Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে ছোড়া হল বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Purba Bardhaman: পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে ছোড়া হল বোমা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে মনোনয়নের পর থেকেই শুরু বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি, আক্রমণ, বোমাবাজি। সর্বত্র চলছে এই চিত্র। শাসক দল সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বনগাঁয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে যেমন রাতের বেলায় বোমা ছুড়েছিল শাসক দলের দুষ্কৃতীরা, ঠিক তেমনি এবার সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলেরই বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।

    পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কোথায় ঘটল ঘটনা?

    উত্তর মোহনপুর এলাকার জামালপুর (Purba Bardhaman) ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৯ নম্বর বুথে সিপিএম প্রার্থী  হয়েছেন দেবিকা দেবনাথ। পাশাপাশি ১৪১ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন সুশান্ত মণ্ডল। এরা দু’জনে স্বামী-স্ত্রী। দেবিকা দেবনাথের অভিযোগ, রবিবার ভোর ৩ টে ১৮ মিনিট নাগাদ তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করা বোমা ছোড়া হয়। এরপরেই একটি বোম ফাটে ঘটনাস্থলে। আর দু’টি বোম বাড়ির ভিতরে পড়ে ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশকে খবর দিলে দেড় ঘন্টা পরে পুলিশ আসে। তিনি আরও বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই বারে বারে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। অপর দিকে দেবিকা দেবীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রূপালী বিশ্বাস। তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী তারক বিশ্বাস রীতিমত প্রায় প্রতিদিনই তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন সিপিএম প্রার্থী। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় জামালপুর থানার পুলিশ। এরপর বাড়ির পাশ থেকে পড়ে থাকা বোমা দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। জামালপুর (Purba Bardhaman) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। একই কথা বলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসও। তিনি বলেন, তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে। তবে কোনও অভিযোগ থাকলে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন প্রসেনজিৎ দাস।

    সিপিএমের বক্তব্য

    জেলা (Purba Bardhaman) সিপিএমের সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, মনোনয়ন দাখিল করার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আজ ভোরে তাঁদের দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে বোমা ছোড়া হয়। আসলে ভোটে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ভয় পেয়ে তৃণমূল এসব করছে। তিনি আরও জানান, গতকালই টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হয় দেবিকা দেবনাথ ও সুশান্ত মণ্ডলকে। ৮ই জুলাই  নির্বাচন কেমন কাটে, তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চুরির তদন্ত বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারে পরিবর্তন চায় তৃণমূল, বললেন শুভেন্দু

    Paschim Medinipur: চুরির তদন্ত বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারে পরিবর্তন চায় তৃণমূল, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে-তে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ভীমপুরে বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় বিজেপির পক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা এদিন লক্ষ্য করা গেল।

    কেমন প্রচার চলছে (Paschim Medinipur)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে ভীমপুরে পদযাত্রায় যোগদান করেন। এরপর তিনি দীর্ঘ রাস্তায় টোটো করে জনসংযোগ সারেন। শেষে পিড়াকাঠায় (Paschim Medinipur) এসে পৌঁছান। দলীয় কর্মীদের সাথে পিড়াকাঠায়ও যোগ দেন একটি নির্বাচনী পদযাত্রায়। এরপরই একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকার তথা শাসক শিবিরকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আজ জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার অভিযানে (Paschim Medinipur) যোগদান করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধীর পায়ে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রের সরকারকে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি, এনআইএ যাতে তদন্ত আর না করতে পারে! তৃণমূল শাসকদের বড় বড় নেতামন্ত্রী এখন জেলে রয়েছেন। আরও হয়তো অনেকে যাবেন। নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে পাটনায় সব চোরেরা এক হয়েছেন। কিন্তু লাভ হবে না। কার্যত চুরির তদন্ত বন্ধ করতেই তৃণমূল দিল্লির কেন্দ্র সরকারের পরিবর্তন চায়। শুভেন্দু আরও বলেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে সিপিএমকে ভোট দেওয়া আবার সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকেই ভোট দেওয়া। তাই তিনি বলেন, এই গোপন বোঝাপড়া এবং সেটিংকে বুঝে নিতে হবে।

    আরও কী বললেন?

    সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, রাজ্যে রাজ্যপাল সমান্তরাল শাসন চালাচ্ছেন বলে তৃণমূল অভিযোগ করছে। উত্তরে শুভেন্দু বলেন, সময়ে সময়ে রাজ্যপাল ভালো হয়ে যা্‌ আবার সময়ে সময়ে তৃণমূলের কাছে খারাপ হয়ে যান। সবই নাটক! এক কথায় তৃণমূল শাসক সংবিধানকে মানে না। কয়েকদিন আগে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম তখন ভালো ছিলাম। এখন বিজেপিতে আসায় খারপ হয়েগেছি। তৃণমূলের জনজোয়ার যাত্রাকে তিহার যাত্রা বলেও সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    TMC: জেলা নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বহরমপুরে জনসভা হুমায়ুনের, তৃণমূলের কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে তৃণমূলের (TMC) ভরতপুরের বিধায়কের নেতৃত্বে বিশাল জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে, সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের হারানোর জন্য কোনও প্রস্তুতি সভা নয়। এটা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই। দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগেই এই জনসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শাসক দলের ছন্নছাড়়া অবস্থা। দলের নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ভরতপুর বিধানসভার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই সালারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক প্রকাশ্যে নির্দল প্রার্থীদের হয়ে লড়াই করার কথা বলেছিলেন। নির্দল প্রার্থীদের জয়ী করার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, বিধায়ক নিজের বিধানসভার চেয়ারম্যান। অথচ এই নির্বাচনে আমার কোনও গুরুত্ব নেই। তাই, দলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় এবং দলের জেলার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারকে পদ থেকে অপসারণের ডাক দিয়ে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আহ্বায়ক হিসেবে এই জনসভার আয়োজন করছি। হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত সেখ প্রধান বক্তা। আর জলঙ্গির বিধায়ক ছাড়াও অনেকে সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই আমরা আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি আরও ভালোভাবে তুলে ধরব। জমায়েতে প্রচুর কর্মী, সমর্থকের যে ভিড় হবে তার তিনি আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এই ধরনের সভা নিয়ে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব বেশ বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছে। এতে দলের আখের ক্ষতি হবে বলে দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কিন্তু, এই ধরনের দল বিরোধী সভা বন্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই জেনে দলের কর্মীরাও হতবাক। তৃণমূলের (TMC) জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহরায় বলেন, যে যা খুশি করতেই পারে। তাতে আমার কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের জামাই এবং বিজেপির শ্বশুর প্রার্থী! তীব্র লড়াইয়ে কে জিতবেন?

    South 24 Parganas: তৃণমূলের জামাই এবং বিজেপির শ্বশুর প্রার্থী! তীব্র লড়াইয়ে কে জিতবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট যুদ্ধে জোর লড়াই শ্বশুর ও জামাইয়ের। শেষ হাসি কে হাসবে, শশুর নাকি জামাই, তা সময়ই বলবে। মথুরাপুর (South 24 Parganas) ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৭৩ নম্বর বুথে শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াইয়ে মজেছেন এলাকার মানুষজন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে উভয় প্রার্থীর মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও নেই পারিবারিক বিরোধ। দুই প্রার্থীর নির্বাচনী লড়াই নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা।

