Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Uttarkashi Tunnel: তিনিই ক্যামেরা পৌঁছে দিয়েছিলেন সুড়ঙ্গে! সেই দৌদীপের মায়ের চোখে জল

    Uttarkashi Tunnel: তিনিই ক্যামেরা পৌঁছে দিয়েছিলেন সুড়ঙ্গে! সেই দৌদীপের মায়ের চোখে জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel) আটকে থাকা শ্রমিক উদ্ধার কাজের দ্বায়িত্ব ছিলেন সিঙ্গুরের বঙ্গ সন্তান। ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধার কাজে বিদেশী মেশিনের সাফল্য তেমন ভাবে কাজে লাগেনি। ভারতীয় পদ্ধিতিতেই উদ্ধারের সাফল্য এসেছে। ওই সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন বাংলার তিন শ্রমিক। সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকরা কীভাবে রয়েছেন? খাবার পৌঁছেছে কি না? ইত্যাদি বিষয়ে ক্যামেরা পৌঁছে দিয়ে খবর আদান প্রদান কাজ করেছেন বঙ্গের এক সন্তান। আটকে থাকা শ্রমিকের পরিবারের কাছে তাঁর ক্যামেরাই সেই সময় আশার আলো দেখিয়েছিল।

    বঙ্গ সন্তানের পরিচয় (Uttarkashi Tunnel)

    ৪১ জন শ্রমিককে সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে উদ্ধার করতে সিঙ্গুরের এই যুবকের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি মূলত ক্যামেরা দিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতরের দৃশ্যকে সকালের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের কাছে খুশির খবর পৌঁছে দিয়েছিলেন। যুবকের নাম দৌদীপ খাঁড়া। তাঁর বাড়ি হুগলির সিঙ্গুরে। বাবা দীনেশ চন্দ্র খাঁড়া এবং মা সবিতা দেবী। ছেলের কাজের জন্য মায়ের চোখে জল দেখা গিয়েছে এদিন। সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। এরপর নালিকুল বাণী মন্দির থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। ঠিক তারপরেই ধুলাগড়ের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থায় কনস্ট্রাকশনের পাইপলাইনে কাজ করেন।

    সুড়ঙ্গের মধ্যে ক্যামেরা পাঠানোর কাজ

    সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel) মধ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে ‘ফ্লেক্সি প্রো ক্যামেরা’ পাঠানোর কাজ করছেন দৌদীপ। তাঁর কাজ খুব একটা সহজ ছিলনা। মাঝে মাঝে সুড়ঙ্গের অংশ বিশেষ ভেঙে পড়ছিল। প্রবেশের গতিপথে ছিল প্রচুর চাঙড় এবং লোহার রড। খনন করার যন্ত্রে চলছিল ব্যাপক কম্পন। তবে তাঁর ভূমিকা যে গোটা উদ্ধার কাজে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই বিষয়ে নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন।

    কী বললেন দৌদীপ

    সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel) উদ্ধার কাজে যুক্ত থাকায় দৌদীপ বলেন, “প্রথম যখন ক্যামেরাতে আটকে থাকা শ্রমিকদের দৃশ্য দেখতে পাই সেই সময় অবাক হয়ে গিয়েছিলেম। শব্দ দিয়ে সেই অভিজ্ঞতার কথা বোঝানো কঠিন। উদ্ধারের পর শ্রমিকার আমাদের টিমের সঙ্গে সকলকে বুকে জড়িয়ে নেন। এর থেকে আর কি বড় পাওনা হতে পারে।” দৌদীপের মা বলেন, “ছোট বেলা থেকে ও খুব ভীতু ছিল কিন্তু এই সুড়ঙ্গের উদ্ধারকাজে যা করল তাতে আমরা ভীষণ ভাবে গর্বিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aditi Munshi: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    Aditi Munshi: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে ছুটির আর্জি জানিয়েছিলেন রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক তথা সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সী (Aditi Munshi)। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছুটি মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু কেন ছুটি চাইলেন অদিতি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অদিতির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দেয় সিবিআই। সেখানেই থাকেন অদিতিও। বাড়িতে তল্লাশির একদিন আগেই ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। আর তা মঞ্জুর হল তল্লাশির পরের দিন। 

