Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Local Train: রবিবার বাতিল হাওড়া-বর্ধমান সমস্ত লোকাল ট্রেন, ভোগান্তি সোম থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত

    Local Train: রবিবার বাতিল হাওড়া-বর্ধমান সমস্ত লোকাল ট্রেন, ভোগান্তি সোম থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাতিল হাওড়া (Howrah) বর্ধমান (Burdwan) সমস্ত লোকাল ট্রেন। এদিন হাওড়া এবং ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমানগামী সমস্ত ট্রেন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বর্ধমান আসানসোল এবং বর্ধমান রামপুরহাট শাখায় ট্রেন (Local Train) চলাচলও। উড়ালপুল সংস্কারের কাজ হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। শনিবার পূর্ব রেলের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। হাওড়া বর্ধমান কর্ড ও মেইন শাখায় কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন অবশ্য চালানো হবে।

    রেলের বিবৃতি…

    রেল জানিয়েছে, এদিন মেইন শাখায় হাওড়া থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। কর্ড শাখায় হাওড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত চলবে ১০ জোড়া ট্রেন। কেবল রবিবারই নয়, সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত হাওড়া বর্ধমান, ব্যান্ডেল-বর্ধমান, বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট এই সবকটি শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেল জানিয়েছে, সোমবার হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ৬ জোড়া এবং মেইন শাখায় ৫ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে।  কোনও স্পেশাল ট্রেন চলবে না। মঙ্গল ও বুধবারও হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ১০ জোড়া ও মেইন শাখায় ১০ জোড়া লোকাল ট্রেন (Local Train) বাতিল থাকবে। এই দুদিন মেন শাখায় হাওড়া থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত ১০ জোড়া এবং কর্ড শাখায় ১০ জোড়া হাওড়া মসাগ্রাম লোকাল চলবে।

    আরও পড়ুুন: ‘পাঁচ বছরের মধ্যেই সব পঞ্চায়েতে মিল্ক ডেয়ারি ও ফিশারি সোসাইটি গড়ে উঠবে’, বললেন শাহ

    তবে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাতিল হাওড়া বর্ধমান সব লোকাল ট্রেনই। বন্ধ থাকবে ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকাল ট্রেনও। সপ্তাহের কাজের দিনে ট্রেন বাতিল হওয়ায় হাওড়া বর্ধমান রুটে বাসে যে ব্যাপক ভিড় হবে, তা বলাই বাহুল্য। বাসে সিট পেতে বিস্তর বেগ পেতে হবে নিত্যযাত্রীদেরও।

    আরও পড়ুুন: ফের রক্তাক্ত বাসন্তী! বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু ১ জনের, আহত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Basanti: ফের রক্তাক্ত বাসন্তী! বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু ১ জনের, আহত ২

    Basanti: ফের রক্তাক্ত বাসন্তী! বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু ১ জনের, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী (Basanti)। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। গুরুতর জখম হলেন তিনজন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভারতীর মোড়ের কাছে তীতকুমার এলাকায়।

    বিস্ফোরণে ভস্মীভূত

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী থানা এলাকার আমছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারতী মোড় এলাকায় মনিরুল খান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই সশব্দে ফাটে বোমা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। আহত হন ২ জন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হতাহতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল, বিস্ফোরণে ভস্মীভূত হয়ে যায় সেই বাড়ি। ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই এসে দেখেন, বাড়ির ভিতরে থাকা তিনজন ঝলসে গিয়েছেন। মাটিতে পড়ে ছটফট করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশের বিশাল টিম ঘটনাস্থলে যায়। এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। তবে এলাকাবাসী এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে কোয়ালিফায়িং রাউন্ড চলছে তৃণমূলের। আসলে তৃণমূলই এখন বোমা। বোমাই তৃণমূল। তাই এসব চলবেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামে অশান্তি ছড়াতে তৃণমূলই বোমা মজুত করছে।” বিরোধীদের কথায়, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার সর্বত্র একই ঘটনা ঘটছে। বাসন্তী, ক্যানিং এলাকায় কার মদতে বোমা তৈরি হয় পুলিশ কি জানে না? কারা এলাকাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছে তা-ও কি জানে না পুলিশ? প্রশ্ন বিরোধীদের। যার বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এলাকায় পুলিশি টহলদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Awas Yojana: আবাস যোজনায় মুখ পুড়ল রাজ্যের, প্রাপকদের তালিকায় থাকা মাত্র ৭৩ শতাংশের আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে

