Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    Rath Yatra: বীরনগরে মুখার্জি পরিবারের তামা ও পিতল মিশ্রিত রথে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহ দুয়ার মুখার্জি পরিবার। নামটা অতি পরিচিত নদিয়ার বীরনগরবাসীর কাছে। প্রায় ৭০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন এবং মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথে পূজিত হন আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা (Rath Yatra)। মুখার্জি বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, রথটি ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে নদিয়ার ফুলিয়াতে আনা হয়। সেখানে ২০০ বছর অবস্থান করার পর নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জি পরিবারে। রথটি তৈরি তামা ও পিতল দিয়ে। রথের চাকাও তৈরি মিশ্রিত ধাতু দিয়ে। এখনও মুখার্জি পরিবারে গেলে দেখা যাবে প্রাচীনত্বের ছোঁয়া। সুদর্শন কারুকার্যের মধ্যে দিয়ে এখনও ফুটে ওঠে ইটের প্রাচীর।

    রথ উৎসবের (Rath Yatra) দিন সবাই একত্রিত হন

    একটা সময় দেশ-বিদেশ থেকে পণ্ডিতরা আসতেন। ধুম ধাম করে পালিত হত রথ উৎসব (Rath Yatra)। উৎসব শেষে পণ্ডিতরা দীর্ঘদিন ওই স্থানে বসবাস করতেন। কিন্তু হঠাৎই গভীর রাতে চুরি করার উদ্দেশ্যে ছক করে একদল ডাকাত। এরপর চুরি করে নেয় রথের সারথি ও মূল্যবান বেশ কিছু ধাতু। তারপর থেকে সারা বছরই বিগ্রহ দেবতাদের রাখা হয় মুখার্জি বাড়ির একটি শিব মন্দিরে। তবে সেকালের রথ উৎসবের জাঁকজমকে এখন অনেকটাই ঘাটতি পড়েছে। চিরাচরিত প্রথা মেনে রথ উৎসব পালন হলেও আগের মতো আর মানুষের আনাগোনা দেখা যায় না। তবে পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও এই রথ উৎসবের দিন সবাই একত্রিত হয়ে পালন করেন রথ উৎসব। মিশ্রিত ধাতুর রথের চারদিকে ঘুরলে দেখা যাবে সেকালের শিল্পীদের অপূর্ব কারুকার্য, যা এখনকার শিল্পীদের ভাবনার বিষয়। চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী রথের রশিতে টান দেন মুখার্জি পরিবারের বংশধররা। এর পরে একই জায়গাতে রেখে দেওয়া হয় মিশ্রিত ধাতুর তৈরি রথ সহ আরাধ্য দেবতা জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা দেবীকে।

    এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)

    আজ উল্টোরথ, সকাল থেকেই রথকে সাজানো হয় সুন্দরভাবে। বিকেলের পরে হরিনাম সংকীর্তন করে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হবে আবার শিব মন্দিরে। বংশের ৩৬ তম বংশধর অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ৭০০ বছর আগে ঢাকা থেকে এই রথটি ফুলিয়া এলাকায় ছিল প্রায় ২০০ বছর ধরে। বিভিন্ন কারণে পরবর্তীকালে ওই রথ নিয়ে এসে নিজেদের বাড়িতে একটি মন্দিরে রাখে আমাদের এই বংশধরের। প্রাচীন সেই রীতি মেনেই এখনও নিয়মিত পালিত হয় এই রথযাত্রা (Rath Yatra)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতি, চলল বোমা-গুলি! আতঙ্ক এলাকায়

    Malda: ভর সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতি, চলল বোমা-গুলি! আতঙ্ক এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার মালতীপুর (Malda) দুর্গা মন্দিরের পাশে এক সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি। আটজনের ডাকাতদল ওই সোনার দোকানে সামনে এসে বোমা ফাটায়, গুলিও ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মালিক সহ মোট তিনজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানের মালিকের নাম গৌতম সেন। বাড়ি চাঁচলে। মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কী ভাবে ঘটনা ঘটেছে (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর সন্ধ্যায় আটজনের ডাকাতদল চারটি বাইক নিয়ে ওই সোনার দোকানের সামনে হাজির হয়। ডাকাতি করার আগে প্রথমে কয়েকটি বোমা ফাটায়। তারপর দোকান মালিককে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। গুলি লাগা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন দোকানের মালিক, একজন কর্মচারী এবং একজন ক্রেতা। এরপর দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকাপয়সা ও দোকানের সোনা, রুপোর অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডাকাতদল। গুলির ঘায়ে জখমদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য চাঁচল (Malda) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    ডাকাতদল ঠিক কত টাকা ও কত পরিমাণ সোনা, রুপোর অলঙ্কার নিয়ে পালিয়েছে, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। খবর পেয়ে চাঁচল থানার (Malda) আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুণ্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আইসি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। চারদিকে নাকা চেকিং চলছে। খুব শীঘ্রই সোনার দোকানে ডাকাতি কাণ্ডে অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে।

    আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    দোকানে ডাকাতির ঘটনাটি চাউর হতেই মালতীপুরে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। ভর সন্ধ্যায় ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্কিত মালতীপুরের (Malda) বাসিন্দারা। মালতীপুরের বাসিন্দা তথা কংগ্রেস নেতা আদিত্যনারায়ণ দাস বলেন, ঘটনার পর এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন। মালতীপুর জনবহুল এলাকা। জনগণের চোখের সামনেই ডাকাতদল প্রথমে বোমা ফাটায় এবং এরপর গুলি চালিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে। আর ঠিক এরপরেই ওই দোকানটি লুট করে চম্পট দিল ডাকাতদল। ফলে এই ঘটনায় দোকান ব্যবসায়ীরা সকলেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাই এলাকায় জোরদার পুলিশি নিরাপত্তার দাবি করেছেন বাসিন্দারা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর চোট কি রাজনৈতিক! সুস্থতা কামনা করেও তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    Paschim Medinipur: মুখ্যমন্ত্রীর চোট কি রাজনৈতিক! সুস্থতা কামনা করেও তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে খড়্গপুরে (Paschim Medinipur) চা চক্রে যোগ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন?

    মুখ্যমন্ত্রী পায়ে চোট পেয়েছেন। আশা করি মুখ্যমন্ত্রীর চোট তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠবে। তবে এটা মুখ্যমন্ত্রীর কি আসল চোট, নাকি রাজনৈতিক চোট? বুঝতে পারছি না! ভোট এলে অনেকেরই চোট লেগে যায়। সব সময় সেনাকে গালাগাল দেন আর সংকটের সময় সেনার কাছেই যেতে হয়, কটাক্ষ দিলীপের।

    শ্রীনু নাইডু হত্যা কেসে মন্তব্য (Paschim Medinipur)

    শ্রীনু নাইডু হত্যা মামলা খড়্গপুরকে (Paschim Medinipur) নাড়িয়ে দিয়েছিল। দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল আমাকেও ওই মামলায় ঢোকানোর চক্রান্ত করেছিল। একটা এত বড় হত্যা হয়ে গেল, সেখানে কেউ সাজা পেল না, সবাই ছাড়া পেয়ে গেল? প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ। এভাবে দোষীরা সাজা না পেলে খড়্গপুরে আবারও হিংসা বাড়বে। পঞ্চায়েত ভোটে জেতার জন্যই কি খালাস করে দেওয়া হল মাফিয়াদের? প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ।

    আরও কী বললেন

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে রাজ্যের শাসক শিবিরের দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের (Paschim Medinipur) দাবি, এই রাজ্যে ঐতিহাসিক দুর্নীতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এক গলা গঙ্গা জলে দাঁড়িয়ে বলেন বিজেপি চোর তাহলেও কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ তাঁর ডানদিক বামদিক সবদিকেই চোরেরা ভর্তি। সারা দেশ জুড়ে যখন বিজেপির এবং মোদিজীর সমর্থন বাড়ছে, তখন সব চোরেরা একজোট হয়েছেন। হাম সব চোর এক-এই স্লোগান দিয়ে পাটনায় একজোট হয়েছে। এভাবেই তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। 

