Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার (Weather Update)। বেলা ১০টা বাজতেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামল উত্তর থেকে দক্ষিণ। অফিস টাইমেই ভিজল কলকাতা (Rainfall in Kolkata)। রাস্তায় বেরিয়ে বিপদে পড়ল শহরবাসী। শীত বিদায়ের পর থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস মেনে ইতিমধ্যেই জেলায়-জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এ দিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    শহরে ধারাপাত

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর বলেছে, রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হবে। সেই আভাস মিলিয়ে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি তো শুরু হয়েছেই, বেশ কয়েক জায়গায় পড়ছে শিলও। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে শনি ও রবিবার। কলকাতায় বেশিরভাগ সময়ে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে এই ক’দিন। কখনও পুরোপুরি মেঘলা আকাশও থাকতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে টানা চারদিন বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি জেলায়। ওই জেলাগুলির জন্য কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। রবিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।

    জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা-হলুদ সতর্কতা (Weather Update)। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে বাঁকুড়া-বর্ধমান জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়-বজ্রপাতের আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে সোমবার পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। তবে এখনই তাপমাত্রার বড়সড় পরিবর্তন হবে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নতুন করে উল্লেখযোগ্যভাবে কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্ব ভারতে রাজস্থান এবং অসমে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে নতুন একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এ সবের কারণেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গে। তবে এই সময়ে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিতে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে আলু চাষে।

  • Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এই চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সারা ভারত এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক আসনে আসীন কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে শুভেন্দু সহ চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য আরেকটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু, এটা উদ্বেগের যে যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন, তাঁদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।’’

    সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আবেদন

    শুভেন্দুদের ওপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত লেখেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা-সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

    মহাকুম্ভ মেলা হিন্দুদের পবিত্র জমায়েত (Sukanta Majumdar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত তাঁর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম পবিত্র জমায়েত। যা আস্থা, উৎসর্গ এবং আধ্যাত্মিক উন্মেষের প্রতীক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এই আয়োজনকে মৃত্যুকুম্ভ বলার অর্থ হল, তা আসলে সেই কোটি কোটি ভক্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যাঁরা মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশঙ্কা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘শুধুমাত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই নয়, সেইসঙ্গে এর ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভাজনও সৃষ্টি হবে।’’

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    নিজের চিঠিতে সব শেষে এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি এও আবেদন জানিয়েছেন, বিধানসভার রেকর্ড থেকে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, রাজ্যপালকে সেই বিষয়টিও দেখতে আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যকুম্ভ বলে বিপাকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’)। বিজেপি বিধায়কেরা সে সময়ে অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের খবর ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই আক্রমণ তুঙ্গে তুলেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যও। একযোগে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধু-সন্তরাও।

    ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘লজ্জাজনক, নিন্দনীয় এবং অসম্মানজনক! পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এটা মহাকুম্ভ নয়, মৃত্যুকুম্ভ! যে পবিত্র মহাকুম্ভ ১৪৪ বছর পর হচ্ছে, তার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণাই নেই।’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) এই মন্তব্য প্রত্যাহার করুন, ক্ষমা চান। মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলতে পারেন না। ৪০ কোটি হিন্দু পুণ্যার্থী এখানে স্নান করেছেন। হিন্দু সমাজ, সন্ত সমাজকে বলছি প্রতিবাদ করুন। এটা হিন্দুদের উপর আঘাত, মহাকুম্ভের উপর আঘাত।’’

    বাংলা থেকে অমৃত-কুম্ভের সন্ধানে

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাকুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে মৃত্যুকুম্ভ (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশনে মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান, এক হয়েছে হিন্দুস্থান। মহাকুম্ভকে কেন্দ্রকে গোটা পৃথিবীর হিন্দুরা অনেকদিন পর ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। দলদাস আইপিএসরা ওনাকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক লক্ষ হিন্দু, সেটা ১ কোটির বেশি ২ কোটিও হতে পারে, স্রোতের মতো গিয়েছেন। তৃণমূলের অনেক পরিচিত সাংসদ, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তাঁরাও নিজেদের মহাকুম্ভে ডুব দেওয়ার ছবি দিয়েছেন। বাধ্য হয়েছেন ছাড়তে। তাই মুখ্যমন্ত্রী আজকে ভয় পাচ্ছেন কুম্ভকে দেখে।”