    অসুস্থ অদিতি

    অদিতি (Aditi Munshi) চিঠিতে জানান, তাঁকে যেন শীতকালীন অধিবেশনে যোগদান করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কারণ, তিনি অসুস্থ। আর এই অবস্থায় বিধানসভায় গিয়ে অধিবেশনে যোগদান করা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা বিশ্রাম নিতে বলেছেন। যদিও কতদিনের জন্য এই বিশ্রাম নিতে হবে, বিধায়ক তাঁর চিঠিতে তা কিছু জানাননি। তাঁর  এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই গলার সমস্যায় ভুগছিলেন অদিতি। বেশ কিছুদিন অনুষ্ঠানও বন্ধ রেখেছিলেন। তবে সম্প্রতি জানা যায়, এখন তিনি সুস্থ। আজ, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর থেকে টানা অনুষ্ঠান করবেন তিনি। অসুস্থতার জন্য যেসব শো বাতিল করেছিলেন, সেখানেও যাবেন। এসবের মধ্যেই হঠাত চিঠি গেল বিধানসভায়, কিছুদিন বিশ্রাম চাইলেন অদিতি।

    আরও পড়ুন: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    কত দিনের ছুটি

    ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার সকালে অদিতির (Aditi Munshi) স্বামী বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। দেবরাজকে নিয়ে যায় তাঁদের দমদমপার্কের অন্য একটি বাড়িতেও। যেখানে সম্ভবত বিধায়ক তথা শিল্পী অদিতির গানের স্টুডিও রয়েছে। তার পরে শেষ বিকেলে দেবরাজের দু’টি বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যায় সিবিআই। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। সাধারণত অধিবেশন চলাকালীন বেশি দিন কোনও কারণে কোনও বিধায়ক উপস্থিত না থাকলে ছুটির জন্য আবেদন করেন বিধায়করা। সেখানে তারিখের উল্লেখ থাকে। অর্থাৎ কত তারিখ থেকে কত তারিখ অবধি ছুটি তা লিখে দিতে হয়। তবে অদিতির এদিনের আবেদনে সেই তারিখের কোনও উল্লেখ ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। তাই জল্পনা আরও বেড়েছ। হঠাতই কেন ছুটি নিলেন অদিত আর কতদিন তিনি আড়ালে থাকবেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    Jyotipriya Mallick: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু) এখন ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সেই সিসিটিভি ফুটেজের লিঙ্কও দিতে হবে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে। শুক্রবার সকালেই এসএসকেএমে (SSKM) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা যেখানে চলছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে এসএসকেএমে ক্যামেরা লাগাতে আসে কলকাতা পুলিশের টিম।

    বসল ক্যামেরা

    প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন বালু। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার রাতেই তাঁকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। তিনি হাসপাতালে থাকায়, তাঁকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো যায়নি। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি কেবিনে ইতিমধ্যে ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

    ইডির দাবি

    দিন ইডি-র আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা ওঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে চাইছি। অভিযুক্ত রাজ্যের একজন মন্ত্রী। তাঁকে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে উদ্বেগের। তাই হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের বন্দোবস্ত করা হোক। ওই সিসিটিভি-র লিঙ্ক যেন তদন্তকারী অফিসারকেও দেওয়া হয়।’ জ্যোতিপ্রিয়কেও ‘প্রভাবশালী’ বলেই দাবি করেছে ইডি। সেই কারণে তাঁকে নজরদারিতে রাখার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা! নিম্নচাপের প্রভাবে থমকে শীত, কবে হাওয়া বদল?

