Blog

  • Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত কেনাকাটার ক্ষমতা গত কয়েক দশকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (Private consumption)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত খরচ এখন ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত দু’দশকে এত উচ্চ হারে বৃদ্ধি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    কী বলছে অর্থমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট (Private consumption)

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ব্যক্তিগত ক্রয়ক্ষমতা ভারতের জিডিপির ৬১.৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর আগের অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬০.২ শতাংশ। অর্থাৎ, খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রায় ১.২ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যক্তিগত খরচের অংশগ্রহণ (Private consumption)।

    কী বলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা?

    অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৃদ্ধি (GDP) প্রমাণ করে যে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গ্রামীণ ও শহর—উভয় ক্ষেত্রেই খরচ করার প্রবণতা বাড়ছে। গত ২০ বছরে এই হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হওয়ায় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির ইতিবাচক প্রভাব (Private consumption) স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিনিয়োগেও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে (GDP)

    শুধু খরচই নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.১ শতাংশ-এ পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বেড়েছে রফতানি, কমেছে আমদানি

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে— ভারতের বহির্বাণিজ্যে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৩ শতাংশ হারে, যা বৈদেশিক আয়ের দিক থেকে একটি ইতিবাচক দিক। অন্যদিকে, আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আমদানি কমেছে ৩.৭ শতাংশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বাণিজ্য ঘাটতিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।

  • Iran-US Conflicts: ‘‘খামেনেইকে জীবন ভিক্ষা দিয়েছি’’ দাবি ট্রাম্পের , অপমান সহ্য না করার হুঁশিয়ারি ইরানের

    Iran-US Conflicts: ‘‘খামেনেইকে জীবন ভিক্ষা দিয়েছি’’ দাবি ট্রাম্পের , অপমান সহ্য না করার হুঁশিয়ারি ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Iran-US Conflicts) কথা বলার ধরন ঠিক করতে হবে। তবেই পরমাণু নিয়ে চুক্তি সম্ভব, জানিয়ে দিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। অভিযোগ, বার বার তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করছেন। তেহরান যা বরদাস্ত করবে না। এর আগে ইজরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইয়ের ‘জয়ের’ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তেহরান যদি আবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘নিশ্চিতভাবেই’ ইরানে ফের বোমাবর্ষণ করবে। এমনকী ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুদ্ধ শুরুর সময় ইজরায়েল ও আমেরিকার হামলা থেকে খামেনেইকে তিনি রক্ষা করেছিলেন।

    ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি ইরানের

    শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ট্রাম্পকে (Iran-US Conflicts) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরাগচি। দাবি করেছেন, ইরানের শক্তিতে ভীত হয়ে ইজরায়েলকে আমেরিকার দ্বারস্থ হতে হয়েছে। আরাগচি লিখেছেন, ‘‘যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যিই কোনও চুক্তি চান, ওঁকে আগে ইরানের নেতা খামেনেইয়ের প্রতি কথা বলার অসম্মানজনক ভঙ্গি পাল্টাতে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। খামেনেইয়ের লক্ষ লক্ষ সমর্থককে আঘাত করা বন্ধ করতে হবে ট্রাম্পকে।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘ইরানের মানুষ অত্যন্ত শক্তিশালী। সারা বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, ইজরায়েলের সামনে বাবার কাছে ছুটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ওদের ধ্বংস করে দিত। ইরানের মানুষ ট্রাম্পের হুমকি এবং অপমান সহ্য করবেন না।’’

    খামেনেইকে বাঁচিয়েছি, বললেন ট্রাম্প

    আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের (Iran-US Conflicts)  আলোচনার মাঝেই সেখানে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। এরপর যুদ্ধে যোগ দেয় আমেরিকাও। ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্র লক্ষ্য করে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তার পরেই ট্রাম্প দাবি করেন, দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধ থেমেছে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমি জানতাম খামেনেই ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছেন। কিন্তু আমি ইজরায়েলকে বা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মার্কিন সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে ওঁকে মেরে ফেলতে দিইনি। ওঁকে আমি একটা কুৎসিত এবং অপমানজনক মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছি। কিন্তু উনি তার জন্য আমাকে কোনও ধন্যবাদ জানাননি!’’ ট্রাম্প আরও দাবি করেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের চেষ্টা করছিলেন। তেহরান বহু দিন ধরে যে দাবি করে আসছে। কিন্তু এই চেষ্টার পরিবর্তে ইরান থেকে তিনি কেবল রাগ এবং ঘৃণাভরা বিবৃতি পেয়েছেন। তাই সাহায্যের চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছেন। ইরানকে অবিলম্বে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।

