Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: সোমবার ভোটের দিন ভিজবে বাংলা! ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস বেশ কিছু জেলায়

    Weather Update: সোমবার ভোটের দিন ভিজবে বাংলা! ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস বেশ কিছু জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের দাপটের মধ্যেই সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস (Weather Update)। ভোটবঙ্গে সোমবারই বৃ্ষ্টি হতে পারে বাংলার সব জেলায়। অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর সহ নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঢুকে পড়ছে বর্ষা। ভারতবর্ষে সাধারণভাবে প্রথম বর্ষা ঢোকে কেরলে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিবছর ১ জুন বর্ষা ঢোকে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে। তবে প্রতিবছর এই নিয়ম একইভাবে কাজ করে না। কোনও বার আগে তো কোনও বার পরে আসে বর্ষা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে বর্ষা ঢুকছে ৩১ মে।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস 

    রবিবার দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update) বেশ কিছু জেলায় গরম ও অস্বস্তি থাকলেও আলিপুর আবহাওয়া দফতর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দিয়েছে। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। অন্যদিকে একই ছবি দেখা যাবে সোমবারও। প্রসঙ্গত, সোমবার সারা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও পঞ্চম দফার ভোট রয়েছে। এই দিনে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যার মধ্যে আবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলাতে। ভোটের দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এর পাশাপাশি ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।

    নিম্নচাপে ভিজবে বাংলা? 

    অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) নিম্নচাপের পূর্বাভাস দিয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ মে গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ওই নিম্নচাপ এগিয়ে যাবে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অভিমুখে। আর এই গতিপথ যদি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে নিম্নচাপের গন্তব্য হবে বাংলাদেশ-মায়ানমার। তবে নিম্নচাপ পরে অন্যদিকে বাঁক নেয় কিনা সেদিকেও নজর রাখছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। যদিও এখনও ঘূর্ণিঝড়ের কোনওরকম পূর্বাভাস মেলেনি মৌসম ভবনের তরফে। অন্যদিকে, হাওয়া অফিসের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একটি নয় বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর মিলিয়ে জোড়া নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ মে নাগাদ আরব সাগরে এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে ওই নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: তারিখ ২৩, সময় সকাল ৯টা! দেবকে নিয়ে বোমা ফাটানোর ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু

    Jhargram: তারিখ ২৩, সময় সকাল ৯টা! দেবকে নিয়ে বোমা ফাটানোর ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহেই ফের একবার ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনার ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একেবারে দিনক্ষণ ঘোষণা করে জানালেন ২৩ মে, সকাল ৯টায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দেবকে নিয়ে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন।

    শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি  (Suvendu Adhikari)

    আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে ঘাটালে। আর তার আগে শনিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামে (Jhargram) এক নির্বাচনী প্রচার সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই এদিন তিনি বলেন, “২৩ তারিখ সকালবেলা ঘাটালের প্রার্থীর সম্পর্কে আমি এমন জিনিস ছাড়ব, আর ওদিন ঘর থেকে বেরোবেন না। ২৩ তারিখ সকাল বেলা। ফলো করবেন। ৯টার সময়, এক্স হ্যান্ডেলে। ঘাটালের হিরোকে জিরো করব হিরণকে দিয়ে।” 

    কী প্রতিক্রিয়া দেবের? 

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে ঘাটালের দুবারের সাংসদ দেবকে (Dev) এবারও প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর তাঁর বিপরীতে বিজেপি প্রার্থী করেছে খড়্গপুরের বিধায়ক তথা বিজেপির তারকা নেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ এবছর ঘাটালে দুই তারকার মুখোমুখি লড়াই হবে। বর্তমানে ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচারে একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমে ছাড়তে নারাজ। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকতে বিনামূল্যে কংগ্রেস কেন রেশন দেয়নি? তোপ প্রহ্লাদ যোশীর