    আদালতের নির্দেশ

    ইডির দাবি,’প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে জ্যোতিপ্রিয় যেখানে রয়েছেন, সেখানে কেউ ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে ঢুকতে না পারেন। অভিযুক্ত একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জেলে ও হাসপাতালে থাকাকালীন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে।’ জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী শ্যামল ঘোষের পাল্টা সওয়াল, ‘আমার মক্কেল জেলে থাকার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন কেমন রয়েছেন, তা জানতে চাইছি। শারীরিক দিক থেকে ফিট নন তিনি। কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জামিন চাইছি না। সঠিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হোক।’ এরপরই আদালত হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে সিসিটিভি মনিটারিং-এর নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য-রিপোর্টও আদালতকে জানানোর কথা বলা হয়। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা! নিম্নচাপের প্রভাবে থমকে শীত, কবে হাওয়া বদল?

    Weather Update: ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা! নিম্নচাপের প্রভাবে থমকে শীত, কবে হাওয়া বদল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে শীতের (Weather Update) দেখা নেই। ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা। শুক্রবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এখনই শীত পড়ছে না শহরে। ৪ তারিখ অবধি তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। আবহবিদরা বলছেন, সাধারণ এই সময়টা শুকনো বাতাসের প্রভাব থাকে। অথচ এখন বাতাসে জলীয় বাষ্প বর্তমান। যা ঠান্ডার পথে কাঁটা হয়ে থাকছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ২২ বছরে এই নভেম্বর ‘উষ্ণতম’।

    পারদ ঊর্ধ্বমুখী

    শুক্রবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। তবে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে আপাতত রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াল, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: আজ দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

    নিম্নচাপের অবস্থান

    আবহাওয়া অফিস বলছে, এই মুহূর্তে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। সেটি অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর এবং আন্দামান সাগর এর উপর। আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে আজই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রবিবার বঙ্গোপসাগরে তা ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Michaung) রূপ নেবে। তার ফলে দেখা দিতে পারে দুর্যোগ। তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় যেহেতু তৈরিই হয়নি, তাই কোন পথে বা কোথায় ল্যান্ডফল করবে সে বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। অন্ধ্রপ্রদেশের তামিলনাড়ু উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় পৌঁছবে সোমবার। আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী অনুমান, এই ঘূর্ণিঝড় তামিলনাডু উপকূল থেকে ওড়িশা উপকূলের যে কোনও জায়গাতেই আঘাত আনতে পারে। বাংলায় এর প্রভাবে থমকে রয়েছে শীতল হাওয়া। আগামী সপ্তাহে, সোমবার থেকে এই নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৫৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল কোথায়? পর্ষদকে প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ৫৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল কোথায়? পর্ষদকে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা কোথায়? পর্ষদের কাছে তা জানতে চাইল আদালত (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল যে, ২০১৬ সালে ৪২,০০০ এবং ২০২০ সালে ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। অর্থাৎ ৪ বছরের মাথায় ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবি করেছিল পর্ষদ। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানতে চান, রুল অনুযায়ী সঠিক প্যানেল কোথায়? এর পাশাপাশি প্রাথমিক বোর্ড এর আগে যে ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল তাদেরকে কী আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নও এদিন তুলেছে আদালত। এ সংক্রান্ত হলফনামা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জমা দিতে বলা হয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে।

    কী বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    এদিন চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে (Calcutta High Court) দাবি করেন, পর্ষদ কোনও প্যানেলই প্রকাশ করেনি, কিন্তু পর্ষদ দাবি করেছে যে তারা নাকি প্যানেল প্রকাশ করেছে। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে পর্ষদ কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাও রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘‘অনেক বঞ্চিত বেকার যুবক অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। একটা দিন যাওয়া মানে তাদের সম্ভাব্য সার্ভিস জীবনের ১ দিন নষ্ট হওয়া। এছাড়া একাধিক মামলায় বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।’’