    হিরোশিমা ও নাগাসাকির উদাহরণ

    ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করে দেয় মার্কিন বোমারু বিমান (Iran-US Conflicts) । তার জবাবে কাতারে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। ট্রাম্প বলেন,‘‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণু কেন্দ্রে টার্গেট করেছিলাম। সেগুলি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এটা নির্ণায়ক পদক্ষেপ ছিল।’’ এরপরই ট্রাম্প টেনে আনেন মানব সভ্যতার ইতিহাসের সেই কলঙ্কিত অধ্যায়কে। বলেন,‘‘আমি হিরোশিমার উদাহরণ দিতে চাই না। নাগাসাকির উদাহরণও দিতে চাই না। তবে সেখানেও একই জিনিস ঘটেছিল। এর ফলে সেই যুদ্ধের অবসান ঘটে। ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলাও যুদ্ধে ইতি টেনেছে। আমাদের কাছে আছে সাহসী দেশপ্রেমিক, যাঁরা অত্যন্ত দক্ষ বিমানচালক। তাঁরা আমেরিকান স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে লক্ষ্যবস্তুগুলিতে নির্ভুল হামলা চালিয়েছে। আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা এখন স্তিমিত। দুই দেশই এখন ক্লান্ত।’’

    ঠিক করে কথা বলুক আমেরিকা

    ইজরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা হলেও, আয়াতুল্লাহ খামেনেই একটি বিজয় ভাষণে বলেন, “এই লড়াইয়ে ইরান- আমেরিকার গালে সপাটে চড় কষিয়েছে।” ট্রাম্প পাল্টা দাবি করেন, “তিনি (খামেনেই) জানেন তাঁর বক্তব্য মিথ্যা, একজন ধর্মীয় নেতার এমন মিথ্যা বলা কাম্য নয়।” ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালায়, তবে আমেরিকা ফের হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না। এই মুহূর্তে ইরান আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেছে। ট্রাম্প ন্যাটোর সম্মেলনে আশা প্রকাশ করলেও, তেহরান (Iran-US Conflicts) জানিয়েছে—তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়। আসলে র্মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা ভাল চোখে দেখছে না তেহরান। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ট্রম্পকে কথা বলার ধরন ঠিক করতে বলেছেন। খামেনেইকে অসম্মান করা হলে ইরান কখনওই আলোচনার টেবিলে বসবে না, জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।

     

     

     

     

     

  • India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ভারত (India Defies US Pressure)। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, শুধু জুন মাসেই ভারত গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে রাশিয়া (Russian Oil) থেকে, যা গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই তেলের পরিমাণ ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কুয়েত থেকে যৌথভাবে দৈনিক গড় আমদানির চেয়েও বেশি। গত মে মাসে ভারত গড়ে প্রতিদিন ১৯.৬ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছিল।

    রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা

    মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্নের আশঙ্কায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করে। হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ, যা ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং যার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে অধিকাংশ অপরিশোধিত তেল রফতানি করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন- রাশিয়া সংঘাতের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল ১ শতাংশেরও কম। এখন সেই অংশটাই বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

