Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Siliguri: শিলিগুড়ির জমি কেলেঙ্কারির রহস্যভেদে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: শিলিগুড়ির জমি কেলেঙ্কারির রহস্যভেদে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমির মাফিয়ারাজ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করল বিজেপি। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হতেই ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে জমি মাফিয়াদের সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করার ঘটনায় শিলমোহর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর এই সরব হওয়া ও দলের প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করানোর ঘটনার পিছনে অন্য অভিসন্ধি দেখছে বিজেপি। শিলিগুড়ি জুড়ে জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি।

     মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপি বিধায়ক (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষও এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চান। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব দেখাচ্ছেন তাতে মনে হয়, ২০১১ সালে তিনি শপথ নেওয়ার পর বিদেশ চলে গিয়েছিলেন। এখন ফিরে এসে তিনি জানতে পারছেন, তাঁর দলের নেতারা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজেকে বাঁচাতে ও সৎ প্রমাণ করতে তাঁর দলের নিচুতলার কর্মীদের বলির পাঁঠা করছেন। সৎ সাহস থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই জমি মাফিয়ারাজে যারা যুক্ত তাদের সকলকে গ্রেফতার করুন। শুধু আইসি-ওসি নয়, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও যেন রেহাই না পান।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

      ওসি, আইসিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে!

    দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রথমে ঠিক করে বলতে পারেনি কোন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে মান্যতা দিতে জমি কেলেঙ্কারির দিকটি প্রকাশ্যে আনা হয়। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ প্রশাসনও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। কেননা দেবাশিস ও তাঁর বাহিনী  দিনের পর দিন এভাবে সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে দিয়েছে, তা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জানতেন না, এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের উঁচুতলরার কর্তাদের বাঁচাতে এনজেপি থানায় এই সময়কালে যারা ওসি, আইসি ছিলেন তাদের ভূমিকা নিয়ে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

    কী বলছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিশের মদতে তৃণমূল নেতারা এখানে বুক ফুলিয়ে জমির কারবার ফেঁদেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তারা যদি বলেন, তারা জানতেন না তাহলে তারা এই চাকরি করার যোগ্য নন। সব থেকে বড় কথা,  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের পরিবার আদিগঙ্গায় জমি দখল করে রেখেছে। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। তাই, শিলিগুড়ির এই জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে মহিলার উপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলায় দল পাঠানোর আর্জি শুভেন্দুর

    Cooch Behar: কোচবিহারে মহিলার উপর অত্যাচারের ঘটনায় বাংলায় দল পাঠানোর আর্জি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের (Cooch Behar) সংখ্যালঘু মহিলা বিজেপি কর্মীর উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসতে চায় বিজেপির (BJP)। এ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। ধরনায় বসার জন্য অধ্যক্ষের অনুমতি চেয়ে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বিজেপির তরফে। যদিও এই চিঠি সম্পর্কে কোন প্রতিক্রিয়া দেননি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তিন কমিশনের কাছে টিম পাঠানোর আর্জি (Cooch Behar)

    কোচবিহারে সংখ্যালঘু মহিলা বিজেপি কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সেই বিতর্কের আঁচ এসে পড়ল বিধানসভাতেও। এ বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। কোচবিহারের (Cooch Behar) ঘটনায় ওই তিন কমিশনের কাছে বাংলায় টিম পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    সোমবার বিধানসভায় বিজেপির ধরনা (BJP)

    কোচবিহারের ঘটনা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্যর টুইট থেকে বিষয়টি নজরে আসে জাতীয় মহিলা কমিশনেরও। মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বাংলার মেয়েকে ভোট দিন বলে মুখ্যমন্ত্রী ২১-এ ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাঁর আমলে মহিলারা সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত। তিনি নিজেকে সংখ্যালঘুদের দরদী বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। অথচ সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে সংখ্যালঘুরা। তৃণমূল না করলে সংখ্যালঘুদের রেহাই মিলছে না। রামপুরহাটের বগটুইতে মুসলিম মহিলাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। ২০২১ শে ৯১% এবং ২০২৪ এ তৃণমূলকে ৯৫% ভোট দিয়েছে মুসলিমরা।

    আরও পড়ুন: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    অথচ তাঁরাই তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত। সুকুমার রায়ের ফোনে (Cooch Behar) আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। আমরা আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে আছি। তাঁদের সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে। বিজেপির মহিলা বিধায়করা সোমবার থেকে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে এই অত্যাচারের বিরোধিতায় ধরনায় বসবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TET Recruitment Case: বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে উদ্ধার বস্তাভর্তি নথি! কী মিলল সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযানে?

