Blog

  • ICC New Rule: পাওয়ারপ্লে নিয়ে নয়া নিয়ম! টি-২০ থেকে টেস্ট, ক্রিকেটে একগুচ্ছ বিধি চালু আইসিসি-র

    ICC New Rule: পাওয়ারপ্লে নিয়ে নয়া নিয়ম! টি-২০ থেকে টেস্ট, ক্রিকেটে একগুচ্ছ বিধি চালু আইসিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেটে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে আইসিসি (ICC New Rule)। ২২ গজে স্বচ্ছতা রাখতে, ক্রিকেটের মাঠে দুই প্রতিপক্ষকে সমান সুবিধা দিতে সক্রিয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। আইসিসি ঘোষণা করেছে টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের নতুন খেলার নিয়ম, যেখানে বৃষ্টির কারণে খেলা সংক্ষিপ্ত হলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে পাওয়ারপ্লে ওভারের সংখ্যা।  জুলাই মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। এর লক্ষ্য হল খেলার দৈর্ঘ্য যাই হোক না কেন, ফিল্ডিং বিধিনিষেধে একধরনের মানসম্পন্নতা ও সামঞ্জস্য বজায় রাখা।

    সংক্ষিপ্ত ইনিংসে পাওয়ারপ্লে কত হবে?

    আইসিসির (ICC New Rule) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চার্ট অনুযায়ী, ৮ ওভারের ইনিংসে পাওয়ারপ্লে হবে ২.২ ওভার, যেখানে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে সর্বোচ্চ ২ জন ফিল্ডার থাকতে পারবে। পূর্বে সংক্ষিপ্ত ম্যাচে প্রায়শই রাউন্ড ফিগারে পাওয়ারপ্লে নির্ধারণ করা হতো, যেমন ৮ ওভারের খেলায় ৩ ওভারের পাওয়ারপ্লে দেওয়া হতো।

    ৫ ওভার: ১.৩ ওভার

    ৬ ওভার: ১.৫ ওভার

    ৭ ওভার: ২.১ ওভার

    ৮ ওভার: ২.২ ওভার

    ৯ ওভার: ২.৪ ওভার

    ১০ ওভার: ৩.০ ওভার

    ১১ ওভার: ৩.২ ওভার

    ১২ ওভার: ৩.৪ ওভার

    ১৩ ওভার: ৩.৫ ওভার

    ১৪ ওভার: ৪.১ ওভার

    ১৫ ওভার: ৪.৩ ওভার

    ১৬ ওভার: ৪.৫ ওভার

    টেস্টে কী কী নতুন নিয়ম

    স্টপ ক্লক চালু: স্লো ওভার রেট রুখতে টেস্ট ক্রিকেটেও এবার স্টপ ক্লক চালু করা হয়েছে। প্রতি ওভার শেষের ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে ফিল্ডিং দলকে। মাঠে ইলেকট্রনিক ক্লক থাকবে যা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত গণনা করবে। ফিল্ডিং দলকে দু’টি ওয়ার্নিং দেওয়া হবে। তৃতীয়বার নিয়ম ভাঙলে ব্যাটিং দল পাবে ৫ পেনাল্টি রান। এই ওয়ার্নিং ৮০ ওভারের পর থেকে আবার নতুন করে শুরু হবে।

    শর্ট রানের ক্ষেত্রে বদল:  অবৈধ শর্ট রানের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি ব্যাটার ইচ্ছাকৃতভাবে ক্রিজে ব্যাট না ছুঁইয়ে দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটে যান, তাহলে ব্যাটিং টিমের ৫ রান কেটে নেওয়া হবে। নট আউট ব্যাটারকে ব্যাটিং প্রান্তে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ফিল্ডিং দল নির্ধারণ করবে পরবর্তী বলে কোন ব্যাটার স্ট্রাইকে থাকবে।

    লালার ব্যবহারেও নতুন ব্যাখ্যা: বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে আগের মতোই। তবে এখন থেকে বলের উপর লালার প্রয়োগ হলে বল পরিবর্তন বাধ্যতামূলক নয়। তবে কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বল পাল্টানোর উদ্দেশ্যে এমন করলে সেটিও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ডিআরএস-এ দু’দিক থেকে রিভিউ হলে: যদি একই সিদ্ধান্তে ক্রিকেটার ও অন-ফিল্ড আম্পায়ার দু’জনেই রিভিউ চায়, তবে আগে যে রিভিউ এসেছে, তা আগে বিবেচিত হবে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ ক্যাচ আউট চ্যালেঞ্জ করলে যদি রিভিউতে দেখা যায় বল প্যাডে লেগেছে, তাহলে পরবর্তীভাবে এলবিডব্লিউ রিভিউ হবে এবং ‘আউট’ সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাবে। বল ট্র্যাকিংয়ে যদি ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখায়, তাহলে ব্যাটারকে আউট বলে ধরা হবে।

    নো-বলে ক্যাচ: নো-বলে ক্যাচ নেওয়া হলে এখন থেকে ভিডিও আম্পায়ার দেখবেন ক্যাচটি সঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে কি না। যদি ক্যাচ ঠিকঠাক ধরা হয়ে থাকে, তবে ব্যাটিং দল পাবে নো-বলের জন্য একটি অতিরিক্ত রান। যদি ক্যাচ পরিষ্কার না হয়, তবে ব্যাটাররা যত রান নেন তা দেওয়া হবে।

  • Rajnath Singh: বেজিং-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে চিনকে চার দফা প্রস্তাব রাজনাথের