    সারা রাজ্য জুড়ে বোমাবাজি হচ্ছে। এখনও প্রচুর জায়গায় বোমা-বন্দুক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশের এগুলো খুঁজে বার করা উচিত। বোমা-বন্দুক উদ্ধার না হলে পঞ্চায়েত ভোট রক্তাক্ত হবে, অনেক জীবনহানি হবে। অনেক জায়গায় আবার সিভিক পুলিশ দিয়ে বোমা রেখে আসা হচ্ছে লোককে ভয় দেখানোর জন্য। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে সমস্ত বোমা উদ্ধার করা উচিত। মাফিয়াদের সাথে তৃণমূলের এগ্রিমেন্ট হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে। নির্বাচনে মাফিয়ারা সাহায্য করবে তৃণমূলকে, ঠিক এভাবেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘নির্লজ্জ, বেহায়া’! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাবে তীব্র আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক নির্লজ্জ বেহায়া। কয়লা, বালি চুরিতে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। তাই ও চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।” গতকাল প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষাতেই পাল্টা আক্রমণ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

    কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার অভিযানে নেমেছে। তৃণমূলের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা অনামি ক্লাবের মাঠে একটি প্রকাশ্য জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে বলেন, চার বছর আগে রানাঘাট কেন্দ্রের মানুষ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জগন্নাথ সরকারকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু এই চার বছরে তিনি কোনও উন্নয়ন করেননি। রানাঘাটবাসীর জন্য কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন, এমন তথ্য কেউ যদি দিতে পারে, তাহলে আমি চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমি জীবনে আর রানাঘাটে পা রাখবো না।

    বিজেপি (BJP)  সাংসদের বক্তব্য

    গতকাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রানাঘাটে সভার পর বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি অভিষেকের মতো বড় বড় বাতেলা মারি না। কয়লা চুরি থেকে শুরু করে বালি চুরির বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট আর হাইকোর্টে যেতে যেতে মাথা খারাপ হয়ে গেছে অভিষেকের। সেই কারণে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না। রানাঘাটবাসীর উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, অভিষেকের জানা উচিত ভারতবর্ষের কোনও কৃষক রেল তার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আনা যায় না।। আমি রানাঘাটে কৃষক রেল চালু করেছি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০০০ লাইটের ব্যবস্থা করেছি রানাঘাট কেন্দ্রে। তার মূল্য কি কোনওদিন তৃণমূল হিসাব করে দেখেছে? অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে গাড়ির ব্যবস্থা করেছি, তা তৃণমূলের কোনও সাংসদ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে কথা বলে ফুলিয়ায় ৬০ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তৃণমূলের কোনও সাংসদ এমন কাজ করতে পেরেছেন! পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lord Jagannath: গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ ভান্ডার লুট! এর নেপথ্য কাহিনী জানেন?

    Lord Jagannath: গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ ভান্ডার লুট! এর নেপথ্য কাহিনী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দুশো আশি বছর ধরে চলে আসছে গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। উল্টো রথের ঠিক আগের দিন মঙ্গলবার ভান্ডার লুট উৎসব অনুষ্ঠিত হল এখানে। স্থান ভেদে রথযাত্রার উৎসব এবং অনুষ্ঠানে কিছু বৈচিত্র ধরা পড়ে। দেখা যায় বিশেষ কিছু রীতি। গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় (Lord Jagannath) সেরকই উৎসব হল ভান্ডার লুট। যেখানে ভক্তরা প্রসাদ লুট করেন।

    ভান্ডার লুট উৎসবের লৌকিক কথা

    ভান্ডার লুট উৎসব শুরু হল কীভাবে? প্রতিটি স্থানীয় উৎসবের পিছনে থাকে একটি লৌকিক গল্প। গুপ্তিপাড়ার ভান্ডার লুট উৎসবেও রয়েছে একটি প্ৰচলিত গল্প। লৌকিক কথা অনুসারে, একবার প্রভু জগন্নাথ দেব রথে চড়ে মাসির বাড়িতে এসেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়ি থেকে আর বৈকুণ্ঠধামে ফিরছেন না। জানা গেল, লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে ঝগড়া করে আসার কারণেই তিনি মাসির বাড়ি থেকে ফিরতে চাইছেন না। ওদিকে বৈকুণ্ঠধামে লক্ষ্মীদেবী বেশ চিন্তিত। ভাবছেন প্রভু নিশ্চয়ই পরকীয়াতে জড়িয়েছেন! তাই তাঁর সংসার বা দেবলোকে মন নেই। কী করা যায়? এমন অবস্থায় দেবতাদের পরামর্শ নিলেন লক্ষ্মীদেবী। সেই পরামর্শ মতো লক্ষ্মীদেবী পঞ্চমীতে এসে সরষে পোড়া দেন। এই অনুষ্ঠান লক্ষ্মী বিজয় বা হোরা পঞ্চমী নামে খ্যাত। কিন্তু তাতেও কাজ হয় না। তখন বৈকুণ্ঠের দেবতারা প্রভু বৃন্দাবনচন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্রকে পাঠান। প্রভুর মাসির বাড়ির সমস্ত সুস্বাদু খাবার, পানীয় লুট করে নেওয়ার জন্য। খাদ্য ভান্ডার শেষ হলে প্রভু জগন্নাথ বৈকুণ্ঠধামে ফিরবেন এই ভরসায়। তখন থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে এই উৎসব।

