Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার গাজা শহরে (Gaza City) স্থল অভিযান চালাল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইজরায়েলের (Israel) নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, গাজা শহর থেকে হামাসকে একেবারে নির্মূল করতে চালানো হচ্ছে এই অভিযান। সূত্রের খবর, ইজরায়েলের ভারী ট্যাংকগুলি গাজা শহরে ঢুকে পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক বিমান হামলা। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর রেসিডেন্সিয়াল ও সিভিলিয়ন টাওয়ার। এই টাওয়ারগুলিতেই হামাস জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল বলে খবর। যুদ্ধে যাতে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি না হয়, তাই গাজার সাধারণ মানুষকে শহরের দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসের কোনও নিরাপত্তা নেই। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের রক্ষে নেই।”

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel)

    ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চলছে যুদ্ধ। মাঝে অবশ্য কিছুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। পরে তা উঠে গিয়ে ফের শুরু হয় সংঘাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একাধিকবার আলোচনার পরেও ক্রমশই ঘোর হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ (Israel)। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইজরায়েল কাতারে হামাসের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়। খতম হয় পাঁচজন হামাস জঙ্গি। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার পশ্চিম অংশে একটি ১৬ তলা ভবনও আক্রমণ করে। এটি গাজার সবচেয়ে উঁচু ভবন। ইজরায়েলের দাবি, এটি একটি জঙ্গি ঘাঁটি। এক ইজরায়েলি সেনাকর্তার দাবি, গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ হাজার হামাস জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল ক্যাটজ-এর কথায়, ‘জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অপহৃতদের মুক্তি এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’

    কী বলছেন ট্রাম্প

    এদিকে, মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “হামাস সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিয়ে এবং আত্মসমর্পণ করে যুদ্ধ শেষ করতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে ওরা এটা করবে না।” প্রসঙ্গত, বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইজরায়েলের স্থলভাগে অভিযান চালানোর খবরে হামাসের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমি একটি সংবাদ প্রতিবেদন পড়েছি যে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের বিরুদ্ধে হামাস বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি আশা করি, হামাসের নেতারা বুঝতে পারবে তারা কী বিপদে পড়ছে যদি তারা এমন কাজ করে। এটি একটি (Gaza City) মানবতাবিরোধী অপরাধ। এখনই সব বন্দিকে মুক্তি দাও (Israel)!”

  • Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    Muhammad Masood Azhar: ‘অপারেশেন সিঁদুর’-এই ছিন্নভিন্ন মাসুদের পরিবারের সদস্যরা! স্বীকার জইশ কামান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ছিন্নভিন্ন হয়েছে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবার। পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে এবার মন্তব্য জইশ কামান্ডারের। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। মঞ্চের দুই দিকে বন্দুকধারী রক্ষী ছিল কঠিন পাহারায়। মাইক নিয়ে হাত উঁচু করে জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলছে, “গত ৭ মে ভারত যখন বাহাওয়ালপুরের জঙ্গি ডেরায় হামলা চালিয়েছিল সেই সময় সেই সময় জইশ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজাহারের পরিবারের সদস্যদের টুকরো টুকরো করে নিঃশেষ করা হয়েছিল। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে সবকিছু।” এই মন্তব্যে ফের একবার ভারতের অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে পাকিস্তানের থোতা মুখ ভোঁতা হয়েছে। জঙ্গি উৎপাদনকারী দেশের কুকর্ম আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    কী বলল জইশ কমান্ডার (Muhammad Masood Azhar)?

    পাকিস্তানের স্বঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জইশ কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলে, “ভারতের হামলায় মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরিবারের একাধিক সদস্য মারা পড়েছে।” জইশের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে ওই কমান্ডারকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমরা দেশের সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে কাবুল, কান্দাহার, দিল্লির সঙ্গে লড়াই করছি। মাসুদ আজাহারের পরিবার সদস্য এবং পুত্রকে বোমায় টুকরো টুকরো করা হয়েছে।” ভারতের সেনাবাহিনী যে ভাবে অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) সুপরিণতি দিয়েছে তাতে ফের একবার আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের জয়ই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ভারত বিরোধীরা ঘরেবাইরে জঙ্গিদের মন্তব্যে আরও কোনঠাসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর

    পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের একটি শহর হল বাহাওয়ালপুর। জইশ-ই-মহম্মদের (Muhammad Masood Azhar) সদর দফতর মারকাজ সুবহান আল্লাহ নামে একটি স্থানে অবস্থিত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের অভ্যন্তরে ১০০ কিমি গভীরে অবস্থিত এই জঙ্গি ডেরা। আর এখানেই ভারতীয় সেনা ব্যাপক আঘাত করেছিল। এটা ছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। তাকে সম্পূর্ণ ভাবে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই আস্তানায় মাসুদের পরিবারের আত্মীয়রা থাকত। ধ্বংসের পর উপগ্রহের চিত্র প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Operation Sindoor)। স্পষ্ট দেখা গিয়েছে পাকজঙ্গি ঘাঁটির অবস্থা কতটা করুণ। সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

    ১৫ একর জমির উপর নির্মিত

    মাসুদ ইলিয়াসের মন্তব্য ছিল পাকিস্তানের জন্য দারুণ ধাক্কা। সে নিজেই স্বীকার করে নেয় যে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মাসুদ আজাহারের (Muhammad Masood Azhar) পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং ৪ জন সহযোগী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের বোন, তার স্বামী এবং বেশ কয়েকজনের শিশু। যদিও প্রথমে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম প্রথমে ১৪ জনের মৃত্যু সংবাদ পরিবেশন করেছিল। পরে অবশ্য মাসুদ নিজেই স্বীকারোক্তি করে। তবে এই জঙ্গি ডেরাটি মোট ১৫ একর জমির উপর নির্মিত। এখানে কট্টর ধর্মীয় জিহাদ এবং মৌলবাদের শিক্ষা প্রদানের কাজ চলত।

    ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা হয়েছিল

    ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে মুখপাত্র হিসেবে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং যৌথ সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)। তার মধ্যে বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গিঘাঁটিও ছিল। আগেও বারবার ভারতের বিরুদ্ধে এই জঙ্গি আস্তানা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়।” জঙ্গিদের (Muhammad Masood Azhar) প্রতি পাকসেনা বাহিনী কতটা সহমর্মী তা আরও স্পষ্ট হয়েছিল যখন মৃত জঙ্গিদের জানাজায় তাঁদের স্পষ্ট উপস্থিতি সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছিল।

    মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি

    ভারতের কাছে মাসুদ আজাহার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। ২০০০ সালে জইশ-ই-মহম্মদ নামে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলে মাসুদ। ভারতে লাগাতার হামলার ছক করে ইতিমধ্যে কুখ্যাত মাসুদ আজাহার। তার হামলা করা ষড়যন্ত্রগুলির মধ্যে হল- ২০০১ সালে সংসদে হামলা, ২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলা এবং ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বিমানঘাঁটিতে হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল এই জঙ্গি। আন্তর্জাতিক মহলে লাগাতার পাকিস্তানের এই জঙ্গিকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি করে আসছে ভারত। কিন্তু পাকিস্তান সরকার সম্পূর্ণ ভাবে এই জেহাদি সংগঠনের সহযোগিতা নেয় এবং তাদের লালনপালন করে থাকে। তবে অপারেশন সিঁদুরে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলিকে যে ব্যাপক ভাবে আঘাত করেছে তাও আরও একবার স্পষ্ট হয়।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন শেষ’’, ডালাসে ভারতীয় খুন নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেক্সাসের ডালাসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মোটেল ম্যানেজার চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন— “আমেরিকাকে আবার নিরাপদ করব।” একই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ।

    কী লিখলেন সমাজমাধ্যমে?

