Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weed Farming: দোষ প্রমাণ হলে কারাবাস! তবুও লাভের আশায় রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ

    Weed Farming: দোষ প্রমাণ হলে কারাবাস! তবুও লাভের আশায় রমরমিয়ে চলছে গাঁজার চাষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোষ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন কারাবাস। কিন্তু সব জেনেও লাভের আশায় প্রতিবছর গাঁজার চাষ (Weed Farming) করেন কোচবিহারেরে চাষিরা। মামলা হয় অনেকের নামে, এমন কী পুলিশ গ্রেফতার করেও নিয়ে যায়। তারপরও বেশি পয়সার জন্য এই অবৈধ ভাবে রমরমিয়ে গাঁজার চাষ করতে বাধ্য হন চাষিরা। রীতিমতো দরমার বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে, কিছুটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় গাঁজা চাষের জমিকে। নিরুপায় কিন্তু পেট চালানোর জন্য এই ভাবেই কোচবিহারে চলছে অবৈধ গাঁজার চাষ।

    চাষিদের বক্তব্য (Weed Farming)

    কোচবিহারেরে একচাষি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, “এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে আয় হয় মাত্র পাঁচ হাজার টাকা, আবার ওই জমিতেই গাঁজা চাষ (Weed Farming) করে আয় হয় সাত লক্ষ টাকা। এরপর এই গাঁজা চলে যায় অন্য রাজ্যে। রাজ্যে চাষের ফসলে সঠিক দাম না পাওয়ার জন্যই এইভাবে লুকিয়ে চাষ করে থাকি আমরা।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কোচবিহার আবগারি দফতরের জেলা জেলার সুপারিনটেন্ডেন্ট সাঙ্গে ডোমা ভুটিয়া বলেন, “অতিরিক্ত লাভের আশায় অনেক চাষি গাঁজার (Weed Farming) চাষ করেন। কিন্তু এটা পুরোপুরি বেআইনি। তাই পদক্ষেপ বেশ কড়া নিতে হয় আমাদের।” আবার কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, এখনও পর্যন্ত জেলায় তিন হাজার বিঘা গাঁজার চাষ নষ্ট করা হয়েছে।”

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই গাঁজা চাষের পিছনে চাষিদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকে না, এর পিছনে একটি বিরাট চক্র কাজ করে। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে, গাছ পরিচর্যা ইত্যাদির জন্য আগে থেকে চাষিদের হাতে টাকা দেওয়া হয়। এমনকি গাছ পরিণত হওয়ার আগেই লাভের বেশির ভাগ টাকা চলে যায় ওই পাচারচক্রীদের কাছে। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি থেকে পাইকারীরা গ্রামের চাষিদের টাকা দিয়ে গাঁজা কিনে নেয়। লাভের টাকা তেমন ভাবে চাষিরা পান না। তবে শাস্তির সম্মুখে পড়তে হয় কেবল চাষিদেরই।

    গাঁজা চাষ বছরের দুইবার হয়

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁজা চাষ (Weed Farming) বছরে দুইবার হয়। একটি আষঢ়ি অপরটি হেমতি। ভালো মানের চাষ আষাঢ় মাসেই হয়ে থাকে। তবে এখন মণিপুরের এক রকমের দামে বেশি এক প্রকার গাঁজার চাষ হচ্ছে কোচবিহারে। কোচবিহারের তোর্সা, মানসাই, ধরলা, কালজানি নদীর দু’ধারের জমিতে চাষ হয় গাঁজা। তাই রাজ্যের কৃষি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, “রাজ্য সরকারকে চাষিদের খাদ্যশষ্য চাষের দিকে উৎসাহী করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    Jalpaiguri: পোশাকের রঙ নীল-সাদা করায় বিতর্কের মুখে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাক বিতর্কে ফের শোরগোল পড়েছে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলে। এই স্কুল শতাব্দীর পুরতান ইতিহাস বহন করে চলেছে। আগে স্কুলের পোশাকের রঙ ছিল সাদা জামা এবং কালো প্যান্ট। এবার থেকে নতুন স্কুল পোশাকের রঙ হবে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট। স্কুলের এই পোশাক বদলে রীতিমতো বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই জেলা স্কুল।

