Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    RSF: সুদানে চলছে নির্মম গণহত্যা, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুদানে (Sudan) অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। আরএসএফ (RSF) পরিচালিত এই নির্মম গণহত্যায় নারী ও শিশু-সহ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু। সম্প্রতি আরএসএফ বিদ্রোহীরা এল শাফির শহর দখল করার পর এই নৃশংসতা শুরু হয়। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও তাদের বিরোধী হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের মতে, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। কারণ অনলাইনে প্রচারিত ভয়ঙ্কর ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে আরএসএফ সদস্যরা মাটিতে শুয়ে থাকা মানুষদের গুলি করে হত্যা করছে। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাত্র দু’দিনের এই হিংসায় প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

    ক্ষমতার দ্বন্দ্ব (RSF)

    সুদানের জনসংখ্যার বেশিরভাগই সুদানি আরব বংশোদ্ভূত। তবে তারা যাদের টার্গেট করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন খ্রিষ্টান ও স্থানীয় অ-আরব উপজাতির সদস্যরা। এই অশান্তির মূল কারণ হল সুদানের সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। ২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরকে উৎখাতের পর, সুদানি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। তাঁদের এই দ্বন্দ্বের জেরেই বর্তমানে দেশটি দীর্ণ গৃহযুদ্ধে (RSF)।

    নিহতের খতিয়ান

    সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে নিরাপত্তার খোঁজে অন্যত্র পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE), লিবিয়া ও চাদ-সহ কিছু ইসলামিক দেশ আরএসএফকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। এদিকে, সুদানের সরকারি সেনাবাহিনী সমর্থন পাচ্ছে মিশর, তুরস্ক ও ইরানের। এগুলিও মুসলিম-প্রধান দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সুদানে যে অভিযান চলছে, তা আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে ইসলামায়নের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। আরএসএফ সম্প্রতি (Sudan) দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি এল ফাশের শহরের দখল নেয়। তার জেরে সাধারণ মানুষের ওপর হিংসার ঘটনা আরও বেড়ে গিয়েছে। সৌদি ম্যাটারনিটি হাসপাতালে ঢুকে প্রায় ৪৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর ঠিক আগের দিনই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির হাতে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার ছিল এক মাসের মধ্যে এই হাসপাতালে চতুর্থ হামলা। সর্বশেষ হামলায় এক নার্স নিহত হন, জখম হয়েছেন তিনজন চিকিৎসাকর্মীও। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের মেঝেজুড়ে রাশি রাশি লাশ পড়ে রয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভেঙে-চুরে যাওয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম (RSF)। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারী মর্টার হামলায় অস্ত্রোপচার চলাকালীন সার্জেনরা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার কক্ষ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, অপারেশন চলাকালীন একটি বিস্ফোরণে রোগীর দেহে গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বোমাবর্ষণ শুরু হতেই হাসপাতালজুড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটির অভিযোগ, আরএসএফ ছ’জন স্বাস্থ্যকর্মী, যার মধ্যে চারজন চিকিৎসকও রয়েছেন, তাঁদের অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ বাবদ দাবি করা হয়েছে (Sudan) ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার।

    জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া সংঘাতের পর থেকে আরএসএফ এবং তাদের মিত্র মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে বারবার জাতিগতভাবে লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ উঠেছে, বিশেষত অ–আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। এল ফাশের এখন পুরোপুরি আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ২,৫০,০০০ এর বেশি মানুষ, যাঁদের অনেকেই সংখ্যালঘু উপজাতির সদস্য, শহরের ভেতর আটকে পড়ে গিয়েছেন। বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলের খবর যাতে বাইরে পৌঁছতে না পারে এবং জরুরি সাহায্য বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাই এই পথ অবলম্বন করেছে আরএসএফ (RSF)।

    বর্তমানে দারফুর ও কর্ডোফান অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশই আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুদানি সশস্ত্র বাহিনী দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চল, রাজধানী খার্তুম-সহ দেশের একটা অংশ তাদের দখলে রেখেছে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক (Sudan) বাহিনীর সংঘর্ষ চলতে থাকায় সাধারণ মানুষের হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সীমিত হয়ে পড়ছে মানবিক সাহায্যের পথ (RSF)।

  • UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডে কেমব্রিজশায়ারের একটি ট্রেনে ভয়াবহ ছুরির হামলায় দশজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ন’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার, ২ নভেম্বর ডনকাস্টার থেকে লন্ডন কিংস ক্রসগামী (UK Incedent) একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে এই হিংসাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে। আচমকা ছুরির (Knife Attack) হামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ভয় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    গ্রেফতার-২ (UK Incedent)!

