Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    Weather Update: শুক্রবার থেকে আচমকা বদলাবে আবহাওয়া, নিম্নচাপে ফের বঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দাপট কমে রাজ্যের আবহাওয়া (Weather Update) কিছুটা ঝরঝরে হয়েছিল। কিন্তু, সেটাও বেশিদিন আর স্থায়ী হল না। নতুন করে নিম্নচাপের জেরে আবার বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর রোদ-মেঘের খেলা চলেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার থেকেই ফের আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। তবে এই নিম্নচাপে বাংলায় ভারী দুর্যোগের আশঙ্কা নেই বলেই ইঙ্গিত হাওয়া অফিসের। নিম্নচাপে অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশায়। গুজরাট লাগোয়া আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।

    মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা (Weather Update)

    আলিপুর (Kolkata) আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২৯ অগাস্ট উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নতুন করে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপটি তৈরি হবে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। শনিবারের মধ্যে এটি দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূলে এগোবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের ওপর থাকা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এই মুহূর্তে মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ক্রমশ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। মৌসুমী অক্ষরেখা সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এলাকায় অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে রাতলাম, দামহো, সিদ্ধি, চুর্ক, দিঘা হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া আছে। ২৯ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের মধ্যে মৎস্যজীবীদের উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্র ও শনিবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা। সমুদ্র উত্তাল হবে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া সমুদ্রে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    কোথায় কোথায় বৃষ্টির সম্ভাবনা?

    দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে, বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি দু-এক পশলা চলবে। হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল, বিশেষ করে শনিবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে। শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বেশ কয়েকটি জেলায়। ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সব জেলাতেই থাকবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং,কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা একাধিক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: তিনবার ফোন করে তিনরকম কথা! আরজি করকাণ্ডে ভাইরাল অডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

    RG Kar Incident: তিনবার ফোন করে তিনরকম কথা! আরজি করকাণ্ডে ভাইরাল অডিও ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেয়েটা কেমন আছে? একবার বলুন মেয়েটা কেমন আছে….’! বারবার ভাঙা গলায় এই একটা প্রশ্নই সেদিন করে গিয়েছিলেন আরজি করে (RG Kar Incident) নৃশংসতার শিকার পড়ুয়া তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। তিলোত্তমার পরিবারকে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ফোন করে বলেছিলেন, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনবার বলেছিলেন তিন রকম কথা। তখনও বাবা-মা জানতেন না কী হয়েছে মেয়ের। তবে তাঁরা বিপদের গন্ধ পেয়েছিলেন। প্রথম থেকেই আরজি কর-কাণ্ডে একটি ফোনকলের কথা উঠে আসছিল। এবার সেই ফোন কলের (RG Kar Viral Audio) অডিও ক্লিপ ভাইরাল। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি মাধ্যম।

    ভাইরাল অডিও ক্লিপে কী প্রকাশ পেল

    আরজি করের (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর পর পরই তাঁর পরিবারের কাছে তিনবার ফোন যায়, অন্তত ভাইরাল হওয়া অডিও (RG Kar Viral Audio) ক্লিপে এমনই দাবি জোরালো হচ্ছে। তিনবার ফোনে তিন রকম কথা বলা হয় হাসপাতালের তরফে। এমনটাই দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে ফোন করে বলা হয়, “মেয়ে (অভয়া) অসুস্থ”। দ্বিতীয়বার অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের নাম করে ফোন করা হয়। সেই ফোনে হাসপাতালে যেতে বলা হয় নিহত নির্যাতিতার মা-বাবাকে। দ্বিতীয়বার ফোন করে বলা হয় “মেয়ে (অভয়া) গুরুতর অসুস্থ”। তৃতীয়বার ফোন করে বলা হয়, তাঁদের মেয়ে হয়তো আত্মহত্যা করেছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই অডিও ক্লিপ। বৃহস্পতিবার এক মহিলা কণ্ঠের সঙ্গে অন্য এক পুরুষ এবং নারী কণ্ঠের কথোপকথনের অডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, আরজি করের ঘটনার দিন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথোপকথনের অডিয়ো এটি। অডিওর তিনটি ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে।

    আরও পড়ুন: শাহি তলব! আরজি কর কাণ্ডের আবহে দ্রুত দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল বোস

    বাব-মার কথাই প্রমাণিত!

    আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন তাঁদের হাসপাতাল থেকে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়া হয়েছিল। কেন বলা হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ এবং পরে বলা হয়েছিল তাঁদের মেয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন, যেখানে তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে! কলকাতা পুলিশ যদিও আগেই জানিয়ে দেয়, তাদের তরফে নিহতের বাড়িতে কোনও ফোন করা হয়নি। হাসপাতালের তরফে কেউ ফোন করেছিলেন। পরে নিহতের বাবা-মা জানিয়েছিলেন, ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার’ পরিচয় দিয়ে কেউ এক জন ফোন করেছিলেন। তিনি প্রথমে ‘মেয়ে অসুস্থ’ বলেন। পরে বলেন, ‘সুইসাইড’ করেছে বলা হয়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া অডিও  (RG Kar Viral Audio) ক্লিপেও তেমনই দেখা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করে নির্যাতিতার দেহ ঢাকার চাদর বদল! প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে?

    RG Kar Incident: আরজি করে নির্যাতিতার দেহ ঢাকার চাদর বদল! প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) বার বার তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। নির্যাতিতার বাবা-মা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী সকলেই এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠায় আরও বেশ একটা সুদৃঢ় প্রমাণ সামনে এসেছে। সেমিনার রুমের নীল রঙের একটা ম্যাট্রেসের ওপর পড়ে নির্যাতিতার দেহ। কিন্তু, তাঁর শরীরের ওপর কী রঙের চাদর ছিল? চাদরের রঙ বদলেছে বারবার। অন্ততপক্ষে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান ও জুনিয়র চিকিৎসকদের দেওয়া বয়ানে চাদরের রঙে পার্থক্য রয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে রহস্য তৈরি হয়েছে।

    চাদর রহস্য! (RG Kar Incident)

    আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের বয়ান অনুযায়ী, নীল রঙের ম্যাট্রেসের ওপর নির্যাতিতার (RG Kar Incident) শরীরে ছিল নীল রঙের চাদর। সেমিনার রুমের একটি ছবি পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসে। সেখানেও দেখা যায় নীল রঙের চাদর। কিন্তু, যখন বাবা-মা তাঁদের মেয়ের দেহ দেখতে পান, বদলে গিয়েছিল চাদরের রঙ! বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, চাদরের রঙ ছিল সবুজ। হাসপাতাল (Hospital) থেকে ফোন পাওয়ার পর ১২টা ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন বাবা-মা। কিন্তু, মেয়েকে দেখতে পেয়েছিলেন দুপুর সাড়ে তিনটেয়। প্রশ্ন হল, তাহলে মাঝের সময়ে চাদর কি কেউ বদলে দিল?

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    মেয়ের দেহ সরিয়েছে!

    নির্যাতিতার (RG Kar Incident) বাবা বলেন, “আমরা যখন মেয়েকে দেখতে পাই। মেয়ে বেডের ওপর শুয়ে ছিল। পা দুটো ছড়ানো ছিল।  মেয়ের শরীরে সবুজ চাদর ছিল। কিন্তু, ছবিতে দেখছি নীল চাদর।” কেবল চাদরের রঙ নয়, মৃতদেহের অবস্থানও দুক্ষেত্রে দু’রকম। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “পাগুলো ছড়ানো ছিল। দুটো পা গদির ওপরে ছিল। কিন্তু, ছবিতে দেখছি একটা পা ম্যাট্রেসের বাইরে ডায়াসের ওপর রয়েছে। নিশ্চয়ই আমার মেয়ের দেহ কেউ সরিয়েছে।”

