Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dakshin Dinajpur: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    Dakshin Dinajpur: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে চালু হবে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে এবার ইলিশ মিলবে কম দামে, হিলিতে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ (আইসিপি)-এর জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা প্রশাসনের হাতে এসেছে। তাতে এই প্রশ্ন উঠেছে এবার গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে হিলিতে ‘আইসিপি’র জন্য জমি কিনতে ২১ কোটি টাকা পাঠিয়েছে বলে জানান আধিকারিকেরা। হিলিতে ২৫ একর জমিতে ওই সুসংহত স্থলবন্দরের পরিকাঠামো গড়ে ওঠার কথা। উত্তরবঙ্গের মধ্যে হিলিতেই প্রথম এই প্রক্রিয়া শুরু হল। এখন রাজ্যের মধ্যে ‘ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট’ বা সুসংহত স্থলবন্দর চালু রয়েছে কেবল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে।

    কম দামে মিলবে ‘পদ্মার ইলিশ’ (Dakshin Dinajpur)

    বর্ষার সময় ‘পদ্মার ইলিশ’ পেট্রাপোল (আইসিপি) হয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার পথ ঘুরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি পৌঁছতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার জন্যই দাম অনেকটা বেড়ে যায়। হিলি (Dakshin Dinajpur) স্থলবন্দর তৈরী হলে পদ্মার ইলিশ এপথে শিলিগুড়ি পৌঁছবে অন্তত ২৫০ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিয়ে। কেবল ইলিশ নয়, ব্যবসায়ীদের দাবি, আরও বেশ কিছু সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে আমদানি শুরু হবে, তেমনই বহু জিনিসের রফতানি বাড়বে। স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত সহজ হবে।

    ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য

    হিলি (Dakshin Dinajpur) রফতানি ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ধীরাজ অধিকারী বলেন, “হিলিতে আইসিপি-র দাবি দীর্ঘদিনের। হিলিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা অনেকটাই কমে গিয়েছে। আইসিপি হলে, যদি কিছুটা বাড়ে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, হিলি স্থলবন্দরের জন্য প্রথমে জমি চাওয়া হয়েছিল ১০০ বিঘা। কিন্তু অতটা জমি নেই বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়। এখন তার চেয়ে কিছুটা কম জমিতেই (প্রায় ৭৫ বিঘা) হিলি সুসংহত স্থলবন্দর তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে ওই জমি জেলা প্রশাসনের কিনে দেওয়ার কথা।

    হিলি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত আইসিপি-র কথা জানতে পেরে, প্রচুর জমিদাতা জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে হিলিতে স্থলবন্দর রয়েছে। যদিও যাত্রীদের জন্য সেখানে সুবিধা কম। পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা থাকলেও হিমঘর, পণ্যের মান পরীক্ষা বা যাচাইয়ের (টেস্টিং ল্যাব) সুযোগ নেই। রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের। সুসংহত স্থলবন্দর চালু হলে, তাতে মিশে যাবে বর্তমানে হিলি স্থলবন্দরের পুরনো সব ব্যবস্থা। সঙ্গে একছাতার তলায় মিলবে আরও বাড়তি ও আধুনিক পরিষেবা।

    আরও পড়ুনঃ ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, “অসুসংহত স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখন নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চালু রয়েছে। তা শেষ হলেই, জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    PM Narendra Modi: ফের রাজ্যে মোদি! সভা করবেন হাওড়া ও সিঙ্গুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে ভোটপ্রচারে (Lok Sabha Election 2024) আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সঙ্গে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সবে লোকসভা ভোটের দুদফা মিটেছে। বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৬ কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আগামী ৭ মে উত্তরে দুই আসনের সঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু দক্ষিণবঙ্গেও। আর তার আগে ফের বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। 

    হাওড়ায় জনসভা মোদির (PM Narendra Modi)

    রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী শনিবার হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি। ওই দিন মোদির সভামঞ্চে উপস্থিত থাকবেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়ার বিজেপি প্রার্থী অরুণ উদয় চৌধুরী। 

    সিঙ্গুরে সভা মোদির  

    বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী শনিবার কলকাতাতেই রাত্রিবাস করবেন মোদি। তার পরের দিনই হুগলি জেলার সিঙ্গুরে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। আগামী ২০ মে হুগলির তিন লোকসভা কেন্দ্রেই ভোট। ওই দিনই নির্বাচন হবে হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রেও। তার আগে জমি আন্দোলনের জন্য সংবাদ শিরোনামে থাকা সদা আলোচ্য এলাকা সিঙ্গুরে সভা করতে চলেছেন মোদি (PM Narendra Modi)। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগর, হুগলির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রীরামপুরের প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু। 
    প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ আরামবাগে সভা করেছিলেন মোদি। এরপর গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। রাজভবনে রাত্রিবাস করে শুক্রবার তিনি (PM Narendra Modi) বর্ধমান, কৃষ্ণনগর এবং বোলপুরে সভা করেন। আর এর এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের হাওড়ায় জনসভা করবেন মোদি।   
    উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তুলনায় চব্বিশের নির্বাচনে বেশি আসন পেতে জোরকদমে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। চলতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির হয়ে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা। ভোট প্রচারে এসে একাধিক প্রচার সভা থেকে সন্দেশখালি কাণ্ড সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন মোদি। এবার উত্তরের পর দক্ষিণবঙ্গের প্রচারে আসছেন মোদি। এবারে যে পাঁচটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের জন্য মোদি সভা করবেন, সেগুলির মধ্যে এক মাত্র হুগলি বাদে বাকি কেন্দ্রগুলিতে গত বার জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এ বার এই পাঁচটি আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে জয়ের সম্ভাবনা দেখছে বিজেপি। মোদির প্রচার ওই কেন্দ্রগুলির কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছে বিজেপি।  

    আরও পড়ুন: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে 

    দিলীপ ঘোষের সমর্থনে জনসভা শাহর 

    মোদির (PM Narendra Modi) পাশাপাশি রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনী জনসভা করছেন শাহও। বিজেপি সূত্রে খবর আগামী সোমবার তিনি (Amit Shah) বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সমর্থনে সভা করবেন। ওই সভায় দিলীপের পাশাপাশি উপস্থিত থাকতে পারেন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী আলুয়ালিয়াও। উল্লেখ্য এর আগে গত মঙ্গলবার বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে সভা করেন শাহ। আর এবার দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করতে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ১৭ বার বেআইনি কাজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। আর তাই যোগ্য-অযোগ্যদের পার্থক্য করতে না পারায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটা বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় একই সমস্যার বিষয় এসেছে বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার এজলাসে। এই মামলায় বিচারপতি সিবিআই-এর রিপোর্টে অনেক বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। এই মামলায়ও টেটে পাশ করা এবং ফেল করা প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন টেটের পরীক্ষা কি আদৌ বৈধ ছিল?

    বিচারপতির প্রশ্ন কী (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা জানতে চেয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কি কখনও আলাদা করে আদলাতে পাশ এবং ফেল করা প্রার্থীদের তালিকা জমা দিয়েছে? না দিলে তালিকা জমা দেওয়ার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে? তিনি আরও জানতে চান, যাদের টেটের ফলাফলে ভূয়ো ওয়েবসাইটে নাম দেখানো হয়েছে, যারা ভূয়ো ইমেলে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছে তাদের কি যোগ্য বলে গণ্য করা হবে? বিচারপতি অবশ্য এখনই কোনও রায় দেননি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে কিছু প্রশ্ন করেন। আগামী জুন মাসে এই মামলার ফের শুনানি হবে।

    চাকরিপ্রার্থী আইনজীবীদের বক্তব্য

    এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থী আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কারা টেট পাশ করে ছিল এবং কারা টেট পাশ করেনি এই বিষয়ে পর্ষদের কাছে কোনও উত্তর নেই। এখনও পর্যন্ত পৃথক করে দেখাতে পারেনি কোর্টে (Calcutta High Court)। তবে যাদের কাছে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি আছে তাদের পাশ-ফেল নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়।”

    আরও পড়ুনঃ ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে

    ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছেনা!