    সবচেয়ে বড় ক্রেতা

    ভারত বর্তমানে রাশিয়ার উরাল-গ্রেড ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত উরাল রফতানির ৮০ শতাংশই ভারত কিনেছে। বেসরকারি তেল সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নয়ারা এনার্জি এই আমদানির নেতৃত্ব দিচ্ছে (India Defies US Pressure)। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন পর্যন্ত ভারত মোট ২৪১ মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড আমদানি করেছে। রিলায়েন্স ও নয়ারা একসঙ্গে রাশিয়ার মোট উরাল রফতানির ৪৫ শতাংশ নিয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মতো সরকারি তেল সংস্থাগুলি প্রধানত আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করে। বর্তমানে তারা কিছু পরিমাণে তেল আমদানি করছে আমেরিকা থেকে (Russian Oil)। প্রসঙ্গত, ভারতের জন্য রাশিয়ান তেলের ছাড়ও কমে গিয়েছে। আগে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ৪ মার্কিন ডলার ছাড় পাওয়া যেত, এখন তা কমে হয়েছে ২ মার্কিন ডলার (India Defies US Pressure)।

  • Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) টানাপড়েনের আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব হলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তাঁর কটাক্ষ, “চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে আমেরিকার শরণ নিতে হয়। ট্রাম্পই ইজরায়েলের ‘বাবা’, তার ছায়া ছাড়া ওরা অচল।”

    তোপ ইজরায়েলকে (Iran)

    শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরাকচি লেখেন, “ইজরায়েল বুঝে গেছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ভয় থেকে বাঁচতে গেলে তাদের ‘বাবা’র শরণ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “যদি কেউ এখনও আমাদের সামরিক ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় থাকে, তাহলে আমরা সেই বিভ্রান্তি দূর করতে জানি (Iran)।” আরাকচি স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তেল আভিভ যেন বুঝে নেয় তেহরান প্রয়োজনে তার প্রকৃত শক্তি দেখাতে একটুও পিছপা হবে না।”

    ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেলও একই মন্তব্য করেন

    আরাকচির এই ‘বাবা’ বা ‘ড্যাডি’ মন্তব্য অবশ্য প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই টার্মই এবার ব্যবহার করলেন আরাকচি, আরও তীব্র সুরে। তাঁর মতে, “ইজরায়েলের সীমাবদ্ধতা এতটাই, যে ওদের বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত বাবার কাছেই ছুটে যেতে হয়।”

    ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ (Iran)

    ট্রাম্পের দিকেও আক্রমণের তির ছুড়েছেন আরাকচি। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই-কে অপমান করলে কোটি কোটি ইরানির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। যদি সত্যিই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান, তাহলে ভাষা ও মনোভাব দুটোই পাল্টাতে হবে।”

    চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, দাবি ট্রাম্পের

    উল্টো দিকে, ট্রাম্প দাবি (US Strikes) করেছেন, তিনি চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, কারণ তাঁর অবস্থান সম্পর্কে আমেরিকার কাছে পরিষ্কার তথ্য ছিল। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম না মারার।” ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার কথাও একসময় বিবেচনা করেছিলেন (US Strikes)। কিন্তু ইরানের ‘ঘৃণা ও আক্রোশ’ দেখে তিনি মত বদলান। তবে ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, তারা আপাতত কোনও পরমাণু আলোচনায় আগ্রহী নয়। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্প আলোচনা শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তেহরান সেই প্রস্তাব স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছে।

  • Kasba Gangrape: ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, মারার চেষ্টা হকি স্টিক দিয়ে, অভিযোগ কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতার

    Kasba Gangrape: ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল, মারার চেষ্টা হকি স্টিক দিয়ে, অভিযোগ কসবাকাণ্ডের নির্যাতিতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজের (Kasba Gangrape) গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, ধর্ষণের সময় তাঁর ভিডিও তুলে রাখে অভিযুক্তরা এবং তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁকে হকিস্টিক দিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর অভিযোগ যে সে ওই ছাত্রীর বয়ফ্রেন্ড এবং তাঁর বাবা-মাকে খুন করার হুমকি দেয়।

    এফআইআর-এ নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ (Kasba Gangrape)

