Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: সলমন-মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েট’, মমতাকে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা শুভেন্দুর, আক্রমণ গিরিরাজেরও

    Suvendu Adhikari: সলমন-মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েট’, মমতাকে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা শুভেন্দুর, আক্রমণ গিরিরাজেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহও। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট। মঞ্চে ছিলেন তারকা সলমন খান, সোনাক্ষী সিনহা, অনিল কাপুর, মহেশ ভাটরা। এক সময় গানের তালে নাচতে শুরু করেন সলমন, সোনাক্ষী। তাঁদের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

    গিরিরাজের নিশানায় মমতা

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন গিরিরাজ। বুধবার কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “গোটা বাংলা দুর্নীতিতে জড়িত। গরিব মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী সলমনের সঙ্গে নাচে মেতে রয়েছেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকাল (Suvendu Adhikari) অন্য কোনও গ্রহে বাস করছেন। গোটা বাংলা দুর্নীতিতে ডুবে। গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। আর উনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সলমন খানের সঙ্গে কোমর দোলাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে রাজ্যে গরিবকে লুণ্ঠন করা হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, আর তার মুখ্যমন্ত্রী মোচ্ছব করছেন, কোমর দোলাচ্ছেন, এটা উচিত নয়।” গিরিরাজ বলেন, “উনি সেখানে গিয়ে বসে থাকতে পারতেন। ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বলে কোমর দোলানোটা কি খুব জরুরি? আমার আপত্তি উনি মোচ্ছব করছেন বলে। আর লোক খিদেয় মরছে, বেকারত্বের জ্বালায় মরছে, দুর্নীতিতে মরছে।”

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদে ইস্তফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির ১০ জনের, তালিকায় কারা?

    কী বললেন শুভেন্দু 

    মুখ্যমন্ত্রীকে তাক করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “রোম পুড়ো যাওয়ার সময় নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলেন নিরো ২.০। তিনি যখন নাচছেন তখন পশ্চিমবঙ্গ বিপুল আর্থিক বোঝা ও সীমাহীন দুর্নীতির মধ্যে ডুবে রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, এবার ছিল ২৯তম আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় অনুষ্ঠানে থিম সং-টি গেয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। সেই গানেই সলমনের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় সোনাক্ষীদের। পরে হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে নিয়ে আসেন সলমন। এর পরেই তাঁদের সঙ্গে (Suvendu Adhikari) পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতদেশ দিলেন বিচারপতি শম্পা সরকার। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। হাইকোর্টের নির্দেশ নিম্ন আদালতে আপাতত ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাকে মামলাকারীর কাছে নোটিস পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের একাধিক বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘ফেরুল’ অর্থাৎ মূল পাইপ থেকে মুখ জোড়ার যন্ত্রাংশ কেনা-সহ একাধিক বিষয়ে বেনিয়মের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। পুলকের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, খোলা বাজারে যে ফেরুলের দাম ২১৩ টাকা, সেটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু সংস্থাকে দিয়ে ফেরুল কেনা হয়েছে। ১,০৮৬ কোটি টাকার প্রকল্পে নূন্যতম ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, বলে জানান শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা অসত্য তথ্য সামনে এনেছেন এই অভিযোগ তুলে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন পুলক। 

    আরও পড়ুন: ১ বছরেই বৃদ্ধি ৪০ শতাংশ! পর পর ৫ বছর অ্যাসিড হামলায় শীর্ষে বাংলা

    কী বলল আদালত

     প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক, শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) আইনি নোটিস পাঠান। অভিযোগ, ওই নোটিসের কোনও জবাব দেননি বিরোধী দলনেতা। এর পরে গত ৩ জানুয়ারি উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতের দেওয়ানি বিভাগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালত এক পক্ষ শুনেই শুভেন্দু অধিকারীকে লিখিত জবাবি হলফনামা দিতে বলে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী সেই নির্দেশে জানিয়েছিলেন, হলফনামা জমা করবেন না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তার প্রক্ষিতেই শুনানি ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি শম্পা সরকার আপাতত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। বিচারপতির নির্দেশ, আপাতত ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। হাইকোর্টে মামলার বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রী পুলককে আগে নোটিস দেবেন শুভেন্দু। মামলাকারী মন্ত্রী শুভেন্দুর কাছ থেকে নোটিস পাওয়ার পরেই মামলাটি হাইকোর্টে আবার উঠবে। আগামী ১১ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB Legislative Assembly: বিজেপির আপত্তি মেনে ৮ তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ককে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে দিলেন না স্পিকার