    ২০১৬, ২০২০, ২০২২ সালের নিযুক্ত শিক্ষকেরা অনেকেই ২০১৪ সালের টেটে পাশ করেছিল। আদলাতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উত্তরপত্রের ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছেনা। পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন যে পর্ষদ যে বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে উত্তরপত্র দেখার দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই উত্তরপত্র স্ক্যানে গোলমাল হয়েছে। এই কোম্পানি কেন উত্তরপত্র স্ক্যান করে পর্ষদের সরকারি ইমেলে না পাঠিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের ইমেলে পাঠিয়ে ছিল? ফলে দুর্নীতি ছত্রে ছত্রে হয়েছে অনুমান করা হচ্ছে। তাই ২০১৪ সালের টেটের রায় শেষ পর্যন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Viral Video: বিকৃত করা হয়েছে গলার স্বর! অভিষেকের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চিঠি সন্দেশখালির গঙ্গাধরের

    Sandeshkhali Viral Video: বিকৃত করা হয়েছে গলার স্বর! অভিষেকের বিরুদ্ধে সিবিআইকে চিঠি সন্দেশখালির গঙ্গাধরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি। শনিবার সকাল থেকে সন্দেশখালির একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও (Sandeshkhali Viral Video) ঘিরে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার সেই ভিডিওকেই সামনে রেখে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে সিবিআইকে (CBI ) চিঠি দিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেতা। ইতিমধ্যেই সিবিআইকে মেল করে এটি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। সন্দেশখালির ঘটনায় যেহেতু সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে, সেই কারণে এই প্রসঙ্গটি নিয়ে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দেশখালি-২ মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল (Gangadhor Koyal)।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sandeshkhali Viral Video) 

    ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে গঙ্গাধর কয়াল তাঁর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন আইপ্যাক সংস্থার নাম। দুপাতার চিঠি লিখেছেন তিনি। গঙ্গাধর কয়াল বলেন, “ভিডিওটি চক্রান্ত। আইপ্যাক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুখ ও গলার আওয়াজের বিকৃতি ঘটিয়ে এটা করেছে। আইপ্যাক ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।”

    ঠিক কী ছিল ভাইরাল ভিডিওতে?  

    শনিবার সকালেই একটি ভিডিও ভাইরাল (Sandeshkhali Viral Video) হয় সমাজমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গঙ্গাধর কয়াল জনৈক একজনকে জানাচ্ছেন, সন্দেশখালির ঘটনা ‘সাজানো’। অর্থের বিনিময়ে মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগ লেখানোর কথা বলা হয়েছে। ওই ভিডিওতে এক মহিলাকেও দেখা গিয়েছে সেই কথা স্বীকার করে নিতে।

    আরও পড়ুন: পেঁয়াজ রফতানিতে উঠল নিষেধাজ্ঞা, আরোপ হল ন্যূনতম রফতানি মূল্য

    গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য (Gangadhor Koyal)