    Awas Yojana: আবাস যোজনায় মুখ পুড়ল রাজ্যের, প্রাপকদের তালিকায় থাকা মাত্র ৭৩ শতাংশের আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা (Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাই টাকা এখনও রিলিজ করেনি কেন্দ্র। আর তার মাঝেই নতুন অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু সেই তালিকায় তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের মাত্র ৭৩.৫ শতাংশের আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখনও অনেকের নামের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগের কাজই শেষ করতে পারেনি রাজ্য। এই তথ্য সামনে আসতেই অস্বস্তিতে নবান্ন।

    কী জানা গেল? 

    সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৮৮ জন উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৮৫ জন অর্থাৎ ৭৩.৫ শতাংশের নাম আধার সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে। যদিও আবাস যোজনার (Awas Yojana) অধীনে বাড়ি পেতে গেলে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক তা আগেই রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল জেলাগুলিকে। তারপরেও কেন এত গড়িমসি তা নিয়েই জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিল নবান্ন। 

    তবে শুধু এই একটি প্রকল্পই নয়, যে কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পেই (Awas Yojana) এখন উপভোক্তাদের নামের সঙ্গে আধার সংযোগ স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এখন থেকে সরাসরি প্রকল্পের টাকা উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় আধার বেস পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। এর জন্য ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়াকে সামনে আনা হয়েছে। তাদের কাছে উপভোক্তাদের প্রত্যকের আধার কার্ড নথিভুক্ত থাকবে। তারাই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে। এর দুটি সুবিধা। এক, উপভোক্তার আধার কার্ড স্ক্যান করলেই জানা যাবে সে কোন কোন প্রকল্পের টাকা পেয়েছে। দুই, এক জনের নাম করে অন্য জন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা তুলতে পারবে না।

    আরও পড়ুন: ‘এটা কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার মতো বিষয় নয়’, আদানি ভাঙন নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী 

    অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ উপভোক্তাদের (Awas Yojana) আধার সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। শুধু একটি প্রকল্পই নয়, দেখা গিয়েছে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্দ্বী ভাতার ক্ষেত্রে অনেকের আধার কার্ড সরকারের কাছেও নেই। এই মুহূর্তে রাজ্যের ১৪ লক্ষ ৪১ লক্ষ ৪৬০ জন মানুষ এই তিন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র ৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০০ জনের আধার কার্ড সংযোগ করা হয়েছে।

    রাজ্যের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতার পার্শ্ববর্তী দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এরপরই রয়েছে, কোচবিহার, নদিয়া, ঝাড়গ্রামের নাম। আনন্দধারা প্রকল্পেও ৮০.৮ শতাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপভোক্তাদের আধার সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে মহারাষ্ট্র ৯৫.৪ শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশ ৯০.৯ শতাংশ করে ফেলেছে। আর এবার তা নিয়ে জেলাগুলিকে দ্রুত আধার কার্ড সংযোগ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

  • Union Budget: বাজেটে বাংলার জন্য রেলের রেকর্ড বরাদ্দ! ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    Union Budget: বাজেটে বাংলার জন্য রেলের রেকর্ড বরাদ্দ! ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় রেলের রেকর্ড বরাদ্দ। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget) ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রেলের (Indian Railways) জন্য। বরাদ্দ বেড়েছে পূর্ব রেলের (Eastern Railway) জন্যও। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পূর্ব রেলের জন্য ৪০৭৮.৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত পূর্ব রেলের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ।

