Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: ভুট্টাক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

    Malda: ভুট্টাক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ, এলাকায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) গলা কেটে নাবালিকা খুনকাণ্ডের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের মর্মান্তিক ঘটনা। ভুট্টাক্ষেত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার হল এক যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারবর্গের। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের জেলা সফর কর্মসূচির সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদায় থাকাকালীন এক নাবালিকাকে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু প্রথমে পুলিশ খুনিকে গ্রেফতার করতে পারেনি, পরিবারের লোকজনই পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। ইতিমধ্যে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন মৃতার বাড়িতে এসে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। রাজ্যের পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কমিশনের সদস্যরা। পাশপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “রাজ্যের কোনও মেয়ে সুরক্ষিত নয় এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে।”

    মৃত নাবালিকার পরিচয় (Malda)?

    এই ঘটনাকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার সাত সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার হামিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম জল্পনা মণ্ডল, বয়স ২৫ বছর। বাড়ি মোথাবাড়ি থানার শ্রীপুর কলোনি এলাকায়।

    পরিবারের অভিযোগ

    মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতার কারণে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। সরস্বতী পুজোর দিনে সবজি কাটতে হাঁসুয়া নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল বলে দাবি বাড়ির লোকজনের। এরপর বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে বাড়ির (Malda) সদস্যরা। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও কোনও ভাবেও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে আজ সকালে খবর আসে ভুট্টার ক্ষেতে এক যুবতী নগ্ন মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মোথাবাড়ি (Malda) থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মালদা জেলায় লাগাতার এমন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে জেলাবাসীর মধ্যে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা এবং সামজিক সুরক্ষার বিষয় নিয়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার থানার পূর্ব গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রূপচাঁদ শেখ (৫৬)। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। তাঁদের সালার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপচাঁদ তালিবপুরের প্রধান রবি শেখের অনুগামী। রবি আবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামী। আর হামলাকারী তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মেহেরাজ হোসেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সুমনের অনুগামী। ব্লক সভাপতির সঙ্গে তৃণমূল বিধায়েক দ্বন্দ্ব নতুন নয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এই কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। নতুন করে আবার সেই দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। বুধবার একটি ক্রিকেট খেলা ছিল। সেখানেই বিধায়ক অনুগামীরা ছিলেন। জানা গিয়েছে, বিধায়ক অনুগামীদের তৃণমূল করা যাবে না বলে ব্লক সভাপতির লোকজন হুমকি দেয়। এনিয়ে বিধায়ক অনুগামীরা প্রতিবাদ করে। এরপরই বিধায়ক অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ করার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিধায়ক অনুগামী রূপচাঁদ হামলার প্রতিবাদ করেন। এরপরই তাঁকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।

    বিধায়ক অনুগামী তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    বিধায়ক অনুগামী তৃণমূলের প্রধান রবি শেখ বলেন, ব্লক সভাপতির নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। দলীয় কর্মী খুনের জন্য ব্লক সভাপতি দায়ী। তাঁর লোকজন খুন করেছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    ব্লক সভাপতি কী বললেন?

    ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই। আসলে গ্রাম্য বিবাদ। সেটা নিয়ে দলকে জড়াচ্ছে ওরা। আর তৃণমূলের কোনও বিষয় নয়। আসলে চায়ের দোকানে কয়েক ইভটিজিং করছিল। তারজন্য মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এদিন সকালের ঘটনা ঠিক হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। যতদিন যাচ্ছে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়়ছে গ্রামবাসীদের। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। পাট্টার রেকর্ড করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আগুনে জল ঢালার চেষ্টা করছে তৃণমূল। যা নিয়ে সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল? (Sandeshkhali)

    জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা সভাধিপতির ঘরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এমন গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয়েছে, যাঁরা পাট্টা পাওয়া সত্তেও জমির ‘রেকর্ড’ করাতে পারেননি। তাঁদের যাতায়াত ও খাওয়া খরচ জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী নিজেই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। সন্দেশখালি-কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূল নেতৃত্ব স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ে দু’টি কমিটি গড়েছে। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।আর স্থানীয় কমিটিতে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি- এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার রয়েছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, উত্তম পাট্টার জমি ইজারা নিয়ে মেছোভেড়ি করে মাছ চাষ করতেন। অনেকেরই সেই জমি ‘রেকর্ড’ হয়নি। অভিযোগ, উত্তম ভূমি দফতরে প্রভাব খাটিয়ে সেই সব জমির ‘রেকর্ড’ করাতে দেননি। ইজারার টাকাও দেননি। নারায়ণের কথায়, “রেকর্ড করাতে গিয়ে পাট্টাপ্রাপকদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বহু ক্ষেত্রে।” তিনি আরও বলেন, “জেলা ভূমি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের জমির রেকর্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। জেলাশাসককে নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু’টি ব্লকেই যাব।” সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শাহজাহান বাহিনীর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা বার বার সোচ্চার হয়েও কোনও লাভ হয়নি। শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা ওই সব জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। ফলে, পাট্টা পেয়ে জমি দখলে রাখতে পারেননি গ্রামবাসীরা। আর রেকর্ড করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। ফলে, শাহজাহান বাহিনীর লোকজন জমি ভোগ করে আসছিল। এতদিন পর হুঁশ ফিরল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, পাট্টা রেকর্ড করার কথা বলে এলাকাবাসীকে লোভ দেখাচ্ছে। তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজো করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি। প্রথমে শুরু হয় বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর, লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীর্ষি এলাকায়। ের জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    স্থানীয়দের বক্তব্য (Malda)

    এলাকায় (Malda) সরস্বতী পুজোকে ঘিরে মারধরের প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক উত্তম মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এলাকায় পুজো করছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের পুজোর সামগ্রী ফেলে দেয় তারা। এরপর আমাদেরকে মারধর করে। ঘটনায় পুলিশে খবর দিলে হবিবপুর থানার পুলিশ এসে উলটে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ মদতে পুলিশ এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, “পুলিশ দোষীদের না ধরে বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশ অফিসার বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী স্থানীয় তৃণমূল নেতার নির্দেশে এই কাজ করেছেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” পরে অবশ্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে একটি জমিতে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মন্ডল দাবি করেন ওই জমিটি তাঁর। আর এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। ঘটনায় বিবাদ থামাতে হবিবপুর (Malda) থানার পুলিশ পৌঁছে সামাল দেয় গ্রামবাসীদের। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিপ্লব মন্ডল বলেন, “সরস্বতী পুজো করে গায়ের জোরে অশান্তি তৈরি করেছে বিজেপি।” আবার জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বলেন, “সারা বাংলায় তৃণমূলের উন্নয়নের কাজে বিজেপি উস্কানি দিয়ে চলেছে। সরস্বতী পুজোর দিনে এই সংঘর্ষ কাম্য নয়। পুলিশকে আরও সংযত হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: আইসিইউ-তে ভর্তি সুকান্ত, বুকে-কোমরে ব্যথা, চলছে স্যালাইন, জানালেন শুভেন্দু

    Sukanta Majumdar: আইসিইউ-তে ভর্তি সুকান্ত, বুকে-কোমরে ব্যথা, চলছে স্যালাইন, জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের অত্যাচারে সাধারণ মহিলারা সোচ্চার। আর তাই এই তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবিতে জনআন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কিন্তু টাকিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়, এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত বসিরহাট থেকে কলকাতায় বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসা চলছে তাঁর। গতকাল তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আইসিইউতে রয়েছেন সুকান্ত। বুকের পাঁজর এবং কোমরের ব্যথা রয়েছে তাঁর। স্যালাইন ছাড়া কিছুই নিতে পারেননি। সুকান্তর বমি ভাব রয়েছে, বিশ্রাম নিলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।”