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হান্টিংডনে ছুরিকাঘাতের (Knife Attack) ঘটনা কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনের তরফে এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে করা হয়েছে। তবে কোন সংগঠন করেছে তা এখনও জানা যায়নি। কেমব্রিজশায়ারের পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রফতারও করা হয়েছে। ঘটনাটি যে বড়সড় আক্রমণের ঘটনা তা আঁচ করেই একাধিক পুলিশ অফিসার এবং আপৎকালীন বাহিনীকে নিয়ে হান্টিংডন স্টেশনে পৌঁছে যান। উল্লেখ্য, এই খানেই ট্রেনটি (UK Incedent) থেমে গিয়েছিল। সন্ত্রাস দমনকারী একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছেন। যদিও হামলার পিছনে ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদেরও এখনও শনাক্ত করা হয়নি।

    উদ্বেগজনক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী

    ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, হান্টিংডনের কাছে একটি ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরি (UK Incedent) চালানো হয়। এরপর উত্তেজিত জনতা একপ্রকার সংকেত দিয়ে ঘটনার কথা পুলিশ এবং জরুরি পরিষেবাগুলিকে জঙ্গি হামলা সম্পর্কে জানায়। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। জরুরি পরিষেবাগুলিকে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সকলকে পুলিশের পরামর্শ মেনে চলার কথা বলব।”

    ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ক্রমবর্ধমান ছুরির হামলার ঘটনা সত্যিই উদ্বেগের। ওই দেশের সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ছুরি-সম্পর্কিত অপরাধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত একবছরে, ছুরি নিয়ে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৬০ হাজার ছুরি (Knife Attack) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু অপরাধী আত্মসমর্পণও করেছে।

  • China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    China: উঠে গেল স্থগিতাদেশ, ভারতে ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছ’মাসের স্থগিতাদেশের পর ফের ভারতে (India) ভারী রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানি শুরু করেছে চিন (China)। এতে বৈদ্যুতিক যানবাহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স খাতে কর্মরত ভারতীয় নির্মাতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ওপর তাঁদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হয়। তবে রফতানি আবারও শুরু হলেও কিছু শর্তও যুক্ত হয়েছে।

    চিনের বক্তব্য (China)

    বেজিং সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ম্যাগনেটগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফের রফতানি করা যাবে না, ব্যবহার করা যাবে না সামরিক কাজেও। চিন-ভারত সম্পর্কের এই ঝলক এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠকে বসে বাণিজ্য উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে উশিন এবং ডি ই ডায়মন্ডস এই চারটি ভারতীয় কোম্পানি চিনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। এক প্রবীণ শিল্প আধিকারিক বলেন, “সরবরাহের (ম্যাগনেট) ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। চারটি কোম্পানি রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানির অনুমোদন পেয়েছে।” এদিকে, কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে সরাসরি উড়ানও ফের চালু হয়েছে, যার জেরে আরও অনায়াস হবে ভারত-চিন বাণিজ্য।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, এই আমদানির জন্য লাইসেন্স দিয়েছে চিন। তিনি বলেন, “আমাদের দেখতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–চিন আলোচনার প্রভাব আমাদের ওপর কীভাবে পড়ে (China)।” প্রসঙ্গত, বিশ্বের মোট রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনের প্রায় ৯০ শতাংশেরই নিয়ন্ত্রণকারী চিন। গত ৪ এপ্রিল জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা বলে, মার্কিন শুল্ক হারের প্রতিক্রিয়ায় নতুন রফতানি নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিন। এই পদক্ষেপের ফলে রফতানিকারীদের বিশেষ লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।

    ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষে ভারত (India) ৮৭০ টন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানি করেছে। এর মূল্য ছিল ৩০৬ কোটি টাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ক্রিটিক্যাল রেয়ার আর্থ উপকরণ সরবরাহের জন্য চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বছরের একটি চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন (China)।

  • India-US Relationship: শুল্কযুদ্ধের আবহে স্বাক্ষরিত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি, আগামীদিনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

    India-US Relationship: শুল্কযুদ্ধের আবহে স্বাক্ষরিত ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি, আগামীদিনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্ক-সংঘাত, নয়া ভিসা-নীতির আবহেই নতুন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত-আমেরিকা। নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে আগামী এক দশকে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দশ বছরের জন্য হওয়া এই চুক্তি ভারত ও আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার প্রশ্নে আরও কাছাকাছি এনে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে এই প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিটার হেগসথের৷

    ভারত ও আমেরিকার মজবুত সম্পর্ক 

    শুক্রবার এক্স পোস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ এ কথা জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালমপুরে শুক্রবার আসিয়ান প্রতিরক্ষা সম্মলনের ফাঁকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে হেগসেথের বৈঠক হয়। সেখানেই সই হয় দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। তার পরে এক্স পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আস্থাভাজন হেগসেথ লিখেছেন, ‘‘আমি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ১০ বছরের আমেরিকা-ভারত প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত করেছি।’’ মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের দাবি, ওই চুক্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধমূলক সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এটি দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য বিনিময় ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এর মাধ্যমে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এখন ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আরও বেশি করে সমন্বয় করে চলেছি ৷ আগের থেকে আরও বেশি পরিমাণে তথ্য় ভাগ করে নিচ্ছি ৷ প্রযুক্তিগত দিক থেকে আদান-প্রদানও বেড়েছে ৷ অতীতে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক কখনও এতটা মজবুত হয়নি ৷’’

