Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Diarrhea: জামালপুরে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ১০০জন, মৃত্যু হল এক মহিলার, আতঙ্ক

    Diarrhea: জামালপুরে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ১০০জন, মৃত্যু হল এক মহিলার, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটের গোলমাল,বমি-সহ ডায়ারিয়ার (Diarrhea) নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ প্রায় ১০০ জন গ্রামবাসী। ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আর এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের  জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া গ্রামে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কী করে একসঙ্গে এতজন ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হল তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    আক্রান্তের সংখ্যা ১০০! (Diarrhea)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিন-চারদিন ধরেই ওই গ্রামে ডায়ারিয়ার (Diarrhea) প্রকোপ দেখা দেয়। ঘরে ঘরে বমি, পায়খানা। গ্রামের লোকজনকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি চলে। সূত্রের খবর, মোট ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সন্ধ্যা রায় নামে ৫৪ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, ডায়ারিয়াতে মারা গিয়েছেন তিনি। দিনের পর দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। সবমিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, কী কারণে গ্রামের এতজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ল তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। অবিলম্বে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    আরও পড়ুন: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ কী বললেন?

    এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ চন্দন মজুমদার বলেন, “আশা কর্মী, মেডিক্যাল অফিসার, মেডিক্যাল টিম সবই গ্রামে পাঠানো হয়েছে। জলও পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণ একটা ছিল, তবে তা কমেছে। ফুড সেফটি অফিসার, বিডিও, ওসি এসেছিলেন।” ডায়ারিয়ায় (Diarrhea) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ওই রোগী স্থিতিশীলই ছিলেন। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল। এই অবস্থায় রোগীর আচমকাই শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা শুরু হয়। এমার্জেন্সি হিসাবে যা যা মেডিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া দরকার ছিল, দেওয়াও হয়। তবে, দুর্ভাগ্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়ে যায় তাঁর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা! ভোটগণনাকে ঘিরে তৎপর কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দফায় রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রেই ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষ হয়েছে। এ বার ভোটগণনার পালা। আগামী ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ। রাজ্যে বিভিন্ন দলের মোট ৫০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার। প্রতিবারের মতো এ বারেও গণনাকেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত (Counting Preparations) রাখছে নির্বাচন কমিশন। সিসি ক্যামেরায় ২৪ ঘণ্টা চলছে নজরদারি। গণনা কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভার-সহ ২৫ হাজার গণনাকর্মী।   

    নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Counting Preparations) 

    কমিশন সূত্রে খবর, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার মধ্যে প্রথম স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। আর শেষ স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে শুধু গণনাকেন্দ্রগুলিতেই নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: শরীরের পক্ষে ডিম কতটা স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন এর কিছু উপকারিতা

    পোস্টাল ব্যালটের পর ইভিএমের ভোট গণনা 

    রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার জন্য মোট ৫৫টি কাউন্টিং সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ৪১৮টি গণনাকক্ষে থাকছে ৪,৯৪৪টি টেবিল। সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড ভোটগণনা হতে পারে। আর সবচেয়ে কম ৯ রাউন্ড। গড়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ রাউন্ড করে ভোটগণনা হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটদাতা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। আগে পোস্টাল ব্যালটের ভোট গ‌োনার পর ইভিএমের মাধ্যমে পড়া ভোটের গণনা শুরু হবে।
    উল্লেখ্য, এবছর নির্বাচন চলাকালীন অশান্তির খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছু কিছু এলাকায় ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরও রাজ্যে অশান্তি অব্যাহত। এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও উঠেছে। আর সেই আবহেই মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তাই বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রং রুম তৈরি করে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে। চার পাশে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। শনিবার রাতে নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের চাঁদঘর এলাকায় বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা এলাকায়। আক্রান্ত দুই মহিলা-সহ তিন জন। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজনৈতিক  মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার বারুইহুদা মনীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা মলয় বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীর ওপর ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীদের রাগ ছিল। কারণ, বিজেপি না করার জন্য বলার পরও ভোটে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই বিজেপি কর্মীকে মাঝ রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। মারের চোটে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আরও একজন জখন হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বলেন, আচমকা আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে তারা। ওরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এক প্রতিবেশী যুবতী বলেন, যেহেতু মলয় বিশ্বাস বিজেপির সক্রিয় কর্মী, সেই কারণে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়।  