    কেমন নির্বাচনী লড়াই

    বর্তমানে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জামাই সুষেন জিৎ মণ্ডল, অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী শ্বশুর পালান পাইক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারপুরের (South 24 Parganas)  এই বুথের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মূলত বাম ঘেঁষা। আজ পর্যন্ত সিপিএমের হাতছাড়া হয়নি বলে জানা গেছে। সিপিএমের বিগত দুবারের প্রাক্তন প্রধান পালান পাইক, বর্তমানে দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। বর্তমানে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নিজের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। একই বুথে তাই সকাল থেকে জামাই-শশুরের প্রচার চলছে জোর কদমে।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপি প্রার্থী পালান পাইক (South 24 Parganas) বলেন, বর্তমানে শাসক দল যেভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ পাশে নেই। সেই কারণে দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে এলাকার মানুষ তাঁর সাথে আছেন। তিনিই জিতবেন বলে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। তবে রাজনীতির বাইরে গিয়ে শশুর-জামাই-মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো। এক্ষেত্রে সম্পর্কের কোনও ঘাটতি হবে না, জানিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী (South 24 Parganas) জামাই সুষেন জিৎ মণ্ডলের দাবি, বর্তমানে দিদির যে উন্নয়ন, সেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই তিনি জিতবেন। এলাকার মানুষ তাঁকেই ভোট দেবেন বলে ব্যাপক আশাবাদী তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, শশুরের সঙ্গেও সম্পর্ক ঠিকই থাকবে। তবে বিজেপির প্রার্থী পালনবাবুর মেয়ে তথা তৃণমূলের প্রার্থীর স্ত্রী, আপাতত স্বামীর পাশেই আছেন বলে জানিয়েছেন। ৮ই জুলাই নির্বাচনের পর গণনা হলে শেষ হাসি এখন কে হাসেন, সেটা ভবিষ্যতই বলবে। নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করতে উভয় পক্ষ প্রচার অভিযানে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    Panchayat Election: অভিষেকের নির্দেশে জেলে উপ প্রধান, পঞ্চায়েত ভোটে নেই তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) লড়াই হবে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। মিরিকপুর আসনের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য তথা গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান সুকুমার নায়ক বর্তমানে জেলবন্দি। তাঁর পরিবর্তে সেখানে তৃণমূলের হয়ে কেউই মনোনয়ন জমা করেননি। তাই, এই আসনে এবার তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে।

    কেন তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি?

    সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়কের নামে নানা অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ শুনেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ অভিষেকের নির্দেশে তমলুক থানায় অভিযোগ জমা হয়। গ্রেফতার হন সুকুমার। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। তাই মনোনয়ন জমা করা হয়নি তৃণমূলের তরফে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছাড়াই লড়াই হতে চলেছে তমলুকের পদুমপুরের মিরিকপুর ১৫ নম্বর বুথে। লড়াইয়ে আছেন বিজেপির লক্ষ্মণ গুড়িয়া, সিপিএমের শ্রীকান্ত পাল, আম প্রতীকের নির্মল কুইল্যা এবং বটগাছ চিহ্নে পূর্ণচন্দ্র তুঙ্গ। প্রসঙ্গত, এই বুথের ২০০৩ সাল থেকে টানা চারবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকেই প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩-এ এসে তার ছেদ পড়ল। এ বিষয়ে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসনে তৃণমূলের হয়ে কেউ মনোনয়ন না জমা করলেও, দলের দুই কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তাঁদের একজনকে ঘাসফুলের প্রতীকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল মাজি নামের ওই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে, তৃণমূলের কেউ সেখানে প্রার্থী হতে পারেননি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পদুমপুর- ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীপনারায়ণ সাহু বলেন, ‘ সুকুমার নায়েক গ্রেফতার হয়েছেন। যা সাধারণ তৃণমূলকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। নেতা জেলবন্দি থাকায় অন্য কেউও প্রার্থী হতে চাননি। নির্দল প্রার্থী নির্মল কুইলা আমাদের দলেরই সদস্য। ফলে, ভোটে কোন অসুবিধা হবে না। গ্রাম-পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।’ তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, তৃণমূল প্রার্থী দেয়নি এটা ঠিক নয়। আসলে দলের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) একজন প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু, কোনও কারণে সেটা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের নির্দল প্রার্থী রয়েছে। দল তাকে সমর্থন করবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। প্রকৃত ভোট (Panchayat Election) হলে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    Dakshin Dinajpur: বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে চলল ভাঙচুর, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাতের অন্ধকারে বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের সুকদেবপুর এলাকার। নির্বাচনের প্রচার কাজের জন্য তৈরি হয়েছিল এই অস্থায়ী কার্যালয়। নির্বাচনের প্রচার কার্য থেকে বিজেপিকে আটকাতে এমন কাজ করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি জেলার নেতৃত্ব।

