Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jalpaiguri: পার্টি অফিসে মদের আসর! তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালেন মহিলারা

    Jalpaiguri: পার্টি অফিসে মদের আসর! তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পার্টি অফিসে মদের আসর বসত। এনিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিল। মদের আসর বসার প্রতিবাদে এবার সেই পার্টি অফিসে তালা ভেঙে ঢুকে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয় মহিলারা। চা়ঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠি কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)

    সম্প্রতি তৃণমূলের ওই পার্টি অফিস (Jalpaiguri) থেকে কেউ বা কারা স্থানীয় এক যুবককে মদ আনতে বলেন। পাটি অফিসে মদের আসর বসেছিল। ওই যুবক বাইক নিয়ে মদ আনতে যান। এরপর পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে, এলাকাবাসীর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসের ওপর। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর বেশ কিছু এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সোমবার রাতে তৃণমূল কার্যালয়ে যায়। পার্টি অফিস তালা মারা থাকায় ইট দিয়ে তালা ভেঙে দেয়। এরপর ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর চালায় পার্টি অফিসে। খবর পেয়ে এলাকায় আসে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কথা বলেন স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পার্টি অফিসে মদের আসর বসে। নেতাদের কোনও নজরদারি নেই। এতে এলাকায় খুব খারাপ বার্তা যাচ্ছে। তাই, পার্টি অফিসে এলাকার মানুষ চড়াও হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরুপ মণ্ডল বলেন, “সোমবার রাতে কিছু দুষ্কৃতী আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এরা কারা তাঁদের আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালানো হয়েছে। মদের আসর বসার অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা দলগতভাবে বিষয়টি দেখছি। পরে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mountaineer: হিমাচলের শৃঙ্গে বরফে ‘দানবাকৃতি’ পায়ের ছাপ! পর্বত আরোহীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

    Mountaineer: হিমাচলের শৃঙ্গে বরফে ‘দানবাকৃতি’ পায়ের ছাপ! পর্বত আরোহীদের অদ্ভুত অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গল্পের বইতে ইয়েতি-র কথা অনেকেই শুনেছেন। দানবাকৃতি, অনেকটা গেরিলার মতো দেখতে। তুষারমানব নামেও পরিচিত। তবে বাস্তবে তার অস্তিত্ব রয়েছে কিনা এই নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে কয়েক জন বাঙালি হিমাচলে পর্বতে আরোহণ (Mountaineer) করতে গিয়ে এই দানবের পায়ের ছাপ দেখে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। রীতিমতো দানবাকৃতি পায়ের ছাপ দেখেছেন তাঁরা।

    পর্বত আরোহীর বক্তব্য

    পর্বত আরোহীদের (Mountaineer) সদস্য দেবাশিষ বিশ্বাস বলেছেন, “দেওটিব্বা অভিযানে ক্যাম্প ওয়ান থেকে ক্যাম্প টু-তে যাওয়ার সময় আমরা বরফের উপর অদ্ভুত পায়ের ছাপ দেখতে পাই। তবে অভিযাত্রীদের মধ্যে কেউ বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কিসের এই পায়ের ছাপ। তবে পায়ের ছাপগুলি বেশ লম্বা। প্রায় সাড়ে ছয় ইঞ্চি চওড়া, বরফের উপর দিয়ে ক্রমেই এগিয়ে গিয়েছে উপরের দিকে। আমি ছাপগুলিকে ক্যামেরায় বন্দি করেছি। শেরপাকে প্রশ্ন করতে তারা জানায় এই ছাপ ভালুকের। কিন্তু তাদের মুখের কথা এবং হাবেভাবে বোঝা গিয়েছে, দৃঢ় বিশ্বাস ছাপ নিছক ভালুকের নয়। এটি ইয়েতির পায়ের ছাপ! ওত উপরে গাছপালা নেই, ফলের খোঁজও নেই। ভালুক কীভাবে থাকবে? তাছাড়া পায়ের ছাপের সঙ্গে ভালুকের পায়ের ছাপের তেমন মিল নেই। তবে দেওটিব্বা এবং ইন্দ্রাসন আরোহন সেরে ফেরার সময় এই ছাপ তুষারপাতের কারণে আর দেখা যায়নি।”