    এ প্রসঙ্গে গঙ্গাধর জানিয়েছেন, ‘‘এই চক্রান্ত করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইপ্যাক সংস্থা। সন্দেশখালির মা-বোনেদের আন্দোলন, আমাকে এবং আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কলঙ্কিত করার জন্য।’’ আদালতের নির্দেশে সন্দেশখালির তদন্তে নেমে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি ইমেল আইডি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে খুলে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শনিবার রাতে ওই ইমেল আইডিতে অভিযোগ জানিয়েছেন গঙ্গাধর।
    গঙ্গাধরের অভিযোগ, “‘উইলিয়ামস’ (Williams) নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সেখানে এমনভাবে ভিডিওটি (Sandeshkhali Viral Video) বিকৃত করা হয়েছে, যেখানে ভিডিও ক্লিপের সঙ্গে লিপ মুভমেন্ট স্পষ্ট নয়। বক্তার মুখ অন্ধকারে রাখা হয়েছে। অডিও কোয়ালিটি স্পষ্ট নয়। ৩ মে ইউটিউব চ্যানেলটি খোলা হয়েছে। আর ইউটিউব চ্যানেলটি থেকে একটি মাত্রই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে সম্মানহানি করতেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে এই ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সিবিআই তদন্ত করলে সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

    যদিও এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মন্তব্য, “সিবিআই ইডি কী করবে? আমাকে জেলে ঢোকাবে? সত্যি কথা বলার জন্য যদি জেলে ঢোকায়, ঢোকাক।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে

    Weather Update: ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০-৬০ কিমি বেগে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। রবিবার কলকাতা সহ সব জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। সোমাবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় হতে পারে এই কালবৈশাখী ঝড়। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে আগামী বুধবার পর্যন্ত যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কলকাতা–সহ দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকেই বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে এই বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে আবার ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    বাড়তি সতর্কতাজারি

    ঝড়ে হাওয়ার (Weather Update) কারণে ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফতর থেকে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৬ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে একই সঙ্গে। সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা 0.৫ থেকে ১.২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রার কারণে দক্ষিণবঙ্গে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। কলকাতায় তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৩ ডিগ্রি। কলাইকুণ্ডাতে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৪৫ ডিগ্রি। গরম থেকে বাঁচতে এই বৃষ্টির সম্ভাবনা মানুষকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজ রফতানিতে উঠল নিষেধাজ্ঞা, আরোপ হল ন্যূনতম রফতানি মূল্য

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গেও একই সঙ্গে বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তবে সোমবারেও কোনও কোনও জেলায় তাপপ্রবাহের অস্বস্তি থাকবে। বিকেলে দিকে ঠান্ডা হাওয়া এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • C V Anand Bose: “স্ক্রিপ্টেড। গোটা ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত” রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বললেন দিলীপ

    C V Anand Bose: “স্ক্রিপ্টেড। গোটা ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত” রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বললেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট চলাকালীন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল বঙ্গীয় রাজনীতিতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এই ইস্যুতে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়ালেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)

    রাজ্যপালের পাশে দিলীপ

    সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Anand Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলা কর্মী। ইতিমধ্যে সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এর মাঝে শনিবার নিউটাউনে ইকো পার্কে (Eco Park) এই গোটা ঘটনাই ‘স্ক্রিপ্টেড’ বলে দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এই সমস্ত ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করেছে। এগুলো তারাই করছে। পুরো স্ক্রিপ্ট তৈরি ছিল। তৃণমূল একাই চেঁচাচ্ছে। আর কারুর কোনও টেনশন নেই। কারণ সবাই জানে এর পিছনে কে আছে। তৃণমূল এবং সরকারের অপকীর্তির বিরুদ্ধে বললে এটা হয়। ওনার বিরুদ্ধে এখনও কোনও কেস করতে পারেনি ওরা। কালো পতাকা দেখিয়েছে, গো ব্যাক বলেছে। কিছু হয়নি। এখন এটাই শেষ অস্ত্র। তৃণমূল কথায় মহিলা মহিলা বলে। মহিলাদের সম্মান করে না। তাঁদের ব্যবহার করে। এখানেও একজন মহিলাকে ব্যবহার করা হয়েছে।

    পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

    তিনি আরও বলেন, “পুলিশ (Police) তো তদন্ত কমিটি করবেই। আমার বিরুদ্ধে আপনি একটা অভিযোগ করুন। তদন্ত দল তৈরি হয়ে যাবে। বাকি হাজার কোটি লুঠ খুন ধর্ষণ সেখানে কতজন গ্রেফতার হয়েছে? তারা বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ কী করেছে? পুলিশের কী যোগ্যতা? এবং সরকারের কী ইচ্ছা, সবই আমরা জানি। সম্মানীয় মানুষকে কীভাবে অপমান করতে হয়, তৃণমূল তা দেখিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি সহ কাউকেই অপমান করতে ছাড়েনি। এমনকি হাইকোর্টের (High Court) মহিলা বিচারকের স্বামীকে সিআইডি (CID) দিয়ে ডেকে পাঠিয়েছে। তৃণমূলের এই নিকৃষ্ট রাজনীতি একদিন তাদের পতনের কারণ হবে।

    শ্লীলতাহানির অভিযোগকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল

    লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে। শুক্রবার রায়নায় নির্বাচনী সভা থেকে বোসকে নিশানা করেন মমতা। তবে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে বিঁধলেন দিলীপ। তাঁর মতে, “পুরো স্ক্রিপ্ট তৈরি ছিল। সবাই জানে এর পিছনে কে আছে।  তৃণমূল মহিলাদের সম্মান করে না। তাঁদের ব্যবহার করে। এখানেও একজন মহিলাকে ব্যবহার করা হয়েছে। সম্মানীয় মানুষকে কীভাবে অপমান করতে হয়, তৃণমূল তা দেখিয়ে দিয়েছে।”

  • Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দমদম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। পানীয় জলের সঙ্কটের জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিলেন বাসিন্দারা। এবার সেই বোর্ডেরই পুরপ্রধান পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন। ভোটের আগে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পানিহাটি অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন চেয়ারম্যান (Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৫টি। গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ বোর্ড মিটিং। পানীয় জল, জঞ্জাল, বিদ্যুৎ, নিকাশি নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তার ওপর ঠিকাদারদের প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো বকেয়া থাকায় তারাও কোনও কাজে হাত দিচ্ছেন না। ফলে, থমকে উন্নয়নের কাজ। একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পানিহাটি জুড়ে। এই অবস্থার মধ্যে চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য কাউন্সিলরদের একটা অংশ সরব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুরবোর্ড ক্ষমতায় থাকার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে শহর। পানীয় জলের সঙ্কট তো রয়েছে। এই অবস্থা কাটিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক আমরা চাই। অন্যদিকে,পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল নেতার নির্দেশে বাড়িতে মজুত বোমা তৈরির মশলা-আগ্নেয়াস্ত্র”, জানালো ধৃত দুষ্কৃতী

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    মানুষের ক্ষোভ যখন দিনে দিনে বাড়ছে তখন পুরপ্রধানের চেয়ারে বসে পানিহাটির (Panihati) সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি বললেন, ঠিকাদারদের যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে বলা হচ্ছে সেই কাজ হয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ওই কাজ করা হয়েছিল। যার বেশিরভাগই হয়েছিল কোনওরকম টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া। স্বপক্ষে কাগজপত্রও ঠিকঠাক নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে বিপুল পরিমাণ ওই টাকার কাজ কিভাবে হলো? যদিও তা নিয়ে খোলসা না করলেও পুরো প্রক্রিয়াটার পিছনে কারোর না কারোর মদত ছিল বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ আমি পুরপ্রধানের চেয়ারে বসার পর থেকে সমান্তরাল প্রশাসন চালানো হচ্ছে। বোর্ড মিটিং ডাকলে কাউন্সিলরদের একটা অংশ ইচ্ছাকৃত ভাবে হাজির হচ্ছেন না। যাতে বোর্ড মিটিং না হয়। ঠিকাদাররা কাজ করতে চাইছেন না।

