে রয়েছে গণতন্ত্র। কিন্তু ৪৭ বছর আগে জরুরি অবস্থা (1975 Emergency) জারি করা ছিল স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে কলঙ্কময় দিন।” তাঁর কথায়, “আজকের ভারত হল উন্নয়নের ভারত।” মোদি বলেন, “ভারত এখন প্রস্তুত, প্রস্তুত এবং অধৈর্য। ভারত অধৈর্য, ​​উন্নতির জন্য, উন্নয়নের জন্য। আজকের ভারত ‘চলছে-চলবে’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজকের ভারত করছি-করতে হবেতে বিশ্বাস রাখে।” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের প্রায় সমস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক কোভিডের (COVID-19) ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ভারতের ভ্যাকসিন (Indian vaccine) গোটা পৃথিবীকে দিশা দেখিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।এছাড়াও ডিজিটাল টেকনলজিতে দেশের অগ্রগতির প্রসঙ্গেও কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। এইসঙ্গে জানান, গত ২ বছর ধরে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে সরকার। দেশের গ্রামগুলিতে শৌচালয়ের বন্দোবস্ত হওয়ায় খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মোদি বলেন, “আজ ভারতের প্রায় প্রতিটি গ্রাম সড়কপথে সংযুক্ত। আজ ভারতের ৯৯ শতাংশেরও বেশি মানুষের কাছে রান্নার জন্য গ্যাস সংযোগ রয়েছে। আজ ভারতের প্রতিটি পরিবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত। ” এদিন ধর্মনিরপেক্ষ, বৈচিত্রময় ভারতের বার্তা দেন তিনি। খাদ্য, পোশাক, সঙ্গীত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের কথা উল্লেখ করেন। এইসঙ্গে উন্নয়নের খতিয়ান দেন।

    জলবায়ু, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসাম্য এবং গণতন্ত্র-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতি বছর জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৈঠক  হয়। ভারত এই গোষ্ঠীর দেশ নয়। অন্য কয়েক বছরের মতো, এ বছরও পর্যবেক্ষক বা আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে অংশ নিয়েছে ভারত। এ বছর প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ ( German Chancellor Olaf Scholz)। সোমবার তাঁর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা মোদির। মঙ্গলবার জার্মানি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

  • Visas for Afghan students: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    Visas for Afghan students: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পড়াশোনা করতে আফগানিস্তানের ছাত্রদের ভিসা পুনরায় দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানাবে তালিবান। আফগান ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের এই আশ্বাস দিয়েছেন আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। ছাত্রদের তিনি আশ্বাস দেন তাঁরা শীঘ্রই ভারতে এসে নিজেদের পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন। এ বিষয়ে দ্রুত ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলবে তালিবান,  জানিয়েছেন আফগান বিদেশমন্ত্রী। 
     
    বর্তমানে ভারতের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৩ হাজার আফগান ছাত্র পড়াশোনা করে। করোনার কারণে ভারত থেকে তাদের মধ্যে ২ হাজার জন আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েছিল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই আফগানিস্তানের রাজনৈতিক চিত্র বদলে যায়। তালিবানরা দেশ দখল করে। ফলে ভারত সরকার আফগান ছাত্রদের ভিসা দিতে অস্বীকার করে। করোনার সময় ক্লাস চলছিল অনলাইনে। তাই অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন আর পরিস্থিতি আগের মতো নেই। তাই,অফলাইনে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন ক্লাস হচ্ছে। সমস্যায় পড়েছে আফগান ছাত্ররা।

    আরও পড়ুন: দলাই লামাকে মোদির ফোন! জন্মদিনে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর দীর্ঘায়ু কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোভিডের পর ভারত সরকারের তরফ থেকে ই-ভিসার কথা ঘোষণা করা হলে বহু আফগান পডুয়া আবেদন জানায়। আজ প্রায় সাত মাস হল, ভারতীয় দূতাবাস ভিসা দিচ্ছে না বলে দাবি আফগান ছাত্রদের। ই-ভিসা দিতে দেরি করায় কয়েকদিন আগে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভও দেখায় শতাধিক পড়ুয়া। তাদের সকলের হাতেই ছিল পোস্টার। ছাত্রদের দাবি,পড়াশোনার সঙ্গে রাজনীতি করা উচিত নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। সংখ্যাগরিষ্ঠ পড়ুয়ার মতে, আফগানিস্তানে যেহেতু শাসন ক্ষমতায় বদল ঘটেছে, সে কারণে ভারতীয় দূতাবাস ভিসা দিতে দেরি করছে। 