    বাংলার জন্য রেলের বরাদ্দ

    শুক্রবার বাংলার জন্য আলাদা করে রেল খাতে কত বরাদ্দ তা ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিন বৈষ্ণব। তিনি জানান, আগামী অর্থবর্ষে রেলের জন্য বাংলা পাবে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, ভারতের ইতিহাসে রেলের পাওয়া সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে এ বার। শুক্রবার রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাংলার জন্য এত বরাদ্দ আগে কখনও হয়নি। অশ্বিন শুক্রবার বলেন, ‘‘২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের জন্য এ বার তার থেকে তিন গুণ বেশি করা হয়েছে।’’ এটা রেকর্ড বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এত টাকা বরাদ্দ পশ্চিমবঙ্গ কোনও দিন রেল খাতে পায়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘এই বছর রেকর্ড বরাদ্দ হয়েছে বাংলার জন্য। এটা কোনও দিন ভাবা হয়নি, কল্পনা করা হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সময়কালে বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। সেখানে এ বার যা বরাদ্দ, তা তিন গুণ বেশি।’’ উল্লেখ্য এই সময়কালে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রক ছিল তৃণমূলের হাতে।

    বিশ্বমানের স্টেশন

    পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানান,  গত অর্থবর্ষে পূর্ব রেলের জন্য বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৯৪২.৪৯ কোটি টাকা। সেখান থেকে এই বছর লম্বা লাফ দিয়ে ৩৯ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে পূর্ব রেলের জন্য। পূর্ব রেলের তরফে ছ’টি স্টেশনকে বিশ্বমানের করে তোলা হবে। সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া, কলকাতা, ব্যান্ডেল, আসানসোল, ভাগলপুর ও জসিডি। ২৫০ কোটি টাকা ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন স্টেশনগুলির নিরাপত্তা-প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য। 

    যাত্রী নিরাপত্তা

    জোর দেওয়া হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তা, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর। নির্ভয়া প্রকল্পের খাত থেকে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বরাদ্দা করা হয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজার ট্যাবলেট কেনার জন্য। এই ট্য়াবলেটগুলি তুলে দেওয়া হয়ে আরপিএফ-এর মহিলা জওয়ানদের হাতে। মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার হবে এই ট্যাবলেটগুলি।

    আরও পড়ুন: চলতি বছর থেকেই দেশে চালু হাইড্রোজেন ট্রেন! দার্জিলিঙে চলবে কবে? রেলমন্ত্রী বললেন…

    পূর্বরেলের নিরাপত্তা

    পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্যও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১০,৯৮৮.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ১৩.৭৫ শতাংশ বরাদ্দ বেড়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্য। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য রেলের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বেশি।

    কলকাতা মেট্রোর জন্য বরাদ্দ

    বাংলার মোট বরাদ্দের কোন অংশ কোন প্রকল্পে খরচ হবে তার বিবরণ  রেলের তরফেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে কলকাতা মেট্রো রেল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে। কলকাতা মেট্রোর জন্য মোট বরাদ্দ ৩ হাজার ৪৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর জন্য। বরাদ্দ ১,৩৫০ কোটি টাকা। এর পরেই নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট লাইনের জন্য বরাদ্দ ১,২০০ কোটি টাকা। নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো পাচ্ছে ৬২০ কোটি টাকা। রেলের দাবি, আগের বারের তুলনায় এ বার কলকাতা মেট্রো ১৬৪.৭৭ শতাংশ বেশি বরাদ্দ পেয়েছে। গত বছরের মোট বরাদ্দ ছিল ১,৩৮০ কোটি টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saradha Scam: সারদা মামলায় বাজেয়াপ্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, ইস্টবেঙ্গল কর্তা, নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি

    Saradha Scam: সারদা মামলায় বাজেয়াপ্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, ইস্টবেঙ্গল কর্তা, নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খবরের শিরোনামে ফের উঠে এল সারদা মামলা। আজ, শুক্রবার সারদা মামলায় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী-সহ একাধিক ‘সুবিধাভোগী’র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মোট অর্থমূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। এনারা সকলেই সারদা সংস্থার জালিয়াতিতে লাভবান হয়েছিলেন।

    ইডির তরফে কী জানানো হল?

