Blog

  • Operation Sindoor: আকাশ-যুদ্ধে পালাচ্ছে, সমাজমাধ্যমে রাফাল ধ্বংস করছে! ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অস্ত্র ‘প্রোপাগান্ডা ওয়ার’

    Operation Sindoor: আকাশ-যুদ্ধে পালাচ্ছে, সমাজমাধ্যমে রাফাল ধ্বংস করছে! ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অস্ত্র ‘প্রোপাগান্ডা ওয়ার’

    সুশান্ত দাস

    পি ফর পাকিস্তান। পি ফর প্রক্সি। পি ফর প্রোপাগান্ডা। ভারতের পশ্চিম প্রান্তের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের জন্য এটা একেবারে ধ্রুব সত্য। ভারতের আত্মায় আঘাত হানার পরিণাম কী ভয়ানক হতে পারে, তা মঙ্গলবার রাতে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে পাকিস্তান। এখনও টের পাচ্ছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) মাধ্যমে সারাজীবন জঙ্গিদের দিয়ে প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ চালানো পাকিস্তানের কঙ্কালসার সামরিক শক্তির হাড়ির হাল একেবারে বিশ্বের সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদ ভালোই বুঝে গিয়েছে, গোলাবারুদের যুদ্ধে (India Firepower) ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া যাবে না। ফলে, ভারতের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে (India Pakistan War) না উঠতে পেরে, পাকিস্তান এখন সেই কৌশল অবলম্বন করেছে, যা তারা ভালো পারে— প্রোপাগান্ডা ওয়ার (Pakistan Propaganda War)। অর্থাৎ, ফেক প্রোপাগান্ডা তৈরি করে চারদিকে প্রচার করো। লক্ষ্য, ভুয়ো তথ্য এবং মিথ্যে খবর এত ছড়িয়ে দিতে হবে যে, যাতে কেউ সত্যিটাকেই না বিশ্বাস করে। সব সত্যি মিথ্যের আড়ালে চাপা পড়ে যায়। ওই যে কথায় বলে, দশচক্রে ভগবান ভূত! এটাই পাকিস্তানের মন্ত্র। আর তাদের সঙ্গী হিসেবে এই মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযানে অবতীর্ণ তাদের বি-টিম (অর্থাৎ, বি ফর বাংলাদেশ)। এটা একেবারে বাস্তব। করাচি ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে যখন যা নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে পদ্মাপাড়ে বাস করা মৌলবাদীর দল।

     

    নেটওয়ার্ককে অ্যাক্টিভেট পাকিস্তানের…

    মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে ৯টি জঙ্গি-ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমান। বুধবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই গোটা ফেক প্রোপাগান্ডা (Pakistan Propaganda War) নেটওয়ার্ককে অ্যাক্টিভেট করে ইসলামাবাদ। ব্যাস, কালক্ষেপ না করে কাজে লেগে পড়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘সাইবার-জেহাদি’রা। ভুলে গেলে চলবে না, তাতে যোগ দেয় ভারতেও বসবাসকারী গুটিকয়েক পাক-সমব্যথী। গোড়া থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভারতের অভিযানকে (Operation Sindoor) ‘ব্যর্থ’ দেখানোর শত চেষ্টা করা হয় এবং এখনও হয়ে চলেছে। এর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একের পর এক ফেক বা ভুয়ো ন্যারেটিভ (Fake Narrative) ও স্টোরি। আর সেই ভুয়ো তথ্যকে সমাজমাধ্যমে সত্যি বলে চালানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক প্রযুক্তিগত ও ছলচাতুরি কৌশল।

     

    সমাজমাধ্যমে ভুয়ো দাবির বম্বিং…

    কখনও বলা হয়েছে, ভারতের তিন রাফাল (Rafale Shotdown) সহ পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের পাইলটকে আটক করা হয়েছে। তো কখনও বলা হয়েছে পাকিস্তান ভারতের শ্রীনগর, অমৃতসর বায়ুসেনা ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। আবার কখনও বলা হয়েছে ভারতের একটি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার নাকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। এখানেই শেষ নয়। কোথাও এও দেখানো হয়েছে যে, ভারতীয় সেনা সাদা পতাকা হাতে আত্মসমর্পণ করেছে। প্রত্যেকটি দাবির (Pakistan Propaganda War) ক্ষেত্রে কখনও পুরনো ছবি, তো কখনও বিদেশের ছবি তো কখনও দাবানলের ছবিও ব্যবহার করে ভারতের বিরাট ক্ষতি করা হয়েছে বলে দেখোনোর চেষ্টা চলছে। এমনকি, ভিডিও গেমসের ফুটেজকে ব্যবহার করেও চালানোর চেষ্টা হয়। যুদ্ধবিমানের ড্রপ-ট্যাঙ্ক (যুদ্ধবিমানের ডানায় থাকা অতিরিক্ত জ্বালানির ট্যাঙ্ক, যা খালি হলে ফাঁকা জায়গা দেখে মাঝ-আকাশ থেকেই ড্রপ বা ফেলে দেওয়া হয়) দেখিয়ে বলা হয়েছে এটা রাফালের ধ্বংসাবশেষ। আবার কোথাও, প্রযুক্তির সাহায্যে রাফাল বিমানের নকল ছবি দেখিয়ে বলা হয়েছে— এই যে রাফাল ধ্বংস হয়েছে।