    ট্রাম্প (Donald Trump) সোমবার সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘চন্দ্র নাগামাল্লাইয়ার খুনের সাংঘাতিক খবরটা আমি শুনেছি। ডালাসে তিনি এক জন সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন। স্ত্রী এবং সন্তানের সামনে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে। কাজটা করেছেন এক অবৈধ অভিবাসী, যিনি কিউবা থেকে এখানে এসেছিলেন। কখনও তাঁর এখানে ঢুকতে পারার কথা ছিল না। এর আগেও এই লোকটি শিশুনিগ্রহ, গাড়ি চুরির মতো অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জো বাইডেনের অপদার্থ সরকার তাঁকে আটকে রাখতে পারেনি। কিউবাও এঁকে চায় না।’’

    অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ

    অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে এর পর আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দেন ট্রাম্প (Donald Trump)। তিনি লেখেন, ‘‘অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে নরম হওয়ার দিন এখন শেষ, নিশ্চিন্ত থাকুন। আমার প্রশাসনের আধিকারিকেরা ভাল কাজ করছেন। আমেরিকাকে আবার আমরা নিরাপদ, সুরক্ষিত করে তুলব। এই অপরাধী আমাদের হেফাজতে রয়েছে। খুনের অভিযোগে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’’

    ওয়াশিং মেশিন নিয়ে ঝগড়ার সময়ই খুন

    চন্দ্রমৌলি ‘বব’ নাগামাল্লাইয়াহ হত্যাকাণ্ডে ৩৭ বছরের ইয়োরডানিস কোবোস-মার্টিনেজকে (Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডালাসে চন্দ্র একটি ছোট হোটেলের মালিক ছিলেন, আর সেই হোটেলেই কর্মরত ছিল মার্টিনেজ। ১০ সেপ্টেম্বর দু’জনের মধ্যে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে তীব্র বিতণ্ডা ঘটে। সেই ঝগড়ার ফলেই ঘটেছিল নৃশংস খুন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ধরা পড়ে—অভিযুক্ত (Illegal Immigrants) এক হাতে কাটা মাথা নিয়ে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে।

  • Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি আমি ও আমার সহযোগীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়।” রবিবার নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এমনই বললেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। এদিনই তিনি জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন। বলেন, “যুব সমাজের আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের শহিদের মর্যাদা দেওয়া হবে।” তিনি জানান, সময় পেরিয়ে গেলে মানুষের সমর্থন ছাড়া তিনি গদি আঁকড়ে বসে থাকবেন না। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন সুশীলা। কাঠমাণ্ডুর সিংহ দরবার হল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আন্দোলনের সময় গণরোষের আঁচে পুড়ে গিয়েছে ওই ভবনের সিংহভাগ অংশ। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতরকেই আপাতত প্রধানমন্ত্রীর দফতর করা হয়েছে। এদিন সেখানে বসেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সুশীলা।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (Sushila Karki)

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি এবং আমার দল এখানে ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছ’মাসের বেশি পদে থাকব না। নতুন পার্লামেন্টকে দায়িত্ব দিয়ে দেব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া থাকব না।” নেপাল পুনর্গঠনের ডাকও দেন সুশীলা। বলেন, “নেপালকে আবার গড়ে তোলার জন্য সব অংশীদারের এগিয়ে আসা উচিত। আমরা হাল ছাড়ব না। আমাদের দেশকে পুনরুদ্ধার করতে এক সঙ্গে কাজ করব।” তিনি (Sushila Karki) বলেন, “আমাদের জেন জেড প্রজন্মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজ করতে হবে। এরা যা দাবি করছে, তা হল দুর্নীতির সমাপ্তি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সমতা। আপনাকে এবং আমাকে এই লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।”

    নেপালে সাধারণ নির্বাচন

    জানা গিয়েছে, নেপালে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের ৫ মার্চ। প্রসঙ্গত, নেপালের ক্ষমতায় ছিল কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হন আম নেপালবাসী। পথে নামে জনতা। এদের নেতৃত্ব দেয় জেন জেড। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ নিজের দফতরে আসেন সুশীলা। তার পরেই দেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ। জেন জেডের তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের মূল দাবি ছিল দুর্নীতিমুক্ত নেপাল। সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) নেতৃত্বে নয়া আইন আসুক। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা (Nepal) হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।”

  • Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর কিছুদিন ভয়ে গুটিয়ে ছিল জঙ্গিরা। অভিযোগ, পাকিস্তানের মদত পেয়ে তারা ফের মাথা তুলেছে। ওই অভিযানে পাক পাঞ্জাবের মুরিদকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taibas) সদর দফতর মার্কাজ তায়েবা। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই সদর দফতর পুনর্নিমাণে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। এই তথ্য জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টে।