    এদিন ইডি জানিয়েছে, তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-র অধীনে, সব মিলিয়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩.৩০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি এবং ৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সকল সম্পত্তি সারদা গোষ্ঠী এবং তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সুবিধা লাভ করেছেন এরকম ব্যক্তিদের মালিকানাধীন ছিল।

    সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরম। নলিনী চিদম্বরম ছাড়াও আরও যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন – ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা সিপিআইএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অনুভূতি প্রিন্টার্স অ্যান্ড পাবলিকেশনের মালিক, অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রয়াত অঞ্জন দত্ত প্রমুখ। সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।

    আরও পড়ুন: মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সারদা গোষ্ঠীর আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা, বিরাট মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২,৪৫৯ কোটি টাকা তুলেছিল। এর মধ্যে প্রায় ১,৯৮৩ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাননি আমানতকারীরা। শুধু কিছু সুদের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছিল। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ কুণাল ঘোষ, শ্রীঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রজত মজুমদার, ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, তৎকালীন ক্রীড়া এবং পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kuntal Ghosh: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কুন্তল ঘোষের

    Kuntal Ghosh: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কুন্তল ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন না হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আগামী ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের আর্জিতে সায় দিয়ে এমনই জানাল আদালত।

    জামিনের আবেদন কুন্তলের আইনজীবীর

    কুন্তলের আইনজীবী আদালতে জানান, কুন্তলের বাড়ি থেকে কোনও টাকা মেলেনি। সরকারি নথি ও রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু নগদ টাকা ছাড়া পিএমএল অ্যাক্ট দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন কুন্তলের আইনজীবী। এরপর আইনজীবী তাঁর মক্কেল অর্থাৎ কুন্তল ঘোষের জামিনের আবেদন জানান।

    কুন্তলের ২টি অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হদিশ!

    কুন্তলের আইনজীবীকে পাল্টা জবাব দেন ইডির আইনজীবী। ইডির আইনজীবীর তরফে বলা হয়, কুন্তলের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ছয় কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকার উৎস জানতে চায় ইডি। ৩০ কোটি টাকা যেটা তিনি রিসিভ করেছেন সেটারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত তা অস্বীকার করেছেন। ফলে আইনজীবীর প্রশ্ন, ‘কুন্তলের আয় কি? কোথা থেকে এল এত তাকা?’ দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ছয় কোটি টাকা তোলার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা তুলে অন্যত্র পাঠানো হয়ে গিয়েছে। বেআইনিভাবে ওই টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলার পর তিনি কাদের কাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, এখন সেটাই জানার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।

    ইডির আরও দাবি, ১৩০ জন প্রার্থীর থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। পার্থর বাড়ি থেকে যে ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে কুন্তলের দেওয়া টাকাও আছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগ বর্তমান ছিল বলে দাবি ইডির। ১২০০ প্রার্থীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে চাকরির অর্ডার করিয়ে দেবে বলে টাকা নেওয়া হয়। কুন্তল এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে পার্থ চট্টাপাধ্যায় ও অন্যান্য প্রভাবশালীদের কাছে টাকা গিয়েছে। বাকি নামগুলি তদন্তের স্বার্থে বলা হচ্ছে না। ফলে আজ দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর কুন্তলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডে ব্যবহার করা হয়েছে!

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও? টালিগঞ্জে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুন্তল, আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ জানা গিয়েছে, পার্টনারশিপের মাধ্যমে টলিউডে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। ইডির দাবি, একটি বিশেষ মিউজিক ও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুন্তল ও তাঁর তৎকালীন পার্টনার। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের নাম উঠে আসার পর একের পর এক তথ্য উঠে আসছে, ভবিষ্যতে আর কী কী চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসবে, সেটাই এখন দেখার।

     

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট কাণ্ডে নয়া মোড়! ১১৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ, বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্ট কাণ্ডে নয়া মোড়! ১১৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ, বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে এল নয়া মোড়। কেষ্টর বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। গরুপাচারের টাকা লেনদেনের জন্য আরও ১১৫টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরও অবাক করা বিষয়, এই অ্যাকাউন্টগুলি করোনা কালে মাত্র ২ দিনে খোলা হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েতে যে নথি জমা করেছিলেন উপভোক্তারা, সেই নথি দিয়েই এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল। লক্ষ-লক্ষ টাকা এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ঢুকেছে। ইতিমধ্যেই এই অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ফের এমন বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিল সিবিআই

    এদিন আসানসোল আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানায় সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে আরও ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এই সব অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি থেকে চারটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, করোনা অতিমারির সময় দু’দিনের মধ্যে এই ১১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

