Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    CV Ananda Bose: রাজভবনের সুরক্ষায় আর প্রয়োজন নেই কলকাতা পুলিশের! অবিলম্বে খালি করার নির্দেশ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালবাজারের নিরাপত্তায় সুরক্ষিত নন রাজ্যপাল। অবিলম্বে রাজভবন খালি করুন। সোমবার সকালে রাজভবনে মোতায়েন কলকাতা পুলিশের কর্মীদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ইতিমধ্যেই রাজভবন চত্বরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সরানোর নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। এ প্রসঙ্গে রাজভবনের (Raj Bhavan) ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রাজভবনের ভিতরে মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের অবিলম্বে প্রাঙ্গন খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন।  

    কী জানিয়েছেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    চিঠিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁর নির্দেশনা মানছে না। ফলে রাজভবন চত্বরে থাকা কলকাতা পুলিশের নিরাপত্তায় তিনি একেবারেই সুরক্ষিত বোধ করছেন না। তাই অবিলম্বে রাজভবনের (Raj Bhavan) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের সরিয়ে ফেলা হোক। যদিও রাজ্যপালের এই চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য মেলেনি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    আগে কী ঘটেছিল?  

    গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্তদের’ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সে সময় তাঁকে রাজভবনের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি কর্তব্যরত কলকাতা পুলিশ। রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে শুভেন্দু সহ শো দুয়েক লোককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে প্রবেশ করতে না পেরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা। শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যপাল কি গৃহবন্দী নাকি। তাঁর অনুমতি সত্ত্বেও কেন দেখা করার অনুমতি দেওয়া হল না। আর বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই এবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বর থেকে লালবাজারের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নবান্নকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল।

    যদিও রবিবার বিরোধী দলনেতা একশোর বেশি ঘরছাড়াকে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় রাজ্যপাল শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে তিনি হিংসা মুক্ত করবেন। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এসবের মাঝেই এবার বিচারপতির ওই মন্তব্যের পর সোমবার সকালে রাজ্যপাল এই নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchenjunga Express Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির

    Kanchenjunga Express Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchenjunga Express Accident) দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দফতর । যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিএমও।

    কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০ জন। তবে রেল সূত্রে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আট। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালকও মৃত বলে জানা গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে মোদি লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে রেল দুর্ঘটনা দুঃখজনক। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা। আমি প্রার্থনা করি আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকার্য চলছে। রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজিও দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন।’’

    শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Kanchenjunga Express accident)

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের রাষ্ট্রপতিও। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu) সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। “পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর গভীরভাবে বেদনাদায়ক। আমার চিন্তা ও প্রার্থনা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে রয়েছে। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করছি”, মুর্মু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন।

    আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবেরও

    কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchenjunga Express Accident) দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, “এনএফআর জোনে দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। উদ্ধার তৎপরতা চলছে যুদ্ধকালীন পর্যায়ে। রেল, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ নিবিড় সমন্বয়ে কাজ করছে। আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।” দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে রেলমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। এক্স হ্যান্ডেলে জানান হয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২.৫ লাখ টাকা ও কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। 

    প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গে রেল পরিষেবায়

    এদিকে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchenjunga Express Accident) মালগাড়ির ধাক্কায় প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গে রেল পরিষেবায়। মালদা টাউন স্টেশনে আটকে পড়েছে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে মালদায় হেল্প লাইন নম্বর চালু হয়েছে। পাশাপাশি শিয়ালদহ ডিভিশনে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। নম্বর দুটি হল- ০৩৩-২৩৫০৮৭৯৪ এবং ০৩৩-২৩৮৩৩৩২৬। 

    আরও পড়ুন: সিগন্যালেই সমস্যা! কীভাবে একই লাইনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আর মালগাড়ি?