    Rajnath Singh: বেজিং-দিল্লি কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে চিনকে চার দফা প্রস্তাব রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে কিংডাওতে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) চিনের অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই বৈঠককে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা কমানো এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করতে এখানে রাজনাথ সিং চার দফা একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন।

    রাজনাথ সিং-এর দেওয়া চার দফা প্রস্তাবনাগুলি হল

    ১. ২০২৪ সালের ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ অর্থাৎ সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়া
    ২. সীমান্ত নির্ধারণের বিষয়ে অগ্রগতি
    ৩. সীমান্ত নির্ধারণের জন্য দ্বিপাক্ষিক প্রচেষ্টা বাড়ানো
    ৪. দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন

    পাকিস্তানের মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরেন রাজনাথ (Rajnath Singh)

    জানা গিয়েছে, চিনের (China) সঙ্গে এই বৈঠকে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) পাকিস্তানের মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিগত অবস্থান ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই বৈঠকের পর রাজনাথ সিং এক্স (প্রাক্তন ট্যুইটার)-এ একটি ছবি শেয়ার করেন এবং জানান, নয়াদিল্লি ও বেজিং কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিবাচক রাখার বিষয়েই আলোচনা করেছে। এর পাশাপাশি, ছয় বছর পর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে রাজনাথ সিং কী লিখলেন

    নিজের এক্স মাধ্যমে রাজনাথ লেখেন, “কিংডাওতে (China) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে গঠনমূলক মত বিনিময় হয়েছে। প্রায় ছয় বছর পরে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় আমি আনন্দিত। ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত এবং নতুন কোনও জটিলতা এলে তা এড়ানো উভয় পক্ষের কর্তব্য।”

    মধুবনীর ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি উপহার দেন রাজনাথ

    চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিহারের মধুবনীর ঐতিহ্যবাহী চিত্রকলার একটি বাঁধানো ছবি উপহার হিসেবে তুলে দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বৈঠকের পর চিনের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত পারস্পরিক বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহী এবং সংঘাত এড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও নয়াদিল্লির তরফে এই বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

    ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) অতিক্রম করে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। সেই বছরের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাল্টা আক্রমণে চিনেরও প্রায় ৪০ সেনাকর্মী নিহত হন। গালওয়ান ঘটনার পর থেকেই কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে একাধিক পর্যায়ে বৈঠক হয়, সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে। অবশেষে গত বছরের অক্টোবর মাসে ডেপসাং ও ডেমচক-সহ সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছায়। শুরু হয় ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ এবং ‘ডিএসক্যালেশন’-এর প্রক্রিয়া। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের মে মাসের আগের অবস্থানে উভয় দেশের সেনাবাহিনী ফিরে যাবে।

    বালুচিস্তানের অস্থিরতার জন্য ভারতকে দায়ী করে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ এবং পহেলগাঁও হামলা নিয়ে এসসিও-তে একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। এরপরই চিনের সঙ্গে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এসসিও-র সভাপতিত্ব করছে চিন। চিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাকিস্তান ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চায় এবং সন্ত্রাসবাদের ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের বালুচিস্তানে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তা উল্লেখ করে পাকিস্তান এবং ওই প্রদেশে অস্থিরতার জন্য ভারতকেই দায়ী করে তারা।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে কী জানাল চিন?

    চিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দিল্লির সঙ্গে যে কোনও ধরনের জটিলতা এড়াতে চায় বেজিং এবং দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। তবে তারা আরও জানায়, এই বিষয়ে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। ভারত ধারাবাহিকভাবে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখছে, এই বার্তা আরও জোরালো হয় গত বছর, যখন ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • Shubhanshu Shukla: ‘‘পৃথিবীকে বাইরে থেকে দেখার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়’’, মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে বার্তা শুভাংশুর

    Shubhanshu Shukla: ‘‘পৃথিবীকে বাইরে থেকে দেখার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়’’, মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে বার্তা শুভাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্লা-পক্ষ। আঠাশ ঘণ্টার জার্নি শেষে ভারতীয় সময় সন্ধে ছটার কয়েক মিনিট আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছেছেন শুভাংশু শুক্লা, পেগি হুইটসন, স্লাওজ উজনানস্কি ও টিবর কাপু। আগামী চোদ্দদিন এটাই ওঁদের ঘর। মাধ্যাকর্ষণ-শূন্য পরিবেশে দিন কাটানো মুখের কথা নয়। বাইরে থেকে খুব সহজ মনে হলেও মাথা ঝিমঝিম করছে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla)। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে নিজেই সে কথা জানালেন ভারতীয় মহাকাশচারী। তবে মহাবিশ্বের হাতছানির কাছে এ কিছুই নয়, দাবি ইতিহাস সৃষ্টি করা শুভাংশুর। ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, আগামী ১৪ দিন আইএসএস-এ বসে যে গবেষণা তাঁরা করবেন, তার তুলনায় এই অস্বস্তি কিছুই নয়।