    সম্পর্ক আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা

    সম্প্রতি ভারতের উপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর৷ তারপর থেকে ভারত ও আমেরিকার তরফে সেই সম্পর্ককে আবারও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে ৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন৷ দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকও হতে চলেছে দিন কয়েকের মধ্যে ৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ সরকারি সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ায় রাজনাথ-হেগসেথ আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জিই অ্যারোস্পেসের এফ৪০৪ ইঞ্জিনের সরবরাহ। এই ইঞ্জিনের সরবরাহে দেরি হওয়ায় ভারতীয় বায়ুসেনাকে চুক্তির সময়সীমা অনুযায়ী তেজস যুদ্ধবিমান দিতে সমস্যায় পড়েছে রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)।

    ভারত-মার্কিন সখ্য জরুরি

    আমেরিকার সঙ্গে এই ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তি আগেও করেছে ভারত ৷ ২০১৫ সালে হওয়া দশ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়াতেই এবার নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হল দুটি দেশ৷ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তিনি মনে করেন, এমনিতেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গভীর সমন্বয় আছে৷ এই চুক্তি সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। সোশাল মিডিয়ায় করা পোস্টে রাজনাথ লেখেন, ‘‘ভারত ও আমেরিকার প্রতিরক্ষা সমঝোতাকে নতুন দিশা দেখাবে এই চুক্তি ৷ আমাদের পারস্পরিক সমঝোতা যে আগামী দশকে আরও বেশি মজবুত হতে চলেছে সেটা এই চুক্তি থেকেই স্পষ্ট ৷ আগামিদিনে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম প্রধান ভিত্তিই হতে চলেছে প্রতিরক্ষা ৷ ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা যাতে মুক্ত ও অবাধ কিন্তু নিয়মবদ্ধ ভাবে পরিচালিত হতে পারে তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সখ্য জরুরি ৷’’

    চুক্তি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    রাজনাথ সিং ও হেগসেথের সাক্ষাৎ কেবল চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশলগত আলোচনার অংশ হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই নতুন চুক্তি ভারত–মার্কিন প্রতিরক্ষা কাঠামোকে দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে শক্তিশালী করবে, যা দ্বিপাক্ষিক সামরিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে। নতুন চুক্তির মূল কাঠামো তিনটি স্তম্ভকে কেন্দ্র করে গঠিত। উভয় দেশের মিলিতভাবে লজিস্টিক সুবিধা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সেনা বাহিনীর সরঞ্জাম ব্যবহার সহজতর হবে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা সামগ্রী ও প্রযুক্তির যৌথ উৎপাদন এবং উন্নয়নকে উৎসাহ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভারতের স্বদেশী প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও আধুনিকীকরণকে সহায়তা করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই চুক্তি ভারতের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ইন্টারঅপারেবিলিটি বা মিলিত কার্যক্ষমতাও বাড়াবে। এর মাধ্যমে উভয় দেশ একে অপরের সেনা ঘাঁটি, লজিস্টিক সুবিধা ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র ব্যবহার করতে পারবে, যা দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় এবং কৌশলগত প্রস্তুতিতে এক বড় দিক পরিবর্তন আনবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এই চুক্তি চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষভাবে দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত মহাসাগরে বেজিংয়ের আক্রমণাত্মক নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরিতে সহায়ক হবে।

  • Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    Pakistan Afghanistan Peace Talks: ভেস্তে গিয়েছে পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, ভারতকে দুষছে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রফাসূত্র না বেরনোয় তুরস্কে ভেস্তে গিয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। এজন্য ভারতকে দুষছে শাহবাজ শরিফের দেশ। শান্তি আলোচনা (Ceasefire) বিশ বাঁও জলে চলে যাওয়ায় ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। যদিও, আলোচনার আগে অচলাবস্থায় পৌঁছানোর আসল কারণ ছিল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলা রোধে ইসলামাবাদের অসহায়তা।

    কী বলছে কাবুলের সংবাদমাধ্যম (Pakistan Afghanistan Peace Talks)

    টোলো নিউজের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছিলেন যে আফগানিস্তান কেবল তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলার জন্য আফগান মাটি ব্যবহার রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যদি ইসলামাবাদ আফগান আকাশসীমা লঙ্ঘন বন্ধ করে এবং মার্কিন ড্রোন ওড়ানো বন্ধ করে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে যে পাকিস্তান এই শর্ত মানতে রাজি হয়নি। টোলো নিউজের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলোচনা বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে পাঠান ও পাকিস্তানি প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনা শুরু করেছে। তুরস্কে শান্তি আলোচনার পর জানা গিয়েছিল যে একটি বিদেশি দেশ আফগান ভূখণ্ডে ড্রোন হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করছে।