     জানা গিয়েছে মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের (Kanchenjunga Express Accident) দু’টি কামরা। বেসরকারি মতে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন যাত্রীর, এছাড়াও কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার সকালে দার্জিলিং জেলার রুইধাসায় নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে মালগাড়ির ধাক্কায় বেলাইন হয়ে যায় শিয়ালদহগামী ১৩১৭৪ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনের পিছন দিকের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বৈঠক শেষ করে এলাকা ছাড়তেই হামলা চালাল তৃণমূল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায়। দলীয় কার্যালয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dilip Ghosh)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রবিবার দুর্গাপুরে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাতে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায় বিজেপি’র কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সহ প্রায় সব নেতা-কর্মীরা চলে যান। অভিযোগ, কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা কয়েকজন কর্মীর ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কার্যালয়ে সামনে থাকা দু থেকে তিনটি বাইক ভাঙচুর করে। জখম এক বিজেপি কর্মী বলেন, দিলীপদা বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার পর আমরা কয়েকজন কার্যালয়ে বসেছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। বুকে, পেটে গুরুতর চোট লেগেছে। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ওরা আমাদের বাইকগুলি ভাঙচুর করে। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। হামলার বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৫, জখম বহু যাত্রী

    হামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ কী বললেন?

    সোমবার সকালে সিটিসেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ। এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। পরে, দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, নির্বাচনের প্রচারে প্রথম এই চতুরঙ্গ ময়দানে এসেছিলাম। আবার এখানকার সিনিয়র সিটিজেনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। রবিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে আসার পরই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করে। আমরা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিস প্রশাসনকে  সব কিছু বলা হয়েছে। আস্তে আস্তে এই সব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, মানুষ এই সব চায়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। বিজেপির অভিযোগ মূলত তৃণমূলের দিকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হিংসায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ১ নম্বর ব্লকের বয়ারমারী অঞ্চলের বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টোটো ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বিজেপি ফল ভালো করায় কি আক্রমণ (Sandeshkhali)?

    বয়ারমারী (Sandeshkhali) এক নম্বর অঞ্চলের বেশ কিছু বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে। যে সমস্ত বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে সেই সমস্ত বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে টোটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল। একই ভাবে বিজেপিকর্মীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও টোটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবীকার প্রধান আশ্রয় এই দোকান এবং টোটো। অসহায় গরীব মানুষগুলি কোনও রকমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার দিয়ে সংসার চালান। গত কয়েকদিন ধরে এই রোজগার বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। তাই দোকান ও টোটো চালানোর দাবিতে রবিবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী আউটপোস্টে এসে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Sandeshkhali) বিজেপি কর্মী জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “সকালে উঠে দোকান খুলতে গেলে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা বলেন, দোকান খোলা যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস, তাই দোকান বন্ধ থাকবে। তোদের ছেলেপেলেদের নিয়ে পার্টি অফিসে দেখা কর। ক্ষমা চাইতে হবে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। সেই সঙ্গে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” আরেক টোটো চালক উৎপল দত্ত বলেছেন, “তৃণমূল প্রধান আমাদের বেশকিছু টোটো বন্ধ করে দিয়েছে। পার্টি অফিসে দেখা করার নিদান দিয়েছেন। এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করার আমাদের জীবন-জীবীকার উপর সঙ্কট তৈরি করেছে তৃণমূল। আমরা সব কিছু স্বাভাবিক চাই। তাই, আজ থানায় ডেপুটেশন দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rail Accident: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    Rail Accident: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে এনজেপির কাছে রাঙাপানি  রেল স্টেশন এলাকায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের কামরায় পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি সজোরে এসে ধাক্কা মারে। যার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বেসরকারি সূত্রে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬০ জন। তবে রেল সূত্রে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আট। দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির চালক মৃত।বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি (Rail Accident) ঘটে এনজেপি থেকে রাঙাপানির কাছে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে। ঘটনাস্থলে রেলের পদস্থ কর্তারা ইতিমধ্যে পৌঁচ্ছে গিয়েছেন। যে লাইনে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগের প্রধান লাইন সেটাই। ফলে, আপাতত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

