Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Buddhadeb Bhattacharjee: স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রয়েছেন বাইপ্যাপ সাপোর্টে

    Buddhadeb Bhattacharjee: স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রয়েছেন বাইপ্যাপ সাপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। শনিবার সন্ধেয় হাসপাতালের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসনালীতে সংক্রমণ রয়েছে। টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিয়োর হয়েছে। বাইপ্যাপ সাপোর্টে রয়েছেন। অ্যান্টি-বায়োটিক দেওয়া হয়েছে। একাধিক পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত শারীরিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    স্থিতিশীল মুখ্যমন্ত্রী

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, সকালের দিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। হাসপাতালের একটি সূত্রের খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব। ডাকলে সাড়াও দিচ্ছেন। চোখ মেলছেন। শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ পাল্টানো হয়েছে। গঠন করা হয়েছে আট সদস্যের মেডিক্যাল টিম। এই টিমে রয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ কৌশিক চক্রবর্তী, ক্রিটিক্যাল বিশেষজ্ঞ সৌপ্তিক পান্ডা ও সুস্মিতা দেবনাথ, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, পালমোলজিস্ট অঙ্কন বন্দোপাধ্যায়, ইন্টারন্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ধ্রুব ভট্টাচার্য, অ্যানাস্থিটিওলজিস্ট আশিস পাত্র, সোমনাথ মাইতি ও সপ্তর্ষী বসু। এদিন সন্ধের দিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে আসেন তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। দেখতে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।   

    হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আগেও

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে ভুগছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Buddhadeb Bhattacharjee)। এজন্য একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে তাঁকে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, দলের তরফে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।

    আরও পড়ুুন: “কালামের মহাকাশ বিজ্ঞানের স্বপ্ন পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি”, বললেন অমিত শাহ

    প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বালিগঞ্জের পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। এদিন সকালের দিকে অসুস্থতা বোধ করতেই তলব করা হয় পারিবারিক চিকিৎসককে। বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করেন তিনি। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাসপাতালে ভর্তির। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কোভিডে সংক্রমিত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব (Buddhadeb Bhattacharjee)। ওই বছরই ২৫ মে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এই হাসপাতালেই। সেবার ছুটি পেয়েছিলেন ২ জুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buddhadeb Bhattacharjee: গুরুতর অসুস্থ বুদ্ধদেব ভটাচার্য! ভর্তি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে

    Buddhadeb Bhattacharjee: গুরুতর অসুস্থ বুদ্ধদেব ভটাচার্য! ভর্তি কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। রক্তে অনেকটাই কমে গিয়েছে অক্সিজেনের মাত্রা। বর্তমানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অক্সিজেনের মাত্রা নেমে এসেছে ৭০-এ। এছাড়া ঘন ঘন শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিয়েছে একদা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর, তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে (Buddhadeb Bhattacharjee) বালিগঞ্জের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন আইসিইউ-তে। এদিনে বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। তাঁকে আপাতত অ্যাম্বুব্যাগ দেওয়া হয়েছে। হাসাপাতালে রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য। হাসাপাতাল থেকে এখনও কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়নি।

    শনিবার সকাল থেকেই অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে থাকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকেই অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে থাকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee)। তখনই চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতে পরীক্ষা করেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে আনা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। চিকিৎসকরা তাঁকে নিয়ে রওনা হন আলিপুরের হাসপাতালের দিকে। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল যাওয়ার পথে বুদ্ধদেবের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সে জন্য পথেই আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স।

    শেষবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন করোনা কালে 

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুদ্ধদেবের (Buddhadeb Bhattacharjee) সিওপিডি-র সমস্যা রয়েছে। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সে বছর ২৫ মে তাঁকে একই বেসরকারি হাসপাতালেই করানো হয়। জানা গিয়েছে, সেবছর ২ জুন আলিপুরের হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি।

     

    আরও পড়ুুন: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘‘ছাব্বিশের ভোটের আগেই নতুন দল’’! শোকজের চিঠি পেয়েই হুঙ্কার হুমায়ুন কবীরের