    উল্লেখ্য, ভোটের মুখে একাধিক বিতর্কে নাম জড়াচ্ছে দেবের। তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা গিয়েছে হাইকোর্টে। একটি ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। আর ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের শেয়ার করা সেই ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরে যখন ভোটের আগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, ঠিক সেই সময়ই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গলায়। যদিও কী এমন বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারি নিয়েও এখনও পর্যন্ত ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২৩ মে কী এমন তথ্য সামনে আসতে চলেছে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: একের পর এক মন্দির ভাঙল দুষ্কৃতীরা, অগ্নিগর্ভ ধূপগুড়ি, বনধের ডাক

    Jalpaiguri: একের পর এক মন্দির ভাঙল দুষ্কৃতীরা, অগ্নিগর্ভ ধূপগুড়ি, বনধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ নয়, পশ্চিম বাংলার বুকে একের পর এক হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন সকাল থেকে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের সামনে বিক্ষোভ- প্রতিবাদও চলতে থাকে। ধূপগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)

    ধূপগুড়ির (Jalpaiguri) মোড়ঙ্গা চৌপথি এলাকার কালী মাতা মন্দির, সাতভেন্দি শিব মন্দির, জঙ্গলিবাড়ি কালী মন্দির, শনি মন্দিরে শুক্রবার রাতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের মূর্তি ভেঙ্গে বাইরে ফেলে দেয়। শনিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে এলাকার বাসিন্দাদের। তখনই এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। দাবানলের মতো খবর ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধূপগুড়ি বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ অবরোধ। ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    ধূপগুড়ি মহকুমা বনধের ডাক

    পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি (Jalpaiguri) থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই বিক্ষোভকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এর মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের দিকে আসা বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। নিমেশে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দু পক্ষের মারামারিতে আহত হন দুই পক্ষেরই লোকজন। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে আনতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান ধূপগুড়ি থানার আই সি। কিন্ত, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় জলপাইগুড়ি থেকে পুলিশ সুপার আরও বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকা বেশ থমথমে রয়েছে। গোটা এলাকায় পুলিশি টহল রয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গোটা মোড়ঙ্গা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনায় মোড়ঙ্গা এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। আগামীকাল গোটা ধূপগুড়ি মহকুমায় বনধ ডাকা হয়েছে।  উত্তরবঙ্গের সমস্ত থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে।

    রাস্তা-রেল অবরোধ

    স্থানীয় হিন্দুরা জাতীয় সড়ক (Jalpaiguri) সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। শালবাড়ি ও ফালাকাটা স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ভিএইচপি এবং এইচজেএম সহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের হাজার হাজার সাধারণ হিন্দু উপস্থিতিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এদিকে রেলওয়ে রুটেও বেশ কয়েকটি অবরোধ দেখা দেয়। যার ফলে কয়েকটি ট্রেন বাতিল হয়েছে। আন্দোলনকারীরা অনেক জায়গায় রেলপথে বসে পড়ে, যার ফলে দিল্লিগামী যোগাযোগ ক্রান্তি এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদহ যাওয়ার তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ব্যাহত হয়। খালিগ্রাম স্টেশনেও একটি পণ্যবাহী ট্রেন আটকে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এসপি খান্ডেবাহলে উমেশ গণপত বলেন, যা ঘটেছে তা ভালো হয়নি। তাই আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mampi Das: “মমতার শেষ দেখে ছাড়ব”, জেলমুক্ত হয়েই হুঙ্কার সন্দেশখালির মাম্পির

    Mampi Das: “মমতার শেষ দেখে ছাড়ব”, জেলমুক্ত হয়েই হুঙ্কার সন্দেশখালির মাম্পির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ দেখে ছাড়ব। তাঁকে হারিয়ে দেখাব। এই লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন।” শনিবার দমদম জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি দাস (Mampi Das)। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট অবিলম্বে মুক্তি দিতে বলেছিল মাম্পিকে। আলাদতের প্রশ্ন, “এর পিছনে (মাম্পির গ্রেফতারি) কার মাথা কাজ করছে? নিম্ন আদালতের বিচারক, পুলিশ কেউ কি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জানেন না?”  আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর শনিবারই জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় সন্দেশখালির এই বিজেপি নেত্রীকে।

    কী বললেন মাম্পি? (Mampi Das)