    WB Legislative Assembly: বিজেপির আপত্তি মেনে ৮ তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ককে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে দিলেন না স্পিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। একপ্রকার বাধ্য হয়ে তাতেই সায় দিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারলেন না তৃণমূলের ৬ জন বিধায়ক। ক্রিমিনাল জাস্টিস ডেলিভারি সিস্টেম নিয়ে দুদিনের আলোচনা শেষে বুধবার ভোটাভুটি চায় বিজেপির পরিষদীয় দল।

    দরজা বন্ধের নির্দেশ

    বুধবার অধিবেশনের ভোটাভুটি পর্বে অধিবেশন কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। এরপর শুরু হয় স্লিপ বিলি। স্লিপ বিলি শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ভোটাভুটি পর্ব। এই সময় অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাঝিও এই সময় ঢোকেন অধিবেশন কক্ষে। এর পরেই বিজেপি বিধায়করা স্পিকারকে সাফ জানিয়ে দেন, স্লিপ বিলির সময় যাঁরা বাইরে ছিলেন, তাঁরা ভোটাভুটিতে অংশ নিলে ওয়াকআউট করবেন তাঁরা। এই সময় বিধানসভা কক্ষে ঢুকতে যান রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রী সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্ত। স্পিকারের নির্দেশ শুনে ভোটাভুটি চলাকালীন আর ভিতরে ঢোকেননি তাঁরা।

    ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত 

    বিজেপির পরিষদীয় দল জানতে চায় বাইরে থাকা মন্ত্রীরা অধিবেশন কক্ষে রয়েছেন কীভাবে? এর পর ওয়াকআউটের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বিজেপির বেশিরভাগ বিধায়ক। এই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন ওয়াকআউট না করেন। তিনি এও জানান, বাইরে থাকা কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ককে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এর পরেই অধিবেশন কক্ষে ফেরেন পদ্ম বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদে ইস্তফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির ১০ জনের, তালিকায় কারা?

    স্পিকার জানান, ১০১-৪২ ভোটে পাশ হয়েছে ওই প্রস্তাব। দলীয় মন্ত্রী-বিধায়কদের আচরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের একাংশও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিধায়ক বলেন, এলাকার মানুষ যখন ভোট দিয়ে আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছে, তখন আমাদের উচিত বিধানসভার প্রতিটি নিয়মকানুন মেনে চলা। এ ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রী-বিধায়করা যে আচরণ করেছেন, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী, এসএসসি’র তরফ থেকে নোটিশ পেতে চলেছেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৫৪৯ জন কর্মী চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এসএসসি যে নোটিশ দেবে, তাতে লেখা থাকবে যে এই চাকরি আদালতের বিচারাধীন। প্রত্যেক চাকরিজীবী ডিসেম্বর মাসের বেতন পাওয়ার আগেই এই নোটিশ পাবেন এবং তাঁদেরকে এই নোটিশে সইও করানো হবে। প্রসঙ্গত, এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই পর্যবেক্ষণে এক বড় অংশের চাকরিজীবীদের ওপরে খাঁড়া ঝুলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক?

    বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বলেন, ‘‘এই মামলার রায় যে দিকেই যাক, তার প্রভাব বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর পড়তে চলেছে। অথচ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টা না জেনেও থাকতে পারেন। তাই তাঁদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে যে তাঁদের নিয়োগ আদালতে (Calcutta High Court) বিচারাধীন রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে। নোটিশে সই করিয়ে তা জমা দিতে হবে আদালতে। সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কি না তা আদালতকে জানাবেন নোডাল অফিসার।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালত ঘোষণা করেছে আগামী ১২ জানুয়ারি।

    বিশেষ বেঞ্চে চলছে শুনানি

    সুপ্রিম নির্দেশের পরই নিয়োগ দুর্নীতির শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি তাই চলছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বে গঠিত ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, তার সব কিছুর শুনানি শেষ করতে হবে। এছাড়াও আগামী ৯ জানুয়ারি নিয়োগ-দুর্নীতির সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআই-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কার্শিয়ংয়ের কন্যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিবাহের আসরে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পর কলকাতায় নিউটাউনের একটি হোটেলে ভোজের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ের এলাহি আয়োজন নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর কথায়, ‘আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।’ শুভেন্দু দাবি করছেন, আগামী রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠানের এই কয়টা দিন কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে দুই শিফটে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশক কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজবৈদ্যদের নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম, এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে ‘মিড-ডে মিল’ পরিবেশন করা হয়েছে, তা দেখে লজ্জা হয়।’ 

    এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকেও শুভেন্দু বলেন, ‘উনি নাকি গরীবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে এই রকমের আয়োজন। মানুষ তো সব দেখছে।’ তাঁর কথায়, ‘পিসির পরিবার, জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল’ তবে অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মোতায়েন করার বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘এলাহি আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।’ এরই সাথে খাবারের একটি ছবিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    উল্লেখ্য, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তার পুত্র আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abesh Banerjee)। পারিবারিক সূত্রে খবর, নিজের সহপাঠী প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি। বরকর্তা হচ্ছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের এই রাজ-বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই বিয়েতে সাহায্য করা সাধারণ কর্মীদের হাল নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?” মঙ্গলবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির শুনানির প্রথম দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পর্ষদ কেন হাইকোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে দুরকম কথা বলছে, তা পরিষ্কার করে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে সাত দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে কমিশনকে।

    কমিশনের দ্বিচারিতা 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলাও ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্টে। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চও গঠন করেছে হাইকোর্ট। এই বেঞ্চের তরফেই এদিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (Calcutta High Court) মামলাটির মূল মামলাকারী লক্ষ্মী তুঙ্গা, সাবিনা ইয়াসমিন ও সন্দীপ প্রসাদ। ওই মামলায় হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে একাজ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই মামলায়ই এদিন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায়, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?

    কমিশনের দাবি

    কমিশনের দাবি, মামলাকারীরা প্রথমে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। চাকরি না পেয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের পরীক্ষায়ও বেনিয়ম হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?” এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, এই সব মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা (Calcutta High Court) কেন এভাবে নষ্ট হবে?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • Calcutta High Court: “তৈলমর্দন করলেই মিলবে পছন্দের পোস্টিং?” শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন বিচারপতির

    Calcutta High Court: “তৈলমর্দন করলেই মিলবে পছন্দের পোস্টিং?” শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা আপনাদের হাতে তৈলমর্দন করবেন, তাঁদের পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেবেন?” মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে এই প্রশ্নই করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা।

    বান্ধবীর বাড়ির কাছে পোস্টিং

    তাঁর মন্তব্য, “যাঁরা তৈলমর্দন করেন তাঁদেরই কি পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেন? মামলাকারী অনেক কিছুই চাইতে পারেন। মামলাকারী বলতে পারেন যে তাঁকে তাঁর বান্ধবীর বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হোক। কিন্তু পোস্টিংয়ের নির্দিষ্ট বিধি কোথায়?” বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হাওড়া, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হলে, পূর্ব মেদিনীপুরে কেন নয়?” বিচারপতি মান্থা বলেন, “বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা রাজ্য সরকার কেউই নির্দিষ্ট কোনও বিধি দেখাতে পারেনি।” আদালতের নির্দেশ, “যদি এখনও কোনও শূন্যপদ থাকে, তাহলে সেখানে নিয়োগ করা যাবে না।” রাজ্য ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হলফনামাও তলব করেছে আদালত (Calcutta High Court)।