    মহাকাশে আলাপচারিতা

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিট নাগাদ আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশুরা (Shubhanshu Shukla)। প্রতি ঘণ্টায় ২৬,৫০০ কিলোমিটার গতি ছিল মহাকাশযানের। ২৮ ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবার আইএসএস-এ পৌঁছেছেন শুভাংশু, তাঁর তিনি সঙ্গী পোল্যান্ডের স্লায়োস উজনানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু, আমেরিকার পেগি হুইটসন। তাঁদের অপেক্ষায় বসেছিলেন আইএসএস-এর সাত মহাকাশচারী। পৃথিবী থেকে রওনা হওয়া চার মহাকাশচারীকে নিয়ে তাঁদের উদ্বেগও ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ (ভারতীয় সময়) শুভাংশুরা আইএসএস-এ পৌঁছোতেই তাঁদের জড়িয়ে ধরেন সেখানকার মহাকাশচারীরা। তাঁরা সেখানে ইতিমধ্যেই গবেষণা চালাচ্ছেন। চার জনকে অভ্যর্থনা জানিয়ে পানীয় দেওয়া হয় হাতে। সেই মুহূর্তের কিছু ছবি, ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রকাশ করেছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স। সেখানে দেখা গিয়েছে, আইএসএস-এ হাসতে হাসতে গল্প করছেন মহাকাশচারীরা।

    শস্য ফলানোই প্রধান কাজ

    ১৯৮৪ সালে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন। ৪১ বছর পর ফের ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেল ভারত। অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের নেতৃত্বেই রয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। আগামী ১৪ দিন তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা অনেক কাজ করবেন। শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) সঙ্গে রয়েছে ৬ ধরনের ভারতীয় শস্যবীজ। সেই শস্য ফলানোই প্রধান কাজ। আগামীদিনে মহাকাশ অভিযানে এটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হবে কারণ মহাকাশেই ফল-মূল উৎপাদন করা সম্ভব হলে কষ্ট করে পৃথিবী থেকে খাবার বয়ে নিয়ে যেতে হবে না। মহাকাশে উৎপাদন হলে তার জিনগত বা পুষ্টিগত কোনও পার্থক্য তৈরি হয় কি না, তাও গবেষণা করে দেখা হবে। এছাড়াও শুভাংশু শুক্লা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন। মাইক্রোঅ্যালগি বা “ক্ষুদ্র শৈবাল” নিয়ে গবেষণা। মহাকাশে গেলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানবদেহের পেশি। মহাকাশে রেডিয়েশন ও মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব এই অ্যালগির উপরে কী হয়, এর পুষ্টিগুণে কোনও পার্থক্য তৈরি হয় কি না, তা গবেষণা করে দেখা হবে।

    গর্ব এবং উত্তেজনার মুহূর্ত

    আইএসএস-এ বসেই লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু বলেন, ‘‘এটা গর্ব এবং উত্তেজনার মুহূর্ত, মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে আমাদের ব়ড় পদক্ষেপ।’’ সেই সঙ্গে তিনি আবার মনে করিয়ে দেন তাঁর কাঁধে থাকা ভারতীয় পতাকার কথা। তাঁর কথায়, ‘‘গর্বের সঙ্গে কাঁধে তেরঙা পরেছি।’’ বুধবার যাত্রা শুরুর আগেও এই কথাই শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাঁধে লাগানো জাতীয় পতাকা মনে করাচ্ছে যে তিনি একা নন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রবেশ করে সেখানকার বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানান শুভাংশু। তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবীকে দেখার সুযোগ পাওয়াটা একটা সৌভাগ্যের বিষয়। যাত্রাটা অসাধারণ ছিল। অসাধারণ! মহাকাশে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু যে মুহূর্তে আমি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশ করলাম, এই ক্রু সদস্যরা আমাকে এমন স্বাগত জানাল! তোমরা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জন্য তোমাদের ঘরের দরজা খুলে দিলে। আমি আরও ভালো বোধ করছি। এখানে আসার আগে আমার যা প্রত্যাশা ছিল তা অবশ্যই ছাপিয়ে গেছে। তাই তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে আগামী ১৪ দিন বিজ্ঞান এবং গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ হবে। অনেক ধন্যবাদ।’’

    মহাকাশে বসেই গাজরের হালুয়া, আমের রস

    ১৪ দিনের এই অভিযানের গোটা সময়টা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই থাকবেন চার নভশ্চর। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। তবে, শুধু তো কাজ করলেই হল না, মহাকাশে খাবার খেতেও হবে শুভাংশুদের। এই খাবার খাওয়াও এক কষ্টসাধ্য কাজ, কারণ সাধারণ খাবার খাওয়া যায় না। বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবারই খেতে হয়। তবে ওই প্যাকেটজাত খাবার, শুকনো ফলের পাশাপাশি গাজরের হালুয়া, আমের রস ও মুগ ডালের হালুয়াও খাবেন শুভাংশু (Shubhanshu Shukla)। তাঁর জন্য এই খাবার বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করে দিয়েছে ইসরোর ডিফেন্স ইন্সটিটিউশন অব বায়ো ডিফেন্স টেকনোলজি। এই খাবারে কোনও প্রিজারভেটিভ দেওয়া নেই। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকবে এই খাবারগুলি। শুভাংশুর অভিযানের লাইভ সম্প্রচার লখনউয়ে তাঁর স্কুলে বসে দেখেন বাবা, মা, আত্মীয়, বন্ধুরা। ১৪ দিনের এই অভিযান আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের বৈজ্ঞানিক কৃতিত্বকে আরও মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • RSS: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ বাদ দেওয়ার আর্জি আরএসএস নেতার

    RSS: সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ বাদ দেওয়ার আর্জি আরএসএস নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৬ সালের জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুটি যুক্ত করে। আরএসএস-এর ‘সরকার্যবাহ’ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) ওই দুটি শব্দ বাদ দেওয়ার জানালেন। বৃহস্পতিবারই এই মন্তব্য করেন তিনি। আরএসএস (RSS) নেতার মতে, এগুলি জরুরি অবস্থার সময়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    জোর করে আনা হয় এই দুই শব্দ

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ইন্দিরা সরকার জরুরি অবস্থার সময় একপ্রকার জোর করে ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় ‘সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ পরিবর্তিত করে ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ যোগ করে। প্রসঙ্গত এর আগে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী-সহ কয়েক জন এই শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। জরুরি অবস্থায় ৫০ বছরের আবহে আরএসএস (RSS) নেতার এমন বিবৃতি ফের প্রশ্ন তুলল আদৌ কি এই শব্দ দুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সংবিধানে?

    ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’

    দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হোসাবলে বলেন (RSS), ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ইন্দিরার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। চলেছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রায় ২১ মাসের ওই পর্বকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম অধ্যায়’ বলে আখ্যা দেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে (RSS)।

    সংবিধান হত্যা দিবস

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ জুনকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চলা এই জরুরি অবস্থায় গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ বিষয়ে বিবৃতি দেন এবং তিনি বলেন, জরুরি অবস্থার ঘটনা ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়। কংগ্রেস শুধু সংবিধানের চেতনাকেই লঙ্ঘন করেনি, উপরন্তু গণতন্ত্রকে কারাগারে বন্দি করেছিল। একাধিক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্তব্য করেন যে, ভারত কখনও ভুলবে না এই সময়কালকে। এই সময় দেশের সংসদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং আদালতকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।

  • Changes For UPI Users: অগাস্ট থেকে বড় পরিবর্তন! ইউপিআই সিস্টেমে নতুন নিয়ম, ১০টি এপিআই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা

    Changes For UPI Users: অগাস্ট থেকে বড় পরিবর্তন! ইউপিআই সিস্টেমে নতুন নিয়ম, ১০টি এপিআই ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। আগামী ১ অগাস্ট, ২০২৫ থেকে ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ১০টি অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (API)-এর ব্যবহারে কড়া নিয়ম জারি করা হচ্ছে। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) গত ২১ মে একটি সার্কুলারে এই নির্দেশিকা জারি করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (PSP) আগামী ৩১ জুলাই, ২০২৫-এর মধ্যে এই ১০টি এপিআই-এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। এর মাধ্যমে ইউপিআই (Changes For UPI Users) ব্যবস্থায় অতিরিক্ত লোড কমিয়ে সার্ভার আউটেজ প্রতিরোধ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ?

    ব্যালান্স অনুসন্ধান (Balance Enquiry): একজন ব্যবহারকারী প্রতিটি অ্যাপে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ বার ব্যালান্স চেক করতে পারবেন। যেমন, পেটিএম (Paytm) বা ফোন পে (PhonePe) দুটোতেই আলাদা করে ৫০ বার করে ব্যালান্স দেখা যাবে।

    লিঙ্কড অ্যাকাউন্ট অনুসন্ধান: প্রতিটি অ্যাপে দিনে ২৫ বার পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট-এর তথ্য জানা যাবে। এর জন্য ব্যবহারকারীর স্পষ্ট সম্মতি দরকার হবে।

    অটোপে ম্যান্ডেট: সকাল ১০টা থেকে ১টা এবং সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ৯:৩০-র মধ্যে এই পরিষেবা কাজ করবে না। একটি ম্যান্ডেটের জন্য ১টি প্রচেষ্টা এবং সর্বাধিক ৩টি পুনঃচেষ্টা করা যাবে, তাও সীমিত গতিতে।

    লেনদেন স্ট্যাটাস চেক: অথেন্টিকেশন হওয়ার পর কমপক্ষে ৯০ সেকেন্ড অপেক্ষা করে স্ট্যাটাস চেক করতে হবে। একটি লেনদেনে ২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বাধিক ৩ বার চেক করা যাবে।

    সিস্টেম-প্রচলিত (non-user-initiated) এপিআই কল: এই ধরনের কলগুলি পিক আওয়ারে (সকাল ১০টা–১টা ও সন্ধ্যা ৫টা–৯:৩০টা) বন্ধ থাকবে।

    নিয়ম না মানলে কড়া শাস্তি

    এনপিসিআই (NPCI) স্পষ্ট জানিয়েছে, এই নির্দেশিকা অমান্য করলে এপিআই (API) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, জরিমানা, নতুন গ্রাহক যুক্তিকরণে স্থগিতাদেশ বা আরও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সমস্ত ব্যাঙ্ককে ৩১ অগাস্ট, ২০২৫-এর মধ্যে একটি অঙ্গীকারপত্র জমা দিতে হবে, যেখানে জানাতে হবে তারা এপিআই কল যথাযথভাবে দেখছে। অ্যাকোয়ারিং ব্যাঙ্কগুলিকে প্রতি বছর সিইআরটি-ইন (CERT-In) অনুমোদিত অডিটর দ্বারা সিস্টেম নিরীক্ষা করাতে হবে। এর শুরু ৩১ অগাস্ট, ২০২৫ থেকে। এনপিসিআই (NPCI)-র মতে, এই নতুন নিয়মগুলি ব্যস্ত সময়ে ইউপিআই ব্যবস্থাকে আরও স্থিতিশীল, দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। ইউজারদের কিছুটা ব্যবহার বদলাতে হলেও, সামগ্রিকভাবে এটি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমকে আরও মজবুত করবে।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস প্রশাসন, তীব্র নিন্দা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Crisis) বুলডোজার চালিয়ে দুর্গামন্দির ভেঙে দিল ইউনূস প্রশাসন। হুমকি দিয়েছিল মৌলবাদীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিল সেনাবাহিনী (Bangladesh Army), র‍্যাব (Rapid Action Battalion), বিজিবি (Border Guard Bangladesh), রেল (Bangladesh Railway)। বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার (Dhaka) খিলক্ষেত (Khilkhet) অঞ্চলে দুর্গামন্দির (Shri Shri Durga Mandir) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। বাংলাদেশের হিন্দুরা এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব। শুক্রবার রথযাত্রার (Rath Yatra 2025) ঠিক আগেই বাংলাদেশে এই মন্দির ধ্বংসের ঘটনায় আতঙ্কিত হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা। দুর্গা মন্দির ধ্বংসের নিন্দায় ভারত বলেছে, এই ঘটনা সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘু ও তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষায় ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অক্ষমতারই প্রতিফলন।