    এদিন জেল থেকে মুক্তি পেয়েই মাম্পি হাতিয়ার করেন সন্দেশখালির ঘটনাকে। তিনি (Mampi Das) বলেন, “সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যা নয়। এখানে আন্দোলনকারী মহিলাদের পাশে আমি সব সময় থাকব।” রাজ্য সরকারকে নিশানা করে এই পদ্ম-নেত্রী বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে আমায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ বিজেপিকেও।”

    বেআইনিভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ

    সন্দেশখালির ঘটনায় একাধিক অভিযোগে বারংবার খবরে উঠে এসেছেন সন্দেশখালির মাম্পি। এর মধ্যে আবার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের মতো অসত্য মামলা রুজু করানোর মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির স্টিং ভিডিওয়ও গঙ্গাধর কয়ালের মুখে শোনা গিয়েছিল মাম্পির নাম। একের পর এক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি নোটিশ পেয়ে গ্রেফতারি এড়াতে মাম্পি দ্বারস্থ হন বসিরহাট আদালতে। সেখানে আগাম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময়ই অন্য একটি মামলায় বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    আর পড়ুন: আদালতের নোটিশ ফেরত সচিবের, ঔদ্ধত্যের জবাব দিলেন বিচারপতি

    নিম্ন আদালত মাম্পিকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বসিরহাট আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন সন্দেশখালির এই গেরুয়া নেত্রী। শুক্রবার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয় তাঁর। তার পরেই মাম্পির চাঁদমারি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাম্পি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ব না। উনি মানুষ নন। নারী নামেরও কলঙ্ক।” তিনি বলেন, “সত্যের পথেই আছি। সত্যের সঙ্গেই আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখাব। নারীর ওপর এত অনাচার হচ্ছে আর উনি একজন নারী হয়েও তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না! সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে আছি শুরু থেকেই, ভবিষ্যতেও থাকব (Mampi Das)।” প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জুন। তার আগে ৪ জুন বের হবে লোকসভা নির্বাচনের ফল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমা পড়ল ভুরি ভুরি অভিযোগ

    Sandeshkhali: সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমা পড়ল ভুরি ভুরি অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তদন্তের জন্য একাধিকবার সন্দেশখালিতে  (Sandeshkhali) গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে কথা বলা এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। এবার সন্দেশখালি নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ শুনতে সেখানেই অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস তৈরি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে থেকেই এবার তদন্ত করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ধামাখালিতে একটি ব্যাঙ্কের কাছে অস্থায়ী শিবির করেছে সিবিআই। সেখানেই শনিবার ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা করেছেন গ্রামবাসীরা।

    একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে সিবিআই ক্যাম্পে (Sandeshkhali)

    শনিবার বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে তিনিও শিবিরে হাজির ছিলেন। আব্দুল মাজিদ শেখ নামে এক বাসিন্দা বলেন, বেড়মজুরে আমার ভেড়ি ছিল। শাহজাহান বাহিনী ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। সেই টাকা না দেওয়ায় আমার ভেরি ওরা জোর করে দখল করে রেখেছে। এদিন সিবিআই অফিসে আমি অভিযোগ জানাতে এসেছি। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে জেলা পরিষদের টেন্ডারের ভিত্তিতে ফেরিঘাট চালানোর দায়িত্ব পান সন্দেশখালির বাসিন্দা বিনা রায় অধিকারী। ফেরিঘাট ডাক ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে নিলামে মাধ্যমে তাঁর নাম জেলা পরিষদে উঠলেও তিনি আজ ১০ বছর ঘাট চালাতে পারেননি। ঘাট চালাতে গেলে শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা তাঁকে ঘাট চালাতে দেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনি ঘাট পেয়েছেন বলে দাবি করলেও কোনও কথা শুনেন নি তাঁরা। দশ বছর পর সেই ধামাখালিতে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে অভিযোগ দায়ের করতে আসেন বিনা রায়। তিনি বলেন, দশ বছরের সুদে আসলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ওপরে হয়ে গেলেও, আমার প্রাপ্য জিনিস আমাকে করতে দেয়নি শিবু,উত্তমরা। বিচারের আশায় আমি সিবিআই ক্যাম্পে অভিযোগপত্র জমা দিলেন। মনে এখনও আশা তিনি তাঁর ফেরিঘাটে লাগানো সমস্ত টাকা ফেরত পাবেন।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    বিজেপি নেত্রী কী বললেন?