    এফআইআর-এ ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ‘‘১২.০৫ নাগাদ কলেজে পৌঁছোই। ফর্ম ফিল আপের পর আমি অন্য়দিনের মতো, ইউনিয়ন রুমে গিয়ে বসি। ‘J’ সেখানে ঢোকে এবং সবাইকে বসতে বলে। আমরা তাই করি। সে প্রাক্তন ছাত্র এবং কলেজের কর্মী। সে কলেজের TMCP ইউনিটের অঘোষিত প্রধান এবং অত্য়ন্ত প্রভাবশালী। সবাই তার কথা শোনে। TMCP ইউনিটে সে সবাইকে পদ দেয়। আমাকেও সে গার্লস সেক্রেটারির পদ দিয়েছিল। ‘J’ আমাকে বাইরে ডেকে বলে, সে (Kasba Gangrape) প্রথম দিন থেকে আমাকে পছন্দ করে। গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও সে আমার প্রেমে পড়েছে। আমাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। আমি প্রস্তাব প্রত্য়াখ্য়ান করে বলি, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। আমি তাকে ভালবাসি। আমি তাকে ছাড়তে পারব না।’’

    আমি মড়ার মতো পড়ে ছিলাম (Kasba Gangrape)

    অভিযোগকারিণী উল্লেখ করেছেন, ‘‘তারা জোর করে আমাকে গার্ডের ঘরে নিয়ে যায়। ‘J’ আমাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে। আমি বাধা দিলে, সে আমাকে ব্ল্য়াকমেইল করে, হুমকি দেয়, যা সে আগে থেকেই করে আসছিল। সে আমাকে হুমকি দেয়, আমার বয়ফ্রেন্ডকে খুন করে দেবে, আমার মা-বাবাকে গ্রেফতার (Gangrape) করিয়ে দেবে। তাও আমি বাধা দিই। তখন সে আমার দু’টো নগ্ন ভিডিও দেখায়, যেগুলো আমাকে ধর্ষণের (Kasba Gangrape) সময় তোলা। সে শাসায়, আমি বাধা দিলে, সে যখন ডাকবে তখনই না এলে সেগুলো সবাইকে দেখিয়ে দেবে। ‘J’ যখন আমাকে ধর্ষণ করছিল, তখন ‘M’ আর ‘P’ দাঁড়িয়ে সব দেখছিল। সে আমাকে হকি স্টিক দিয়েও মারার চেষ্টা করে। আমি মড়ার মতো পড়ে ছিলাম। সে ধর্ষণ করে, আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি ১০.৫০-এ ঘরের বাইরে যাই। সে বলে, আমি যেন কাউকে এসব না বলি (Gangrape) ।’’

  • India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    India: জম্মু-কাশ্মীরের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কোর্ট অফ আরবিট্রেশনের রায় বাতিল করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে নির্মীয়মাণ কিশানগঙ্গা ও রাটেল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন (Court of Arbitration) এর রায়কে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল ভারত সরকার। এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার কখনও এই তথাকথিত সালিশ আদালতের অস্তিত্বকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—এই সালিশি আদালতের গঠন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তির যে কাঠামো, তা এই আদালতের গঠন এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে।

    কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতে গ্রহণযোগ্য নয়

    বিদেশমন্ত্রকের (India) পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সিন্ধু জলচুক্তি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, যা বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় যে নিষ্পত্তিমূলক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে সালিশ আদালতের কোনও ভূমিকা নেই। ভারত একাধিকবার পাকিস্তান ও আন্তর্জাতিক মহলকে জানিয়ে দিয়েছে, এই সালিশ আদালতের কোনও বৈধতা নেই এবং এটি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ভারত সরকারের মতে, কোর্ট অফ আরবিট্রেশন-এর (Court of Arbitration) যে কোনও সিদ্ধান্ত, নির্দেশ বা রায় ভারতের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় এবং এসবকে সরকার ‘অবৈধ ও বাতিলযোগ্য’ বলে মনে করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

    পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে রায়

    ভারতের (India) স্পষ্ট দাবি, এই তথাকথিত সালিশি আদালতের রায় পাকিস্তানের উসকানিতে ও নির্দেশনায় দেওয়া হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক। দিল্লির মতে, এটি একটি ‘প্রহসন’ ছাড়া আর কিছু নয়, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, ভারত আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই সিন্ধু জলচুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ভারতের সার্বভৌম অধিকারে হস্তক্ষেপ বা বেআইনি সিদ্ধান্ত কখনও মেনে নেওয়া হবে না।

  • Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    Shaina NC: সংবিধান থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া উচিত, আরএসএস নেতার দাবিকে সমর্থন শিবসেনা নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার দাবি জানান। তাঁর এই বক্তব্যে এবার সমর্থন জানালেন শিবসেনা নেত্রী সাইনা এন.সি (Shaina NC)।

    কী বললেন শিবসেনা নেত্রী (Shaina NC)?

    শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে সাইনা এনসি (Shaina NC) বলেন, “দত্তাত্রেয় হোসাবলের বক্তব্য আমি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি। সংবিধানের প্রস্তাবনায় প্রথম থেকেই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বা ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দদুটি ছিল না। এই শব্দ দুটি সংযোজন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ৪২তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে এই পরিবর্তন করে।” তিনি আরও বলেন, “ড. বি. আর. আম্বেদকর-এর নেতৃত্বে যে খসড়া কমিটি সংবিধানের খসড়া তৈরি করেছিল, তাদের মূল প্রস্তাবনায় এই শব্দ দুটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সেই মূল প্রস্তাবনাই ফিরিয়ে আনা উচিত।” সাইনা এন.সি.-র মতে, “ভারত একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক দেশ — এই পরিচয়ই যথেষ্ট। ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি অপ্রয়োজনীয়।”

    কী বলেছিলেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে?

    দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হোসাবলে বলেন (RSS), ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে আখ্যা দেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে (RSS)। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। জরুরি অবস্থায় ৫০ বছরের আবহে আরএসএস (RSS) নেতার এমন বিবৃতি ফের প্রশ্ন তুলল আদৌ কি এই শব্দ দুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সংবিধানে?

  • Kaliganj Murder Case: কালীগঞ্জে ছোট্ট ছাত্রী তামান্না খুনে গ্রেফতার মূল মাথা তৃণমূলের গাওয়াল

    Kaliganj Murder Case: কালীগঞ্জে ছোট্ট ছাত্রী তামান্না খুনে গ্রেফতার মূল মাথা তৃণমূলের গাওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ধস না নামে, তাই শেষমেশ তামান্না খুনে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গাওয়াল শেখকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে গাওয়ালের (TMC) ছেলে বিমল শেখকেও। শুক্রবার রাতে বর্ধমানের কাটোয়া থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে তামান্না খুনে মোট চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Kaliganj Murder Case)।

    তামান্নার বাড়িতে সুকান্ত (Kaliganj Murder Case)

    গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বের হয়। জয়ী হয় তৃণমূল। মোলান্ডি গ্রামে বের হয় বিজয় মিছিল। সেই মিছিল থেকেই সিপিএম সমর্থক তামান্না খাতুনের বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। খবর পেয়ে তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তামান্নার মায়ের কাছ থেকে শোনেন সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সুকান্ত বলেছিলেন তৃণমূলের হার্মাদদের জন্য হারাতে হয়েছে ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটাকে।

    গাওয়াল শেখ মাথা!

    তিনি বলেছিলেন, তামান্নার মা জানিয়েছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি গাওয়াল শেখ এদের মাথা। তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সুকান্তের ওই বক্তব্যের পরেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নাওয়ের পালের হাওয়া বিরোধীদের পালে লাগতে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি করে গ্রেফতার করা হয় গাওয়ালকে। তামান্নার মা সাবিনা বিবি প্রথম থেকেই দাবি করেছিলেন, গাওয়ালই বোমা ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনিই মূল মাথা। সেই মূল মাথাকেই গ্রেফতার করতে পুলিশের সময় লাগল দিন চারেক।

    গাওয়াল কালীগঞ্জে তৃণমূলের বুথ সভাপতির পদে রয়েছেন (Kaliganj Murder Case)। তামান্নার অকাল মৃত্যুর পর তার পরিবারের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে গাওয়াল ও তাঁর ছেলে দুজনেরই নাম ছিল। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, গাওয়াল শেখ কালীগঞ্জ বোমাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে তল্লাশি অভিযান। শীঘ্রই সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তামান্না খুনের কলঙ্কের কালি গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে গাওয়ালকে বহিষ্কার করতে পারে তৃণমূল। তবে গাওয়ালকে (TMC) বহিষ্কার করা হলে তার প্রভাব পড়তে পারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।

    তৃণমূল কী করে, এখন সেটাই দেখার (Kaliganj Murder Case)।

  • Indian Skilled Manpower: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা রয়েছে, প্রস্তুত কী এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা?