    ১৮৭৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে মাসিক ২০০ টাকা করে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে স্কুল নির্মাণ করা হয়েছিল। নানা সময়ে স্কুলের ভবন নির্মাণের বদল হলেও বদলায়নি পোশাকের রঙ। ফলে স্কুলের অভিভাবক, প্রাক্তনীরা তীব্র আপত্তি তুলেছেন পোশাকের রঙ বদলের সিদ্ধান্তে। আবার প্রাক্তনীদের কেউ কেউ বলছেন, “বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পছন্দের রঙ নীল-সাদাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্কুলের উপর। তাই অনেক ছাত্রের অভিভাবকেরা এই নীল-সাদা রঙের পোশাক ফিরিয়ে দিয়েছেন।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য (Jalpaiguri)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাতঃবিভাগে পড়ুয়াদের নীল-সাদা পোশাক দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সাদা জামা এবং নীল প্যান্ট পরে আসতে হবে। প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এই পোশাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য মাত্র আর দুই বছর পরেই এই স্কুলের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন করা হবে। ফলে সবকিছু নতুন করে সেজে উঠছে স্কুলের পরিকাঠামো। ঠিক এই মুহূর্তে স্কুলের পোশাক বদলের সিদ্ধান্তকে অনেকেই ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    স্কুলের (Jalpaiguri) প্রধান শিক্ষক ধর্মচাঁদ বাড়ুই বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনে পড়ুয়াদের পোশাকের রঙ ঠিক করা হয়েছে। স্কুলের সব রকম পরিকল্পনার জন্য সরকার ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা করেছে। তাই সরকারী স্কুলে সরকারের নির্দেশকে মান্যতা দিতে হবে। তবে কেউ কেউ আপত্তি করছেন। এটা ঠিক নয়।”

    নীল-সাদা রঙ নিয়ে আপত্তি একাকধিক স্কুলে

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা স্কুলের পোশাকের নীল-সাদা রঙ নিয়ে যেমন আপত্তি উঠেছে, ঠিক তেমনি রাজ্যের একাকধিক ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলিতে নীল-সাদা রঙে আপত্তি জানিয়ে আগেও আন্দোলন হয়েছিল। যেমন- কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমি স্কুলের পোশাকের রঙ বদল করে নীল-সাদা করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হয়। আবার শিলিগুড়ি গার্লস স্কুল ভবনের আগের রঙ লাল-হলুদকে বদল করে নীল-সাদা করতে চাইলে ব্যাপক প্রতিবাদ ওঠে স্কুলে। এমনকি প্রতিবাদের কারণে রঙ বদলের সিদ্ধান্তও স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gita Mass Recitation: রেকর্ড গড়ার পথে ব্রিগেড! ‘লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠে’ মুখরিত কলকাতা

    Gita Mass Recitation: রেকর্ড গড়ার পথে ব্রিগেড! ‘লক্ষ কণ্ঠের গীতা পাঠে’ মুখরিত কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা ছিলই। গত কয়েকদিন ধরেই চড়ছিল পারদ। সেই প্রত্যাশা পূরণ করে তা কার্যত ছাপিয়ে গেল রবিবাসরীয় ব্রিগেডে। ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita Mass Recitation) ঘিরে রেকর্ড ভিড়ের সমাগম কলকাতায়। সমবেত শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হল শহরের আকাশ-বাতাস। লক্ষ কণ্ঠের গীতাপাঠে (Lokkho Kanthe Gita Path) গমগম করছে তিলোত্তমা।

    ব্রিগেডমুখী জনজোয়ার

    আজ সকাল থেকে কলকাতার আকাশ ছিল ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন। দৃশ্যমানতা ছিল একেবারেই কম। যে কারণে, ব্যাঘাত ঘটেছে যাতায়াতে। কারণ, লোকাল থেকে শুরু করে ফেরি, মেট্রো থেকে শুরু করে বাস— সবকিছুর গতি ছিল স্লথ। তাও ব্রিগেডমুখী জনজোয়ারে কোনও ভাঁটা পড়েনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে বাড়তে থাকে ভিড়। শিয়ালদা-হাওড়ায় জমায়েত হয়ে শুরু করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উৎসাহী মানুষের। 

