Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎপাটিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই অনুপ্রবেশকারীরাই (Bangladeshi Immigrants) জাল আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মিশে গিয়েছে ভারতের বিরাট জনারণ্যে। তাদের ধরতেই যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন একমাত্র প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নয়, এটি একটি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা একটি ভুয়ো এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।

    মমতার বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি! (Mamata Banerjee)

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মমতা অন্যান্য রাজ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলছেন। তিনি কৌশলে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে অন্য রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের নিশানা করা হচ্ছে। তিনি যে আদতে মিথ্যে একটি খবর বাঙালিদের ‘খাইয়ে’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বুঝে গিয়েছেন বাংলার শিক্ষিত সমাজ। কারণ যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তার নিশানায় বাঙালিরা নন, অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা বিশেষত যারা ভিড় করেছে ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে, অথচ ভারতে বসবাস করার যাদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।

    শাসক দলের মদতেই চলছে অনুপ্রবেশের কারবার!

    বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর একটা বিরাট অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। দালাল ধরে সেই ফোকর গলেই পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা। তার পর এ রাজ্যেরই শাসক দলের কোনও নেতাকে দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে জাল পরিচয়পত্র। এদের অনেকেই জাল পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কিনে ফেলেছে জমি-জিরেতও। যেহেতু শাসক দলের নেতাদের মদতেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কারবার, তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এরাই বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক সেজে শাসক দলকে জিতিয়ে চলেছে। তাই শাসক দলও নিশ্চিন্তে ভাতঘুম দিচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যে ভারতীয়দের পেটের ভাতে ভাগ বসাচ্ছে, তা দেখেও না দেখার ভান করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণেই শুরু হয়েছে ঝাড়াই-বাছাই অভিযান, যে অভিযানে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না এতদিন ধরে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যেসব কার্ড (রেশন, ভোটার, আধার ইত্যাদি) দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিকে। কারণ এসব কাগজপত্র আসলে নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন পরিচয়পত্র হরবখত জোগাড় করা হয় জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশি (Bangladeshi Immigrants) মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা যেসব প্রমাণপত্র দাখিল করছে, তা জাল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    এতেই বেরিয়ে এসেছে ঝুলি থেকে বেড়াল। অনেক নথিপত্রই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা আদতে ভারতীয়ই নন, অনুপ্রবেশকারী। মধ্যপ্রদেশের পলাশের কথাই ধরা যাক। সে নিজেকে পলাশ অধিকারি বলে পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণস্বরূপ দাখিল করেছিল প্যান, আধার মায় ভোটার আইডিও। বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় শেষমেশ সে কবুল করে, সে পলাশ নয়, বাংলাদেশের শেখ মঈনউদ্দিন। খুলনার আহমদপুর এলাকার বাসিন্দা সে। তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী শেখ মঈনুদ্দিন হয়ে উঠল ভারতীয় পলাশ অধিকারী? জানা গিয়েছে, শাসক দলের নেতা ও সরকারি কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে জাল নথি তৈরি করে তাকে একজন প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু কৃষকের সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল (Mamata Banerjee)।

    লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান রয়েছে, যারা তৃণমূল এবং তার আগে বাম সরকারের আমলে নেতা এবং এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মীদের সাহায্যে জাল নথি বানিয়ে নিয়েছিল। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন,  “বাংলাদেশিরা এলোমেলোভাবে ভারতে প্রবেশ করে না। তারা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এলাকায় কিংবা বিএসএফের টহল এড়িয়ে দুই দেশের পাচারকারীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয় (Bangladeshi Immigrants)। ভারতে প্রবেশের পর তাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সেফ হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় জাল নথিপত্র তৈরির কাজ। বছর কয়েক আগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন, সেখানে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছিল কীভাবে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং নাগরিকত্ব জোগাড় করে (Mamata Banerjee)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার আগে কমিউনিস্ট দলগুলি এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে এবং জাল নথি দিয়ে তাদের নাগরিকত্বের ছদ্মাবরণ দিয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে।” তিনি জানান, এই কারণেই ভোটার আইডি, আধার, প্যান কার্ড বা পাসপোর্টের মতো নথিকেও ভারতীয় নাগরিকত্বের নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে ধরা উচিত নয়।

    মমতার মিথ্যে অভিযোগ

    প্রত্যাশিতভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান না এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসুক। কারণ এদের চিহ্নিত করা হলে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়ে যাবে বিশবাঁও জলে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে অযথা গলা ফাটাচ্ছেন তিনি (Bangladeshi Immigrants)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জালিয়াতি কারবারে সাহায্যকারী রাজনীতিবিদ, পুরসভা-কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদেরও চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদেরও চিহ্নিত করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক বিচারের। দিতে হবে কঠোর শাস্তিও (Mamata Banerjee)।

    বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা এমন উপভাষায় কথা বলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের বাংলার থেকে অনেকটাই আলাদা। পার্থক্য রয়েছে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও। ভোটব্যাংকের স্বার্থে এই পার্থক্যকেই ঝাপসা করে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চালানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন মমতা। ভারতীয় বাঙালিরা এই ফারাক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরাই বাংলাদেশি মুসলমানদের শনাক্ত করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে (Bangladeshi Immigrants) কেউ ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড বানিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে (Mamata Banerjee)।”

  • West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    West Bengal Trade: ৬,৬৮৮টি সংস্থার রাজ্যছাড়া! বাণিজ্যে বেহাল বাংলা, রাজ্যে শাসনব্যবস্থার কী বার্তা দেয় এই ট্রেন্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শিল্প ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগামী রাজ্য (West Bengal Trade) ছিল পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু গত এক দশকে রাজ্য থেকে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলির ধারাবাহিক প্রস্থান (Companies exit from Bengal) এখন এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে ৬,৬৮৮টি সংস্থা তাদের রেজিস্টার্ড অফিস পশ্চিমবঙ্গ থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে। চুপচাপ বড় বড় সংস্থা নিজেদের অফিস সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় কোনও প্রতিবাদও হয়নি তৃণমূল-শাসিত বাংলায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি নিজেদের অফিস সরে নিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। উদ্যোগপতিদের কথায়, ওই রাজ্যগুলিতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং নীতির স্থিতিশীলতা স্পষ্ট।

    ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো

    রাজ্যে (West Bengal Trade) পালা বদলের পর ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রহ সরকারের ক্ষমতায় আসার সময় থেকে শুরু হয় শিল্পপতির ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি। কিন্তু ২০১৫–১৬ থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত সময়টা হল সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিন বছরে ২,৮১৪টি কোম্পানি রাজ্য ছেড়েছে। যা রাজ্য ত্যাগের মোট সংস্থার প্রায় ৪২ শতাংশ। ২০১৭–১৮ সালে সর্বাধিক ১,০২৭টি কোম্পানি রাজ্যছাড়া হয়, যা ছিল ইঙ্গিতবহ। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক দিক হল, ১০০-রও বেশি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি, যারা স্টক এক্সচেঞ্জে লিস্টেড, তারাও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে। এরা কেবলমাত্র আর্থিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বহু মানুষের চাকরি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গে জড়িত। এই সরে যাওয়া দেশের বিনিয়োগ-বাজারে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

    বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই ‘প্রেফার্ড ডেস্টিনেশন’

    পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যে সব সংস্থা (Companies exit from Bengal) চলে গিয়েছে, দেখা যায় তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিই। মহারাষ্ট্র (১,৩০৮টি), দিল্লি (১,২৯৭টি) ও উত্তরপ্রদেশে(৮৭৯টি) সরে যায় সংস্থাগুলি। মোট ৩,৪৮৪টি কোম্পানি, প্রায় ৫২ শতাংশ, এই তিন রাজ্যেই সরে গিয়েছে। ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, অসমের মতো রাজ্যগুলিও তালিকায় রয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে শিল্পনীতির মধ্যে স্পষ্টতা, স্থায়িত্ব এবং বাস্তবায়নের ইচ্ছা রয়েছে। বিপরীতে, কংগ্রেস বা তৃণমূল-শাসিত রাজ্যগুলি বিনিয়োগের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ, বলেই মনে করছেন উদ্যোগপতিরা।

    প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতা

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি আসে। কিন্তু রিপোর্ট বলছে, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ ₹৩৯,১৩৩ কোটির বিনিয়োগে চতুর্থ স্থানে ছিল (IEM Part A), সেখানে বাস্তবায়িত বিনিয়োগে (IEM Part B) মাত্র ₹৩,৭৩৫ কোটি টাকা রাজ্যে এসেছে। এক বছরে আরও কমেছে—২০২৩ সালে যা ছিল ₹৪,৯৩০ কোটি। এই ব্যাপক ফারাক বিনিয়োগকারীদের (Companies exit from Bengal) আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রতিফলন। কথা আর কাজে বিরাট ব্যবধান শিল্পপতিদের দ্বিধাগ্রস্ত করছে।

    শিল্পোন্নয়ন-পরিকাঠামোয় পিছিয়ে পড়া রাজ্য

    পশ্চিমবঙ্গ এখনও ইন্ডিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ড ব্যাঙ্কের (India Industrial Land Bank) অংশ নয়, যেখানে দেশের ২,৮৮৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের তথ্য রয়েছে। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক অনীহা ও স্বচ্ছতার অভাবকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। এমনকি এফডিআই (বিদেশি বিনিয়োগ) ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য হয়েও ১১তম স্থানে রয়েছে, যা এক অদ্ভুত বৈপরীত্য তুলে ধরে।