    আরও পড়ুন: কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    গত আট মাস ধরে কয়েক হাজার আফগান পড়ুয়া ভারতে আসতে পারছেন না। তাই এই বিষয়ে তালিবান সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেন ছাত্ররা।  বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানান, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। তাঁদের শিক্ষার বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে শীঘ্র কথা বলা হবে। 

  • China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা ছিল প্রজেক্ট হবে ১৫টি। খরচ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে (China Pakistan Economic corridor) মোট ১৫টি প্রজেক্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৩টি। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার।

    ২০১৩ সালে চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি হয়। ৪৬ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন এই করিডর তৈরির চুক্তি চূড়ান্ত করে। পরে বিনিয়োগ আরও বাড়ে। শেষ হয় চিনের কাশগড় থেকে কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে পাকিস্তানের গ্বাদর (Gwadar) পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ। করিডর বরাবর পরিকাঠামোও তৈরি হয়েছে। শেষ হয়েছে আরও দুটি প্রকল্প। তবে বাকি ১২টি প্রকল্পের কাজ বিশ বাঁও জলে। এর মধ্যে রয়েছে জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টও। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার। তবে কাজ ঠিকঠাক গতিতেই এগোচ্ছে বলে দাবি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের।

    কথা ছিল, প্রজেক্টের ৯০ শতাংশ টাকাই খরচ করবে ড্রাগনের দেশ। বাকি টাকা দেবে পাক সরকার। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, চিনের আগ্রহের তালিকায় থাকা ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকিগুলির কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউ জানে না। এই অর্থনৈতিক করিডরের একাংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। যার প্রতিবাদও জানিয়েছে ভারত। তবে ভারতের ওই প্রতিবাদ কানে তোলেনি পাক সরকার।

    প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাক ব্যবসায়ীদের তরফেও। জানা গিয়েছে, করিডর বেয়ে হু হু করে পাকিস্তানে ঢুকছে সস্তার চিনা পণ্য। আর পাকিস্তানের পণ্য চিনে ঢুকছে অত্যন্ত কম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক ব্যবসায়ীরা। করিডর অথরিটিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি বলেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় সংস্থা। যে কেবল দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।

     

  • Rahul Gandhi: “আপনার নীতি ভুলে ভরা, ধ্বংসাত্মক…”, কেমব্রিজে রাহুলকে তোপ ভারতীয় অফিসারের

    Rahul Gandhi: “আপনার নীতি ভুলে ভরা, ধ্বংসাত্মক…”, কেমব্রিজে রাহুলকে তোপ ভারতীয় অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ‘ইউনিয়ন অফ স্টেট’ তত্ত্বকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করালেন ভারতের এক সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাকে দেশাত্মবোধের পাঠ পড়ালেন তিনি। ওই ভারতীয় সিভিল সার্ভেন্ট আধিকারিকের নাম সিদ্ধার্থ বর্মা।  তিনি IRTS অ্যাসোসিয়েশনের একজন সিভিল সার্ভেন্ট এবং কেমব্রিজে পাবলিক পলিসির একজন স্কলার।

    সাম্প্রতিককালে নানা অনুষ্ঠানে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেট’ তত্ত্ব খাড়া করছেন রাহুল। যা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও বিতর্ক অব্যাহত। রাহুলের বক্তব্য, ভারত কোনও দেশ নয়, বরং এটি রাজ্যের সমষ্টি। সংসদে দাঁড়িয়েও এই কথা বলেছিলেন তিনি। সম্প্রতি লন্ডনে একটি কনক্লেভে একই মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই এক কেমব্রিজ স্কলার পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাহুলের দিকে। সেই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়ে চাণক্যের উদাহরণ তুলে ধরেন রাহুল। 

