Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    India vs Pakistan: বাইশ গজেও বদলা! পহেলগাঁওয়ে নিহতদের স্মরণ, ভারতীয় সেনাকে জয় উৎসর্গ সূর্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) দাপটে পাকিস্তানকে হারাল ভারত (India vs Pakistan)। দেশের সেনাবাহিনীকে এই জয় উৎসর্গ করলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি ভারতীয় দলের তরফ থেকে সমবেদনা জানাচ্ছেন। ভারত অধিনায়কের সুরেই কথা বলেছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরও। খেলা শেষে তিনি বলেন, “দল হিসেবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই করে দেখিয়েছি। অপারেশন সিঁদুরের জন্য ভারতীয় সেনার উপর গর্বিত।”

    সূচি অনুযায়ী খেলা, বাইরে কোনও সম্পর্ক নয়

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ভারতের (India vs Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কারণে এই ম্যাচের উত্তাপ ছিল মাঠের বাইরেও। অনেকেই এই ম্যাচ বয়কট করতে বলেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তনেরাও। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, বড় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে কোনও আপত্তি নেই তাদের। ভারতীয় বোর্ড স্পষ্ট করে দিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি নেই তাদের। তবে কোথাও ক্রিকেটারদের মাথাতেও হয়তো প্রতিবাদের কথা ঘুরছে। তাই নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করলেন তাঁরা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের কোনও রকম সম্মান জানাননি তাঁরা। বুঝিয়ে দিয়েছেন, সূচি অনুযায়ী খেলছেন। তার বাইরে পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তাঁদের।

    বাইশ গজেও বদলা ভারতের

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং পাল্টা হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই দাবিই তুলেছিলেন হরভজন সিং। না ক্রিকেট, না বাণিজ্য— পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও রকম সম্পর্কই দেখতে চাননি তিনি। বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। ক্রিকেট হল। ক্রিকেট ম্যাচেও ‘বদলা’ নিল ভারত। শুধু ‘বদলা’ নয়, একেবারে দুরমুশ করে বদলা। রবিবার দুবাইয়ে ভারত জিতল সাত উইকেটে। পড়শি দেশের তোলা ১২৭/৯ ভারত টপকে গেল ২৫ বল বাকি থাকতেই। রবিবার ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন কুলদীপ যাদব। ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, শেষটাও সে ভাবেই হল। টসের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একে অপরকে ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছাও জানাননি। তবে সৌজন্য না দেখালেও দুই দলের কেউই বিপক্ষকে অসম্মান করেননি। খেলা শেষেও সেটাই করল ভারত। পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই সাজঘরে ফিরে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। পাকিস্তান গোটা ম্যাচে দাঁড়াতে পারেনি। মাঠেই ‘বদলা’ নিলেন সূর্যেরা। পাকিস্তানের সঙ্গে ছেলেখেলা করে জিতলেন তাঁরা।

    উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত

    ক্রিকেট ম্যাচ হয়ে যাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জয়ী এবং পরাজিত দুই অধিনায়কই (India vs Pakistan) কথা বলেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারও নিজের বক্তব্য রাখেন। অথচ রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘা এলেনই না কথা বলার জন্য। ভারতের আচরণের প্রতিবাদ করে তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন জানান, ভারত হাত মেলায়নি বলেই প্রতিবাদস্বরূপ সলমন সাক্ষাৎকার দেননি। হেসন বলেছেন, “বিপক্ষ দলের এমন আচরণে আমরা হতাশ। যে ভাবে খেলেছি সেটা নিয়েও হতাশ। আমরা চেয়েছিলাম ওদের সঙ্গে হাত মেলাতে। সেটা হয়নি। তাই জন্যই সলমন আসেনি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথা বলতে। খুব হতাশাজনক ভাবে ম্যাচটা শেষ হল।” তবে, ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট। উপেক্ষাতেই জবাব দিল ভারত। বার্তা স্পষ্ট, সন্ত্রাসে মদতকারীদের সঙ্গে কোনওরকম সৌজন্যই চলে না। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি টিম ইন্ডিয়া।

    পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে

    রবিবার ছিল সূর্যর জন্মদিন। সেটা আরও স্পেশাল হয়ে উঠল পাকিস্তানকে হারিয়ে। তিনি নিজে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন। ভারত ম্যাচ জেতে ৭ উইকেটে। আর সব শেষে এসে সূর্যর বক্তব্যে মুগ্ধ দেশের ক্রিকেটভক্তরা। তিনি বলেন, “আমরা পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাঁদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আর আমাদের আজকের জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করতে চাই। তারা এভাবেই আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।” সাংবাদিক সম্মেলনে সূর্য বলেন, “কয়েকটা কথা বলতে চাই। এর থেকে ভালো সুযোগ হয়তো পাব না। আমার মনে হয় স্পোর্টসমানশিপের ঊর্ধ্বেও কিছু জিনিস আছে। আমরা পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে আছি। তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীরও পাশে রয়েছি। আমরা এখানে আসার সময়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, খেলতে আসছি। এর যোগ্য জবাব দিতে চেয়েছিলাম। মাঠেই এর যথাযথ জবাব দিয়েছি। বিসিসিআই এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।”

  • India vs Pakistan: ‘কেন্দ্রের নীতি মেনেই খেলা হবে’, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত ভারত

    India vs Pakistan: ‘কেন্দ্রের নীতি মেনেই খেলা হবে’, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে! রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এবং পাকিস্তান শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচের এক বছর তিন মাস পর আবার তারা মুখোমুখি। অপারেশন সিঁদুরের পর বাইশগজে প্রথম লড়াই।

    ভারত সরকারের নীতিই মানবে বিসিসিআই

    শুক্রবার আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল দুই দলের লড়াইয়ের আগে টিম ইন্ডিয়াকে শুভকামনা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, টিম ইন্ডিয়া কেবল সরকারের নীতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পটভূমিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তবে সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে ধুমাল বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার জন্য শুভকামনা। সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলব না। তবে এসিসি কিংবা আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলব। তাই সরকার যা বলবে সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে।”