    নীতির অস্পষ্টতা মূল সমস্যা

    শিল্পোন্নয়ন ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল সিঙ্গুর আন্দোলনের উত্তরাধিকার। টাটার ন্যানো কারখানা আটকে যাওয়ার পরে, তৃণমূল সরকার ‘হ্যান্ডস-অফ’ ভূমি নীতি গ্রহণ করে। ফলে রাজ্য (West Bengal Trade) শিল্পের জন্য জমি দিতে অস্বীকার করে এবং কোম্পানিগুলিকে হাজার হাজার জমির মালিকের সঙ্গে নিজেরা চুক্তি করতে হয়—যা বড় শিল্পপ্রকল্পের ক্ষেত্রে অসম্ভব হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, ২০২৫ সালের এপ্রিলে, রাজ্য সরকার হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে চালু থাকা আটটি শিল্প ভর্তুকি প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। ডালমিয়া ভারত ও বিরলা কর্পোরেশনের মতো কোম্পানি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪৩০ কোটি টাকার বেশি দাবি আটকে গেছে।

    রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে উন্নয়ন হয় না

    রাজ্যজুড়ে কর্মসংস্থানের (Companies exit from Bengal) ঘাটতি বাড়ছে। দক্ষ পেশাজীবীরা রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি (GSDP)-তে জাতীয় জিডিপি (GDP)-র অংশীদারিত্ব ১৯৬০–৬১ সালের ১০.৫% থেকে কমে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতন কেবলমাত্র পরিসংখ্যান নয়, একটি বড় আঞ্চলিক অসাম্যের চিত্র। ৬,৬৮৮টি কোম্পানির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আজকের বিশ্বে শুধুমাত্র রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দিয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। বিনিয়োগের জন্য চাই স্থিতিশীল নীতি, জমির স্বচ্ছতা, এবং প্রশাসনিক সদিচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal Trade) অবস্থা থেকে বোঝা যায়, শাসনব্যবস্থা উন্নয়নবান্ধব না হলে, শিল্প আসবে না, কর্মসংস্থান হবে না, আর রাজ্য দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রনির্ভর হয়ে পড়বে।

  • Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    Ashwini Vaishnaw: সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধসের আতঙ্ক, তাই কি পার্ক সার্কাস উচ্ছেদ অভিযানে রেলকে অসহযোগিতা রাজ্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে ধস নামলে খোয়াতে হতে পারে গদি। তাই কি কলকাতার পার্ক সার্কাস রেলওয়ে স্টেশন থেকে দখলদারদের হঠাতে (Eviction Drive) একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও, রেলকে সাহায্য করেনি তৃণমূল পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) একটি দাবির পর। ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক খবরে।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ (Ashwini Vaishnaw)

    পার্ক সার্কাস এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। এই এলাকায় রেললাইন দখল করেও দিব্যিই ব্যবসা করে চলেছেন কিছু মানুষ। তার ফলে নিত্য বিস্তর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় রেলযাত্রীদের। সেই কারণেই রেলস্টেশনের ধার থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বারংবার অভিযান চালিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজ্য সরকার তাতে সহযোগিতা না করায় উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়নি বলে জানালেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রেলমন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, পার্ক সার্কাস স্টেশনকে দখলদার মুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা। লিখিত উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, “দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পার্ক সার্কাস রেলস্টেশনে সময়ে সময়ে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু রাজ্য সরকার এই কাজে সাহায্য করেনি। তাই অভিযান সফল হয়নি।”

    কী বললেন রেলমন্ত্রী?

    ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে ভারতীয় রেল সব সময় সাড়া দেয়। স্টেশনগুলিতে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মী থাকেন। সিসিটিভির নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সময়, স্থান ও কী ধরনের হুমকি রয়েছে, তা দেখেশুনে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।” তিনি (Ashwini Vaishnaw) জানান, আরপিএফ মোতায়েনের বিষয়টি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়। সরকারের রেল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হয়। অপরাধ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ করে রেল। স্টেশন চত্বরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী জানান, এটা নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে রেলমন্ত্রক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে পরিষ্কার করা হচ্ছে, বর্জ্য পদার্থ ফেলার আলাদা আলাদা ডাস্টবিন রাখা হয়েছে, জল নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে এবং ঘন ঘন স্টেশন পরিষ্কার (Eviction Drive) রাখার কাজ চলছে। পে অ্যান্ড ইউজ প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচালয়গুলিকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও হচ্ছে (Ashwini Vaishnaw) নিয়মিত।