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সঙ্গে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকার মহিলারা ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করতে যান। তিনি বলেন, সন্দেশখালির বাসিন্দাদের ওপর শাহজাহান বাহিনী প্রচুর অত্যাচার করেছে। এখনও অত্যাচার চলছে। দুদিন আগে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ ঠিক মতো অভিযোগ জমা নিচ্ছে না। নির্যাতিতাদের আইনজীবী হিসেবে আমি এসেছি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আদালতের নোটিশ ফেরত সচিবের, ঔদ্ধত্যের জবাব দিলেন বিচারপতি 

    Calcutta High Court: আদালতের নোটিশ ফেরত সচিবের, ঔদ্ধত্যের জবাব দিলেন বিচারপতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামের বানান অপছন্দ হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নোটিশ গ্রহণ করেননি রাজ্যের এক সচিব। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ওই সচিবকে শিক্ষা দিতে শুক্রবার তড়িঘড়ি ডেকে পাঠালেন। আদালতের চিঠি গ্রহণ না করার যুক্তি শুনে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিচারপতি।

    ‘ভিভেক’ বনাম ‘বিবেকের’ দোটানা

    হাইকোর্ট (Calcutta High Court)  সূত্রে জানা গিয়েছে ওই সচিব প্রাণী সম্পদ বিভাগে কর্মরত। তিনি নিজের নাম ‘ভিভেক’ লিখে থাকেন। আদালতের নোটিশে ‘ভিভেকের’ পরিবর্তে ‘বিবেক’ লেখায় হাইকোর্টের পাঠানো আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলার নোটিশ দিতে অস্বীকার করেন সচিব সাহেব। বিচারপতি নোটিশ না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি ছিল ‘বিবেক’ শব্দটি উচ্চারিত হয় ঠোঁট থেকে এবং ‘ভিভেক’ শব্দটি আসে হৃদয় থেকে। তাই নামের বানানের এই ত্রুটির জন্য সচিব আদালতের নোটিশ নিতে অস্বীকার করে থাকতে পারেন।

    রাজ্যের আজগুবি যুক্তি (Calcutta High Court)

    আদালত অবমাননার মামলায় এই সচিবের এমন আজগুবি যুক্তি শুনে একেবারে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রেগে আগুন হয়ে বিচারপতি  বলেন, সচিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হচ্ছে। বিধাননগর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হল ওকে ধরে নিয়ে এসে সোমবার আদালতে (Calcutta High Court)   নিয়ে আসতে হবে। তারপর দেখব কোন শব্দ হৃদয় থেকে বেরোয় আর কোন শব্দ ঠোঁট থেকে বেরোয়।

    আরো পড়ুন: “পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে”, বললেন মিঠুন

    বিচারপতি এদিন স্পষ্ট ভাবে বলেন, “আদালতের একের পর এক নির্দেশ কার্যকর না করায়, তলব করার পরও একজন সচিব আদালতের নোটিশ নিতে অস্বীকার করেন, এই আচরণ ঔদ্ধত্যের সমান।”

    হাজিরা দেওয়ায় বাতিল গ্রেফতারি পরোয়ানা

    ওই সচিবের বিরুদ্ধে বিধাননগর সিটি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী সোমবার তাকে বেলা সাড়ে দশটায় (Calcutta High Court) এজলাসে হাজির করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী মরিয়া হয়ে বলেন, এই নির্দেশ যাতে না দেওয়া হয়। সেই ব্যাপারে জোড়াজুড়ি করলে আদালত জানিয়ে দেয়, একটাই শর্ত এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার। যদি তিনি সেদিনই হাজির হন। এরপরই তড়িঘড়ি আদালতে হাজিরা দেন বিবেক কুমার। হাজিরা দেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুরের বাইক র‍্যালিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুরের বাইক র‍্যালিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দিনের প্রচার ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদীয়ার কল্যাণী। দলীয় প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) বাইক র‍্যালিতে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি এলাকায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুর এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantanu Thakur)

