Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Beats Australia: ফের উঠল বিশ্বকাপের দাবি! রো-কো জুটির দাপটে অস্ট্রেলিয়ায় সান্ত্বনা জয় ভারতের

    India Beats Australia: ফের উঠল বিশ্বকাপের দাবি! রো-কো জুটির দাপটে অস্ট্রেলিয়ায় সান্ত্বনা জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রো-কো জুটির দাপটে সিডনিতে সান্ত্বনা জয় পেল শুভমনের ভারত। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ১৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি জয় এনে দিল দলকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে সম্মানের লড়াইয়ে জিতে লজ্জা এড়াল ভারত। এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে প্রথম জয় পেলেন শুভমন গিল। শনিবার সিডনিতে ভারত জিতল ৯ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার ২৩৬ রানের জবাবে ভারত ৩৮.৩ ওভারে ১ উইকেটে করল ২৩৭ রান। বহু দিন পর রো-কো জুটির দাপট দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২২ গজে পরস্পরকে পেয়ে সাবলীল ব্যাটিং করলেন। বুঝিয়ে দিলেন, বয়স তাঁদের ৩৬-৩৮ যাই হোক, মিচেল স্টার্ক-জশ হেজলউডদের মতো বোলারদের শাসন করার মতো ক্ষমতা এখনও রয়েছে। বুঝিয়ে দিলেন, ঠিকঠাক শট মারলে বল বাউন্ডারি লাইনে গিয়েই থামে।

    ক্যাচ ধরেও রেকর্ড কোহলির

    প্রথম দু’ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন কোহলি। সিডনিতে প্রবল চাপে ছিলেন। মনে হচ্ছিল ফের যেন প্রথম ম্যাচ খেলার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বিরাটকে। কিন্তু তিনি কিং কোহলি। দিনটা যেন ছিল তাঁরই। প্রথমে দুরন্ত ক্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে নজর কাড়লেন ফিল্ডার বিরাট কোহলি। ০.৬৭ সেকেন্ড সময়ে ম্যাথু শর্টের ক্যাচ ধরেছেন ৩৬ বছরের ক্রিকেটার। শুধু তাই নয়, শনিবার সিডনিতে ফিল্ডার হিসাবে একটি নজির গড়েছেন কোহলি। ফিল্ডার হিসাবে মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোহিত শর্মাও। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ২৩তম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে জোরালো সুইপ মেরেছিলেন শর্ট। কোহলির কাছে সময় কম ছিল। তা-ও অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ক্যাচ ধরেন তিনি। পরে হর্ষিত রানার বলে কুপার কোনোলির ক্যাচও ধরেছেন কোহলি। এ দিনের জোড়া ক্যাচে গড়েছেন একটি নজির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও একটি দেশের বিরুদ্ধে সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার বিশ্বরেকর্ড করলেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে কোহলির ক্যাচের সংখ্যা হল ৭৭। তিনি টপকে গেলেন অস্ট্রেলিয়ারই স্টিভ স্মিথকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭৬টি ক্যাচ ধরেছেন স্মিথ। শনিবার সিডনিতে দু’টি ক্যাচ নিয়েছেন রোহিতও। সাধারণ ফিল্ডার হিসাবে (উইকেটরক্ষক নয়) এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি ক্যাচ ধরার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক।

    রোহিতের সঙ্গে ভাল জুটি বাঁধেন কোহলির

    সিডনিতে ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শুভমন গিলকে আউট করেন জশ হেজলউড। শুভমন সাজঘরে ফেরার পর কোহলি যখন নামছেন তখন শব্দের ডেসিবল বাড়ছে। কিন্তু কোহলি চুপচাপ ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতায় চাপে রয়েছেন তিনি। হেজলউডের প্রথম বল মিড অনে মেরেই অপর প্রান্তে ছোটেন কোহলি। এক রান পূর্ণ করার পরেই গোটা মাঠ জুড়ে উল্লাস। ভারতীয় সমর্থকেরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। কোহলিকেও দেখা যায়, রোহিতের দিকে তাকিয়ে ‘ফিস্টপাম্প’ করছেন। ভাবখানা এমন, শতরান করেছেন। কোহলির মুখের হাসি দেখে বোঝা যায়, কতটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। সেই এক রানের পর কোহলিকে বেশ সাবলীল দেখায়। কয়েকটি চার মারেন। পাশাপাশি দৌড়ে রান করেন। রোহিতের সঙ্গে ভালো জুটি বাঁধেন কোহলি।

    রোহিতের ঝকঝকে শতরান

    ১০৫ বলে এক দিনের ক্রিকেটে নিজের ৩৩তম শতরান করলেন রোহিত। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ১২৫ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলে। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৩টি চার এবং ৩টি ছয়। ২২ গজের অন্য প্রান্তে কোহলি অপরাজিত থাকলেন ৮১ বলে ৭৪ রান করে। মারলেন ৭টি চার। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তাঁরা। রো-কো জুটি দেখিয়ে দিল ব্যাটিং করা কত সহজ। সাত মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন দু’জনেই। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন সাড়ে চার মাস। রো-কো দু’ম্যাচে প্রত্যাশাপূরণ করতে পারেননি। তাতেই গেল গেল রব উঠে গিয়েছিল। তাঁদের ক্রিকেট ভবিষ্যৎকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল অনিশ্চয়তার কানা গলিতে। ভারতীয় দলের দুই সিনিয়র ব্যাটার জুটি বেঁধে খোলস ছাড়তেই ঝকঝকে দেখাল শুভমনের দলকে।