    সন্দীপকে গ্রেফতারের দাবি

    বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ফের সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়েছে সিজিওতে। পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ে গিয়েছে সন্দীপের। ওই তরুণী চিকিৎসকের (RG Kar Incident) মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছিল। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা প্রশ্ন তুলছেন একজন বাদে কেন আর কেউ গ্রেফতার হল না। সূত্রের খবর সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কোনও শক্তপোক্ত প্রমাণ হাতে আসেনি সিবিআইয়ের (CBI)। ধৃত সঞ্জয় রায় একমাত্র দোষী নাকি ওই মৃত্যুর ঘটনার পিছনে আরও কেউ রয়েছে সেটাই এখন বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমারও প্রশ্ন, এখনও কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়নি? আমরা যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই এই প্রশ্নটা হচ্ছে, কেন সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আসলে এই প্রশ্ন উত্তর আমার কাছে নেই। এর উত্তর সিবিআই ও আদালতের কাছে রয়েছে। তবে শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, টালা থানার আইসি, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ যাঁরা যাঁরা ওখানে ছিলেন তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: দেহ লোপাটেও যুক্ত সন্দীপ ঘোষ? আরজি করের মর্গে গিয়ে তদন্ত সিবিআই-এর

    CBI: দেহ লোপাটেও যুক্ত সন্দীপ ঘোষ? আরজি করের মর্গে গিয়ে তদন্ত সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষসহ একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছন। তার পরেই সোজা চলে যান মৃতদেহ সংরক্ষণের বিভাগে। সেখানে তাঁদের নানা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে এবং ওই বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এর আগে বেশ কয়েক বার আরজি করের ঘটনার তদন্তে জরুরি বিভাগের ভবনটিতে এসে অনুসন্ধান করতে দেখা গিয়েছে সিবিআইকে।

    কেন মর্গে সিবিআই? (CBI)

    আরজি করের মর্গ থেকে মৃতদেহ লোপাটের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগের তদন্তেই এদিন হাসপাতালের মর্গে পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI)। আরজি কর হাসপাতালের মর্গের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন গোয়েন্দারা। এছাড়া অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ‘সন্দীপ ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত আরজি করের ফরন্সিকের শিক্ষক দেবাশিস সোমও। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেহ পরীক্ষার কাজে যুক্ত থাকতেন তিনিও। ওই মামলার সূত্রে সন্দীপের পাশাপাশি সিজিও এবং নিজাম প্যালেসে ডেকে একাধিক বার জেরা করা হয়েছে দেবাশিসকেও। এ বার আরজি করের মর্গেও গেল সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, মর্গের বিভিন্ন তথ্য এবং নথিপত্র যাচাই করতেই বৃহস্পতিবার আরজি করের মর্গে গিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    সিবিআই দফতরে ফের সন্দীপ

    অধ্যক্ষ থাকাকালীন একটানা কয়েক বছর ধরে আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar Incident) কলেজ হাসপাতালে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এমনই অভিযোগ উঠেছে। এদিন ফের একবার সিবিআই (CBI) দফতরে ডেকে পাঠানো হয় সন্দীপ ঘোষকে। আরজি কর তদন্তে টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যেই তাঁর পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘আরও সিরিয়াস বিষয় আছে’’, ছবি মুক্তি নিয়ে রাজ্যের আপত্তি শুনলই না হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘আরও সিরিয়াস বিষয় আছে’’, ছবি মুক্তি নিয়ে রাজ্যের আপত্তি শুনলই না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে ফের ব্যাকফুটে রাজ্য সরকার। এবার ‘দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির মুক্তি নিয়ে রাজ্যের আপত্তি শুনলই না উচ্চ আদালত। আগামী ৩০ অগাস্ট সিনেমাটি  মুক্তি পাওয়ার কথা। ওই ছবি মুক্তির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন রাজীব কুমার ঝা নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছে।