    ভান্ডার লুটে কী হয়?

    গুপ্তিপাড়ার মাসির বাড়ির গর্ভগৃহে প্রচুর পরিমাণ সুস্বাদু খাদ্য সাজানো থাকে। মূল চারটি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মন্দির থেকে বিগ্রহ আসার পর নারায়ণ বা শালগ্রাম শিলা পিছন দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে। এরপর শুরু হয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এর পর এক সঙ্গে সংকেত দেওয়ার পর সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। তখন এক ফাঁকে ভক্তরা কায়দা মতো মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে ও সমস্ত প্রসাদ লুট করে। এটাই ভান্ডার লুট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ১১ জন কুড়মি নেতাই জামিন পেয়ে গেলেন! 

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয়ে হামলা, ১১ জন কুড়মি নেতাই জামিন পেয়ে গেলেন! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলার অভিযোগে ধৃত কুড়মি (Abhishek Banerjee) নেতারা জামিন পেলেন। জানা গিয়েছে, জামিনে মুক্ত হলেও আপাতত অনুপ মাহাতো ছাড়া বাকি সবাইকে জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে। কারণ কুড়মি নেতা অনুপ মাহাতো বাদে রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো সহ গ্রেফতার হওয়া মোট ১০ জন নেতা ও আন্দোলনকারীর নামে একাধিক থানায় মামলা রয়েছে। শাসকদলের অভিযোগ ছিল, ঘটনায় ষড়যন্ত্র অন্য কোথা থেকে পরিকল্পনা মাফিক করা হয়েছে। কিন্তু কুড়মি নেতাদের জামিন মেলায়, এই অভিযোগ ধোপে টিকল না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা।

    মে মাসের ২৬ তারিখ ঝাড়গ্রামে ঘটে এই ঘটনা

    গত মে মাসের ২৬ তারিখ নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন ঝাড়গ্রাম থানার গড়শালবনি এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের উপর হামলা এবং মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার রাত্রেই ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাতো সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তার পরের দিন ওড়িশা সীমানা লাগোয়া এলাকার নয়াগ্রাম থানা এলাকা থেকে কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি (Abhishek Banerjee) সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সিআইডি তদন্তভার নেয় 

    পরে মামলা তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। ঘটনা তদন্তে নেমে সিআইডি আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় মোট গ্রেফতার হয় ১১ জন। সিআইডি রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতোকে নিজেদের হেফাজতের চেয়েও পায়নি। এই প্রভাবশালী কুড়মি নেতাদের জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিন গড় শালবনির ঘটনায় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি চালক এবং ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি নবু গোয়ালা ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সিআইডি-র মামলাটি ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালতে চলছিল। সোমবার ঝাড়গ্রামের এডিজে-১ আদালত রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো, অনুপ মাহাতো সহ মোট ১১ জন কুড়মি (Abhishek Banerjee) নেতা ও আন্দোলনকারীর জামিন মঞ্জুর করে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অশ্বিনী মণ্ডল ও তপন চৌধুরী বলেন,‘‘এই মামলার তদন্তে নতুন কোনও তথ্য উঠে আসেনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    Rajya Sabha Election: পঞ্চায়েতের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার নির্বাচনের! ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মাঝেই দামামা রাজ্যসভার ভোটের (Rajya Sabha Election)। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাতটি রাজ্যসভা আসনে ভোট হবে আগামী ২৪ জুলাই। ভোটগণনা হবে ওই দিন সন্ধেতেই। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, ছ’জন রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এই নির্বাচন হচ্ছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। মেয়াদ শেষের আগেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইস্তফা দেন তিনি। ২০২১ সালের তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষের মেয়াদ শেষ হলে সেই কোটায় পাঠানো হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাই ওই সপ্তম আসনটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    ২০১৭ সালে এই আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Election) সাংসদদের মেয়াদ থাকে ৬ বছরের জন্য। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ছ’টি আসনে নির্বাচন হয়। যার মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছিল তৃণমূল। ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তা ছেত্রী এবং মানস ভুঁইয়া। পরে মানস ইস্তফা দেন। সেই আসনে জেতেন তৃণমূলের সুস্মিতা দেব। ২০২৩ সালে তাঁদের সকলের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অন্য দিকে, ২০১৭ সালে জয়ী কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যেরও মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই দফায়। প্রসঙ্গত, বাম কংগ্রেসের একজনও বিধায়ক নেই এরাজ্যে। তাই রাজ্যসভার নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