     

    এআই-এর নজরে সবকিছুই…

    সম্প্রতি এমনই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘সাইবার-জেহাদি’দের দল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মাঠে পড়ে রয়েছে একটা ধাতব টুকরো, যার সঙ্গে যুদ্ধবিমানের টেল(লেজ) অংশের দৃশ্যত মিল রয়েছে। ওই টুকরোর এক প্রান্তে ইংরেজি হরফে লেখা ‘BS 001’। অন্যদিকে, ইংরেজিতে লেখা ‘Rafale’। দাবি করা হয়, এটি ভারতের প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমানের লেজের অংশ। প্রমাণ হিসেবে, ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি দেখানো হয়, যাতে লেজের দিকে এই দুই শব্দবন্ধ জ্বলজ্বল করছে। এক ঝলকে দেখে জনসাধারণের মনে হতেই পারে, এটা রাফাল যুদ্ধবিমানেরই অংশ। কিন্তু, প্রযুক্তি-কারবারিরা সহজেই ধরে ফলেবে কোথায় কারচুপি করা হয়েছে। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগ। এআই ব্যবহার করে যেমন ভুয়ো জিনিস সহজেই তৈরি করা যায়, তেমনভাবেই, সহজেই ভুয়ো জিনিস ধরাও যায়। এছাড়া, ‘ডুপ্লিচেকার’ বা ‘রিভার্স ইমেজ সার্চ’ সহ ইন্টারনেটে একাধিক ‘টুল’ এবং ওয়েবসাইট আছে, যা দিয়ে এধরেনর কারচুপি ও সত্য-মিথ্যে যাচাই করা যায়। এমনকি, এক্স হ্যান্ডলের (সাবেক ট্যুইটার) নিজস্ব এআই প্ল্যাটফর্ম ‘গ্রোক’-ও জানিয়ে দিয়েছে, এই (পাকিস্তানের) দাবি ভুয়ো। এই দাবির কোনও সারবত্তা নেই। ইসলামাবাদের কুকীর্তি দুনিয়ার সামনে ফাঁস করে দেয় মার্কিন সমাজমাধ্যম সংস্থা (Pakistan Propaganda War)।

     

    রাফালের লেজ-বিতর্ক…

    পাকিস্তানের ফেক প্রোপাগান্ডা ধরে পড়ে যায় সেখানেই। দেখা যায়, রাফালের ছবি বলে বিভিন্ন পাকিস্তানি, বাংলাদেশি ও ভারত-বিরোধী হ্যান্ডল থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে ছবি, তা আদতে ৭ মাস পুরনো। সেই ছবিতে এডিট করে ‘BS 001’ এবং ‘Rafale’ শব্দটি জুড়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাহলে তফাত কোথায়? দেখা যাচ্ছে দুটো ছবির মধ্যে আসল রাফালের টেল সেকশনের নাম্বারিং এবং ফেক এডিটিং করা ছবির অক্ষরের পজিশন ও তার আকারে পার্থক্য আছে। এটা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ছবি তো না হয় এডিট করা যাবে। কিন্তু, রেকর্ড তো থেকে যাবে! আর ভারতীয় বায়ুসেনায় রাফালের কোড অন্য কথা বলছে। বায়ুসেনায় বর্তমানে দুটি রাফাল স্কোয়াড্রন আছে। একটা পশ্চিমে পাক-সীমান্ত লাগোয়া আম্বালায়। অন্যটি পূর্বে চিন-সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। আম্বালাস্থিত ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনে থাকা রাফালগুলির বিমানের টেল (লেজে) ইংরেজি হরফে ‘RB’ থাকে, প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরএস ভাদৌরিয়ার নামে। অর্থাৎ, এই স্কোয়াড্রনের সবকটি বিমানগুলি ‘RB’ সিরিজের। অন্যদিকে, হাসিমারাস্থিত ১০১ স্কোয়াড্রনে থাকা রাফালগুলির লেজে রয়েছে ‘BS’। এটা প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়ার নামে। এখানকার বিমানগুলি ‘BS’ সিরিজের। এটা বোধহয় ‘সাইবার-জেহাদি’রা জানত না। বা তাড়াহুড়োয় ভুল করে ফেলেছে। যার ফলে, এই কাঁচা কারচুপির কাজ ধরা পড়ে গেছে। কারণ, তাদের দাবি অনুযায়ী, আম্বালা বাদ দিয়ে হাসিমারা থেকে রাফাল পাঠানো হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) অংশ নিতে! যুক্তি ও বাস্তব জ্ঞান বলে, এটা হতে পারে না, এটা অবাস্তব। ফলে, ‘সাইবার-জেহাদি’দের দাবিকে হাস্যকর বললেও কম বলা হয়।

     