    সনাতনীদের মিলনমেলা

    এদিনের ব্রিগেড কর্মসূচি হল সনাতনীদের মিলনমেলা (Gita Mass Recitation)। এই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে সনাতন সংস্কৃতি পরিষদ, মতিলাল ভারততীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের একাধিক সংগঠন। গীতা পাঠের (Lokkho Kanthe Gita Path) মঞ্চে রয়েছেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য থেকে শুরু করে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু-সন্তরা। এই অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছেন কাতারে-কাতারে মানুষ।

    কাতারে কাতারে জমায়েত

    লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠকে কেন্দ্র করে ব্রিগেডে হাজির হন কাতারে কাতারে মানুষ। বিভিন্ন বয়সের প্রচুর মানুষ গীতাপাঠে সামিল হন। আগতদের সুবিধার্থে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের পক্ষ থেকে হাওড়া স্টেশনের বিপরীতে মঞ্চ করা হয়। সেখান থেকেই তাঁদের গাড়ি করে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পাঠানো হয়। সাড়ে দশটায় শুরু হয় শোভা যাত্রা। তারপরই হয় আরতি। সাড়ে ১১টা অবধি চলে বেদ পাঠ। গীতাপাঠ (Lokkho Kanthe Gita Path) শুরু বেলা ১২টা ২০ মিনিটে।

    উপস্থিত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব 

    এদিনের ব্রিগেড কর্মসূচি নয় কোনও রাজনৈতিক দলের। তবে, গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। গীতাপাঠের (Gita Mass Recitation) এই অনুষ্ঠানে বঙ্গ বিজেপির একাধিক বিধায়ক-সাংসদ এবং নেতাকে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে। দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদার থেকে অগ্নিমিত্রা পাল এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও গীতাপাঠে অংশ নিতে দেখ গিয়েছে। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে হাজির হন হিরণও।

    উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক পরিবেশের কোনও বিষয় নেই। এটা একটা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম (Gita Mass Recitation)। সেখানে সবাই অংশ নিয়েছে। আমরাও অংশ নিয়েছি। ব্রিগেড তো বাংলার কুরুক্ষেত্র।’’ এর আগে, মোদির লেখা এই চিঠি প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানকে সমর্থন জানিয়ে আমাদের উৎসাহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

    আরও পড়ুন: চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বার্তা, আজ ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’

    দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সমাজকে জাগাতে হবে। এক জায়গায় সকলকে আনতে হবে।’’ সকালে শঙ্করাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তাঁর থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার ছবি নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে শেয়ারও করেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।

    বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘আমরা এর রাজনীতিকরণ করিনি। মানুষের মধ্যে দৃঢ়তা আনা, মানুষের মধ্যে সামাজিক কাজকর্মে চেতনা বাড়াতে, সংগঠিত করতে এই উদ্যোগ। গীতাতে তো মানুষের জন্য কাজ করারই শ্লোক রয়েছে।” এরমধ্যেই, ব্রিগেডর কর্মসূচিতে (Gita Mass Recitation) কেন পুলিশ নেই, অথচ অদূরে পার্ক স্ট্রিটে ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে রাজ্যকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জাতিগত শংসাপত্রের জালিয়াতির চক্র খোদ সরকারি দফতরেই!

    Malda: জাতিগত শংসাপত্রের জালিয়াতির চক্র খোদ সরকারি দফতরেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সরকারি দফতরেই চলছে জাতিগত শংসাপত্রের জালিয়াতির চক্র। এলাকার ছাত্রদের দেওয়া এই জাল শংসাপত্রে রয়েছে সরকারি আধিকারিকের স্বাক্ষর। তার জেরে ছাত্রদের চুড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। জাল শংসাপত্রের কারণে বর্তমানে স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা। ঘটনায় মালাদায় (Malda) ব্যাপক শোরগোল পড়ছে। অবশ্য চাঁচল মহকুমা শাসক শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রক্রিয়াগত কারণের জন্যই এই ধরনের ভুল হয়েছে। বিডিওকে বিষয় দেখার জন্য বলেছি।”

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Malda)?