    এশিয়া কাপে আধিপত্যের লড়াই

    এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দল নামাতে চলেছে বিসিসিআই। যা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা দ্বিধাবিভক্ত। একটা অংশের মত, হিংসা আর খেলাধুলো একসঙ্গে চলতে পারে না। আবার কেউ কেউ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। এই আবহে অরুণ ধুমালের মন্তব্য। রবিবাসরীয় দ্বৈরথে পাকিস্তানকে দুরমুশ করে এশিয়া কাপে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া ভারত। শেষ টি-টোয়েন্টি সাক্ষাতের পর দুই দলেই অনেক বদল এসেছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যেমন ভারতের হয়ে আর খেলেন না, তেমনই পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েছেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানেরা। ফলে রবিবার যে দুই দল খেলবে, সেখানে অনেকেই নতুন মুখ।

    পাকিস্তানের চিন্তা ব্যাটিং, আফ্রিদি-কে আটকানো লক্ষ্য ভারতের

    জয় দিয়েই এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। ওমানকে হারিয়েছে ৯৩ রানে। তবে, পাকিস্তানকে ১৬০ রানের বেশি এগোতে দেয়নি ওমানের বোলিং। পাকিস্তানকে চিন্তায় রেখেছে তাদের ব্যাটিং। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটার ফকর জামান। ভারতের বিরুদ্ধে তিনি ভালো খেলেন। তবে বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং সামলানো তাঁর কাছে কঠিন কাজ হতে চলেছে। বরুণের বলে বৈচিত্র এতই বেশি যে আগে থেকে অনুমান করা যায় না পরের বলটা কেমন হতে চলেছে। বরুণের দায়িত্ব থাকবে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারকে শান্ত রাখার। ওমান ম্যাচে মহম্মদ হ্যারিসের ইনিংস নজর কেড়েছে। দলের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনিই। তার থেকেও বড় কথা, স্ট্রাইক রেটও ভাল রেখেছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। রবিবারের ম্যাচে পাকিস্তান আগে ব্যাট করুক বা পরে, হ্যারিসকে দ্রুত ফেরানোর লক্ষ্য থাকবে ভারতের। আর সেই কাজে যিনি সাহায্য করতে পারেন তিনি কুলদীপ। হ্যারিসের অভ্যাস রয়েছে চালিয়ে খেলার। তাই কুলদীপ বোকা বানিয়ে বোল্ড করার সুযোগ পাবেন। কুলদীপের আঙুলের হালকা মোচড় হ্যারিসকে সাজঘরে ফেরাতে পারে। অন্যদিকে এশিয়া কাপে দুরন্ত শুরু করেছে ভারত। তবে পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি বা সুফিয়ান মুকিম-কে ধরে খেলতে হবে সূর্যকুমারদের।

  • World Athletics Championships: ফের টোকিওয় সোনার দৌড়ে নীরজ, শনি-সকালে শুরু বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ

    World Athletics Championships: ফের টোকিওয় সোনার দৌড়ে নীরজ, শনি-সকালে শুরু বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হতে চলেছে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ (World Athletics Championships)। শনিবার থেকে জাপানের টোকিওয় বসবে এই আসর। ন’দিনের এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে ২১ সেপ্টেম্বর। দুই বছর পরপর বসে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০২৩ সালে সর্বশেষ আসর হয়েছিল হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। ভারতের ১৯ জনের দলে আকর্ষণের কেন্দ্রে নীরজ চোপড়া। পাঁচ বছর আগে এই টোকিয়োতেই অলিম্পিক্সে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন নীরজ। নজর থাকবে ভারতের দ্রুততম স্প্রিন্টার অনিমেষ কুজুরের দিকেও। তিনি ২০০ মিটারে অংশগ্রহণ করবেন।

    ভারতের নজরে জ্যাভলিন

    ২০২৩ সালে বুদাপেস্টে শেষ যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল, সেখানে ভারত ২৮ জনের দল পাঠিয়েছিল। কিন্তু এবার ভারতের কোনও রিলে দল নেই। এই টুর্নামেন্টের জন্য ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ১৯ সদস্যের একটি দল ঘোষণা করেছে। এই দলে ১৪ জন পুরুষ এবং ৫ জন মহিলা অ্যাথলিট রয়েছে। মোট ১৫ ইভেন্টে তাঁরা অংশগ্রহণ করবেন। এরমধ্যে গুলবীর সিং এবং পূজা শুধুমাত্র ২ আলাদা-আলাদা ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। এবার জ্যাভলিনে এক জন মহিলা-সহ রেকর্ড পাঁচ জনকে পাঠিয়েছে ভারত। নীরজের সঙ্গে এ বারও লড়াই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বসেরা জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার এবং অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের। গত অলিম্পিক্সে নাদিমের কাছেই হারতে হয়েছিল নীরজকে। এ বার সেই হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে।

    ভারতের নেতা নীরজ

    বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন (World Athletics Championships) নীরজ চোপড়ার কাঁধে একটি বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টোকিওয় আয়োজিত ২০২৫ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ভারতের ১৯ সদস্যের স্কোয়াডকে নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে, প্রথম ভারতীয় স্প্রিন্টার হিসেবে এই স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন অনিমেষ কুজুর। পুরুষ জ্যাভেলিন থ্রো ইভেন্টে দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ী নীরজ চোপড়া ছাড়া শচীন যাদব, যশবীর সিং এবং রোহিত যাদব অংশগ্রহণ করছেন। প্রসঙ্গত, গতবারও চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ ভারতীয় যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু, চোটের কারণে ছিটকে যান রোহিত। এই অ্যাথলিটদের পাশাপাশি বিনাশ সাবলে ৩,০০০ মিটার স্টিপলচেজ, পারুল চৌধুরী ৩,০০০ মিটার স্টিপলচেজ, গুলবীর সিং ৫,০০০ মিটার স্টিপলচেজ, প্রবীণ চিত্রবেল ট্রিপল জাম্প ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন।