    সিবিআই আদালতে আরও দাবি করেছে, গরু পাচারের টাকাই এই অ্যাকাউন্টগুলিতে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির জন্য পঞ্চায়েত অফিসে জমা হওয়া নথি থেকে এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, এখনও পর্যন্ত ১৬ জন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়। তাঁরা কেবল ছাপ দিয়েছেন।

    রাজীব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    গরু পাচার কাণ্ডে উঠে এসেছে রাজীব চট্টোপাধ্যায়র নাম। সিবিআই জানিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ৬৬ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। তদন্তকারীরা আদালতে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসায় টাকা দিয়েছিলেন যে রাজীব চট্টোপাধ্যায় তাঁর অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে গরু পাচারের টাকা। এই সব সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেই ঘুর পথে গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে কেষ্টর অ্যাকাউন্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

    অন্যদিকে এই অ্যাকাউন্টগুলি যে প্রভাব খাটিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। উল্লেখ্য, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার কাণ্ডে ১৭৪ টি এবং ৫৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।

    ফের ১৪ দিনের জেল কেষ্টর

    এদিন গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল জবাব শেষে আদালত কেষ্টর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি অবধি অনুব্রতকে আসানসোল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। এদিন আদালতে অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবীরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি কেষ্টকে আবার আদালতে পেশ করা হবে।

  • Kolkata Weather: শেষবেলায় শীতের ঝড়ো ব্যাটিং! আগামী কয়েকদিন পারদ পতনের সম্ভাবনা

    Kolkata Weather: শেষবেলায় শীতের ঝড়ো ব্যাটিং! আগামী কয়েকদিন পারদ পতনের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ লগ্নে শীতের ঝড়ো ইনিংস। গত বুধবার রাত থেকেই তাপমাত্রার পারদ পতন ঘটছে। বৃহস্পতিবার বইছিল হিমেল হাওয়াও। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হল না।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিনের ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে ফারাক কমবে। ফলে শহরের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের তাপমাত্রা নিম্নগামীই থাকবে।

    চলছে পারদের ওঠা-নামা

    তাপমাত্রার হেরফেরে  জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আপাতত কোনও কোনও জেলায় শীতের আমেজ সামান্য কমবে। তবে আগামী সপ্তাহে আরও একটু নিচে নামতে পারে পারদ। ৭, ৮ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি পারদ ঊর্ধ্বগামী হবে। ১০, ১১ ফের তা ফের নিম্নগামী হবে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই মরসুমে আর তাপমাত্রা পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রার এমন ওঠানামা চলতে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। পার্বত্য ও সমতল, তরাই, ডুয়ার্সেও রবিবার পর্যন্ত দুই থেকে তিন ডিগ্রি পারাপতনের পূর্বাভাস। সমতলের জেলা অর্থাৎ মালদা, জলপাইগুড়ি এবং দুই দিনাজপুরে সকালে হালকা কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়লে পরিষ্কার হবে আকাশ।  আপাতত রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধ নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধ নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির (BJP) কোনও বিরোধ নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নওশাদ ভাইয়ের দম আছে। অর্জুন সিংয়ের দলবদল প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, অর্জুন সিংকে আনুগত্য বদল করতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ঠিক করো জেলে থাকবে নাকি বাইরে থাকবে। যাদের দম নেই, তারা সারেন্ডার করেছে। এর পরেই তিনি বলেন, নওশাদ ভাইয়ের দম আছে, তাই সারেন্ডার করেনি। একজন জন-প্রতিনিধির সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দু বলেন…