    Murshidabad: ‘‘ছাব্বিশের ভোটের আগেই নতুন দল’’! শোকজের চিঠি পেয়েই হুঙ্কার হুমায়ুন কবীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আজ সাংবাদিকদের সামনে বললেন, ‘‘২০২৬-এর আগামী বিধানসভা ভোটের আগেই আমি নতুন দল তৈরি করবো।’’ বর্তমানে আমি তৃণমূলের বিধায়ক, ২০২৪ সালে পার্লামেন্ট ভোটে দেখে নেবো, আর তারপরেই দল গঠন করব। তৃণমূলের তরফ থেকে শোকজের অভিযোগ করা হলে, উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন এই তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    নতুন দল গঠন করবেন (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় পর্ব থেকেই হুমায়ুন কবীর দলের জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দল এবার শোকজ করলে, তিনি সাংবাদিকদের সামনে নতুন দল তৈরির কথা বলেন। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “যদি আমার কাছ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমি নতুন দল গঠন করবো এবং তা হবে ২০২৬ সালের ভোটের আগেই”। সেই সঙ্গে আরও বলেন, “আমি যে শুধু মুখে বলি তা নয়, ভবিষ্যতে আপনারা দেখতেও পাবেন। এই দল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দল হবে না, সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী হবে। দল যখন খুলবো তখন দেখবেন, নর্থ, সাউথে কোথায় আমার কত লোক রয়েছে। সব দেখতে পাবেন ধৈর্য ধরুন।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে আরও বলেন, “মার্কসবাদী দল আমি করব না। কারণ বিগত ৩০ বছর রাজনীতি করেছি আর এর মধ্যে বামপন্থীরা ২৭ টি রাজনৈতিক কেস আমাকে দিয়েছে। এক সময় কংগ্রেস দলও করেছি, এখন আমি তৃণমূল কংগ্রেস করছি, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক।”

    কবে থেকে তৃণমূল করতেন?

    হুমায়ুন বলেন, “১৯৯৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির আগে আমি মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কংগ্রেস করতাম। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী এবং সৌমেন মিত্র প্রদেশ সভাপতি। এই তৃণমূল দলটা তো তখন কয়েকজন মিলে তৈরি করা হয়েছিল। এই দলের রেজিস্ট্রেশন কার নামে আছে! তার কপি আমার কাছে আছে। সুতরাং হয়তো কেউ কেউ ভাবছেন আমি মুখে বলছি, হুংকার দিচ্ছি, কিছুই হবে না! তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি ধৈর্য ধরুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত, এরপর দেখবেন হুমায়ুন মুখে যা বলে, কাজেও তাই করে।” তিনি এই বিষয়ে আরও বলেন, “মানুষের পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে যায় তখন মানুষ বাঁচার জন্য তার শেষ চেষ্টা করে। আমারও ঠিক তাই, কিছু করেই মরবো।”

    জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, “জেলানেত্রী আশায় বুক বেঁধেছেন যে হুমায়ুনকে দল বার করে দিলে তাঁদের লুটপাট ভালই চলবে। আজ দু’ঘণ্টা আগে শোকজের চিঠি পেয়েছি। আর চার দিন ধরে শোকজের চিঠি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ বারোটার সময় আমার ছেলে চিঠি রিসিভ করছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তার উত্তর আমি তৈরি করে বিধানসভায় উপস্থিত হবো। এরপর হাতে হাতে চিঠিটা রিসিভ করে নিয়ে আসবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ তৃণমূলের, পাল্টা তোপ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ করল দল। শনিবার দলের তরফে তাঁকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নাম না করে পঞ্চায়ত ভোটে হুমায়ুনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এক দিন পরে বিধায়ককে শোকজ করল দল। 

    কী বলেছিলেন হুমায়ুন

    শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে হুমায়ুন কবীর এ রাজ্যের মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন। যা রীতিমতো দলের পক্ষে অস্বস্তিকর।  কেন হঠাৎ করে হুমায়ুন এরকম মন্তব্য করলেন? তা নিয়েই রীতিমতো ক্ষুব্ধ দল। হুমায়ুন বলেন, ‘রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১ হাজার টাকা দেওয়া যায় কি? প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রস্তাব রাখেন, ‘অন্তত ওবিসি মুসলিম মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।’ তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়।

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

    কেন শোকজ

    হুমায়ুন কবীর বর্তমানে বিধানসভার দু’টি স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটিতে আছেন। ‘পেপার লেড স্ট্যান্ডিং কমিটি’-র চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি কাজ করছেন। এদিন বিধায়ক শো-কজের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে এই চিঠি শনিবার সকালে নিয়েছেন। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা লেটারহেডে এই চিঠি এসেছে। তিনি যথা সময়ে চিঠির উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। হুমায়ুন বলছেন, আগামী দিনে তিনি শোকজের যথাযথ উত্তর দিয়ে নেতৃত্বের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হন, তাহলে কী পদক্ষেপ করবেন তিনি, সেটি অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে এটা বলেছেন, ‘‘যতদিন আমার শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Deaths in Kolkata: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, আতঙ্ক ম্যালেরিয়াও, অভিযোগ মেয়রকে