    রাজ্যে একের পর এক জালয়াতির চক্র ফাঁস আগেও হয়েছে। ভুয়ো ভ্যাক্সিনের চক্র, ভুয়ো ডাক্তার, ভুয়ো সিআইডি, ভুয়ো শিক্ষক ইত্যাদি একেরপর এক জালিয়াতির ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে বারবার কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার মালদার (Malda) চাঁচলের ২নং ব্লকের কাপাসিয়া এলাকার ১২ থেকে ১৫ জন তফশিলি জাতির পড়ুয়াদের জাল শংসাপত্রের কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উল্লেখ্য ছাত্ররা নিয়ম মেনেই সরকারি ব্লকে আবেদন করেছিল। পরবর্তী সময়ে দফতর থেকেই সেই শংসাপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই শংসাপত্র বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে জানতে পারা যায় শংসাপত্রগুলি জাল। এরপর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয় জেলায়।

    আভিযোগ বিডিও-র কাছে

    ঘটনায় জাল শংসাপত্রের কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে ব্লকের বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে সরকারি দফতরে এই ভাবে জালিয়াতির কাজ চলছে? আর তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এই পড়ুয়ারা প্রত্যেকেই বেছপুরা কালিকাপুর হাই স্কুলের (Malda) ছাত্রছাত্রী। ২০১৯ সালে তারা আবেদন করছিল শংসাপত্রের জন্য। এরপর ২০২০ সালে সেই শংসাপত্র পায় এবং ২ নম্বর চাঁচল ব্লকের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়। এবার এই শংসাপত্র নিয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে ব্লক অফিস থেকে বলা হয় শংসাপত্র জাল এবং তা অবৈধ। এরপর ব্লকের আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানালেও তা কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করে পড়ুয়ারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিষয় সামনে আসতেই ইতিমধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপির দাবি, “এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার একটি জাল সরকার। তাই এটাতে নতুন কিছু নয়।” অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এলাকার (Malda) বিধায়ক আব্দুল রহিম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয় খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছি।”       

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: আচার্যের অনুমতি নেই, নেই ভিসি-ও, প্রথা ভেঙে সমাবর্তন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 

    Jadavpur University: আচার্যের অনুমতি নেই, নেই ভিসি-ও, প্রথা ভেঙে সমাবর্তন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমতি মেলেনি। আবার শনিবারই রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অপসারণ করেছেন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। এহেন আবহেই পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সমাবর্তন।

    যাদবপুরে সমাবর্তন

    বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠকের পরেই শুরু হয়ে গেল শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠান। শংসাপত্র ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। শংসাপত্রে উপাচার্য হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে বুদ্ধদেবের। যেহেতু শনিবারই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে, তাই পরিবর্তন করতে হতে পারে শংসাপত্র। এদিনের অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। মঞ্চে বসে ছিলেন সদ্য অপসারিত উপাচার্য। যেহেতু আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হচ্ছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান, তাই অনুপস্থিত ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।

    জোড়া গেরোয় প্রশ্ন চিহ্ন

    প্রথমত, আচার্যের অনুমতি মেলেনি। দ্বিতীয়ত, শনিবার সমাবর্তনের (Jadavpur University) আগের রাতেই সরিয়ে দেওয়া হয় উপাচার্যকে। জোড়া গেরোয় অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল সমাবর্তনের অনুষ্ঠান। এর পরেই আসরে নামে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সমাবর্তন যাতে হয়, সেজন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় বুদ্ধদেবকে। এক্ষেত্রে হাতিয়ার করা হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এককভাবে এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত (উপাচার্যকে অপসারণ) নিতে পারেন না।

    শনিবারই সরিয়ে দেওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। তাঁকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বুদ্ধদেব বলেন, “মুক্ত লাগছে। আমি আড়াই হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে লড়েছি।”

    আরও পড়ুুন: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    এদিকে, সোমবার থেকে উপাচার্যহীন হতে চলেছে রাজ্যের ১০ বিশ্ববিদ্যালয়। ছ’ মাসের মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই উপাচার্যদের। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ, রবিবার। তাই ফাঁকা হচ্ছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চেয়ার। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজে ফের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে এডুকেশনিস্ট ফোরাম।  

    প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে রাজ্য ও রাজ্যপালের। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে একে অপরকে তোপ দাগতেও দেখা যায় প্রকাশ্যেই। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রবিবার। তাই সোমবার থেকে (Jadavpur University) উপাচার্যহীন হয়ে পড়ছে এই ১০ বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘন কুয়াশার চাদরে কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তরে তুষারপাতের