    ভারতীয় দল

    পুরুষ – নীরজ চোপড়া, শচীন যাদব, যশবীর সিং, রোহিত যাদব (পুরুষ জ্যাভেলিন থ্রো), মুরলী শ্রীশঙ্কর (পুরুষ লং জাম্প), গুলবীর সিং (পুরুষ ৫০০০ মিটার এবং ১০০০০ মিটার), প্রবীণ চিত্রাবেল এবং আবদুল্লা আবুবকর (পুরুষ ট্রিপল জাম্প), সর্বেশ অনিল কুশারে (পুরুষ হাই জাম্প), অনিমেষ কুজুর (পুরুষ ২০০ মিটার), তেজস শিরসে (পুরুষ ১১০ মিটার স্টিপল চেজ রান), সার্বিন সেবাস্টিয়ান (পুরুষ ২০ কিলোমিটার হাঁটা), রাম বাবু এবং সন্দীপ কুমার (পুরুষ ৩৫ কিলোমিটার হাঁটা)।

    মহিলা – পারুল চৌধুরি এবং অঙ্কিতা ধ্যানী (মহিলাদের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ), অন্নু রানি (মহিলা জ্যাভেলিন থ্রো), প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী (মহিলা ৩৫ কিলোমিটার হাঁটা), পূজা (মহিলা ৮০০ মিটার এবং ১৫০০ মিটার)।

    ভারতীয়দের সময়সূচি

    শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর

    ভোর ৪:০০- পুরুষদের ৩৫ কিমি হাঁটা, ফাইনাল— রাম বাবু, সন্দীপ কুমার

    ভোর ৪:০০- মহিলাদের ৩৫ কিমি হাঁটা, ফাইনাল— প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী

    বিকেল ৪:২০- মহিলাদের ১,৫০০ মিটার, হিট— পূজা

    রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর

    বিকেল ৩:১০- পুরুষদের হাই জাম্প যোগ্যতা অর্জন পর্ব— সর্বেশ অনিল কুশারে

    বিকেল ৫:৩৫- মহিলাদের ১,৫০০ মিটার, সেমিফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— পূজা

    সন্ধ্যা ৬:০০- পুরুষদের ১০,০০০ মিটার ফাইনাল— গুলভীর সিং

    সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর

    ভোর ৫:৪৫- মহিলাদের ৩,০০০ মিটার স্টিপলচেজ, হিট— পারুল চৌধুরি, অঙ্কিতা ধ্যানী

    বিকেল ৪:১০- পুরুষদের লং জাম্প, যোগ্যতা অর্জন পর্ব— মুরলি শ্রীশঙ্কর

    বিকেল ৪:৫০- পুরুষদের ১১০ মিটার হার্ডলস, হিট— তেজস শিরসে

    সন্ধ্যা ৬:২৫- মহিলাদের ৩,০০০ মিটার স্টিপলচেজ, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— পারুল চৌধুরী, অঙ্কিতা ধ্যানী

    মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর

    বিকেল ৫:০৫- পুরুষদের হাই জাম্প, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— সর্বেশ অনিল কুশারে

    বিকেল ৫:১০- পুরুষদের ১১০ মিটার হার্ডলস, সেমিফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— তেজস শিরসে

    সন্ধ্যা ৬:৩৫- মহিলাদের ১,৫০০ মিটার, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— পূজা

    সন্ধ্যা ৬:৫০- পুরুষদের ১১০ মিটার হার্ডলস, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— তেজস শিরসে

    বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর

    বিকেল ৩:৩৫- পুরুষদের ট্রিপল জাম্প, যোগ্যতা অর্জন পর্ব— প্রবীণ চিত্রভেল, আবদুল্লাহ আবুবকর

    বিকেল ৩:৪০- পুরুষদের জ্যাভলিন, যোগ্যতা অর্জন পর্ব, গ্রুপ এ— নীরজ চোপড়া, শচীন যাদব, যশবীর সিং, রোহিত যাদব

    বিকেল ৪:৪৫- পুরুষদের ২০০ মিটার, হিট— অনিমেষ কুজুর

    বিকেল ৫:১৫- পুরুষদের জ্যাভলিন, যোগ্যতা অর্জন পর্ব, গ্রুপ বি— নীরজ চোপড়া, শচীন যাদব, যশবীর সিং, রোহিত যাদব

    বিকেল ৫:২০- পুরুষদের লং জাম্প, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— মুরলি শ্রীশঙ্কর

    বৃহস্পতিবার, ১৮ ​​সেপ্টেম্বর

    বিকেল ৩:৫৩- পুরুষদের জ্যাভলিন, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— নীরজ চোপড়া, শচীন যাদব, যশবীর সিং, রোহিত যাদব

    বিকেল ৪:২৫- মহিলাদের ৮০০ মিটার, হিট— পূজা

    বিকেল ৫:৩২- পুরুষদের ২০০ মিটার, সেমিফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— অনিমেষ কুজুর

    শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর

    বিকেল ৪:০০- মহিলাদের জ্যাভলিন, (যোগ্যতা অর্জন পর্ব), গ্রুপ এ— আন্নু রানি

    বিকেল ৪:৩৫- পুরুষদের ৫,০০০ মিটার, হিট— গুলবীর সিং

    বিকেল ৫:১৫- মহিলাদের ৮০০ মিটার, সেমিফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— পূজা

    বিকেল ৫:২০- পুরুষদের ট্রিপল জাম্প, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— প্রবীণ চিত্রভেল, আবদুল্লাহ আবুবকর