    নজির বিরাট-রোহিতের

    একদিন ও আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোট রানের নিরিখে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্য সবার আগে কিং কোহলি। ১৮হাজার ৪৩৭ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এরপরে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকার (১৮,৪৩৬ রান)। একদিনের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৫০ রানের অতিরিক্ত পার্টনারশিপ ১২ বার করেছেন রো-কো জুটি। তাঁরা সচিন ও সৌরভের সঙ্গে একই সারিতে রয়েছে। এদিন শতরান করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০তম শতরান করলেন রোহিত শর্মা। টেস্টে ১২টি, একদিনের ম্যাচে ৩৩টি ও ৫টি শতরান রয়েছে টি-টোয়েন্টিতে।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের দাবি

    ২০২৭ বিশ্বকাপের আগে অনেক সময় রয়েছে। রো-কো’র কাছে ধারাবাহিকতা চাইবেন গম্ভীর। প্রতি ম্যাচে পরীক্ষায় বসতে হবে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে। তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটারেরা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন। এই চাপ নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের শেষটুকু টিকিয়ে রাখতে হবে রোহিত এবং কোহলিকে। সূচি অনুযায়ী, আগামী বিশ্বকাপের আগে আরও ২১টি এক দিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড (দু’টি), আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। ‘ফর্ম টেম্পোরারি। ক্লাস পার্মানেন্ট।’ ক্রিকেটের বহু ক্লিশে হয়ে যাওয়া প্রবাদ, বিশ্বকাপের আগে এভাবে বারবার প্রমাণ করতে হবে রোহিতদের। আসলে পুরনো হয়ে যাওয়া মানেই তো সবকিছুকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যায় না। যেমনটা ফেলে দেওয়া যায় না রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলিদের মতো ‘বুড়ো’ ব্যাটারদের। অন্তত ওয়ানডে ফরম্যাটে যে তাঁরা এখনও অপ্রতিরোধ্য এবং অতুলনীয়, সেটা অজিদের বিরুদ্ধে সিডনিতে আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন দুই মহারথী।

  • Neeraj Chopra: ‘গোল্ডেন বয়’-এর মুকুটে নয়া পালক, নীরজ চোপড়া হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    Neeraj Chopra: ‘গোল্ডেন বয়’-এর মুকুটে নয়া পালক, নীরজ চোপড়া হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গোল্ডেন বয়’ নীরজ চোপড়ার Neeraj Chopra) মুকুটে নয়া পালক। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ারকে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে সাম্মানিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত করা হল। নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় আয়োজিত এই “পিপিং সেরিমনি” নীরজ চোপড়ার জীবনের আর একটি গৌরবময় মাইলফলক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে রইল। নীরজ হলেন সেই ক্রীড়াবিদ, যিনি বিশ্বমঞ্চে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন একাধিকবার। অনুষ্ঠান চলার সময়ই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) নীরজ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

    কী বললেন রাজনাথ? (Neeraj Chopra)

    এই জ্যাভলিন চ্যাম্পিয়নের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “নীরজ অধ্যবসায়, দেশপ্রেম এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের ভারতীয় চেতনার জীবন্ত প্রতীক।” রাজনাথ নীরজের প্রেরণাদায়ী যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। হরিয়ানার একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে শুরু করে তিনি কীভাবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষে পৌঁছলেন, তাঁর সেই অসামান্য সাফল্য এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “লেফটেন্যান্ট কর্নেল (সাম্মানিক) নীরজ চোপড়া শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা এবং জাতীয় গৌরবের সর্বোচ্চ আদর্শের প্রতীক। তিনি ক্রীড়া জগতের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাছেও অনুপ্রেরণার উৎস।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন (Neeraj Chopra) সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, ভারতীয় সেনা ও টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রবীণ আধিকারিকরা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

    নীরজের পথ চলা

    ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন নীরজ। সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রাচীন ও সর্বাধিক সম্মানিত পদাতিক রেজিমেন্ট রাজপুতানা রাইফেলসে যোগ দেন। নীরজ ইতিহাসে নিজের নাম অমর করে তুলেছেন ২০২০ সালে, টোকিও অলিম্পিক্সে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে ভারতের প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী অ্যাথলিট হয়ে। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে রৌপ্যপদক জয় এবং ২০২৩ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে নীরজ প্রমাণ করেছেন, তিনি বিশ্বের অন্যতম ধারাবাহিক জ্যাভলিন থ্রোয়ার।

    এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস এবং ডায়মন্ড লিগ প্রতিযোগিতায়ও একাধিক স্বর্ণপদক জয় করেছেন নীরজ। এভাবে বিশ্বমঞ্চে নীরজ উজ্জ্বল করেছেন ভারতের নাম (Rajnath Singh)। নীরজের ব্যক্তিগত সেরা থ্রো ৯০.২৩ মিটার (২০২৫) ভারতীয় ক্রীড়া ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি (Neeraj Chopra) শুধু শারীরিক দক্ষতার নয়, বরং জাতীয় গৌরব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