    আরও পড়ুনঃ খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    ১২ জনের দল ছিল (Mountaineer)

    হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট মাউন্টেনার্স এন্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘হিমালয়ান অ্যাসোসিয়েশন’-এর যৌথ উদ্যোগে হিমাচলপ্রদেশের ইন্দ্রাসন শৃঙ্গ (৬২২১ মিটার) ও পড়শি দেওটিব্বা (৬০০১ মিটার) শৃঙ্গে অভিযান চালাতে গিয়েছিল দু’টি অভিযাত্রী দল। তাঁদের বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এভারেস্টজয়ী (Mountaineer) মলয় মুখোপাধ্যায় এবং দেবাশিষ বিশ্বাস। হিমাচলের পীরপঞ্চাল হিমালয়ের সবচেয়ে কঠিন শৃঙ্গ ইন্দ্রাসন বরাবর পর্বতারোহীদের পছন্দের জায়গা। পথ অত্যন্ত বিপজ্জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই বাধাকে অতিক্রম করে হাওড়ার ১২ জনের দলকে নিয়ে হিমাচলে গিয়েছিলেন মলয়। গত ১৫ জুন সকালে মলইয়-সহ দলের ৯জন সদস্য ডেওটিব্বার শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    Britannia Factory Closed: তৃণমূলের ‘তোলাবাজি’-তেই বন্ধ হল তারাতলার ব্রিটানিয়া! অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার স্বাদে ও আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ব্রিটানিয়া বিস্কুট। আর সেই আবেগে আঘাত পড়ল সোমবার। তারাতলায় প্রোডাকশন বন্ধ হয়ে গেল ব্রিটানিয়া কোম্পানির (Britannia Factory Closed)। সূত্রের খবর, কোম্পানিতে স্থায়ী কর্মী ছিলেন ১২২ জন এবং অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২৫০ জন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পরে এই নিয়ে মোট ১৫টি কারখানা বন্ধ হল তারাতলা শিল্পাঞ্চলে। 

    বিজেপির অভিযোগ (BJP blames on TMC) 

    কারখানা বন্ধের এই ঘটনায় তৃণমূলের তোলাবাজিকেই সরাসরি দায়ী করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মলব্য তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “আজকের ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানার বন্ধ (Britannia Factory Closed) হয়ে যাওয়া বাংলার একসময়ের গভীর বিশৃঙ্খলার প্রতিফলন।” একইসঙ্গে কারখানা বন্ধের জন্য বাম শাসন আমলে সিপিআই(এম) এর ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং টিএমসির ‘তোলাবাজি’ (চাঁদাবাজি) এর সম্মিলিত প্রভাবকে দায়ী করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত, বাংলার ভাগ্য এখন ‘ইউনিয়নবাজি’ এবং ‘তোলাবাজি’র জোড়া অভিশাপে আটকে পড়েছে। এখন একটাই প্রশ্ন, এই অভিশাপ থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলা?” 

    অন্যদিকে অমিত মালব্যর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP blames on TMC) বলছেন, ”এমন একটি দল, যারা সারাক্ষণ তোলাবাজি করে, তাদের উপস্থিতিতে সেখানে শিল্প আসবে না।  মুখ্যমন্ত্রীরও শিল্প-বিরোধী ভাবমূর্তি রয়েছে।”
    যদিও বিজেপির এই আক্রমণের পাল্টা আঘাত হেনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলছেন, ”সংশ্লিষ্ট সংস্থার ম্যানেজমেন্টের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। যারা এটিকে রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির সঙ্গে মেশাচ্ছেন, তাঁরা ভুল করছেন।” 

    আরও পড়ুন: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    কর্মীদের অভিযোগ 

    অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, ২০০৪ সাল থেকে যে আড়াইশো জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করছিলেন তাঁদেরকে কোম্পানি কোনও টাকাপয়সা না দিয়ে এই কোম্পানি বন্ধ (Britannia Factory Closed) করে দিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, স্থায়ী কর্মী যাঁরা ১০ বছরের উপরে চাকরি করছেন, তাঁদের এক এক জনকে ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। ছয় থেকে দশ বছরের নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। এর নিচে যাঁরা চাকরি করেছেন তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের কোনও টাকা পয়সা এখনও পর্যন্ত দেয়নি কোম্পানি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু কী কারণে কলকাতার (Kolkata) একমাত্র ব্রিটানিয়া কারখানা বন্ধ হয়ে গেল? ব্যবসায় মন্দা? নাকি শ্রমিক সমস্যা? এনিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে ব্যবসায়িক দিক থেকে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই মত শ্রমিকদের একাংশের। এখনও বঙ্গে ব্রিটানিয়ার খাদ্যসামগ্রী বিক্রিতে অন্য যে কোনও সংস্থার চেয়ে যথেষ্ট এগিয়ে। তবে কেন বন্ধ হল কারখানা (Britannia Factory Closed) সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল! গেটে তালা ঝুলিয়ে সরব বিজেপি কর্মীরা

    Balurghat: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল! গেটে তালা ঝুলিয়ে সরব বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল। এমন অভিযোগে বালুরঘাট (Balurghat) খিদিরপুর শ্মশানে বৈদ্যুতিক  চুল্লির গেটের সামনে প্রতীকী তালা মেরে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। মূলত, তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দেন। জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মেরামতি করার পরও ফের অকেজো হয়ে গিয়েছে শ্মশানের চুল্লি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে প্রায় ১ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি তৈরি করা হয়। অভিযোগ, চুল্লি তৈরি করার পর থেকেই দুটি চুল্লি বিকল হয়ে যায়। পুরসভা থেকে একটি চুল্লি সংস্কার করলেও তা বিকল হয়ে যায়। গত ৯ মাস ধরে বৈদ্যুতিক চুল্লিটি বিকল হয়ে পড়েছিল। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা থেকে খিদিরপুর শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি গঠনগত ত্রুটি সারিয়ে তোলার জন্য ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু হয়েছিল।পরে, চুল্লিটি চালু হওয়ার পর ফের বিকল হয়ে পড়ে। চলতি  মাসের ১২ তারিখ ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নতুন করে সারিয়ে তোলা হয় চুল্লিটি। এরপর শহর জুড়ে পুরসভার পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার করা হয়, চুল্লি মেরামতি করা হয়েছে। ১২ দিনের মধ্যে মেশিন ফের বিকল হয়ে পড়েছে। সোমবার বিকেলে দাহ করতে না পেরে বালুরঘাট খিদিরপুর শ্মশানে প্রবল বিক্ষোভ দেখান শ্মশান যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    মঙ্গলবার বালুরঘাট (Balurghat) খিদিরপুর বৈদ্যুতিক চুল্লির গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) কর্মীরা। বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ  দত্ত বলেন, বালুরঘাট পুরসভা শ্মশানেও কাটমানি খেয়েছে। ৩৬ লক্ষ টাকা খরচ করে বালুরঘাট পুরসভা ১২ দিনের জন্য চুল্লি ঠিক করেছে। পুরসভা এর মধ্যেও কাটমানি খেয়ে রেখেছে, যারজন্য চুল্লি ঠিক করার ১২ দিনের মধ্যে বিকল হয়ে পড়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে যাব। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার এমসিআইসি বিপুল ক্রান্তি ঘোষ বলেন, বিজেপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। আজকে গেটে তালা মেরে বিজেপি খুব নোংরা কাজ করেছে। চুল্লিতে ইলেকট্রিক আপ-ডাউন করার জন্য চুল্লির কয়েকটি কোয়েল পুড়ে যায়, যারজন্য চুল্লি বন্ধ রাখা হয়েছে। চুল্লিটির সংস্কারের কাজ চলছে। আগামী দুদিনের মধ্যে চুল্লিটি ঠিক হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur Railway Division: খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    Kharagpur Railway Division: খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণপূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের (Kharagpur Railway Division) অন্দুল স্টেশনে টানা ১০ দিন ধরে চলবে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ। এই কাজের জন্য শনিবার থেকে মেদিনীপুর-হাওড়া-মেদিনীপুর সহ মোট ২৩৭টি লোকাল ট্রেন এবং ৩২ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন সহ মোট ৩০৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে স্টেশনে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার না হন তা নিয়ে আগেই এই ঘোষণা রেলের।

    কী জানানো হয়েছে রেল সূত্রে (Kharagpur Railway Division)?