    কী ভাবে এই দুর্ঘটনা? (Rail Accident)

    সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সকাল ন’টার কিছু পরে রাঙাপানি স্টেশন থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বেরিয়ে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি মাল গাড়ি এসে ধাক্কা মারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।  কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। মালগাড়ির লোকো পাইলট ভিতরে আটকে পিষ্টঅবস্থায় আটকে রয়েছে। রেল সূত্রে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় মানুষরা উদ্ধারকার্যে এগিয়ে এসেছেন। রেলের পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা সেই নিয়ে এখনও তাঁরা কিছু  বলা পারছেন না। একই লাইনে দুটি ট্রেন কিভাবে এল এটা নিয়ে সকলেরই প্রশ্ন।

     কী পরিস্থিতি?

    এদিন সকাল  বৃষ্টি থাকায়  উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার জেরে কলকাতা – শিলিগুড়ির  সহ  দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি কামরা লাইন থেকে ওপরের দিকে উঠে রয়েছে। তার নীচে ঢুকে রয়েছে মালগাড়ির ইঞ্জিন। বৃষ্টি সেই সঙ্গে লাগোয়ায় জমা জলে পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে ওঠে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন থেকে ছিটকে যাওয়া কামরাদু’টি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। এলাকায় বৃষ্টিও চলছে। অনেকে ছাতা মাথায় দিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

    শিয়ালদা স্টেশনে রেলের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম

    রেল দুর্ঘটনার (Rail Accident) পর পরই যাত্রীর পরিবারের লোকজনের সহযোগিতার জন্য রেলের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যাত্রীদের পরিবারের লোকজন শিয়ালদা স্টেশনে ভিড় করা শুরু করেছেন। যাত্রীদের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, দুর্ঘটনায় কতজন মারা গিয়েছেন। জখম কতজন হয়েছেন। তা আমরা জানতি পারিনি। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Post Poll Violence)

    কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।

    নির্বাচনোত্তর হিংসা

    নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খোলা থাকলেও, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সেই দরজা বন্ধ।’ অন্তত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে একথা জানিয়েছেন বলেই দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন এবার তিনি পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের বাঁচানোর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করবেন।” তিনি বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, রাজভবনের দরজা ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর জন্য তা বন্ধ।” ঘাটাল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন শাসক দলের বহু কর্মী-সমর্থক। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে এমনতর অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের আক্রান্ত বিজেপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ১১৫জনকে নিয়ে রাজভবনে যান। দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে।

    বিজেপি নেতার দাবি

    রাজ্যপালের সঙ্গে আক্রান্তদের নিয়ে শুভেন্দুর দেখা করার সময় উপস্থিত ছিলেন এক বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। পুলিশ ও শাসকদল কীভাবে রাতের অন্ধকারে ঢুকে বাড়ির মহিলা ও বাচ্চাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, তা শুনেই রাজ্যপাল আক্রান্তদের জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায়ই রাজ্যপাল তাঁর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ করার কথাও বলেছেন।”