    বিকেল ৫:৩০- মহিলাদের জ্যাভলিন, যোগ্যতা অর্জন পর্ব, গ্রুপ বি— অন্নু রানি

    বিকেল ৬:৩৬- পুরুষদের ২০০ মিটার, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— অনিমেষ কুজুর

    শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর

    ভোর ৬:২০- পুরুষদের ২০ কিমি হাঁটা, ফাইনাল— সার্ভিন সেবাস্টিয়ান

    বিকেল ৫:৩৫- মহিলাদের জ্যাভলিন, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— অন্নু রানি

    রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর

    বিকেল ৪:০৫- মহিলাদের ৮০০ মিটার, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— পূজা

    বিকেল ৪:২০- পুরুষদের ৫,০০০ মিটার, ফাইনাল (যোগ্যতা অর্জন করলে)— গুলবীর সিং

  • Asia cup 2025: রেকর্ডের পর রেকর্ড! এশিয়া কাপে সহজ জয় দিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    Asia cup 2025: রেকর্ডের পর রেকর্ড! এশিয়া কাপে সহজ জয় দিয়ে যাত্রা শুরু ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই দাপটে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ (Asia cup 2025) শুরু করল ভারতীয় ক্রিকেট দল। আরব আমিরশাহীর (India vs UAE) বিরুদ্ধে ভারত যে সহজ জয়লাভ করবে, সেই প্রত্যাশা আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু, এতটাও সহজে যে তারা জয়লাভ করতে পারবে, সেকথা ভাবা যায়নি। মাত্র ২৭ বল ব্যাট করেই ম্যাচ জিতেছে সূর্যকুমাররা। শুধু দাপুটে জয় না, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আরও একাধিক নজির গড়েছে ভারত। এশীয় দল হিসাবে টি-২০ ক্রিকেটে নজির গড়েছে টিম ইন্ডিয়া।

    ম্যাচ আপডেট

    এদিন টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে উইকেট নেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট তুলে নেন কুলদীপ, মাত্র ৭ রান দিয়ে। অন্যদিকে শিবম দুবে মাত্র ৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন। আমিরশাহীকে ৫৭ রানে অলআউট করে দেয় ভারত। মাত্র ৫৮ রানের টার্গেট ভারত হাসতে হাসতে তুলে দেয়। ওপেন করতে নেমে মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করে অভিষেক। মাত্র ৯ বলে ২০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সহ-অধিনায়ক শুভমান গিল।

    ৯৩ বল বাকি থাকতে জয়

    ৯৩ বল বাকি থাকতে এদিন ম্যাচ জেতে ভারত। এশিয়ার (Asia cup 2025) ক্রিকেট খেলা দেশগুলির মধ্যে যা সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ৯০ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে। তাছাড়া এশিয়ার কোনও পূর্ণ সদস্য দেশ এত বেশি বল বাকি থাকতে টি-২০ ম্যাচ জেতেনি। সেই রেকর্ড এশিয়া কাপে এসে ভেঙে দিল ভারত। কেবল এশিয়া নয়, বল বাকি থাকতে টি-২০ ম্যাচ জেতার নিরিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রেকর্ডেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। গতবছর ১০১ বল বাকি থাকতে ওমানকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।

    টি-২০ ম্যাচে সবচেয়ে কম বল খেলা

    কোনও টি-২০ ম্যাচে সবচেয়ে কম বল খেলা হওয়ার তালিকাতেও ঢুকে পড়ল বুধবারের ম্যাচ। সবচেয়ে কম বল খেলার নজির রয়েছে ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডস বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। মাত্র ৯৩ বল খেলা হয়েছিল। এদিন ভারত বনাম সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ম্যাচে ১০৬ বল খেলা হয়েছে, রেকর্ডের নিরিখে যা চতুর্থ সংক্ষিপ্ততম টি-২০ ম্যাচ।

    প্রথম বলেই ছক্কা

    বুধবার ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছেন অভিষেক শর্মা। টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে এই নজির গড়লেন। প্রথম বার এই কাজ করেছিলেন রোহিত শর্মা, ২০২১-এ আহমেদাবাদে আদিল রশিদের বলে। ২০২৪-এ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিকান্দার রাজার প্রথম বলে ছয় মারেন যশস্বী জয়সওয়াল। এ বছর ইংল্যান্ডের জফ্রা আর্চারের প্রথম বলে ছয় মারেন সঞ্জু স্যামসন।

    কুলদীপের ৪ উইকেট

    এশিয়া কাপের (Asia cup 2025) ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা বোলিং কুলদীপ যাদবের। বুধবার ৭ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। মাত্র ১৩ বলের ব্যবধানে আউট করেন মুহম্মদ ওয়াসিম, রাহুল চোপড়া, হর্ষিত কৌশিক এবং হায়দা আলিকে। এশিয়া কাপে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ভুবনেশ্বর কুমারের। ২০২২-এ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।

  • Asia Cup 2025: দুবাইয়ে এশিয়া কাপে আজ ভারতের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি

    Asia Cup 2025: দুবাইয়ে এশিয়া কাপে আজ ভারতের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) যাত্রা শুরু করছে ভারত। আজ বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মাঠে টিম ইন্ডিয়া মুখোমুখি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে। এশিয়া কাপে অন্যতম ফেভারিট হল টিম ইন্ডিয়া (India) এবং দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতীয় সময় রাত ৮টা থেকে এই ম্যাচ দেখা যাবে।

    এশিয়া কাপেই মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, এই এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) ভারত এবং পাকিস্তান মুখোমুখি খেলবে। হাই-ভোল্টেজ ওই ম্যাচের আগে আজকের ম্যাচকে বড় প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে ভারত। ২০২৪ সালে, ঠিক এক বছর আগে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত (India)। তারপর থেকে তারা ২৪টি ম্যাচ জিতেছে এবং মাত্র তিনটিতে হেরেছে। ইতিমধ্যে আটবার এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত—যা একটি বড় রেকর্ড। যদি ২০২৫ সালের এশিয়া কাপও জিততে পারে, তবে এটি হবে ভারতের নবম শিরোপা।

    কী বললেন ক্যাপ্টেন?