  • Mohun Bagan: যুবভারতীতে দীপাবলির রোশনাই! আইএফএ শিল্ড জিতল বাগান

    Mohun Bagan: যুবভারতীতে দীপাবলির রোশনাই! আইএফএ শিল্ড জিতল বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুবভারতী দীপাবলির আগেই বাজির বাজনা। আরও একটি ফাইনাল জিতল মোহনবাগান। আরও একটি ফাইনালে ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারাল তারা। চলতি মরসুমের প্রথম দু’টি ডার্বি হেরেছিল মোহনবাগান। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ জিতে নিল তারা। যুবভারতীতে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল এই ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। বেশির ভাগ সময় দাপট দেখিয়েছে তারাই। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। গোল না করতে পারলে যে ম্যাচ জেতা যায় না তা আরও এক বার দেখা গেল। টাইব্রেকারে জিতে চলতি মরসুমে প্রথম বড় ট্রফি জিতল মোহনবাগান।

    আবেগের রঙ সবুজ-মেরুন

    মেহতাব সিংয়ের গোলের পরেই মুহূর্তে বিস্ফোরণ! জমে থাকা টেনশন যেন এক ঝটকায় উড়ে গেল সবুজ-মেরুন শিবির থেকে। দিমিত্রি পেত্রাতোস, মেহতাব, থাপা— উচ্ছ্বাসে ভাসলেন সবাই। পেনাল্টি মিসের যন্ত্রণা ভুলে উৎসবে যোগ দিলেন জেসন কামিংসও। ২২ বছর পর আবার আইএফএ শিল্ড জিতল বাগান। শিল্ড জেতার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল গ্যালারির ছবিও। বাজির শব্দে কেঁপে উঠল স্টেডিয়াম। ঝোলা থেকে বেরিয়ে এল মোহনবাগানের পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার। সবুজ-মেরুনে ছড়িয়ে পড়ল আবেগের রং।

    ভাল খেলেও হার ইস্টবেঙ্গলের

    টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন মিগুয়েল, কেভিন, নওরেম মহেশ, হিরোশি। কিন্তু জয় গুপ্তর শট আটকে দিয়ে এ দিনের ম্যাচের নায়ক হয়ে যান বিশাল কাইথ। সবুজ-মেরুনের হয়ে সফল রবসন, মনবীর, লিস্টন, দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং মেহতাব সিং। তবে ম্যাচের পর বাগান গ্যালারিতে উচ্ছ্বাস থাকলেও, আবেগের বিস্ফোরণটা কোথাও যেন অনুপস্থিত ছিল। যে কারণে কিছুটা হলেও অচেনা হয়ে উঠেছিল যুবভারতী। নব্বই মিনিট শেষে স্কোরলাইন ১-১। হামিদ আহদাদের গোলে লাল-হলুদ এগিয়ে যায়, বিরতির ঠিক আগে সমতা ফেরান আপুইয়া। বাকি সময়টা যেন এক টানটান অপেক্ষা— দু’দলের কিছু বিক্ষিপ্ত আক্রমণ, কিন্তু খেলার মান আহামরি নয়। বল মাঝমাঠেই ঘুরপাক খেল, যা দেখার পর ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ম্যাকলারেন, কামিন্স ছিলেন যেন বোতলবন্দী। রবসনও পাননি তেমন সুযোগ। বরং, মিগুয়েলের ফুটবলে ছিল ছন্দ, ছিল মুক্তি। কিন্তু সাপোর্টিং প্লে-র অভাব স্পষ্ট। ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে খেলার ফল ছিল ১-১। টাইব্রেকারে বাগানের জয়ের নায়ক সেই বিশাল কাইথ। ইস্টবেঙ্গলের নতুন ডিফেন্ডার জয় গুপ্তের শট বাঁচিয়ে দিলেন তিনি। মেহতাব সিং-এর শট জালে জড়াতেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল সবুজ-মেরুন। যুবভারতীতে উল্লাস শুরু করে দিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা।

  • Archery World Cup Final 2025: তিরন্দাজ বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ জিতে ঐতিহাসিক জয় জ্যোতির

    Archery World Cup Final 2025: তিরন্দাজ বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ জিতে ঐতিহাসিক জয় জ্যোতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের তিরন্দাজ বিশ্বকাপ (Archery World Cup Final 2025) ফাইনালে ব্রোঞ্জ জিতে ঐতিহাসিক জয় পেলেন জ্যোতি সুরেখা ভেন্নাম (Jyothi Surekha Vennam)। জ্যোতি হলেন প্রথম ভারতীয় যিনি এই বছরে শেষের শোপিসে মহিলাদের একক কম্পাউন্ড ইভেন্টে পদক জয়ী হয়েছেন। উল্লেখ্য, পুরুষদের ব্রোঞ্জ ইভেন্টে ঋষভ যাদবের হাতছাড়া হয়েছে পদক। গত কয়েক বছরে ভারত অলিম্পিক থেকে আইসিসি ক্রিকেট ম্যাচ-সহ ক্রীড়া জগতে বিশেষ সাফল্যের নজির গড়েছে। অবশ্য কেন্দ্রের মোদি সরকারের ‘খেল ইন্ডিয়া, ফিট ইন্ডিয়া’র মতো প্রকল্প দেশের ভেতরে বিরাট সাড়া ফেলেছে।