  • Kolkata Matrimony Fraud: ম্যাট্রিমনি সাইটে বাংলাদেশি ফাঁদ! হোটেলে ডেকে কলকাতার যুবকের সব কিছু লুট তরুণীর

    Kolkata Matrimony Fraud: ম্যাট্রিমনি সাইটে বাংলাদেশি ফাঁদ! হোটেলে ডেকে কলকাতার যুবকের সব কিছু লুট তরুণীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের হেনস্থা নিয়ে তরজার মধ্যেই এবার ম্য়াট্রিমনি সাইটে (Kolkata Matrimony Fraud) ফাঁদ পেতে ঠকানোর অভিযোগ উঠল এক তরুণীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর কাজ-কারবার বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে হাত মিলিয়েই। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ম্যাট্রিমনি সাইটে নিজের ছবি আপলোড করেন এক যুবক। আলাপ হয় এক তরুণীর সঙ্গে। কথাবার্তা বলার পর মুখোমুখি দেখা করার পালা। এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেট এলাকার একটি হোটেলে দেখা করার পরিকল্পনা করেন দু’জনে। ওই হোটেলে গিয়ে বিপত্তি। সর্বস্ব খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ যুবক। প্রতারণার অভিযোগে ওই তরুণী এবং তার সঙ্গী বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ।

    ফাঁদ পেতে গ্রেফতার তরুণী

    গত ২৭ জুলাই দায়ের হওয়া এক জালিয়াতির মামলার সূত্র ধরে ফের এপারে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের সন্ধান পেল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, ম্যাট্রিমনি সাইট-সূত্রে আলাপ হওয়া ওই তরুণী কফিতে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দেন ওই যুবককে। তারপর, তন্দ্রাচ্ছন্ন করে যুবকের সর্বস্ব লুট করে চম্পট দেয়। কয়েক ঘণ্টা পর ঘুম ভাঙে যুবকের। দেখেন তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা, ব্যাগ কিছুই নেই। তরুণীও উধাও। এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষের সাহায্যে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুবক। তদন্তে নেমে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। যুবকের থেকে ফোন নম্বর নিয়ে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। নিজেদের পাত্র হিসাবে পরিচয় দেন তাঁরা। এরপর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তরুণীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৭ জুলাই রাতেই এয়ারপোর্ট লাগোয়া হোটেল থেকে অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়।

    চুরির মাল চলে যেত বাংলাদেশে

    পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত তরুণী জেরায় জানান, তিনি এক যুবকের কাছে চুরির মালপত্তর বিক্রি করেন। এরপর দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে তরুণীর চুরির পার্টনার ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, চোরাই মালের রিসিভার ওই যুবক আদতে বাংলাদেশি। তার কাছ থেকে বাংলাদেশের (Bangladeshi Matrimony Fraud) পাসপোর্ট, ভিসা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তরুণীর দাবি, লুটের জিনিসপত্র তরুণী ওই বাংলাদেশি যুবকের হাতে তুলে দিত। তারপর যুবক সেগুলি নিয়ে বাংলাদেশি চলে যেত। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কারও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের জড়িত থাকার সম্ভাবনা দেখছেন তদন্তকারীরা।

  • Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অগাস্টেই শুরু এসআইআর? তৃণমূলের ভোট কমবে ১ কোটি! বড় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সমীক্ষা (SIR) শুরু হতে যাচ্ছে—এই নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। চলতি অগাস্ট মাসেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কারণ এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লি নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘এসআইআর (Special Intensive Revision) হলে প্রায় ৯০ লাখ নাম বাদ পড়বে।’’ তাঁর মতে, ‘‘কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিহারে যদি ৩০ লাখ নাম বাদ যেতে পারে, তবে বাংলায় অন্তত ৯০ লাখ নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘নিবিড় সমীক্ষা শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের সংখ্যা ২ কোটি ৭৫ লাখ থেকে কমে ১ কোটি ৭৫ লাখে নেমে আসবে।’’

    কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না

    বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, বিএলও-দের ধমক দিয়েছিলেন (SIR)। আপনারা জেনে রাখুন এক্সটেনশনে থাকা স্তাবক মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ১৩ সিসি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই ৫ জুলাইয়ের পরে নিয়োগ করা একটাও বিএলও যুক্তিসঙ্গত কারণ ও সিইও অনুমোদন ছাড়া আপনি আইনগতভাবে পরিবর্তন করতে পারেন না। আমার বিশ্বাস সে বার্তা তিনি পেয়ে গিয়েছেন। কোনও বিএলও মনোজ পন্থ চেঞ্জ করতে পারবেন না।”

    তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক

    প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই এসআইআরের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যে নির্বাচনের দিন যেভাবে সন্ত্রাস ও রিগিং দেখা যায়, তার মূলে রয়েছে তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাঙ্ক। অনেকের মতে, এই অবৈধ ভোটব্যাঙ্কের ওপর ভর করেই তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে আছে। সম্প্রতি বোলপুরে এক প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘যদি কোনও নির্দেশ আসে, তবে তা সরাসরি মুখ্যসচিবকে জানাতে হবে।’’ তিনি বলেন, “কোনও নির্দেশ এলে মুখ্যসচিবকে জানাবেন। আমাদের না জানিয়ে হুটপাট সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। কখনও এই জিনিস হয়নি। ভয় দেখালেই আপনারা ভয় পাবেন! তাহলে ঘরে বসে থাকুন।” এনিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিএলও বন্ধুদের বলব তাঁরা এ রাজ্যের সরকারের কর্মচারী। নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাঁরা কাজ করবেন। ইলেকশন কমিশন বললে আপনারা কাজ শুরু করুন। আপনারা আক্রান্ত হলে সংবিধান আক্রান্ত হবে। আমরা তো আওয়াজ তুলবই। বাকি তো ইলেকশন কমিশনকে বুঝে নিতে হবে।”

    দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন

    এরপরই এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন (Suvendu Adhikari), “এসআইআর নতুন কিছু নয়। ২০০২ সালেও এই রাজ্যে হয়েছিল। ২০০৪ সালে ভোটার লিস্ট বেরিয়েছিল, ২৬ লক্ষ নাম বাদ চলে গিয়েছিল। এবার এসআইআর হওয়ার পর আপনার ভোট ২ কোটি ৭৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৭৫ নেমে যাবে। কিছু করতে পারবেন না। দেখবেন আর জ্বলবেন, লুচির মতো ফুলবেন।”

    বিহারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা

    প্রসঙ্গত, বিহারে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রচুর অবৈধ ভোটারের নাম সেখান থেকে বাদ যায়। মৃত বা নিখোঁজ ভোটারদের খুঁজে খুঁজে বের করে নির্বাচন কমিশন তারপর নতুনভাবে ভোটার লিস্ট তৈরির কাজ শুরু করে। রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে পাঠানো  চিঠিতে কমিশন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—গোটা দেশেই এসআইআর হবে। তাই বিহারের মতো সব রাজ্যেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত করা যায়।

    ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন

    জানা যাচ্ছে, এই চিঠিতে বিএল (BLO) নিয়োগ শুরু করারও কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের সরকারি দফতরের কর্মীদেরই বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি থানায় একজন করে বিএলও নিয়োগ করা হবে। আর প্রতি ১০টি থানা মিলিয়ে একজন করে বিএলও সুপারভাইজার থাকবেন। যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার কথা বলা হয়েছে—বলে সূত্রের খবর।

    ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন

    প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নিবিড় সমীক্ষা হচ্ছে না এ রাজ্যে। ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে হয়েছিল নিবিড় সমীক্ষা। ইতিমধ্যে সেই সময় ভোটার তালিকা প্রকাশের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০৯টি বিধানসভা এলাকার নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, সেখানে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়ে গিয়েছে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা স্বস্তি পেয়েছেন এসআইআর থেকে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া—এই জেলাগুলির নাম তালিকায় রয়েছে।

  • West Bengal Weather Forecast: ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলা, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    West Bengal Weather Forecast: ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া ফলা, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘনিয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি কলকাতায়। তবে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    কী বলছে আলিপুর?

    প্রায় প্রতি দিন কয়েক দফায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা কিংবা শহরতলিতে। রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারছে না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশের মুখ ভার। দফায় দফায় হচ্ছে বৃষ্টি। আলিপুরের পূর্বাভাস, শহরে বৃষ্টি কমবে শুক্রবার থেকে। তবে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক জেলা যেমন— পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। শুক্রবারও দুর্যোগ চলবে। শনি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।

    সপ্তাহান্তেও বৃষ্টি চলবে

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তেও বৃষ্টি চলবে রাজ্যজুড়ে। এমনকি, অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেও বৃষ্টি হবে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, যে ঘূর্ণাবর্তটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের ওপরে ছিল, তা বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং গাঙ্গেয় বঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলের মাঝখানে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখা ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। এই দুইয়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজবে রাজ্যের সাত জেলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কমবেশি ঝড়বৃষ্টি হবে বাকি জেলাগুলিতেও। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। এ বার এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে

    দক্ষিণের পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে। আরও তিনদিন ভারী বৃষ্টি চলবে সেখানে। উত্তরবঙ্গের ওপর মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয়। ফলে আগামী ৫ অগাস্ট অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেই দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলায় এক-দুটি স্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Phantom Voters: ভুতুড়ে ভোটার ধরতে জেলাশাসকদের নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