    অন্যদিকে, আরব আমিরশাহিকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে ওই খেলোয়াড়রা খুবই পরিচিত। ম্যাচের আগেই ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন— “ইউএই দুর্দান্ত খেলছে। সাম্প্রতিক একটি টুর্নামেন্টে তারা জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত পারেনি। আমি আশা করি এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) তারা আরও ভালো করবে। আমরা তাদের বিপক্ষে খেলতে পেরে রোমাঞ্চিত।” এই টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, নেপাল এবং হংকং-সহ আটটি দল রয়েছে।গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে—অলরাউন্ডারদের তিনি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এর ফলেই ভারতের ব্যাটিং গভীরতা প্রায় ৮ নম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে, যা টি-২০ ফরম্যাটে অত্যন্ত জরুরি।সূর্যকুমার যাদব আরও বলেন, “ক্রিকেটে আগ্রাসন অপরিহার্য এবং আগ্রাসন ছাড়া এই খেলায় জয়লাভ করা কঠিন। “আগ্রাসন সবসময় মাঠে থাকবে, আগ্রাসন ছাড়া, এই খেলা খেলা সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি। আর মাঠে নামার জন্য খুবই আগ্রহী।”

  • Asia Cup 2025: ফেভারিট হিসেবেই নামছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত! আজ থেকে শুরু এশিয়া কাপ, বুধে মাঠে সূর্য-ব্রিগেড

    Asia Cup 2025: ফেভারিট হিসেবেই নামছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত! আজ থেকে শুরু এশিয়া কাপ, বুধে মাঠে সূর্য-ব্রিগেড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দামামা বেজে গিয়েছে। প্রথম ম্যাচেই আজ, মঙ্গলবার হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে আফগানিস্তান। এবারের এশিয়া কাপ টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে হতে চলেছে। আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই এই টুর্নামেন্ট কুড়ির ফর্ম্যাটে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বুধবার অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন অভিযান শুরু ভারতের। প্রথম প্রতিপক্ষ আরব আমিরশাহি। ক্রিকেট প্রেমীদের নজর সুপার সান ডে-তে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান মহারণ।

    ফেভারিট ভারত

    এশিয়া কাপে এবার ফেভারিট দল হিসেবেই খেলতে নামছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে গত এক বছরে এই ফর্ম্যাটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েছে ভারতের। বিরাট, রোহিত গত বছর টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফর্ম্যাট থেকে সরে দাঁড়ালেও ব্যাটিং অর্ডারে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি টিম ইন্ডিয়াকে। শেষবার ২০২৩ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বেই শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছিল ভারত। এমনিতেও টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলও টিম ইন্ডিয়া। ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত মোট আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার এই খেতাব জেতে টিম ইন্ডিয়া। এরপর ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৫ সালেও এশিয়া কাপ ঘরে তুলে নেই ভারতই। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের অপেক্ষা ছিল। ২০১০ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে ফের এশিয়া কাপ জিতে নেয় ভারত। ২০১৮ ও ২০২৩ শেষ দুবারের এশিয়া কাপ জয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা।

    কাদের সঙ্গে খেলবে ভারত

    ভারতের গ্রুপে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, পাকিস্তান ও ওমান। ১০ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ভারতের অভিযান। সেই ম্যাচে ভারতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে গ্রিন টপ। দুবাইয়ের উইকেটে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সবুজ ঘাসের আস্তরণ। দুবাইয়ের পিচ দেখে ভারতীয় শিবিরেরও অনেকে হতবাক। মরুদেশে খেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। তবে সেই পিচ আর এবারের বাইশ গজের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত বলে মনে করছেন অনেকে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী ম্যাচ শুরু হবে রাত আটটায়। আরব আমিরশাহির গরমের কারণেই আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দিনের ম্যাচের সময় বদলানো হয়নি। ভারতের সব ম্যাচই রাতে।

    বিস্তারিত সূচি…

    ৯ সেপ্টেম্বর-আফগানিস্তান বনাম হংকং

    ১০ সেপ্টেম্বর-ভারত বনাম আরব আমিরশাহি

    ১১ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম হংকং

    ১২ সেপ্টেম্বর-পাকিস্তান বনাম ওমান

    ১৩ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা

    ১৪ সেপ্টেম্বর-ভারত বনাম পাকিস্তান

    ১৫ সেপ্টেম্বর-আরব আমির শাহি বনাম ওমান ১৫ সেপ্টেম্বর-শ্রীলঙ্কা বনাম হংকং

    ১৬ সেপ্টেম্বর-বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান

    ১৭ সেপ্টেম্বর-পাকিস্তান বনাম আরব আমির শাহি

    ১৮ সেপ্টেম্বর-শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান

    ১৯ সেপ্টেম্বর-ভারত বনাম ওমান

    ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সুপার ফোরের ম্যাচ

    ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনাল

  • Hockey Asia Cup: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন, চতুর্থবার হকিতে এশিয়াসেরা ভারত! শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Hockey Asia Cup: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন, চতুর্থবার হকিতে এশিয়াসেরা ভারত! শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ হকি (Hockey Asia Cup) জিতল ভারত। গত বারের বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়াকে ফাইনালে ৪-১ গোলে হারিয়ে একতরফা দাপট দেখাল ভারত। দলের ট্রফি জয়ে, জোড়া গোল করে ফাইনালের নায়ক দিলপ্রীত সিং। অপর দু’টি গোল করেন সুখজিৎ সিং এবং অমিত রোহিদাস। ঐতিহাসিক সাফল্যের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ গৌতম গম্ভীর, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য।