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যাঁরা বিধায়ক, সাংসদ, তাঁরা মানুষের ভোটে জেতা প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে সাধারণ চোর-ডাকাতদের মতো করে আচরণ করা উচিত নয়। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন নিজেরা না বলে তাঁরা যে নওশাদকে সুযোগ করে দেন, এদিন সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। বলেন, বিধানসভায় বিরোধী শিবিরে একমাত্র অ-বিজেপি বিধায়ক উনি। আমরা পাঁচ মিনিট নিজেরা না বলে আইএসএফের একমাত্র বিধায়ককে দিয়ে দিই। শুভেন্দু বলেন, নওশাদের দল আইএসএফের সঙ্গে বিজেপির এজেন্ডা এক নয়, অনেক বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্রে সব রাজনৈতিক দলেরই মিটিং মিছিল করার অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এদিন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও বলেন, বিজেপি কবে সংখ্যালঘু বিরোধী ছিল? একটা ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছিল। বিজেপি মানেই সংখ্যালঘু বিরোধী, এ রকম ইমেজ তৈরি করা হয়েছিল। এটা বলে মার্কেটে ছাড়া হয়েছিল। এই সমস্ত ভুল কথা। মিঠুন বলেন, বিজেপি মুসলিমদের বিরোধী নয়। আমরা এখন পর্যন্ত হিন্দুস্তানি মুসলিমদের জন্য চিন্তিত। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান ভাইবোনেরা ভাল থাকুক, আমরা এটা চাই।

    প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা। রাস্তা অবরোধকে কেন্দ্র করে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে করে পাথর ছোড়া হয়। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় নওশাদকে। আদালতে পেশ করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের আদালতে পেশ করা হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নওশাদকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরা জয়ের অভিযানে বঙ্গ বিজেপি, তারকা প্রচারকের তালিকায় শুভেন্দু-দিলীপ-মিঠুন

    Tripura: ত্রিপুরা জয়ের অভিযানে বঙ্গ বিজেপি, তারকা প্রচারকের তালিকায় শুভেন্দু-দিলীপ-মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। আর তার জন্যেই জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলের। ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এবারে ময়দানে নেমেছে বাংলার বিজেপি নেতারাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি প্রচারে ঝড় তুলতে বাংলার স্টার প্রচারকদের তালিকাও প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। তালিকায় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী ও লকেট চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন। আবার এরই মধ্যে রাজ্যের শাসকদলও ২৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে ত্রিপুরায়। তবে মোট ৩৭ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। প্রার্থী সংখ্যার থেকে প্রচারকের সংখ্যাই বেশি। ফলে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।

    ত্রিপুরায় প্রচারে বাংলার বিজেপি নেতারা

    কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলার কয়েকজন বিজেপি নেতাও রয়েছেন, যাঁরা পর্যায়ক্রমে ত্রিপুরা গিয়ে ভোটের প্রচারে অংশ নেবেন। আজ শুক্রবার, বাংলার পদ্ম নেতাদের প্রচার কর্মসূচি রয়েছে ত্রিপুরায়। শুভেন্দু অধিকারীর আজ ত্রিপুরায় দু’টি জনসভা রয়েছে। প্রথমটি কমালাসাগর এবং দ্বিতীয়টি তেলিয়ামুরাতে। দিলীপ ঘোষও অংশ নেবেন পৃথক দু’টি জনসভায়। প্রথমটি দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তি বাজারে। তারপর উত্তর ত্রিপুরার বিশালগড়ে। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ত্রিপুরার মাটিতে একাধিক মেগা প্রচার কর্মসূচিতে একে একে অংশ নেবেন বাংলার নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর সহ বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতারা।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থীর থেকে তারকা প্রচারকই বেশি! কটাক্ষ বিজেপির

    যেখানে ২৮ আসনে প্রার্থী, সেখানে তারকা প্রচারক ৩৭ জন! এই বিষয়েই কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। ত্রিপুরা নির্বাচনের প্রচারের জন্য বাকি আর ১৩ দিন। এরই মধ্যে এই তারকা প্রচারক নিয়েই জোর তরজা। এই বিষয়ে ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সম্পাদক অস্মিতা বণিকের মন্তব্য, ‘ত্রিপুরায় পরিবর্তনের দাবি তোলার আগে সব আসনে প্রার্থী দিক তৃণমূল।’ ৬০ আসনের বিধানসভার মাত্র ২৮ আসনে প্রার্থী কেন তৃণমূলের? এই নিয়েও  বিজেপি সহ বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শাসকদলকে। আবার রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এটা তৃণমূলের পলিটিক্যাল ট্যুরিসম। বেড়াতে যাওয়ার জন্য তৃণমূল ত্রিপুরায় যেতেই পারে। কিন্তু, ভোটের আশা যেন না করে।’ 

LinkedIn
Share