    কুম্ভের অপমান সহ্য করবে না হিন্দুস্থান

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভে ৪০ কোটি মানুষ গিয়েছেন। সবাই আশা করছেন, আরও ১০ কোটি মানুষ যাবে। সেখানে আপনি মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন। আপনি বলেছেন কুম্ভমেলা টাকা রোজগারের জন্য করা হয়েছে। এতবড় অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। এই মন্তব্যের খেসারত আপনাকে দিতে হবে। মহাকুম্ভের অপমান হিন্দুস্থান সহ্য করবে না। হিন্দুস্থান আপনাকে গণতান্ত্রিকভাবে সবক শেখাবে। মহাকুম্ভকে অপমান করার জন্য যেখানেই সুযোগ পাবেন, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ান। প্রয়াগরাজের সব আখড়াকে অনুরোধ করব, এই অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।”

    প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির

    শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, ‘তাঁর (মমতার) জানা উচিত যে, এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী মহাকুম্ভে গিয়েছেন এবং এখনও যাচ্ছেন।’ মমতার শব্দবন্ধ কেন্দ্র করে কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর ‘মৃত্যুকুম্ভ’ শব্দবন্ধ এবং বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিজেপি পরিষদীয় দল বৃহস্পতিবার গোটা বিধানসভা জুড়ে মিছিল করবে বলে শুভেন্দু ঘোষণা করেছেন। বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে সেই মিছিল যাবে রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে অভিযোগ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সে জন্য মঙ্গলবারই রাজ্যপালের কাছ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে।

    মহাকুম্ভ পৃথিবীর ঐতিহ্য

    রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আপাতত সরকারি সফরে আন্দামানে। সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ শুধু হিন্দুদের উৎসব নয়, এটা গোটা পৃথিবীর কাছে একটা ঐতিহ্য। কিন্তু শুধু নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তোষণ করবেন বলে তিনি মহাকুম্ভ সম্পর্কে এই কথা বললেন।’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে সুকান্ত বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ ঘুরে আসুন। যেখানে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি ভক্ত ডুব দিয়েছেন, সেখানকার জন্য কী বিশাল ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে দেখে আসুন।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলার সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযাচিত আক্রমণ হল ২০২৬ সালে তাঁর আশু পরাজয়ের প্রথম লক্ষণ। দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছেন। তিনি চূড়ান্ত পরাজয়ের ভয় পাচ্ছেন।’’

    ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণও। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সমস্যা হল সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করা খুবই সহজ। একই স্তরে অন্য কোনও ধর্মের সমালোচনা করতে পারে না। বুঝতে পারে না যে তাঁরা কোটি কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করছে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছি। মমতাদিদি এটা সত্যি যে মহাকুম্ভ নয় আপনার জন্য এটা মৃত্যুকুম্ভের বরাবর। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব ভারত থেকে যেভাবে আসছেন কুম্ভস্নানের জন্য আসছেন। আপনার অস্থির হওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আপনার রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য মৃত্যুকুম্ভই হতে চলেছে।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়করা নাকি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন। এই অভিযোগে গত সোমবারই বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ ৪ জন বিধায়ককে। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার অধিবেশন বয়কট করে বিধানসভার বাইরে ধর্না করবেন তাঁরা। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অতীত মনে করালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ২০০৬ সালে মমতার নেতৃত্বে বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনাও মনে করান শুভেন্দু।

    বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বিধানসভাকে একসময়ে কলুষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইনিই ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে বিধানসভার সদস্য না হয়েও এখানে ঢুকে সব আসবাব ভেঙেছিলেন। এই মুখ্যমন্ত্রী ২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারকে কাগজ আর চাদর ছুড়ে মেরেছিলেন। আর আজ এই মুখ্যমন্ত্রীই বিধানসভা থেকে লাইভ করছেন। এদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতাই নেই।’’ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) খোঁচা, ‘‘সরকার যেমন চালান, দল যেমন চালান, পরিবারের সম্পত্তি হিসেবে এই বিধানসভাকেও নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।’’ সাসপেনশন নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা হচ্ছে তৃণমূলের এক ধরনের নিত্যকর্ম। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে এবং ইচ্ছে করে তাঁকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছে।’’

    গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘পাঠাগার কমিটি থেকে শুরু করে পুজো কমিটি, শ্মশান কমিটি সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাই।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যকে এমনিতেই শেষ করে দিয়েছেন মমতা। এখন শুধু নিজের রাজত্ব কায়েম করার ইচ্ছে রয়েছে মমতার।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের মদতেই বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত।

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ নিয়ে কী বললেন?

