Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, উঠল শাহজাহানের ‘ফাঁসির’ দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকায় মহিলারা শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে জনরোষ কমাতে গ্রামে অভিযোগপত্র জমা নেওয়ার জন্য পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার বিকালে মিছিল করে শাহজাহান বাহিনীর অন্য সদস্য সিদ্দিক মোল্লা, সিরাজ মাস্টারদের গ্রেফতারের জানানোর জন্য অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা অভিযোগ না জানিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিন শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পরই আন্দোলনকারীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। আবির খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা।

    শাহজাহানের ফাঁসির দাবি উঠল! (Sandeshkhali)

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জামাই আদর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। এখনও শাহজাহানের ভাই সিরাজ বাইরে। সিদ্দিক মোল্লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। অথচ এই বাহিনীর লোকজনই গ্রামের অত্যাচার করত। খাল কাটার ১৫ কোটি টাকা মেরেছে। রাস্তা না করে টাকা হাতিয়েছে ওরা। জব কার্ডের টাকা মেরেছে। ওরা জেলের বাইরে থাকলে আমরা ভয়ে থাকব। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের গ্রেফতারে দাবিতে আমরা ফের পথে নামব। এদিন অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। তবে, আগামীদিনে ফের ক্যাম্পে এসে অভিযোগ জানাব। এতদিন ধরে তারা এলাকায় য়ে তাণ্ডব চালিয়ে, তার তালিকা সব আমাদের কাছে রয়েছে। এবার সব তথ্য দিয়ে অভিযোগ জানাব। তাঁরা আরও বলেন, আর শাহ জাহানকে জামাই আদর করে রাখা চলবে না। ও কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ওর ফাঁসি চাই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

    ভোট দিতে দিত না শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী!

    এই শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর দাপটের কারণে বছরের পর বছর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ ভোট দিতে পারতেন না। তাঁদের অভিযোগ, কেউ ৩ বছর, কেউ ১০ বছর আবার কেউ ১১ বছর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। কী হত ভোটের দিনগুলো এই সন্দেশখালিতে? মাঝেরপাড়ার এক মহিলার ভোটার বলেন, ভোটের দিন এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ভোটের ঘরের ভিতরে ঢুকতেই কাগজপত্র নিয়ে নখে কালি লাগিয়ে দিত শাহজাহানের লোকজন। এরপরই ভোটের কাগজটা হাত থেকে নিয়ে নিত ওরা। ইভিএমে বোতাম আর টিপতে পারতাম না। ওরা সব করত। আমরা কথা বলতে পারতাম না। তাঁরা বলছেন, যতদিন না শেখ শাহাজাহানকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন তাঁরা একটু ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান কেউ কেউ। পুকুরপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, শাহজাহানের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ভয় আছে। আমরা আজ আনন্দ করছি ঠিকই, কিন্তু এটা এখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর সভা