    Dengue Deaths in Kolkata: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে, আতঙ্ক ম্যালেরিয়াও, অভিযোগ মেয়রকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির জেরে আবার মৃত্যু শহরে। মৃতার নাম অণিমা সর্দার (৪৫)। ওই মহিলা এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর ফলে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬। তবে বেসরকারি সূত্র অনুযায়ী, এই নিয়ে গত কয়েক দিনে রাজ্যে মশাবাহিত ওই রোগে মৃতের সংখ্যা হল আট। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়রও প্রতিনিয়ত বৈঠকে বসছেন। একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অনিমার বাড়ি বারুইপুরে।

    নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    সূত্রের খবর, বারুইপুরের বাসিন্দা অণিমা কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঠাকুরপুকুরে কয়েক মাস ধরে ভাড়া থাকছিলেন। তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় অণিমাকে এম আর বাঙুরে স্থানান্তরিত করা হয়। ডেঙ্গিতে মৃত্যু বাড়ছে তা নিয়ে বিধানসভায় সোচ্চার হতে চলেছে বিরোধী দল বিজেপি। ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেখে রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়রও প্রতিনিয়ত বৈঠক করছেন। এমনকী একের পর এক নির্দেশিকা জারি করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই সমস্যা শুধু কলকাতায় নয়, গোটা রাজ্যেই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার পর মৃত্যু। ডেঙ্গি দমনে গ্রামবাংলায় কাজে নামবেন বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য! রামনবমী মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    দোসর ম্যালেরিয়া

    রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া, দুয়েরই প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। এমতাবস্থায় ওই দুই রোগের চিকিৎসা ও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে ডেঙ্গি অথবা ম‌্যালেরিয়া পরীক্ষা কখন করতে হবে, অথবা দু’টি পরীক্ষা কত দিনের ব‌্যবধানে করতে হবে, সব বলা রয়েছে। যে সব ব্লকে ম‌্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির জোড়া আক্রমণ হচ্ছে, সেই সব এলাকায় স্বাস্থ‌্য দফতর শুক্রবার থেকে শিবিরের আয়োজনও করছে। মেয়র নিজে জানান, শহরে অনেক বাড়ি তালাবন্ধ পড়ে আছে। সেখানে কলকাতা পুরসভা সহজে ঢুকতে পারছে না। বহু জমির মালিককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই পরিত্যক্ত জমিতে মানুষজন ময়লাও ফেলেন। সেখান থেকে মশার উপদ্রব বাড়ছে। শুধু শহরে নয়, গ্রামবাংলাতেও ডেঙ্গি ছড়িয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে, বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য! রামনবমী মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য! রামনবমী মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী মামলায় (Ramnavami case) সুপ্রিম কোর্টের পর এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। গত সোমবারই সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের এনআইএ বিরোধিতা সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে ফের একই আবেদন নিয়ে মামলা দায়ের করে রাজ্য। রামনবমীর অশান্তির তদন্তে এনআইএ ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য়।  কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই রামনবমীর হিংসা মামলায় তদন্ত ভার নিয়েছে এনআইএ। আদালত তখনই বলেছিল, রাজ্য পুলিশ তদন্তে নেমে যে সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে, সেইগুলি অবিলম্বে এনআইএ-র হাতে তুলে দিতে হবে। 

    মামলা ফেরালেন বিচারপতি

    শুক্রবার, রাজ্যের আবেদনের বিরোধিতা করেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র (NIA) আইনজীবী। তিনি আদালতকে বলেন, যেহেতু এই আবেদন আগেই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেছে এবং এই সংক্রান্ত আর একটি মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টেরই অন্য এক বিচারপতির এজলাসে। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার নেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর। সূত্রের খবর, এরপরই এই মামলা ফিরিয়ে দেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। 

    আরও পড়ুুন: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    অসহযোগিতার অভিযোগ এনআইএ-র

    ইতিমধ্যেই রামনবমী মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আর্জি জানিয়েছে এনআইএ। রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-চন্দননগর, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় গোষ্ঠীহিংসার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ছিল, রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করতে হবে। এরপরই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করছে, তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা নথি তাদের হাতে দিচ্ছে না রাজ্য। কোনও রকম সহযোগিতা মিলছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে…ফাঁসি হওয়া উচিত ”, বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির চক্র চলছে।” শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তাঁর অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ওপর নয়া লেবেল সেঁটে তা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা চলছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তাঁর মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য। অভিযোগের তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দেন সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপালের দাবি

    এদিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাকিউটিক্যাল এডুকেশন রিসার্চের একাদশতম সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ওই অনুষ্ঠানে তিনি (CV Ananda Bose) বলেন, “রাজভবনে আমার দফতরে একটি ইমেল এসেছে। সেই ইমেলে অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির একটি চক্র চলছে। আপনাদের আশপাশে এই চক্র সক্রিয় রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে নয়া লেবেল লাগিয়ে তা বিক্রির জন্য কলকাতায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা। নতুন ওষুধ হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এই ব্যবসায় নিরীহ মানুষের জীবনহানির সম্ভাবনা রয়েছে। আমি আশ্বাস দিচ্ছি, এই অভিযোগের তদন্ত হবে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা থেকে কোটি কোটি টাকার নকল ওষুধ উদ্ধার করে ড্রাগ কন্ট্রোল ও কলকাতা পুলিশ। কলুতলা স্ট্রিটের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ওই ওষুধ। ওই ঘটনায় অসীম সাধু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব

    এদিকে, এবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের জেরেই রাজ্যপাল এই রিপোর্ট তলব করেছেন। নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলার জেরে প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশ্যে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এহেন আবহে রাজ্যপাল রিপোর্ট তলব করায় বিষয়টিতে যোগ হল বাড়তি মাত্রা।অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, সম্প্রতি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে আশঙ্কা করে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান কয়েকজন চিকিৎসক। তার পরেই নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল। ওই চিকিৎসকরা রাজ্যপালকে এও জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে খামতি রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    Dengue: গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! যুক্তি ফিরহাদ হাকিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা ডেঙ্গির (Dengue) বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল রাজ্য। আর নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা এবার এমন সব যুক্তি সামনে আনছেন, যা শুনে অনেকেই আড়ালে মুচকি হাসছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ডেঙ্গি নাকি আসছে বাংলাদেশ থেকে। দুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা এই ডেঙ্গি রোগ বহন করে নিয়ে আসছেন। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার শুক্রবার নতুন তত্ত্ব সামনে আনলেন। তিনি বললেন, রাজ্যে উন্নয়নের জন্যই নাকি দিনকে দিন বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সেই কারণেই নাকি এবার ডেঙ্গির প্রকোপ শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি।

    কী কী যুক্তি খাড়া করলেন ফিরহাদ?

    বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট বলেছিলেন, রাজ্যে ব্যাপক হারে উন্নয়ন হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরলেই দেখতে পাবেন, রাস্তার ওপর উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন যে এবার কাল হয়ে দাঁড়াবে, সেটা হয়তো একমাত্র ফিরহাদ হাকিম ছাড়া আর কেউই ভাবতে পারেননি। প্রতি বছরের মতো এবছরও বর্ষা আসতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর ঠিক এই জায়গা থেকেই শুক্রবার ছিল টক টু মেয়র অনুষ্ঠান। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, শহর কলকাতায় সেই অর্থে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দেখা দেয়নি। এর জন্য এখন থেকেই মানুষকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আর এরপরেই তিনি বলেন, শহর কলকাতার থেকে গ্রামীণ অঞ্চলে এখন ডেঙ্গির প্রকোপ মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। কারণ, গ্রামাঞ্চলে আগে টিনের চালা বাড়ি বা একচালা বাড়ি থাকতো, এখন সেই সমস্ত বাড়ি আর নেই। এখন সেইসব জায়গায় উন্নয়ন হয়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে প্রচুর পরিমাণে পাকা বাড়ি। আগে এমনি নর্দমা থাকত, পাশে গোবর পড়ে থাকত। কিন্তু এখন সেই সব জায়গায় হয়েছে একেবারেই পাকা নর্দমা। যার ফলে এই সমস্ত জায়গায় জল জমছে এবং সেখান থেকেই ডেঙ্গির মশা জন্মগ্রহণ করে ব্যাপক আকার ধারণ করছে, যার ফল অত্যন্ত খারাপ এবং ভয়াবহ।

    উন্নয়নই কি তাহলে কাল হল!

    এতদিন ধরে শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে নেত্রী পর্যন্ত সকলেই এক কথায় বলতেন, রাজ্যের উন্নয়ন রাস্তায় বেরলেই দেখা যায়। তার কারণ সে তো আগেই বলে গেছেন অনুব্রত মণ্ডল, “উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার ওপর”। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তার দলের সকলেই এক সুরে বলে চলেন, আজও রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে এই উন্নয়ন কোন উন্নয়ন? যে উন্নয়নের ফলে এইরকম ভয়াবহ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলে, সেই উন্নয়ন? বিরোধীরা এমনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটির টেন্ডার পাইয়ে দিতে দুর্নীতি করেছেন মমতা’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যুতে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দাবি, ‘ওয়েবেলের থেকে নিয়ে ডব্লুটিএলকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।’ মোট ১৫২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ‘আইপ্যাককে ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠিও পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘গ্রিভান্স সেলের পরিকাঠামো তৈরির জন্য তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কয়েকটি সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করে। দিল্লির একটি সংস্থা নিয়মমাফিক টেন্ডার পায়। কিন্তু পছন্দের সংস্থা না হওয়ায় স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টেন্ডার বাতিল করতে বলা হয়। কিন্তু তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকরা তা করতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু পরবর্তী সময় আইপ্যাক ঘনিষ্ঠ সংস্থা দায়িত্ব পায়। আমার ধারণা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী যুক্ত।’