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। আজ ছিল প্রচারের শেষ দিনের সময়সীমা। সেই শেষ দিনটিতে প্রতিটি রাজনৈতিক দল সকাল থেকে প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এদিন কল্যাণীর গয়েশপুর এলাকায় একটি বাইক র‍্যালিতে  মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে বিশাল একটি বাইক মিছিল বের হয়। জানা যায়, শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) বাইক র‍্যালি যখন গয়েশপুরে গিয়ে পৌঁছায় তখন তৃণমূলের তরফে ওই এলাকায় একটি প্রচার কর্মসূচি করছিল। তৃণমূলের তরফ থেকে ওই এলাকায় বিজেপির মাইক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে বলে। তাই নিয়েই শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে  কথা কাটাকাটি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছায় বিবাদ। খবর পেয়ে কেন্দ্র বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কল্যাণী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনা চলার পর পুলিশ কোনও রকম ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর বিজেপির বাইক মিছিল সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বলেন, তৃণমূল হারবে এখানে। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের তলায় আর মাটি নেই। বিশেষ করে গয়েশপুরের তারা বুঝতে পেরেছে বিজেপি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। তাই, এই হামলা চালিয়েছে। তবে, এই হামলার জবাব মানুষ আগামী ২০ তারিখে ভোট বাক্সের মাধ্যমে দেবে। অন্যদিকে, ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী গোসাই কর্মকারের পাল্টা অভিযোগ, আমাদের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে একটি প্রচার কর্মসূচি চলছিল, আমরা সেই কারণে কিছুক্ষণের জন্য বিজেপির কর্মীদের মাইকটা বন্ধ রাখার অনুরোধ করি। তখনই আমাকে ওরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে এবং পরে মারধর শুরু করে দেয়। আমরা হামলা চালাইনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের নারী নির্যাতন! ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের নারী নির্যাতন! ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের অত্যাচার এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাত জাগা শুরু করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলা আন্দোলনকারীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতেই এক মহিলা আন্দোলনকারীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    জানা যাচ্ছে, ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। কোনও ভাবে নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করে ওই নাবালিকা। তার আওয়াজে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। সঙ্গে-সঙ্গে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূল সমর্থক। নির্যাতিতার পরিবার বিজেপি সমর্থক হওয়ায় তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করেছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার পুলিশ। নির্যাতিতার দিদা বলেন, “ঘরে আমার নাতনি ঘুমোচ্ছিল। ছেলেটা ঘরের পিছন থেকে ঢোকে। তারপর আমার নাতনির শ্লীলতাহানি করে। নাতনি চিৎকার করে বলে, দিদা আমায় বাঁচাও। আমায় মেরে ফেলে দিল। ততক্ষণে ছেলেটা পালিয়ে গিয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে তৃণমূল নেতার ছেলে করছে। তৃণমূলের মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল, আমরা যাইনি। সেই রাগে এই কাজ করেছে বলে মনে করা হয়। আমরা এখন বিজেপি-র সমর্থক।”

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    অভিযুক্তের বাবার কী বক্তব্য?

    অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা বলেন, ঘটনাটি কিছুই জানি না। রাত্রিবেলা এই ঘটনা ঘটে থাকলেও কোনও চিৎকার বা কিছুই হয়নি। তাই জানি না। তাছাড়া আমার ছেলে তো রাতে ঘরেই ছিল। তবে এটা একটা চক্রান্ত চলছে বুঝতেই পারছি। কারণ যারা বিজেপি করে তারা বলেছিল যে আমাদের দল কর। কিন্তু, ছেলে যায়নি বলে ওকে ফাঁসানো হচ্ছে। এসব ঘটনার সঙ্গে আমরা কোনওভাবেই জড়িত নই। ওরা ভোটের আগে এসব করে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন মিটতেই ফের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার এলাকা। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা মহম্মদ আজাহারউদ্দিন ওরফে সিজারের বাড়িতে বোমাবাজি করার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, তৃণমূলের ভরতপুর-২ ব্লকের সভাপতির অনুগামীরা ওই বোমাবাজি করেছে। আর ভোট মিটতেই দলীয় নেতার ওপর ব্লক সভাপতির লোকজনের এই বোমাবাজি করার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, আক্রান্ত পুলিশ কর্মী! (Murshidabad)

