Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    Malda: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম! সরকারি টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই সরব হয়েছে বিজেপি। এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক (Malda) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল নিজের গাড়িকে সরকারি কাগজে দেখিয়েছেন ভাড়া গাড়ি হিসাবে। এই কায়দাতেই প্রতি মাসে সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এভাবেই মাসের পর মাস সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে সরকারি নির্দেশ বলছে, যে কোনও ভাড়া গাড়ি নেওয়ার ক্ষেত্রে আগে সরকারি টেন্ডার ডাকতে হয়। সরকারি নিয়ম মেনে সব কাজ করার পর বরাত দিতে হয়। এমনকী এই গাড়ি যিনি ব্যবহার করবেন তা তাঁর পরিবারের কেউ বা কোনও আত্মীয় স্বজন দিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির মানিকচক (Malda) মণ্ডলের আহ্বায়ক সুভাষ যাদব বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির জন্য যে গাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে তা আদপে তাঁর স্বামী অপু মণ্ডলের। সেই গাড়ির মাসিক ভাড়া বাবদ একটা মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর স্বামীকে পাইয়ে দিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। জনগণের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তৈরি করা সরকারি তহবিল থেকেই দেওয়া হচ্ছে সেই টাকা। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এতদিন নিজের স্বামীর গাড়িকে ভাড়া গাড়ি হিসাবে দেখিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বিজেপির আরও অভিযোগ, পিঙ্কি মণ্ডল মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে তো রয়েছেন, তার সঙ্গেই একটি হাইস্কুলের গার্লস হস্টেলেও পদ নিয়েছেন। সেখান থেকেও মাসে মাসে টাকা নিচ্ছেন। গোটা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছি আমরা।”

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিঙ্কি মণ্ডল বলেন,  “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিডিও সাহেব সব খতিয়ে দেখবেন। তখনই সব প্রমাণ হয়ে যাবে। বিজেপি (BJP)অকারণে রাজনীতি করার জন্য এসব অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    Hooghly: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাসনের বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করল হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়া পুরসভা। হাইকোর্টের নির্দেশে তৃণমূল পুরবোর্ড এই পদক্ষেপ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ২৭ জুনের মধ্যে এই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই পুরসভার ঘুম ভাঙে। আর এতেই আবাসনের আবাসিকদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। পুরসভার মিউটেশন থেকে শুরু করে সমস্ত কাগজ থাকার পরও কেন এরকম হল সেই প্রশ্ন করছেন আবাসিকরা। তৃণমূল পুর বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    উদ্বেগে আবাসিকরা (Hooghly)

    জানা গিয়েছে, বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো উত্তরপাড়া পুরসভার ৭ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টি ফ্ল্যাটের অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ৫৬ নম্বর অমরেন্দ্র সরণিতে গঙ্গার পারে এই অবৈধ ফ্ল্যাটে মিউটেশন করে ট্যাক্স দিয়ে বসবাস করছিলেন অনেকেই। আবাসিকরা বলেন, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। পুরসভা সমস্ত মিউটেশনের কাজও করে দেয়। ট্যাক্সও দিতে হয় নিয়ম মেনে। অথচ এখন জানতে পারছি, এই ফ্ল্যাটেরই একটা অংশ বেআইনি। আগে জানলে এমন ফ্ল্যাট কিনতাম না। শ্যামলী ঘোষ নামে এক আবাসিক বলেন, “দুবছর ধরে এই ফ্ল্যাটে থাকছি। কোনও সমস্যা নেই। হঠাৎ করে এসে যদি এরকম বলা হয় আমরা কোথায় যাব। ট্যাক্স, মিউটেশন হয়েছে। কী করে এটা অবৈধ হয়, আর রাতারাতি কী করে ভাঙা হয় জানি না। পুরসভা তো অনুমতি দিয়েছিল। পুরসভার ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। এখন পুলিশ এসে বলছে এটা বেআইনি, ভাঙতে হবে। আর এভাবে হঠাৎ করে কিছু হয় না।”

    পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) পরিচালিত উত্তরপাড়া (Hooghly) পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব বলেন, কোর্ট নির্দেশ দিলে আমাদের তা মানতেই হয়। সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই উত্তরপাড়া ও ভদ্রকালী এলাকায় ১৭ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড দু’টি বেআইনি অংশ ভাঙতে হয়। যাঁরা নির্মাণ করেন, তাঁরা অনেক সময় নিয়ম মানেন না। আদালত যখন নির্দেশ দেয় তখন সময় বেঁধে দেয়। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা এদিন শুধু নির্দেশ পালন করতে গিয়েছেন। কোনও সম্পত্তি কেনার আগে পুরসভায় খোঁজ নেওয়ার জন্য বলি। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, এই আবাসনের বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভা থেকে ট্যাক্স, মিউটেশনের কাজ করিয়েছেন। তাহলে পুরসভা সে কাজ কীভাবে করল? এই নিয়ে চেয়ারম্যান কোনও মন্তব্য করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ, সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ, সপ্তাহান্তে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু অংশ বাদে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা (Weather Update)। জেলায় জেলায় বৃষ্টিতে ফিরেছে স্বস্তি। বৃহস্পতিবার কলকাতা সমেত একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এই আবহে সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাল হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনাও রয়েছে সপ্তাহ শেষে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর ফলে সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, জানাল হাওয়া অফিস

    অন্যদিকে শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। এর পাশাপাশি শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই জেলাগুলি হল- দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। এর পাশাপাশি শনিবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি

    দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ওই বাকি অংশেও প্রবেশ করবে মৌসুমি বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট, চলতি বছরে বর্ষায় বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৭২ শতাংশ (Weather Update)। অর্থাৎ, স্বাভাবিকের চেয়ে ৭২ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে চলতি মরসুমে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিতে কোনও খামতি নেই বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। লাগাতার বৃষ্টির জেরে সেখানে বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে একইভাবে সপ্তাহান্তেও বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আর পড়ুন: “জরুরি অবস্থা ঘোষণা ছিল সংবিধানের ওপর আক্রমণ”, বললেন রাষ্ট্রপতি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: নদীর চর চুরি করে বিক্রি! কাঠা পিছু দাম ৩ লক্ষ, দলকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা

    Malda: নদীর চর চুরি করে বিক্রি! কাঠা পিছু দাম ৩ লক্ষ, দলকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর চর চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছে তৃণমূল। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে মালদার (Malda) ইংরেজবাজার এলাকায়। তবে, বিরোধীরা এই অভিযোগ করছে এমন নয়, শাসক দলের মালদা জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকারই খোদ এই অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি?(Malda)

    তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলার সহ সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “কিছু অসাধু মানুষ এখানে ঢুকে আমাদের নদীর চরগুলিকে দখল করছে। সেখানে বাড়ি করছে। আমাদের দলের কাউন্সিলরদের লোকেরাও এরমধ্যে জড়িত আছে। পয়সা নিচ্ছে কি না, সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু, নদীর চরগুলিতে এসে সবাই বসবাস করছে। নদীর মূলস্রোত নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসন থেকে কিছু বলা হয় না। পুলিশের উচিত এদের উঠিয়ে দেওয়া। যারা কিনেছে, তাদের কাছে দলিল আছে কি? যাদের নামে কিনেছে, যারা টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর হওয়া উচিত। সে তৃণমূল হোক, কংগ্রেস হোক। আমার পার্টির ছেলেরা হলে, তাদেরও গ্রেফতার করা উচিত।”

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    নদীর চরে বসবাসকারীরা কী বললেন?

    নদীর চরে বসবাসকারীরা বলেন, কাঠা পিছু ৭০ হাজার টাকায় আমরা জমি কিনেছিলেন। সেই দাম এখন উঠেছে কাঠা পিছু ৩ লাখ টাকা বা তারও বেশি। এই নদীর জমি খাস জায়গা বলেই আমাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা পুরসভাকে কর দিই, বিদ্যুতের বিলও দিই। বেআইনি জেনেও আমরা কিনেছি। শাসক দলের (Trinamool Congress) লোক সাহায্য করেছে। ফলে, কোনও সমস্যা হয়নি।

    চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    ইংরেজবাজার (Malda) পুরসভার চেয়ারম্যয়ান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, নদীর চরে বাড়ি বানিয়ে থাকা মানুষজনদের থেকে কোনও কর নিচ্ছে না পুরসভা। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ গেলে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    সরব সেচ দফতরও

    সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিষয়টি যে আমাদের নজরে আসেনি, তা নয়। সেচ দফতরের তরফে আমরা দেখেছি, নদীর পাড়ে পিলার দিয়ে অনেকে পাকা বাড়ি বানিয়েছেন। নদী চর খাস জায়গা নয়। সেচ দফতরের তরফে এই নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birati Station: শিশু চুরির ঘটনা গুজব! অভিযুক্ত মহিলাই বাচ্চার মা, রহস্যভেদ করল জিআরপি

    Birati Station: শিশু চুরির ঘটনা গুজব! অভিযুক্ত মহিলাই বাচ্চার মা, রহস্যভেদ করল জিআরপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে ধরা সন্দেহে গত কয়েকদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, অশোকনগর, বারাকপুরে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। পরে, তদন্তে নেমে ছেলে ধরার কোনও তথ্যই পুলিশ পায়নি। নিছক গুজব থেকেই জেলা জুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছিল। এসবের মাঝে ব্যাগের মধ্যে শিশু চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বুধবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিরাটি স্টেশন (Birati Station)। পাচারকারী সন্দেহে এক মহিলাকে ট্রেনের কামরার মধ্যেই গণপিটুনি দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতার থেকে জিআরপি উদ্ধার করে শিশু ও পাচারকারী সন্দেহে ওই মহিলাকে। এরপর জিআরপি তদন্তে নামে। আর রাতেই জানা যায়, সমস্ত ঘটনাটি গুজব। পাচারকারী মহিলাই আদতে ওই শিশুর মা।

    কীভাবে জানা গেল? (Birati Station)

    জিআরপি (Birati Station) সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটি ওই মহিলারই সন্তান। শিশুটি মোটেও ব্যাগে ছিল না। মহিলার কোলেই ছিল। মহিলার কিছু মানসিক সমস্যা রয়েছে, জিআরপি-র তরফ থেকে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে মহিলার বলা ঠিকানা গিয়েও বাড়ির খোঁজ মেলেনি। ফলে, সন্ধ্যা পর্যন্ত রহস্য ছিল। তবে, বুধবার গভীর রাতে রামেশ্বর পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তি জিআরপিতে ফোন করেন। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি বিহারে। তাঁর স্ত্রীর নাম বাসন্তী দেবী। তাঁর বাড়ি ওড়িশা। শিশুটি তাঁদেরই। স্ত্রীর কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। আর ভাষাগত সমস্যার জন্য জটিলতা তৈরি হয়েছে। এরপরই রামেশ্বর পাণ্ডে জিআরপি অফিসে যান। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছিতে এসে থাকছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে রামেশ্বর পাণ্ডের সঙ্গে বামনগাছিতে তাঁর ভাড়া বাড়িতে পৌঁছয় রেল পুলিশ। পাণ্ডের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয় জিআরপি। পাশাপাশি যথাযথ নথিপত্র খতিয়ে দেখে তারা। পরে, জিআরপি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাণ্ডে দম্পতিই ওই শিশুর বাবা-মা। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত পাণ্ডে দম্পতির হাতেই ওই শিশুকে তুলে দেয় জিআরপি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    নিত্যযাত্রীরা কী বললেন?

    প্রসঙ্গত, বুধবার ডাউন দত্তপুকুর লোকালে শিশু চুরিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। পাচারকারী সন্দেহে মহিলাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। বিরাটি স্টেশন (Birati Station) অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। পরে, জিআরপি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, এদিন শিশু চুরির ঘটনা গুজব জেনে ট্রেনের নিত্যযাত্রীরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তবে, মহিলাকে মারধর করার ঘটনাকে সকলেই নিন্দা করেন। নিত্যযাত্রীরা বলেন, আসল সত্যি না জেনে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। যারা এই কাজ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। নাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    Balurghat: মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা তৃণমূলের, আন্দোলনে বিজেপি, অভিযোগ থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের নামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকায় জুতোপেটা ও লাথি মারায় অভিযোগ উঠল তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে অপমান করার প্রতিবাদে এবারে বালুরঘাট (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটি। প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে জেলাজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    রাস্তায় নেমে আন্দোলনে বিজেপি (Balurghat)

    বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। এদিকে এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী ও বালুরঘাটের সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে যা করেছে তৃণমূল তা নিম্ন রুচির পরিচয়। এমনই মনে করছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে হওয়া নিট কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে বুধবার বালুরঘাটের (Balurghat) রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সভা করে তৃণমূলের রাজ্য শিক্ষা সেল। আন্দোলনে সামিল হয়েছিল, ওয়েবকুপা, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। মিছিল চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কুশপুত্তলিকা দাহ করার পাশাপাশি সেগুলিতে জুতোপেটা, লাথি মারা হয়। এমনকী থুথু ছেটান বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দার ঝড় বইতে শুরু করে।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে অসভ্যতা করেছে তৃণমূল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, নেয়নি। তাই আমরা বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চলেছি। যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জুতোপেটা করেছিলেন তাঁরা শিক্ষক নন। শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক, অসভ্য বর্বর, নিম্ন প্রজাতির কীট। তাই তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার জেরে বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারেও ফুটপাত ‘জবরদখলমুক্ত’ (Hawker Eviction) করতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুরের (sonarpur-Garia) ফুটপাতের দোকানগুলিও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার। কর্মসংস্থান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল হকারেরা। 

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শুরু অ্যাকশন 

    সোমবার রাজ্যের সমস্ত জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে যেমন বেআইনি দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তেমনি ফুটপাত দখলমুক্ত (Hawker Eviction) করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই রাজপুর সোনারপুর (sonarpur-Garia) পুরসভা ও বারুইপুর পুলিশ-প্রশাসন একটি জরুরি বৈঠক করে। তারপরেই প্রশাসন বুধবার সারাদিন মাইকিং করে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ফুটপাত পরিষ্কার করার জন্য।  

    ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান (Hawker Eviction)

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সেদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা মাইকিং করে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে ফুটপাত দখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হবে। এলাকায় প্রতিনিয়ত হকার্স বন্ধুদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে উঠছে এবং এর পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ও বেড়েছে,যার ফলে প্রতিদিন অ্যাক্সিডেন্টও ক্রমে বেড়েই চলেছে। স্টেশনগুলো এরিয়া দখল করে রেখেছে রিক্সা, টোটো কিছু কিছু প্রাইভেট গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসনিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সোনারপুর পুলিশ আধিকারিকরা মিলে এই ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান শুরু করবে।” 

    আরও পড়ুন: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউরিতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    এরপর বৃহস্পতিবার সকালেও পুলিশ ও স্থানীয় পুর-কর্মীরা এসে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দোকান তুলে নিতে বলেছেন। দোকানদারদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে তাঁদের । অন্যদিকে গলি রাস্তার উপর লোহার রডের সঙ্গে ত্রিপল দিয়ে দোকানের কাঠামোর অংশ খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা হকারদের নির্দেশ দেন, রাতের মধ্যে এগুলি না খুললে ফের অভিযান হবে ৷ তখন কলকাতা পুরনিগমের তরফে লোক এসে সব ভেঙে খুলে (Hawker Eviction) নিয়ে চলে যাবে। এরপর হকারদের আর কিছু করার থাকবে না। সেই নির্দেশ মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার বেশ ফাঁকা। কারণ সব দোকানদাররা নিজেদের দোকান গুটিয়ে ফেলতে ব্যস্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেচাকেনা বন্ধ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপি করার অপরাধে কোচবিহারে মহিলাকে উলঙ্গ করে মারধর

    Cooch Behar: বিজেপি করার অপরাধে কোচবিহারে মহিলাকে উলঙ্গ করে মারধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার (Cooch Behar) লোকসভা কেন্দ্রে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। অভিযোগ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দিকে দিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা শাসক দলের সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন। কারও বাড়িঘর ভাঙচুর আবার কাউকে টাকার জন্য হুমকি। তবে এবারের ঘটনা সবকিছুর মাত্রা অতিক্রম করল। এক সংখ্যালঘু মহিলাকে বিজেপি করার অপরাধে এক কিলোমিটার রাস্তা চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে এসে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠলে। আক্রান্ত ওই মহিলা কোচবিহার হাসপ্তালে ভর্তি।