    অপারেশন সিঁদুর (Lashkar E Taibas)

    পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী, ওই দিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় মিরাজ বিমান পাঞ্জাব প্রদেশের গভীরে ঢুকে মার্কাজ তায়েবা ক্যাম্পাসের ১.০৯ একর এলাকায় তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর বিমান হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল, একটি লাল রংয়ের বহুতল ভবন, যেটি ব্যবহৃত হত ক্যাডারদের ব্যবস্থাপনা ও অস্ত্রসংগ্রহের জন্য, এবং হলুদ রংয়ের দুটি ভবন যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং সংগঠনের সিনিয়র কমান্ডারদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। অপারেশন সিঁদুরের জেরে ওই তিনটি ভবনেরই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই হামলা লস্করের পরিকাঠামোর ওপর ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর সব চেয়ে বিধ্বংসী আঘাত। সূত্রের খবর, ১৮ অগাস্ট লস্কর-ই-তৈবা ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে ফেলে। লস্করের ক্যাডারদের দেখা গিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর তদারকি করতে।

    পুনর্নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ফেব্রুয়ারিতে!

    সূত্রের খবর, বর্তমানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নজর আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। ফি বছর এই দিনটি পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এই দিনেই উদ্বোধন করা হতে পারে পুনর্নির্মিত ভবনের। এদিনই হতে পারে লস্করের বার্ষিক সম্মেলনও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুনর্নির্মিত মার্কাজ ফের প্রশিক্ষণ, আদর্শায়ন এবং অপারেশনাল পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সদর দফতর পুনর্নির্মাণের কাজ ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্ববধান করছেন মাওলানা আবু জার। তিনি মার্কাজ তৈবার পরিচালক এবং লস্করের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি উস্তাদ উল মুজাহিদ্দিন হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউনূস শাহ বুখারিও। অপারেশনাল তত্ত্বাবধানে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুখারি (Lashkar E Taibas)।

    জঙ্গি গোষ্ঠীটির অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি অস্থায়ীভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শাখাগুলিকে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ আকসায় এবং পরে কাসুর জেলার পাটোকির মারকাজ ইয়ারমুকে স্থানান্তরিত করেছে (Operation Sindoor)। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির বিশ্বস্ত সহযোগী আবদুল রশিদ মহসিন। ডসিয়ার অনুসারে, ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) ধ্বংস হওয়া কার্যালয়গুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এগুলিই ধ্বংস হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে। অগাস্ট মাসে লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। অনুমান, ওই ভবনগুলি তৈরি করতে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। এই আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা ত্রাণ কর্মসূচি তহবিলের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এহেন আচরণ মুখোশ খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভন্ডামির। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা দাবি করছে, পাকিস্তান উগ্রপন্থার শিকার, যদিও রাষ্ট্র স্বয়ং অর্থায়ন করে চলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে (Lashkar E Taibas)।

    পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভূমিকম্পের পরে লস্কর (সেই সময় জামাত-উদ-দাওয়া নামে পরিচিত ছিল) মানবিক সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, সংগৃহীত অর্থের  ৮০ শতাংশই জঙ্গিঘাঁটি গড়তে খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতলি অঞ্চলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস নির্মাণও ছিল, অপারেশেন সিঁদুরে যেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্যের পরেও, লস্করের দ্রুত উত্থান তার মজবুত সংগঠনেরই প্রমাণ দেয়, যে গোষ্ঠীতে নিয়মিত অর্থায়ন করে চলে রাষ্ট্র নিজে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কাজ পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে (Operation Sindoor)। এটি প্রতিরোধ ও প্রচারের কাজ করবে। নিশ্চিত করবে পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা। লস্করের প্রক্সি ফ্রন্টগুলির বিস্তার দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, কাশ্মীর টাইগার্স এবং মাউন্টেন ওয়ারিওর্স অফ কাশ্মীর – একদিকে যেমন পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ করে দেয়, তেমনি অন্য দিকে ভারত-বিরোধী হিংসার ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে (Lashkar E Taibas)।