    Phantom Voters: ভুতুড়ে ভোটার ধরতে জেলাশাসকদের নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুতুড়ে ভোটারদের (Phantom Voters) চিহ্নিত করতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Bengal CEO) মনোজ আগরওয়াল। সোমবার তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের। গত এক বছরে রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। জেলাশাসকরা একই সঙ্গে জেলার নির্বাচনী আধিকারিক (DEO) হিসেবেও কাজ করেন। তাই ১৪ অগাস্টের মধ্যে তাঁদের এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

    নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ (Phantom Voters)

    জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রবীণ আধিকারিকদের নিয়ে দল গঠন করে ফর্ম-৬ (যা ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়) নিষ্পত্তির একটি নমুনা সমীক্ষা পরিচালনা করবেন। এই আধিকারিকরাই খতিয়ে দেখবেন এবং রিপোর্ট করবেন যে নির্বাচনী নথিভুক্তি আধিকারিকেরা (ERO) কীভাবে ফর্ম-৬-এর আবেদনের নিষ্পত্তি করছেন। জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বলেছেন, “অনেক নির্বাচনী কর্মী ১৯৬০ সালের ভোটার নথিভুক্তি আইনের বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করছেন না।” সিইও-র চিঠিটি এমন একটা সময়ে প্রকাশ্যে এল, যখন নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রজুড়ে ১১টি জেলার ভোটারদের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

    সিইওর নজরে ২

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সিইওর নজরে রয়েছেন ময়না ও বারুইপুরের দু’জন ইআরও। কারণ ভোটার তালিকায় অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি (Phantom Voters)। সিইওর (Bengal CEO) চিঠিতে বলা হয়েছে, “ক্রমাগত আপডেটের সময় ইআরওরা যে ফর্ম ৬ জমা দিয়েছেন, তার এক শতাংশেরও কম নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে দু’জন ইআরও ভুতুড়ে ভোটারদের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফর্ম ৬ নিয়েছেন।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “এই সব ক্ষেত্রে কোনও জরুরি প্রয়োজন বা বাস্তব প্রয়োজন ছাড়াই বিএলওদের যাচাই করা তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। একই ধরনের নথি বহু সংখ্যক আবেদনপত্র ও তাদের ভেরিফিকেশন রিপোর্টের জন্য নেওয়া হয়েছে।”

    অনিয়মের কথা কবুল!

    ওই চিঠি থেকেই জানা গিয়েছে, দুই ইআরও স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা অন্যান্য আধিকারিক মায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও ইউজার অ্যাক্সেস দিয়েছিলেন। তাঁরা পরে ফর্ম ৬-এর আবেদনগুলি নিষ্পত্তি করে দেন। সূত্রের খবর, সিইও ওই দুই ইআরও-সহ আরও যে সব আধিকারিক এই ধরনের অনিয়মে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন। নির্বাচন কমিশনের (Bengal CEO) এক আধিকারিক বলেন, “যদি কোনও (Phantom Voters) ইআরও, সহকারী ইআরও বা অন্য কেউ ভোটার তালিকা প্রস্তুতি, সংশোধন বা কোনও অন্তর্ভুক্তি বা বাদ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কর্তব্যে গাফিলতি বা দুর্নীতি করেন, তাহলে তাঁদের ন্যূনতম তিন মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ দু’বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে।”

    নতুন ভোটার নয়, উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বয়স্ক ভোটারদের নাম

    নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত অঞ্চলে ২৫-৪০ বছর বয়সিদের ভোটার তালিকায় নাম লেখানোর হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। অথচ এই হার বেশি থাকার কথা ১৮-২১ বছর বয়সি নতুন ভোটারদেরই। ওই চিঠিতেই বলা হয়েছে, মাত্র এক শতাংশ ফর্ম পরীক্ষা করেই বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়েছে। এ ক্ষেত্রে ইআরওকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। তাঁরা ভুয়ো আবেদনপত্র জমা নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিএলওরা কোনও রকম যাচাই না করেই তার অনুমোদনও দিয়েছেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Phantom Voters)।

    কী বলেছিল কমিশন?