    হিন্দু হলে রেহাই নেই

    বাংলাদেশে এই মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায়। আওয়ামি লিগ (Awami League) সরকার ক্ষমতা হারানোর পর বাংলাদেশে এখন ফের প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে বিএনপি। কিন্তু সেই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যর মেয়ে সরাসরি যে মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, সেই মন্দির গুঁড়িয়ে দিল মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকার। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, যে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়াতেই থাকুন না কেন, হিন্দু হলে রেহাই নেই। ঢাকার এই মন্দিরটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো। প্রতি বছর এখানে দুর্গা ও কালীপুজো হত। নিয়মিত দেবীর নিত্যসেবা হত। গত ২৪ জুন রাতে সেই মন্দিরে মৌলবাদীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেদিনই তাদের তরফে মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, সেই চাপে পড়েই মন্দির ভেঙে ফেলা হল।

    কেন দুর্গামন্দির ধ্বংস?

    বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সেনা সদস্যদের খিলক্ষেতের ওই মন্দিরের কাছে মোতায়েন করা হয়। তখনই স্থানীয়রা আঁচ পায়, বড় কিছু হতে চলেছে। তারই মধ্যে ঢাকার পূর্বাচল সেনা ক্যাম্প থেকে খিলক্ষেত দুর্গামন্দির প্রাঙ্গনে বুলডোজার আনা হয়। আর বুঝতে বাকি থাকেনি হিন্দু পুরুষ ও মহিলাদের। তারা মন্দিরের সামনে বসে প্রতিবাদ শুরু করে। কিন্তু, পুলিশ তাদের সেখান থেকে জোর করে তুলে মন্দিরে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। বাংলাদেশ সরকারের সাফাই, রেলের জমিতে অস্থায়ীভাবে এই দুর্গামন্দির তৈরি করা হয়েছিল। খিলক্ষেত থানার ওসি মহম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, এই অস্থায়ী মন্দিরের চারপাশে টিনের বেড়া ছিল। সোমবার মন্দির কর্তৃপক্ষ পাকা দেওয়াল তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এতে বাধা দেয়। তারা দাবি করে, মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে এই মন্দির ভেঙে দিতে হবে। সোমবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শেষপর্যন্ত এই মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হল।

    ভারতের তীব্র প্রতিবাদ

    মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি চরমপন্থীরা ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল। আগে থেকেই বাংলাদেশের মৌলবাদী-উগ্রপন্থীরা মন্দিরটি ভেঙে ফেলার কথা বলেছিল। সেই মন্দিরকে রক্ষা করার পরিবর্তে অন্তর্বতীকালীন সরকার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে, এই ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহারের ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে। এর ফলে মন্দিরটি স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই দেবীমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ যে এমন ঘটনা বারবার হচ্ছ। জোর দিয়ে বলতে চাই যে সেখানকার হিন্দু, তাঁদের সম্পত্তি এবং তাঁদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’’

    বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ

    হিন্দু ধর্মের উৎসব-আচার পালনে বারবার বাধাদানের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে। তবে নিজের মতো করে যুক্তি সাজিয়ে সেই সবের থেকে দায় ঝেরে ফেলছেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সে দেশে কয়েক হাজারের খুনে দায়ী রাজাকার বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। যে কি না আবার ফাঁসির আসামী। তবে সেখানেই জোর করে ভুয়ো মামলার আছিলায় আটকে রাখা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মতো হিন্দু সন্ন্যাসীকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হিন্দু ও সংখ্যালঘুরা। কখনও ঘরবাড়ি ভাঙা হয়েছে, কখনও মন্দির। কখনও আবার প্রকাশ্যেই খুন করা হয়েছে। ভারত সরকারের তরফে বারংবার ইউনূস সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারপরও বদলাল না ইউনূসের বাংলাদেশ।

  • Bone Decay: শুধুই ক্যালসিয়াম যথেষ্ট নয়! শক্ত হাড়ের জন্য জরুরি ভিটামিন কে!

    Bone Decay: শুধুই ক্যালসিয়াম যথেষ্ট নয়! শক্ত হাড়ের জন্য জরুরি ভিটামিন কে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে হাড়ের ক্ষয় (Bone Decay) রোগ।‌ ভারতের মহিলাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি হাড়ের সমস্যায় ভোগেন। বাদ নেই শিশুরাও। বহু ভারতীয় শিশু হাড়ের রোগে আক্রান্ত। বয়স চল্লিশের চৌকাঠ পেরোলেই অনেকে কোমড় ও হাঁটুর ব্যথায় কাবু হচ্ছেন। আর চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যার জন্যই কোমড়, হাঁটুর যন্ত্রণার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘসময় একনাগাড়ে হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হচ্ছে। অনেকেই হাড়ের সমস্যার জেরে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারছেন না। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা জরুরি। প্রথম থেকেই সচেতন না হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তি আরও বাড়বে। এর ফলে স্বাভাবিক জীবন‌ যাপনে অসুবিধা হবে।