    কী সমস্যা হয়েছে (Dakshin Dinajpur)?

    দলীয় অস্থায়ী পার্টি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ শাসকদলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেই তুলেছে বিজেপি। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। এদিকে পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইদিন বিষয়টি নজরে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গঙ্গারামপুরে (Dakshin Dinajpur)।

    আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন সারা রাজ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে অস্থায়ী কার্যালয় করা হচ্ছে। নির্বাচনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে প্রচার কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেই বিজেপির অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী জানান, পঞ্চায়েতে জিততে পারবে না তৃণমূল। তাই ভয় পেয়ে এই ধরনের কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ভাবে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি এই রাজ্যে নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে নির্বাচনের প্রার্থী এবং দলীয় কার্যালয় কোনওটাই বর্তমানে সুরক্ষিত নয়। আমরা এই বিষয় নিয়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব, জানিয়েছেন জেলার বিজেপি সভাপতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, তৃণমূল এধরনের কাজ করে না। বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই এই ধরনের অভিযোগ করছে। নির্বাচনে লড়াই করার ক্ষমতা নেই বিজেপির, তাই এমন অপপ্রচার করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে শূন্য করার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নদিয়ার কল্যাণী বিধানসভার ঘোড়াগাছা স্কুল মাঠে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির জনসভায় যোগ দিয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকা দেয়। কিন্তু, তৃণমূল পঞ্চায়েতে সেই উন্নয়ন থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে। তাই, এবার প়ঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে হবে।

    তৃণমূলের বহিষ্কার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল থেকে নির্দলে দাঁড়ানো প্রার্থীদের দল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করলে তিনি খোঁচা দিয়ে বলেন, তৃণমূলের আবার বহিষ্কার! স্যান্ডো গেঞ্জির আবার পকেট, যেদিন গরুর গাড়িতে হেডলাইট ব্যবহার হবে আর স্যান্ডো গেঞ্জিতে পকেট ব্যবহার হবে সেদিনই দলটার অস্তিত্ব থাকবে। যে দলটা দুর্নীতিতে রেকর্ড গড়েছে, গরু চোর, কয়লা চোর, চাকরি চোর সেই দলটার অস্তিত্ব আছে কি না সেটাই প্রশ্ন। এই পশ্চিমবাংলায় এই সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করবে সে নওশাদ সিদ্দিকি হোক বা অম্বিকা রায় হোক তাঁর জীবনে সংশয় তৈরি হবে। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় সহ জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একের পর এক নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বদেরকেও নিশানা করেন শুভেন্দু।

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক সংখ্যালঘু পরিবারের যুবকের। এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন, সংখ্যালঘু ভাইদের এইভাবে প্রাণ দিতে হবে। তবে, সংখ্যালঘুরা আসতে আসতে সেটা বুঝতে পারছেন। কারণ, তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর সেটা বুঝতে পেরেই তারা তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: অনাবৃষ্টিতে গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি, দাম বাড়ছে হু হু করে

    Vegetables: অনাবৃষ্টিতে গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে সবজি, দাম বাড়ছে হু হু করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে কখনও প্রচণ্ড গরম, আবার কখনও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বর্ষা এক সপ্তাহ আগে ঢুকে গেলেও এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। গাছেই সবজি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে দাম বাড়ছে সবজির (Vegetables)। ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের পকেটে। গত এক সপ্তাহে টমেটো, ঝিঙে, ঢেঁড়স বেগুন সহ বিভিন্ন সবজির দাম হু হু করে বেড়ে গেছে।

    কী পরিস্থিতি হাওড়ার পাইকারি বাজারের (Vegetables)?

    হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেল, দাম আকাশছোঁয়া। খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হাওড়া সবজি বাজারের (Vegetables) পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে সবজি গাছ মাঠেই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে অনেকটাই। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এই পাইকারি সবজি বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশো ব্যবসায়ী কাঁচা আনাজ সহ বিভিন্ন সবজি নিয়ে আসেন। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, বর্ধমান, উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে সবজি ব্যবসায়ীরা হরেক রকম সবজি এই পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। এখান থেকে সবজি সরাসরি চলে যায় কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির বড় বড় বাজারে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড গরমে অনাবৃষ্টির কারণে সবজি গাছ মাঠেই শুকিয়ে গেছে। এর ফলে ঝিঙে, ঢেঁড়স, শসা, বেগুন, লাউ, করোলা, বরবটি, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে সবজির দাম কিলো প্রতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হাওড়া ভেজিটেবল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিনয় শোনকার জানিয়েছেন, এ বছরে বর্ষা পিছিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ না থাকায় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে সবজির দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।  বাজারের খুচরো বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে যে দামে কেনা তার থেকে গড়ে ১০ থেকে  ৩০ টাকা বেশি দরে তাঁরা খুচরো বাজারে বিক্রি করবেন। এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। বাজারে বিক্রিবাটা কমেছে। তাই আপাতত সবজি ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। কখন মুষলধারে নামবে বর্ষার বৃষ্টি।

    সবজি (Vegetables) বিক্রেতারা কী জানাচ্ছেন?

    এক সবজি বিক্রেতা মন্টু সাউ হাওড়া সবজি বাজারে এসেছিলেন সবজি (Vegetables) কিনতে। তিনি বলেন, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও কুঁদরি ছিল ৫০ টাকা পাল্লা, লোকে খেত না৷ এখন সেই কুঁদরি ১৫০ টাকা পাল্লা। ২০ টাকা কিলো এক সপ্তাহ আগে ছিল। সেটা ৬০ টাকা কিলতে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঢেঁড়স যেখানে এক সপ্তাহ আগে ১৫০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৩৫০ টাকা পাল্লা। তার উপর বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ঢেঁড়শ শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে করলা আগে যেখানে ২০০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৪০০ টাকা পাল্লা। বিনয় সাউ নামে আর এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বর্ষায় এই সময় যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। তাই সবজি গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিটা ঠিকঠাক হলে আবার দাম কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train accident: ওন্দায় রেল দুর্ঘটনা, দুটি মালগাড়ির সংঘর্ষে লাইনচ্যুত ১৩টি বগি

    Train accident: ওন্দায় রেল দুর্ঘটনা, দুটি মালগাড়ির সংঘর্ষে লাইনচ্যুত ১৩টি বগি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মধ্যেই ফের রেল দুর্ঘটনা বাঁকুড়ার ওন্দায়। রবিবার ভোরে লুপ লাইনে দুটি মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে একাধিক বগি। দুর্ঘটনার জেরে আদ্রা-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে।

    ঠিক কী করে ঘটল এই দুঘর্টনা (Train Accident)?

    স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৪টে নাগাদ এই দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটে। দুর্ঘটনায় একজন চালক আহত হয়েছেন। ওন্দা স্টেশনের কাছে লুপ লাইনে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেই দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে বাঁকুড়ার দিক থেকে আসা অন্য একটি মালগাড়ি। দুঘর্টনার জেরে একটি ইঞ্জিন-সহ দুটি মালগাড়ির ১৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা চালকদের উদ্ধার করেন। এই সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ওন্দার রেল প্ল্যাটফর্ম ও সিগন্যাল রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর থেকে আদ্রা-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে। একই লাইনে দুটি মালগাড়ি এসে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কীভাবে এই সিগন্যাল বিভ্রাট ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীর কী বক্তব্য?