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই নিয়ে পাঁচবার আমাকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠানো হলো। ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। ওরা হিন্দু দেবদেবীর সম্মান, হিন্দুদের আওয়াজে ভয় পেয়েছে। তৃণমূল রাজনৈতিক দল নয়, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। আতঙ্ক থেকে সম্প্রীতির কথা বলেছে। সরস্বতী পুজোর জন্য কেন হাইকোর্টে যেতে হবে? কেন মূর্তি ভাঙা হবে?’’

  • Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ফের মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে গেলে অবাক হব না।’’ রবিবারের অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনূসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। এদিন বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে উঠে আসে তাঁর মায়ের কথাও। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, একদা তাঁর মাকেও এক কাপড়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদনও জানান শুভেন্দু।

    ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠনের অনুষ্ঠান (Suvendu Adhikari)

    রবিবার ভারতীয় জাদুঘরে এবিসি অডিটোরিয়ামে ‘খোলা হাওয়া’ নামক সংগঠনের অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘বাংলাদেশ ইন ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হয় না। আমি নিজে ভিকটিম। আমার মা শ্রীমতী গায়েত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা বরিশালের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৯ সালে এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমন অনেক হিন্দু আছেন, যাদের শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন।’’

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন (BJP)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আওয়ামি লিগ করার অপরাধে বা হিন্দু হওয়ার অপরাধে যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে পালিয়ে এসেছেন, তাদের দয়া করে জেলে পুরবেন না। আগেও হাসিনা, বঙ্গবন্ধু মুজিবরের পরিবারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, জাত-ধর্ম কিছু দেখতে হবে না, যারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাদের তাড়াবেন না। তারা শরণার্থী। আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতারা, যাদের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছে, তাদের জেলে ভরবেন না। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। মহারাষ্ট্র সহ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

  • Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে গণতান্ত্রিক সরকার চলছে। অথচ সরকার সংবিধান, সংসদীয় ব্যবস্থা মানে না। সরস্বতী পুজোয় বাধা নজিরবিহীন। সশস্ত্র পুলিশ, আইপিএসদের দিয়ে পুজো করাতে হয়েছে। বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের হয়ে সওয়াল করায় আমায় এক মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।” সোমবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হাউসে আসবেন। তবে বিজেপি থাকবে না। বিধানসভার গেটে আগামিকাল বেলা ১২টা থেকে বিধানসভার আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না দেব।” তিনি বলেন, “কাল বিধানসভার বাইরে থেকে বক্তৃতা দেব। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবে বিজেপি। আগামী এক মাস আমি ভাতা নেব না।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে মোক্ষম বাণটি ছোঁড়েন শুভেন্দু। বলেন, “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার। এই সরকার মুসলমানের সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি, কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে দিয়েছি।”

    শুভেন্দুদের সাসপেন্ড

    প্রসঙ্গত, সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন পদ্ম বিধায়করা। এর পরেই এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারককে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমায় যাতে বলতে না দেওয়া হয় এবং উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যাতে ফাঁকা মাঠে বক্তৃতা দিতে পারেন, সেই জন্যই পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে আমাদের সাসপেন্ড করা হল।” তিনি বলেন, “এখন থেকে বিজেপি বিধায়করাও মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবেন। উনি যেদিন বিধানসভায় আসবেন, ওঁকে গেটে দাঁড়িয়ে আমাদের বিধায়করা ধিক্কার জানাবেন এবং ওঁর উপস্থিতি আমরা বয়কট করব।” শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে অগণতান্ত্রিক সরকার চলছে। বাংলাদেশে ইউনূস যা করছে, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল একই কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না (Suvendu Adhikari)। হিন্দুদের জন্য বলতে গিয়ে আমাকে ১ মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।”

  • Pet Cat Funeral: কার্ড ছাপিয়ে ডিকুর শ্রাদ্ধ, পাত পেড়ে খেলেন স্থানীয়রা

    Pet Cat Funeral: কার্ড ছাপিয়ে ডিকুর শ্রাদ্ধ, পাত পেড়ে খেলেন স্থানীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরোহিত উচ্চারণ করে চলেছেন বলুন, “নমো মধু বাতা ঋতায়তে…”। শ্রাদ্ধকর্ত্রী ছলছল চোখে সেই মন্ত্র আওড়াচ্ছেন। আদরের ডিকুর (Pet Cat Funeral) শ্রাদ্ধ শেষ হল বৈদিক রীতি মেনে। ভূরিভোজ খেলেন আত্মীয় পরিজনেরা। ডিকুর উদ্দেশে পিণ্ড দিতে গিয়ে হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন শ্রাদ্ধকর্ত্রী সুপর্ণা সিনহা। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি পাড়ার ঘটনা।

    ডিকুর আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ (Pet Cat Funeral)