    হাসপাতাল সূত্রে খবর (Sukanta Majumdar)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্তের (Sukanta Majumdar) সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। তবে এখনও সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। একই ভাবে তাঁর এমআরআই সংক্রান্ত কিছু প্রয়োজনীয় স্ক্যান করা হবে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তাঁকে ইতিমধ্যে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। 

    বিজেপি সূত্রে খবর

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। তবে এখনও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। শরীরে ব্যথা রয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাপক ধস্তাধস্তি হলে পড়ে যান। এরপর তাঁকে কোলে করে নীচে নামানো হয়। ফলে ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখন শরীরের ভিতরে কোনও অংশে আঘাত লেগেছে কিনা তাই পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসেকরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, “অসুস্থ অবস্থায় যখন সুকান্তবাবুকে নিয়ে আসা হচ্ছিল সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে এক বারের জন্যও চোখ খোলেননি। তাকানোর মতো কোনও পরিস্থিতি ছিল না তাঁর। কোমরে এবং বুকে ব্যথা রয়েছে। গাড়িতে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে টাকি থেকে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।”

    এসপি অফিসে চলছিল ঘেরাও

    মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে। গত মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনায় বিজেপির ৭ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ধর্না শুরু করেন তিনি। পরে আবার রাতে তাঁকে আটক করলে কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর বুধবার সকাল থেকেই আবার সরস্বতী পুজো করে আন্দোলনে যোগদান করলে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা রয়েছে বলে রাস্তায় বাধা দেওয়া হয়, এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ওই সময় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অবশ্য জ্ঞান ফেরে। এরপর দ্রুত হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পুলিশ নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! শাহজাহানের মতো অন্তরালে থেকেই ‘বাণী’ দিলেন শিবু হাজরাও

    Sandeshkhali: পুলিশ নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! শাহজাহানের মতো অন্তরালে থেকেই ‘বাণী’ দিলেন শিবু হাজরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি ওপর হামলার পর থেকে ফেরার শেখ শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তিনি অন্তরালে থেকে কখনও কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কখনও স্পিডবোটে করে এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এবার তাঁর সাগরেদ শিবু হাজরাকে গ্রেফতারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। তারপরও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। শাহজাহানের মতো তিনি অন্তরালে রয়েছেন। সেখান থেকে বাণী দিলেন। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন! সাফাই শিবুর (Sandeshkhali)

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এলাকায় মহিলাদের অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছে। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন শিবু। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সবই ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর নেপথ্যে রয়েছেন সিপিএমের নিরাপদ সর্দার এবং বিজেপির বিকাশ সিংহ। ওঁরা মানুষকে উত্ত্যক্ত করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছেন। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।” মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন প্রসঙ্গে শিবু বলেছেন, “আমি কখনওই কাউকে রাতে ডাকিনি। কেন ডাকতে যাব? দলের মিটিং থাকলে খবর দেওয়া হত। সেখানে থাকার জন্য কাউকে জোর করা হয়নি কখনও।” সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের প্রশ্ন, পুলিশ শিবুকে খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ ও বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিজের মতো করে বক্তব্য রাখছেন। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ শিবুকে গ্রেফতার করার সাহস দেখাচ্ছে না।

    গ্রেফতারির দাবি উঠলেও অধরা শিবু

    শিবুর পোলট্রি ফার্মে গত বৃহস্পতিবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে তাঁর বাড়ি, বাগানবাড়ি। অভিযোগ, এলাকায় জমি জবরদখল করে শিবু, শাহজাহান, উত্তমরা মাছের ভেড়ি তৈরি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন মূলত মহিলারা। বঁটি, কাটারি, বাঁশ, লাঠি হাতে তাঁরা সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার সামনে বসে পড়েছিলেন। শিবুর গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তারপরও শিবুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। গোপন ডেরায় দিব্যি আছেন শিবু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ব়্যাগিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে! চার ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা

    Murshidabad: ব়্যাগিং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে! চার ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। কলেজের হস্টেলের ভিতরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় টেক্সটাইল কলেজের অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত চার ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ঘটনায় পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    উল্লেখ্য গত বছর পুজোর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই উত্তাপের আঁচ গিয়ে পড়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা এবং ইউজিসিতে। সেই ছাত্রের বাড়ি ছিল নদিয়া জেলায়। বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এছাড়াও খড়্গপুরে আইআইটির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, আরজিকর মেডিক্যালের ডাক্তারি পড়ুয়া, দুর্গাপুরের এমবিএ পড়ুয়া সহ একাধিক ছাত্রের ব়্যাগিং এবং রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। ফের একবার ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে।

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কোন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ?

    ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল কলেজে। এই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রকে হস্টেলের রুমে কানধরে ওঠবস করানো হয়। ঘটনার পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজের কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। ঘটনায় রাজ্যে শিক্ষাঙ্গনে ফের ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।

    অভিযুক্তরা চতুর্থ, তৃতীয় এবং প্রথম বর্ষের ছাত্র

    কলেজ (Murshidabad) সূত্রে জানা গিয়েছে, ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ মূলত চারজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এরপর এই চারজনের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ব়্যাগিংয়ের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে একজন প্রথম বর্ষের, আরও দু’জন তৃতীয় বর্ষের এবং অপর আরেক জন হল প্রথম বর্ষের ছাত্র। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • East Medinipur: প্রেম দিবসে হাড়হিম করা ঘটনা! স্ত্রীর মুণ্ডু কেটে হাতে নিয়ে রাস্তায় স্বামী

    East Medinipur: প্রেম দিবসে হাড়হিম করা ঘটনা! স্ত্রীর মুণ্ডু কেটে হাতে নিয়ে রাস্তায় স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেম দিবসের দিনে মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) পটাশপুরবাসী। বুধবার সকাল থেকে বাড়িতে বাড়িতে যখন সরস্বতী পুজো নিয়ে সবাই আনন্দে আত্মহারা, কচিকাঁচারা নতুন জামা-প্যান্ট পরে পাড়ার মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য ব্যস্ত, সেই সময় স্যান্ডো গেঞ্জি আর বারমুডা পরে এক যুবক হাতে কাটা মুণ্ডু নিয়ে চিৎকার করতে করতে রাস্তায় হাঁটছেন। মুন্ডু বেঞ্চে রেখে পাশে বসলেনও। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে হতবাক হয়ে যান এলাকাবাসী। শিহরিত হয়ে ওঠেন রাজ্যবাসী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) পটাশপুর থানার চিস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতম গুছাইতের সঙ্গে স্ত্রী ফুলরানি গুছাইতের বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। গৌতম হকারি করেন।  তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল। তার জেরেই বুধবার স্ত্রীকে তিনি খুন করেছেন বলে মনে করছেন তাঁরা। খুন করেন কাটারি দিয়ে। তার পর সেই কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। বেশ কিছুক্ষণ মুণ্ডু হাতে নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করার পর একটি বেঞ্চে গিয়ে বসেন তিনি। পাশে রেখে দেন স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি এবং বারমুডা পরিহিত মারমুখী গৌতমকে দেখে শোরগোল শুরু হয়ে যায় ওই এলাকায়। হাতে রাখা ছিল কাটারি। স্থানীয় কয়েক জন চেষ্টা করেও ওই যুবকের কাছে ঘেঁষতে পারেননি ভয়ে। ওই ভাবে রক্তমাখা অস্ত্র হাতে নিয়ে ঠায় বসে থাকেন গৌতম। কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর যায় পটাশপুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি কাটা মুণ্ডু উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গৌতমের মানসিক সমস্যা রয়েছে। এক বার তিনি আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়েছিলেন। এর আগেও স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। তবে, এতবড় মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেবে, তা ভাবতেই পারছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: এইমসে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার এক