    রাহুলকে সিদ্ধার্থের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মনে হয় না, ভারত সম্পর্কে আপনি যে ধারণা পোষণ করেন তা ভুল?’ রাহুলকে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘আপনি সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করেছেন যে ভারত রাজ্যগুলির একটি ইউনিয়ন। আপনি যদি পৃষ্ঠাটি উলটে নিয়ে প্রস্তাবনাটি পড়েন তবে তাতে দেখবেন ভারতকে একটি জাতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারত নিজেই বিশ্বের প্রাচীনতম টিকে থাকা সভ্যতাগুলির মধ্যে একটি। এবং এই শব্দটি বেদেও রয়েছে… এমনকি চাণক্য তক্ষশিলায় শিক্ষাদানের সময় তাঁর ছাত্রদের কাছে ভারতকে একটি জাতি হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।’

    [tw]


    [/tw]

    এই যুক্তির জবাবে রাহুল বলেন, ‘চাণক্য ভারতকে জাতি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, তবে দেশ হিসেবে কি উল্লেখ করেছিলেন?’ এর জবাবে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘চাণক্য রাষ্ট্র শব্দটির প্রয়োগ করেছিলেন। যার অর্থ দেশ।’ যদিও রাহুল নিজের বক্তব্যকে সঠিক প্রমাণ করার মরিয়া প্রচেষ্টায় দাবি করেন, ‘রাষ্ট্র মানে রাজ্য (kingdom), দেশ নয়।’ 

    এর উত্তরে সিদ্ধার্থ রাহুলকে বলেন, ‘আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে, আপনি কি মনে করেন না যে ভারত সম্পর্কে আপনার ধারণাটি কেবল ত্রুটিপূর্ণ এবং ভুলই নয় বরং ধ্বংসাত্মকও বটে। কারণ এটি হাজার বছরের ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার করার চেষ্টা করছে?’এ বিষয়ে আর কোনও উত্তর দেননি রাহুল।

  • IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    IMF on Wheat export ban: ভারতকে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি আইএমএফ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার (Wheat export ban) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আরজি জানাল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (International Monetary Fund), সংক্ষেপে আইএমএফ (IMF)।

    সম্প্রতি, দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (World Economic Forum) একটি বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা (Kristalina Georgieva) বলেন, আমি জানি ভারতের প্রায় ১৩৫ কোটি লোককে খাওয়ানো প্রয়োজন। তাপপ্রবাহের জেরে সে দেশে যে কৃষি উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে, তাও জানি। তা সত্ত্বেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি ভারতকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাব। কারণ যত বেশি দেশ রফতানি বিধিনিষেধের দিকে পদক্ষেপ করবে, তা দেখাদেখি অন্যরাও তা করবে। এতে আমরা সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যর্থ হব।

    আরও পড়ুন : গম-ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল ড্রাগনের দেশ!

    প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গত ১৩ মে গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছিলেন জি-৭ (G-7) দেশগুলির কৃষিমন্ত্রীরা। ভারত বিশ্বে অন্যতম বড় গম রফতানিকারী দেশ। তাই গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই বিপাকে পড়ে পশ্চিমের দেশগুলি। জার্মানির কৃষিমন্ত্রী সেম ওজদেমির বলেন, যদি সবাই রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে বা বাজার বন্ধ করতে শুরু করে, তাহলে সঙ্কট আরও বাড়বে। তিনি বলেন, আমরা ভারতকে জি-২০ (G-20) সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। জানা গিয়েছে, জুনে জার্মানিতে হবে জি-৭ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেখানে ভারতকে জি-২০-র দায়িত্ব নেওয়ার সুপারিশ করতে পারে পশ্চিমের দেশগুলি।

    যদিও, ক্রেতা সুরক্ষা ও খাদ্য বিপণন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ট্যুইটারে বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যের এক শতাংশেরও কম গম রফতানি করে ভারত। আমাদের রফতানি নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করবে না। আমরা দুর্বল দেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে রফতানির অনুমতি দিয়ে যাচ্ছি। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাহত জোগান, ভারত থেকে গম কিনবে মিশর

    অবশ্য গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে ভারতের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে চিন (China)। ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে প্রতিবেশী দেশটি বলেছে, ভারত নিজেরাই খাদ্য সঙ্কটে থাকে। আজ পশ্চিমের কোনও দেশ যদি ভারতের মতো বিশ্ব খাদ্য সঙ্কটের (World Food Crisis) মুখে পড়ে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করত, তখন প্রশ্ন উঠত কি? চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জি-৭ দেশগুলিকে ভারতের সমালোচনা না করে নিজেদেরই খাদ্য সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্যসঙ্কট মিটে যাবে না। প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আজ জি-৭ দেশগুলি ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়। তাহলে এই দেশগুলি খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন গম রফতানি বাড়াচ্ছে না? 