    একক পদক জয়ী হওয়ার বিশেষ খেতাব (Archery World Cup Final 2025)

    শনিবার চিনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল (Archery World Cup Final 2025) ২০২৫ এ মহিলাদের ব্যক্তিগত কম্পাউন্ড  ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন জ্যোতি (Jyothi Surekha Vennam)। ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেনের বিশ্বের দ্বিতীয় নম্বর এলা গিবসনকে ১৫০-১৪৫ ব্যবধানে হারিয়ে পদক নিশ্চিত করেছেন জ্যোতি। এর আগে, টুর্নামেন্টে তৃতীয় স্থান অধিকারী এই ভারতীয় তিরন্দাজ কোয়ার্টার ফাইনালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালেক্সিস রুইজকে ১৪৩-১৪০ ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু সে বার সেমিফাইনালে মেক্সিকোর বিশ্বের ১ নম্বর খেলোয়াড় আন্দ্রেয়া বেসেরার কাছে ১৪৫-১৪৩ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন। তৃতীয় রাউন্ডের পরে ভারতীয় তিরন্দাজ ৮৭-৮৬ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন, যদিও শেষ দুটিতে হেরে যান। এই পদক জ্যোতি সুরেখাকে প্রথম ভারতীয় মহিলা কম্পাউন্ড তিরন্দাজ হিসেবে আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে একক পদক জয়ী হওয়ার বিশেষ খেতাব দিয়েছে।

    ২০২২ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিলেন

    জ্যোতি হলেন একমাত্র ভারতীয় মহিলা কম্পাউন্ড তিরন্দাজ যিনি মরশুমের শেষ তিরন্দাজ প্রতিযোগিতায় (Archery World Cup Final 2025) পদক জিতেছেন। ২০১৮ সালে তিনি অভিষেক ভার্মার সাথে মিশ্র দল ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছিলেন। ভারতীয় তিরন্দাজ ২০২২ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে এক ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু উভয় অনুষ্ঠানেই প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন।

    আবার পুরুষদের একক কম্পাউন্ড ড্র-য়ে, ভারতের ঋষভ যাদব ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে বিশ্বের দ্বিতীয় নম্বর নেদারল্যান্ডসের মাইক শ্লোসারের কাছে শ্যুটআউটে হেরে যাওয়ার পর অল্পের জন্য প্রথম স্থান থেকে বঞ্চিত হন। পাঁচ রাউন্ড শেষে তিরন্দাজরা ১৪৭ পয়েন্টে সমতায় থাকার পর শুটঅফে দু’জনেই ১০-১০ করেন। তবে, ডাচম্যানের তির কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকায় জয় লাভ করেন।

    এর আগে, ঋষভ যাদব কোয়ার্টার ফাইনালে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের কিম জংহোকে ১৪৪-১৪৩ ব্যবধানে হারিয়ে ছিলেন এবং সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিশ্বের এক নম্বর ম্যাথিয়াস ফুলারটনের কাছে ১৪৮-১৪৪ ব্যবধানে হেরেছিলেন। ২০২৫ সালের তিরন্দাজি বিশ্বকাপ ফাইনাল রবিবার রিকার্ভ ইভেন্টের মাধ্যমে শেষ হবে।

  • Pakistan vs Afghanistan: ভারতই ঠিক! পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না আফগানিস্তান, পাক হামলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার

    Pakistan vs Afghanistan: ভারতই ঠিক! পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবে না আফগানিস্তান, পাক হামলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতই ঠিক পথে হেঁটেছে, বুঝতে পারল আফগানিস্তানও। পাকিস্তানের হামলায় নিহত হয়েছে আফগানিস্তানের (Pakistan vs Afghanistan) তিন ক্রিকেটার। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী নভেম্বরের ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে দল তুলে নিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। সিরিজে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা না-খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বুধবার ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেছিল দুই দেশ। তার মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। তার পরেই রাতে পাকিস্তান বর্বরোচিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

    সাধারণ মানুষের উপর হামলা

    শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে আকাশপথে হামলা চালায় ইসলামাবাদ। তাতেই তিন জন ক্রিকেটার-সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তিন ক্রিকেটারের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (ACB)। নিহতেরা হলেন কবীর, শিবঘাতুল্লা এবং হারুন। এসিবি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটারেরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’’

    বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্রিকেটাররা

    বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আফগানিস্তানের ক্রীড়াজগতে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁদের পরিবারের প্রতি এবং পাকতিকার মানুষের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের, তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড।’’ আফগানিস্তানের টি২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খান সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানের নাগরিকদের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। এই হামলায় অনেক মহিলা, শিশুর প্রাণ গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের, যাঁরা এক দিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এভাবে অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা বর্বরোচিত এবং অনৈতিক। এই ধরনের কাজ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, একে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।’’ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এর পর রশিদ বলেন, ‘‘এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণের মৃত্যু হয়েছে। আমি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমি আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশের মর্যাদা সবচেয়ে আগে।’’