    প্রসঙ্গত, ভোটার (Bengal CEO) তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের বাদ দিতে আগেই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ডেটাবেস এবার যুক্ত করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। ফলে যখনই কারও জন্ম বা মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন করা হবে, তখন কমিশনের সিস্টেমেও সেই তথ্য নথিভুক্ত হয়ে যাবে। ভোটার তালিকায় কখনও কখনও মৃত ব্যক্তির নামও থাকে, বাদ যান যিনি জীবিত, তাঁর নাম। কমিশন সূত্রে খবর, এহেন বিভ্রান্তি এড়াতেই চালু হচ্ছে এই নয়া ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যের ভিত্তিতেই ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারের নাম দ্রুত ও সহজ পদ্ধতিতে বাদ দেওয়া যাবে। এজন্য একটি বিশেষ সফটওয়্যার বা সিস্টেমের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ইআরও এবং বিএলওদের যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এবার থেকে জন্ম বা মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন হলেই সেই তথ্য একেবারেই পৌঁছে যাবে ভোটার তালিকা তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীদের কাছে। কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ডুপ্লিকেট এপিক (EPIC) নম্বর বরাদ্দের সময় কিছু ভুলের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক ব্যক্তিকে একই নম্বর দেওয়া হয়েছে। এবার প্রযুক্তিগত (Bengal CEO) দল ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিটি ভোটারকে একক এপিক নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে (Phantom Voters)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভুয়ো ভোটারদের নাম কাটা পড়বেই’’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভুয়ো ভোটারদের নাম কাটা পড়বেই’’, মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ লেভেল অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বতন্ত্র সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত। ভোটার তালিকা সংশোধন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Suvendu Attacks Mamata) কড়া সমালোচন করলে রাজ্যার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৈধ ভোটারদের নাম যাতে বাদ না যায়, বিএলও-দের বারবার সেই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে প্রায় ৬৪ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার পর বীরভূমের সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা।

    মমতাকে চ্যালেঞ্জ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করার ভঙ্গিতে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে অনেক নাম বাদ পড়বেই। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ‘সতর্কবার্তা’ দিয়েছিলেন বিএলওদের উদ্দেশে। কারও নাম যেন বাদ না পড়ে, রাজ‍্য সরকারের কর্মী হিসাবে তা নিশ্চিত করতে বলেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শুভেন্দু দাবি করলেন, ভোটার তালিকা থেকে ‘অবৈধ’ এবং ‘ভুয়ো’ নাম বাদ যাওয়া কেউ আটকাতে পারবেন না। বিজেপির রাজ‍্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কোনও নাম বাদ যেতে দেবেন না। আমি বলছি, নাম বাদ যাবেই।’’

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দুর কথায়, ‘‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, মৃত ভোটার, একাধিক জায়গার ভোটার তালিকা নাম থাকা ভোটার এবং মুখ্যমন্ত্রী ও আইপ‍্যাকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া ভুয়ো ভোটারদের নাম কিছুতেই তালিকায় থাকবে না। এই সব নাম কাটা পড়বেই।’’ বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলতে তিনি কাদের বোঝাতে চাইছেন, সে ব‍্যাখ‍্যাও বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট ভাবে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টানরা চলে এসেছেন, তাঁরা অনুপ্রবেশকারী নন। তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে বৈধ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।’’ বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তৃণমূলের পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ‍্যাক প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে অনেক ভুয়ো নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে রেখেছে। এই সব ভোটারের কোনও অস্তিত্ব নেই বলে শুভেন্দুর দাবি। ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনেই তৃণমূল প্রকৃত জনমত পেয়ে জেতেনি, এই ভুয়ো ভোটারদের জোরে জিতেছে বলে তিনি দাবি করেন। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১০ বছরে রাজ‍্যের ৮০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছে বলে শুভেন্দু দাবি করেন। এই বৃদ্ধি ‘অস্বাভাবিক’ বলেও তাঁর অভিযোগ। ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’য় এই সব ‘গরমিল’ ধরা পড়ে যাবে বলে বিরোধী দলনেতা মনে করছেন।

    কমিশনের নির্দেশ মানছে না রাজ্য

    শুভেন্দুর অভিযোগ, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুথ লেভেল অফিসারদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হলে ভোট হবে কীভাবে! প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করুক কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকেও সুর চড়ান তিনি। তাঁর দাবি, বিভিন্ন জায়গায় বিডিও, এসডিও-রা তৃণমূল ক্যাডারদের বিএলও করেছেন। এমনকী ২৬ হাজার চাকরিহারাদেরও মধ্যে থেকেও কোথাও কোথাও বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। শুধু বিএলও নয়, ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার) নিয়োগ নিয়েও শুভেন্দুর বড় অভিযোগ। বলেছেন, ‘‘দেশজুড়ে নির্দেশ আছে মহকুমাশাসক ছাড়া কেউ ইআরও হতে পারবেন না। অথচ রাজ্যে এই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে তাঁর নিশানায় রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পস্থ। তিনি নিজে নির্দেশিকা ভেঙেছেন বলে দাবি শুভেন্দুর।

     

  • BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    BJP Attacks Mamata: মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিও ‘‘ভুয়ো’’ বলল দিল্লি পুলিশ, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা’’ আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালিদের ওপর নির্যাতন নিয়ে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁস হয়ে যেতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিল বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, মমতার মিথ্যাচার মানুষ বুঝে গিয়েছে। তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন?