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা

    গোটা দেশের হৃদয় ভারতীয় হকি দল জিতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট (পূর্বে ট্যুইটার)-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, এশিয়া সেরা হয়ে দেশবসীর স্বপ্নপূরণ করেছে ভারতের ছেলেরা। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য দলকে অভিনন্দন। এই জয় দলের অটল প্রতিশ্রুতি, আবেগ এবং সমন্বয়ের প্রমাণ। শুধু খেলাই নয় অগণিত ভারতীয়দের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। এই বিজয় তাদের চেতনার প্রমাণ। হরমনপ্রীতদের আগামীর জন্য শুভ কামনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই নিয়ে চার বার এশিয়া কাপ জিতল ভারত। ২০০৩-এ প্রথম বার এশিয়া কাপ জিতেছিল পাকিস্তানকে ৪-২ হারিয়ে। ২০০৭-এ কোরিয়াকে ৭-২ গোলে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল। তৃতীয় বার ২০১৭-য় মালয়েশিয়াকে ২-১ হারিয়েছিল ভারত।

    বিশ্বকাপের টিকিট আদায়

    এই জয়ের ফলে পরের বছর হকি বিশ্বকাপের টিকিটও আদায় করে নিল ভারত। তারা বিশ্বের চতুর্থ দল যারা প্রতিটি হকি বিশ্বকাপে খেলেছে। বাকি তিনটি দল হল জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং স্পেন। ভারত মাত্র এক বারই বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৭৫-এ পাকিস্তানকে ২-১ হারিয়েছিল। তার আগ ১৯৭৩-এ রানার্স এবং ১৯৭৫-এ তৃতীয় হয়েছিল তারা। শেষ বার ২০২৩-এ ভুবনেশ্বর ও রৌরকেলায় হয়েছিল হকি বিশ্বকাপ। ভারত নবম স্থানে শেষ করেছিল। বিহারের রাজগীরে ফাইনাল শুরুর আগেই ভারতের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়ে ছিল। গোটা স্টেডিয়াম সম্পূর্ণ ভর্তি। সবসময় শোনা যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া’ ধ্বনি। সেটার ফায়দা তুলতে বেশিক্ষণ লাগল না ভারতের। ম্যাচ শুরুর ৩৪ সেকেন্ডের মধ্যে গোল পান সুখজিৎ সিং। আগের ম্যাচে চিনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত।

    দাপটে জয় ভারতের

    শুরুতেই গোল পেয়ে ভারতের আক্রমণের ঝাঁজ অনেকটাই বেড়ে যায়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে একটি লম্বা বল রিসিভ করে দিলপ্রীতের দিকে বাড়িয়েছিলেন সঞ্জয়। বিপক্ষের ডিফেন্ডারেরা ঘিরে থাকলেও ফাঁক খুঁজে গোল করে ভারতের ব্যবধান বাড়ান দিলপ্রীত। তৃতীয় গোল পেতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং বৃত্তের মধ্যে থাকা রাজিন্দরকে পাস দিয়েছিলেন। তার থেকে পাস পেয়ে দিলপ্রীত গোল করেন। চতুর্থ কোয়ার্টারেও ভারতের আক্রমণ বজায় থাকে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে চতুর্থ গোল করে তারা। এই গোলে স্পষ্ট বোঝা যায় তাদের বুদ্ধিমত্তার ছাপ। পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল ভারত। শট মারার জন্য তৈরি ছিলেন হরমনপ্রীত, যিনি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করার জন্য সিদ্ধহস্ত। তবে বল যায় পাশের ‘ব্যাটারি’তে থাকা অমিত রোহিদাসের কাছে। কোরিয়ানরা হরমনপ্রীতের দিকে দৌড়নোর পর বুঝতে পারেন বল অমিতের কাছে গিয়েছে। কিছু বোঝার আগেই অমিতের শট কোরিয়ার গোলে ঢুকে যায়। পরের মিনিটে একটি গোল শোধ করে কোরিয়া। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন সন দাইন। এর পর আরও একটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। পাশাপাশি ভারতের রক্ষণ এতটাই মজবুত ছিল যে তা ভেঙে ফিল্ড গোলও করতে পারেনি। গ্রুপ থেকে ফাইনাল, গোটা টুর্নামেন্টে একটা ম্যাচও হারেননি হরমনপ্রীত সিংরা। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত ভারত। গ্রুপ পর্বে চিন, জাপান, কাজাখস্তানকে হারান হরমনপ্রীতরা। সুপার ফোরে এই দক্ষিণ কোরিয়ার কাছেই ২-২ গোলে আটকে গিয়েছিল। এদিন অবশ্য দাপটের সঙ্গেই এশিয়া কাপ জিতে নিল ভারত। একই সঙ্গে পকেটে পুরল বিশ্বকাপের টিকিট।

  • Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    Asia Cup: এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ (Asia Cup) (পুরুষ) হকি টুর্নামেন্টের শেষ সুপার ৪ ম্যাচে চিনকে ৭-০ গোলে গো-হারান হারিয়ে ফাইনালে (Hockey Final) উঠল ভারত। ভারতের খেলোয়াড়রা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। গোল করেছেন শিলানন্দ লাকড়া, দিলপ্রীত সিং, মানদীপ সিং, রাজ কুমার পাল, সুখজিৎ সিং, এবং অভিষেক। এই জয়ে ভারত সুপার ৪ পর্যায়ের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে সাত পয়েন্ট নিয়ে। এবার তাকে খেলতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার সঙ্গে। চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোরিয়াও।

    কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত (Asia Cup)