    তিন উদীয়মান ক্রিকেটারের করুণ পরিণতি

    তিন জনের মধ্যে কবীরকে আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে কবীর নজর কাড়ছিলেন গত দু’মরসুম ধরে। আগ্রাসী ব্যাটার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সাধারণত ওপেন করতেন। কখনও কখনও তিন নম্বরেও ব্যাট করতেন। ধারাবাহিকতার জন্য আফগানিস্তানের দক্ষিণ প্রাদেশিক অনূর্ধ্ব-২৩ প্রশিক্ষণ শিবিরে ডাক পেয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য আফগানিস্তানের জাতীয় নির্বাচকদের নজরেও ছিলেন। পাকতিকা প্রদেশের বাসিন্দা শিবঘআতুল্লা ছিলেন জোরে বোলার। হাতে ছিল ভাল ইনসুইং। পাকতিকা প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ছিলেন। আগামী মরসুমে উরগুন ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন শিবঘাতুল্লা। হারুন ছিলেন প্রতিভাবান অলরাউন্ডার। টেনিস বলের ক্রিকেট থেকে উঠে এসেছিলেন। পাকতিকা প্রদেশের স্থানীয় একটি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় নজর কেড়েছিলেন। ডান হাতি ব্যাটার কার্যকর স্পিন বল করতে পারতেন। তিনিও শিবঘাতুল্লার মতোই পাকতিকা প্রদেশের উরগুনের বাসিন্দা ছিলেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি পড়াশোনায়ও ভাল ছিলেন। স্থানীয় এক কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াশোনাও করছিলেন। মৃত তিন ক্রিকেটারের ছবি প্রকাশ করেছে আফগান বোর্ড।

    ভারতের পথেই আফগানিস্তান ক্রিকেট

    ভারতের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর টিম ইন্ডিয়া যেভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল, এটিও ঠিক সেইরকমই৷ ভারত যেমন আর পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ক্রিকেট খেলে না, এখন আফগানিস্তানও একই কাজ করতে চলেছে। আফগান ক্রিকেটারদের টার্গেট করছে পাকিস্তান। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান আফগানিস্তানে অসামরিক টার্গেটে বোমাবর্ষণ করে। পাকিস্তানি বিমান বাহিনী এমন একটি স্থানেও বোমাবর্ষণ করে যেখানে আফগানরা ক্লাব-স্তরের ক্রিকেট ম্যাচ খেলে বাড়ি ফিরছিল। এর আগে থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে আইসিসি ইভেন্ট ছাড়া কোনও ম্যাচই খেলে না ভারত। এবার আফগানিস্তানও সেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। আসলে পাকিস্তান বরাবরই অসামরিক লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে। ভারত-পাক সীমান্তেও সাধারণ মানুষদের নিশানা করা হয়েছিল। এবার পাকিস্তানের নজরে আফগানিস্তান।

  • Bangladesh Cricket: আফগানদের কাছে চুনকাম, দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশি ক্রিকেটারেরা

    Bangladesh Cricket: আফগানদের কাছে চুনকাম, দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশি ক্রিকেটারেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে অরাজক পরিস্থিতির ছায়া বাইশ গজেও। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও (Bangladesh Cricket) কালো দিন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই পরাজিত হয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ২০০ রানের। লজ্জার সিরিজ শেষে দেশে ফিরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিমানবন্দরে নামার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ক্রিকেটারেরা বিমানবন্দর থেকে বার হওয়ার সময় বেশ কিছু সমর্থক তাঁদের বিদ্রুপ করেন। সরাসরি ক্রিকেটারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ক্রিকেটারদের গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে।

    কেন এমন হাল বাংলাদেশের

    সময়টা ভাল যাচ্ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh Cricket)। এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর এক দিনের সিরিজেও শোচনীয় অবস্থা। আফগানিস্তানের কাছে এক দিনের সিরিজে চুনকাম হয়েছে বাংলাদেশ। তিনটি ম্যাচই হারতে হয়েছে। এই সিরিজে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া। আফগানিস্তানের বোলাররা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেয়। শেষ ১২টি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ মাত্র একটি জিততে পেরেছে, যা দলের পারফরম্যান্স গ্রাফের নিন্মমুখী অবস্থানকে তুলে ধরে। এই ১১ হারের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই চারটি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে, বর্তমানে তারা দশম স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এমনিতে খুব ভালো জায়গায় ছিল না কখনওই কিন্তু ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে ৭-৮ নম্বর জায়গাতেই ঘুরে ফিরে ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পতন শুধু খেলোয়াড়দের ফর্মের কারণে নয়, বরং টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনার অভাবও বড় কারণ। নিয়মিত দল পরিবর্তন, স্থায়ী অধিনায়কত্বের অভাব, এবং ব্যাটিং অর্ডারে বিভ্রান্তি দলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

    সমর্থকদের সংযত থাকার অনুরোধ

    এই পরিস্থিতিতে সমর্থকদের সংযত থাকার অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার নইম শেখ। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন যে, মাঠে নেমে জেতার চেষ্টাই করেন তাঁরা। কিন্তু সব সময় জেতা সম্ভব নয়। খেলায় জয়-পরাজয় থাকে। তাঁরাও মানুষ। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, হেরে যাওয়ায় দেশের সমর্থকদের কষ্ট হয়েছে। সেই কষ্ট থেকেই এই বিক্ষোভ। কিন্তু তাঁদের যে ভাবে ঘৃণা করা হচ্ছে বা গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে, তা তাঁদেরও খুব কষ্ট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নইম। বাংলাদেশের এক দিনের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ চাপে রয়েছেন। অধিনায়ক হিসাবে ১০টি ম্যাচের মধ্যে ন’টিতেই হেরেছেন তিনি।