    কেন মামলা

    সম্প্রতি ইউটিউবে ওই ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কথা বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্য প্রশাসনের সমালোচনা হয়েছে বলে দাবি মামলাকারীর। মামলাকারীর আরও বক্তব্য, সিনেমাটিতে কিছু সাম্প্রদায়িক দৃশ্য রয়েছে। তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীর কাছে জানতে চান, তিনি সিনেমাটি দেখেছেন কি না। জবাবে মামলাকারী জানান, তিনি দেখেননি, কারণ সিনেমাটি এখনও মুক্তি পায়নি।

    আরও পড়ুন: আধার ভিত্তিক ভেরিফিকেশন ইউপিএসসি পরীক্ষায়, বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    মামলাকারীর কথা শুনে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “বই বা সিনেমা ব্যানের ওপর সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার রয়েছে। আপনার ইচ্ছে হলে দেখুন না হলে দেখবেন না। আপনাকে কেউ কিছু চাপাচ্ছেন না। গণতান্ত্রিক দেশে এটা স্বাভাবিক। যদি কেউ কাউকে সমালোচনা করেন সেটা তার অধিকার আছে। এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা আমাদের কাছে উপচে পড়ছে। গতকালই একই ধরনের বিষয়ে একজনকে সতর্ক করেছি। এসব বাদ দিয়ে অনেক সিরিয়াস ইস্যু আছে। এরাজ্যের মানুষ অনেক সহনশীল। তাঁদের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিন।” প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, এ ভাবে কোনও ছবির মুক্তি আটকানো যায় না। সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিলে তা মুক্তি পাবে। উচ্চ আদালত এ-ও জানিয়েছে, মুক্তির পর ছবির কোনও দৃশ্য নিয়ে আপত্তি থাকলে মামলাকারী তা আদালতকে জানাতে পারেন। সেই অংশটুকু বিবেচনা করে দেখবে হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kazi Nazrul Islam: কাঁটাতার তাঁকে কাটতে পারেনি, আজ কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

    Kazi Nazrul Islam: কাঁটাতার তাঁকে কাটতে পারেনি, আজ কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবির বাঁশি থেমে গিয়েছিল সেই কবে! চারের দশকের একদম শুরুতে। তারপর দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের মৌন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যান। জাতীয় কবির (Kazi Nazrul Islam) সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু, নিপীড়িত মানুষের যন্ত্রণায় কেঁপে উঠত যাঁর অনুভব, যাঁর প্রেমিক সত্তায় লগ্ন হয়ে থাকত চোখের জল, তিনি তখন অন্য জগতের মানুষ। ১৯৭৬ সালের ২৯ অগাস্ট প্রয়াত হন কাজী নজরুল ইসলাম। বিদ্রোহী কবি (Poet) কাজী নজরুল ইসলামের আজ ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

    ফিরে দেখা নজরুল (Kazi Nazrul Islam)

    ১৮৯৯ সালের ২৪ মে ( ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবা কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক এবং অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল তাঁর কবিতা ও গানের মাধ্যমে সমাজের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। নজরুলের ছদ্মনাম ছিল ‘ধূমকেতু’। শিশু সাহিত্যকেও সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের ধারাকে নজরুল তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন। মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছেন পুনর্জাগরণের ডাক। একজন বলিষ্ঠ নেতার মতোই সমাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন নজরুল।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    কবির সৃষ্টি

    নজরুল (Kazi Nazrul Islam) ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার অগ্রসর মানুষ। ইসলামি গজলের পাশাপাশি লিখে গিয়েছেন শ্যামা সংগীত। বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয় নজরুলের দেখানো পথ ধরে। শুধু কবিতা ও গানেই তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি; লিখেছেন নাটক-উপন্যাস। তাঁর লেখা নাটক- রক্তকমল, মহুয়া, জাহাঙ্গীর, কারাগার, সাবিত্রী, আলেয়া, সর্বহারা, সতী, সিরাজদ্দৌলা, দেবীদুর্গা, মধুমালা, অন্নপূর্ণা, নন্দিনী, হরপার্বতী, অর্জুনবিজয়, ব্ল্যাক আউট ইত্যাদি। ১৯৩৪ সালে নজরুল-প্রকাশনার সবই ছিল সঙ্গীত-বিষয়ক।

    রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে শোকাহত নজরুল

     ১৯৪১ সালের ৭ অগাস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে শোকাহত নজরুল (Kazi Nazrul Islam) তাৎক্ষণিকভাবে রচনা করেন ‘রবিহারা’ ও ‘সালাম অস্তরবি’ কবিতা এবং ‘ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে’ শোকসঙ্গীত। ‘রবিহারা’ কবিতা নজরুল স্বকণ্ঠে আবৃত্তি করেন কলকাতা বেতারে, গ্রামাফোন রেকর্ডে। ‘ঘুমাইতে দাও’ গানটিও কয়েকজন শিল্পীকে নিয়ে স্বকণ্ঠে গেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর বছরখানেকের মধ্যেই নজরুল নিজেও অসুস্থ এবং ক্রমশ নির্বাক ও সম্বিতহারা হয়ে যান।

    বিরল রোগে আক্রান্ত হন কবি

    ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে সাংবাদিকতার পাশাপাশি নজরুল (Kazi Nazrul Islam) বেতারে কাজ করছিলেন, তখন হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাজী নজরুল ইসলাম দীর্যদিন ধরে (প্রায় ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর) যে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার নাম পিক্স ডিজিজ (Picks Disease)। এই রোগটি খুবই বিরল ও এর ফলে কণ্ঠস্বর ও স্মরণশক্তি দুটোই আক্রান্ত হয়। সাধারণতঃ, এই রোগ Dementia বা Alzheimer’s রোগের সঙ্গে কমবেশি তুলনা করা যেতে পারে। তাঁর অসুস্থতা সম্বন্ধে সুষ্পষ্টরূপে জানা যায় ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে। এরপর, তাঁকে মূলত হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু, এতে তাঁর অবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি। সেই সময় তাঁকে ইউরোপে পাঠানো সম্ভব হলে নিউরো সার্জারি করা হত। কিন্তু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ১৯৪২ সালের শেষের দিকে তিনি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন। দেশে ও বিদেশে কবির চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় বটে, কিন্তু কোনও সুফল পাওয়া যায় নি। ১৯৪২ সালের জুলাই থেকে ১৯৭৬ সালের ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৪টি বছর কবির এ অসহনীয় নির্বাক জীবনকাল অতিবাহিত হয়।

    বাংলাদেশে কবি

    ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে (Kazi Nazrul Islam) সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে আনা হয়। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে কবির অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনে কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে নজরুলকে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক’ দিয়ে ভূষিত করে। ২৯ অগাস্ট ১৯৭৬ (১২ ভাদ্র ১৩৮৩) ঢাকার পিজি হাসপাতালে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের উত্তর পার্শ্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। কাজী নজরুলকে নিয়ে কবি অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছিলেন, “আর সব কিছু ভাগ হয়ে গেছে/ ভাগ হয়নি কো নজরুল”। সত্যিই তো তাই। তিনি তো কেবল এপার বাংলার কবি নন। কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) ওপার বাংলারও কবি। বিদ্রোহী সত্তার আড়ালে তির তির করে বয়ে চলে তাঁর প্রেমিক সত্তা। মৌলিক সৃষ্টিই চির অমর করে রেখেছে কবিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন মমতা’, ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে শাহকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন মমতা’, ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে শাহকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলার রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন — এই অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার কোনও যোগ্যতাই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আরও অভিযোগ, মমতার মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি যেন মমতার (Mamata Banerjee) ওপর নজর রাখে শাহকে সে আর্জিও জানিয়েছেন সুকান্ত।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো সুকান্ত মজুমদারের চিঠি (সংগৃহীত চিত্র)

    চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    গতকালই কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরজি কর প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমরা বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। আজ বলছি, ওই কথা নয়। আজ বলছি, যেটা করার দরকার, সেটা আপনারা ভালো বুঝে করবেন।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যই শাহকে লেখা চিঠিতে উদ্ধৃত করেছেন সুকান্ত মজুমদার। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নির্লজ্জ মন্তব্যের প্রতি আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। এর মাধ্যমে তিনি বদলার রাজনীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছেন।’’ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ওই চিঠিতে আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জ ভাবে রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, ‘বাংলায় আগুন জ্বললে অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিও জ্বলবে।’’ এই মন্তব্য আপত্তিকর। কোনও সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তি এই মন্তব্য করতে পারেন না। মানুষকে ভয় দেখানো এবং হিংসা ছড়ানোর জন্য এই মন্তব্য করেছেন তিনি।’’

    সুকান্তর মতে, কোনও সামবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তির এ ধরনের কথা বলা অনুচিত। তাঁর উচিৎ, শান্তির পক্ষে কথা বলা। সেটা না করে তিনি (মমতা) উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন, যা বাংলার মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করেন বালুরঘাটের সাংসদ। এই প্রেক্ষিতেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, ‘‘মমতা (Mamata Banerjee) এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’ অমিত শাহের কাছে সুকান্তর আর্জি, ‘‘এই মন্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বাংলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    BJP Dharna: আরজি কর-কাণ্ডে ফের পথে বিজেপি, আজ থেকে টানা ধর্না ধর্মতলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের ঘটনায় (RG Kar Incident) বিচারের দাবিতে ধর্মতলায় আজ, বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার ধর্নায় (BJP Dharna) বসছে বিজেপি। গতকাল বাংলা বন‍্ধের পর নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে ফের পথে নামবে বিজেপি। ধর্মতলায় আজ থেকে ৭ দিনের ধর্নার ডাক দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করছে প্রশাসন। তাই শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। 

    বিজেপির ধর্নায় অনুমতি (BJP Dharna)

    ২৯ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করার জন্য বিজেপি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিজেপির দাবি, এই ধর্নার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়। সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানান, বিজেপি ২৯ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবে। ধর্নায় (BJP Dharna) উপস্থিত থাকতে পারবেন এক হাজার জন। ২০ ফুট x ৩০ ফুটের মঞ্চ তৈরি করতে পারবেন আয়োজকরা। শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের জন্য অনুমতি দিয়েছে আদালত৷ কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতিদিন ধর্না করতে পারবে বিজেপি (RG Kar Incident)। 

    প্রতিদিন প্রতিবাদে বিজেপি 

    ধর্নার পাশাপাশি, আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সপ্তাহভর একগুচ্ছ কর্মসূচি (BJP Dharna) রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ৩০ অগাস্ট বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফ থেকে রাজ্য মহিলা কমিশনের অফিসে অভিযান করা হবে। দলমত নির্বিশেষে এই অভিযান সমস্ত মহিলাকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও করার ডাক দেওয়া হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি বিডিও অফিসে দিনভর ধর্নার কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির (BJP Dharna)। আর ৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি মণ্ডলে দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তারা। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমি হতাশ এবং আতঙ্কিত, যথেষ্ট হয়েছে’’, আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ দ্রৌপদী মুর্মু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিশেষ অধিবেশন ডাকার এক্তিয়ার নেই রাজ্যের, বিধানসভা অভিযানের আহ্বান শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিশেষ অধিবেশন ডাকার এক্তিয়ার নেই রাজ্যের, বিধানসভা অভিযানের আহ্বান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে। ৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণবিরোধী বিল পাশ করাতে চায় রাজ্য সরকার। এমন অধিবেশন ডাকার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার নেই বলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপাশি ওই দিনেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ছাত্রদের পাল্টা বিধানসভা অভিযানেরও আহ্বান জানিয়েছেন। 

    মমতাকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এই অধিবেশন করতে গেলে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল বেআইনি কাজের অনুমোদন দেবেন না। জোর করে বিধানসভা করতে পারেন না।’’ মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘সোমবার অধিবেশন ডাকার আপনি কে! আপনি হরিদাস? ছাত্র সমাজকে বলব ওই দিন বিধানসভার অধিবেশন (Bidhansabha Abhiyan) করুন। আমরা ভিতরে বিধায়করা বুঝে নেব। আর রাস্তায় ছাত্র সমাজের লোকজন আপনারা বুঝে নেবেন।’’

    অধ্যক্ষ এই অধিবেশন ডাকতে পারেন না

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘বিধানসভার অধ্যক্ষও এই অধিবেশন ডাকতে পারেন না, কারণ সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা অধিবেশনে (Bidhansabha Abhiyan) তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়া এই অধিবেশন ডাকাই যায় না। কাজেই এই বিষয়টা নিয়ে তারা আলোচনা করছেন।’’ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ঘিরে এখন চড়ছে রাজনীতির পারদ।

    আরজি কর ইস্যুকে ছোট করে দেখানো হচ্ছে   

    বুধবার কলকাতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আরজি কর ইস্যুকে ছোটো করে দেখানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এবং তার পার্ষদরা যে ভূমিকা গ্রহণ করছেন তা আসলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার একটি চেষ্টা। যেভাবে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দিয়ে প্লেস অফ অকারেন্স অর্থাৎ ওই সেমিনার রুমের উলটো দিকের দেওয়ালটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং যেভাবে নির্যাতিতা মেয়েটির দেহ অতি দ্রুততার সঙ্গে সৎকার করা হয়েছে তার মাধ্যমে আসলে জনমতকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর নিয়োগে জট কাটল, ৪ সপ্তাহে মেধাতালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) নিয়োগে ছাড়পত্র দিল হাইকোর্ট। ১৪ হাজার পরীক্ষার্থীর চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হল। চার সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত মেধাতালিকা তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর হবে কাউন্সেলিং। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে ৯ বছরের নিয়োগ-জট কাটল বলেই অনেকে মনে করছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Upper Primary Recruitment)

    আপার প্রাইমারির (Upper Primary Recruitment) টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। ২০১১ ও ২০১৫ সালের দুটি টেটের পরীক্ষার্থীরা এই পদের জন্য যোগ্য ছিলেন। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৯ সালের ২৭ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পার্সোনালিটি টেস্ট হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু সেখানে সঠিকভাবে নথি যাচাই করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বার বার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তখন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্যানেল প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে,কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না এসএসসি। তার পরে মামলাটি যায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চে। গত ১৮ জুলাই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার রায় ঘোষণা করা হল।

    আইনজীবী কী বললেন?

    আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন, উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় যে ‘আফটার ইন্টারভিউ ওএমআর’ আসন পুনর্মূল্যায়ন করে ১৪৬৩ জনকে বাতিল করেছিল, সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সেটা সংশোধন করে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যাঁদের বাতিল করা হয়েছিল, তাঁদের আবার মেধাতালিকায় ঢোকাতে হবে। সঙ্গে ১৪ হাজার ৫২ জনের প্রত্যেককে মেধাতালিকায় রেখে কাউন্সেলিং করাতে হবে। কমিশনের পুরনো মেধাতালিকা ভুল ছিল।”

    কেন মামলা?

    উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ত্রুটির অভিযোগ তুলে ধরে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থেকে ১,৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলাকারীরা জানান, ওই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের তা জানানো হয়নি। পরে চার বার তা খতিয়ে দেখে এসএসসি। শেষে ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়েন ৭৪ জন। সে ক্ষেত্রেও সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ছিল, সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি কাউন্সেলিংয়ের সময়। তফশিলি জাতি এবং জনজাতিদের সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এমনকী, সেখানে মহিলাদের সংরক্ষণ নিয়েও ত্রুটি ছিল বলে আদালতে জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। ওএমআর শিটেও গোলমালের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আদালতে। দীর্ঘ ৯ বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে জট কাটল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share