    একটি আসনে জয়ের জন্য ৪২ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার

    প্রসঙ্গত, একটি আসনে জয়ের জন্য সরাসরি ৪২ জন বিধায়কের সমর্থনের প্রয়োজন। ফলে বিধানসভার সংখ্যার ভিত্তিতে তৃণমূল পাঁচটি এবং বিজেপি একটিতে জিততে পারে।  বাংলার পাশাপাশি ২৪ জুলাই গুজরাতের তিন এবং গোয়ার একটি রাজ্যসভা আসনেও ভোটগ্রহণ এবং গণনা হবে বলে এদিন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Satabdi Roy: প্রচারে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী, শুনতে হল নানা সমস্যার কথা

    Satabdi Roy: প্রচারে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী, শুনতে হল নানা সমস্যার কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিক্ষোভের মুখে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। পানীয় জলের সমস্যা, বিধবা ভাতা না পাওয়া সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছেন সাংসদ শতাব্দী রায়। আর এই প্রচারে নেমেই বারংবার তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। দুদিন আগেই সিউড়ি-১ ব্লকের বড়গ্রামে তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। মঙ্গলবার দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাই গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কালী মন্দিরের কাছে শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। আর এই গ্রামেই বাড়ি তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের। যাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে তাঁকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ১৫ জনের কোর কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় এই ব্লকে। উল্লেখ্য, এর আগেও দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বারংবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তারপর ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারেও সেই একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। 

    কী বললেন বিক্ষোভকারী মহিলা?

    বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, তৃণমূল এখানে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। চরম সমস্যা হয় আমাদের। সাংসদকে (Satabdi Roy) সেই সমস্যার কথা বললাম। বিধবা ভাতা পাচ্ছি না। সেটাও জানানো হল। কোনও কাজই তৃণমূল করেনি। সাংসদকে সেটাই বলেছি।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Satabdi Roy)? 

    তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) সাংবাদিকরা বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বার বারই সেই একই প্রশ্ন। এর আগে বলেছি। নতুন কোনও প্রশ্ন থাকলে আমি উত্তর দিতে রাজি আছি। এসবের আমি কোনও উত্তর দেব না।

    গোঁজ প্রার্থী নিয়ে কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Satabdi Roy)? 

    দুবরাজপুর ব্লকের চিনপাইয়ের জনসভা থেকে গোঁজ প্রার্থীর প্রসঙ্গ তুলে এবার দলের নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। তিনি বলেন, দলে থেকে দলকে হারানোর জন্য গোঁজ প্রার্থীদের যারা উৎসাহ দিচ্ছেন এবং দলের সঙ্গে বেইমানি করছেন তাদের খুঁজে বের করতে দু’মিনিট লাগবে ও শাস্তি দিতেও দু’মিনিট লাগবে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বীরভূম জেলাতেও ইতিমধ্যে এই গোঁজ প্রার্থী হওয়ার কারণে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ জনকে। তারই মধ্যে এবার গোঁজ প্রার্থীদের উৎসাহ দেওয়ার কারণে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এবং ব্লক সভাপতির কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে শাসক দল

    Purba Bardhaman: তৃণমূলের জেলা সম্পাদক এবং ব্লক সভাপতির কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসক দলে ভাঙন পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়লেন জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অভিজিৎ সোম সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। মঙ্গলবার বিকালে অভিজিৎ সোম তাঁর দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। ফলে নির্বাচনের আগে তৃণমূল ফের অস্বস্তিতে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক (Purba Bardhaman)?