    কেন হাড়ের সমস্যা বাড়ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের সমস্যা (Bone Decay) বাড়ার অন্যতম কারণ পুষ্টির সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ভিটামিনের অভাব হাড়ের সমস্যা বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের পাশপাশি ভিটামিন কে-র (Vitamin K) অভাব দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশ ভারতীয় বিশেষত তরুণ প্রজন্মদের মধ্যে ভিটামিন কে-র অভাব বাড়ছে। যার জেরেই হাড়ের সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যাও এ দেশে উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খেলে হাড়ের সমস্যা কমবে।

    কেন হাড়ের জন্য ভিটামিন কে জরুরি?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে (Vitamin K) হাড়ের ভিতরের মজ্জা অর্থাৎ অস্থি মজ্জার জন্য জরুরি‌। অস্থি মজ্জা ঠিক রাখতে ভিটামিন কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাশপাশি ভিটামিন কে পেশির তন্তু শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পেশির তন্তু শক্তিশালী হলে তবেই শরীরের একাধিক কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। কাজ করাও সহজ হয়। অস্থি মজ্জা ঠিক থাকলে হাড় ভেঙে (Bone Decay) যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই শরীরের কাঠামো মজবুত করতে ভিটামিন কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কীভাবে পর্যাপ্ত ভিটামিন কে পাওয়া যাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে-র (Vitamin K) ঘাটতি পূরণ করার জন্য ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগ রুখতে অনেকেই নিয়মিত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবারের দিকে নজর দেন। কিন্তু হাড় মজবুত (Strong Bones) করতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন কে জাতীয় খাবার খাওয়া সমান জরুরি। পুষ্টিকর খাবার শরীর সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নিয়মিত শাক খাওয়া জরুরি!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাওয়ার শুরুতে শাক খাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরোনো। কিন্তু আধুনিক ব্যস্ত জীবনে অনেকেই নিয়মিত শাক খান না। ওয়ান পট মিল অর্থাৎ, একরকম খাবারেই পেট ভরিয়ে ফেলেন। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপত্তি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শাক হলো ভিটমিন কে-র সবচেয়ে বড় উৎস। যে কোনও রকম শাক থেকে সহজেই ভিটামিন কে পাওয়া যায়। বিশেষত পালং শাক, মেথির শাকের মতো সবুজ পাতা শরীরে ভিটমিন কে জোগান সহজ করে।

    ব্রকোলি ভিটামিন কে জোগান দেবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রকোলি হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রকোলি ভিটামিন কে সমৃদ্ধ একটি খাবার। নিয়মিত ব্রকোলি খেলে শরীর সহজেই ভিটামিন কে (Vitamin K) পাবে। ব্রকোলি রোস্ট কিংবা তরকারি হিসাবে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সব্জি নিয়মিত খেলে হাড়ের রোগের (Bone Decay) ঝুঁকি কমবে।

    রোজ একটি ডিম খেলে কমবে সমস্যা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন কে-র অন্যতম উৎস ডিম। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। তাই নিয়মিত একটি ডিম খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম, প্রোটিনের পাশপাশি ভিটামিন কে-র জোগান ঠিকমতো হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের নিয়মিত একটি ডিম খাওয়ানো জরুরি। ডিমে‌র পুষ্টিগুণ প্রচুর। একাধিক ভিটামিনের চাহিদাও ডিম সহজেই পূরণ করে। তাই ডিম নিয়মিত খেলে শিশুদের ও হাড়ের রোগের (Bone Decay) ঝুঁকি কমবে।

    কিউই জাতীয় ফল!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিউই জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে (Vitamin K) থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন কিউই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফল থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন কে পাবে। ফলে হাড়ের রোগের ঝুঁকিও কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Rath Yatra 2025: পুরীর রথযাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল জানেন?

    Rath Yatra 2025: পুরীর রথযাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার ২৭ জুন পবিত্র রথযাত্রা। হিন্দু ধর্মের অন্যান্য উৎসবের মতোই রথযাত্রাও এক জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Rath Yatra 2025)। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়। ওড়িশার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত। তবে শুধু ভারতবর্ষে নয়, ডাবলিন মস্কো এবং নিউ ইয়র্ককেও রথযাত্রার পালিত হয়।

    ‘রথ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ যুদ্ধযান বা চাকাযুক্ত ঘোড়ায় টানা হালকা যাত্রীবাহী গাড়ি হলেও, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে রথ শব্দের অর্থ কিন্তু ভিন্ন। ভক্তদের মতে, রথ একটি কাঠের তৈরি যান, যার উপরে ভগবান জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরাম বসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করেন। ভগবানের এই রথ আরোহণই ‘রথযাত্রা’ (Rath Yatra 2025) নামে পরিচিত। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এবং কবে থেকে রথযাত্রার আবির্ভাব হল।

    রথযাত্রার পৌরাণিক ইতিহাস (Rath Yatra 2025)

    রথ যাত্রার এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। আর জগন্নাথ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ অনুযায়ী, এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল সম্ভবত দ্বাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে। তখন ওড়িশা মালবদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তি নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রারও স্বপ্নাদেশ পান।

    লোকমুখে শোনা যায়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পান যে পুরীর (Puri) সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী মূর্তি নির্মাণের জন্য যখন রাজা উপযুক্ত শিল্পীর সন্ধান করছিলেন, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন। তিনি জানান তিনিই এই মূর্তিটি তৈরী করবেন এবং রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন, পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ বলেন এই মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেয়।