    Suvendu Adhikari: ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর সভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার হওয়ার খুশিতে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া বাজার, শেখ শাহজাহান মার্কেটসহ একাধিক জায়গায় মিষ্টি বিতরণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ১০ মার্চ তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই সন্দেশখালিতে বিশেষ সভা করবেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেন, “পুলিশ যদি সভার অনুমতি না দেয় তাহলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।” রেশন দুর্নীতি, জোর করে জমি দখল এবং হিন্দু মহিলাদের বাড়ি থেকে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌননির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের পুলিশি গ্রেফতারে  তীব্র শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    হাইকোর্টের অনুমতিতে ফের সন্দেশখালিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালি-মিনাখাঁ বিধানসভায় দুটি জায়গায়কে ঠিক করেছে নিজেপি। সকাল ১০টায় এই সভা হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে গিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাস্তায় রামপুর ফেরিঘাট থেকে লঞ্চে করে সন্দেশখালি বাজারে পৌঁছান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং অর্চনা মজুমদার। তিনি পৌঁছে হালদার পাড়া সহ একাধিক জায়গায় পরিদর্শন করে মানুষের অভাব, অভিযোগের কথা শুনেছেন। সেই সঙ্গে এলাকার মানুষ শঙ্খ, উলু ধ্বনি, এবং পুষ্প বর্ষণ করে গ্রামের মহিলারা বরণ করে নেন। বেশ কিছু জায়গায় পায়ে হেঁটে আবার টোটোতে চেপে ঘুরে দেখেন তিনি। এর মধ্যেই সাংবাদিকদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    আজ বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “একজন বলেছিলেন সন্দেশখালিতে এলে আমার ছাল আর চামড়া ছাড়িয়ে নেবেন। তাই আজ এসে মিষ্টি খেয়ে গেলাম। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি বাড়িতে বসে থাকতে পারিনা। মানুষ নিজের উপর তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাইছে। তাই মানুষের দাবিকে সমানে রেখে আমাদের আন্দোলন চলবে। মানুষ অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন, দোষীদের শাস্তি হবে তো? বিচার পাবো তো? ফের এলাকায় ফিরে এসে শাহজাহান অত্যাচার করবে না তো। তাই মানুষকে ভয় মুক্ত করা আমাদের একমাত্র কাজ। সন্দেশখালি এবং মিনাখাঁ এই দুই বিধানসভাকে নিয়ে আমরা ৩০ হাজারের মানুষের সভা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর হামলার ঘটনা আদালতে কার্যত স্বীকার করে নিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহানের মতো এক তথাকথিত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আদালতে এক কথায় স্বীকার করে নিলেন নিজের অপরাধ! অবাক রাজনৈতিক মহল। শাহজাহানের স্বীকারোক্তিই তো পুলিশের কেস শক্ত করে দিল। সহজেই আরও জিজ্ঞাসাবাদের ‘অজুহাতে’ পুলিশের হেফাজতে চলে গেলেন শেখ শাহাজাহান। তিনি কি নিজেই চাইছেন পুলিশের কাছে থাকতে, বা বলা ভালো, রাজ্যে থাকতে?

    পুলিশের দাবি

    মিনাখাঁ থেকে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সোজা তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এ দিন পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ।

    নথিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। যে সমস্ত সমাজবিরোধী গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির সামনে ইডি আধিকারিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটে যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করতে শাহজাহানই পথ বলেও নথিতে দাবি করেছে পুলিশ। লুট হওয়া মালপত্রের কিছুই এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরেই দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি লুটের মাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। তাই পুলিশ হেফাজতেই থাক শহজাহান। 

    শাহজাহানের স্বীকারোক্তি

    এদিন আদালতে মাত্র ১০ মিনিট সওয়াল জবাব হয়। শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। তখনই শাহজাহান বলেন, ‘‘সাত সকালে কোনও নোটিশ ছাড়া ইডির আধিকারিকরা আমার বাড়তে এসেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমি গ্রেফতারির আশঙ্কা করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই অনুগামীদের ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা করার নির্দেশ দিই। তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিতে বলি।’’ এত সহজে দোষ স্বীকার করে নিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা! প্রশ্ন উঠছে ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এই স্বীকারোক্তি নয় তো? রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থাকলে অন্তত কিছুদিন ঠেকানো যাবে ইডিকে।

    আরও পড়ুুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সেফ কাস্টোডিতে শাহজাহান!

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের মামলা আপাতত সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে। তারাই এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শাহজাহানকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থেকে বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হয় ভবানী ভবনে। আগামী ১০ দিন তিনি সেখানেই থাকবেন। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের গোয়ান্দারা শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, বলে খবর। পুলিশের আনা অভিযোগ এক প্রকার মেনে নিয়েছেন সন্দেশখালির নেতা। পুলিশকে  সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সামনে লোকসভা নির্বাচন রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনাকে হাতিয়ার করেই শাহজাহানকে ইডি-র হাত থেকে বাঁচাতে চাইছে মমতার পুলিশ? ভোটের আগে ইডি ছুঁলে রক্ষে নেই তাই অন্তত কিছুদিন পুলিশের সেফ কাস্টোডিতে থাকাই ভাল! প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই গ্রেফতারি সত্যিই ফেক, এই কাস্টোডি মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট। যেমনটা বলছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: এবার গ্রেফতার শাহজাহানের ডান হাত তৃণমূল নেতা আমির আলি গাজি