    নিয়োগ বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ

    প্রসঙ্গত চাকরি থেকে যাদের বরখাস্ত করা হয়, তাঁরা এদিন ফের একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের আইনজীবী আদালতে জানান, মক্কেলরা কোনও মিথ্যা তথ্য দেননি। আইনজীবীর বক্তব্য, ভুল প্রশ্ন মামলায় শীর্ষ আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছিল প্রত্যেককে ১ নম্বর দিতে হবে। সেই নম্বর যুক্ত হলে এরা যোগ্য। এমনটাই দাবি করেন আইনজীবী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Ahijit Ganguly: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Justice Ahijit Ganguly: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাউন্সেলিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। চলতি বছরই বেশ কয়েকজনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে কাউন্সেলিং ছাড়াই। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই হয়েছিল মামলা। এই মামলার শুনানিতে রায় দিতে গিয়ে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ahijit Ganguly)। আদালতের নির্দেশ ছাড়া আপাতত এই জেলায় কোনও নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নয় বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের

    নিয়োগ সংক্রান্ত নানা মামলায় কার্যত লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের। এমতাবস্থায় আদালতের এই স্থগিতাদেশে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল দফতরের কেলেঙ্কারি। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অনিয়মের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক দুর্নীতি। কাউন্সেলিং কিংবা ইন্টারভিউয়ের তোয়াক্কা না করেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে অনেককেই। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, সেসব ক্ষেত্রেই তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। যা নিয়ে (Justice Ahijit Ganguly) নিরন্তর চলছে শাসক-বিরোধী তরজা। এহেন আবহে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল আদালত।

    রাজ্যের বক্তব্য

    এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কেবল বয়স ও অভিজ্ঞতার নিরিখেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনেই এই নিয়োগ হয়। রাজ্যের বক্তব্য যে আদতে ধোপে টেকেনি, আদালতের নির্দেশই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির জাল যে কতদূর বিস্তৃত, তার প্রমাণ মিলেছিল মাস দেড়েক আগেই। কৌশিক মাজি নামে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি সংস্থা। এই সংস্থার আর এক কর্তা পার্থ সেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। ধৃতকে জেরা করে কৌশিকের নাগাল পান সিবিআই আধিকারিকরা (Justice Ahijit Ganguly)।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণভাবে ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ হয় দু’বছরের। তবে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে ‘ওপেন এন্ড ডিসট্যান্স লার্নিং মোড’-এ এই কোর্স ১৮ মাসের হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাঁরা নতুনভাবে কোনও রকমের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র যাঁরা পূর্ণসময়ের এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চান এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন এদিন?

    বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কোর্টে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সেটাই ছিল শেষ টেট পরীক্ষা যেখানে অপ্রশিক্ষিতরাও বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ ছাড়া নিয়োগ প্রসঙ্গে তখন রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল যে নিয়োগ হওয়ার পরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করিয়ে দেওয়া হবে। সেইমতো ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে প্রচুর চাকরিরত শিক্ষক ডিএলএড-এর  ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নেন। সমস্যা দেখা দেয় যখন তাঁরাই আবার প্রাথমিক টেটে ১৮ মাসের ডিএলএড-কে যোগ্যতা দেখিয়ে আবেদন করতে থাকেন।

    মামলার জল গড়ায় কোর্টে

    এরপরেই ২ বছরের পূর্ণ সময়ের ডিএলএড প্রার্থীদের একাংশ দ্বারস্থ হয় আদালতে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম নির্দেশকে পালন করার কথা এদিন বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক (TET) নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েই চলেছে কোর্টে, কখনও প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ, কখনও বা আবার অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ। এসবের মাঝে নতুন করে এবার প্রশিক্ষণ (TET) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায়ও উত্তপ্ত হল বিধানসভা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মাসখানেক ধরে তিনি জেলে রইলেও, মন্ত্রিত্ব খোয়া যায়নি তাঁর। বৃহস্পতিবার এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক বিজেপির (Assembly Winter Session) শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “জেলে থাকা অবস্থায় কীভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?” এনিয়ে শাসক-বিরোধী ব্যাপক হট্টগোল হয় সভায়। জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবি জানাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই দাবিতেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

    ‘সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত’