    ইসলামাবাদের অর্থায়ন

    মুরিদকের এই ঘটনা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যের গভীর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করার বদলে, ইসলামাবাদের অর্থায়ন, সাহায্য এবং উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে লস্করের মতো গোষ্ঠীগুলি শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও ডালপালা বিস্তার করবে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার দিন পনেরো পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত (Lashkar E Taibas)।

  • Zakir Naik: এইডস আক্রান্ত জাকির নায়েক? ভর্তি মালয়েশিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে

    Zakir Naik: এইডস আক্রান্ত জাকির নায়েক? ভর্তি মালয়েশিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা (Islamic Preacher) জাকির নায়েক (Zakir Naik) গুরুতর ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সমাজ মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, তিনি এইডস আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল হলেও তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি পেটালিং জায়ার সানওয়ে মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি আছেন।

    মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত জাকির নায়েক, খবর হাসপাতাল সূত্রে

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির নায়েক (Zakir Naik) যে অসুখে ভুগছেন তা একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। তবে রোগের প্রকৃত ধরন প্রকাশ করা হয়নি। কেন রোগ সম্পর্কে বলা হচ্ছে না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। সানওয়ে মেডিকেল সেন্টার মালয়েশিয়ার অন্যতম উন্নত হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে সংক্রামক রোগ, ক্যান্সার, হৃদরোগ, এইচআইভি চিকিৎসা ও জটিল বিপাকীয় রোগের জন্য এই হাসপাতাল আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছে। এছাড়া ভিআইপি পর্যায়ের চিকিৎসা দেওয়ার জন্যও এটি সুপরিচিত।

    সমাজ মাধ্যমে খবর

    এদিকে, সমাজ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে জাকির নায়েক নাকি এইচআইভি পজিটিভ (Zakir Naik)। একটি কথিত ডায়াগনস্টিক রিপোর্টও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে একজন রোগীর নাম লেখা আছে “জাকির আবদুল করিম নায়েক”। রিপোর্টটি কুয়ালালামপুরের পান্তাই হাসপাতালের। তাতে দেখা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট রোগীর এইচআইভি টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তবে ওই রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করা যায়নি, আর সেটি সত্যিই জাকির নায়েকের কিনা তাও নিশ্চিত নয়। এই গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে জাকির নায়েকের আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এইডসে আক্রান্ত হওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি ভুয়া সংবাদ, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ছড়ানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, রোগ সম্পর্কিত আসল তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে চিকিৎসক ও পরিবারের অনুরোধে, তবে যে রিপোর্ট ঘুরছে তা একেবারেই বানানো।

    ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায়তে জাকির নায়েক (Zakir Naik)

    ভারতের মাটিতে উগ্রপন্থী বক্তব্য ও মানি লন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। ভারত সরকার তাঁকে প্রত্যর্পণ করার চেষ্টা চালালেও মালয়েশিয়া এখনও সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।এই প্রেক্ষাপটে তাঁর অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলোচনার ঝড় উঠেছে।

  • London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    London News: অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল লন্ডন, সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার লন্ডনে (London News) টমি রবিনসনের নেতৃত্বে (Tommy Robinsons) আয়োজিত “ইউনাইট দ্য কিংডম” শীর্ষক বিক্ষোভে প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ অংশ নেন। অভিবাসন বিরোধী এই বিক্ষোভ শুরুতে শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে উত্তেজনা ছড়ায়। রবিনসনের কিছু সমর্থক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের উপর বোতল ছোড়া হয়, কয়েকজন অফিসারকে ঘুষি ও লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে ২৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হন, এর মধ্যে চারজন গুরুতরভাবে আহত—কারও দাঁত ভেঙে যায়, কারও মাথায় আঘাত লাগে, আবার কারও নাক ও মেরুদণ্ডে চোট পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    পাল্টা বিক্ষোভ (London News)