    Weather Update: ঘন কুয়াশার চাদরে কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তরে তুষারপাতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের পাতা অনুযায়ী, চলছে পৌষমাস। গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে শীত উধাও হয়ে গিয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Update)। আবহবিদরা আগেই জানিয়ে রেখেছেন, এবছর উষ্ণ ক্রিসমাস দেখবে তিলোত্তমা। কলকাতায় ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী পারদও। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। শনিবার যা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (West Bengal Weather)। সর্বোচ্চ তাপমাত্র ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। তার মধ্যেই, রবিবার ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেল কলকাতা সহ দক্ষিণের আকাশ। দীর্ঘক্ষণ রোদের দেখা মেলেনি। পরের দিকে রোদ উঠলেও, তার তেজ ফিকে। দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বিমান, ট্রেন ও ফেরি চলাচলে। বহু বিমান দেরিতে ওঠানামা করছে। একাধিক ফেরি বাতিল হয়েছে। ট্রেনও চলছে বিলম্বে। রাস্তাঘাটে যানবাহনের গতিও অত্যন্ত ধীর। 

    বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণে

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে পিছু হঠেছে উত্তুরে হাওয়া। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে গরম হাওয়ার সঙ্গে হু-হু করে ঢুকছে জলীয় বাষ্প। তার জেরেই বছর শেষে তাপমাত্রা বেড়েছে। পূর্বাভাস, আগামী দু-একদিনে আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে (West Bengal Weather), রবিবার কলকাতায় সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকবে। একই ছবি জেলাগুলিতেও। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটিও। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। 

    দার্জিলিঙে তুষারপাতের সম্ভাবনা

    দক্ষিণে যেখানে তাপমাত্রা বাড়ছে, সেখানে ঠান্ডায় জবুথবু উত্তরবঙ্গ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দার্জিলিং সহ উঁচু পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টি বা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী (West Bengal Weather), আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিকিমে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও সিকিমে। এছাড়া, হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী দুদিন বিচ্ছিন্নভাবে হ্লাক থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস (Weather Update)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    Recruitment Case: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন সেই নাকের বদলে নরুন পাওয়ার গল্প! চেয়েছিলেন চাকরি। চাকরি (Recruitment Case) তো হলই না, তার বদলে জুটল জেল হেফাজত। ধৃত চারজনকে রাত কাটাতে হচ্ছে জেলেই। ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। শুক্রবার চাকরির দাবিতে হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। পরে তাঁরা ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায়। পথ আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় চাকরিপ্রার্থী-পুলিশ বচসা, ধস্তাধস্তি। তার জেরে গ্রেফতার করা হয় ৫৯ চাকরিপ্রার্থীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, সরকারি কর্মীকে নিগ্রহ, অবৈধ জমায়েত ও জোর করে আটকে রাখার মামলা রুজু করে পুলিশ।  

    জেল হেফাজতে ৪ 

    শনিবার আদালতে তোলা হলে ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন বিচারক। বাকি ৪ জনের হয়েছে জেল হেফাজত। যদিও ‘বড় পরিকল্পনার চেষ্টা রয়েছে, জানতে হবে’ বলে দাবি করে পুলিশ। এই (Recruitment Case) দাবিতে আদালতে ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। পুলিশের সেই দাবি নস্যাৎ করে ধৃত চারজনকে দেওয়া হয়েছে জেল হেফাজত। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুলিশ জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে তাঁদের। প্রসঙ্গত, চাকরির দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারে আন্দোলন করছেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার ছিল সেই আন্দোলনের ৫৫৫তম দিন। এদিনই হাজরায় জমায়েত করেন তাঁরা।

    পুলিশের ‘আবদার’

    শুনানির সময় আদালতে সরকারি আইনজীবী বলেন, “ধর্নার ব্যানার সামনে রেখে বিক্ষোভকারীরা অপরাধমূলক কাজ করেছেন। পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছেন। ওই ঘটনায় ৯ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।” এর পরেই ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারকের প্রশ্ন, “পুলিশ হেফাজত চাইছেন কেন?” তদন্তকারী অফিসারের সওয়াল, “বড় পরিকল্পনার চেষ্টা করছে। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা রয়েছে। বারবার এরকম হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে।”

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতোয় টনক নড়েছে, তাই কি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা টেটে?