    রাফাল-ন্যারেটিভের নেপথ্য…

    কিন্তু, হঠাৎ, রাফাল ধ্বংসের ভুয়ো ন্যারেটিভ নিয়ে কেন এত মাতামাতি পাক ‘সাইবার-জেহাদি’দের? এর নেপথ্যে রয়েছে এক সুনির্দিষ্ট অপ-কৌশল। কী সেটা? পাকিস্তান ভালো করেই জানে, ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম শক্তিশালী অংশ হল রাফাল যুদ্ধবিমান। অত্যন্ত সচতুরভাবে এই ‘সাইবার-জেহাদি’রা রাফালকে টার্গেট করে। কীভাবে? বুধবার ভোর থেকেই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়, পাকিস্তান ভারতের তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। একটা বিষয় পরিষ্কার। এই ‘সাইবার-জেহাদি’রা জানে যে, রাফাল হল বিশ্বের অন্যতম সেরা এবং এই মুহূর্তে ভারতের শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান। ফলে, এই বিমান ধ্বংস হয়েছে শুনলে ভারতীয়দের মনোবলে চিড় ধরবে। তাদের আত্মাভিমানে ধাক্কা লাগবে। পাকিস্তান ও তাদের বি-টিম ভীষণভাবে, যাকে বলে প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। কিন্তু, ভারতকে টলানো সম্ভব নয়। ভারত ওদের এক কাঠি ওপরে, ওরা সেটা ভুলে গিয়েছে। তাই, পাকিস্তানের এই ফেক ন্যারেটিভ ভারত, মায় বিশ্ব ধরে ফেলেছে।

     

    যস্মিন দেশে যদাচার…

    ‘সাইবার-জেহাদি’দের ফেক প্রোপাগান্ডাকে হাতিয়ার করে গত ৩৬ ঘণ্টায় বেশ লাফালাফি করছে পাকিস্তানের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু, সত্য তো আর চাপা থাকে না। তা ঠিক বেরিয়ে আসে। ফলে, পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মতো তাদের রাফাল ধ্বংসের ভুয়ো ন্যারেটিভ মুখ থুবড়ে পড়তেই পালানোর পথ পাচ্ছেন না তাঁরা। রাফাল ধ্বংসের প্রমাণ আছে কিনা জানতে চেয়ে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিল বিদেশি সংবাদমাধ্যম। অন-এয়ার পাক মন্ত্রী বলছেন, ‘‘প্রমাণ তো সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে’’! যখন তাঁকে ফের প্রকৃত তথ্য বা প্রমাণ পেশ করতে বলা হয়, তখন তিনি পালানোর পথ খোঁজেন। এই হচ্ছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অবস্থা। সেদেশের প্রতিরক্ষার কী অবস্থা, তা সহজেই অনুমেয়। অবশ্য, তিনি একা নন। খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’-তে দাঁড়িয়ে ভারতের বিমান ধ্বংস করার দাবি করে নিজের দেশের সেনাকে বাহবা দিয়েছেন। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব বলবেন, সেটাই কাম্য। এর চেয়ে বেশি পাকিস্তানের থেকে আশা করাটাও ভুল। এদের চেয়ে বরং বিচক্ষণতা দেখিয়েছে পাক সেনার জনসংযোগ বিভাগ। বিবৃতিতে ভারতের অভিযানের (Operation Sindoor) কথা স্বীকার করলেও, সেখানে কোনও ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে মেরে নামানোর কথা উল্লেখ করা হয়নি।

     

    ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার। পি ফর প্যাথেটিক। পাকিস্তান এরকমই ছিল, আছে ও থাকবে।

  • Indian Army: ভারতের ১৫ শহরে হামলার চেষ্টা রুখল সেনা, পাল্টা ধ্বংস করা হল পাকিস্তানের রেডার

    Indian Army: ভারতের ১৫ শহরে হামলার চেষ্টা রুখল সেনা, পাল্টা ধ্বংস করা হল পাকিস্তানের রেডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীররাতে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারতীয় সেনা। এর পরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রেডারকে নিশানা করল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের ১৫টি শহরকে নিশানা করছিল পাকিস্তান। বুধবার রাতেই পাক হামলার এমন প্রচেষ্টা রুখে দেয় ভারতের সেনা। এর পরেই পাকিস্তানের রেডার ধ্বংস করতে শুরু করে ভারত। কাজে লাগানো হয় ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার UAS গ্রিড অ্যান্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে।

    কোন কোন শহরকে নিশানা করেছিল পাকিস্তান?

    কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কপূরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফলোরি, উত্তরলই, ভুজে হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। এই হামলার ক্ষেত্রে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে তারা। কিন্তু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে তাদের হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারত। ভারতের (Indian Army) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

    লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়

    মঙ্গলবার গভীররাতে পাকিস্তান (Pakistan) এবং অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা অভিযান চালায় ভারত (Indian Army)। অপারেশন সিঁদুরের আওতায় জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। এর পর বুধবার রাতেই ভারতের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতকে নিশানা করে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের এমন প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয় দেশের সেনা। এর পরই বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সেনা (Indian Army) পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় রেডার সিস্টেমকে নিশানা করে। আর তাতে লাহোরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। লাহোর ইসলামাবাদ-সহ (Pakistan) একাধিক জায়গা থেকে এমন ঘটনা সামনে আসতে থাকে। আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় পাক নাগরিকরা।এরপরেই পাকিস্তানের তরফ থেকে জানানো হয়, ভারতের ১২টি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তারা।

  • Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লে হানা দেয় নানা রোগ। বিশেষত জীবন যাপন সংক্রান্ত নানা রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা কিংবা উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কম বয়সে অনেকেই এই রোগ নিয়ে বিশেষ নজর দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের একাংশ ডায়াবেটিসের মতোই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বয়সের সীমারেখায় আর রোগ আটকে থাকছে না। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) ভুগছেন। কিন্তু উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক না থাকার জেরে নানান বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

    কেন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ একাধিক জটিল রোগের কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ১২০/৮০ হল যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ। ১৪০/৯০ রক্তচাপ ছাড়ালেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলা যেতে পারে।
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে‌। আর তার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষত কম বয়সীদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতনতা একেবারেই তলানিতে। তাই অনেক সময়েই স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় বিপদ এড়ানো কঠিন হয়ে যায়। কম বয়স থেকেই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। এর ফলে অবসাদ এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এদেশে ডিমেনশিয়া একটি মহামারির আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ব্যহত হচ্ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) আক্রান্ত হলে ক্লান্তিবোধ, বমি ভাবের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ জানান দেয় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।

    নাক থেকে রক্তক্ষরণ

    লাগাতার সর্দি-কাশি কিংবা সাইনাসের মতো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ নাক থেকে রক্তপাত (Nosebleeds) হলে সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাক থেকে রক্তপাত উচ্চ রক্তচাপের (Hypertension) লক্ষণ। মাঝেমধ্যে নাক থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা

    নানান কাজের চাপে অনেকের প্রায় মাথার যন্ত্রণা হয়। বিশেষত যারা দিনের দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বারবার মাথা যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তীব্র মাথার যন্ত্রণা হলে, বিশেষত মাথার পিছনের অংশে যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    ঝাপসা দৃষ্টিতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখেন। হয়তো চোখে জল দিয়ে ধুয়ে সাময়িক সমস্যা মেটান। কিন্তু বারবার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে রেটিনা ও তার আশপাশের রক্তনালীতে চাপ বাড়ে। এর ফলেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

    শ্বাসকষ্টের সমস্যা

    শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা করলে ফুসফুসের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো জীবন যাপন জরুরি। ধুমপান কিংবা মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। কারণ এগুলো এদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সময় মতো পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা (Hypertension) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি মিসাইল হামলায় ধ্বংস করেছে ভারত৷ বুধবার ভোররাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নামে এই অভিযানে ভারত শুধু জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংস করেনি, ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তানের চিনা সরবরাহকৃত ‘অপ্রতিরোধ্য’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিথও। ফরাসি প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে উৎক্ষেপিত স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার স্মার্ট বম্ব ব্যবহার করা হয় এই অভিযানে। ব্যবহার করা হয় ইজরায়েলি লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)। ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার স্ক্যাল্প মিসাইল গুলি রেডার এড়িয়ে ভূমির খুব কাছ ঘেঁষে উড়তে পারে। এই অভিযানে ১০০ শতাংশ সফল এই মিসাইলগুলি। অপারেশন সিঁদুরে কোনও একটি মিসাইলও পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত হয়নি।

    চিনা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ব্যর্থতা

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে এইচকিউ-৯ ( HQ-9) ও এলওয়াই-৮০ (LY-80 বা HQ-16) চিন নির্মিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে এসেছে। এইচ কিউ-৯, যা রাশিয়ার এস-৩০০-এর অনুকরণে তৈরি, তার কাজ শত্রু মিসাইল শনাক্ত ও ধ্বংস করা। কিন্তু অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এই দুটি ব্যবস্থাই কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল। এখানেই শেষ নয়। বৃহস্পতিবার সকালে, লাহোর বিমানবন্দরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আক্রমণ করে ভারত। পাকিস্তানের রেডার সিস্টেমকেও ধ্বংস করা হয়। লাহেরে পাক এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের এইচকিউ-৯ সিস্টেম ভেঙে খানখান হয়েছে। রাওয়ালপিণ্ডির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকেও নষ্ট করে দিয়েছে ভারত। চিন থেকে আনা এইচকিউ-৯ সিস্টেম বিকল হয়ে যায়। ভারতের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের নিখুঁত প্রয়োগ—জ্যামিং, ডিকয় এবং রেডার ব্লাইন্ডিং—পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অকেজো করে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটায় ভারত। কোটি কোটি টাকার চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চুপ করিয়ে দেয় ভারত।

    পূর্বের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা

    এটাই প্রথম নয়। ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিল অভিযানে পাকিস্তান কিছুই বুঝতে পারেনি। ২০১৯-এর বালাকোট অভিযান ও ২০২২-এর ব্রহ্মোস দুর্ঘটনাও একইভাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দুর্বলতা প্রকট করেছে। এবার অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের চরম কৌশলগত ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বাস্তবে সংখ্যাটি ৯০ ছাড়াতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। এই অভিযান পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসও ভেঙে দিয়েছে। চিনা প্রযুক্তির উপর ভরসা করেছিল ইসলামাবাদ। এই প্রযুক্তি কোনও কাজেই লাগেনি পাকিস্তানের।