    বর্ধমান (Purba Bardhaman) ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি তা-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিজিৎ সোম বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তাঁদের সঙ্গে ব্লক সভাপতি কোনও আলোচনা করেননি। কীভাবে দেওয়াল লিখন হবে বা ভোটপ্রচার হবে, সব ব্যাপারেই আমরা অন্ধকারে আছি। ব্লক নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পার্টির কর্মসূচি সম্বন্ধে আমাদের কিছুই জানানো হচ্ছে না। তাঁর আরও অভিযোগ, যে বাড়িতে আমরা দলীয় কার্যালয় খুলেছি, সেই বাড়ির মালিককে দলের অঞ্চল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন হুমকি দিচ্ছে বলে বাড়ির মালিক জানিয়েছেন। বাড়ির মালিককে পার্টি অফিস করার জন্য ঘর দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সেসব কারণেই আমরা দলের পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র সহ যা কিছু ছিল, সবই এলাকার বিভিন্ন সংস্থাকে দান করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে তাঁরা শুধু নিছকই সাধারণ ভোটার হিসাবেই থাকবেন।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    এবিষয়ে ব্লক (Purba Bardhaman) সভাপতি কাকলি তা পাল্টা বলেন, অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে অভিজিৎ সোম কোনও রকম যোগাযোগ রাখতেন না, আলাপ আলোচনা করতেন না। তিনি কেবল মাত্র শহর কেন্দ্রীক দল করেন। তাই তাঁর থাকা বা না থাকাতে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁকে দল আগেও সম্মান দিয়েছিল, এখনও তাঁকে দল পদ দিয়ে সম্মান দেয়। আমাদের দলে কোনও বিভাজন বা গোষ্ঠীকোন্দল নেই বলে তিনি সাফ জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্কে পুরুষশূন্য গোটা গ্রাম। চারদিন অনাহারে গ্রামের মহিলা সহ শিশুরা। প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছাড়ছেন অনেকে। কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে গোটা গ্রাম। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তৃণমূল (TMC)-সিপিএম সংঘর্ষে গত চারদিন ধরে এই চিত্র পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ নং ব্লকের কলাগাড়া গ্রামের। কবে ফিরবে গ্রামের শান্তি, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অসহায় গ্রামবাসীরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে গোটা রাজ্যের সঙ্গে অশান্তির কবলে পুরুলিয়া। জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ২৪ জুন গ্রামে সিপিএমের একটি সভার আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, সেই সভায় তৃণমূল (TMC) হামলা চালায়। ছোড়া হয় ইট, পাটকেল। ঘটনার পর পরই সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ করা হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষও সামিল হন। আর এর পরেই ২৫ জুন দিনভর কলাগাড়া গ্রামে লাগাতার হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। অবস্থা সামাল দিতে গ্রামে ছুটে আসে রঘুনাথপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গোটা ঘটনায় অতঙ্কিত গ্রামের মহিলা ও শিশুরা। গ্রামে ফিরতে পারছেন না পুরুষ সদস্যরা। যে কজন মানুষ গ্রামে রয়েছেন, তাঁদেরকেও পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। গ্রামের দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। অনাহারে গ্রামের মহিলা ও শিশুরা। নেই প্রশাসনের কোনও সাহায্য। আর সিপিএমের যে দুই প্রার্থীর সমর্থনে গ্রামে এত গণ্ডগোল, তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, নির্বাচনের আগে গ্রাম দখল করতে ও এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে তৃণমূল (TMC) গ্রামে হামলা চালিয়ে বহু বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গৃহহীন হয়ে পড়ে এলাকার সাধারণ মানুষ। আর ভোট না হতেই দলেরই দুই প্রার্থীকে ওরা নিজেদের দলে নিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, কোথাও কোনও সন্ত্রাস করা হয়নি। ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। সিপিএম আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আর দুজন সিপিএম প্রার্থী আমাদের দলে স্বেচ্ছায় এসেছে। জোর করে কাউকে আমাদের দলে নেওয়া হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share