    ভারত আগামী বছর বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলার স্থান নিশ্চিত করতে রবিবার ফাইনালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে। চিন ও মালয়েশিয়া তৃতীয়-চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও রবিবার মুখোমুখি হবে। কোরিয়া আগেই গুরুত্বপূর্ণ সুপার ৪ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। শনিবার চিনের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচ জুড়ে ভারতীয়দের আধিপত্য ছিল দেখার মতো। ভারতীয়রা তাদের আধিপত্য প্রমাণ করতে শুরু থেকেই জোরালোভাবে খেলে গিয়েছিল। তাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয় চতুর্থ মিনিটের মাথায়, যখন শিলানন্দ গোলটি করেন। এটি ছিল অধিনায়ক হারমনপ্রীত সিংয়ের সুনিপুণ বল, যা হাফলাইন থেকে জারমনপ্রীত সিংয়ের পায়ে পৌঁছয় ডান ফ্ল্যাঙ্কে, যাঁর পাসটি নিখুঁতভাবে শিলানন্দ থামিয়ে গোল করেন (Asia Cup)।

    চিনকে পর্যুদস্ত করল ভারত

    গোল করার পরেও ভারতীয়রা থেমে (Hockey Final) থাকেনি। বরং কয়েক মিনিটের মধ্যে শিলানন্দ তাঁর দলের পক্ষে একটি পেনাল্টি কর্নার করেন। হরমনপ্রীতের প্রাথমিক শট চিনা গোলরক্ষক ওয়েইহাও ওয়াং রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু দিলপ্রীত সঠিক স্থান থেকে পুনরুদ্ধার করে গোল করে ভারতের লিড দ্বিগুণ করেন। ভারত ১৮তম মিনিটে তাদের দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার পেয়েছিল। ভারতীয় আক্রমণকারীরা চিনা সার্কেলে একেবারে আধিপত্য বিস্তার করছিলেন। ম্যাচের সাইড পরিবর্তনের পর ভারত একই ধরনের আক্রমণ চালিয়ে গেল (Hockey Final) এবং গোলের খুব কাছে গিয়ে দিলপ্রীতের শক্তিশালী উচ্চ শট চিনা গোলরক্ষকের প্রসারিত হাত দ্বারা আক্রোব্যাটিকভাবে রক্ষা করা হয়। তার পরের গোলগুলি করে চিনকে কার্যত পর্যুদস্ত করে ভারত (Asia Cup)।

  • Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    Commonwealth Meet: কমনওয়েলথ ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয় মেহকের, ব্রোঞ্জ লাভপ্রীতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কমনওয়েলথ (Commonwealth Meet) ওয়েটলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ দিনে ভারতের মেহক শর্মা ও লাভপ্রীত সিং যথাক্রমে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। বীর সাভারকর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মেহক শর্মা মহিলাদের +৮৬ কেজি বিভাগে মোট ২৫৩ কেজি (স্ন্যাচে ১১০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪৩ কেজি) উত্তোলন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই বিভাগে সামোয়ার ইউনিয়ারা সিপাইয়া মোট ২৬১ কেজি (১১১ কেজি + ১৫০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জয় করেন। আর নাইজেরিয়ার মেরি তাইওয়ো ওসিজো ২৩১ কেজি উত্তোলন করে ব্রোঞ্জ জেতেন।

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    মেহকের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet) ছিল প্রশংসনীয়। স্ন্যাচে তিনি প্রথমে ১০৩ কেজি, তারপর ১০৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় ১১০ কেজি উত্তোলন করেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে শুরু করেছিলেন ১৩০ কেজি দিয়ে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ১৩৭ কেজি এবং তৃতীয় প্রচেষ্টায় সফলভাবে ১৪৩ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য নিশ্চিত করেন (Commonwealth)।

    লাভপ্রীত সিংয়ের পারফরম্যান্স (Commonwealth Meet)

    পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগে, ভারতের লাভপ্রীত সিং মোট ৩৮০ কেজি (স্ন্যাচে ১৭৫ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ২০৫ কেজি) উত্তোলন করে তৃতীয় স্থান দখল করেন। এই বিভাগে সামোয়ার সানেলে মাও ৪০১ কেজি (১৮১ কেজি + ২২০ কেজি) উত্তোলন করে স্বর্ণপদক জিতেছেন, আর নিউজিল্যান্ডের ডেভিড লিটি ৩৯৭ কেজি উত্তোলন করে রৌপ্য পান।

    ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে

    যুব পুরুষদের +৯৪ কেজি বিভাগে, ভারতের তুষার চৌধুরী দারুণ পারফরম্যান্স করে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি মোট ২৮৫ কেজি (১২৫ কেজি + ১৬০ কেজি) উত্তোলন করেন, যা শ্রীলঙ্কার নেজিথা নেথসাহান-এর তুলনায় অনেক বেশি; নেথসাহান তুলেছিলেন মাত্র ১৯৭ কেজি (৯৭ কেজি + ১০০ কেজি)। ভারত চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ১৩টি পদক অর্জন করেছে- ৩টি স্বর্ণ, ৭টি রৌপ্য, ৩টি ব্রোঞ্জ। প্রথম দিনেই ভারতের হয়ে টোকিও অলিম্পিক রৌপ্যজয়ী মীরাবাই চানু মহিলা ৪৮ কেজি বিভাগে স্বর্ণ জিতেছেন এবং ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাছাড়া, ঋষিকান্ত সিং (৬০ কেজি), এন. অজিথ (৭১ কেজি) এবং ভি. অজয় বাবু (৭৯ কেজি)-ও গ্লাসগো ২০২৬ সিডব্লিউজি-এর জন্য স্থান নিশ্চিত করেছেন।

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফলাফল (Commonwealth Meet)

    সিনিয়র পুরুষদের ১১০ কেজি বিভাগ:

    ফিজির তানিলা তুইসুভা রেইনোগি – ৩৬৫ কেজি (১৬৫ কেজি + ২০০ কেজি)

    সামোয়ার জ্যাক ওপেলোগ – ৩৫৭ কেজি (১৫৭ কেজি + ২০০ কেজি)

    জ্যাকসন রবার্টস-ইয়ং – ৩৫৬ কেজি (১৫০ কেজি + ২০৬ কেজি)

