Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশেষ কোনও ফারাক আছে বলে মনে করেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশের মতো পশ্চিম বাংলার হিন্দুরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর সময় শ্যামপুর থানা এলাকার একটি দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সে সময় ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার শ্যামপুরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে সভার আযোজন করা হয়েছিল। সেখানেই হিন্দুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। মমতাকে তুলোধনা করেন।

    ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক (Suvendu Adhikari)

    বুধবার হাওড়ার শ্যামপুরে দলীয় এক সভা থেকে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তুলনা টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মতো বাংলাতেও হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও কিছু বলা যাবে না। কারণ, প্রতিবাদ জানালেই আপনার গায়ে সাম্প্রদায়িক তকমা সাঁটিয়ে দেবে। হিন্দু আক্রান্ত হলে, দুর্গাঠাকুর ভাঙলে বলা যাবে না। বললেই আপনি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবেন। ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই-ই এক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুবোধ সরকার, বিকাশ ভট্টাচার্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোমাতা ভক্ষণ করলে সেকুলার হয়ে যাবেন। এটা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আসল অবস্থা।’’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সরব

    শাসকদল তৃণমূল ও পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘বিজয়দশমীর দিন চারিদিক থেকে সন্ত্রাসবাদী, গুন্ডাদের জড়ো করে একাধিক দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। হিন্দু সমাজকে আতঙ্কে রাখা হয়েছে পাঁচদিন। ১৬৩ ধারা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ করে আপনাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। শ্যামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গুন্ডাদের জড়ো করে তাণ্ডব করা হয়েছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাঁচদিন ধরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১৯ তারিখের পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে ছিলাম বলে আসতে পারিনি। ২০ তারিখ এসে যে সমস্ত মণ্ডপ ভেঙেছে, যে সমস্ত হিন্দু দোকানদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করেছি। আমরা কোন রাজ্যে আছি,কেন আমাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে’’?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (কলঙ্ক মুছতে পরে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) (Kuntal Ghosh)। গ্রেফতার হওয়ার পরেও হুগলির বলাগড়ের ওই ‘নেতা’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দুর্নীতির টাকা। অন্তত এমনই দাবি করলেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী? (Recruitment Case)

    সম্প্রতি জামিনের আবেদন করেছিলেন কুন্তল। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, কুন্তল অ্যারেস্ট হওয়ার কয়েকদিন পরেও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই টাকার উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিতে পারেননি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এদিন কুন্তলের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কুন্তল।

    কুন্তলের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা

    প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কুন্তলের। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জনৈক তাপস মণ্ডলও। তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঘুরপথে তৃণমূলের তৎকালীন ওই যুবনেতার অ্যাকাউন্টে ১৯ কোটি টাকারও বেশি ঢোকে। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্যপ্রমাণও তাপস তুলে দেন তদন্তকারীদের হাতে।

    গত প্রায় ২২ মাস ধরে জেলেই রয়েছেন কুন্তল। জামিন মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী জানান, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়েছেন। কুন্তলকেও জামিন দেওয়া হোক। তিনি বলেন, “কুন্তল দীর্ঘদিন জেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় জামিন পেলে (Recruitment Case) তাঁর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করাও তো সম্ভব নয়।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি জানান, কুন্তলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারির পরেও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দেড় কোটি টাকারও বেশি। ইডির আইনজীবী বলেন, “মানিককে কেবল ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেনি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা বিচারাধীন থাকলে জামিন প্রযোজ্য হবে না। তিনি বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা রয়েছে (Recruitment Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    West Bengal By Polls: বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ অমিত মালব্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও (West Bengal By Polls) অশান্তি বাংলায়! বুধবার বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) অভিযোগ করেন, মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে পদ্ম প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। কেবল গাড়ি ভাঙচুর নয়, দুষ্কৃতীরা ওই গাড়িতে প্রাণঘাতী অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ।

    অমিত মালব্যের ট্যুইট-বাণ

    এক্স হ্যান্ডেলে মালব্য লেখেন, “মুজনাই চা বাগানের বুথ নম্বর ১৪/৬২-তে মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের ওপর আক্রমণ হয়েছে। রাহুল একজন আদিবাসী, চা বাগানের শ্রমিকদের নেতা। তৃণমূলের গুন্ডারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং তাঁকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের তত্ত্বাবধানে ঘটেছে।” তিনি আরও লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মুখ্যমন্ত্রী কম, তিনি বরং একটি অপরাধ চক্রের প্রধানের চেয়ে বেশি।”