    TET Recruitment Case: বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে উদ্ধার বস্তাভর্তি নথি! কী মিলল সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতির (TET Recruitment Case) প্রসঙ্গ। গত তিন দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চলছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কার্যালয় বিকাশ ভবনে। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে বস্তাভর্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্র উদ্ধার করল সিবিআই। শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করে দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। প্রায় দেড় বছর পরে বুধবার থেকে সেই গুদামে আবার আসেন সিবিআই তদন্তকারীরা। 

    উদ্ধার হওয়া বস্তাভর্তি নথিপত্রে কী আছে? 

    গত বুধ এবং বৃহস্পতি— দুদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা। এরপর শুক্রবার বেলায় আবার শুরু হয় তল্লাশি। দুপুরেই সেখান থেকে বস্তাভর্তি নথিপত্র নিয়ে বাইরে আসতে দেখা যায় সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের। সূত্রের খবর, ওই সমস্ত নথিপত্রে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (TET Recruitment Case) সঙ্গে সম্পর্কিত বহু ‘জরুরি তথ্য’ রয়েছে। এছাড়াও সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেখানে রয়েছে পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রাপ্তদের নামের তালিকা। যা প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন দিক খুলে দিতে পারে। আর যদি সত্যি এমনটা হয় তাহলে এই মামলার মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে অনুমান করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: রিচার্জের দাম বাড়াল জিও-এয়ারটেল! কোন প্ল্যানে কত খরচ? জানুন খুঁটিনাটি

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর চলতি বছর ৪ জানুয়ারি ফের বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা (CBI)। জানা গিয়েছে দুবারই ওই ভবনের ছয় তলায় গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। শেষবার সেখানে রাজ্যের শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনের ঘরে তাঁকে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর কিছু দরকারি নথি সংগ্রহ করে গুদাম সিল করে দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। আর এবার বুধবার ফের সেখানে হানা দিয়ে বস্তাভর্তি নথি উদ্ধার করে সিবিআই আধিকারিকরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকে। নির্যাতিতার অভিযোগের উপর নির্ভর করে পরিবার এবং এলাকার মানুষ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মেয়েটি এখানে নিজের মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। দিল্লিতে বাবা-মায়ের কাছে থাকত এবং ওখানেই পড়াশুনা চলছিল তার। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্রীর পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তকে রাজনৈতিক সংরক্ষণ যেন না দেওয়া হয়। কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তকে। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষী কেউ থাকলে শাস্তি চাই।”

    পরিবারের অভিযোগ (Nandigram)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে ছুটিতে মামার বাড়ি নন্দীগ্রামে (Nandigram) এসেছিল ছাত্রী। গত ২৫মে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। এই ব্যক্তি আবার বিবাহিত এবং এক সন্তানও রয়েছে তার। প্রথমে অভিযুক্ত ব্যক্তি, ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় করে এবং এরপর ভাব করে, তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে হুমকি দেয়, যদি মুখ খুলিস, তাহলে প্রাণে মেরে ফেলব। কিন্তু বাড়িতে এসে ছাত্রী ভয়ে প্রথমে কিছু না বললেও পরে সবটা খুলে বলে। এরপর নির্যাতন সম্পর্কে জেনে পরিবার এবং এলাকার মানুষ ১০ জুন নন্দীগ্রাম থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের আরও দাবি, ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকার প্রতিবেশীদের অভিযোগ, “অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ হয়তো শাসকদলের কর্মী বলেই গ্রেফতার করছে না।“