    এই সময় ধৃতদের আইনজীবী বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা হয়নি। আসলে চাকরি পেতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। এসব করে ভয় দেখাতে চাইছে, যাতে চাকরি জীবনে দাগ লাগানো যায়। এসএসসিতে দেখেছেন, মন্ত্রী থেকে অনেকেই জেলে রয়েছেন। আর যাতে কাউকে জেলে যেতে না হয়, তাই ভয় দেখানো হচ্ছে।” দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে ধৃত চারজনকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকিদের দেওয়া হয় জামিন (Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: হাইকোর্টের গুঁতোয় টনক নড়েছে, তাই কি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা টেটে?

    Primary TET: হাইকোর্টের গুঁতোয় টনক নড়েছে, তাই কি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা টেটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের গুঁতোয় এবার টনক নড়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে হাইকোর্টে নানা সময় অপদস্থ হতে হয়েছে রাজ্যকে। তার জেরে এবার প্রাইমারি টেটে (Primary TET) কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে পর্ষদ। এদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকেই মেট্রো চালাচ্ছে রেল। রয়েছে পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থাও। পরীক্ষা কেন্দ্রে কেউ যাতে অসদ উপায় অবলম্বন করতে না পারেন সেজন্য পরীক্ষকদের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে জেনে নিন পর্ষদের জারি করা সেই ‘ডুজ অ্যান্ড ডোন্টজ’ সম্পর্কে।

    ‘ডুজ অ্যান্ড ডোন্টজ’

    অ্যাডমিট কার্ড ছাড়া ছাপা কোনও জিনিস নিয়ে ঢোকা যাবে না পরীক্ষা কেন্দ্রে। ঢোকা যাবে না পেন্সিল বক্স, প্লাস্টিকের পাউচ, ক্যালকুলেটর, স্কেল, রাইটিং প্যাড, পেন ড্রাইভ, ইলেকট্রিক্যাল স্ক্যানার, কার্ড বোর্ড, জলের বোতল, মোবাইল, ইয়ার ফোন, ব্লু টুথ, মাইক্রোফোন, পেজার, হেল্থ ব্যান্ড নিয়েও। কোনও ধরনের ঘড়ি, মানি ব্যাগ, সানগ্লাস, হ্যান্ড ব্যাগ এবং সোনার গয়না নিয়েও ঢোকা যাবে না পরীক্ষা (Primary TET) কেন্দ্রে। পরীক্ষা হলে মোবাইল নিয়ে যেতে পারবেন না পরীক্ষকরাও। নির্দিষ্ট ঘরেই ফোন রাখতে হবে সবাইকে। প্রয়োজনে কথা বলতে হলে, সেখানে গিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে লগ বুকে তা নথিভুক্ত করতে হবে।

    প্রত্যেক ঘরেই থাকবে ঘড়ি

    পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য প্রতিটি ঘরেই জলের ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে ঘড়িও। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়তে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষাকেন্দ্রের গেট খুলে দেওয়া হবে সকাল সাড়ে ৯টায়ই। সংশ্লিষ্ট সকলকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে ১১টার মধ্যে। যদিও পরীক্ষা শুরু হবে ১২টা থেকে। পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হবে সবাইকে।

    আরও পড়ুুন: “গোহত্যা হলে ভগবান আমাদের ক্ষমা করবেন না”, মন্তব্য গুজরাট হাইকোর্টের

    পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা গোলাপি রংয়ের কপিটি জমা দেবেন। বাড়ি নিয়ে যাবেন ডুপ্লিকেট কপিটি (Primary TET)। এদিনই ব্রিগেডে রয়েছে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান। সেজন্য ভিড় হতে পারে রাস্তাঘাটে। তাই হাতে বেশ খানিকটা সময় নিয়েই বের হওয়াই ভালো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita Mass Recitation: চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বার্তা, আজ ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’