    Nadia: এইমসে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল্যাণী এইমসে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে শ’দুয়েক লোকের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত প্রতারকের নাম বলরাম দাস। বাড়ি নদিয়ার রানাঘাটের (Nadia) আনুলিয়ায়। আজ মঙ্গলবার তাকে রানাঘাট আদালতে তোলা হয় এরপর ধৃত প্রতারককে আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছিল

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হাঁসখালি (Nadia) থানার পাখিউড়া গ্রামের বাসিন্দা অভিজিৎ বিশ্বাস থানায় এসে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “আমি ছাড়াও এলাকায় আরও অনেক মানুষ এইমসে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন। অভিজিৎ দাস এবং রাজু গুপ্ত নামক দুই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার কথা বলেন। এই দুই ব্যক্তির নম্বর থানায় জানানো হয়েছে। তাদের জেরা করলে বলরাম সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। রামনগর বড়চুপরিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা যামিনী মুন্ডারি সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।”

    পুলিশের বক্তব্য

    নদিয়া পুলিশ (Nadia) প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজ খুলে তাতে বিজ্ঞাপন দিয়ে এইমসে সরকারি পদে করণিক নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এরপর বলা হয় অনলাইনে আবেদন এবং পরীক্ষা হবে। তবে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান নিজে সকলকে চাকরির সুযোগের কথা জানান। এরপর ৪৫২ টাকা দিয়ে লোকজন ফর্ম ফিলাপ করে। এরপর তন্ময় দাস নামক এক এইমসে কর্মরত ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে পাশের খবর দেয়। এরপর নানা ডাক্তারি পরীক্ষার কথা বলে সাড়ে ১২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বলা হয় ২৮ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে। এরপর অনলাইনে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু অনলাইনে যে গেট পাস এবং আইডি পাঠানো হয়েছিল তা এইমসে নিয়ে কাজে যোগদান করতে গেলে কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর সন্দেহ শুরু হয় এবং পরে বোঝা যায় সকলেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর হাঁসখালি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এই ঘটনায় বলরাম একজন মিডলম্যন।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় পঞ্চায়েত (Nadia) প্রধান যামিনী মুন্ডারি বলেন, “আমি পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু টাকা দিতে বারণ করেছিলাম। ওরা নিজেরাই লোভে পড়ে টাকা দিয়েছে। টাকা দেওয়ার কথা শুনে আমি এইমসে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি।” পাশপাশি এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও দুজনের খোঁজ করা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নন্দীগ্রাম কলেজে সরস্বতী পুজোকে ঘিরে এবিভিপি-তৃণমূলে হাতাহাতি

    Purba Medinipur: নন্দীগ্রাম কলেজে সরস্বতী পুজোকে ঘিরে এবিভিপি-তৃণমূলে হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) নন্দীগ্রামের কলেজে সরস্বতী পুজোকে ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। এবিভিপি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং ঝামেলায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অবশেষে স্থানীয় থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

    উত্তপ্ত সীতানন্দ কলেজ  (Purba Medinipur)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধানসভা ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সরস্বতী পুজোকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সরস্বতী পুজোকে ঘিরে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন এবং আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা বাধে। একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক মারামারি। কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সীতানন্দ কলেজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।

    এবিভিপির বক্তব্য

    সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে (Purba Medinipur) এই বছর দুটি পুজো হয়েছে। শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে পুজো করে আর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি কলেজের গেটের বাইরে পুজোর আয়োজন করেছিল। গেটের বাইরে এবিভিপির বেশ কিছু পতাকা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু এবিভিপি অভিযোগ করে বলে, তাঁদের পতাকা, ফেস্টুন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছিঁড়ে দেয়। এরপর শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন এবিভিপি কর্মী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ইচ্ছে করেই এবিভিপির কর্মীরা তৃণমূলের পুজোতে আক্রমণ করে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি এবং মারামারি হয়। ব্যাপক ভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস।” পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ নামে এবং নন্দীগ্রাম (Purba Medinipur) থানায় অভিযোগ জানানো হয়।       

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share