  • India vs Australia:  চার ঘণ্টা দেরিতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছল ভারতীয় দল, কোহলির পোস্ট ঘিরে অবসরের জল্পনা

    India vs Australia: চার ঘণ্টা দেরিতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছল ভারতীয় দল, কোহলির পোস্ট ঘিরে অবসরের জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) কি এবার পুরোপুরি প্রাক্তন! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় আর কতদিন খেলবেন বিরাট ভাই, এখন সেই প্রশ্নই চলছে কোহলি অনুরাগীদের মনে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia) পার্‌থে গিয়ে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। সেই দলে রয়েছেন বিরাট কোহলিও। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তিনি এমন একটি পোস্ট করেছেন, যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কোহলি হয়তো এক দিনের ক্রিকেট থেকেও অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে ফেলেছেন। আবার অন্য অংশের ধারণা, কোহলি খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কতটা দায়বদ্ধ সেটাই বোঝা গিয়েছে পোস্টে। বৃহস্পতিবার ঠিক সকাল ১০টায় ১৩ শব্দের একটি পোস্ট লিখেছেন কোহলি। বাংলায় তার অর্থ, “যখনই কেউ হাল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখনই সে সত‍্যিকারের ব্যর্থ।”

    কোহলির পোস্ট ঘিরে জল্পনা

    কোহলির এই পোস্টের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনার মিল রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে কোহলি এবং রোহিত শর্মা ব্যর্থ হলে এটাই তাঁদের শেষ সিরিজ হতে চলেছে। ভবিষ্যতে হয়তো ভারতীয় দলে তাঁদের আর বিবেচনা করা হবে না। দুই তারকা ক্রিকেটারই এখন শুধু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে খেলেন। তাই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সাফল্য পাওয়া দু’জনের কাছেই জরুরি। ভাল খেলার ব্যাপারে তিনি কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, সেটাই কোহলির পোস্টে ধরা পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোহলি হয়তো এখনই খেলা ছাড়ার কথা ভাবতে চান না। তাঁর স্বপ্ন ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলা। তাই জন্যই তিনি হাল না ছাড়ার বার্তা দিয়েছেন। কারণ অবসরের ভাবনা মাথায় আনলেই হয়ত তিনি ব্যর্থ হতে পারেন।

    পারথে পৌঁছল ভারতীয় দল

    অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ (India vs Australia) শুরুর আগেই সমস্যায় পড়েছে ভারতীয় দল। চার ঘণ্টা দেরিতে সে দেশে পৌঁছোছে ভারতীয় দলের একাংশ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রথম দল পৌঁছেছে পার্‌থে। হোটেলে গিয়ে সটান নিজেদের ঘরে চলে গিয়েছেন ক্রিকেটারেরা। সকলকেই ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত দেখিয়েছে। দিল্লি থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টার বিমানে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় দলের। সেখান থেকে পার্‌থের বিমান ধরার কথা ছিল। সব ঠিকঠাক থাকলে বুধবার রাতের মধ্যেই পার্‌থে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল ভারতের। তা হয়নি। দিল্লি থেকে বিমানই ছেড়েছে প্রায় চার ঘণ্টা দেরিতে, দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ। স্বাভাবিক ভাবেই সিঙ্গাপুর থেকে নির্ধারিত বিমান ধরতে পারেনি ভারতীয় দল। সিঙ্গাপুর থেকে পরের বিমানে কোহলিরা পৌঁছোন পার্‌থে। হোটেলে ঢোকেন ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ। টিম বাস থেকে প্রথমেই নেমে আসেন রোহিত (Rohit Sharma)। তার পর কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, শুভমন গিল, কেএল রাহুল, যশস্বী জয়সওয়াল, অর্শদীপ সিং, হর্ষিত রানারা একে একে নেমে হোটেলে ঢুকে যান।

    রোহিত-কোহলিকে ঘিরে উন্মাদনা

    অস্ট্রেলিয়ায় মিচেল মার্শদের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ান ডে এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারতীয় দল। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সিরিজ। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় দলের জন্য বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তার পরেও ভারতীয় দলের টিম হোটেলের বাইরে কিছু ভক্ত অপেক্ষা করছিলেন প্রিয় নায়কদের এক ঝলক দেখার আশায়। তবে ক্লান্ত ভারতীয় ক্রিকেটাররা ভক্তদের ছবি তোলা বা সই শিকারিদের খুব একটা সুযোগ না দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন। রোহিত, কোহলিকে (Virat Kohli) নিয়েই উৎসাহ ছিল বেশি। এক সমর্থক হাজির হয়েছিলেন দু’জনের ছবি দিয়ে বাঁধানো একটি ফ্রেম নিয়ে। ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের আশা দুই মহাতারকা রোহিত ও বিরাট অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজে দারুণ খেলবেন। প্রথম বার ওয়ান ডে-তে নেতৃত্ব দিতে চলা শুভমন গিলও দুই মহারথীকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে বার্তা দিয়েছেন।