    Gita Mass Recitation: চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বার্তা, আজ ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তার পরেই শহরের আকাশ মুখরিত হবে শঙ্খধ্বনিতে। বাতাসে ভেসে আসবে লক্ষ মানুষের সমবেত কণ্ঠে গীতার শ্লোক-বাণী। আজ, রবিবার ব্রিগেডে হতে চলেছে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita Mass Recitation)। যাকে ঘিরে গোটা শহর তো বটেই, সমগ্র রাজ্যে তীব্র উৎসাহ ও উদ্দীপনার পারদ চড়ছে। এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন কলকাতায়। রবিবার ভোর থেকেই ব্রিগেডে জমায়েত শুরু হয়ে গিয়েছে। একটু পরেই সমস্বরে গীতা পাঠে মেতে উঠবেন সকলে।

    বিশেষ বার্তায় কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

    এই অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু, বিশেষ প্রয়োজনে শেষ মুহূর্তে তাঁর এই সফর বাতিল করতে হয়েছে। তবে, স্বয়ং হাজির না হতে পারলেও, কর্মসূচির আগে বিশেষ বার্তা পাঠালেন তিনি। শনিবার রাতে আয়োজকদের হাতে চলে আসে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি। তাতে মোদি লিখেছেন, ‘‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ, মতিলাল ভারততীর্থ সেবা মিশন আশ্রম এবং অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের উদ্যোগে কলকাতায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ (Gita Mass Recitation) কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এক লক্ষ মানুষের সমবেত গীতা পাঠের কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়। দীর্ঘ পরম্পরা, অগাধ জ্ঞান ও দার্শনিক-আধ্যাত্মিক বুদ্ধির মেলবন্ধনের দ্বারা গঠিত আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সম্প্রীতি আমাদের শক্তি। মহাভারতের সময় থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, বর্তমান সময়েও গীতা সকলকে অনুপ্রাণিত করে। ভারতের সংস্কৃতি অনুযায়ী জীবনযাপনের এবং অগ্রগতির বহু পরস্পর সংযুক্ত পথ দেখায় গীতা। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে এত মানুষের কণ্ঠে গীতাপাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকে আরও জোরদার করবে। একইসঙ্গে দেশের উন্নয়ন-যাত্রার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদান করবে। উন্নত, শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার জন্য ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সুযোগ আছে। ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ সকলের জন্য শান্তি নিয়ে আসুক। আয়োজকদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) এই বার্তা ব্রিগেডে পাঠ করা হতে পারে। 

    ১ লক্ষ ৩০ হাজার জমায়েত হবে

    এদিকে, ব্রিগেডে এখন সাজো সাজো রব। এক লক্ষ জমায়েতকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ব্রিগেড ময়দানকে ২০টি ব্লকে ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ভাগে ৫ হাজার করে মানুষের গীতা পাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্রিগেডে উপস্থিত থাকবেন দ্বারকার শঙ্কারাচার্য সদানন্দ সরস্বতী এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি। গীতাপাঠের জন্য ব্রিগেডে তৈরি হয়েছে বিশাল মঞ্চ। দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে মঞ্চকে। বড় মঞ্চটি উঁচু। সেখানে থাকবেন সাধু-সন্তরা। বড় মঞ্চের নিচে যে ছোট মঞ্চ তৈরি হয়েছে, সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। বাংলা ছাড়াও, অন্যান্য রাজ্যের থেকে প্রায় ১৫০০ সাধু-সন্তের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩০ হাজারের উপর ফর্মরেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে।

    শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে শুরু অনুষ্ঠান

    আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।  শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের (Gita Mass Recitation) সূচনা হবে। এর সঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশন হওয়ার কথা। ১০টা থেকে শুরু হবে ভজন। সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। এরপর শোভাযাত্রা শেষ হলেই আরতি শুরু হবে ১১টা ৫ মিনিট থেকে। ১০ মিনিট হবে আরতি। এরপর শুরু হবে বেদ পাঠ। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বেদপাঠ চলবে। পৌনে ১২টায় স্বাগত ভাষণ শুরু হবে। ভাষণ শেষ হলে ফের শুরু হবে গীতাপাঠ। মোটামুটি ১২টা ১০ থেকে শুরু হবে গীতাপাঠ। এক ঘণ্টা ধরে চলবে গীতাপাঠ। সেখানে গীতাপাঠে গলা মেলাতে পারবেন ভক্তরা। সওয়া ১টা নাগাদ গীতাপাঠ শেষ হওয়ার পরে বক্তব্য রাখবেন দ্বৈতাপতিজি। এরপরই শেষ হবে গীতাপাঠের আসর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: রাত পোহালেই প্রাইমারি টেট পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় তথ্য ও ফোন নম্বর