    দরজার আড়ালে শুরু হয় কাঠের মূর্তি নির্মাণ। রাজা-রানীসহ সকলেই এই মূর্তি নির্মাণকাজের ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। রানি প্রতিদিন বন্ধ দরজার বাইরে থেকে কান পেতে আওয়াজ শুনতো। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই আওয়াজ একদিন বন্ধ হয়ে যায়। রানী কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে রাজাকে জানাতেই ইন্দ্রদ্যুম্ন দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং শিল্পী উধাও। এই রহস্যময় শিল্পী ছিলেন বিশ্বকর্মা।

    তিনটি অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখে অর্থাৎ হাত ও পা নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন। কাজে বাধাদানের জন্য রাজা অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন তাঁকে স্বপ্ন দিয়ে জগন্নাথ বললেন যে, এরকম আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি এই রূপেই পূজিত হতে চান। এভাবেই আবির্ভাব ঘটে জগন্নাথ দেবের এবং সেই থেকেই শুরু তাঁর পুজো (Rath Yatra 2025)। পরবর্তীকালে রাজা পুরীর (Puri) এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।

    রথের বিশেষত্ব

    পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। এই তিনটি রথের উচ্চতা এবং রঙও আলাদা হয়। জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা থাকে, বলরামের রথে থাকে ১৬টি চাকা। জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা।

    বর্তমানে এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত এবং সারা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এক আনন্দের অনুষ্ঠান। ভক্তদের সমাগমে ছেয়ে যায় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রীক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য।

  • Rath Yatra 2025: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ, রাজকীয় পদগুলি কী কী জানেন?

    Rath Yatra 2025: রথযাত্রায় জগন্নাথদেবকে অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ, রাজকীয় পদগুলি কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রথের দিনগুলিতে (Rath Yatra 2025) পুরীতে তুমুল আয়োজন পুরীর জগন্নাথধামে। রথযাত্রার একাধিক উপাচারের অন্যতম আকর্ষণ হল জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগ (Puri Chappanna Bhog) নিবেদন। ৫৬ ভোগের রাজকীয় সেই খাবারের পদগুলি থেকে নিয়ম সবক্ষেত্রেই পাওয়া যায় পুরাণকথার একাধিক আঙ্গিক। কিন্ত কেন দেওয়া হয় এই বিশেষ ভোগ?

    ৫৬ ভোগ নিয়ে কী বলছে পুরাণ? (Puri Chappanna Bhog)

    পুরাণ মতে, যশোদা বালক কৃষ্ণকে আট প্রহর খেতে দিতেন। কিন্তু, একটা সময় ইন্দ্রের রোষে পড়ে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় প্রাণীদের রক্ষা করতে নিজের কনিষ্ঠ আঙুলে গোবর্ধন পাহাড় তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সাতদিন ওইভাবেই তিনি ছিলেন। খাবার ও জল কোনও কিছুই মুখে দেননি। প্রলয় বন্ধ হওয়ার পর সেই পাহাড় নামিয়ে রেখেছিলেন। এদিকে যে ছেলে দিনে আটবার খাবার খেত তাকে টানা সাতদিন অনাহারে থাকতে দেখে কেঁদে উঠেছিল যশোদার মন। তখন ব্রজবাসী-সহ যশোদা সাতদিন ও আট প্রহরের হিসেবে কৃষ্ণের জন্য ৫৬টি পদ পরিবেশন করেছিলেন। আর সেই থেকেই নারায়ণের ছাপ্পান্ন ভোগ (Puri Chappanna Bhog) চলে আসছে।

    মর্ত্যে এসে চার ধাম যাত্রা করেন ভগবান বিষ্ণু (Rath Yatra 2025)

    এও কথিত আছে, ভগবান বিষ্ণু মর্ত্যলোকে এসে তাঁর চার ধামে যাত্রা করেন। এই চার ধাম হল- বদ্রীনাথ ধাম, দ্বারিকা ধাম, পুরী ধাম এবং রামেশ্বরম। প্রথমে হিমালয়ের শিখরে অবস্থিত বদ্রীনাথ ধামে স্নান করেন, তারপর গুজরাটের দ্বারিকা ধামে গিয়ে বস্ত্র পরিধান করেন, ওড়িশার পুরী ধামে ভোজন করেন আর সবশেষে রামেশ্বরমে গিয়ে বিশ্রাম নেন। আর পুরী ধামে যেখানে তিনি ভোজন করেন সেখানে ভোগের কোনও চমক থাকবে না (Rath Yatra 2025) এটা কখনও হয়। পুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত করা হয় জগন্নাথদেবকে। জগন্নাথের মধ্যে বিষ্ণুর সকল অবতারের চিহ্ন আছে। আর সেই কারণে তাঁকেও অর্পণ করা হয় ছাপান্ন ভোগ।

    কী কী পদ থাকে এই ছাপ্পান্ন ভোগে?