    বিজেপি করায় উলঙ্গ করে মারধর মহিলাকে

    জানা গিয়েছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা বিধানসভার ২ নং ব্লকের রুইডাঙ্গা অঞ্চলের রাম ঠেঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। বুধবার এই ঘটনার জেরে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে। রোশনআরা  খাতুন নামে বিজেপি মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে পুকুরের জলে চুবিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রায় এক ঘণ্টা অজ্ঞান থাকার পর তাঁকে প্রথমে ঘোকষডাঙ্গা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পরবর্তীতে কোচবিহার (Cooch Behar) মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত ওই মহিলা বলেন, “বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে গরু বাঁধার জন্য গিয়েছিলাম। যখন ফিরে আসছি সেই সময় একজন মহিলা হাতে কাঁচি নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে। আমি ভাবলাম হয়ত ঘাস কাটতে যাচ্ছে। সেই সময় ওই মহিলার সঙ্গে থাকা অন্যান্য মহিলারা আমাকে ধরে ফেলে। এরপর আমার চুলের মুঠি ধরে প্রায় এক কিলোমিটার গোবর মাটি লাগা অবস্থায় টেনে নিয়ে আসে। এরপর চুলের মুঠি ধরে আমাকে জলে চুবাচ্ছিল এবং আমার  সমস্ত কাপড় খুলে উলঙ্গ করে দেয়। এবং আমার মাথার সব চুল ছিঁড়ে নেয়। আমি বিজেপি করি আর ওরা টিএমসি করে। এই জন্যই আমার এই অবস্থা করেছে।” তিনি আরও জানান তাঁকে মারধর করার সময় বলা হয়, মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস? মুসলিম পাড়ায় থেকে বিজেপি করছিস। আজ জলে চুবিয়ে মেরে ফেলব। এরপর পুরুষদের দেখিয়ে ধর্ষণ করতে বলা হয়। রোশনআরা আরও বলেন, “এরপর যখন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমি জানি না কী হয়। আমার মায়ের বাড়ির সামনে উলঙ্গ অবস্থায় ফেলে রাখে। পুলিশ গিয়ে ছবি তোলে। এলাকার তৃণমূলের লোকেরা প্রতিদিন হুমকি দেয়। বিজেপি করলে দুনিয়া থেকে গায়েব করে দেবে বলছে। যারা আমার সাথে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁদের আমি ফাঁসি চাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনার পর আক্রান্ত মহিলার পিতা বজলে রহমান ঘোকসারডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত তিনজন মহিলাকে আটক করেছে ঘোকষডাঙা থানার পুলিশ। বজলে রহমান বলেন, “আমার মেয়ে মহিলা মোর্চার সদস্য। বিজেপি (Cooch Behar) হেরে যাওয়ার পর থেকেই তৃণমুলীরা বাড়ি থেকে বের হতে দেয় না। আমরা বিজেপি করি তার জন্যই এই ঘটনা।

    আরও পড়ূন: হম্বিতম্বিই সার! হকার উচ্ছেদের রাস্তা থেকে আপাতত সরে গেলেন মমতা

    আমাকেও বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেয়। বাড়ি থেকে বের হতে দেবে না, এই হুমকি দেয়।” যদিও এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “কিছু না জেনে কোন মন্তব্য করা যাবে না” আমি জেনে বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পঞ্চায়েত অফিসে বসে দই-আইসক্রিম! চলে রোম্যান্স, দলের প্রধানকে তোপ তৃণমূল কর্মীদের

    Hooghly: পঞ্চায়েত অফিসে বসে দই-আইসক্রিম! চলে রোম্যান্স, দলের প্রধানকে তোপ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত অফিসে বসে দই-আইসক্রিম খেয়ে সময় কাটান। কাজের সময়ে চলে রোম্যান্স। তৃণমূলের প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূরের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন দলের কর্মী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্যরা। প্রধানের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনায় শাসক দলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    প্রধানের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (TMC Conflict)

    গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, প্রধান শুধু তাঁর নিজের ও ঘনিষ্ঠদের এলাকায় কাজ করেন। বাকি কোথাও কাজ করেন না। আমরা এলাকায় উন্নয়ন করার কথা বললেও তিনি তা করেন না। যার ফলে এলাকার উন্নয়ন থমকে আছে। দলের কোনও কথাও তিনি শোনেন না। এ নিয়ে কথা বলতেই পঞ্চায়েত অফিসে আমরা যাই। আমাদের সঙ্গে দলের কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু, কথা বলতেই সেখানে উত্তেজনা (TMC Conflict) তৈরি হয়। তৃণমূলের রাজহাট অঞ্চল সভাপতি রূপকুমার কর বলেন, “প্রধান আমাদের কোনও কথা শোনেন না। নিজের খুশি মতো যা মনে হয় তাই করে যান তিনি।” অন্যদিকে, তৃণমূল কর্মী সন্দীপ মালাকার আবার একটি ছবি দেখিয়ে বলেন,”স্বামীর সঙ্গে বাড়িতে রাগ অভিমান হলে সেটা পঞ্চায়েত এসে মেটান। কখনও দই খাইয়ে, কখনও আইসক্রিম খাইয়ে রাগ ভাঙান। পঞ্চায়েত অফিসটা কাজের জায়গা। আর প্রধান রোমান্সের জায়গা বানিয়ে ফেলেছেন।” বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা বলেন, প্রধানের এই সব কার্যকলাপের জন্যই প্রধানের নিজের বুথে দল হেরেছে। এমনকী তিনি বিজেপি ঘেঁষা হয়ে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পদত্যাগেরও দাবি করছেন দলের কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের পর বর্ধমান! রেললাইনের ধারে বিজেপি নেতার দেহ, শোরগোল

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েত (Hooghly) প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূর বলেন, “কোনও সমস্যা তৈরি হলেই আমি সমাধান করার চেষ্টা করি। আমি কাজ করি না বলে যে অভিযোগ আসছে তা মিথ্যা। পঞ্চায়েত সদস্যরাই পঞ্চায়েতে আসেন না।সবই চক্রান্ত। আমাকে সরাতেই এ সব করা হচ্ছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়ক তাপস ‘ঘনিষ্ঠ’ ইতিকে ফের তলব সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়ক তাপস ‘ঘনিষ্ঠ’ ইতিকে ফের তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে ফের সিবিআই-এর তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকার।  নদিয়া জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইতিকে তলব করেছে সিবিআই।  নদিয়া জেলার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ ইতি আগেও গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    কেন তলব ইতিকে

    বৃহস্পতিবার তাপস ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ইতিকে সমন পাঠিয়েছে সিবিআই। কেন তাঁকে তলব করা হল তা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অর্থের বিনিময়ে চাকরির দেওয়ার মামলাতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে ইতিকে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা মূলত চাকরি সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও তাপস সাহার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি জানতে চান। ইতি দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন সরকারি স্কুলে স্কুলের পোশাক সরবরাহের ব্যবসায় যুক্ত। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও করে থাকেন। তাঁকে জেরা করে সিবিআই (CBI) কোনও নতুন তথ্যের সন্ধান করতে চাইছে বলেই অনুমান।

    আরও পড়ুন: নিজস্ব পেমেন্ট অ্যাপ চালু করল ফ্লিপকার্ট! জানেন কীভাবে ব্যবহার করবেন?

    তাপসকে জেরা

    গত শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তাপসকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। সেই দিন তাপসের কণ্ঠস্বরের নমুনাও সংগ্রহ করে সিবিআই। তার সাত দিনের মধ্যেই তাপস-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেত্রীকে তলব করায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথমবার তাপস সাহাকে সঙ্গে নিয়েই ইতি সরকারের বাপের বাড়ি বেতাইয়েরই কাছের বিআর আম্বেদকর কলেজে তল্লাশি চালিয়েছিল গোয়েন্দারা। তল্লাশি চলেছিল তাপসের বাড়িতেও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বেশ কয়েকজন ‘বড় নাম’-কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করতে পারে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share