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    বিজেপি প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    জখম বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। তিনি বলেন, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত। তাই,  কাউন্টিং সেন্টারে যাতে আমাদের এজেন্টরা ঢুকতে ভয় পান, তারজন্য এসব সন্ত্রাস তৈরি করছে। এইভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি লিখিত আকারে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আইসিকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন ছিল রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভোট দিতে পেরেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের মানুষ। আর তাই গতকাল রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আক্রমণ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মন্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে ঘুরে ঘুরে জয় বাংলা স্লোগান দেয় এবং এরপর হুমকি দেয় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু আচমকা সেই সময় সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালী মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর রাতেই  দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বিষয়ে আক্রান্ত পিয়ালী মণ্ডল বলেছেন, “আমরা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে (Sandeshkhali) ঢুকে হামলা করেছে। ব্যাপক মারধর করে ভাতের থালা ফেলে দিয়েছে ওরা। আমার স্বামীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও হাতে, পীঠে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। কীভাবে এলাকায় থাকব, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    ফল বেরনো পর্যন্ত জারি ১৪৪

    সন্দেশখালিতে ভোটের পরদিন গতকাল ২ জুন থেকে ফলাফল ঘোষণার ৪ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি গোটা এলাকাজুড়ে জারি এই নির্দেশিকা। ভোটের দিনেই সন্দেশখালির বেড়মজুর, বয়ামারি, আগারহাটি, কানমারি সহ একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলারা আন্দোলনে নেমে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল!

    ভোটের দিন বয়ারমারি (Sandeshkhali) গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়ে ছিল ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। চঞ্চল খাটুয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছিল। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নির্বাচন কমিশন ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছিল। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বয়রামারিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ ছিল, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল। সেই জন্য মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে। পাল্টা পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে এলাকায়। বিজেপির এক নেতা পরিতোষ সর্দারকে গ্রেফতার করায়, মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভোট গণনার দিন বৃষ্টি! উত্তরে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণে এখনও অপেক্ষা

    Weather Update: ভোট গণনার দিন বৃষ্টি! উত্তরে বর্ষা ঢুকলেও দক্ষিণে এখনও অপেক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গণনার দিনও বৃষ্টি চলবে বঙ্গে। সোমবার সকাল থেকেই শহরের আকাশে চলছে রোদ-ছায়ার খেলা। তবে বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা ফের বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)। উত্তরবঙ্গেই আপাতত আটকে থাকছে বর্ষা। দক্ষিণে কবে বর্ষার (Monsoon) প্রবেশ ঘটবে তা বলেনি আবহাওয়া দফতর। গত ৩১ মে বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণে বর্ষা প্রবেশের সময় জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ। উত্তরে বর্ষা ঢুকে পড়ায় মনে করা হয়েছিল সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গেও। কিন্তু তা হচ্ছে না। 

    শহরের তাপমাত্রা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানাচ্ছে, সোমবার শহরের আকাশ থাকতে পারে আংশিক মেঘলা। সঙ্গে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত (Monsoon)। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা বিশেষভাবে না বাড়লেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি দিনভর বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। সকাল থেকেই থাকবে ঘামে প্যাচপ্যাচে গরম। তবে বিকেল বা সন্ধ্যায়র দিকে ঝড়বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মিলতে পারে। 

    ভোট গণনার দিন বৃষ্টি

    আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে,বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি (Monsoon) চলতে পারে। সোমবার উপকূলবর্তী জেলাগুলির পাশাপাশি বাঁকুড়া ও নদিয়াতেও থাকছে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস। এমনকী মঙ্গলবার ভোট গণনার দিনও উপকূলবর্তী জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুর্যোগ হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে সোমবার এবং মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে দমকা হাওয়া। উত্তরের উপরের দিকের পাঁচ জেলাতেই ৩-৪ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে।

    আরও পড়ুন: দুধের দাম বাড়াল আমূল, জানেন কত টাকা করে প্রতি প্যাকেট?