    গতকাল সোমবার রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, দিন কয়েক আগেই অবশ্য রেলের তরফ থেকে ঘোষণা করে বলা হয়েছিল যে আন্দুল স্টেশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ২২ জুন থেকে কোনও ট্রেন বাতিল (Kharagpur Railway Division) করা হচ্ছে না। যদি পরবর্তী সময়ে ট্রেন বাতিল করা হয় তাহলে দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে। অবশেষে সোমবার তা জানানো হল। মোট ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করা ছাড়াও যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে একাধিক ট্রেনের। সেই সঙ্গে কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে। একই ভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনকে। এই প্রি নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে ২৯ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত। ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে ৭ এবং ৮ জুলাই। আর তাই ২৯ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ২৩৭টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৩২ জোড়া যে ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, তাম্রলিপ্ত, ইস্পাত, জনশতাব্দী, ইন্টারসিটি, ধৌলি, আরণ্যক, কাণ্ডারী, সামলেশ্বরী, আজাদ হিন্দ, শতাব্দী-র মতো একাধিক ট্রেন।

    আরও পড়ুনঃ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    ১১ জোড়া ট্রেনের যাত্রা পরিবর্তন

    রেলের (Kharagpur Railway Division) তরফে আরও জানা গিয়েছে, এই ১০ দিনে মোট ১১ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের পরিবর্তন করা হয়েছে। সময় পরিবর্তন করা হয়েছে ১১১ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের এবং যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ৩ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের। ৬ জুলাই, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস ৯০ মিনিট এবং পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। ফলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তাই নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    Terrorist Arrest: শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে নিয়োগ করার ছক ছিল হাবিবুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করা কাজ ছিল কাঁকসার ধৃত জঙ্গি মহম্মদ হাবিবুল্লার। একজন উগ্রবাদ লেখকের বই তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মূলত, বিভিন্ন মাদ্রাসায় গিয়ে অনেক ছাত্রকে মগজধোলাই সে করেছে বলে গোয়ান্দারা জানতে পেরেছেন। বাংলা জুড়ে জালবিস্তার করাই কাজ ছিল হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest)।

    খোঁজ মিলেছে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়র (Terrorist Arrest)

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, বিআইপি, টেলিগ্রাম ব্যবহার করেই হাবিবুল্লা এই মডিউল চালাত। সে অনেক সময় বক্তব্য রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তা বিভিন্ন গ্রুপে পাঠিয়ে দিত। একাধিক গ্রুপের সঙ্গে তার যোগ মিলেছে। মগজধোলাই করার সময় মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি সে তার আত্মীয়কে মগজধোলাই করতে ছাড়েনি। তদন্তে নেমে হাবিবুল্লার এক আত্মীয়ের যোগসূত্র জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার (Terrorist Arrest) থেকে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ও দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, তার থেকে তেমন তথ্য মেলেনি। প্রাথমিকভাবে জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হাবিবুল্লা বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সে দেশে ওই সংগঠনের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পরেই সে নিজের ল্যাপটপ, মেমোরি কার্ড, মোবাইল ফোনের সব তথ্য মুছে দেয়। ওই তথ্য উদ্ধারে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    যুবক-যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগের ছক