    চিনের কাছেও ধাক্কা

    চিনের পক্ষেও এটি বড় ধাক্কা। তাদের রফতানিকৃত সামরিক প্রযুক্তির ওপর আস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। আর ভারতের পক্ষে এটি এক ঐতিহাসিক বিজয়—যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি, কৌশল, এবং মানসিক শ্রেষ্ঠত্ব একত্রে মিশে এক নতুন যুদ্ধনীতি সৃষ্টি করেছে। এই অভিযান প্রমাণ করেছে, শুধুমাত্র বিদেশি অস্ত্র কেনা যথেষ্ট নয়—সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করাটাই আসল বিষয়। আর সেই পরীক্ষায় পাকিস্তান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। চিনের তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু ‘মেড ইন চায়না’ তকমা বহন করে না—তা এখন অনেকের চোখে অবিশ্বস্ত এবং অকার্যকরও। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালানোর পর, পাকিস্তানের রেডারের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তানের চিনা বিমান প্রতিরক্ষা রেডার আবারও ব্যর্থ হয়েছে বলে খবর। চিনা রেডার ভারতীয় আক্রমণের কোনও খবরও পায়নি।

    চরম কৌশলগত ব্যর্থতা

    পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭ সালে চিনে তৈরি এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে তার সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে। দাবি করা হয় যে এই ব্যবস্থা ১৫ মিটার থেকে ১৮ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে আসা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় স্থাপিত রেডারটি ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানকে আটকাতে সক্ষম বলে জানা গেছে। ভারতে সব ধরনের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধিক্য রয়েছে। যখন তারা বাতাসে থাকে, তখন তাদের রেডারগুলি তাদের দেখতে পায় না। তাদের গতি এত বেশি যে পাকিস্তানিরা কেবল তাদের মাটিতে পড়ে যাওয়া দেখতে পায়।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: বাজপেয়ী জমানার মিশন কাজে লাগল মোদির আমলে! পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির কীভাবে ট্র্যাক করল ভারত?

    Operation Sindoor: বাজপেয়ী জমানার মিশন কাজে লাগল মোদির আমলে! পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির কীভাবে ট্র্যাক করল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। সফল লক্ষ্যে আঘাত হেনে তছনছ করে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি শিবির। এতদিন পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই জঙ্গি শিবিরগুলি থেকে ভারতে হামলা চালাত সন্ত্রাসবাদীরা। দশকের পর দশক ধরে এই হামলা চালিয়ে এসেছে তারা। অবশষে মিলেছে জবাব। কিন্তু কীভাবে সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানল ভারতীয় সেনা? এত নিখুঁত অপারেশন কীভাবে ?

    NTRO- র চমৎকার

    পাকিস্তান ও পিওকে-তে নিখুঁত নিশানায় (Operation Sindoor) আঘাত হানার পিছনে কাজ করেছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা এনটিআরও (NTRO)। তারাই খুঁজে নিয়েছে কোথায় কোথায় জঙ্গি শিবির আছে। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ওপর নির্ভর করেই তারা স্থান বাছাই করেছে। আর তারপর সেনাবাহিনীকে সেই তথ্য দিয়ে গেছে। একটা নিখুঁত অর্কেস্ট্রা কাজ করেছে এই আক্রমণের পিছনে। পাকিস্তানের মাটি থেকে তুলে আনা গোয়েন্দা বাহিনীর খবর, এনটিআরও-র বিশ্লেষণ, আর অঙ্ক কষে সেনাবাহিনীর মিসাইল হানা। এক তারে বেঁধে এই কাজ করেছে ভারত।

    NTRO কী?

    NTRO আসলে ভারতের টেকনিক্যাল এজেন্সি। ২০০৪ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী তখন এটি তৈরি হয়। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে এটি কাজ করে। এর প্রাথমিক কাজ হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত খবর সংগ্রহ করা। জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর মধ্যে আছে সন্ত্রাসবাদ, সাইবার হানা, সীমান্ত সন্ত্রাস ইত্যাদি।

    ভারতের চোখ ও কান NTRO

    সোজা কথায় ভারতের চোখ ও কান বলা হয় এই NTRO-কে। জঙ্গিরা কোথায় অবস্থান করছে, তা খতিয়ে দেখতে এর জুড়ি নেই। এটা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এই NTRO-র সাহায্যেই সঠিক লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা।

    NTRO-র প্রয়োজন কবে হয়?

    ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান যখন কারগিলে হামলা চালায়, তখনই ভারত বুঝতে পারে এমন একটি সংস্থা তৈরির দরকার আছে। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর নির্দেশে তৎকালীন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স এই বিশেষ উইং তৈরির অনুমোদন দেয়। তবে এর রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তিনি তখন প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার। আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির আদলে ২০০৪ সালের অক্টোবরে নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট কমিটি এটিকে অনুমোদন দেয়।