    কী বলছেন প্রার্থী

    বুধবার সকালে রাহুল মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তিনি বলেন, “আমার নির্বাচনী ক্ষেত্রের জনগণ এই নির্বাচনে নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের জবাব দেবে।” রাহুল বলেন, “২০১৪ সাল থেকে মাদারিহাটের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করে (West Bengal By Polls) আসছেন… আমি আত্মবিশ্বাসী যে মানুষ এই উপনির্বাচনে সরকারের দুর্নীতি ও নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে।” তিনি বলেন, “প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি ভোটার নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।” উপনির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রাহুল। বলেন, “আমরা ১০০ শতাংশ জিতব।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাট কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা। লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে জিতে তিনি গিয়েছেন সংসদে। সেই কারণেই হচ্ছে উপনির্বাচন। এদিন উপনির্বাচন হয়েছে এ রাজ্যের পাঁচ জেলার ৬টি কেন্দ্রে। এগুলি হল আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, কোচবিহারের সিতাই, বাঁকুড়ার তালডাংরা, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হাড়োয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর। এই (Amit Malviya) কেন্দ্রগুলির ফল ঘোষণা হবে ২৩ নভেম্বর (West Bengal By Polls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।   

     

  • Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা! নাগালে শীতের আমেজ

    Weather Update: দক্ষিণবঙ্গে তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা! নাগালে শীতের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টি হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। তবে, নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ হতে চলল, এখনও অধিকাংশ বাড়িতে বন বন করে ফ্যান ঘুরছে। গরম কাটিয়ে শীত কবে আসবে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। চলতি সপ্তাহেই শীতের আমেজ আসতে পারে রাজ্যে, এমনটাই জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর।

    কত তাপমাত্রা কমবে? (Weather Update)

    মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার ভোর থেকে রাজ্যে (West Bengal) তাপমাত্রা খানিক কমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও কিছুটা পারদপতন হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া (Weather Update) অফিস। উত্তরের পাহাড় সংলগ্ন জেলাগুলির পাশাপাশি গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গেও তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। অর্থাৎ, এখনই ‘শীতকাল’ এসে না পড়লেও শুক্রবার থেকেই শীতের আমেজ আসতে চলেছে বঙ্গে! হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। দক্ষিণের কোথাওই বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার হেরফের হবে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার পর থেকে গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় নামতে পারে পারদ। তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে তাপমাত্রা।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ

    উত্তরবঙ্গেও দেখা যাবে একই চিত্র। বুধবার দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে বিক্ষিপ্ত ভাবে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া আপাতত আগামী পাঁচ দিন উত্তরের বাকি জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া (Weather Update) থাকবে। পাহাড় সংলগ্ন এলাকাতেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে, তার পর থেকে রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি কমতে পারে উত্তরবঙ্গেও। ফলে সপ্তাহ শেষেই শীতের আমেজ দেখা দিতে পারে উত্তরে।

    বুধবার সারা দিন পরিষ্কার ছিল কলকাতার আকাশ। রাতের দিকে সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৫ ডিগ্রি বেশি। সেই তুলনায় বুধবার খানিক কমেছে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.২ ডিগ্রি কম। ফলে, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে আমজনতা। এমনই মনে করছে হাওয়া অফিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barama Temple: ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল নৈহাটির বড়মা’র মন্দির, দরজা খুলে গেল তৃণমূল প্রার্থী আসতেই!

    Barama Temple: ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল নৈহাটির বড়মা’র মন্দির, দরজা খুলে গেল তৃণমূল প্রার্থী আসতেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোটিশ দিয়ে ভক্তদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বড়মার মন্দির (Barama Temple)। অথচ নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে মন্দিরে ঢুকে দিব্যি পুজো দিলেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। মায়ের কাছে পুজো দিতে আসা অসংখ্য ভক্ত মন্দির কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন। সব মিলিয়ে উপনির্বাচনের দিন সাত সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৈহাটির অরবিন্দ রোড চত্বরে রীতিমতো উত্তেজনা দেখা দেয়।

    বিক্ষোভ দেখালেন ভক্তরা (Barama Temple)