    শ্যামসুন্দর সিংহ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এদিন ভোরে আমি রেল লাইনের ধার দিয়ে যাচ্ছিলাম। একটি লাইনে মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। আচমকা দেখি, সেই লাইনে একটি মালগাড়ি গিয়ে পিছনে ধাক্কা মারে। দুটি মালগাড়ির বহু বগি উল্টে যায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই। মালগাড়ির ইঞ্জিন থেকে ড্রাইভার সহ অন্য রেল কর্মীদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর পরই অন্যরাও ছুটে আসে। ট্রেনের চালক সহ অন্যরা ভয়ে কাঁপছিল। চোখের সামনে এই ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)  দেখে আমিও খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।

    কী বললেন রেলের আধিকারিক?

    রেল দুর্ঘটনার পর পরই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার সহ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। মণীশ কুমার বলেন, লুপ লাইনে মালগাড়ি দাঁড়িয়েছিল। সেখানে রেড সিগন্যাল ছিল। মালগাড়়ির চালক কোনওভাবে সেই সিগন্যাল না দেখেই লুপ লাইনে ট্রেনটি নিয়ে যায়। যার জেরে দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ড্রাইভারের ভুলের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছে। তবে, ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল হতে সময় লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ, জেলজুড়ে শোরগোল

    Siliguri: ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ, জেলজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বাড়ির সামনে থেকে এক ব্যবসায়ীকে বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম প্রভাকর সিং। বাড়ির কাছেই চম্পাসারি নিয়ন্ত্রিত বাজারে তাঁর লেবুর ব্যবসা রয়েছে।

    কীভাবে অপহরণ?

    অন্যান্য দিনের মতো,এদিনও সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ  বাড়ির কাছেই শিলিগুড়ির (Siliguri) চম্পাসারির নিয়ন্ত্রিত বাজারে নিজের দোকানে যাচ্ছিলেন প্রভাকর সিং নামে ওই ব্যবসায়ী। রাস্তা ফাঁকাই ছিল। রাস্তার ধারে এক মহিলা তাঁর চায়ের দোকান খুলেছিলেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী বাড়ি থেকে কিছুটা দূর  যাওয়ার পর পিছন থেকে একটি চার চাকা গাড়ি তাঁর পাশ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে থেমে পড়ে। গাড়ি থেকে জনা ছয়েক  দুষ্কৃতী নেমে  বন্দুক দেখিয়ে জোর করে ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।  সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি খবর দিই।

    কী বললেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী?

    অপহৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী অঙ্কিতা কুমারি বলেন, শুক্রবার বিকেলে এক অচেনা ব্যক্তি আমার স্বামীর  পিছু নিয়েছিল। রাতে বাড়িতে ফিরে সেকথা জানিয়েও ছিল সে। ওর কোনও শত্রু ছিল না। কোনওদিন হুমকি দিয়ে কোনও ফোনও আসেনি। কে বা কারা, কেন অপহরণ করল সেটা বুঝে উঠতে পারছি না।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।  শঙ্কর ঘোষ বলেন, অখিলেশ চতুর্বেদী পুলিশ কমিশনার হয়ে আসার পর থেকে শিলিগুড়ির আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। শহর জুড়ে নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে চলেছে। তিনি তাঁর পছন্দের বাইরে কারও ফোন ধরেন না। কোনও একটা অংশকে খুশি করতে তিনি ব্যস্ত। পুলিশ কমিশনারের ব্যর্থতার জন্যই ব্যবসায়ী অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

    পুলিশ কী বলছে?

    পুলিশ জানিয়েছে, চম্পাসারি এলাকায় রাস্তা এবং আশপাশ বাড়ির  সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে গাড়িতে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই গাড়িতে  নম্বর প্লেট ছিল না। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনার আখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, এদিন এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share