    NTRO ব্যাকগ্রাউন্ড

    এর আসল নাম ছিল ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ফেসিলিটিজ অরগ্যানাইজেশন বা NTFO. আর NTRO প্রতিষ্ঠা করা হয় এজেন্সিগুলিকে টেকনিক্যাল ইনটেলিজ্যান্স দেওয়ার জন্য। তখন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন ব্রজেশ মিশ্র। বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী এদের সঙ্গে আলোচনা করেই ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করার সংকল্প নেন। এই NTRO স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেট মনিটারিংয়ে সক্ষম। এই সরঞ্জাম জোগাড় করতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়। এই NTRO অনেক স্যাটেলাইট অপারেট করে। যেমন টেকনোলজি এক্সপেরিমেন্ট স্যাটেলাইট, কার্টোস্যাট সিরিজ, ইজারয়েল থেকে আনা রাডার ইমেজিং স্যাটেলাইট।

    NTRO –র ভূমিকা

    ● মিলিটারি অপারেশনের জন্য এই সংস্থা স্যাটেলাইট ইনটেলিজেন্স সরবরাহ করে।
    ● কীভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস মোকাবিলা করা যায়, তাতে সাহায্য করে।
    ● রিমোট সেন্সিং ইনটেলিজেন্স সংগ্রহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    ● নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখে।
    ● কৌশলগত পরিকল্পনার জন্য নির্দিষ্ট ভৌগলিক স্থানের তথ্য সংগ্রহ করে।
    ● যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য ক্রিপটোলজি প্রযুক্তি দেখভাল করে।
    ● ক্ষেপণাস্ত্র মনিটরের জন্য বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।
    ● আইএনএস ধ্রুব-র সঙ্গে সমুদ্রে যোগাযোগ বজায় রাখে।

    সাফল্য এল কীভাবে

    এই NTRO দিনরাত বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে নানা তথ্য। তবে সাফল্য এসেছে বিভিন্ন সংস্থা এক সুরে কাজ করায়। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং বা ‘র’ যে খবর পাচ্ছিল, তা নির্দিষ্ট সময় পৌঁছনো হয়েছে (Operation Sindoor) এই সংস্থার কাছে। তা অঙ্ক কষে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তা তুলে দেওয়া হয়েছে সেনা বাহিনীর হাতে। আর পরিকল্পনা করেই নিখুঁত ছকে করা হয়েছে প্রত্যাঘাত (Operation Sindoor)  সকলের মিলিত প্রয়াসেই এসেছে সাফল্য।

  • Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার বদলা হিসেবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এবার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের আরও অনেক ছবি। এর পাশাপাশি মিলল কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রও। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ওই ছবিগুলি প্রকাশ্যে এনেছে ম্যাক্সার টেকনোলজিস নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার আনা চিত্রে ধরা পড়েছে পাকিস্তানের বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকেতে অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী চিত্র।

    উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর ধ্বংসের ছবি

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) বহাওয়ালপুরের উপকণ্ঠে সেদেশের জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর সদর দফতর। এখানেই ছিল মারকাজ শুভান আল্লা কমপ্লেক্স। এর ঠিক পাশেই অবস্থান শুভান আল্লা মসজিদও। জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পর সেই ইমারতগুলি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে (Operation Sindoor) পরিণত হয়েছে। হামলার আগে ও পরের যে উপগ্রহচিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভেঙে পড়েছে মসজিদের তিনটি গম্বুজই। একইসঙ্গে ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ইমারতের স্থানে স্থানে বিস্ফোরণের চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেওয়াল এবং মেঝেতে দেখা যাচ্ছে একাধিক গর্ত। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে ছাদের একাংশও ভেঙে পড়েছে।

    বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট-এই তিন জায়গাকে টার্গেট করা হয়

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে প্রিসিশন স্ট্রাইক (Operation Sindoor) করে ভারতীয় সেনা। এই ন’টি জায়গার মধ্যে চারটি জায়গা পাকিস্তানে এবং পাঁচটি জায়গা অবস্থিত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট, মূলত এই তিনটি এলাকার জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। যে জায়গাগুলিতে বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার ছক কষা হয়েছিল, সেই ঘাঁটিগুলিকে উড়িয়ে দেয় ভারতীয়।

    মারকাজ শুভান আল্লা গড়ে ওঠে ২০১৫ সালে

    প্রসঙ্গত, বহাওয়ালপুর পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত, ভারতীয় সীমান্ত থেকে। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবার ভারতীয় বিমান বাহিনী এত দূরে আঘাত হানল এবং সেখানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর ঘাঁটি মারকাজ শুভান আল্লা। এই সদর দফতরে জঙ্গি সংগঠনটি ২০১৫ সাল থেকে সেখানে কাজ চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন ভারতের গোয়েন্দারা। এখানেই এতদিন ধরে চলত বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপের প্রধান ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল এটি। তবে মঙ্গলবার গভীররাতে তা ধূলিসাৎ করে দিল ভারতীয় বিমান বাহিনী (Operation Sindoor)।

    পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই করা হয়

    সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য যা সামনে এসেছে তা হল, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে যে ভয়ঙ্কর হামলা হয় ভারতীয় সেনার কনভয়ের উপর, সেই ষড়যন্ত্রটিও রচনা করা হয়েছিল বহাওয়ালপুরের এই জৈশ-ই-মহম্মদের এই ঘাঁটিতে বসেই। এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এই মারকাজ হচ্ছে জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজাহারের বাড়ি।