    প্রমাণিত চুরি

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘এটা প্রমাণিত চুরি, সব তথ্যপ্রমাণ আছে। জনগণের করের টাকা কারচুপি হয়েছে। এই ১৫২ কোটি টাকা তৃণমূলের কাছ গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।’ এই নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো উচিত রাজ্যপালের, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর আরও দাবি, ‘ইডি বা আয়কর দফতরকে নিয়ে তদন্ত করানো হোক। চাইলে আদালত কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। এই দুর্নীতির সাফাই দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এটা প্রমাণিত দুর্নীতি, এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।’

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    এদিন আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমাকে এই নথি বড়বড় আইএএস অফিসাররা দিয়েছেন। সরকারে সবাই অসৎ এমনটা নয়।’ এই ‘দুর্নীতি’-র বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘রাজ্যপাল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। উনি আজ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে কথা বলেছেন বলে শুনলাম। আশা করব রাজ্যপাল আমার অভিযোগ পেয়েছেন। আপনার কাছে অনুরোধ মুখ্যসচিবকে বলে যাবতীয় নথি আনান। নথি খতিয়ে দেখে যদি কোনও সত্যতা পান, তবে সরকারকে ইডিকে দিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ করুন। এটা জনস্বার্থের বিষয়। দরকার হলে কয়েকদিন বাদে আইনত ব্যবস্থা নেব।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “যোগী-রাজ্য থেকে বুলডোজার ভাড়া করুন”! পুরসভাকে পরামর্শ হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “যোগী-রাজ্য থেকে বুলডোজার ভাড়া করুন”! পুরসভাকে পরামর্শ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দরকার পড়লে যোগী আদিত্যনাথের থেকে কিছু বুলডোজার ভাড়া করুন।” শুক্রবার বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা পুরসভার আইনজীবীদের উদ্দেশে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মানিকতলা থানা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক মহিলা। শুনানির সময় তাঁর আইনজীবী বলেন, বেআইনি নির্মাণে বাধা দেওয়ার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই মহিলা। বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বিষয়টি শুনে বিরক্ত হন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় মানিকতলা থানাক যুক্ত করার নির্দেশও দেন তিনি।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ 

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) পর্যবেক্ষণ, “এরকম একটি দুটি মামলা নয়, এরকম আকছার হচ্ছে।” এর পরেই পুরসভার আইনজীবীকে তিনি বলেন, “প্রয়োজন পড়লে বেআইনি নির্মাণের ওপর বুলডোজার চালিয়ে দিন। প্রয়োজনে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে বুলডোজার ভাড়া করে নিয়ে আসুন।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “পুলিশ ও পুরসভার সদিচ্ছা থাকলেও, তাঁরা অনেক সময় কাজ করতে পারেন না। কারণ তাঁদের অন্য চাপের মুখে কাজ করতে হয়।” তিনি বলেন, “পুলিশ আর পুরসভা নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি জানি, তাদের কী বাহ্যিক চাপের মুখে কাজ করতে হয়।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। গুন্ডাদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমি জানি। গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা জানেন, কীভাবে গুন্ডাদের শায়েস্তা করতে হয়।”

    ‘বুলডোজার নীতি’

    বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে সম্প্রতি কানপুর, সাহারানপুর এবং প্রয়াগরাজের বিভিন্ন এলাকায় চালানো হয় বুলডোজার। যোগী সরকারের বুলডোজার নীতি নিয়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের ওই নীতি। তা সত্ত্বেও এদিন টানা হল যোগী সরকারের বুলডোজার নীতির প্রসঙ্গ। কলকাতা পুরসভা (Justice Abhijit Gangopadhyay) এলাকায় বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ ভুরি ভুরি। বছরের পর বছর ধরে মামলা চললেও, সেগুলির নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বেআইনি নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি বোঝাতে গিয়েই সম্ভবত যোগীর বুলডোজার নীতির প্রসঙ্গ টেনেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস”, তৃণমূলের ডেরেককে বললেন ধনখড়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share