    জুনিয়র পুরুষদের +১১০ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের ইসিস শুস্টার – ৩৩৮ কেজি (১৫৫ কেজি + ১৮৩ কেজি)

    মালয়েশিয়ার মুহাম্মদ ফারিস কামারুল – ৩১৫ কেজি (১৩৫ কেজি + ১৮০ কেজি)

    জুনিয়র মহিলা +৮৬ কেজি বিভাগ:

    মালয়েশিয়ার সিটি আকিলাহ ফারহানা – ২২৭ কেজি (১০৭ কেজি + ১২০ কেজি)

    কানাডার অ্যাঞ্জেল বিলেন – ২২৫ কেজি (৯৮ কেজি + ১২৭ কেজি)

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    যুব মহিলা +৭৭ কেজি বিভাগ:

    নিউজিল্যান্ডের আনিকা ফালাসিয়া – ২১৭ কেজি (১০০ কেজি + ১১৭ কেজি)

    শ্রীলঙ্কার সেওয়ান্দি সাস – ১৩৫ কেজি (৬০ কেজি + ৭৫ কেজি)

  • Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    Commonwealth Weightlifting Championship: কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ড বাংলার মেয়ে কোয়েলের, সোনা অনিকেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারোত্তোলনে কমনওয়েলথ ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে (Commonwealth Weightlifting Championship) দেশকে জোড়া সোনা এনে দিলেন দুই বঙ্গ সন্তান। মেয়েদের ৫৩ কেজি বিভাগে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন বাংলার মেয়ে ১৭ বছরের কোয়েল বর। ছেলেদের যুব ৬৫ কেজি বিভাগে মোট ২৩৮ কেজি ভারোত্তোলন করে সোনা জিতলেন অনিক মোদি। সার্বিকভাবে কমনওয়েলথ ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ভালোই পারফর্ম করছেন ভারতীয়রা। এই প্রতিযোগিতা দিয়েই ভারোত্তোলন সার্কিটে কামব্যাক করেছেন মীরাবাঈ চানু। আর কামব্যাক ম্যাচেই মহিলাদের ৪৮ কেজি বিভাগে ক্লিন অ্যান্ড জার্কে মোট ১৯৩ কেজি (৮৪+১০৯ কেজি) ওজন তুলে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছেন তিনি।

    রেকর্ডর পর রেকর্ড

    চলতি বছর গুজরাটে ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে। এখানেই তিনটি বিশ্বরেকর্ড করেছে হাওড়ার ১৭ বছরের মেয়ে কোয়েল বর। মঙ্গলবার ভারোত্তোলনের কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বরেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক করেন বঙ্গের কোয়েল। মোট ১৯২ কেজি ওজন তুলে যুব ভারোত্তোলনে বিশ্বরেকর্ড করেন কোয়েল। সেই সঙ্গে জিতে নেন সোনাও। যুব ভারোত্তোলনে ৫৩ কেজি বিভাগে আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল ১৮৮ কেজি। কোয়েল সহজেই তা ভেঙে দেন। ক্লিন অ‍্যান্ড জার্ক বিভাগে ১০৭ কেজি ওজন তোলেন কোয়েল। এই বিভাগে বিশ্বরেকর্ড ছিল ১০৫ কেজি। স্ন্যাচে ৮৫ কেজি ওজন তুলে বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেন কোয়েল।

    বাবাই অনুপ্রেরণা

    হাওড়ায় মুরগির মাংস বিক্রেতার মেয়ে কোয়েল ইউথ ছাড়াও জুনিয়র বিভাগেও সোনা জিতেছে। রেকর্ডের হ‍্যাটট্রিক, জোড়া সোনা। তার পরেও নির্বিকার কোয়ল বলে, “বিশ্বরেকর্ড করাই আমার লক্ষ‍্য ছিল। অনুশীলনের সময়ে ১০৭-১০৮ কেজি ওজন আমি নিয়মিত তুলেছি। ফলে, বিশ্বরেকর্ডের কাছাকাছি ছিলামই। রেকর্ড হতই। আমি ১০৯ কেজি তুলতে পারতাম। কিন্তু অল্পের জন্য পারলাম না।” কী ভাবে এই সাফল্য এল তা বলতে গিয়ে কোয়ল বলে, “বাবাকে দেখে ২০১৮ সালে ভারোত্তোলন শুরু করি। বাবা নিয়মিত জিমে যেত। বিজয় স্যারের (বিজয় শর্মা, কোয়েলর প্রশিক্ষক) কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত দু’বছরে আমার পারফরম্যান্সে অনেক উন্নতি হয়েছে। আগে সব মিলিয়ে ১৪৭ কেজি তুলতে পারতাম। এখন ১৯২ কেজি তুলছি।”

    কেন্দ্রের সহায়তায় অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট

    কথায় বলে,জহুরি জহর চেনেন। কোয়েলকে একঝলক দেখে জাতীয় দলের প্রধান কোচ বিজয় শর্মা বুঝে গিয়েছিলেন এই মেয়ে একদিন সোনা জিতবেন। লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি। বাংলার মেয়েটিকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা শুরু করে দেন বিজয় শর্মা। কোয়েলকে স্কাউট করেন তিনি। বিজয় বলেছেন, “কোয়েলকে দেখে আমার শারীরিক দিক থেকে শক্তিশালী বলেই মনে হয়েছিল। তাই অলিম্পিকের জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করছিলাম। অলিম্পিক্সের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘকালীন লক্ষ‍্যে বেশ কয়েক জন খুদেকে নিয়ে কাজ করছিলাম। তখনই কোয়েল আমার নজরে পড়ে। প্রথমেই অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে ওর টেকনিকের উপর জোর দিয়েছিলাম। বাচ্চাদের কী করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় তার জন্য অলিম্পিক্স গোল্ড কোয়েস্ট খুবই সাহায্য করছে।”

LinkedIn
Share