    প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জেনেছেন, আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ করতেই ‘শাহদাত’ মডিউল খুলেছিল আনসার। এই মডিউলের সূত্রে আনসারের সঙ্গে আর এক বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর যোগ হয়। অনেক জেএমবি সদস্য ‘শাহদাত’ মডিউলে যোগ দেয়। এ রাজ্যে ওই মডিউলের মূল চাঁই ছিল হাবিবুল্লা (Terrorist Arrest)। এই মডিউলে মূলত অনলাইনে সদস্য সংগ্রহ করা হত। পুলিশের খবর, ভারত এবং বাংলাদেশে ‘জিহাদের’ মাধ্যমে ইসলামি ধর্মীয় রাষ্ট্রের পত্তন করাই মূল লক্ষ্য ছিল বলে জেরায় হাবিবুল্লা দাবি করেছে। তাই সমমনোভাবাপন্ন যুবক- যুবতীদের মগজধোলাই করে সংগঠনে নিয়োগ করার ছক কষা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। যদিও পাচার রুখতে প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। আর সীমান্তে এই পাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। দুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের কাহারপাড়া সীমান্তে পাচারে বাধা দেওয়ায় বিএসএফ জওয়ানদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গরু পাচারকারীরা। সীমান্তে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান জওয়ানরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বিএসএফের তৎপরতার কারণে পাচারকারীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। হামলার জেরে কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাহারপাড়া সীমান্তে বেশিরভাগ অংশেই কোন কাঁটাতার নেই। বিশাল উঁচু পাট ক্ষেত। যার সুযোগ নেয় গরু পাচারকারীরা। বিএসএফ (BSF) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের দিক থেকে একদল গরু পাচারকারী সীমান্তেই অপেক্ষা করছিল। ভারতের দিক থেকে পাচারকারীরা মাথায় বাক্স নিয়ে সীমান্ত পার করতে যায়। পাচারকারীদের দূরেই বেশ কয়েকটি গরু রাখা ছিল।  সেই সময় জওয়ানরা তাদের দাঁড়াতে বললে উল্টে পাচারকারীরা গালিগালাজ শুরু করে। এরপর জওয়ানরা এগিয়ে গেলে তাঁদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। মূলত, পাচারকারীরা হামলা করার পরিকল্পনা করেই এসেছিল। বেশ কয়েকজন জওয়ানকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। হামলার খবর পেয়ে অন্যান্য বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে হাজির হন। তাঁরা হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালান। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বিথারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করছিল পাচারকারীরা। বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে, কাহাড়পাড়া সীমান্তে বিএসএফ এবং পাচারকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় জওয়ানরা পরপর গুলি চালান। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। গুলির আওয়াজ পেয়েই বাংলাদেশি পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালায়। তবে, ধারাল অস্ত্রগুলি সীমান্তে ফেলেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পাচারকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপি করার ‘অপরাধে’ চালকলের স্থায়ী কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কাজ হারানো বিজেপি কর্মীরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে নালিশও জানিয়েছেন। তৃণমূল কীভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সেই বিষয়ও বিজেপি কর্মীরা তুলে ধরেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বর্ধমানে দলীয় কার্যালয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ঘরছাড়া’দের সঙ্গে কথা বলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে ও সংলগ্ন এলাকাতেই বিজেপির দলীয় কর্মীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়ে ‘ঘরছাড়া’ তাঁদের অনেকেই। তাঁদের সকলের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পরে, শুভেন্দু বলেন, “রায়না, জামালপুর, ভাতারের কিছু এলাকায় অভিযোগ শুনলাম। বর্ধমানের মতো ঐতিহ্যশালী শহরেও তৃণমূল অমানবিক। চালকলের যে সব কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে, বিজেপি করার অপরাধে তাঁদের কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে জেলা চালকল সমিতিকে বিষয়টি জানিয়ে সুরাহার জন্য বলব। তাতে কাজ না হলে আইনের পথে আমাদের যেতেই হবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) অভিজিৎ তায়ের দাবি, “অন্তত ৮-১০ জন এমন অমানবিক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি।” বর্ধমান রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “এই ধরনের অভিযোগের কথা শুনিনি, জানাও নেই। আমাদের এ নিয়ে কোনও চিঠি দিলে নিশ্চিত ভাবে খোঁজ নেব।”

