Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, ওই ঘটনায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তও শুরু করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চায় সিবিআই। 

    সিবিআইয়ের দাবি

    ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় আদালত। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করুক বলে রায় দেয় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। নথি হস্তান্তরের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সিবিআই-এর অভিযোগ, এখনও সেই নথি হস্তান্তর করেনি রাজ্য পুলিশ। ফলে তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে। মঙ্গলবার আদালতকে সিবিআই জানায়, পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তের কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। সিবিআইয়ের দাবি, এর মধ্যে দিয়ে পুলিশ আদালত অবমাননা করেছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    মামলা দায়েরের অনুমতি

    সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সিবিআইকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চ মাসের ৩১ তারিখেও হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সিবিআইয়ের অভিযোগ করেছিল, নিশীথ প্রামাণিকের মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ। গত শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই এই আদালত চায়, তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আটকানো হল বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। রবিবার তাঁকে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য যেতে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদকে। সোমবার রিষড়ার পর মঙ্গলবার শ্রীরামপুরেও (Serampur) ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় সুকান্তকে। এদিন দুপুরে ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই ধর্না শেষ করে রাজ্যপালের কাছে যাব। ১৭ বছরের ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছি।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে। যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যারা অশান্তি করছে, পুলিশ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। রাজ্যপালকে সব কিছু জানিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইব। এদিন পুলিশের বাধা পেয়ে ডানকুনিতে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না হওয়া সত্ত্বেও যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছে করে জনমানবহীন এলাকায় আটকে রাখা হচ্ছে, যাতে জল, খাবারটুকুও কেউ না পায়।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে আমাদের আহত কর্মীদের দেখতে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যায় না। আমিও পুলিশকে বলেছিলাম পাঁচজনের বেশি লোক যাবে না, আমাদের ঢুকতে দিন। দুই সাংসদ সহ যেতে চাইলেও, তাও দেওয়া হচ্ছে না। সুকান্ত বলেন, ডানকুনি থানা এলাকায় চন্দননগর কমিশনারেট নিয়ন্ত্রণ করছে। কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    সোমবার আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এর প্রতিবাদেই মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন সুকান্ত। সেই মতো এদিন সকালে মঞ্চ বাঁধতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে খুলে দেয় সেই মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

     

  • High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ঘটনা। স্থান বীরভূমের মল্লারপুর। চোর সন্দেহে আটক করা এক নাবালককে থানার মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পথে নেমেছিল বিজেপি। চাপে পড়ে থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল ওসিকে। বিষয়টি যায় হাইকোর্ট (High Court) পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কত দিনের মধ্যে পরিবারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

    মঙ্গলবার এই মামলায় মৃত নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ যে ওই ঘটনায় আইন মেনে কাজ করেনি, এদিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশ ভবিষ্যতে যদি কোনও ব্যবস্থা নেয়, তা যেন জুভেনাইল জাস্টিস আইন মেনেই করা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। রেলপাড়ের খালাসিপাড়ার বাসিন্দা এক নাবালককে চোর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে থানার মধ্যেই একটি ঘরে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন। তাদের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রথমে ওই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল। ইতিমধ্যে ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  বিজেপি এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আসরে নামে শাসকদল। তাদের বক্তব্য ছিল, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন করছে। কিন্তু মঙ্গলবারের রায়ে বিজেপির অভিযোগই কার্যত মান্যতা পেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    C V Ananda Bose: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারত’কে আটকানোর চেষ্টা করছে ‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নকে সফল করবে ‘আত্মনির্ভর বাংলা’। কোনওরকম হিংসা, অশান্তি সহ্য করা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই। এদিন উত্তপ্ত রিষড়ায় গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। 

    উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    রবিবার সন্ধ্যায় রিষড়ায় রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি ছড়ায়। ছোড়াছুড়ি হয় ইট-পাথর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয় পুলিশকে। এই সংঘর্ষে বিজেপির একাধিক কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শাসকদলের দাবি, দিলীপ ঘোষের উস্কানিতে ওইদিন গন্ডগোল শুরু হয়। রামনবমীর দিন শিবপুরের অশান্তি এবং তারপর রিষড়ায় গতরাতের গোলমালের পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। শিলিগুড়িতে জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। কলকাতায় পৌঁছেই রাজভবনে নয়, গাড়ি নিয়ে সোজা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছে গিয়েছে রিষড়ার গণ্ডগোল কবলিত এলাকায়। তিনি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন সেখানকার পরিস্থিতি। রেলগেট চত্বর এবং রিষড়া স্টেশনও পরিদর্শন করেন তিনি। 

    আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

    রিষড়া স্টেশন ঘুরে দেখে সোজা চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই রিষড়ার ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকেই দেখতে যান রাজ্যপাল। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে একজন ভর্তি আছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁর শরীরে আঘাত আছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। দোষীরা অবশ্যই সাজা পাবে।’ তারপরই তিনি আহতকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা জানান। 

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্বৃত্তদের রেয়াত নয়’’! উত্তরবঙ্গে জি-২০ বৈঠক বাতিল করে রিষড়ায় রাজ্যপাল

    শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন

    রাজ্যপাল বলেন, “ঘটনার প্রকৃত কার্যকারণ জানতেই আমি এখানে এসেছি। যা বলা হচ্ছে তা কতদূর সত্যি তা দেখতে এসেছি। এবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব, সিদ্ধান্ত নেব। তার পর সলিড অ্যাকশন হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবেন”। এর পরেই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেড প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত রোখার চেষ্টা করছে। একই ভাবে আত্মনির্ভর বাংলাও অশুভ শক্তির বিনাশ করবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই। অপরাধীরা গরাদের ভিতরে যাবে।’’ বোসের মতে, ‘‘বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির অপরাধীকরণ চলছে। এ বার তার শেষ হওয়া প্রয়োজন।’’ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সব রকমের পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অশান্তি পীড়িত এলাকায় গিয়ে বোসের বার্তা, ‘‘নিজেরা বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচতে দিন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

  • Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা (Worker) কাজে যোগ দিতে যান। গেটের বাইরে দেখেন, মিলে টেম্পোরারি সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দেওয়া রয়েছে। আর সাসপেনশনের পিছনে শ্রমিক অসন্তোষকে দায়ী করা হয়েছে। ফলে, এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল। আর কাজ হারালেন মিলের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক (Worker)। এদিন সকালে মিলে যোগ দিতে এসে কর্তৃপক্ষের নোটিশ দেখে কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও কিছু আলোচনা না করেই কর্তৃপক্ষ নিজের মতো করে মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে মিল চালু করার তাঁরা দাবি জানান।

    কেন মিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ? Worker

    মিল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মিলে তাঁত বিভাগে পুরানো মেশিন তুলে ফেলার অভিযোগ ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। তাঁত ঘর থেকে মিল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি মেশিন উঠিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিলের চারজন শ্রমিক (Worker) কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘটে সামিল হন। তাঁদের বক্তব্য, এতদিন ধরে ওই মেশিনে শ্রমিকরা কাজ করে এসেছেন। আচমকা কাউকে কোনও কিছু না জানিয়ে মেশিন উঠিয়ে নেওয়া হল কেন? পরিকল্পিতভাবে কর্তৃপক্ষ মেশিন উঠিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, সোমবার বেলা দুটো নাগাদ কাজে যোগ দিতে আসা শ্রমিকদের (Worker) তাঁরা কাজ করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ফলে, মিলে উৎপাদন কার্যত ব্যাহত হয়। সোমবার রাতে কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁত ঘরের মধ্যে ওই চারজন ফের গন্ডগোল করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির সামাল দিতে রাতেই জুটমিলে পুলিশ আসে। পুলিশ আসার পর মিলে নতুন করে আর কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে, দিনভর অশান্তির জেরে মিলে উত্পাদন ব্যাহত হওয়ায় মিলের গেটে সাসপেনশনের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। নোটিশে, ব্যাচিং থেকে তাঁত বিভাগে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আর মিলে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনকে মিলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: রিষড়া নিয়েও হাইকোর্টে শুভেন্দু, রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের, শুনানি বুধবার

    Rishra: রিষড়া নিয়েও হাইকোর্টে শুভেন্দু, রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের, শুনানি বুধবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রিষড়া (Rishra)। যার জেরে ব্যাহত হয় হাওড়া-বর্ধমান ট্রেন চলাচলও। ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। সোমবারের ওই ঘটনা নিয়ে পুনরায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে

    জানা গেছে, হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে রিষড়ার অশান্তির ঘটনা উল্লেখ করে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, রাজ্যকেও এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    হাওড়া, উত্তর দিনাজপুরের পর রিষড়াতেও (Rishra) রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, শিবপুর এবং ডালখোলার পরে রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রিষড়া (Rishra)। সেই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সূত্রের খবর, তিনি শোভাযাত্রায় থাকাকালীনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি হয়।
    এরপর সোমবার রাতে ফের অশান্তি শুরু হয়। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের সরাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে। ট্রেন লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর বৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে মঙ্গলবার সকালেও এলাকা থমথমে। প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা।