    এদিন রাজ্যে ৬টি বিধানসভার মধ্যে নৈহাটিতেও উপনির্বাচন হচ্ছে। ভোটের জন্য নৈহাটির বড়মার মন্দির (Barama Temple) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে ফেসবুকে মন্দির কমিটির তরফে পোস্টও করা হয়। মন্দিরের গেটেও মন্দির বন্ধ রাখার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তা খেয়াল না করায় অন্যান্য দিনের মতো এদিনও মন্দিরের সামনে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে। দূরদুরান্ত থেকে এসে ভক্তরা মন্দির বন্ধ শুনে অনেকেই হতাশ হয়ে সেখানে বসে পড়েন। ভক্তরা বলেন, মন্দির বন্ধ থাকার বিষয়টি আমরা জানতাম না। আগাম ঘোষণা করা হয়নি। সকাল থেকে লাইন দিয়ে ভক্তরা দাঁড়িয়েছিলেন। আমিও লাইনে দাঁড়াই। পরে, জানতে পারি মন্দির এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই, সকলেই ফিরে যাচ্ছিলাম। এই সময় দেখলাম তৃণমূলের প্রার্থী আসতেই মন্দিরের গেট খুলে গেল। তিনি ভিতরে গিয়ে পুজো দিলেন। এটা তো দ্বিচারিতা। তাই, আমাদের মতো বহু ভক্ত ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মন্দির কর্তৃপক্ষ দ্বিচারিতা করল কেন? বেশ কিছু সময় ধরে চলা এই বিক্ষোভ প্রশমিত করতে বড়মার মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় কেবলমাত্র সেই সময় উপস্থিত থাকা ভক্তদের জন্য। তবে কোনও পুজোর আয়োজন হয়নি। মায়ের দর্শন করেই খুশি হন দূর থেকে আসা ভক্তরা।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    মন্দির কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বড়মার (Barama Temple) ট্রাস্টি কমিটির সদস্য অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মন্দির যে  বন্ধ থাকবে তা দু’দিন আগে পোস্ট করে জানানো হয়েছিল। প্রতিদিন এই মন্দিরে প্রায় ৫ হাজার ভক্ত সমাগম হয়। ভোটের দিনে এই ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভব হত না। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এ দিন সকালে যে ভক্তরা এসেছিলেন তাঁদের জন্য দরজা খুলে দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। তবে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।” তৃণমূল প্রার্থীর জন্য আলাদা করে দরজা খোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ফের কেলেঙ্কারি, সরকারি তালিকায় নাম নেই, অথচ রিষড়ার সংস্থা থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ওষুধ আরজি করে

    RG Kar: ফের কেলেঙ্কারি, সরকারি তালিকায় নাম নেই, অথচ রিষড়ার সংস্থা থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ওষুধ আরজি করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। গত তিনমাস ধরে নির্যাতিতা চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তের দাবিতে আন্দোলন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এই আবহের মধ্যে আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে ওষুধ কেনা নিয়ে বড়সড় কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতি, নিম্নমানের ওষুধ (Medicine) কেনার যোগ থাকতে পারে বলে অভিযোগ উঠছে। আর নিহত চিকিৎসক কাজ করতেন বক্ষ বিভাগেই। ওষুধের মান নিয়ে তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান বলেও একাধিক সিনিয়র চিকিৎসক দাবি করেছেন। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ, সরকারি ওষুধের তালিকায় (ক্যাট আইটেম) শ্বাসকষ্টের অন্য ওষুধ এবং ইনহেলার থাকলেও সেগুলি নামমাত্র কিনে আর জি কর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ‘এ এস মেডিক্যাল এজেন্সি’ নামে রিষড়ার ওই সংস্থার থেকে বিপুল পরিমাণ শ্বাসকষ্টের ওষুধ, ইনহেলার ‘লোকাল পারচেজ়’ করেছে। অথচ, সেই সময়ে সরকারি ওষুধের দোকানে ওই ওষুধের ঘাটতি ছিল না বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, কেন তা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করতে চাননি।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

     রিষড়ার সংস্থার থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ওষুধ, ইনহেলার

    সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে দরপত্রের মাধ্যমে সরকারি ভাবে বাছাই করা ওষুধ সংস্থার থেকে এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ৪৯ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬৭২ টাকার ইনহেলার, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ৪৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৬০ টাকার ইনহেলার, নীলরতন ২৮ লক্ষ ৭৩ হাজার এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার ইনহেলার কিনেছিল। কিন্তু, আরজি কর (RG Kar) কিনেছিল ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮৮ টাকার ইনহেলার। অথচ, ওই সময়সীমায় তারা রিষড়ার ওষুধ সংস্থার থেকে ‘লোকাল পারচেজ়’ করেছিল ৬০ লক্ষ টাকার শ্বাসকষ্টের ওষুধ ও ইনহেলার। এর মধ্যে শুধু ইনহেলার ছিল ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকার (প্রায় ৭৪ হাজার)। দেখা গিয়েছে, ওই সময়সীমায় আরজি কর মোট ২ কোটি ৪ লক্ষ টাকার সরকারি তালিকা-বহির্ভূত ওষুধ কিনেছে। পুরোটাই কেনা হয়েছিল রিষড়ার ওই সংস্থার থেকে।

    স্বাস্থ্য দফতরের কী বক্তব্য?

    ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর সদস্য চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণের অভিযোগ, “সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ (RG Kar) থাকাকালীন কাটমানি খেয়ে নিম্ন মানের ওষুধ হাসপাতালে ঢুকিয়েছেন, তা সকলেই জানেন। স্বাস্থ্য দফতর কেন তদন্ত করছে না?” দফতরের ওষুধপত্র কেনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, “কোনও নির্দেশ আসেনি।” রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “তেমন কিছু হয়ে থাকলে নিশ্চয় খতিয়ে দেখা হবে।” ওই সংস্থা ‘এ এস মেডিক্যাল এজেন্সি’-র প্রধান অনুপ কুমার মণ্ডল ওরফে বাবলু বলেন, “এ বিষয়ে একটা শব্দও উচ্চারণ করব না” । এরপরই তিনি ফোন কেটে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Student Death: ‘শিশু হাসপাতালে যখন গিয়েছি, ও বেঁচে ছিল, কেউ দেখল না’ চোখের জলে ভাসলেন পুত্রহারা মা

    Student Death: ‘শিশু হাসপাতালে যখন গিয়েছি, ও বেঁচে ছিল, কেউ দেখল না’ চোখের জলে ভাসলেন পুত্রহারা মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনার পর রেফারের জেরে এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল, প্রাণ গেল ১১ বছরের কিশোরের। পুত্রহারা মায়ের কান্নাই বলে দিল, রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা কোথায় এসে নেমেছে। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিজেই স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নুরজাহান পাইক। সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের কাছে একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে স্কুটিতে। টাল সামলাতে পারেননি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে ছেলে আয়ুষ পাইকও (১১)। ছেলে আয়ুষের আঘাত গুরুতর ছিল। ওর জ্ঞান ছিল না। নুরজাহান জানান, কাছাকাছি পুলিশ থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ছেলে প্রায় ১৫ মিনিট রাস্তায় পড়ে ছিল। 

    হাসপাতালে পরিকাঠামোর অভাব

    সদ্য পুত্রহারা মা নুরজাহান বলেন, “স্থানীয় এক জন অটোচালক আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তাঁর অটোয় করে ছেলেকে প্রথমে উল্টোডাঙার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওর মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ওই নার্সিংহোমে ছোটদের আইসিইউ নেই। তাই তারাই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেয়। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে আমরা ফুলবাগানের বি সি রায় শিশু হাসপাতালে যাই। কিন্তু সেখানে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা কিছুতেই ছেলেকে ভর্তি নিতে চাননি। ওঁরা জানিয়েছিলেন, ছেলের মাথায় যে ধরনের আঘাত লেগেছে, সেই ধরনের আঘাতের চিকিৎসার পরিকাঠামো বি সি রায়ে নেই।”

    আরও পড়ুনঃ নিমেষে ধ্বংস হবে হাজার কিমি দূরের যুদ্ধজাহাজ, ডিআরডিও-র নয়া মিসাইলের পরীক্ষা শীঘ্রই

    প্রশাসন নিরুত্তর

    নুরজাহান বলেন, ‘ওকে শিশু হাসপাতালে যখন নিয়ে গিয়েছি, ও তখনও বেঁচে ছিল। কিন্তু কেউ দেখল না। একজন পুলিশ আধিকারিককে ফোন করেছিলাম যাতে ওখানে ভর্তি করানো যায়, কিন্তু তাও কেউ এগিয়ে এল না। শেষে বেলেঘাটার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানান, ছেলে আর নেই। আমার বাচ্চাটা চলেই গেল।’ প্রথম থেকে চিকিৎসা পেলে হয়তো বাঁচানো যেত আয়ুষকে, এমনই দাবি পরিবারের। কিন্তু রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা বেহাল। কোন হাসপাতালে কী রয়েছে তা জানতে জানতেই সময় চলে যায়। পরিষেবা পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রই নয় প্রশাসনও নিরুত্তর। যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে কোনও স্পিড ব্রেকার নেই। গাড়ি খুব দ্রুত গতিতে চলে। ট্র্যাফিক পুলিশকেও তেমন দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেখা যায়। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে একাধিক স্কুল রয়েছে। রাস্তার পাশে কোনও ফুটপাত নেই। তাই পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে হয়। রাজ্যে এখন জীবন বাজি রেখেই পথে বেরোতে হয় সাধারণ মানুষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tab: ট্যাব কেনার টাকা গায়েব কলকাতার দুই স্কুলে, মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের টাকা চলে গেল বিহারে!