    টোলো নিউজের রিপোর্ট

    টোটো নিউজের ওই রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই পাকিস্তান থেকে ড্রোন পরিচালনা করছে।’ কাবুলের (আফগানিস্তানের রাজধানী) সাংবাদিক তামিম বাহিস এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আফগানিস্তানের সংবাদ চ্যানেলগুলির মতে, পাকিস্তান একটি ‘বিদেশি দেশের’ সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার করেছে যা আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে নজরদারি এবং সম্ভাব্য হামলার জন্য তার আকাশসীমায় ড্রোন পরিচালনার অনুমতি দেয়।”  এক্স হ্যান্ডেলেই টোলো নিউজের পোস্ট (Pakistan Afghanistan Peace Talks), “প্রথমবারের মতো, পাকিস্তান এই আলোচনার সময় স্বীকার করেছে যে ড্রোন হামলার অনুমতি দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি রয়েছে এবং দাবি করেছে যে তারা সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে পারবে (Ceasefire) না।”

    ভারতের দোষ!

    সূত্রের উল্লেখ করে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, “শান্তি আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা প্রাথমিকভাবে কিছু শর্ত মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভবত পাকিস্তানের হাইকমান্ডের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তাঁরা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। তাঁরা বলেন, মার্কিন ড্রোনের ওপর তাঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই এবং আইসিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।” রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীরাও পাক প্রতিনিধিদলের আচরণে অবাক হয়েছিলেন।” তার পরেও আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার দায় চাপানো হচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন এবং ভারতের ঘাড়ে।

    পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “কাবুলের লোকেরা যাঁরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং পুতুলের নাটক করছেন, তাঁরা দিল্লির নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। যখনই আমরা কোনও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি (Pakistan Afghanistan Peace Talks), তখনই প্রতিনিধিরা কাবুলকে রিপোর্ট করেছেন, হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এবং চুক্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে (Ceasefire)।” আসিফ যা বলেননি, তা হল পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলার বিষয়ে ফোনে কথা বলার পর পাক প্রতিনিধি দলের আচরণ কীভাবে দ্রুত বদলে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর, খাজা আসিফ ২০০১ সালের মার্কিন নেতৃত্বাধীন তোরা বোরা যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তালিবানদের হুমকিও দিয়েছিলেন।

    তালিবান শাসনকে নির্মূলের হুমকি!

    সংবাদমাধ্যমে আসিফ বলেন, “আমি তাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে, তালিবান শাসনকে নির্মূল করতে এবং তাদের গুহায় ফেরাতে সম্পূর্ণ অস্ত্রাগারের একাংশও ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই পাকিস্তানের। যদি তারা তা চায়, তাহলে তোরা বোরায় তাদের (তালিবানদের) পরাজয়ের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে। তাদের লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য এই অঞ্চলের মানুষের কাছে দেখার মতো একটি দৃশ্য হবে (Pakistan Afghanistan Peace Talks)।” প্রসঙ্গত, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ইসলামাবাদ আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং কৌশলগত সংযোগ জোরদার করেছে (Ceasefire)। এনিয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তড়িঘড়ি ওভাল অফিসে দৌড়ানোও। এই সফরে শরিফের সঙ্গে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরও।

    ট্রাম্পের হুমকি!

    তাছাড়া, ট্রাম্প প্রকাশ্যে তালিবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান থেকে বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। আফগানিস্তানকে তিনি এই বলে সতর্কও করেন যে, আমেরিকা যদি এটি পুনরুদ্ধার না করে তবে খারাপ ঘটনা ঘটবে। কূটনীতিকদের মতে, পাক-আফগান সংঘাত বন্ধ হবে তখনই, যখন আফগানিস্তান ঔপনিবেশিক ব্রিটিশদের দ্বারা টানা ডুরান্ড লাইনকে স্বীকৃতি দেবে। এই লাইনই পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে পশতুন এলাকাকে বিভক্ত করেছে। যেহেতু পাঠানরা এই লাইনকে মান্যতা দেয় না, তাই চলতেই থাকে পাক-আফগান যুদ্ধ (Pakistan Afghanistan Peace Talks)। যদিও এক্স হ্যান্ডেলে কাবুলের সাংবাদিক আলি এম লতিফি লেখেন, “পাকিস্তান স্বীকার করেছে যে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আসলে পাকিস্তান যে (Ceasefire) এক সময় বারাক ওবামার ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল।”

  • Sudan Massacre: সুদানের এল-ফাশেরে রক্তের স্রোত, মহাকাশ থেকেও দেখা যাচ্ছে লাশের স্তূপ

    Sudan Massacre: সুদানের এল-ফাশেরে রক্তের স্রোত, মহাকাশ থেকেও দেখা যাচ্ছে লাশের স্তূপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুদানের রাজধানী দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলের এল-ফাশার শহরে ভয়াবহ হত্যালীলা চালিয়েছে সে দেশের আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)। শহরটি দখল করতে গিয়ে মাত্র ৩ দিনে অন্তত দেড় হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ। জানা গিয়েছে, আরএসএফের জওয়ানরা সম্প্রতি এল-ফাশার শহরটি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে দখল করেছে। সুদান ডক্টর্স নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশের নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে আরএসএফ গত ৩ দিনে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।