    প্যানেল তৈরি হওয়ার পর কাউন্সেলিংই হয়নি

    মামলাকারীর দাবি, প্রধান শিক্ষকের প্যানেল তৈরি হওয়ার পর কাউন্সেলিংই হয়নি। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালতের দ্বারস্থ হন পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সার্কেলের সাতজন শিক্ষক। তাঁদের মতে, পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, “২০১৬ সালের বিধির মধ্যে কোথাও কাউন্সেলিং বা পোস্টিংয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। তাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা পেয়ে যাচ্ছে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ ডিসেম্বর।

    আরও পড়ুুন: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল জমানায় শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কখনও নিয়োগের ক্ষেত্রে, কখনও আবার পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে অনেকে চাকরি ‘কিনেছেন’ বলেও অভিযোগ। আবার বেছে বেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়েও দায়ের হয়েছে মামলা। এবার সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পোস্টিং দেওয়ার (Calcutta High Court)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • PM Narendra Modi: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    PM Narendra Modi: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ছিল প্রাইমারি টেট পরীক্ষা হবে ১০ ডিসেম্বর। পরীক্ষা যখন দোরগোড়ায়, তখনই কোনও কারণ ছাড়াই বদলে দেওয়া হল টেট পরীক্ষার দিন! পরীক্ষা হবে ২৪ ডিসেম্বর। ঘটনাচক্রে এদিনই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র আসরে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বিজেপির অভিযোগ, রাজনীতি করতেই পর্ষদ বেছে বেছে পরীক্ষার দিন ফেলেছে ২৪ ডিসেম্বর। গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটাতেই এটা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদেরও একাংশের বক্তব্য, বেছে বেছে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের দিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দিন ফেলে আদতে তাঁদেরই হেনস্থা করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

    ২৪ ডিসেম্বর গীতাজয়ন্তী

    ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার গীতাজয়ন্তী। দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এ রাজ্যে এতদিন দিনটির বিশেষত্বের কথা জানতেন হাতে গোণা কয়েকজন। এবার অবশ্য হইচই পড়ে গিয়েছে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে। এর প্রথম কারণ, এক লক্ষ মানুষ গীতা পাঠ করবেন সমবেত কণ্ঠে। আর দ্বিতীয়ত, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই গীতা পাঠকদের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতেও ভিড় করবেন প্রচুর মানুষ (PM Narendra Modi)। এঁদের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মানুষ যেমন থাকবেন, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসুরাও।

    সমস্যায় পড়তে পারেন পরীক্ষার্থীরা

    প্রধানমন্ত্রী শহরে আসবেন। তাই এদিন যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তার ওপর ব্রিগেডে এদিন ভিড় হবে লক্ষাধিক মানুষের। যেহেতু দিনটি রবিবার, তাই যানবাহন চলে কম। এই জোড়া ফলায় সমস্যায় পড়তে পারেন টেট পরীক্ষার্থীরা। বিশেষত, এদিন যাঁরা পরীক্ষা দিতে আসবেন কলকাতায়। তাছাড়া যাঁরা পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের অনেকেই বঞ্চিত হবেন এই মহতী অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়া থেকে। তাই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পরীক্ষার্থীদেরও একাংশের মধ্যে। যেহেতু অনেক আগে থেকেই লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা, প্রস্তুতিও শেষের পথে, তাই অনুষ্ঠানের দিন বদল করতে রাজি নন তাঁরা। এদিকে, রাজ্য সরকারও ওই দিনেই পরীক্ষা নিতে বদ্ধপরিকর। স্বাভাবিকভাবেই যার খেসারত দিতে হতে পারে পরীক্ষার্থীদের।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    সংগঠনের সহ-সভাপতি রিষড়া প্রেম মন্দিরের সন্ন্যাসী নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারি বলেন, “অনেক আগে থেকে আমাদের কর্মসূচি ঠিক করা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) যে আসবেন, সেটাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের পক্ষে দিন বদল করা সম্ভব নয়।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এ রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রী যে সনাতন ধর্ম বিরোধী, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে সনাতন ধর্মের একটি কর্মসূচির দিনের করাটা, তাঁর সেই মনোভাবেরই পরিচায়ক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2023) ফল ঘোষণা হতেই ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট! হারের কারণ অনুসন্ধান করতে ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে বসছেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। সেই জোটের বৈঠক সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজস্থান সহ চার রাজ্যে বিজেপির কাছে কংগ্রেস পরাস্ত হতেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    কী বললেন মমতা?