    Indian Skilled Manpower: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের চাহিদা রয়েছে, প্রস্তুত কী এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বে ভারতের দক্ষ মানবসম্পদের (Indian Skilled Manpower) চাহিদা প্রচুর। শুক্রবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন (Maharashtra Governor CP Radhakrishnan)। এদিন এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অবিচল প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা এবং সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণই পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্রম ও উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সন্দেহ নেই; কিন্তু দক্ষ মানবসম্পদ ছাড়া কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পেতে পারে না। মানবসম্পদ আমাদের উন্নতি ও অগ্রগতির অন্যতম চাবিকাঠি।” এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২২টি দেশের ৮২ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

    কাজ উপভোগ করার অভ্যাস

    পৃথিবী বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে সমাজ ও মানুষ, তাদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা, বদলে যাচ্ছে মানবসম্পদের (Indian Skilled Manpower) চাহিদা ও জোগান। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি.পি. রাধাকৃষ্ণন বলেন, “যখন কেউ একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে, তখন সেই লক্ষ্যের প্রতি একাগ্র থাকতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জের মুখে ধৈর্য হারানো যাবে না। যারা এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে, তাদের সাফল্য নিশ্চিত। জীবনে হতাশা বা ক্লান্তি আসতেই পারে, কিন্তু সেখানে থেমে গেলে চলবে না। প্রতিটি প্রচেষ্টাই জীবনের জন্য উপকারী। সুখী মন কর্মে উৎসাহ ও শক্তি যোগায়। কাজ উপভোগ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”

    ভারতের দক্ষ জনশক্তিকে আহ্বান

    রাজ্যপাল আরও বলেন, “আজ বিশ্বের বহু দেশ তাদের শিল্পক্ষেত্রের চাহিদা মেটাতে ভারতীয় দক্ষ জনশক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছে। এই সুযোগ গ্রহণের জন্য ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বল্পমেয়াদি ভাষা কোর্স—জার্মান, ফরাসি, জাপানি, ম্যান্ডারিন, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান ইত্যাদিতে শুরু করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। এটি আমাদের ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেবে।” পুনে শহর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এই শহর একটি বড় অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, মিডিয়া ও ক্ষুদ্র শিল্পের কেন্দ্র। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে।”

     

     

     

     

  • Bipodtarini Puja 2025: বিপদ থেকে উদ্ধার পেতেই আরাধনা দেবী বিপত্তারিণীর, জানেন এই পুজোয় ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    Bipodtarini Puja 2025: বিপদ থেকে উদ্ধার পেতেই আরাধনা দেবী বিপত্তারিণীর, জানেন এই পুজোয় ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ঘরে ঘরে আজ, শনিবার পালিত হচ্ছে বিপত্তারিণী ব্রত (Bipodtarini Puja 2025)। বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য দেবী বিপত্তারিণীর পুজো করা হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক। আষাঢ় মাসে সোজা রথ এবং উল্টো রথের মাঝে মঙ্গল ও শনিবার পালিত বিপত্তারিণী ব্রত। স্বামী, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলকামনায় দেবীর পুজোপাঠ ও ব্রতপালন করেন গৃহিণীরা। বিশ্বাস করা হয়, বিপত্তারিণী পুজো করলে শুধু বিপদই নয় অর্থ সঙ্কট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি লাভ হয়।

    দেবী দুর্গারই উপাসনা

    দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। দেবীকে কখনও দশভুজা রূপে পুজো করা হয়, কখনও আবার চতুর্ভুজা রূপে পুজো করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি মতে, দেবাদিদেব মহাদেব দেবী পার্বতীকে কালী বলে উপহাস করলে দেবী ক্রুদ্ধ হন। ক্রুদ্ধ দেবী তখন তপস্যাবলে নিজের কৃষ্ণবর্ণ রূপ ত্যাগ করেন। সেই মুহূর্তে দেবী পার্বতীর শরীর থেকেই সৃষ্টি হন দেবী বিপত্তারিণী। দেবী বিপত্তারিণীর উপাসনা করা মানে দেবী দুর্গারই উপাসনা করা।