    জগন্নাথকে দেওয়া ৫৬ ভোগে (Puri Chappanna Bhog) রাখা হয়— ১) উকখুড়া অর্থাৎ মুড়ি, ২) নাড়িয়া কোড়া অর্থাৎ নারকেল নাড়ু, ৩) খুয়া অর্থাৎ খোয়া ক্ষীর, ৪) দই, ৫) পাচিলা কদলি অর্থাৎ পাকা কলা, ৬) কণিকা অর্থাৎ সুগন্ধী ভাত, ৭) টাটা খিচুড়ি অর্থাৎ শুকনো খিচুড়ি, ৮) মেন্ধা মুণ্ডিয়া অর্থাৎ বিশেষ ধরণের কেক, ৯) বড়া কান্তি অর্থাৎ বড় কেক, ১০) মাথা পুলি অর্থাৎ পুলি পিঠে, ১১) হামসা কেলি অর্থাৎ মিষ্টি কেক, ১২) ঝিলি অর্থাৎ এক ধরণের প্যান কেক, ১৩) এন্ডুরি অর্থাৎ নারকেল দিয়ে তৈরি কেক, ১৪) আদাপচেদি অর্থাৎ আদা দিয়ে তৈরি চাটনি, ১৫) শাক ভাজা, ১৬) মরিচ লাড্ডু অর্থাৎ লঙ্কার লাড্ডু, ১৭) করলা ভাজা, ১৮) ছোট্ট পিঠে, ১৯) বরা অর্থাৎ দুধ তৈরি মিষ্টি, ২০) আরিশা অর্থাৎ ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ২১) বুন্দিয়া অর্থাৎ বোঁদে, ২২) পাখাল অর্থাৎ পান্তা ভাত, ২৩) খিরি অর্থাৎ পায়েস, ২৪) কাদামবা অর্থাৎ বিশেষ মিষ্টি ২৫) পাত মনোহার মিষ্টি ২৬) তাকুয়া মিষ্টি, ২৭) ভাগ পিঠে, ২৮) গোটাই অর্থাৎ নিমকি, ২৯) দলমা অর্থাৎ ভাত ও সবজি, ৩০) কাকারা মিষ্টি ৷ ৩১) লুনি খুরুমা অর্থাৎ নোনতা বিস্কুট, ৩২) আমালু অর্থাৎ মিষ্টি লুচি, ৩৩) বিড়ি পিঠে, ৩৪) চাড়াই নাডা মিষ্টি, ৩৫) খাস্তা পুরি, ৩৬) কদলি বরা, ৩৭) মাধু রুচি অর্থাৎ মিষ্টি চাটনি, ৩৮) সানা আরিশা অর্থাৎ রাইস কেক, ৩৯) পদ্ম পিঠে, ৪০) পিঠে, ৪১) কানজি অর্থাৎ চাল দিয়ে বিশেষ মিষ্টি. ৪২) দাহি পাখাল অর্থাৎ দই ভাত, ৪৩) বড় আরিশা, ৪৪) ত্রিপুরি, ৪৫) সাকারা অর্থাৎ সুগার ক্যান্ডি, ৪৬) সুজি ক্ষীর, ৪৭) মুগা সিজা, ৪৮) মনোহরা মিষ্টি, ৪৯) মাগাজা লাড্ডু, ৫০) পানা, ৫১) অন্ন, ৫২) ঘি ভাত, ৫৩) ডাল, ৫৪) বেসর অর্থাৎ সবজি বিশেষ, ৫৫) মাহুর অর্থাৎ লাবরা, ৫৬) সাগা নাড়িয়া অর্থাৎ নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত।

  • Daily Horoscope 27 June 2025: সামাজিক সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 June 2025: সামাজিক সম্মান বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনে ধনবৃদ্ধি হবে।

    ২) কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের তরফে সুসংবাদ শুনতে পাবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি প্রাণশক্তিতে ভরপুর থাকবে।

    ২) মান-সম্মান বাড়বে।

    ৩) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

    মিথুন

    ১) আজ মিশ্র পরিণাম লাভ করবেন।

    ২) সহযোগিতার মনোভব বাড়বে।

    ৩) কোনও বিষয়ে বয়স্কদের পরামর্শ নিন।

    কর্কট

    ১) আর্থির সুযোগের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারেন, এর ফলে বড়সড় সিদ্ধান্ত হাতছাড়া হবে।

    ২) পরিবারের সকল সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    ৩) ব্যবসায়িক কাজের জন্য অন্য কোনও ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল থাকবেন, যার ফলে তা পূরণ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি উন্নতিদায়ক।

    ২) ব্যবসায়িক প্রস্তাব নিয়ে বহিরাগত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তাঁরা আপনার কথা বুঝতে পারবেন।

    ৩) চাকরিজীবীরা একই ভুল বার বার করবেন না।

    কন্যা

    ১) আজ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    ২) চিন্তাভাবনা না-করেই যে কোনও কাজ করে ফেলবেন, এ কারণে পড়ে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।

    ৩) সামাজিক সম্মান বাড়বে।

    তুলা

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্য ব্যবসা শুরু করতে পারে।

    ৩) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে লাভান্বিত হবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে মাধুর্য আসবে।

    ২) কোনও সমস্যার বিষয়ে বন্ধু বা আত্মীয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

    ৩) অংশীদারীর কাজের দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ধনু

    ১)  চাকরিজীবী জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) ইতিবাচক চিন্তাভাবনার সুফল পাবেন।

    ৩) কেরিয়ারে ভালো প্রস্তাব পেতে পারেন।

    মকর

    ১) কর্মক্ষেত্রে ভালো প্রদর্শন করবেন।

    ২) ব্যবসায়ে নতুন কিছু অন্তর্ভূক্ত করবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) আজ ধৈর্য ধরে রাখুন।

    ২) বাড়ি বা বাইরে তাড়াহুড়োয় কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।

    ৩) সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদে জয়ী হবেন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি শুভ পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২)  ব্যবসায়ে কারও সাহায্য চাইলে তা সহজে পেয়ে যাবেন।

    ৩) ভাই-বোনের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share