    দেশের নানা প্রান্তে গরম 

    তবে সারা ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে আস্তে আস্তে কমবে তাপপ্রবাহের দাপট। তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমবে রাজস্থান হরিয়ানা দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশে। তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়ে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড় ও দিল্লিতে রাতও হবে গরম। তবে তাপমাত্রা সামান্য কমলেও, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কঙ্কন, গোয়া, সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে। হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি। তবে ইতিমধ্যেই বর্ষা (Monsoon) প্রবেশ করেছে কেরলে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণের রাজ্যে, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সোমবার থেকে। ভারী বৃষ্টি হবে আসাম মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে শেষ দফা ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট (Re-Poll 2024) করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জাকির হোসেন নামে তৃণমূলের এক এজেন্টের নাম জড়ায়। পরে, তৃণমূলের ওই এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। কমিশনের নির্দেশ মেনে সোমবার দেগঙ্গার ৬১ নম্বরের ওই বুথ এবং  দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। দুটি বুথেই এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।

    ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, বিক্ষোভ (Re-Poll 2024)

    শনিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে (Re-Poll 2024) ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ ওঠে। ছাপ্পা ভোট পরিচালনা করেছেন ওই বুথের তৃণমূল এজেন্ট জাকির হোসেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ওই তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেগঙ্গা বিধানসভার অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দলীয় এজেন্টের গ্রেফতারির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদম্বগাছি সর্দারপাড়ায় যান তৃণমূল নেতারা। ছিলেন তৃণমূলে দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন তৃণমূল এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল তার জবাব দাবি করেন দলীয় নেতাদের কাছে। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। জাকির হোসেনের জামিন না হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ক্রমে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন, দেগঙ্গায় বিজেপি নেতাকে পুলিশি হেনস্থা

    সোমবার বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছি সর্দারপাড়া এফপি স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে। পুনরায় ভোট হচ্ছে মথুরাপুর কেন্দ্রের কাকদ্বীপ বিধানসভার আদ্দিরমহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলের ২৬ নম্বর বুথেও। শনিবার সপ্তম  দফায় এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর আসে। গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। তবে, ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট এই দু’টি বুথেই আবার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা খোলসা করেনি কমিশন। জানা গিয়েছে, এদিন দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথে ভোট শুরু হলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে এলাকায় চলে আসেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাসেম আলি। অভিযোগ নিয়ে তিনি যখন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় তাঁকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর একদিন। তারপর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে বালুরঘাটে (Balurghat) রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar)। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার ভোট পরবর্তী রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে হুঁশিয়ারি দেন। সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে আসে যোগীর সুর। 

    ভোট পরবর্তী হিংসায় সরব সুকান্ত মজুমদার

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার করা হবে।” একইসঙ্গে তিনি (Sukanta Majhumdar) বলেন, “গতকাল কালীগঞ্জ থানার চাঁদপুর এলাকার বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে, কারণ ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাট, নদীয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীকে ধমকানো চমকানো, খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কারণ তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁদের সময় শেষ। আমি পরিষ্কার এই গুন্ডা মস্তানদের বলে দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কোনো নেতাকে ধরে বিজেপির ঝান্ডা পতাকা ধরলেও কিন্তু তারা বাচঁবেনা। উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট করা হবে। পুরো এনকাউন্টার হয়ে যাবে।” 
    অন্যদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। ম্যাট্রিজ, সিএনএক্সের সমীক্ষায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা পদ্ম শিবিরের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar) বলেন, “আমি বুথ ফেরত সমক্ষায় খুব একটা বিশ্বাস করিনা। আমাদের এক্সিট পোল, বিজেপি কর্মীদের যে ফিডব্যাক, সেই ফিডব্যাকের উপর বিশ্বাস করে আমি বলতে পারি, আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হবার পর একটা স্লোগান দিয়েছিলাম ‘এই বার পঁচিশ পার’। সেই স্লোগানটা আমাদের কর্মীরা আত্মবিশ্বাস করতে পারেনি। তখন দলের অবস্থা খারাপ ছিল। আজকে প্রায় আড়াই বছর পর এখন শুধু দল নয় প্রতিটি খবরের চ্যানেল বিশ্বাস করছে এইবার ২৫ পার। আমাদের টার্গেট ৩০। ৩০ পর্যন্ত যতক্ষণ না পৌঁছোচ্ছি আমাদের লড়াই চলবে। তিরিশে পৌঁছালে আমি ধরে নেবো যে আমরা জিতেছি। 

    আরও পড়ুন: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃতীয়বার মোদিজিই ক্ষমতায় 