    Primary TET: রাত পোহালেই প্রাইমারি টেট পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় তথ্য ও ফোন নম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই প্রাইমারি টেট পরীক্ষা (Primary TET)। পরীক্ষা শুরু হবে রবিবার বেলা ১২টা থেকে। চলবে আড়াইটে পর্যন্ত। পরীক্ষায় বসবেন ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা নেওয়া হবে ৭৭৩টি কেন্দ্রে। নিয়োগ হবে ১১ হাজার ৭৬৫টি আসনে। অ্যাডমিট কার্ড এবং পেন-পেন্সিল ছাড়া আর কিছুই নিয়ে ঢোকা যাবে না পরীক্ষা কেন্দ্রে। প্রশ্ন থাকবে ১৫০টি। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রশ্ন হবে এমসিকিউ ধাঁচে। নেগেটিভ মার্কিং নেই।

    পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে এদিন মেট্রো চলবে সকাল ৬টা বেজে ৫০ মিনিট থেকে। দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায় (Primary TET)। এদিন সব মিলিয়ে মেট্রো চলবে ২৩৪টি। পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষকদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে পর্ষদ। যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করা যাবে। হেল্পলাইন নম্বরগুলি হল-

    শিলিগুড়ি – ৯৮০০৫৮৩৩০৭/৭৯০৮৪০৯১০০

    জলপাইগুড়ি – ৮১০১২৪৯৮৬৯

    আলিপুরদুয়ার – ০৩৫৬৪-৪৬৯৭৭৩

    কোচবিহার – ০৩৫৮২-২২২৪৪২

    উত্তর দিনাজপুর -১৮০০-৩৪৫-৩৩৬৭/ ০৩৫২৩-২৪৬১৫৩

    দক্ষিণ দিনাজপুর – ৭০০১৩০১০৭৭

    মালদহ – ০৩৫১২-২২১১২৩

    মুর্শিদাবাদ – ৯৯৩২০৫৪৬০৮

    নদিয়া – ৯২৩২৭৬১৫৬৮

    পুরুলিয়া – ৭৫৪৭৯৯৪৯৪৯

    বাঁকুড়া – ৯৯৩২৯৬৭৭৪৭

    বীরভূম – ৯৯৩৩৪৮৫৪০৫

    পূর্ব বর্ধমান – ৯৪৭৪১৭৩০০/৯৪৭৪১৭৩১৪৪

    পশ্চিম বর্ধমান – ৯৪৩৪৩২৩৮৩৯

    হুগলি – ৭০৩৩৯০৮৪২০

    হাওড়া – ৮৯২৬৩৩০৭৩০/৯৪৩৪৫১০২৭৯

    কলকাতা – ৬২৯১১৫২৪৭৮

    উত্তর ২৪ পরগনা – ৭৯৮০৪৬৫৬৬৪ /৯০৯৩১১৮৯০৬ / ৯৮৭৪১১১৫৬৪

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা – ৯৪৩৩২৬৬৮৮৭/ ৯৪৭৪১৫৯৪৫৬

    পূর্ব মেদিনীপুর – ৯৪৭৫২২৪৯২৭ / ৭৩১৯২৯০২৬৩

    পশ্চিম মেদিনীপুর – ৯৫৪৭৫৭৩৭৩৬

    ঝাড়গ্রাম -০৩২২১-২৯১০১৬/৮১০১৭৪৫৪৩৭

    রবিবার একে রাস্তায় কম থাকে গাড়ি, তার ওপর এদিনই ব্রিগেডে হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ। সেকথা মাথায় রেখেই পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস যাতে চলাচল করে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবারের এই পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর। তার আগে ৪ তারিখে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয় ২৪ ডিসেম্বর। এই দিনেই রয়েছে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আসর। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই তারিখ ঠিক হয়েছিল ছ’ মাসেরও বেশি আগে। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই দিনেই পরীক্ষা ফেলায় দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে পরীক্ষার্থীদের (Primary TET)।

    আরও পড়ুুন: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার”, প্রচারের সুর বাঁধলেন মোদি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share