    মারকাজ শুভান আল্লায় চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ

    ভারতের বিমান হানায় তাদের পরিবারের ১৪ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, জৈশ নেতা মুফতি আব্দুর রহমান আজগর সমেত মাসুদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকত এখানেই। মাসুদ আজহার নিজে এখানে বসেই চালাত ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Pakistan) এবং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের অন্যতম ঘাঁটি হয়ে উঠছিল মারকাজ শুভান আল্লা। এখানেই চলত জঙ্গিদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তাদের শারীরিক অনুশীলন করানো হত এবং মৌলবাদী শিক্ষাও দেওয়া হত এখানে বসেই।

    মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ধ্বংসের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে

    জৈশের ঘাঁটির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিতেও। মুরিদকেতে যে স্যাটেলাইট চিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ধ্বংস হয়ে পড়েছে লস্করের ঘাঁটি। এই ঘাঁটি দুটি উপগ্রহ চিত্র সামনে এসেছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের আগের ছবি। অপরটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরের ছবি। যা শুধুই ধ্বংসস্তূপ। জানা যায়, এখানেই লস্কর-ই-তৈবার কাজ চলছিল ২০০০ সাল থেকে। হাফিজ সঈদের নেতৃত্বেই এখান থেকে ভারত বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম সন্ত্রাসী আজমল আমির কাসভ এবং ডেভিড হেডলির প্রশিক্ষণও এখানেই দেওয়া হয়। জানা যায়, ওসামা বিন লাদেন এখানে এক কোটি টাকা দান করেছিল। মসজিদ এবং অতিথি নিবাস নির্মাণের জন্য। ভারতীয় সীমান্ত থেকে ১৮ থেকে ২৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিল এই লস্কর ঘাঁটি, যা মঙ্গলবার গভীর রাতে ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা।

  • Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    Rohit Sharma: সাদা জার্সি গায়ে আর মাঠে নামবেন না রোহিত, অবসরের নেপথ্যে কি অভিমান না অন্য কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হয়ে গেল একটা যুগ। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। আইপিএলের মাঝেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এ বার থেকে ভারতের হয়ে শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলবেন রোহিত। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক কুড়ি-বিশের ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। হঠাতই নয় বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল গুঞ্জন। তরুণদের জন্য সরতে তো হবেই। তাই করলেন রোহিত। মহেন্দ্র সিং ধোনির পরবর্তী যুগে ভারতের সফল অধিনায়ক রোহিত। তিনি জানেন কোথায় থামতে হয়। তিনি জানেন অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড কখন খুলতে হয়। জানেন হিসেব কষে চলতে।

    লাল বলকে বিদায়

    কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেননি রোহিত। ইনস্টাগ্রামে চার লাইনের একটি বিবৃতিতে রোহিত লিখেছেন, “সকলকে জানাতে চাই যে, আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। সাদা পোশাকে দেশের হয়ে খেলা আমার কাছে গর্বের। এত বছর ধরে এত ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ। এক দিনের ফরম্যাটে ভারতের হয়ে খেলা চালিয়ে যাব।” ভারতের হয়ে ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন রোহিত (Rohit Sharma)। করেছেন ৪৩০১ রান। ব্যাটিং গড় ৪০.৫৭। টেস্টে ১২টি শতরান ও ১৮টি অর্ধশতরান করেছেন রোহিত। সর্বাধিক রান ২১২। টেস্ট ক্রিকেটে রোহিতের পথচলা শুরু ক্রিকেটের নন্দনকাননে। ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমবার ভারতের সাদা জার্সি গায়ে খেলতে নেমেছিলেন রোহিত। টেস্ট ডেবিউ ম্যাচে ৩০১ বলে ১৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রোহিত। হয়েছিলেন ম্যাচের সেরাও। এরপর দেশের হয়ে খেলেছেন আরও ৬৬টা টেস্ট। বিরাট কোহলি ভারতের টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট দলের নেতৃত্ব যায় রোহিত শর্মার কাঁধে। তারপর ২৪টি টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। তাতে ১২টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল ১০ অধিনায়কের তালিকায় রয়েছেন রোহিত। ভারতের হয়ে টেস্টে ১২টি সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। সেই সঙ্গে রয়েছে ১৮টি হাফসেঞ্চুরিও। টি-২০ ও ওডিআইতে রোহিতের ব্যাট যতটা উজ্জ্বল, সেই তুলনায় টেস্টে উজ্জ্বলতা খানিক কম।

    অধিনায়কত্ব নিয়ে জল্পনা

    আইপিএলের পরেই ইংল্যান্ড সফরে যাবে ভারত। পাঁচ টেস্টের সেই সিরিজ থেকে আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই শুরু করবে মেন ইন ব্লু। শোনা যাচ্ছিল, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে রোহিতকে (Rohit Sharma) টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেই জল্পনার মাঝেই অবসর নিলেন তিনি। জাতীয় নির্বাচকরা তাঁকে বার্তা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড সফরের টিমে তাঁকে ক্যাপ্টেন হিসেবে আর ভাবা হচ্ছে না। কারণ বোর্ড সামনের দিকে তাকাতে চাইছে। এ ছাড়া, রোহিত শর্মার বয়স ৩৮ পেরিয়েছে, নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে (২০২৫-২৭) একজন নতুন নেতার প্রয়োজন আছে বলে বোর্ডও মনে করছে। শুভমনের বয়স ২৫, এর আগে টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলেন। তা ছাড়া বুমরার মতো তাঁর চোট সমস্যা নেই। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই অগ্রাধিকার পেয়ে ক্যাপ্টেন্সির দৌড়ে এগিয়ে শুভমন। সেক্ষেত্রে রোহিতের সামনে অবসর ছাড়া রাস্তা ছিল না।