    স্যাটেলাইট চিত্রে দৃশ্যমান হত্যাযজ্ঞ

    সুদানে মানবিক বিপর্যয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, উত্তর দারফুরের এল-ফাশের শহরে হত্যাযজ্ঞের ছবি এখন মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে রক্তের লাল দাগ এবং শত শত মৃতদেহের স্তূপ—যা সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফ কর্তৃক সংঘটিত নৃশংসতার প্রমাণ বহন করছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব (HRL) জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস কর্তৃক তোলা স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে আরএসএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রক্তের দাগ এবং মানুষের দেহসদৃশ বস্তুর ক্লাস্টার।

    প্রকাশিত তথ্য চমকে দেবে

    সুদান ডক্টর্স নেটওয়ার্কের কথায়, ‘আজ বিশ্বের সামনে যে হত্যালীলা চলছে, তা আসলে সেই হত্যারই ধারাবাহিকতা যা দেড় বছর আগে এল-ফাশেরে ঘটেছিল। সে সময় বোমা হামলা, অনাহার ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় ১৪ হাজারেরও বেশি অসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল।’ তাদের দাবি, এ সব হামলা ‘পরিকল্পিত ও পদ্ধতিগতভাবে মানুষ হত্যার একটি অভিযানের অংশ।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাব থেকে প্রকাশিত নতুন তথ্য বলেছে, আরএসএফের দখলের পর তোলা স্যাটেলাইট চিত্রে মানুষের মৃতদেহের আকারের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন বহু বস্তু দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, মাটিতে বড় বড় লালচে দাগও ধরা পড়েছে, যা রক্তপাতের ইঙ্গিত দেয়।

    দেশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে

    গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সুদানে। সুদানের গৃহযুদ্ধ শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদটির ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে। দেশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, সেই নিয়েই লড়াই মূলত। আরএসএফ ও সুদানি সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, আসলে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। দেশের ১ কোটি ২০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে সে দেশে। পরিস্থিতি এমন যে আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশটিতে ফের ভাঙন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    ফের বিভক্ত হতে পারে সুদান

    গত ১৭ মাস অবরুদ্ধ থাকার পর রবিবার এল-ফাশের দখল করে আরএসএফ। এটি দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি ছিল। বুধবার সুদান সরকার জানায়, শহরটিতে অন্তত দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। সহায়তাকারী সংস্থাগুলিও জানিয়েছে, তারা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে খবর পেয়েছে যে শহরে গণহত্যা, পালিয়ে যাওয়া অসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, এবং ঘরে ঘরে ঢুকে হত্যার মতো ভয়াবহ নৃশংসতা চলছে। শুধু তাই নয়, শিশু থেকে সাধারণ নাগরিকদের উপর দেদার যৌন নির্যাতনের ঘটনাও সামনে আসছে লাগাতার। এই শহর দখলের মধ্য দিয়ে দারফুরের প্রায় পুরোটাই আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। এতে আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা থেকে কৃটনৈতিক মহলের অনুমান, এক দশকেরও বেশি আগে দক্ষিণ সুদানের মতো, সুদান হয়তো আবারও বিভক্ত হতে পারে।

  • Prince Andrew: এপস্টিন কেলঙ্কারিতে জড়ানোর জের! ভাই অ্যান্ড্রুর খেতাব কাড়লেন রাজা তৃতীয় চার্লস

    Prince Andrew: এপস্টিন কেলঙ্কারিতে জড়ানোর জের! ভাই অ্যান্ড্রুর খেতাব কাড়লেন রাজা তৃতীয় চার্লস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ ছাড়তে হচ্ছে রাজকুমার অ্যান্ড্রুকে (Prince Andrew)। তাঁর সমস্ত রাজকীয় খেতাব এবং সম্মাননাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিংহাম প্রাসাদের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজা চার্লস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকিংহাম প্যালেস একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস তার ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সমস্ত রাজকীয় উপাধি, সম্মান এবং সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে উইন্ডসরের বাসভবন খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কেন ছাড়তে হচ্ছে রাজপ্রাসাদ

    জেফ্রি এপস্টিনের সঙ্গে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চাপ বেড়েছে রাজপরিবারের উপর। নতুন করে সমালোচনার ঝড় ওঠার পরে এই ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘রাজা প্রিন্স অ্যান্ড্রুর স্টাইল, উপাধি এবং সম্মান সরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।’ সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাঁরা যে কোনও ধরনের নিগ্রহের শিকার, ব্রিটেনের রাজপরিবারের সমবেদনা তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। সরাসরি কোনও ঘটনার কথা উল্লেখ না-করা হলেও স্পষ্ট যে, আমেরিকার কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ এবং তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেচ্ছায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠতেই এই পদক্ষেপ করলেন ব্রিটেনের রাজা।