    Sandeshkhali: এবার গ্রেফতার শাহজাহানের ডান হাত তৃণমূল নেতা আমির আলি গাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গ্রেফতার শাহজাহানের ডান হাত আমির গাজি। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। আজ ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। তিনি শেখ শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে পরিচিত। তাঁকে আজ ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত। সন্দেশখালির নিপীড়িত এক মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল বসিরহাট আদালতে। সেই গোপন জবানবন্দিতে স্পষ্ট ছিল আমির আলি গাজির নাম। 

    রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার (Sandeshkhali)

    আমিরের বাড়ি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। ইতিমধ্যে এই কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া উত্তম সর্দার, শিব প্রসাদ হাজরার সঙ্গে খুব নিবিড় সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাঁর বিরুদ্ধেও এলাকায় জমি দখল, চাষের জমি নষ্ট করা, মারধর করা, বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা, এমনকি খুনের হুমকি এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ওড়িশার রাউরকেল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পেরেছে রাউরকেল্লায় রয়েছেন আমির, আর তারপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় আজ।

    ৫৫ দিন পর গ্রেফতার

    দক্ষিণবঙ্গের আধিকারিক পুলিশের এডিজি সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের উপর আক্রমণের ৫৫ দিন পর পলাতক নেতা শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই গ্রেফেতারকে ‘মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বলেছেন। বসিরহাট আদালতে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ভাবানী ভবনে তাঁকে রাখা হয়েছে। একই ভাবে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এই সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে। অপর দিকে তৃণমূলের তরফ থেকে গ্রেফতারের পর সাংবাদিক সম্মলেন করে বলা হয়েছে, শাহজাহানকে আগামী ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: আস্থা স্পেশালে ভক্তরা রওনা দিলেন রামমন্দির, স্টেশনে শুভেচ্ছা জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উপস্থিতিতে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিল আস্থা স্পেশাল ট্রেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দির ও অযোধ্যা একটা বড়সড় রাজনৈতিক হাতিয়ার বিজেপির কাছে। বুধবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট স্টেশনে আস্থা স্পেশাল ট্রেনকে রওনা করানোর উদ্দেশ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে থেকেই বারবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে। বালুরঘাট প্ল্যাটফর্মে রেলের পক্ষ থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে ১৪৭০ জন তীর্থযাত্রীকে  নিয়ে বুধবার রাত আটটায় অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেয় স্পেশাল ট্রেন।

    বিশেষ ট্রেন নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    রেলের আয়োজিত এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জেলা থেকে যে পরিমাণ দর্শনার্থীর আশা আমরা করেছিলাম, তার থেকে বেশ কয়েক গুণ মানুষ যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায়নি। আগামীতে যাতে সবাইকে সুযোগ দেওয়া যায় তার জন্য রেলের কাছে আবার আবেদন জানানো হবে। ভোটের আগেই আরও একবার ট্রেন বালুরঘাট থেকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    বিশেষ ট্রেনের যাত্রীরা কী বললেন?

    তপনের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসা মণিরাম টুডু বলেন, দীর্ঘদিনের আশা ছিল তীর্থ ভ্রমণ করার, এবার সেই সুযোগ হাতের কাছে পাওয়া গেছে। মাথাপিছু ১৬০০ টাকা দিয়ে অযোধ্যা ঘুরে আসতে পারবো, তা কখনও ভাবিনি। অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হল। আস্থা স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী নারায়ণ কামেথ বলেন, রাম মন্দির আন্দোলনের প্রথম দিক থেকেই এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। একসময় স্বপ্ন দেখতাম মন্দির  তৈরি হবে। আজ সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। অযোধ্যা নিয়ে  যাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় সাংসদকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের কোর কমিটি সদস্য সুভাষ চাকি এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ধর্ম বহিঃপ্রকাশ ভারতীয় সংস্কৃতি নয়, সে যে কেউ তীর্থ করতে যেতেই পারেন। কিন্তু ধর্মীয় আবেগকে নিয়ে যে রাজনীতি বিজেপি করছে তার পরিণাম ভালো হবে না ভবিষ্যতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির ২৩টি জায়গায় জারি হল ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির ২৩টি জায়গায় জারি হল ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান প্রায় দুমাস ফেরার থাকার পর গ্রেফতার হলেন। আর দাপুটে তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতলেন সন্দেশখালিবাসী। মহিলাদের নাচতে দেখা যায়। সন্দেশখালি এলাকায় হয় মিষ্টি বিতরণ। আর শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২৩টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