    ঘটনাটি খুলেই বলা যাক। জলপাইগুড়ির সর্বশিক্ষা মিশনের কর্মী সুপর্ণার শখ বিড়াল পোষা। বাড়িতে তাঁর অনেকগুলি বিড়াল রয়েছে। এই পোষ্যগুলির মধ্যে বুলেট, রকেট, জুলজুল, জামাই আর ডিকু অন্যতম। গত ৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই মৃত্যু হয় ডিকুর। প্রতিবেশীর বাড়িতে মেলে কম বয়সী ডিকুর দেহ। প্রিয় পোষ্যের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন সুপর্ণা। তখনই ঠিক করেন প্রিয় পোষ্যের আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ করবেন তিনি। যোগাযোগ করেন পুরোহিতের সঙ্গে। রীতিমতো ১২ দিন যাবতীয় রীতি মেনে ১৩ দিনের দিন শ্রাদ্ধ করেন তিনি।

    ওঁ গঙ্গা লেখা কার্ড

    ওঁ গঙ্গা লেখা কার্ড ছাপিয়ে জানানো হয় আমন্ত্রণও। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চারজন পুরোহিত। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের পাশাপাশি হয়েছে গীতা-উপনিষদ পাঠও। শ্রাদ্ধশান্তি শেষে ছিল খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন। ডিকু যেসব খাবার পছন্দ করত, সেগুলিই রান্না করা হয়েছিল এদিন। মেনুতে ছিল ভাত, মাছের মাথা দিয়ে বাঁধাকপির ঘণ্ট, বাটা মাছের ঝোল, রুই মাছের কালিয়া, টোমাটো ও কুল দিয়ে চাটনি, দুরকমের মিষ্টি এবং গঙ্গারামপুরের বিখ্যাত দই।

    সুপর্ণা বলেন, “পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে যেমন তাঁর আত্মার শান্তি কামনার জন্য শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হয়, ঠিক তেমনই ডিকুর মৃত্যুর পর আজ বাড়িতে নিয়ম মেনেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করি। ও তো আমার বাড়ির সদস্য ছিল।” তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে আরও অনেক বিড়াল আছে। আমি পশুদের খুবই ভালোবাসি। ওরা আমার সন্তানসম।”

    ডিকুর শ্রাদ্ধ করিয়েছেন পুরোহিত লিটন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “প্রিয় পোষ্যের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বেশ অন্যরকম ব্যাপার। যেভাবে মানুষের ক্ষেত্রে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হয়, বিড়ালেরও সেইভাবেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করা হল। জীবের প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে (Pet Cat Funeral)।”

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী,” বর্ধমানে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” রবিবার বর্ধমানে আরএসএস (RSS) কর্মীদের সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “অনেকেই আমায় প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন কেন শুধুমাত্র হিন্দু সংগঠনের ওপর এত জোর দেওয়া হয়। আমার উত্তর হল, দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ। হিন্দুরাই ভারতের উত্তরাধিকারী। তাই আমরা হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করতে চাই।” তিনি বলেন, “আজ কোনও বিশেষ অনুষ্ঠান নয়। যারা সংঘ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে। যদি আমাদের উত্তর দিতে হয় যে সংঘ কী চায়, তবে আমি বলব যে এই সংঘ হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করতে চায়। কারণ দেশের দায়িত্বশীল সমাজ হল হিন্দু সমাজ।”

    সংঘ প্রধানের বক্তব্য (Mohan Bhagwat)

    সংঘ প্রধান বলেন, “ভারতের একটি প্রকৃতি আছে। তারা (সমাজের একটি অংশ) সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে বসবাস করতে পারেনি। তাই তারা একটি আলাদা দেশ তৈরি করেছে। হিন্দুরা বিশ্বে বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করে জীবনযাপন করে। আমরা আজকাল বলি ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’। এবং হিন্দুরা বোঝে যে বৈচিত্র্যই ঐক্য।” ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “এখানে (ভারতে) কেউ সম্রাট বা মহারাজাদের স্মরণ করে না। কিন্তু এমন এক রাজাকে স্মরণ করে, যিনি পিতার প্রতিশ্রুতির জন্য ১৪ বছর বনবাসে গিয়েছিলেন, যিনি তাঁর ভাইয়ের খড়ম রেখে সিংহাসন ত্যাগ করেছিলেন এবং ভাই ফিরে এলে রাজত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।”