    একই সময়ে বামপন্থী সংগঠন “স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম” আয়োজিত “মার্চ এগেইনস্ট ফ্যাসিজম” শীর্ষক পাল্টা বিক্ষোভে প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। তাঁরা হাতে প্ল্যাকার্ডে লিখেছিলেন—“শরণার্থীরা স্বাগতম”, “ফ্যাসিবাদ ভাঙো”। অন্যদিকে রবিনসনের সমর্থকরা স্লোগান দেন—“আমরা আমাদের দেশ ফেরত চাই”, “স্টপ দ্য বোটস”, “ওদের ফেরত পাঠাও”। দুই পক্ষের বিক্ষোভ একই দিনে হওয়ায় রাজধানীজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিকেল গড়াতে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বারবার তীব্র বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেট্রোপলিটন পুলিশকে একাধিকবার হস্তক্ষেপ করতে হয়।

    ভিডিও বার্তা দেন ইলন মাস্ক

    সভায় ভিডিও বার্তায় যোগ দেন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, অভিবাসনের কারণে ব্রিটেন ধ্বংসের পথে (London News)। সভায় বক্তব্য রাখেন ফ্রান্সের ডানপন্থী রাজনীতিক এরিক জেমুরও, যিনি ইউরোপে মুসলিম অভিবাসনের সমালোচনা করেন। রবিনসন নিজেও অভিযোগ করেন, অভিবাসীরা এখন আদালতে ব্রিটিশ নাগরিকদের চেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। সভায় নিহত মার্কিন রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিক্ষোভে ইংল্যান্ডের সেন্ট জর্জ পতাকা ও যুক্তরাজ্যের ইউনিয়ন জ্যাক উড়তে দেখা যায়। নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জোর করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

  • India-US Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে”! ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে সুর নরম করলেন ট্রাম্প

    India-US Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে”! ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে সুর নরম করলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India-US Relation) উপর শুল্ক চাপানো যে সহজ নয়, তা মানলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করা “সহজ কাজ নয়” কারণ এটি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। শুল্কের কাঁটায় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়েছে তিক্ত। এ কথা নিজেই স্বীকার করে নিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “দেখুন, ভারত ওদের (রাশিয়া) সবথেকে বড় গ্রাহক ছিল। আমি ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariff on India) চাপিয়েছি কারণ ওরা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। এটা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু আমি তা করেছি। আমি অনেক করেছি। মনে রাখবেন, এটা আমাদের সমস্যার থেকেও বেশি ইউরোপের সমস্যা।” শুক্রবার ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই অনেক কিছু করেছি। আমি সাতটা যুদ্ধ সমাধান করেছি। আমি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যেকার উত্তেজনাসহ অনেক কিছু সমাধান করেছি। যেগুলো অসম্ভব মনে করা হত যেমন কঙ্গো আর রুয়ান্ডা। আমি তা সমাধান করেছি। এটি ৩১ বছর ধরে চলছিল, লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। আমি এমন যুদ্ধও শেষ করেছি, যেগুলোকে বলা হত সমাধান অযোগ্য।”

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি

    একদিকে শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প যখন ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বৃহস্পতিবার তাঁরই মনোনীত ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত সার্গিও গোর বলেছেন যে ট্রাম্প প্রশাসন চায় ভারত রাশিয়ার থেকে তেল ও ক্রুড পণ্য না কিনে, তা আমেরিকার থেকে কিনুক। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দুই দেশের আলোচনা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রসঙ্গত, ভারতের উপরে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই যুক্তিই দিয়েছিলেন যে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে এবং এই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক বলে উল্লেখ করেছে। সম্প্রতি চিন-রাশিয়া ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতেই আবার সুর নরম করেছেন ট্রাম্প। বারবার উল্লেখ করেছেন বন্ধুত্ব ও দীর্ঘ সম্পর্কের কথা। সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দেন যে, ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত এগোতে পারে। লুটনিক বলেন, “আসলে আমরা ভারতের ব্যাপারটা সমাধান করব, সেখানে বিশেষ কোনও সমস্যা হবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, অগ্রগতি অনেকটাই নির্ভর করছে ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করছে কিনা তার ওপর।

  • India Welcomes Nepal: সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ আশা, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল ভারত