    কোথায় থাকবেন রাজকুমার

    বিবৃতি অনুযায়ী, উইন্ডসর রাজপ্রাসাদ ছেড়ে বিকল্প বাসস্থানে উঠে যেতে হবে অ্যান্ড্রুকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজকুমার অ্যান্ড্রুর নতুন নাম হবে অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর। তিনি আর ‘ডিউক অফ ইয়র্ক’ থাকবেন না। কিছু দিন আগে পর্যন্তও ‘ডিউক অফ ইয়র্ক’ খেতাব পাওয়া রাজকুমার অ্যান্ড্রু এত দিন প্রাক্তন স্ত্রী সারা ফার্গুসনের সঙ্গে রাজপ্রাসাদে থাকতেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুসারে, দু’জনেই এবার উইন্ডসরের বাসভবন থেকে সান্ড্রিংহাম এস্টেটে উঠে যাবেন। প্রসঙ্গত, এই এস্টেট রাজা তৃতীয় চার্লসের মালিকানাধীন। ভাইয়ের থাকার খরচ বহন করবেন রাজা চার্লসই।

    চির বিতর্কিত এক চরিত্র অ্যান্ড্রু

    ৬৫ বছর বয়সি অ্যান্ড্রু অবশ্য চির বিতর্কিত এক চরিত্র। বছর ছয়েক আগে এপস্টিনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামের এক ভদ্রমহিলা অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন। অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে নাবালিকাদের সঙ্গে জোর করে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার অভিযোগও ওঠে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ বার বারই অস্বীকার করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের তৃতীয় সন্তান অ্যান্ড্রু। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে অর্থের বিনিময়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন অ্যান্ড্রু। যদিও, কত টাকা দিয়েছেন তা জানা যায়নি।

    এপস্টিন ফাইলে নাম থাকাই কাল

    প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির তদন্তের দাবিতে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল ব্রিটেনের রাজপরিবারের উপরে। চলতি মাসেই নানা অভিযোগ-বাণে জর্জরিত অ্যান্ড্রু সমস্ত রাজখেতাব ছেড়ে দেন। ঘটনাচক্রে, একই মাসে তাঁকে ‘শাস্তি’ দিল রাজপরিবার। রাজপ্রাসাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, অ্যান্ড্রু অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, রাজা চার্লস এবং রানী ক্যামিলা, নির্যাতনের শিকার হওয়া সকলের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং এই সিদ্ধান্তের নীতিগত প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। যৌন অপরাধ, নারী পাচারে অভিযুক্ত এপস্টিনের সঙ্গে বহু বিখ্যাত ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক বার কানাঘুষো শোনা গিয়েছে, এপস্টিন ফাইলে নাম রয়েছে বিল ক্লিন্টন থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্টিফেন হকিং থেকে মাইকেল জ্যাকসন-সহ বিশ্বের তাবড় ব্যক্তির। যদিও এই ফাইল এখনও পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি।

  • Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    Sk Hasina: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) দ্বারস্থ হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sk Hasina)। আন্তর্জাতিক এই বিচারালয় রয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এখানকার প্রসিকিউটরের কাছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। লন্ডনের ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার্সের আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি-র মাধ্যমে হাসিনা আইসিসির প্রসিকিউটরের কাছে রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী একটি কমিউনিকেশন দায়ের করেছেন। এই ধারাটি আইসিসিকে যে কোনও গুরুতর অভিযোগের তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেয়।

    হাসিনার অনুরোধ (Sk Hasina)

    কমিউনিকেশনে তিনি অনুরোধ করেছেন, আওয়ামি লিগ দলের নেতা-কর্মী, আগের মন্ত্রিসভা ও সরকারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সংঘটিত প্রতিশোধমূলক বিভিন্ন হিংসার তদন্ত শুরু করুন আইসিসির প্রসিকিউটর। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বাংলাদেশে বিক্ষোভের পর অন্তর্বর্তী সরকার যেসব অপরাধ করেছে, যার ফলে ২০২৪ সালের অগাস্টে তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল, সেগুলি আদালতের (আন্তর্জাতিক) এক্তিয়ারের মধ্যে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ রোম স্ট্যাটিউট অনুমোদন করে বাংলাদেশ। ওই বছরেরই ১ জুন থেকে বাংলাদেশে কার্যকরও হয় এটি। হাসিনার যুক্তি হল, এই অনুমোদনের ভিত্তিতেই তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়েরের আইনি অধিকার রাখেন।

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের মামলা

    স্টিভেন পাওলসের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, অভিযোগে উত্থাপিত ঘটনাগুলির মধ্যে হত্যাকাণ্ড, বেআইনি আটক এবং নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে যেসব দাবি উঠেছে, সেগুলির যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি রয়েছে। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে আইসিসির প্রসিকিউটরের তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতগুলিতে এসব অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে পারে (Sk Hasina)। উল্লেখ্য, স্টিভেন পাওলস কেসি অতীতে আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত বহু ব্যক্তির পক্ষেও আইনি লড়াই লড়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত (ICC)।