    আরও পড়ুনঃ রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দোষীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। এই মর্মে একাধিক সামজিক সংগঠনের তরফ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। আবার স্থানীয় (Nandigram) তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেছেন, “অভিযুক্ত কে? তাঁর রাজনীতির রং না দেখেই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।” অপর দিকে সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী এখন এলাকা থেকে পলাতক। রাজ্যে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ আগেও শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছিল। ঘটনায় তৃণমূল অনেকটাই চাপের মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক দলীয় পতাকা ধরানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত বিজেপি নেত্রী কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন। পরে, ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন হাতে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, দেবগ্রাম গ্রাম (Nadia) পঞ্চায়েতের ২৪৩ নম্বর বুথের বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা সঞ্চিতা সরকার। ২৬ জুন শুভঙ্কর বারুই ওরফে হরি নামে এক যুবক তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মী সুবীর ধরের বাড়িতে। সেখানে জোর করে তাঁকে তৃণমূলের পতাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, প্রাণনাশের  হুমকি দিয়ে তৃণমূলে যোগদানের ভিডিও করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু, সঞ্চিতাদেবী সেখান থেকে কোনওরকমে  পালিয়ে আসেন। এরপর তিনি দলীয় নেতৃত্বদের কাছ থেকে ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এই বিষয়ে সঞ্চিতা বলেন, ওই দুই তৃণমূল কর্মী জোরপূর্বক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমি রাজি হইনি। আমি আজীবন বিজেপি করে এসেছি। ভবিষ্যতে বিজেপিতেই থাকতে চাই। তৃণমূলের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গাংনাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবীর ধর বলেন, ‘তৃণমূল কোনওদিনই এরকম জোরজুলুম করে দলে যোগদান করায় না। তিনি নিজেই গাড়ি করে এসে তৃণমূলের পতাকা ধরেছিলেন।’ অপরদিকে, নদিয়ার চাকদার বিজেপি (BJP) বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে বিজেপিকে, তাই নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। তবে, ওই মহিলা অত্যন্ত সাহসী। তাই তিনি দেখিয়ে দিলেন, দলকে ভালোবাসলে দলের বিরুদ্ধে যাওয়া যায় না। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং এই ঘটনাটি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনেও জানানো হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট পুরসভার খোদ চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের ওয়ার্ডে চলছে জলাশয় ভরাট। নিজের ওয়ার্ডে ভরাট চললেও পুরকর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। সরব হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই সরকারি জায়গা দখল হওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জলাশয় ভরাট না করার কথা বলেছেন বার বার। তারপরেও পুরসভা (Balurghat) পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি।

    কীভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জলাশয়ে ট্রাক্টরে করে আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের (Balurghat) মদতেই এই ডোবা ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক জলাভূমি ও ডোবা।  নানা সময়ে সেগুলি ভরাটের অভিযোগ আসে। এবার সন্তোষী মন্দিরের কাছে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ। ওই জমির চরিত্র জলাভূমি রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে, সেটি কোনওভাবেই ভরাট করা যায় না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মনও। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জয়দেব পাল জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। কারও কাছে অনুমতি নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আমাদের রাস্তা করার জন্য এ ভরাট করেছি। রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    চেয়ারম্যান (Balurghat) অশোক মিত্র বলেন, বিজেপি নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করে থাকে। আমার কাছে এখনও এই ধরনের অভিযোগ বা তথ্য আসেনি। বিজেপি যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। আর জলাশয় ভরাট করা হলে পুরসভা বরদাস্ত করবে না। এর আগে আমার ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাটের খবর এসেছিল। সেবার পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি

    বিজেপির (BJP) বালুরঘাট টাউন মণ্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, চেয়ারম্যানের মদতেই তাঁর বাড়ির কাছে জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁর বাড়ির কাছে আরেকটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। সেবার আন্দোলন হওয়ায় ভরাট করতে পারেনি। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। আমরা এসডিও’র কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    Nadia: রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনন্যা নামে রোবটে মজেছে কৃষ্ণনগরের একটি নামজাদা রেস্টুরেন্টের ভোজনরসিকরা। কিচেন রুম থেকে খাবার বয়ে নিয়ে, সোজা খাবার টেবিলে পৌঁছে যাচ্ছে এই অনন্যা। ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যাচ্ছে অনন্যা এবং বলছে “আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন”। শুধু তাই নয় গ্রাহকের স্পেশাল দিনে খাবার বা কেক ডেলিভারি করে গাইছে গান। আর তাই দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে নদিয়া কৃষ্ণনগরের (Nadia) ওই রেস্তোরাঁয়।

    তিনজন মহিলা মিলে শুরু করেছিলেন (Nadia)

    ২০১৩ সালে তিনজন মহিলা নিয়ে কৃষ্ণনগরের (Nadia) জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পের পিছনে শুরু হয়েছিল রেস্তোরাঁটি। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ১১ বছরে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর সমকক্ষে পরিণত হয়েছে আজ। কিন্তু কেন রোবটের নাম অনন্যা? সে এক অজানা কাহিনী। যখন প্রথম শুরু হয়েছিল, তখন তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের নাম ছিল অনন্যা। তাঁর বাড়ি, নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়াতে। রেস্তোরাঁর তিন মহিলার মধ্যে দুজনেই কাজ ছেড়ে চলে যান কিন্তু থেকে যান অনন্যা। আর অনন্যার হাত ধরেই আজ এই রেস্তোরাঁ পূর্ণতা ও পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই কারণেই অনন্যাকে সম্মান জানাতেই অত্যাধুনিক রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে।