    সোমবার রিষড়া (Rishra) গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী

    সোমবার রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁকে ওই এলাকা পরিদর্শনে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী রিষড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “আমরা রিপোর্ট পেয়েছি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান গিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আইনটা ওঁদের জন্য একরকম, বাকিদের জন্য অন্য রকম। কল্যাণবাবুরা তাঁদের নেত্রীর লাইনেই কথা বলেন। ১৪৪ ধারা যদি জারি থাকে, তাহলে সবার ক্ষেত্রেই আইনটা একইরকম হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দাবি এখনও পূরণ হয়নি। রাজ্যকে বিঁধে কুড়মিদের (Tribal People) নতুন করে আন্দোলন শুরু হল। মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার জেরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে, মঙ্গলবার তাদের আন্দোলন জাতীয় সড়কের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। গত বছর দাবি আদায়ে কুড়মিরা (Tribal People) লাগাতার রেল অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। যার জেরে হাজার হাজার যাত্রীদের চরম নাকাল হতে হয়েছিল। গতবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ৫ এপ্রিল দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাই, দাবি আদায়ে বুধবার থেকে জাতীয় সড়ক এবং রেল যোগাযোগ বন্ধ হ‌লে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

    কী কারণে আন্দোলনে কুড়মি সমাজ? Tribal People

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে অবরোধ কর্মসূচি। ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি-তে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এতদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলেছে। ৪ঠা এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। পূর্ব ঘোষণা মত এদিন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) জাতীয় সড়কে জমায়েত হয়। পরে, লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA News: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক আন্দোলনকারীদের, ধর্না দিল্লিতেও

    DA News: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক আন্দোলনকারীদের, ধর্না দিল্লিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএর (DA News) দাবিতে ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ৬ এপ্রিল হবে কর্মবিরতি। তার পরেই দিল্লির (Delhi) যন্তর মন্তরে হবে অবস্থান ধর্না। মঙ্গলবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান ধর্না হবে। তার পর দেশের রাষ্ট্রপতি (President), উপরাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। ৬ এপ্রিল পালন করা হবে একদিনের কর্মবিরতি।

    বকেয়া ডিএর (DA News) দাবি…

    প্রসঙ্গত, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে দু দিনের কর্ম বিরতি পালন করেছেন সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ পালন করেছেন প্রশাসনিক ধর্মঘট। শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে চলছে ধর্না। তার আগে পালিত হয়েছে অনশন কর্মসূচিও। এদিকে, ডিএ (DA News) আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর চোর ডাকাত মন্তব্যের বিরোধিতা করে ও কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএর দাবিতে ৬ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব আদালতে পেন ডাউনের ডাক দিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি। এই মর্মে তারা চিঠি দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দফতরেও।

    অন্যদিকে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪২ শতাংশ ডিএ পাবেন। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর ৩ অক্টোবর অর্থমন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সম্মতি দিয়েছেন। তাই চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৮ শতাংশের বদলে ৪২ শতাংশ ডিএ পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন ঘোষণার পরে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দুর্বৃত্তদের রেয়াত নয়’’! উত্তরবঙ্গে জি-২০ বৈঠক বাতিল করে রিষড়ায় রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম এবং রাজস্থান সরকারও। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪২ শতাংশ ডিএ (DA News) দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। একই সঙ্গে রাজস্থান ও অসম সরকারও ৪২ শতাংশ ডিএ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জন্য ডিয়ারনেস রিলিফও দেওয়া হচ্ছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ সরকারই রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি মেটাতে অক্ষম। তিনি বলেন, তাই আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • CV Ananda Bose: ‘‘দুর্বৃত্তদের রেয়াত নয়’’! উত্তরবঙ্গে জি-২০ বৈঠক বাতিল করে রিষড়ায় রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘‘দুর্বৃত্তদের রেয়াত নয়’’! উত্তরবঙ্গে জি-২০ বৈঠক বাতিল করে রিষড়ায় রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। কথা বলছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির সঙ্গে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যপালের সফর ঘিরে রিষড়ায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