    কমিউনিকেশনে হাসিনার দাবি

    কমিউনিকেশনটিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে আওয়ামি লিগের প্রায় ৪০০ নেতা ও কর্মীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেককে হত্যা করা হয়েছে নৃশংসভাবে পিটিয়ে। এই কমিউনিকেশনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং ভিডিও প্রমাণ, যেগুলিতে এসব হত্যার ভয়াবহ দৃশ্য এবং বিশদ বিবরণের উল্লেখ রয়েছে। কমিউনিকেশনে এও বলা হয়েছে, আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে স্রেফ অনুমান করে বহু ব্যক্তিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন না দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। রাজনীতিক, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মায় অভিনেতা ও গায়কদের মতো ব্যক্তিত্ব, যাঁদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক খুবই ক্ষীণ, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

    অপারেশন ডেভিলস হান্ট

    কমিউনিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামি লিগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন ব্যক্তি জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে মারা গিয়েছেন। যাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের কথা বলা হয়েছে, তাঁদের অনেকের শরীরেই নির্যাতনের ছাপ স্পষ্ট (Sk Hasina)। আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (যা আদতে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার) ডেভিলস হান্ট (Devils Hunt) নামে একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের ঘোষিত উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামি ফ্যাসিবাদ দমন করা। এই অভিযানটি পরিচালিত হয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে (ICC)। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অভিযানে ১২ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় প্রায় ১৮ হাজার জনকে। কমিউনিকেশনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার একটি দায়মুক্তি আদেশ (immunity order) জারি করে, যার মাধ্যমে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের ওপর নির্যাতন চালানো যায় এবং অপরাধীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয় (Sk Hasina)।

    ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায়

    যেহেতু বাংলাদেশের আদালতে ন্যায়বিচারের কোনও সম্ভাবনা বা তদন্তের আশাই নেই, তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করাই ন্যায়বিচার পাওয়ার একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিউনিকেশনে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের তরফে এমন একটা সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করা হল, যখন হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঝুলে রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে আন্দোলন দমনের নামে ১৪০০ জনকে (ICC) হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়া-সহ মোট পাঁচটি অভিযোগে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে ওই ট্রাইব্যুনালে (Sk Hasina)।

  • Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    Pak Afgan Peace Talks: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা, জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল পাকিস্তান-আফগানিস্তান শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওই আলোচনা হচ্ছিল তিন দিন ধরে। তার পরেও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেননি দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় দুই দেশই একে অন্যকে দুষছে। তবে হাল ছাড়েননি তুরস্ক ও কাতারের আধিকারিকরা, যাঁরা এই আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলেন। মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করছেন এঁরা। ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে ঢুকে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। শাহবাজ শরিফের দেশের দাবি, তারা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP) ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ, এই টিটিপি শ’য়ে শ’য়ে পাক সেনাকে হত্যা করেছে।

    প্রতিরোধ আফগানিস্তানের (Pak Afgan Peace Talks)

    পাকিস্তান হামলা চালাতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন। তারা সীমান্তজুড়ে পাল্টা-আক্রমণ চালায়। সংবাদ মাধ্যমের খবর, লড়াই ছিল অত্যন্ত তীব্র। তালিবানের দাবি, তারা পাকিস্তানের ২০টি নিরাপত্তা চৌকি ধ্বংস করেছে, খতম করেছে ৫৮ জন পাক সেনাকে। দুই দেশের এই সংঘাত থামাতে মাঠে নেমে পড়ে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ দেশ সৌদি আরব এবং কাতার। তাদের মধ্যস্থতায় দু’পক্ষই ১৯ অক্টোবর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। প্রথম দফার বৈঠক হয়েছিল দোহায়। দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনা হয় ইস্তাম্বুলে (Pak Afgan Peace Talks)।

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা?

    কেন ভেস্তে গেল শান্তি আলোচনা? সূত্রের খবর, পাকিস্তানের দাবি ছিল, তালিবান প্রশাসন লিখিতভাবে জানাক যে তারা কড়া হাতে দমন করবে টিটিপিকে। যদিও ইস্তাম্বুলের আলোচনায় পাক প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি যদি পাকিস্তানে হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তানেরও অধিকার থাকবে আফগান ভূখণ্ডে পাল্টা হামলা চালানোর। তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধি দলও পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনগুলিকে আফগানিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া অবিলম্বে (TTP) বন্ধ করতে হবে।

    আফগানিস্তানের প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, টিটিপি পাকিস্তানের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা, আফগানিস্তানের নয়। তারা পাকিস্তানকে এই বলেও আশ্বস্ত করে যে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড অন্য কোনও দেশের ওপর আক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আক্রমণ শুরু করার অধিকারও তারা মেনে নেবে না। দু’পক্ষই তাদের দাবিতে অনড় থাকায় ভেস্তে যায় শান্তি আলোচনা (Pak Afgan Peace Talks)।