    আকর্ষণের মূল কেন্দ্র রোবট

    এখনও পর্যন্ত মোট চারটি অনন্যা নামের রোবট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত মানুষের কাছে খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে। রোবটের চলার পথে ভিড়ভাট্টা হলেই দাঁড়িয়ে পড়ছে এবং জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করছে। রেস্তোরাঁতে খাবার খেতে আসা সকলেই একটু ফাঁক পেলেই অনন্যার সঙ্গে ছবি তুলে নিচ্ছে। শিশুরা রোবট অনন্যাকে নিয়ে মজাও করছে খুব। মহিলা পরিচালিত রেস্তোরার (Nadia) বর্তমান মূল আকর্ষণ অনন্যা নামের এই রোবট।

    আরও পড়ুনঃ অভাবকে জয় করেছে মেধা, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার সুযোগ পেলেন মালদার অভিজিৎ

    রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    তবে রেস্তোরাঁ (Nadia) কর্তৃপক্ষের তরফে শুভঙ্কর মন্ডল বলেছেন, “এই রোবট শুধু খাবার ডেলিভারি নয় পরবর্তীতে হাউসকিপিং, ক্লিনিং সমস্ত কাজই করে। একদম নিজস্ব টেকনিক্যাল টিমের তৈরি এই রোবট। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও বিক্রয় করা হবে। তবে অনন্যার এই কাজ খুবই প্রশংসিত হয়েছে স্থানীয় ভোজন রসিক থেকে শুরু করে দেশের বাইরের ভোজন রসিকদেরও। রাজ্যের একমাত্র রেস্তোরাঁ, যেখানে এখন আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত রোবটিক্স টেকনোলজিতে চলছে খাবার পরিবেশন এবং ভোজন রসিক গ্রাহকদের মনোরঞ্জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: অভাবকে জয় করেছে মেধা, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার সুযোগ পেলেন  মালদার অভিজিৎ

    Malda: অভাবকে জয় করেছে মেধা, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার সুযোগ পেলেন মালদার অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা, মানসিক ভারসাম্যহীন, বাবা নিখোঁজ! পরিবারে আর্থিক অভাব। এই পরিস্থিতি থেকে অল ইন্ডিয়া জেইই-তে ১৯১০ র‍্যাঙ্ক (এসসি) করে সকলকে চমকে দিয়েছেন মালদা (Malda) শহরের বাসিন্দা অভিজিৎ রায়৷ কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ মিলেছে আইআইটি খড়্গপুরে৷ এলাকায় ব্যাপক উচ্ছ্বাসের আবহ। কিন্তু আইআইটিতে সুযোগ পেলেও তাঁর জন্য প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারের আর্থিক অভাব৷ এই দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁকে সংবর্ধনা জানিয়ে সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    অভিজিৎ-এর বক্তব্য (Malda) 

    অভিজিৎ বলেছেন, “অ্যাডভান্স জেইইতে পরীক্ষা দিয়ে এসসিতে ১৯১০ র‍্যাংক করেছি৷ আইআইটি খড়্গপুরে ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগে সুযোগ পেয়েছি৷ আর্থিক অভাবে ভর্তি নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল৷ মালদার (Malda) একটি ক্লাব সিট রিজার্ভের ব্যবস্থা করেছে৷ আজ দিলীপবাবু এসেছিলেন৷ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷ খুব ভালো লাগছে৷”

    দাদু টোটো চালিয়ে নাতিকে পড়াশুনা করান

    ইংরেজবাজার (Malda) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিনপার্ক এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায়৷ বাবা মদন রায় ১৫ বছর আগে পরিবারকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷ মা অষ্টমী রায়, কন্যসন্তান মধুমিতা রায়কে জন্ম দেওয়ার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন৷ এই পরিস্থিতিতে দাদু রতন হালদার টোটো চালিয়ে নাতি-নাতনিকে বড়ো করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন৷ মালদা টাউন হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পর অল ইন্ডিয়া জেইই-র প্রস্তুতি শুরু করেন অভিজিৎ৷ প্রথম বছর তেমন সাফল্য না মিললেও হাল ছাড়েননি তিনি৷ স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রস্তুতি চালিয়ে যান৷ অবশেষে গত ৯ জুন ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় সর্বভারতীয় স্তরে এসসি তালিকায় বিরাট সাফল্য এসেছে। 

    আরও পড়ুনঃ টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক!