    তৃতীয় মোদি সরকারের ইঙ্গিত, বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মোদিজি ক্ষমতায় আসবেন এইটা নিয়ে কারোর দ্বিমত নেই। আমাদের বিরোধী পার্টির যারা লিডার তারাও জানে যে মোদিজি ক্ষমতায় আসবে্ন। সেই জন্য তো মমতা ব্যানার্জি এক তারিখের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গেলেননা। কেন গেলেন না? কারণ উনিও জানেন মোদি আসছে। মোদির বিকল্প কিছু নেই। মোদিজি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্য শপথ নিতে চলছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার আরও একবারের জন্য  লাল কেল্লায় মোদিজির হাত ধরে পতাকা উঠবে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পর্ব মিটতেই ডায়মন্ড হারবারে উঠল পুনর্নির্বাচনের দাবি। সপ্তম দফায় ভোট (Loksabha Election 2024) ছিল ডায়মন্ড হারবারে। কিন্তু এদিন ভোটই দিতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbor) বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। পাশাপাশি এদিন ভোটে ছাপ্পার অভিযোগ তুলল বিজেপি। 

    কী কারণে ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী? 

    জানা গিয়েছে ভোটে (Loksabha Election 2024) ছাপ্পার অভিযোগ পেয়েই বুথে বুথে যাওয়া শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী এবং তখনই দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আর তার জন্য নিজের কেন্দ্রে পৌঁছতেই সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। ফলে ভোট দানের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভোট দিতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী। আর সেই কারনেই ডায়মন্ড হারবারের ৪৭০ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেছেন তিনি। 
    অভিজিৎ দাসের বক্তব্য, “প্রচুর ছাপ্পা পড়েছে। আমি রিপোলিং চাইছি। অন্যান্য বিরোধীরাও তাই চাইবেন। এমনকি যাঁরা পুরনো তৃণমূল প্রার্থী তাঁরাও চাইবেন পুনর্নির্বাচন হোক। যদিও বাতিল না হয়, অন্তত ৪৬০টা বুথে রিপোলিং হোক।”

    পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    বিজেপির দাবি, ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) ও মথুরাপুর কেন্দ্রের বেশিরভাগ বুথগুলিতেই ভোটগ্রহণ (Loksabha Election 2024) স্বচ্ছ ভাবে হয়নি। অনেক বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটও পড়েছে অনেক বুথে। কোনও কোনও বুথে কারচুপি হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। আর সেই কারণেই ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর তরফে কমিশনে এই আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় সতর্কবার্তা? জানাল আবহাওয়া দফতর

    শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য 

    শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তিনি বলেন, “হরিয়ানা, বিহারে এ রকম দেখা যেত। এ বার এখানে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। আপনারা ডায়মন্ড হারবারে দেখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে না দিয়ে রাজ্য পুলিশ চার ঘণ্টা ধরে আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ফলতায় রাস্তার উপরে আটকে রেখেছে। যাতে তিনি অন্য কোনও বুথে যেতে না পারেন।” এর পরেই ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) কেন্দ্রের বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন শুভেন্দু। 
    উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) দাবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতার সব কটি বুথ। এছাড়াও বজবজ, মহেশতলা বিধানসভা এলাকারও বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে মথুরাপুর কেন্দ্রের সাগরের একাধিক বুথেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: গণনা কেন্দ্রে কেন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে? ‘গোপন’ তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: গণনা কেন্দ্রে কেন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে? ‘গোপন’ তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝের একটা দিন! তারপরেই দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। ভোট গণনার কেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। স্ট্রং রুমের সব থেকে বাইরে থাকবে বন্দুকধারী পুলিশ। তারপরে দ্বিতীয় স্তরে থাকবে লাঠিধারী পুলিশকর্মীরা। স্ট্রং রুমের যেখানে গণনা চলবে তার সব থেকে কাছে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে এর নেতৃত্বে থাকবেন একজন উপ নগরপাল। ঠিক এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, গণনা কেন্দ্রে কেন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে?

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    এই নিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের ওই পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ডিআইজি (নিরাপত্তা) আইপিএস রবীন্দ্রনাথকে তোপ দেগেছেন এবং লিখেছেন, “আমি জানি আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই আপনি গতকাল সন্দেশখালিতে উপস্থিত ছিলেন ভোট প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন করতে।”

    শুভেন্দু অধিকারী তুলে ধরেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাও

    এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী তুলে ধরেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছেন, গণনা কেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় যে কর্ডনিং সিস্টেম থাকে, সেই সিস্টেমের প্রথম কর্ডনের বাইরে কখনই যেতে পারে না রাজ্য পুলিশ। তারপরেও ডিআইজি নিরাপত্তা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন এ নিয়েই প্রশ্ন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি কর্ডনে থাকবে পুলিশ। যা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার পরপন্থী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী সঠিক কথাই বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share