    কোথায় জারি করা হল ১৪৪ ধারা (Sandeshkhali)

    শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির পর এই প্রথম সন্দেশখালি (Sandeshkhali)  ১ নম্বর ব্লকেও জারি করা হল ১৪৪ ধারা। তৃণমূল নেতার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা-সহ ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬টি জায়গায় ৩ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি এলাকায় ৩ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এর মধ্যে কয়েকটি এলাকার ১৪৪ ধারার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সন্দেশখালির দুটি ব্লক মিলিয়ে ৪৯টি এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এগু্লি হল পঞ্চায়েতের ত্রিমণি বাজার, খুলনা ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, সন্দেশখালি ঘাট ও পাত্রপাড়া, দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাববেড়িয়া বাজার, দাউদপুর ও ডুগডুগি বাজার, খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতুলিয়া বাজার, খুলনা বাজার ও হাটগাছা বাজার, বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামাখালি ঘাট, আতাপুর, পোলপাড়া ও রামপুর, জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আজিজের ঘাট, পিঁপড়েখালি ঘাট ও হালদার পাড়া, বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠপােল, বটতলা ও কাছারি ঘাট, মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালের ঘাট এবং কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুচনিখালি বাজার।

    এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) কী বললেন?

    এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার বলেন, ‘গত ৭-৮-৯ ফেব্রুয়ারি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। এরপর ইডি-র উপর হামলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে। কয়েকটি ধারায় মামলাও শুরু হয়। তবে এই মামলাগুলি সব দু’বছরের পুরনো ঘটনা। দু’দিন বছর আগে যে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয় তাতে তদন্ত করতে, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে কিছু সময় লাগে। তবে যে মামলায় আমরা তদন্ত করতে পারতাম (ইডি-র উপর হামলা) সেই মামলায় আমাদের স্থগিতাদেশ ছিল। তাই জন্য গ্রেফতার করা যায়নি। এদিন নতুন করে বেশকিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    Sheikh Shahjahan: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার পর ফেরার ছিলেন সন্দেশখালির ডন শেখ শাহজাহান। প্রায় দুমাস ধরে চলেছে লুকোচুরি খেলা। ইডি-র ওপর হামলার পর তার গোটা প্রশাসনকে কার্যত ঘোল খাইয়েছেন শেখ শাহজাহান। দেড় মাস ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন তিনি। কিন্তু, সব ছবিই তাঁর পুরনো, কোনটা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া, কিংবা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা তাঁর ভিডিয়ো ফুটেজ! কারণ, প্রত্যন্ত দ্বীপের দাপুটে এই তৃণমূল নেতার নাম আগে সেভাবে শোনেনি বাংলা। গ্রেফতারির পর শেখ শাহজাহান সংবাদমাধ্যমের ফেস টু ফেস সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। পরনে ছিল ধবধবে সাদা পোশাক, পায়ে স্নিকার্স। গ্রেফতারির পরও স্বমেজাজেই রয়েছেন তিনি। তবে, এদিন আদালতে তোলার সময় কোনও কথা বললেননি তিনি।

    ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় মিনাখাঁ বামনপুকুর বাজার এলাকায় খ্রিস্টান পাড়া থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। গ্রেফতারির পর তাঁকে সোজা আনা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতের গারদে (কোর্ট লকআপ)। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট মহকুমা আদালতের কোর্ট লকআপ থেকে বার করে কিছু ক্ষণের জন্য শাহজাহানকে আনা হয় এজলাসে। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে শেখ শাহজাহান। তখনও তাঁর সেই মেজাজ। পুলিশি ঘেরাটোপ, আদালত চত্বরে জনভার ভিড়। পিছনে পুলিশ। সামনে রাজনৈতিক নেতার মতো হাঁটতে হাঁটতে এজলাসে ঢোকেন তিনি। তাঁকে দেখে পাশ দিয়ে ধেয়ে আসে একের পর এক প্রশ্নবাণ। শাহজাহান সাংবাদিক এবং উৎসুক জনতার দিকে তাকিয়ে স্রেফ আঙুল নাড়ালেন। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন উত্তর দিলেন না তিনি। শুনানি শেষে শাহজাহানকে নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ। বিশাল কনভয় কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কারণ, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করছে। স্বভাবতই, তাঁকে কোথায় রাখা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতেই থাকছেন শেখ শাহজাহান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি জুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, মিষ্টি বিতরণ, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি জুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, মিষ্টি বিতরণ, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন প্রতীক্ষার অবসান। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অত্যাচারের মূলচক্রী দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার। এতদিন শুধুই চোখের জল দেখেছে সন্দেশখালি। এখন হাসছে সেখানকার মানুষজন। শাহজাহানের গ্রেফতারির খবর পেতেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। চলছে মিষ্টি বিতরণ। ফাটছে বাজি। উঠল জয় শ্রী রাম স্লোগান।

    বসিরহাট লকআপে শাহজাহান

    ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে ফেরার ছিল শাহজাহান। তাঁর অন্যতম শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পরও মহিলারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরও পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও গা করেনি। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়়ে জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ফেরার থাকার দেড় মাস পর অবশেষে শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করল। বসিরহাট লকআপে শেখ শাহজাহানকে রাখা হয়। সেখানে মোতায়েন রয়েছেন প্রচুর পুলিশ আধিকারিক। রয়েছেন মহিলা পুলিশও। গার্ডরেল বসানো হয়েছে। একাধিক পুলিশ কর্তা বসিরহাট মহকুমা আদালতে আসতে শুরু করেছেন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসিরহাট। আর গ্রেফতার হওয়ার পরই এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। অনেক মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বয়স্ক মহিলাদের রাস্তায় নাচ করতে দেখা যায়।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন? (Sandeshkhali)

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ ইচ্ছাকৃত শাহজাহানকে ধরেনি। আমরা এতদিন ধরে চিৎকার করছি, তারপরও পুলিশের টনক নড়েনি। আদালত নির্দেশ দিল। এরপর তাঁকে না ধরলে ভাবমূর্তি খারাপ হবে বুঝতে পেরে পুলিশ গ্রেফতার করল। এলাকার মানুষ বার বার বলেছিলেন সন্দেশখালিতেই লুকিয়ে রয়েছেন শাহজাহান। তাতে কোনও লাভ হয়নি। তবে তৃণমূলের তরফে গ্রেফতারির সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরই রাতারাতি পুলিশের জালে উঠে এল শাহজাহান। কীভাবে সম্ভব হল এটা? আর শাহজাহান যে সন্দেশখালির বাইরে যাননি তাও গ্রেফতারির মধ্যে প্রকাশিত হল। ও যে অত্যাচার করেছে তার বিরুদ্ধে আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই সর্বত্র পোস্টার-ব্যানার মুক্ত করার নির্দেশ কমিশনের

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই সর্বত্র পোস্টার-ব্যানার মুক্ত করার নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) বাদ্যি। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেই কলকাতার রাস্তা থেকে খুলে ফেলতে হবে সব ধরনের রাজনৈতিক ও সরকারি প্রকল্পের পোস্টার, ব্যানার। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেই লাগু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণ বিধি। এই বিধি চালু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহর মুক্ত করতে হবে সরকারি প্রকল্পের পোস্টার, ব্যানার। এসব সরকারি বিজ্ঞাপন যাতে দ্রুত খুলে ফেলা যায়, তা নিশ্চিত করতে বুধবার কলকাতা-সহ দুই জেলার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিকদের এই মর্মে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    আদর্শ আচরণবিধি