    শঙ্কর বলেন, “একজন অভিযুক্ত মন্ত্রী কতখানি প্রভাবশালী যে জেলের ভেতরে থেকেও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এ নিয়ে বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন করতে গেলে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এ থেকেই তো স্পষ্ট, এই সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত।” বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, জ্যোতিপ্রিয় জেলবন্দি। এর পরেও তাঁকে মন্ত্রী বলা হবে? তিনি কীভাবে বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন? এসব প্রশ্ন তুলে এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডার দাখিল করতে চান বিরোধীরা। এনিয়ে সভায় (Assembly Winter Session) শুরু হয় হট্টগোল। সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পয়েন্ট অফ অর্ডার আনতে হলে, তা আনতে হবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে। এর পরেই স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন পদ্ম-বিধায়করা।

    জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

    বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অন্দরে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। শঙ্কর বলেন, “যদি এমনটাই ধরে নেওয়া যায় যে তিনি এখনও পর্যন্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হননি, কেবল অভিযুক্ত রয়েছেন, তাহলেও স্পিকার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ না করে বলতেই পারতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তাই তাঁকে এখনই রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না। তা না করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন।” প্রসঙ্গত, এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডারে জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন শঙ্করই।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    প্রসঙ্গত, বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির জনসভায় খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যদি দুর্নীতিমুক্ত হয়, তাহলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সাসপেন্ড করে দেখাক।” তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবিতে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা (Assembly Winter Session)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (recruitment scam) তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সেই তালিকাতেই রয়েছেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূলের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীও (Debraj Chakraborty)। এদিন সকালেই দেবরাজের তেঘরিয়ার বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে দেবরাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের শিল্পী-বিধায়ক অদিতি মুন্সীর (Aditi Munshi) স্বামী। তল্লাশির মাঝেই বেলা ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায় দেবরাজকে। সঙ্গেই ছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দেবরাজের আর একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দিয়েছে সিবিআই।

    দেবরাজের উত্থান

    এক সময় কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্তসহায়ক ছিলেন দেবরাজ চক্রবর্তী (Debraj Chakraborty)। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। ২০১৩ সালে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় একটি উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে পূর্ণেন্দুর কাছে দরবার করেছিলেন দেবরাজ। তৃণমূল তাঁকে তখন টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে দেন দেবরাজ। ২০১৫ সালে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরেন তিনি। বিধাননগর পুরনিগম এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই যুবনেতা। ভোটের দিনই দেবরাজকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বন্দি অবস্থায় তাঁকে ভোটে লড়তে হয়েছিল। ভোটে জিতে বিধাননগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এই যুব নেতা। জামিনে মুক্ত হয়ে কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নেন তিনি। 

    তৃণমূলে দ্বিতীয় ইনিংস

    ২০১৫ সালে ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের তৃণমূলে যোগ দেন দেবরাজ। তৃণমূলে ভবনে এসে তৃণমূলের তৎকালীন যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তখন থেকেই অভিষেকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত দেবরাজ, ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে নিজের জায়গা পাকা করেন।

    অদিতিকে বিয়ে

    কীর্তনশিল্পী অদিতি মুন্সীর সঙ্গে দেবরাজের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। ততদিনে সঙ্গীতের জগতে অদিতি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। তাঁর গলায় কীর্তন শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে বার বার। স্বামী দেবরাজের হাত ধরেই ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন অদিতিও। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। ভোটে জিতেও আসেন অদিতি। জল্পনা ছড়িয়েছিল, অদিতিকে টিকিট দেওয়ার জন্য দেবরাজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিধাননগর পুরনিগমের ভোটে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়ে মেয়র পারিষদ হন অদিতির স্বামী দেবরাজ। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    কেন তল্লাশি

    সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘চেইন’ ধরেই দেবরাজের (Debraj Chakraborty) বাড়িতে তল্লাশি করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁরা আসলে জানতে চাইছেন, ‘ফাইনাল বেনিফিশিয়ারি’র নামটা। অর্থাৎ কার কাছে শেষ দুর্নীতির টাকাটা পৌঁছেছিল। সেই সূত্রেই চলছে তল্লাশি। গত বছর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায়ও দেবরাজকে তলব করেছিল সিবিআই। বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share