    India Welcomes Nepal: সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ আশা, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত (India Welcomes Nepal)। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) নেতৃত্বাধীন এই সরকারকে “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” বলে অভিহিত করেছে নয়াদিল্লি। সরকার পতনের পর শুক্রবার অগ্নিগর্ভ নেপালের হাল ধরলেন সে দেশের প্রাক্তন বিচারপতি ৭৩ বছরের সুশীলা কার্কি। এদিন রাতে নেপালের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য প্রধানদের উপস্থিতিতে শপথ নিলেন তিনি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে বিবৃতি জারি করে সে কথা জানানো হয়েছে।

    স্বাগত বার্তা ভারতের

    নেপালের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রাথমিকভাবে কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহের নাম উঠছিল। কিন্তু ‘জেন জি’-র তরফে তাঁর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এরপরই কার্কির নাম ওঠে এবং তাঁর পক্ষেই সবচেয়ে বেশি সমর্থন মেলে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শুক্রবার রাতে শপথগ্রহণের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হলেন। সুশীলা (Sushila Karki) নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে দিল্লি। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমরা নেপালে সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আমরা আশাবাদী যে এই সরকার নেপালে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার পথে সহায়ক হবে। নিকট প্রতিবেশী, একত্রে গণতান্ত্রিক দেশ এবং দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে, ভারত নেপালের জনগণ এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।”

    নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

    নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পোদেল শুক্রবার কাঠমান্ডুতে এক অনুষ্ঠানে সুশীলা কার্কিকে (Sushila Karki) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করান। উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। ৭৩ বছর বয়সি কার্কি ছয় মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন। সৎ ও স্পষ্টভাষী হিসেবে পরিচিত কার্কি ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরই কার্কির নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়। ওলি দেশজুড়ে নেপালের যুব সমাজের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। এই বিক্ষোভ শুরু হয় ওলির সরকারের বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ঘিরে — যা নেপালের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণআন্দোলন বলে বিবেচিত। রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনী এবং “জেনারেশন জেড” আন্দোলনকারীদের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পরই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নাম অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য চূড়ান্ত করা হয়।

    ভারতকে পাশে থাকার আহ্বান

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলার নাম কার্যত নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, “মোদিকে আমি নমস্কার জানাই। আমি তাঁকে সম্মান করি। ভারতের প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা এবং স্নেহ রয়েছে। কারণ, তাঁরা সর্বদা নেপালের পাশে থেকেছেন।” নেপালে সরকার পতনের তিন দিনের মাথায় গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার রাতে তিনি রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের (Ramchandra Poudal) কাছে শপথবাক্য পাঠ করেন ৭২ বছর বয়সি সুশীলা (Sushila Karki)। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি রাম সহায় এবং প্রধান বিচারপতি প্রকাশ সিং রাওয়াত। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই।

    নেপালে পরবর্তী নির্বাচন কবে

    বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুশীলা কার্কিকে (Sushila Karki) মনোনীত করেন আন্দোলনকারী ছাত্র যুবরা। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় তাঁর কাছে এই প্রস্তাবে সম্মতি চাওয়া হলে তিনি প্রস্তাব বিবেচনার জন্য কমপক্ষে ১ হাজার স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। পরে তাঁর পক্ষে প্রায় ২ হাজার ৫০০ স্বাক্ষর জমা পড়ে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে সম্মত হন সুশীলা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কার্কির নিয়োগের কড়া সমালোচনা করেছে নেপালের মাওয়িস্ট পার্টি। শুক্রবার রাতে সুশীলা কার্কির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে নেপালি সংসদের দুই কক্ষের প্রধানরা। রাষ্ট্রপতির পক্ষে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও স্পিকার দেবরাজ ঘিমিরে এবং জাতীয় সংসদের চেয়ারম্যান নারায়ণ দাহাল শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। নেপালের জেন জি আন্দোলকারীদের কোর কমিটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আগামী নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দেবার কথা জানিয়েছেন। তাদের দাবি, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নেপালের পরবর্তী নির্বাচন করতে হবে। সূত্র অনুসারে, ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নেপালের পরবর্তী নির্বাচন হবার কথা।

LinkedIn
Share