    ১৩ সংখ্যার মাহাত্ম্য

    এই ব্রত (Bipodtarini Puja 2025) পালনের বিশেষ নিয়ম হল দেবী বিপত্তারিণীকে সব কিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হবে। ১৩ রকমের নৈবেদ্য সাজাতে হয়। এ ছাড়া লাগে তেরো রকম ফল, তেরো রকম ফুল, তেরোটি পান, তেরোটি সুপুরি, তেরোটি এলাচ। ব্রত পালনের দিন চাল-মুড়ি-চিঁড়ে জাতীয় কোনও জিনিস খাওয়া যায় না। বদলে ১৩টি লুচি ও ফল দেবীর প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে হয়। কথিত রয়েছে, মা বিপত্তারিণীর পছন্দের সংখ্যা হল ১৩। সে কারণেই এই পুজোয় দেবীর কাছে সমস্ত জিনিস ১৩টি করে অর্পণ করা হয়। শাস্ত্রমতে, ১৩ সংখ্যাটি ব্যবহার করলে দেবীর আশীর্বাদ লাভ করা যাবে। এতে যে কোনও বিপদ থেকে দেবী আমাদের রক্ষা করবেন। ১৩ সংখ্যাটিকে দেবী বিপত্তারিণীর আশীর্বাদ ও সুরক্ষার প্রতীক মনে করা হয়।

    লাল রঙের তাগা কেন বাঁধা হয়

    বিপত্তারিণীর পুজো (Bipodtarini Puja 2025) শেষে হাতে লাল তাগা বাঁধার চল রয়েছে। মেয়েরা এই তাগা বাঁ হাতে পরেন আর ছেলেরা ডান হাতে পরেন। সেই তাগাতেও ১৩টি গিঁট বাঁধা হয়। সেই ১৩টি গিঁটে দেবী দুর্গার ১৩টি রূপে বিরাজ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। ১৩টি গিঁট ছাড়াও তাতে ১৩টি দূর্বাঘাস বাঁধা হয়। এই তাগা অনেকে সারা বছর ধরে পরে থাকেন, অনেকে আবার তিন দিন পরার পর নদী বা পুকুরের জলে ভাসিয়ে দেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই তাগা হাতে পরলে বিপদ কোনও দিন আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

    ব্রত পালনে কী কী লাগে?

    ঘট, আম্র পল্লব, শীষ সহ ডাব, একটি নৈবেদ্য, ১৩ টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো (সঙ্গে ১ত টি দূর্বা বাঁধা), ১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩ গাছি লাল সুতো, ১৩টি দূর্বা, ১৩টি পান ও ১৩টি সুপুরি।

    বিপত্তারিণী পুজোর দিন কী করবেন না

    বিপত্তারিণী পুজোর (Bipodtarini Puja 2025) দিন এবং আগের দিন আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ ব্রতপালনের দিন ব্রতীরা চালজাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না৷ বাড়িতে বা মন্দিরে দু’ জায়গাতেই এই ব্রতপালন করা যায়। বিপত্তারিণী পুজোর সময় কথা বলবেন না৷ এতে পুজোর নিষ্ঠা এবং একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটে৷ ফলে দেবী রুষ্ট হন। এই তিথিতে কাউকে ধার দেবেন না৷ কারওর কাছ থেকে ধার নেবেন না। কোনও অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না। নয়তো ঘরের সুখ ও শান্তির নষ্ট হয়। বিপত্তারিণী পুজোর সময় কখনই কাউকে অপমান করবেন না। এমনকি এদিন কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। এই পুজোর দিন পরিবারের কোনও সদস্যের মদ্যপান করা এড়ানো উচিত। বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চিনির শুক্র এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে শুক্র বস্তুগত সুখের কর্তা। তাই এদিন চিনি দিলে শুক্র দুর্বল হয় এবং সংসারে অশান্তির পাশাপাশি আর্থিক সংকট দেখা দেয়।

LinkedIn
Share