    পানিহাটির বিধায়ক কী বললেন?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘ প্রথমত আমি পুরসভা দেখিনা। তার ওপর চেয়ারম্যান তো অসুস্থ।আর সেকারণে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব তাকে পদত্যাগ করতে বললেও তিনি করেননি। তবে আমি নির্বাচনের মুখে মুখ খুলতে চাইনা। কাউকে চটাতেও চাইনা। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব পুরপ্রধানের। উনি যদি নিজের ব্যর্থতাকে তদন্ত দিয়ে ঢাকতে চান করবেন’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Video: সন্দেশখালিতে ‘স্টিং অপারেশনের’ ভিডিওর সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

    Sandeshkhali Video: সন্দেশখালিতে ‘স্টিং অপারেশনের’ ভিডিওর সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) একটি ভিডিও নিয়ে ভোটের বাজারে হাওয়া গরম করার খেলায় মেতে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার একটি ‘স্টিং অপারেশনের’ ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে রাজ্যের বিরোধী দলের এক স্থানীয় নেতাকে প্রায় অন্ধকারে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায়। ওই নেতার নাম গঙ্গাধর কয়াল। যদিও ওই ভিডিওর (Sandeshkhali Video) সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। আর সেই ভিডিওকে হাতিয়ার করে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সম্মানহানি করেন অভিষেক। প্রত্যুত্তর দিতে দেরি করেনি বিজেপিও (BJP Attacks Abhishek)। 

    শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন অভিষেকের

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় যে রাজ্যের শাসক দলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর তাই এবার সেই জমি ফিরে পেতে শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন করলেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ওই ‘স্টিং অপারেশনের’ ভিডিওর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দাবি করে বসলেন যে, ধর্ষণের সব অভিযোগ মিথ্যে। সকলকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, তাঁর দাবি, ২ হাজার নিয়ে ওই নির্যাতিতারা ‘মিথ্যে’ ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এখানেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন (BJP Attacks Abhishek)।

    তৃণমূলের দাবি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন

    এক, তাহলে মহিলাদের সম্ভ্রমের দরও এখন ঠিক করে দিচ্ছেন অভিষেক? দুই, ২ হাজার টাকার জন্য নির্যাতিতারা মিথ্যে বলতে যাবেন কেন? তাও এক-দুজন নয়… এতজন? এও কি সম্ভব? তিন, সম্ভ্রমের চেয়ে ২ হাজার টাকা কি কখনও বড় হতে পারে? চার, তাহলে ওই মহিলাদের কান্নাও কি মিথ্যে? এত মা-বোনেদের চোখের জল মিথ্যে? এটাই কি বলতে চাইছে তৃণমূল? পাঁচ, সন্দেশখালির শয়ে শয়ে মহিলা ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন শাহজাহান-বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাঁরা সকলে মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য এটা করেছিলেন! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য (BJP Attacks Abhishek)? 

    শাহজানদের কুকর্ম ঢাকতে মরিয়া তৃণমূল

    এই দাবি করে প্রত্যেক নির্যাতিতাকে অপমান করেছে তৃণমূল। তৃণমূল এতটাই নীচ কাজ করতে পারে। এর থেকেই স্পষ্ট, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ ও তাঁর ভাই ও শাকরেদদের কুকর্ম ঢাকতে গিয়ে এবার ধর্ষণের ঘটনাকে ভুয়ো বলে ধামাচাপা দিতে চাইছে তারা। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গর্জে উঠেছে। তৃণমূলের পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে। আর তাই এখন তৃণমূল গোটা ঘটনাকে সাজানো আখ্যা দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে (BJP Attacks Abhishek)। 