    আরও পড়ুন: “হিংসা শিক্ষার বিষয় হতে পারে না”, সাফ জানালেন এনসিইআরটি কর্তা

    এদিন ১০-১২ মিনিট ধরে রাজ্যপালকে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জানান শুভেন্দু। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় নথি, ভিডিও ফুটেজ, স্টিল ছবিও তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই কেষ্ট মণ্ডল, হেমন্ত সোরেন, কেজরিওয়ালের মতো ডাকাতরা জেলের ভিতরে রয়েছেন। বিচারব্যবস্থা বেঁচে আছে বলেই, আমি লড়াই করে আবার আজ আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে এসে দেখা করলাম সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sukanta Majumdar: ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    Sukanta Majumdar: ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূলের অত্যাচারে অনেক কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বারুইপুর পার্টি অফিসে ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এখানেই ‘আশ্রয় শিবির’ তৈরি করেছে বিজেপি। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। অনেক জায়গায় পুলিশই হামলার সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। বারুইপুরের পাশাপাশি ক্যানিং ও কুলতলিতেও যাবেন আজ। আক্রান্ত এবং ঘরছাড়াদের মধ্যে যেমন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা রয়েছে, তেমনি আরও সাধারণ খেটে খাওয়া পুরুষ-মহিলা কর্মী-সমর্থকরাও রয়েছেন। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    কর্মীদের ঘরে ফেরাতে আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরানোর প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমরা চাই দলীয় কর্মীরা যাতে দ্রুত তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। এবিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরে আবেদন জানানো হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্বরা এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যদিও রাজ্যের এই প্রশাসনের উপর কোনও ভরসা নেই আমার। অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সরাসরি যুক্ত ছিল। প্রয়োজনে আমরা কোর্টে যাবো। আমি, রাজ্যের মা মাটি সরকারের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব এসে দেখে যান, আপনার গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারে মানুষের জীবন কতটা বিপর্যস্ত। ক্যানিংয়ে শওকত মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চলছে বিজেপি কর্মীদের উপর।” তবে তাঁর এই জেলা সফরের পর কর্মীদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি দলীয় কর্মীদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় দলীয় কর্মীরা যাতে নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নেন সেই বার্তাও দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুনঃআঙুলের পর আইসক্রিমে বিষাক্ত বিছে! ঢাকনা খুলতেই কিলবিল করে উঠল

    উপনির্বাচন নিয়ে কী বললেন?

    আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “দু-একদিনের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। উপনির্বাচনের তিনটি আসন বিজেপিরই ছিল, অন্যটিতেও আমরা জয় লাভের ব্যাপারে আশাবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Core Committee Meeting: ভোটের ফল নিয়ে সাংগঠনিক ৫টি জোনে আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে রাজ্য বিজেপি

    BJP Core Committee Meeting: ভোটের ফল নিয়ে সাংগঠনিক ৫টি জোনে আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে রাজ্য বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে এরাজ্যে বিজেপির আশানুরূপ ফল হয়নি। বিজেপির ফলাফল পর্যালোচনার (BJP Core Committee Meeting) জন্য শনিবারই কলকাতায় দলের কোর কমিটির বৈঠক বসেছিল। সূত্রের খবর, শনিবারের সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে সাংগঠনিকভাবে সমীক্ষা চালিয়ে ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে। প্রসঙ্গত এ রাজ্যের সাংগঠনিক কাজ করার জন্য বিজেপির পাঁচটি জোন রয়েছে, সেগুলি হল- উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর। শনিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচটি জোনেই আলাদা আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে দল। এর পাশাপাশি কেন বিজেপির ফল এমন হল? তা খোঁজা হবে। এই সমস্ত বৈঠকগুলিতে হাজির থাকবেন লোকসভার প্রার্থীরা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতিরা।

    কারা হাজির ছিলেন বৈঠকে?

    শনিবারের ওই বৈঠকে (BJP Core Committee Meeting) আরও স্থির হয়েছে সাংগঠনিকভাবে এই গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করবেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। শনিবার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে হাজির ছিলেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি পাঁচ জন সাধারণ সম্পাদক- জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং দীপক বর্মনও ছিলেন এই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও হাজির ছিলেন। উত্তরবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারী হাজির ছিলেন না এই বৈঠকে।

    ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ও উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা

    বিজেপি সূত্রে (BJP Core Committee Meeting) জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের পরে কর্মীদের ওপর আক্রমণের খবর ঘন ঘন আসছে এবং বৈঠকেই বার্তা দেওয়া হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে সংগঠন এবং প্রার্থীদের। আগামী ১০ জুলাই রয়েছে রাজ্যের চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন রয়েছে। শনিবারের বৈঠকে সে নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তিনজন প্রার্থীর নাম বাছা হয়েছে। অর্থাৎ চার কেন্দ্রে মোট ১২ জনের নাম আজই তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে। সেখান থেকে প্রার্থী বাছবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    শনিবার বঙ্গ বিজেপির বৈঠকের পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এবারও অন্তত তিনটি আসন (বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ) দখলে রাখব। চারটি আসনেও জিততে পারি। মানিকতলাতে আমরা মাত্র তিন হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছি। সেটাও শুধুমাত্র হয়েছে শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর বদমায়েশি ও গুন্ডামির জন্য। শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু টাইট হলে পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে কুণ্ডুবাবুরও জেনে রাখা উচিত, একদিন না একদিন ওঁরও সময় আসবে।’’

    কেন ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন

    প্রসঙ্গত, রানাঘাট দক্ষিণে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। লোকসভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন ও রানাঘাট আসন থেকে প্রার্থী হয়ে পরাস্ত হন। অন্যদিকে রায়গঞ্জে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে দল বদলান। তিনিও এবারের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন কিন্তু পরাস্ত হন। বাগদা বিধানসভার আসনটি খালি হয়েছে সেখানকার বিশ্বজিৎ দাস লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত বাগদা বিধানসভাও ২০২১ সালে বিজেপি নিজেদের দলে রেখেছিল। পরে দলবদল করেন বিশ্বজিৎ। অন্যদিকে সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পরে খালি হয় মানিকতলা আসন। দু’বছর ধরে কোর্টে মামলা চলার পরে অবশেষে সেখানে উপনির্বাচন হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: “পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা”, জেলখাটা জীবনকৃষ্ণের পোস্টে শোরগোল

    Jiban Krishna Saha: “পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা”, জেলখাটা জীবনকৃষ্ণের পোস্টে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। এবার তাঁর একটি পোস্ট করা লেখাকে ঘিরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়ে লেখেন, “পদ মানে ক্ষমতা নয়। পদ মানে দায়িত্ব। পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা। এটা ভুলে গেলে আসে অহংকার। তারপর পতন।” এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তবে মাধ্যম এই ভাইরাল বার্তালাপের সত্যতা যাচাই করেনি।

    কেন এই পোস্ট (Jiban Krishna Saha)?

    তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) নিজে এই পোস্ট করে কী বার্তা দিতে চাইছেন, সেই বিষয়ে স্পষ্টতা আসেনি। কেউ কেউ বলছেন তা হলে কি চৈতন্য উদয় হয়েছে বিধায়কের? কারণ তৃণমূলের একাংশের লোকজন মনে করছেন, তাঁর জেলে যাওয়া প্রসঙ্গে দলের ভাবমূর্তি অনেকটাই খুন্ন হয়েছে। তবে এমন হওয়াটা কাম্য ছিলনা। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া এবং প্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। নিজেকে স্বচ্ছ এবং নির্দোষ প্রমাণ করতেই এই পোস্ট করেছিলেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিধায়কের উত্তর পাওয়া যায়নি।

    পুকুরে মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নিজের বাড়ি থেকে রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। যখন তদন্তকারী অফিসারেরা বাড়িতে তল্লাশি করছিলেন, সেই সময় পাঁচিল টপকে পুকুরে নিজের মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন। পরে কার্যত ২ দিন ধরে পুকুরের জল তুলে সেই মোবাইল উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর থেকে জেলে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃউত্তরবঙ্গে তিন জেলায় লাল সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই, তীব্র গরমে নাজেহাল

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) নিজে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর মোবাইল থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। চাকির বিক্রি করার বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তার চ্যাট পাওয়া গিয়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন খারিজ হয় সেখানে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে গেলে তাঁর জামিন গৃহীত হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে নিজের বিধানসভার বাইরে যেতে পারবেন না জীবনকৃষ্ণ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share