  • Bangladesh Crisis: ভুয়ো অভিযোগ তৈরি করে হিন্দু ও ইসকনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত! বাংলাদেশে ইমাম অপহরণের মিথ্যা নাটকের পর্দাফাঁস

    Bangladesh Crisis: ভুয়ো অভিযোগ তৈরি করে হিন্দু ও ইসকনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত! বাংলাদেশে ইমাম অপহরণের মিথ্যা নাটকের পর্দাফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো অভিযোগ তৈরি করে ইসকন ও হিন্দুদের (Hindus in Bangladesh) বিরুদ্ধে চক্রান্ত হাতে-নাতে ধরল বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পুলিশই। পদ্মা পারে সনাতনীদের বার বার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়। হিন্দু তথা ইসকনকে (ISKCON in Bangladesh) নিশানা করা হয় নানা আছিলায়। যদিও সত্য বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখা যায় না। ফের তার প্রমাণ মিলল। মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজি (৬০) নামের এক ইমাম সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, যে ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গির টিএন্ডটি কলোনির জামে মসজিদ থেকে অজ্ঞাত চার-পাঁচজন তাঁকে অপহরণ করে। তারা তাঁর চোখ বেঁধে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে পঞ্চগড়ের এক স্থানে হাতে পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, অপহরণকারীরা তাঁকে জোর করে ইসকন-কে সমর্থন এবং “অখণ্ড ভারত” স্লোগান উচ্চারণ করিয়েছিল। যদিও সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে বাংলাদশের পুলিশই প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা পুরোপুরি সাজানো।

    ইমামকে অপহরণের মিথ্যা নাটক 

    মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন থানার পুলিশরা জানায়, ইমামকে অপহরণের ঘটনা সাজানো। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান বলেন, ইমাম মুহিবুল্লাহ অপহরণের পেছনে ইসকন জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে তিনি নিজে শ্যামলী পরিবহণের বাসের টিকিট কেটে পঞ্চগড় গিয়েছেন। পুলিশ জানায়, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার রহস্য উদঘাটন করেছেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ইমাম মুহিবুল্লাহর বাসের সহযাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজারও পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ইতিমধ্যে ইমাম মুহিবউল্লাহ পুলিশের কাছে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন। এর আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে মুহিব্বুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টঙ্গি পূর্ব থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ব্রিফিং দেওয়া হয়নি, তবে সূত্র জানায়—জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুহিব্বুল্লাহ স্বীকার করেছেন যে ঘটনাটি তাঁর নিজের ইচ্ছাতেই ঘটেছে।

    ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি

    গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থানাধীন হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় শিকল বাঁধা অবস্থায় তাঁকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমামকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন জানান, শরীরে কোনও দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি; শুধু ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। ইমামের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশে অচিরেই শুরু হয় ইসকনকে বদনাম করার অপপ্রয়াস। দেশব্যাপী কিছু ইসলামী সংগঠন প্রতিবাদ-মিছিল আয়োজন করে। ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে।

     মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা 

    হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজোড়া অশান্তির আবহে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, দেশের নানা প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। ইউনূস-পরিচালিত অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। তবে ইউনূস সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও ধর্মীয় অধিকার সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন বার বার। কিন্তু বরাবর বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন হিন্দু সংখ্যালঘুরা। সনাতনী ও ইসকনের উপর অত্যাচার চলেছে। মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। ইমামকে অপহরণের ঘটনা ফের তারই প্রমাণ দিল।

    শান্তি, সহমর্মিতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি- ইসকনের আদর্শ

    ইমামকে অপহরণের এই ঘটনাকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আচমকা উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) । রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করল ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে বিভিন্ন সংগঠন। ইসকন নেতারা তখনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এর পিছনে বড় রকমের চক্রান্ত রয়েছে। বাংলাদেশে ইসকন শাখার সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গুজব ছড়িয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের, বিশেষত ইসকনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’ তাঁর দাবি, ইসকন হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক, অরাজনৈতিক, অহিংস, ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্থা। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো, গীতার আদর্শ প্রচার, নৈতিকতা, সমাজসেবা, শান্তি, সহমর্মিতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রসার। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ইসকন ভক্তদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তা ছাড়া, কোনও হিন্দু ব্যক্তি বিশেষ আইনবিরোধী কোনও ঘটনায় যুক্ত হলেই তাকে ঢালাও ভাবে ‘ইসকন সদস্য’ বলে প্রচার করা হচ্ছে। তারপরে, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তোলা হচ্ছে। যা পরিকল্পিত নীল নকশার অংশ। চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী সরকারের কাছে এ সব গুজব, মিথ্যা, অপপ্রচার ও হুমকির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ইসকন দেশের সরকার, আইন, সংবিধান ও প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

LinkedIn
Share