    দিলীপের সাহায্যের আশ্বাস

    মেধবী ছাত্র অভিজিতের বাড়িতে (Malda) দেখা করতে যান প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ নিজের আর্থিক সমস্যার কথা দিলীপবাবুকে জানান অভিজিৎ৷ সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি৷ দিলীপবাবু বলেছেন, “বাবা নিরুদ্দেশ, মা মানসিক রোগী৷ সেই বাড়ি থেকে লড়াই চালিয়ে আইআইটিতে সুযোগ পেয়েছে অভিজিৎ৷ আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি৷ তাঁর জন্য ব্যাগ ও বইয়ের ব্যবস্থা করেছেন আমাদের জেলা সভাপতি৷ অভিজিৎ কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন ৷ আমরা চেষ্টা করছি৷ তাঁকে নিজের ফোন নম্বরও দিয়েছি ৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Katwa: টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক

    Katwa: টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকা বেতন পাওয়ার পরও স্কুলের মতো কলেজের অধ্যাপকরা টিউশনের লোভ সামলাতে পারেন না। তাই, স্রেফ টিউশন পড়তে না আসায় ১১ জন পড়ুয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া (Katwa) কলেজের জুলজি বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সরকার এবং দুই অধ্যাপিকা সুলগ্না মুখোপাধ্যায় ও চন্দ্রাণী দাসের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ পড়ুয়াদের। আর এই ঘটনায় কলেজ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিন অধ্যাপকের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেন পড়ুয়ারা (Katwa)

    জানা গিয়েছে, জুলজি বিভাগের (Katwa) তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ১১জন পড়ুয়া। পড়ুয়ারা বলেন, “পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষার আগে থেকেই আমাদের ওপর রুষ্ট ছিলেন ওই তিনজন অধ্যাপক। তার পরিণতি এরকম হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি আমরা। শুধু তাই নয়,  ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার দিন হলে এসে ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব সামলানো থেকে শুরু করে ইন্টারনাল ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা। পরীক্ষা খারাপ হলে আমাদের কিছু বলার ছিল না। আমরা ওই অধ্যাপকের কাছে পড়িনি, এটাই আমাদের অপরাধ। তার খেসারত এভাবে দিতে হবে তা মেনে নিতে পারছি না। আমরা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি। আর সুবিচারের আশায় আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই আমরা দেখব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কারণ, এই অন্যায়ের শাস্তি হওয়া উচিত। নাহলে আগামীদিনে এই অধ্যাপকরা শুধু অর্থের লোভে অন্য পড়ুয়াদের জীবন নষ্ট করে দেবে। সেটা হতে পারে না। ওই তিন অধ্যাপকের মুখোশ আমরা সকলের সামনে খুলে দেব।” যদিও অভিযুক্ত ওই তিনজন অধ্যাপকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    কলেজ (College) অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, “এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, যদি কলেজের কোনও অধ্যাপক, কলেজ আওয়ার্সে টিউশনি পড়ান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, কোন পড়ুয়া কার কাছে টিউশনি পড়বেন এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা সমস্ত ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই সরব হয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক (Malda) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল নিজের গাড়িকে সরকারি কাগজে দেখিয়েছেন ভাড়া গাড়ি হিসাবে। এই কায়দাতেই প্রতি মাসে সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এভাবেই মাসের পর মাস সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে সরকারি নির্দেশ বলছে, যে কোনও ভাড়া গাড়ি নেওয়ার ক্ষেত্রে আগে সরকারি টেন্ডার ডাকতে হয়। সরকারি নিয়ম মেনে সব কাজ করার পর বরাত দিতে হয়। এমনকী এই গাড়ি যিনি ব্যবহার করবেন তা তাঁর পরিবারের কেউ বা কোনও আত্মীয় স্বজন দিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির মানিকচক (Malda) মণ্ডলের আহ্বায়ক সুভাষ যাদব বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির জন্য যে গাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে তা আদপে তাঁর স্বামী অপু মণ্ডলের। সেই গাড়ির মাসিক ভাড়া বাবদ একটা মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর স্বামীকে পাইয়ে দিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। জনগণের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তৈরি করা সরকারি তহবিল থেকেই দেওয়া হচ্ছে সেই টাকা। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এতদিন নিজের স্বামীর গাড়িকে ভাড়া গাড়ি হিসাবে দেখিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বিজেপির আরও অভিযোগ, পিঙ্কি মণ্ডল মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে তো রয়েছেন, তার সঙ্গেই একটি হাইস্কুলের গার্লস হস্টেলেও পদ নিয়েছেন। সেখান থেকেও মাসে মাসে টাকা নিচ্ছেন। গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছি আমরা।”

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল বলেন,  “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিডিও সাহেব সব খতিয়ে দেখবেন। তখনই সব প্রমাণ হয়ে যাবে। বিজেপি (BJP)অকারণে রাজনীতি করার জন্য এসব অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share