    Tab: ট্যাব কেনার টাকা গায়েব কলকাতার দুই স্কুলে, মুর্শিদাবাদে পড়ুয়াদের টাকা চলে গেল বিহারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের দেওয়া ট্যাব (Tab) কেনার টাকা গায়েব। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকশো পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া অর্থ অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া এবং কারও কারও অ্যাকাউন্টে দ্বিগুণ টাকা ঢোকার ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। সোমবার নবান্নে এ নিয়ে বৈঠকের পর জেলায় জেলায় হানা দিয়েছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত দুই জেলা থেকে চারজনের গ্রেফতারের খবর মিলেছে। এরই মধ্যে এবার খোদ কলকাতাতেই (Kolkata) দুটি স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। আর মুর্শিদাবাদে রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ভিনরাজ্যে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা চলে গিয়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কলকাতায় ঠিক কী হয়েছে? (Tab)

    একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কিনতে,’তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়া প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়া নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। জানা গিয়েছে, যাদবপুর এবং ঠাকুরপুকুরের দুই স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের (Tab) টাকা ঢোকেনি। এই মর্মে দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ যাদবপুর থানা এবং সরশুনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে দেখছে। জানা গিয়েছে, যাদবপুরের এক স্কুলের ১২ জন পড়ুয়া এবং ঠাকুরপুকুরের এক স্কুলের ৩১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এর পরেই মঙ্গলবার দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট দুই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    কোন কোন জেলা থেকে টাকা গায়েব?

    তথ্য বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর-এই ছ’টি জেলা থেকে ট্যাবের টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে ৩০৯ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। নবান্ন সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে রাজ্য সরকারের কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে প্রধান শিক্ষকদেরই গাফিলতি ধরা পড়েছে। বিষয়টিতে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব বিনোদ কুমারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেছেন।

    মুর্শিদাবাদের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা বিহারে!

    মুর্শিদাবাদের সালার থানার একটি স্কুলের ১৫ পড়ুয়ার টাকার (Tab) গায়েব হয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ সেই টাকার হদিশ পায়। পুলিশ সূত্রের খবর, সালার থানার চিঁয়া শান্তি সুধা দাস বিদ্যামন্দিরের একাদশ ও দ্বাদশের ১৫ জন ছাত্রছাত্রীর টাকা সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এ-ও উঠে এসেছে, ১৫ পড়ুয়াকে পাঠানো মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঢুকেছে বিহারের কিষাণগঞ্জের একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, বিহারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ১৫ পড়ুয়ার টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর এক হলেও আইএফএসসি কোডপরিবর্তন করে ওই জালিয়াতি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখা। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলারই প্রায় পাঁচ হাজার পড়ুয়া ট্যাবের জন্য দ্বিগুণ অর্থ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা করে পেয়েছে। যদিও ওই টাকা তোলার আগে অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ়’ করে দিয়েছে প্রশাসন। নবান্নের নির্দেশে এই পুরো ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিনীতকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: বিনীতকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাইলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিনীতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজভবনও এই বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যে ওই অভিযোগের পর আইপিএস অফিসার বিনীত সম্পর্কে রাজ্যের অবস্থান কী, তা জানতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

    রাজভবনের বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? (CV Ananda Bose)

    মঙ্গলবার রাজভবন (CV Ananda Bose) থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিনীত গোয়েল সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর বেশ গুরুতর। প্রতিবেদনগুলিতে বলা হচ্ছে, আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার গত ১১ নভেম্বর (সোমবার) শিয়ালদা আদালতে হাজিরার সময়ে দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন করা হয়েছে।” তাছাড়া গোয়েলকে নিয়ে রাজ্যের প্রকৃত অবস্থান কী এবং রাজ্য সরকার ওই অভিযোগ নিয়ে কী ভাবছে, তা শীঘ্রই জানতে চান রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    ঠিক কী বলেছিলেন আরজি করকাণ্ডে ধৃত সিভিক?