    ব্যাটে রানের খরা

    ক্যাপ্টেন না থাকলে তিনি টিমে ব্যাটার হিসেবেও জায়গা পেতেন কি না সন্দেহ। গত আট টেস্টে তাঁর রান মাত্র ১৬৫। গড় ১০.৯৩। এই পারফরম্যান্স নিয়ে ইংল্যান্ডে তাঁর সফল হওয়া কঠিন বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তিনিও জানতেন লাল বলের ক্রিকেটে আর যেন মানাতে পারছিলেন না। আগে অবসরের প্রশ্নে রোহিত বলেছিলেন, দুই সন্তানের পিতা জানে কখন সরে যেতে হবে। শেষপর্যন্ত নিখুঁত ‘টাইমিং’য়ে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারার মতো করেই অবসরের সরণিতে হাঁটলেন ‘শর্মাজি কা বেটা’।

    রোহিতের পরবর্তী পরিকল্পনা

    রোহিতের (Rohit Sharma) ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২০২৭ বিশ্বকাপ খেলার জন্য রোহিত মরিয়া। মেগা ইভেন্টে খেলার জন্য ফিটনেস ঠিক রাখতে যা খুশি করতে পারেন। রোহিতের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রোহিত। রোহিতের ঘনিষ্ঠ সেই সূত্র জানিয়েছে, ‌চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পরেই রোহিতের মাথায় টেস্ট থেকে অবসরের কথা ঘুরছিল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেল শুরু হচ্ছে জুন থেকে। রোহিত জানত টেস্টে সেরা সময়টা ফেলে এসেছে। রোহিতের সেই ইচ্ছাপূরণ হবে কি না, সেটা কেউ জানেন না। তবে বোর্ড আপাতত জানিয়েছে, ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনিই অধিনায়ক থাকছেন। সেটা হলে দীর্ঘদিন বাদে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সাফল্য এবং এর প্রভাব সম্পর্কে অবগত করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় গত দু’সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। কেন্দ্রের তরফে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং নির্মলা সীতারামন।

    বিরোধী দলগুলির তরফে যাঁরা ছিলেন (Operation Sindoor)

    বিরোধী দলগুলির তরফে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের টিআর বালু এবং সিপিআই(এম)-এর সাংসদ জন ব্রিটাস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিবসেনা (ইউবিটি)-র সঞ্জয় রাউত, এনসিপি-এপির সুপ্রিয়া সুলে, বিজেডির সস্মীত পাত্র, জেডি (ইউ) নেতা সঞ্জয় ঝা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলজেপি (রামবিলাস) নেতা চিরাগ পাশোয়ান এবং (Operation Sindoor) এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

    কী বললেন কিরেন রিজিজু

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জবাবি হামলার পর রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে স্বচ্ছতা ও ঐক্য গড়ে তোলা।” মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ক্যাম্পে মিসাইল হামলা চালায়। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকের লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিও ছিল। পহেলগাঁওয়ে ২৮ জন অসামরিক নাগরিকের হত্যার জবাবে ভারত করে অপারেশন সিঁদুর (All Party Meeting)। তাতেই ধ্বংস হয় পাকভূমে থাকা জঙ্গিদের ডেরা।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলা সম্পর্কে নেতাদের অবগত করতে সরকার গত ২৪ এপ্রিল একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করেছিল। বর্তমান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সামরিক অভিযানের কৌশলগত ফল ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবগত করতে (Operation Sindoor)।

  • Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সীমান্তপার সন্ত্রাস যেমন এক হাতে দমন করা হচ্ছে, ঠিক একইভাবে, দেশের ভেতর মাওবাদীদের দমন করতে চলছে  ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Operation Sankalp)। আর এই অভিযানে খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী গেরিলা (Maoists Killed)। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ওই মাওবাদীরা। গত ১৮ দিন ধরে ওই এলাকায় ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “চার মহিলা-সহ মোট ২৬ জন মাওবাদী এই অভিযানে নিহত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র তৈরির ফ্যাক্টরি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর জন্য ১৯ এপ্রিল থেকে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং রায়পুর ও জগদলপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন।

    অপারেশন সঙ্কল্প (Operation Sankalp)

    দিন কুড়ি আগে ওই জঙ্গলে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। জঙ্গলটি ঘিরে রেখেছে প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশ। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা-র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটার্স ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে এই অভিযানে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামের ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে (Operation Sankalp)।

    বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে ৫০০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে পড়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই দলেই রয়েছে তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি ও দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) নিশ্চিহ্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ ছত্রিশগড় সরকারের (Operation Sankalp)।

LinkedIn
Share