    সিজার তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুর-২ ব্লক (Murshidabad) প্রাক্তন সভাপতি। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। শনিবার সাত সকালে সালার থানার উজুনিয়া গ্রামে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুর-২ ব্লক প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিনের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী বোমাবাজি শুরু করে। সেই সময় তৃণমূল নেতার বাড়ির লোকজন তালাবন্ধ করে ভিতরেই থেকে যায়। বোমাবাজির খবর পেয়ে সালার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেই সময় বোমার আঘাতে এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শাসকদলের ব্লক সভাপতি অত্যাচারে প্রাণ নাশের আশঙ্কায় আতঙ্কিত প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আজহারউদ্দিন সিজার। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    ব্লক সভাপতি আমাকে খুন করার চেষ্টা করছে

    তৃণমূল নেতা সিজার (Murshidabad) বলেন, ভোট মিটতেই পরিকল্পিতভাবেই দলের ব্লক সভাপতি আমাকে খুন করার ছক কষেছে। ও নিজেকে একজন খুনের মামলায় অভিযুক্ত। দুষ্কৃতীদের দিয়ে এসব করেছে। যে ভাবে আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে, তাতে আমাকে খুন করা ব্লক সভাপতির উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    অভিযুক্ত ব্লক সভাপতির কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, সিজার সব সময় দুষ্কৃতীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গ্রামের কোনও বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। তারপরই এসব বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের সামনেই হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। সবটাই মিথ্যা অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: “পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে”, বললেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: “পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে”, বললেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে রোড শো করে প্রচারে ঝড় তুললেন বলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শুক্রবার সন্ধ্যায় বীজপুর বিধানসভার হালিশহরে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে রোড শো করে মিঠুন। সুপারস্টারকে দেখতে রাস্তার দুধারে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। বিশেষ করে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

    অর্জুনের সমর্থনে রোড শোয়ে মিঠুন (Mithun Chakraborty)

    আগামী সোমবার রাজ্যের অন্যতম নজর কাড়া কেন্দ্র বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নির্বাচন। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে। এই কেন্দ্রে লড়াই হবে মূলত ত্রিমুখী। তবে, বারাকপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এবং তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের মধ্যে। আর এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর প্রচারে বারাকপুরে আসছেন একের পর এক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী থেকে সেলেবরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে শুক্রবার সন্ধ্যায় বারাকপুর কেন্দ্রে নেমেছিল তারাদের মেলা। এদিন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর জন্য প্রচার করলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন সন্ধ্যায় হালিশহর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। সেই শোভাযাত্রায় প্রার্থী অর্জুন সিং এর সঙ্গে প্রচার চালালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। মনোজ ঘোষ নামে এক বাসিন্দা বলেন, এদিন মহাগুরুকে দেখার জন্য আমি বিকাল থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। মোবাইলে তাঁর ছবিও তুলেছি। কিন্তু, রাস্তায় এত ভিড় ছিল যে আমি মহাগুরুর সঙ্গে হ্যান্ডসেক করতে পারিনি। এই আফশোস থেকে গেল।

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    পরিবর্তন দরকার, নাহলে রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে, বললেন মিঠুন

    রোড শো শেষে মিঠুন (Mithun Chakraborty) বলেন, মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ আর ভিড় দেখছি তাতে আমি আশাবাদী যে এবারও অর্জুন সিং বারাকপুর নিজে দখলে রাখবে। আর পশ্চিম বঙ্গে পরিবর্তন দরকার। নইলে আগামী দিনে এই রাজ্যের অবস্থা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।”  এদিনের বিজেপির এই শোভা যাত্রা হালিশহর থেকে বের হয়ে বলদে ঘাটা পর্যন্ত যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share