  • Commonwealth Games 2030: শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমসের আসর ভারতেই! আগামী মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    Commonwealth Games 2030: শতবর্ষের কমনওয়েলথ গেমসের আসর ভারতেই! আগামী মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষে কমনওয়েলথ গেমস-এর (Commonwealth Games 2030) প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেদাবাদ। ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য সরকারিভাবে বিড জমা দিয়েছিল ভারত। বুধবার, কমনওয়েলথ গেমসের নির্বাহী বোর্ড ঐতিহ্যবাহী গেমের আয়োজক শহর হিসেবে আমেদাবাদকে সুপারিশ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গিয়েছে, ২৬ নভেম্বর গ্লাসগোতে কমনওয়েলথ গেমসের সাধারণ অধিবেশনে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কমনওয়েলথ স্পোর্টস জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে হবে এই অধিবেশন।

    বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো আমেদাবাদে

    কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2030) শতবর্ষপূর্তি ২০৩০ সালে। এ বার ‘Centenary Games’ আয়োজনের জন্য ভারতের আমেদাবাদকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কমনওয়েলথ স্পোর্টসের কার্যনির্বাহী বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত কমনওয়েলথের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে, এক ঐতিহাসিক আয়োজনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। বিশ্বমানের ক্রীড়া পরিকাঠামো আমেদাবাদ বহন করতে পারবে বলে আগেই ক্রীড়া মহলে শোনা গিয়েছিল। আমেদাবাদেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম (নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম)। এ বার ভারত ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসের মতো মাল্টি স্পোর্টস ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পায় কি না, সেটাই দেখার। আপাতত কমনওয়েলথ স্পোর্ট ইভ্যালুয়েশন কমিটি (Commonwealth Sport Evaluation Committee) আমেদাবাদের প্রস্তাবটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখেছে। প্রযুক্তিগত অবস্থান, খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা, পরিকাঠামো, সুশাসন এবং কমনওয়েলথ স্পোর্টসের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য, এই সকল মাপকাঠিতে আমেদাবাদকে যোগ্য বলে মনে করা হয়েছে।

    লড়াইয়ে ভারত ও নাইজেরিয়া

    কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2030) অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া এবং গুজরাট সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি প্রতিনিধি দল এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দরপত্র জমা দিয়েছিল আগেই। লন্ডনে কমনওয়েলথ স্পোর্টের কাছে তারা এই বিড করেছিল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কমনওয়েলথ গেমসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমেদাবাদকে আয়োজক শহর হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে। ২৭ অগাস্ট মেগা এই প্রতিযোগিতা বিড করার অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য বিড করে ভারত। একই সঙ্গে আফ্রিকায় কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য বিড করে নাইজেরিয়া। কমনওয়েলথ স্পোর্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডোনাল্ড রুকরে ভারত ও নাইজেরিয়া দুই দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশের প্রস্তাব আকর্ষণীয় ছিল।

    ক্রীড়াক্ষেত্রে বিকশিত ভারতের পথে

    কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2030) অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট পিটি ঊষা বলেন, “আমেদাবাদে শতবর্ষের গেমস আয়োজন করা ভারতের কাছে দারুণ সম্মানের হবে। যা কেবল দেশের ক্রীড়া গুরুত্বকেই নয়, ২০৪৭ সালের বিকশিত ভারতের দিকেও নিয়ে যাবে। ভারতে এই গেমস আয়োজিত হলে যুবসমাজও অনুপ্রাণিত হবে।” এর আগে ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছিল ভারত। ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ৭২টি দেশ অংশ নিতে পারে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে বিরাট সংখ্যক অ্যাথলিট, কোচ, কর্মকর্তা, সমর্থক, মিডিয়া কর্মীরা ভারতে আসবেন। এতে দেশের পর্যটন, হসপিটালিটি, বাজার, পরিবহণ খাতে অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধি পাবে। কমনওয়েলথ গেমস কেবল ক্রীড়া উৎসবই নয়, এতে ক্রীড়া বিজ্ঞান, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্রডকাস্টিং, আইটি এবং জনসংযোগ-সহ বহু খাতে কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

  • India vs West Indies: দুর্বল ক্যারিবিয়ানদের উড়িয়ে এবার ভাবনায় অস্ট্রেলিয়া! অজি-বধে কী পরিকল্পনা শুভমনের?

    India vs West Indies: দুর্বল ক্যারিবিয়ানদের উড়িয়ে এবার ভাবনায় অস্ট্রেলিয়া! অজি-বধে কী পরিকল্পনা শুভমনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দাপটে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর অধিনায়ক শুভমনের মাথায় এখন অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতেছেন শুভমন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে (India vs West Indies) হারানোর পরেই শুভমনের কাছে প্রশ্ন ছিল, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরিকল্পনা কি হয়েছে? জবাবে শুভমন বলেন, “লম্বা বিমানযাত্রা রয়েছে। বিমানেই গৌতি ভাইয়ের (প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর) সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলতে পারব।” শুভমনের কথা থেকে পরিষ্কার, অস্ট্রেলিয়া নেমে নয়, তার আগেই তিনি পরিকল্পনা সেরে ফেলতে চাইছেন। টেস্টের পাশাপাশি শুভমন গিলের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে ওডিআই টিমের ব্যাটন। রোহিত শর্মার সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই তাঁর সামনে। দু-বছর পর অর্থাৎ ২০২৭ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ। কাীপুজোর আগেই শুরু হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ (India vs Australia)। প্রথম ওয়ান ডে আগামী ১৯ অক্টোবর।