     

  • Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    Modi-Macron: মোদি-মাক্রঁর বৈঠক, উঠল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই তিন দিনে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন নর্ডিক দেশগুলির রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে। এই সফরের শেষ দিনে মোদি সাক্ষাৎ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর সঙ্গে। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনা হয়েছে আরও একাধিক বিষয়ে।

    দু’ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আসলে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ হলেও, বকলমে যুদ্ধ হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বে চিড় ধরানোর লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনতে নিষেধ করেছেন একাধিকবার। তাতে কান না দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই চলেছে সাউথ ব্লক। এমন আবহে মোদির ইউরোপ সফর গুরুত্বপূর্ণ বই কি!

    তিন দিনের ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ফান্সে পা রাখেন মোদি। বুধবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসে প্যালেসে বৈঠকে বসেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজে পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করেছেন বলে খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আদতে কোনও পক্ষেরই জয় হবে না বলেও মাক্রঁরকে জানিয়ে দিয়েছেন মোদি। যুদ্ধের দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাবের জেরে আসলে গরিব দেশগুলির ক্ষতি হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির ফ্রান্স ছাড়ার পরেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়ার্ত্রার তরফে। তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বিশ্ব সহ নানা বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিনয় বলেন, দুই রাষ্ট্র নেতার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, মহাকাশ, সিভিল নিউক্লিয়ার সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপরও মাক্রঁ জোর দিয়েছেন বলেও জানান বিদেশ সচিব।     

     

     

  • Pakistan: ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    Pakistan: ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থসংকটে জেরবার দেশ। সংকট কাটাতে এবার চিনকে (China) গিলগিট বাল্টিস্তান (Gilgit Baltistan) লিজ দিতে পারে পাকিস্তান (Pakistan)। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কারাকোরাম ন্যাশনাল মুভমেন্টের চেয়ারম্যান মুমতাজ নাগরি। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নাগরিকে উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে কিছুদিন আগেই দেশবাসীকে চা খাওয়া কমানোর দাওয়াই দিয়েছিলেন শরিফের মন্ত্রিসভার এক সদস্য। এবার প্রকাশ্যে এল জায়গা লিজ দেওয়ার আশঙ্কা। 

    আরও পড়ুন : ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    সম্প্রতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে পাকিস্তানে। ইমরান খানের সরকারের জায়গায় ক্ষমতায় এসেছে শেহবাজ শরিফের সরকার। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। অর্থসংকট কাটাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। দিন কয়েক আগেই এক লপ্তে পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটার প্রতি ৩০ টাকা। দিন কয়েক আগে সংসদের বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, আগের সরকারের ভুল আর্থিক নীতির জন্য আইএমএফ-ও আর পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য করতে চাইছে না।আইএমএফের সব শর্ত পূরণ করলে তবেই মিলবে আর্থিক সাহায্য। এই সময়ই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে মনে করিয়ে দেন, এই সংকট থেকে বেরতে গেলে পাকিস্তানকে আরও অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। 

    আরও পড়ুন : ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রের মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    কাশ্মীরের বেশ খানিকটা অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। দখলীকৃত এই অংশের মধ্যেই পড়ে গিলগিট বাল্টিস্তান। ভারতের থেকে জোর করে দখল করা সেই অংশই পাকিস্তানকে লিজ দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা নাগরির। শোনা যাচ্ছে, শি জিনপিংয়ের সরকার পাকিস্তানকে ২৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এই ঋণের বিনিময়েই কি পাকিস্তান গিলগিট ও বাল্টিস্তান লিজ দিতে পারে ড্রাগনকে? উঠছে প্রশ্ন।  

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

  • LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়াকে (Malaysia) লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft) বা এলসিএ (LCA) বিক্রির বরাতের দৌড়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ভারত (India)। এ ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি (New Delhi) পিছনে ফেলে দিয়েছে চিন (China) ও দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea)।

    জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ার ব্যবহৃত রুশ সুখোই এসইউ ৩০ (Sukhoi Su-30) যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত জিনিসপত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভারতের এই বরাতের মধ্যে। ভারত তার তেজস এলসিএ-র (Tejas LCA) জন্য একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছে মালয়েশিয়া সরকারকে। জানিয়ে দিয়েছে, প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে এটি মালয়েশিয়ার এসইউ ৩০ জেট বিমানের সমতুল্য হতে পারে তেজস।

    আরও পড়ুন : অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনের প্রথম দিন কেমন সাড়া?