    সম্ভ্রামহননের পর এবার চরিত্রহনন

    এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, মহিলাদের ক্যারাক্টার সার্টিফিকেট নিতে হবে অভিষেকের থেকে? অভিষেক ঠিক করবেন, ওই মহিলাদের ধর্ষণ হয়েছিল কি না! প্রশ্ন উঠছে, কেউ একজন বলল, শুভেন্দুর কথায় হয়েছে বা ২ হাজার টাকার বিনিময়ে হয়েছে, তা শুনেই সকলে বিচারক হয়ে গেল? আর যে ভিডিও (Sandeshkhali Video) নিয়ে এত তোলপাড়, তার সত্যতা কী? সেটা বিকৃত হতে পারে। প্রযুক্তির ব্যবহারে বদল করাও হতে পারে। সত্যতা যাচাই করা এখনও হয়নি। ফলে, একটা অযাচাই করা ভিডিও দেখে সন্দেশখালির মহিলাদের ফের একবার সম্মানহানি করতে নেমে পড়েছেন অভিষেক (BJP Attacks Abhishek)। প্রথমে সম্ভ্রামহনন, আর এবার মহিলাদের চরিত্রহনন করা শুরু করেছে তৃণমূল। এটাও তো ধর্ষণের সামিল… শারীরিক না হলেও মানসিক।

    ভিডিওর সিবিআই তদন্তের দাবি রাজ্য বিজেপির

    ইতিমধ্যেই, ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ভোটে হারবে জেনে তৃণমূল নতুন ফন্দি এঁটেছে। তিনি বলেন, ‘‘ভাইপো (BJP Attacks Abhishek) আর আইপ্যাকের পরিকল্পনা করে তৈরি এই ভিডিও। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ দলের রাজ্যসভার সাংসদ শমীর ভট্টাচার্য ভিডিওটিকে ভুয়ো দাবি করে বলেন, বিরোধী দলনেতাকে কালিমালিপ্ত করতে এটা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তৃণমূল আসলে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতাদেরই অপমান করল। বিজেপি নেতা জানিয়ে দেন, তাঁরা চান, সন্দেশখালি নিয়ে যে ভিডিও (Sandeshkhali Video) ভাইরাল হয়েছে, তার সিবিআই তদন্ত হোক। রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ‘‘তৃণমূল সব কিছুতেই সাজানো ঘটনা দেখে। সন্দেশখালির মহিলারা এসে কোর্টে তাঁদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন।’’ গঙ্গাধর কয়াল নিজেও অবশ্য দাবি করেছেন ভিডিওতে তাঁকে দেখা গেলেও কণ্ঠস্বর তাঁর নয়। সেকারণে তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: আর্থিক প্রতিকুলতাকে জয় করে মাধ্যমিকে স্টার দিনমজুরের ছেলে অপু, পড়াশুনা নিয়ে চিন্তায় পরিবার

    Balurghat: আর্থিক প্রতিকুলতাকে জয় করে মাধ্যমিকে স্টার দিনমজুরের ছেলে অপু, পড়াশুনা নিয়ে চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকে স্কুলের সেরা হয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল দিনমজুরের ছেলে অপু ঘোষ। মাধ্যমিক দিয়েছিল বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার বেলবাড়ি কাদিহাট উচ্চবিদ্যালয় থেকে। বাংলায় পেয়েছে ৯০, ইংরাজিতে ৬৫। অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান, জীবনবিজ্ঞান, ও ভূগোল- প্রতিটি বিষয়ে নম্বর নয়ের ঘরে। অঙ্কে ও ভৌতবিজ্ঞানে পেয়েছে ৯৪। জীববিজ্ঞানে ৯৮। ভূগোলে ৯৯। ইতিহাসে নম্বর সামান্য কম, পেয়েছে ৮৬।

    বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করতে চায় (Balurghat)

    বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গারামপুর ব্লকের বেলবাড়ি ঘোষ পাড়ার আনন্দ ঘোষ ও শিবানী ঘাষের এক মাত্র ছেলে অপু। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা গৃহবধূ। পরিবারে অভাব অনটন নিত্য সঙ্গী। অপুর সাফল্যে বাবা-মায়ের চোখে জল। ছেলের পড়াশুনার জন্য সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান অপুর পরিবার। অপু বলে, ‘বাবা দিনমজুর। যা আয় করেন সেটা সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ে একজন গৃহশিক্ষক ছিল। তাও পরীক্ষার মাত্র চারমাস আগে তাঁকে পেয়েছিলাম। বাকি বিষয় নিজেই পড়তাম। ৬২৬ পাব ভাবতে পারিনি। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করতে চাই।’ ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু, বাবার রোজগার তেমন নয়। সাহায্য করলে ভালো লাগত।’

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল নেতার নির্দেশে বাড়িতে মজুত বোমা তৈরির মশলা-আগ্নেয়াস্ত্র”, জানালো ধৃত দুষ্কৃতী

    সহযোগিতার আশ্বাস স্কুল কর্তৃপক্ষের

    বাবা আনন্দ ঘোষ বলেন, ‘ভাবতে পারিনি ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এত ভালো ফল করবে। আর্থিক সমস্যার জন্য গৃহশিক্ষক দিতে পারিনি। পরীক্ষার মাত্র চার মাস আগে বিজ্ঞান বিষয় পড়াতে একজন গৃহশিক্ষক রেখেছিলাম। ছেলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। আমার সামান্য আয় দিয়ে কীভাবে ছেলেকে লেখাপড়া করাবো বুঝে উঠতে পারছি না। সরকারি সাহায্য পেলে ভীষণ ভালো হত।’ ছেলের সাফল্যে খুশি মা শিবানী ঘোষ বলেন, ‘রেজাল্ট দেখে আমারও ভালো লাগছে। কিন্তু আগামীদিনে কীভাবে ছেলের স্বপ্নপূরণ করব, তা নিয়ে চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না।’ বেলবাড়ি কাদিহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পার্থ সরকার বলেন, অপুর যেন সমস্যা না হয় তার জন্য আমাদের সহযোগিতা থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA Investigation: দাড়িভিট-ময়না হত্যাকাণ্ডে অবশেষে এফআইআর দায়ের করল এনআইএ, বিপাকে রাজ্য

    NIA Investigation: দাড়িভিট-ময়না হত্যাকাণ্ডে অবশেষে এফআইআর দায়ের করল এনআইএ, বিপাকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিট ও ময়নাহত্যাকাণ্ড ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA Investigation)। রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দিক, ঠিক এমনটাই দাবি করে আদালতে আবেদন করেছে এনআইএ। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে এই দুই জায়গার ঘটনার তদন্ত একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার উপর অনেকটাই চাপ বাড়ল বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। বিজেপি অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্যের তদন্তে খুশি নয় বলে জানিয়েছিল।

    ২০১৮ সালে দাড়িভিট হত্যাকাণ্ড হয় (NIA Investigation)

    উত্তর দিনাজপুরে দাড়িভিটে এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি প্রথমে তদন্ত শুরু করেছিল। ঘটনায় মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ২০ সেপ্টেম্বর উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে দুই জন ছাত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আবার ২০২৩ সালে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে (NIA Investigation)। ঘটনার আগের তদন্তের সকল নথি পেতে তদন্তকারী সংস্থা এই এফআইআর করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনে ফের প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন অমিত শাহ

    বিজেপির দাবি

    এই দুই জায়গার ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের দিকে নিশানা করে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের মধ্যেই এনআইএ-র ভূমিকা নতুন করে শোরগোল ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। দুটি ঘটনায় দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ একান্ত ভাবে জড়িত বলে মনে করে তদন্তকারী সংস্থা। আর তাই এই বিষয়কে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে চায় তাঁরা। গতবছর ১০ মে কলকাতা হাইকোর্ট দাড়িভিট হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-কে। কিন্তু এক বছর হতে চলল পুলিশ কোনও রকম তদন্তে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ তুলেছে এনআইএ (NIA Investigation)। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল এনআইএ তদন্তের। ফলে আগামী দিনে তদন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share