    হোয়াইটওয়াশ করল ভারত

    ওয়েস্ট ইন্ডিজকে (India vs West Indies) ২ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। সিরিজের দ্বিতীয় তথা অন্তিম ম্য়াচটি দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্য়াচে টিম ইন্ডিয়া ৭ উইকেটে জয়লাভ করেছে। দিল্লিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিনি। কুলদীপ জানিয়েছেন, এই উইকেটে বল করা অত সহজ নয়। অনেক বেশি ওভার বল করতে হয়। তিনি বলেন, “এই উইকেট সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে অনেক বেশি ওভার বল করতে হয়। এই চ্যালেঞ্জটা আমি উপভোগ করি।” কেরিয়ারে টেস্টে ত়ৃতীয় বার সিরিজের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন জাদেজা। দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দু’‌টেস্টের সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত নজির গড়েছেন মোট ১০টি। তার মধ্যে অধিনায়ক শুভমন গিল একাই সাতটি। ভারত দলগত ভাবেও এক জোড়া নজির গড়েছে।

    রেকর্ডের পর রেকর্ড

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের সর্বোচ্চ রান শুভমন গিলের (২৮৩৯)। অধিনায়ক হিসেবে ১৭টি ইনিংসে ১০০০ রানের মাইলফলকে শুভমন। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ১০টি শতরান শুভমনের। যা ভারতীয় রেকর্ড। এক ক্যালেন্ডার বছরে অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ শতরান করেছেন গিল। অধিনায়ক হিসেবে দিল্লি টেস্টে পঞ্চম টেস্ট শতরান করেছেন গিল। ছুঁয়ে ফেলেছেন সৌরভ, ধোনি ও পতৌদিকে। ঘরের মাঠে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে অর্ধশতরান শুভমন গিলের (Shubhman Gill)। ছুঁয়েছেন সুনীল গাভাসকারকে। টেস্টে যশস্বীর পাঁচ ইনিংসে ১৫০ বা তার বেশি রান। এই শতাব্দীতে ২৩ বছর বয়সি হিসেবে প্রথম। পঞ্চম বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদব। ১৫টি টেস্টে যা একটি রেকর্ড। প্রথম টেস্টে ইনিংস এবং ১৪০ রানে জয়। ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম।

  • Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    Women’s World Cup 2025: পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়! জেনে নিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে যেতে ভারতের মেয়েদের সমীকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপে পরপর দু’ম্যাচে পরাজয়ের একটু বেকায়দায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার পর রবিবার বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছানোর পথ এখন অনেকটাই জটিল হয়ে পড়েছে হরমনপ্রীত কৌরদের জন্য। এখন টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচ ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব কটাতেই জয় দরকার ভারতের, তাহলেই নিশ্চিত হবে শেষ চারে ওঠা। বর্তমানে ভারত পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলে তাদের মোট পয়েন্ট হবে ১০।

    সেমিফাইনালের টিকিট কারা পাবে

    মেয়েদের বিশ্বকাপ মোট ৮টি দল নিয়ে হচ্ছে। এর মধ্যে শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করবে। অস্ট্রেলিয়া (৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট) ও ইংল্যান্ড (৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট) শীর্ষ দুই স্থানে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। কিন্তু ভারত টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় তিন বা চার নম্বরে জায়গা করে নিতে পারবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। ভারতকে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এখন সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে হবে। কোনও ম্যাচ হারা চলবে না। যেটা ভালো খবর, সেটা হলো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও পয়েন্ট তালিকায় ভারত (চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট) নিজেদের তিন নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ যেটা, সেটা তাদের রানরেট। ভারতের রানরেট বর্তমানে ০.৬৮২। স্বাভাবিক ভাবে রানরেট ভালো হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন স্মৃতি মান্ধানারা। কিন্তু শুধু রানরেট যথেষ্ট নয়, মাঠে নেমে জিততেই হবে। না হলে ভারত শীর্ষ চারের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারে।

    অস্ট্রেলিয়া ভাল খেললে সহজ হবে ভারতের পথ

    তবে ভারত যদি সব ম্যাচ না জিততেও পারে সেক্ষেত্রে ভাগ্য অনুকূলে থাকলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতের সামনে। কারণ, ভারত, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড এই তিনটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে বাকি ম্যাচগুলোতে, আর সেই ফলাফলই নির্ধারণ করবে শেষ চারের লড়াইয়ের সমীকরণ। তবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও পর্যন্ত মুখোমুখি হয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারানো মোটেই সহজ নয়। ফলে অন্য ম্যাচগুলিতে ফলাফল অস্ট্রেলিয়ার অনুকূলে গেলে ভারত শুধুমাত্র দুটি ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে। আর যদি ১৯ অক্টোবর ইংল্যান্ড, ২৩ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড এবং ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ— ভারত যদি এই তিনটি ম্যাচ জেতে, তা হলে সরাসরি সেমিফাইনালে উঠবে।

LinkedIn
Share