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, “বিজেপিই (BJP) ঘরছাড়াদের আটকে রাখছে। ঘরছাড়াদের নিয়ে দিলীপ আর শুভেন্দুর মধ্যে রাজনীতি হচ্ছে। আমরা তো বলেই দিয়েছি, একদম নির্দিষ্ট করে নাম-ঠিকানা দিয়ে আমাদের জানালে সবাইকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে দেব। বিজেপি করে বলে কারও কাজ গিয়েছে, সেটাও ঠিক নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই প্রধান, উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। সোমবার অফিস খোলার প্রথম দিনে এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ২৩ টি। অধিকাংশ সদস্যই তৃণমূলের। তারমধ্যে ১০ জন তৃণমূলের সদস্য পঞ্চায়েতের দুর্নীতির (TMC Conflict) বিরুদ্ধে এদিন বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।  বিক্ষোভকারী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, আমাদের সমর্থনে প্রধান, উপ প্রধান হয়েছে। আর এখন পরিষেবা বলে কিছু নেই। এলাকায় পানীয় জল নেই। বার বার বলার পরও পঞ্চায়েত থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে অপমানিত হতে হচ্ছে আমাদের। প্রধানকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জল সরবরাহের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু, কে টেন্ডার পেয়েছে, কীভাবে পেল, প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তা আমাদের জানানো হয়নি। প্রধান অপর্ণা বাদ্যকর বেলা দুটোর পর পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। ফলে, সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যান। মিটিংয়ে আমাদের মতো পঞ্চায়েত সদস্যকে ডাকা হয় না। প্রধান, উপ-প্রধান নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পঞ্চায়েতের অনেক কিছুই আমাদের এড়িয়ে করা হয়। তাই, আমরা বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।  

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গণেশ বাদ্যকর বলেন, তৃণমূল (Trinamool Congress) শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। সেই দলের পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে এই ধরনের জঙ্গি আন্দোলন করা ঠিক না। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। কোনও সমস্যা হলে আমাদের কাছে এসে বলতে পারত। আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে, সব ভিত্তিহীন। আসলে এসব করে ওরা দলকে হেয় করছে। আমরা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এই ধরনের আন্দোলন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়। তাছাড়া কাজের কাজ কিছু হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল দলেরই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে। পরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সেই সভা থেকে তৃণমূল প্রধানের স্বামী, দলের এই কর্মীকে সমাজচ্যুত করার নিদান দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওঁই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। অভিযোগের কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ইতিমধ্যে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। দলের নেতাদের দ্বারা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছেন যে তৃণমূল কর্মী, তাঁর নাম হাবিবুল রহমান। ঘটনা ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি (Malda) এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিলে (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুলের চাচাতো ভাই কাসিম শেখের পরিবারের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে বিবাদ হয়। প্রথমে সালিশি সভায় হাবিবুলের কাছে ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। একই ভাবে বাড়ির কিছু অংশ জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাবিবুল নিজের জমি ছাড়েননি। কিন্তু ইতিমধ্যে আবার সালিশি হলে তাঁকে আবার দেড়লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল প্রধানের স্বামী সানাউল আবারও সালিশি ডাকলে হাবিবুল জাননি। এরপর সনাউল এবং গ্রামের মোড়ল ভাদু শেখকে ডেকে হাবিবুলকে সামজিক বয়কট করেন। নিদান দেওয়া হয়, গ্রামে তাঁদের একঘরে করা হয়েছে, কোনও দোকান জিনিস দেবে না। অসুস্থ হলে মিলবে না ওষুধও। বন্ধ মসজিদে যাওয়া, এমনকী পরিবারের একজন মারা গেলে কেউ মাটি পর্যন্ত দিতে আসেনি। অবশেষে হাবিবুল থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। কিন্তু হাবিবুল বর্তমানে ঘরছাড়া।

    হাবিবুলের বক্তব্য

    আক্রান্ত হাবিবুল বলেছেন, “আমি থানায় (Malda) অভিযোগ জানানোর পর হামলা করেছে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। আমার বাড়িতে হামলা হয়, বাড়ি ভাঙচুর হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালায়। পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে কবরটা দিতেও আসেননি কেউ। আমরা ভয়ে গ্রামছাড়া। এখনও মূল অভিযুক্তরা অধরা। তাই ভয়ে গ্রামে ঢুকতে পারছি না।”

    আরও পড়ুনঃশান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    অভিযুক্ত মোড়লের বক্তব্য

    অভিযুক্ত গ্রামের (Malda) মোড়ল ভাদু শেখ বলেছেন, “ওঁরা সমাজের কোনও কথা শোনেনি। ওঁরা কেবল নিজেদের কথাই বলে। আমাদের কথা শোনেন না। পাঁচ বার সালিশি করেছি। সালিশির নিদান পালন করেননি। আট মাস ধরে এই ঘটনা চলছে এলাকায়। হাবিবুলকে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওঁরা ওদের ভুলটাও স্বীকার করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share