    নভেম্বর মাসেই নির্বাচন হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার। এর মধ্যে রবিবার ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয় পেয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর দল পেয়েছে তেলঙ্গানার রাশ। এর পরেই কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা কংগ্রেসের (Assembly Elections 2023) হার, মানুষের পরাজয় নয়।” বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। দেশের সেই সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে কুর্সি-ছাড়া করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’।

    ইন্ডির ভবিষ্য

    কংগ্রেসের পাশাপাশি সেই ‘ইন্ডি’তে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও। তিন রাজ্যে কংগ্রেস ধরাশায়ী হতেই মমতা দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কংগ্রেসের ডাকা ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠকে যে তৃণমূল সুপ্রিমো যাচ্ছেন না, তা জানিয়েছেন নিজেই। বলেন, “৬ তারিখের বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। আমি কিছুই জানি না। অভিষেকও উত্তরবঙ্গে চলে গিয়েছে। আমিও যাব। আমার সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    ইন্ডি জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা কেউ না কেউ ভোট কেটেছে। তাই বলছি, আসন সমঝোতা করতে। আসন সমঝোতা করলে এটা হত না।” এদিন বিধানসভায়ও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এখনও মনে করি আসন সমঝোতা করলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি আসবে না। ইন্ডি জোট এক সঙ্গে কাজ করবে। কিছু ভুল থাকলে শুধরে নেবে।” তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বাবুরা একটা বেশি পেয়েছে। আর কংগ্রেস একটায় হেরেছে, একটা পেয়েছে। কংগ্রেসের থেকে ছত্তিসগড় আর রাজস্থান নিয়ে নিয়েছে। আবার কংগ্রেস তেলঙ্গানায় জিতেছে (Assembly Elections 2023)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET 2023: বদলে গেল সূচি! ১০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে কবে হবে প্রাইমারি টেট?

    Primary TET 2023: বদলে গেল সূচি! ১০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে কবে হবে প্রাইমারি টেট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল ২০২৩ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার (Primary TET 2023) দিন। আগে ১০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেটের দিন ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। সোমবার পর্ষদ জানাল, ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে না। পরিবর্তে পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। যদিও কী কারণে আচমকা টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ বদল করা হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, পলিসিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    কারা পরীক্ষা দিতে পারবেন

    এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আমরা এ বার বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ করছি যাতে পরীক্ষা একেবারে নির্বিঘ্নে হয়। তার জন্য বোর্ডের বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাই পরীক্ষার (Primary TET 2023) দিন পিছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।’’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিএড যাঁরা করেছেন, তাঁরা এ বছর টেটে বসতে পারবেন না। তবে ডিএলএড-সহ প্রাথমিক শিক্ষকের অন্য প্রশিক্ষণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা টেট দিতে পারবেন। তা ছাড়া, গত বছরের টেটে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, তাঁরাও নতুন করে এ বছর ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: দুই প্রধানে খেলা দেশের প্রাক্তন ফুটবলার জেজে লালপেখলুয়া এখন বিধায়ক

    পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবারে কম

    উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রচুর বেনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। ২০২২ সালের টেট (Primary TET 2023) পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগও এখনও আটকে। এরই মধ্যে আবার ২০২৩ সালে নতুন করে আরও একটি টেট পরীক্ষার আয়োজন করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে খবর, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে ডিএলএড ও বিএড-এর সকল যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছিলেন। তবে এ বছর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। তাই আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষা দেবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share