    জানা গিয়েছে, এই বিশেষ চুক্তির জন্য অন্য দুই প্রতিযোগী দেশ চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে ভারত। কারণ তাদের সুখোই ফাইটারগুলিতে কাজ করতে রাশিয়ান নির্মাতাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি নেই। বর্তমানে মালয়েশিয়ার ১৮টি এসইউ ৩০ এমকেএম ফাইটার রয়েছে। এগুলি মূলত এমকেআই সংস্করণের মতো। যা ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্যাকেজ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের সরকারের আলোচনার শেষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

    আরও পড়ুন : “অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না”, স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে রাশিয়ার (Russia) ওপর জারি হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তার জেরে প্রভাবিত হয়েছে মালয়েশিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ। এমতাবস্থায় মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী ১৮টি নতুন লাইট ফাইটার জেটের সন্ধান করছে। তাই ভারতীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তার স্বল্প অধিগ্রহণ খরচ এবং উচ্চ প্রযুক্তিগত রেটিং দিয়ে চিন ও কোরিয়াকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে।

    সাউথব্লক একটি আধুনিক এইএসএ রাডার সহ তেজস এমকেওয়ানএ (Tejas Mark 1A) সংস্করণটির প্রস্তাবও দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করতে মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর বর্ষীয়ান কয়েকজন সদস্যের একটি দল ভারত সফর করে গিয়েছে। অর্ডার ধরতে ভারত মালয়েশিয়ায় এলসিএ বহরের সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ভারতীয় এলসিএ-র দাম ইউনিট প্রতি ৪২ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

  • Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    Ukraine-Russia War: রুশ সেনাদের হাতে প্রায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন পরিবার-সহ জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রুশ সেনারা প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন, অল্পের জন্য বেঁচে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম দিকের কথা স্মরণ করে ইয়ারমাক জানান, রুশ সেনারা প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের বন্দি করার খুব কাছে চলে এসেছিলেন।  

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান ঘোষণার পরের দিন জেলেনস্কি আর তাঁর স্ত্রী  ওলেনা জেলেনস্কার ঘুম ভেঙে গেলে তাঁদের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে ও ৯ বছর বয়সী ছেলে জানায় যে বোমাবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। সেদিন খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল বলে সাক্ষাৎকারে দাবি করা হয়েছে। শীঘ্রই জেলেনস্কি বুঝতে পারেন যে তিনিই হামলার লক্ষ্য এবং প্রেসিডেন্টের অফিস আর  নিরাপদ নয়। জেলেনস্কি বলেন, তাঁকে জানানো হয়েছিল যে একটি রাশিয়ান দল তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা বা বন্দি করার জন্য কিয়েভে নামছে।

    কীভাবে প্রেসিডেন্টের গার্ড কম্পাউন্ডটি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলেন তা জানিয়েছেন জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক। তিনি বলেন, “সেই রাতের আগে, আমরা কেবল সিনেমাতেই এসব দেখেছি।” পিছনের প্রবেশদ্বারের একটি গেট পুলিশ ব্যারিকেড এবং প্লাইউড বোর্ডের স্তূপ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। রাশিয়ান আক্রমণের প্রথম রাতে, লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কম্পাউন্ডের ভেতরের রক্ষীরা জেলেনস্কি এবং তাঁর সহযোগীদের জন্য বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে আসেন। ওই রাতে রাশিয়ান সেনারা দুইবার কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সে সময়  জেলেনস্কি এবং তাঁর স্ত্রী-সন্তান ভেতরেই ছিলেন বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ জানিয়েছেন। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আক্রমণের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসন শুরুর পর দেশ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। 

LinkedIn
Share