    বাংলা ভাষা ও বাঙালি অস্মিতার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল যে কতটা নোংরা রাজনীতি করে চলেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ সামনে এল। মুখোশ খসে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুয়ো ন্যারেটিভের। আরও একবার প্রকট হল তৃণমূলের উস্কানিমূলক ও মিথ্যাচারে ভরা বিদ্বেষমূলক নীতি। রবিবার, মমতা একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন, আধার যাচাইয়ের নামে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতন করছে দিল্লি পুলিশ। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করছে দিল্লি পুলিশ।

    কী অভিযোগ ছিল?

    মমতার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তাঁর দেড় বছরের শিশু ও স্ত্রীকে কীভাবে মেরেছে দিল্লি পুলিশ, সেই বর্ণনা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আক্রান্ত মহিলা দাবি করেছিলেন, সাধারণ পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর ঘরে এসে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। এর পর তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর দেড় বছরের শিশুসন্তানকে কোল থেকে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। যার জেরে আহত হয় শিশুটি। এর পর ওই মহিলার স্বামী ২৫ হাজার টাকা দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের মুক্ত করেন।

    কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    সোমবার, মমতার তোলা যাবতীয় দাবিকে ‘‘ভুয়ো’’ বলে উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা “ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার”। আরও জানানো হয়, শাজনুর পারভিন নামে মহিলা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবি খারিজ করে দেন পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অভিষেক ধানিয়া। তিনি বলেন, “স্থানীয় গোয়েন্দার মাধ্যমে সেই ভিডিওর ভিত্তিতে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। নানা প্রযুক্তিগত পরীক্ষানিরিক্ষাও করা হয় এবং সেই ভিত্তিতেই একাধিক প্রমাণ জড়ো করে তদন্তকারী দল।”

    ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা…

    দিল্লি পুলিশের ওই আধিকারিকের দাবি, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তিনি নিজের ইচ্ছে মতো তাঁর বাসস্থানের কাছাকাছি বিভিন্ন গলিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন সঙ্গে ২ সন্তান। ফলে, বিবরণের সঙ্গে ছবি না মেলায় সত্যতা জানতে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় ওই মহিলা স্বীকার করেন, মালদার চাঁচলে তাঁর এক আত্মীয় রয়েছেন, যিনি তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথাতেই ওই ভিডিও তৈরি করেছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ওই মহিলা। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর সঙ্গেই অভিষেক ধানিয়া বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।’’

    মমতাকে তুলোধনা বিজেপির

    দিল্লি পুলিশের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ শুরু করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘মিথ্যেবাদী মমতা জেনে গেছে জনতা।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এই পুরো ঘটনাটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনা করে করেছেন। বিষয়টি শুধু বাঙালির জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বিভক্ত করার মরিয়া প্ররোচনা!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কি এতটাই নিচে নেমে গেছেন যে আপনার বাড়ির বাচ্চাদের কোটিপতি করতে হবে বলে আপনি বাচ্চাদের নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন? আপনার লজ্জা করে না? এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রীর গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’

  • Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাম! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে নাম তোলা হচ্ছে—এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭০ হাজারেরও বেশি নতুন ভোটার ফর্ম জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত এই সংখ্যাটি ২০ থেকে ২৫ হাজারের মধ্যে থাকে। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতায় বেআইনিভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন, ২৫ জুলাইয়ের পর জারি হওয়া কোনও ডোমিসাইল সার্টিফিকেট যেন SIR এর সময় বৈধ হিসেবে গৃহীত না হয়।

    অগাস্টেই শুরু SIR

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। অর্থাৎ অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে চালু হবে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, তারা প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছে। অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহেই বাংলায় ৭০ হাজারেরও বেশি নাগরিক অনলাইনে ভোটার কার্ড সংশোধন করার আবেদন করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে, এই আবেদনগুলির অধিকাংশই এসেছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে—যা ইতিমধ্যে কমিশনের নজরে এসেছে।

    নবান্নের নির্দেশে দেওয়া হচ্ছে ডোমিসাইল, তোপ শুভেন্দুর

    সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (নবান্ন) থেকে জেলাশাসক ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে উদারভাবে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই নির্দেশনামূলক জেলার তালিকায় রয়েছে—নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহার।

    অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আবেদন

    শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, গত সপ্তাহে রাজ্যে ভোটার তালিকায় নতুন নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে সাধারণত প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের অপব্যবহার করে অবৈধ বাসিন্দাদের বৈধ ভোটারে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share