    কমিশনের তরফে (Lok Sabha Elections 2024) বলা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, এমন কোনও পোস্টার বা ব্যানার শহরে রাখা চলবে না নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরিয়ে ফেলতে হবে সেগুলি। রাজনৈতিক পোস্টার ছাড়াও সরাতে হবে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারমূলক পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন। সূত্রের খবর, রাজ্যের বাকি জেলাগুলির জেলাশাসকদেরও এ সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ

    মার্চের প্রথম সপ্তাহেই এ রাজ্যে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তাঁরা। খতিয়ে দেখবেন নির্বচনের প্রস্তুতি। দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। ১ মার্চ রাজ্যে চলে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রথম দফায় আসছে ১০০ কোম্পানি। দ্বিতীয় দফায় আসবে আরও ৫০ কোম্পানি। কমিশন সূত্র খবর, জেলা, পুলিশ জেলা ও কমিশনারেট এলাকার হিসেবে বণ্টন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘হাঙর’ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান গ্রেফতার

    প্রথম দফায় সব চেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হবে কলকাতায়। এখানে মোতায়েন করা হবে সাত কোম্পানি। বসিরহাট পুলিশ জেলায় (সন্দেশখালি এই পুলিশ জেলারই অন্তর্ভুক্ত) মোতায়েন করা হবে তিন কোম্পানি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের আস্থা বাড়াতে রুট মার্চ করবেন। বুথে বুথে ঘুরবেন তাঁরা। রুট মার্চ করবেন স্পর্শকাতর এলাকায় (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Central Forces West Bengal: রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সন্দেশখালিতে কত জানেন?

    Central Forces West Bengal: রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সন্দেশখালিতে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-বাজারে বিশেষ নজর দুই চব্বিশ পরগনা জেলায়। এই দুই জেলায় ঠিক কবে বিঘ্নহীন নির্বাচন হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না এলাকার প্রবীণরাও। লোকসভা নির্বাচন যাতে নির্বিঘ্নে করানো যায়, তাই এই দুই জেলায় বেশি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন (Central Forces West Bengal) করা হচ্ছে বলে খবর। লোকসভা নির্বাচনে সব মিলিয়ে রাজ্যে আসছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই বাহিনীর কত, কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা জানিয়ে দল নির্বাচন কমিশন।

    সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    জানা গিয়েছে, সব চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। সন্দেশখালি পড়ে এই জেলায়ই। মার্চের প্রথমেই রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকিটা আসবে পরে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফায় কলকাতায় আসছে সাত কোম্পানি বাহিনী। সন্দেশখালি যে পুলিশ জেলার মধ্যে পড়ে, সেই বসিরহাট পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে তিন কোম্পানি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে মোতায়েন করা হবে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী। ভোটারদের আস্থা বাড়াতে স্পর্শকাতর এলাকায় রুটমার্চ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    কত কোম্পানি চেয়েছে কমিশন?

    লোকসভা নির্বাচন (Central Forces West Bengal) কভার করতে বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। যা দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চেয়ে বেশি। প্রথম দফায় পৌঁছবে ১০০ কোম্পানি। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসবে আরও ৫০ কোম্পানিও।

    কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ২১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বারাসতে তিন, বনগাঁয় তিন, ব্যারাকপুরে ছয়, বসিরহাটে পাঁচ, বিধাননগরে চার কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলায় তিন, ডায়মন্ড হারবারে তিন এবং বারুইপুরে তিন কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘হাঙর’ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান গ্রেফতার

    সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর দুই শাগরেদও গ্রেফতার হয়েছেন। এর পরেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার নির্যাতিতারা। তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নানা অছিলায় জমি কেড়ে নেওয়া, সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিস কিংবা বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা সহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের জেরে এমনিতেই বিব্রত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তার ওপর কমিশন প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি বিরোধীরা। তাঁদের আশা, এবার হয়তো ভয়মুক্ত পরিবেশে মতদান করতে পারবেন স্থানীয়রা (Central Forces West Bengal)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share