    বস্তুত, আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে গোয়েলকে সরিয়ে দেয় রাজ্য। সোমবার বিচারের দ্বিতীয় দিন নিম্ন আদালত থেকে বের হওয়ার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আরজি কর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। প্রিজন ভ্যান চলতে শুরু করলে চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, “আমি নাম বলে দিচ্ছি। বড় বড় অফিসার রয়েছে। বিনীত গোয়েল, ডিসি স্পেশাল চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছে আমায়।” তার আগেও অভিযুক্ত দাবি করেছেন যে, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। গত ৪ নভেম্বর আদালত চত্বরে ধৃত দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সে বারও প্রিজনভ্যানের জানলা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমি কিন্তু রেপ (ধর্ষণ) অ্যান্ড(এবং) মার্ডার (খুন) করিনি। আমার কথা শুনছে না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে।”

    শাহের কাছে নালিশ

    এর আগেও গোয়েলকে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বোস। পদকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ করা হয় কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার গোয়েল এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের এই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের পদে বসে এমন কাজ একেবারেই শোভনীয় নয় বলে আমি মনে করি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • By Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে রাজ্যে ছয় কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ

    By Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে রাজ্যে ছয় কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের (West Bengal) ছয় বিধানসভা আসনে আজ উপনির্বাচন (By Election 2024)। সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে বুথগুলিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছয় কেন্দ্রে মোট ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সকালে বিভিন্ন বুথে মোতায়েন করা হয়েছে ১০২ কোম্পানি বাহিনী। আর ছয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে স্ট্রংরুম পাহারার দায়িত্বে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এ ছ’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে পাঁচটিই ছিল তৃণমূলের দখলে। একমাত্র মাদারিহাট ছিল বিজেপির। ২৩ নভেম্বর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে।

    কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী? (By Election 2024)

    উত্তরবঙ্গের দুটি আসন এবং মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে, বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় বাহিনীর সংখ্যা সব থেকে বেশি রাখা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিতাইয়ে ১৮, মাদারিহাটে ১৮, নৈহাটিতে ১৩, হাড়োয়ায় ১৮, মেদিনীপুরে ১৯ এবং তালড্যাংরায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে রাস্তায়। ১০২ কোম্পানি বাহিনী থাকবে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে। ভোট শেষে স্ট্রংরুম গার্ড দেবে ছয় কোম্পানি বাহিনী।

    আরও পড়ুন: “মহা বিকাশ আগাড়ি দুর্নীতির সব চেয়ে বড় খেলোয়াড়”, তোপ মোদির

    দেড় হাজার বুথে চলছে ভোটগ্রহণ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (By Election 2024) জন্য মোট দেড় হাজারেরও বেশি (১৫৮৩টি) ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে মেদিনীপুর আসনে। কমিশন জানিয়েছে, সিতাইয়ে ৩০০, মাদারিহাটে ২২৬, নৈহাটিতে ২১০, হাড়োয়ায় ২৭৯,মেদিনীপুরে ৩০৪ এবং তালড্যাংরায় ২৬৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রাখা হয়েছে। সিতাইয়ে ভোটারের সংখ্যা ৩,০৫,৫৬৫, মাদারিহাটে ২,২০,৩৪২, নৈহাটিতে ১,৯৩,৮৩৫, হাড়োয়ায় ২,৯১, ৭১৪, তালড্যাংরায় ২,৪১,৪৯৭। মেদিনীপুর আসনে ভোটারের সংখ্যা ২,৯১,৭১৫। এদিন সকাল থেকে চলছে ভোটগ্রহণ।

    কেন ছয় কেন্দ্রে ভোট?

    হাড়োয়ার প্রাক্তন বিধায়ক হাজি নুরুল সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তিনি এ বার লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে জিতেছিলেন। জয়ের কয়েক মাস পরেই প্রয়াত হন নুরুল। ফলে, হাড়োয়া আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। নৈহাটির প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এখন সাংসদ। তাঁর জয়ের পর নৈহাটির বিধানসভা আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সিতাইয়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া বর্তমানে কোচবিহারের সাংসদ। তালড্যাংরার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী এখন বাঁকুড়ার সাংসদ হয়েছেন। মেদিনীপুরে জুন মালিয়া সাংসদ হওয়ায় বিধায়কের পদ ফাঁকা হয়ে যায়। মাদারিহাটে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। ফাঁকা আসনগুলিতে এবার উপনির্বাচন (By Election 2024) হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share