    রাজ্যপালের কড়া বার্তা

    রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে হিংসার জেরে উত্তরবঙ্গ সফর কাটছাঁট করে শহরে ফিরলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জি ২০ আলোচনা সংক্রান্ত সফর বাতিল করে মঙ্গলবারই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফেরেন তিনি। সূত্রের খবর রিষড়ার ঘটনার জেরেই সফরে কাটছাঁট রাজ্যপালের। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেই শান্তি বজায় রাখতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল। বলেছেন, ‘ভয়ঙ্কয় প্রবণতা। এটা চলতে দেওয়া যায় না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হবে। বাংলার মানুষ অনেক সহ্য করেছেন, আর নয়। বাংলার মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকারী রয়েছে। যেকোনও মূল্যে শান্তি ফেরাতে হবে। দুষ্কৃতীদের কোনও মতেই ছাড় দেওয়া হবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই আমাদের সকলকে শান্তি বজায় রাখতে হবে।’

    ঘটনাস্থলে রাজ্যপাল

    মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপাল পৌঁছে যান রিষড়ায়। যেখানে সোমবার রাতে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছিল, সেই ৪ নং রেলগেটের কাছে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। কোথায় কী ঘটেছে, কেমন পরিস্থিতি – এই সমস্ত খুঁটিনাটি রাজ্যপাল জানতে চান। পুলিশ কমিশনারও তাঁকে রিপোর্টের আকারে বিস্তারিত জানান। পুলিশ আধিকারিকদের পর রাজ্যপাল রেলের অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমরা সকলেই জানি, গত কয়েক দিন ধরে এখানে কী চলছে। এই কালো শক্তিকে আমরা কখনওই সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করতে দেব না, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আমরা কড়া পদক্ষেপ করব।” 

    আরও পড়ুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশ

    সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। রিষড়ায় রবিবার থেকেই অশান্তির আবহ। ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়। এরইমধ্যে সোমবার রাতে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার রিষড়া রেল স্টেশনের কাছে ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। অশান্তির আঁচ এসে লাগে রেল পরিষেবায়। প্রায় তিন ঘণ্টা হাওড়া-ব্যান্ডেল মেইন লাইনে লোকাল, দূরপাল্লার ট্রেন সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে পড়ে। চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা। এদিন সরকারি সম্পত্তি নষ্টের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি, জানেন কার কার নাম রয়েছে তাতে?

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি, জানেন কার কার নাম রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি সূত্রে খবর, গোটা রাজ্য থেকে এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল ঘোষ ১০০ কোটি টাকার বেশি তুলেছিলেন চাকরি দেওয়ার নামে। চাকরি ছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমে বিএড কলেজের অনুমোদন বাবদও টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষের মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল ইডি। সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের। শুধু মণীশ নয়, সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৎকালীন ওএসডি সুকান্ত আচার্যেরও নাম রয়েছে বলে জানা গেছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, পার্থ-ঘনিষ্ঠ দীপক সরকারের কাছে পার্থর বেহালা অফিসে দেড় কোটি টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কুন্তল। সূত্রের খবর, মণীশ জৈন, ডাব্লুবিসিএস অফিসার সুকান্ত আচার্য এবং এক সময় পার্থর পরিষদীয় দফতরের ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটের একটি অংশে। তাঁরা নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় তদারকি করেছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়েছিল ইন্টারভিউ, এমনও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

    ১০৪ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কী অভিযোগ করল ইডি

    সম্প্রতি পিএমএলএ বিশেষ আদালতে কুন্তল ঘোষের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ১০৪ পাতার সেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ইডি সোজাসুজি অভিযোগ করেছে, চাকরির আশ্বাস দিয়ে কীভাবে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হতো। তার বদলে তোলা হতো টাকাও। ইডির দাবি, সেই ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হতো পার্থ, মণীশ, প্রবীরদের মাধ্যমে। এই ইন্টারভিউয়ে পার্থর ভূমিকা নিয়েও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। এর আগেই বলা হয়েছিল, নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলের নগদে হত টাকার লেনদেন। গোপাল দলপতির মাধ্যমে বেশ কয়েকবার সেই টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। যদিও গোপাল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ইডি-র কাছে কুন্তলের আরও দাবি, ৩২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাবদ বেসরকারি কলেজ সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে নেওয়া তিন কোটি ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে কমিশন বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা নিজের কাছে রেখেছিলেন কুন্তল। বাকি তিন কোটি টাকা তাপস-ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতি মারফত মন্ত্রী পার্থের কাছে পৌঁছে দেন তিনি। গোপাল তাঁকে জানিয়েছিলেন সুকান্ত, ভজা ও মানিক সরকার নামে পার্থের নাকতলার অফিসের এক ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কুন্তলের চার্জশিটে কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলরেরও নাম রয়েছে। সূত্রের দাবি, শহরের পাঁচতারা হোটেলে সুকান্ত আচার্য এবং ওই কাউন্সিলরের মাধ্যমে পার্থর কাছে জমা পড়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share