    হিন্দুর সংজ্ঞা

    তিনি বলেন, “এই বৈশিষ্ট্যগুলিই ভারতকে সংজ্ঞায়িত করে। যারা এই বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসরণ করে, তারা হিন্দু। যা পুরো দেশের বৈচিত্র্যকে একসঙ্গে ধরে রাখে। যা কারও কষ্টের কারণ হয়, তা আমরা করব না। শাসক, প্রশাসক এবং মহান ব্যক্তিরা তাঁদের কাজ করেন। কিন্তু দেশের কাজ করার জন্য সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।”

    আরজি করকাণ্ডে যে তিনি মর্মাহত, তাও জানান ভাগবত। তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরজি করে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের মা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। নিহতের বিচার চান তিনি। আমি তাঁকে কথা দিয়েছি, তাঁকে সব রকম সাহায্য করব। কারণ এটাই এই মুহূর্তে সময়ের দাবি (RSS)।”

  • Pratul Mukhopadhyay: বাংলাই তাঁর তৃপ্ত শেষ চুমুক! চলে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    Pratul Mukhopadhyay: বাংলাই তাঁর তৃপ্ত শেষ চুমুক! চলে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় তাঁর নাক দিয়ে আচমকাই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অতিরিক্ত সংক্রমণে প্রভাব পড়ে কিডনি, ফুসফুসে। সম্প্রতি অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। শনিবার সকাল ১০টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আর বাংলার পথ ধরে হাঁটবেন না প্রতুল।

    প্রতুলের বেড়ে ওঠা

    জন্ম অবিভক্ত বাংলার বরিশালে। ১৯৪২ সালে। বাবা প্রভাতচন্দ্র ছিলেন স্কুলশিক্ষক, মা বীণাপাণি মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। স্কুলে পড়াকালীনই তাঁর এক আশ্চর্য ক্ষমতার পরিচয় পান নিকটজনেরা। মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতাটিতে সুরারোপ করে বন্ধুদের চমকে দিয়েছিলেন প্রতুল। পাশাপাশি নিজেও লিখতে থাকেন ছড়া, গানের লিরিক। মানুষ আর মানবতাকে তাঁর গানে সবার আগে রাখতেন। কখনও নিজের গাল, কখনও বা বুক বাজিয়ে, তুড়ি দিয়ে, হাততালি দিয়ে মঞ্চে নিজের বাঁধা গান গাইতেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

    গানের জগতে প্রতুল

    প্রতুলের প্রথম অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪) প্রকাশের পর একেবারে অন্য রকম এক শ্রুতির সামনে গিয়ে পড়েন শ্রোতারা। মঞ্চে প্রতুল যন্ত্রানুষঙ্গ বর্জন করলেও এই অ্যালবামে করেননি। তাঁর গানের পিছনে বহু দূরের দিগন্তরেখার মতো থেকেছে যন্ত্র। গানই সেখানে মুখ্য। ইন্টারল্যুডে প্রতুলের নিজেরই কণ্ঠ বেজেছে। তাঁর কণ্ঠ, স্বরক্ষেপণ এবং উচ্চারণ বাঙালির কাছে এক অন্য অভিজ্ঞতা। ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে’-র তরঙ্গপ্রতিম স্বরক্ষেপণ আর ‘ঙ্গ’-এ জোর দেওয়া উচ্চারণ বুঝিয়ে দিল, তিনি একেবারে আলাদা এক গানওয়ালা। ‘বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান, তৃপ্ত শেষ চুমুক’— এমন শব্দচয়ন যে বাংলা গানে উঠে আসতে পারে, তা নব্বই দশকের ফুটতে থাকা কবিকুলও ভাবতে পারেননি। তাঁর ‘আমি বাংলায় গান গাই’ নব্বইয়ের দশকে কলেজ ক্যান্টিনে, ফেস্টে, ফেস্টুনে একাকার হয়েছে। এখনও যেন সেই সুরের মূর্ছনায় ‘বাংলার মুখ’ দেখে সাত সাগরের পাড়ের বাঙালিরাও।

     

  • Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়। সেই রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে আবারও বিরাট অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বাংলায় আরও এক ওষুধ দুর্নীতি চলছে।

    সমাজ মাধ্যমে লম্বা পোস্ট শুভেন্দুর

    এনিয়েই সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘সরকারের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলি সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে, তা বর্জন করতে। হাসপাতালে যদি স্টক থাকে তাহলে তা যেন অব্যবহৃত রাখা হয়। এর কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে।’’

    এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে, দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।’’ এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকে জবাব চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, এমন কী হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল এবং আর কোন কোন ওষুধ উৎপাদন হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসেই স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল মেদিনীপুরে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলাও। ঘটনা গত মাসের ৮ ও ৯ তারিখ। তার মধ্যেই আবার নয়া এক ওষুধ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

LinkedIn
Share