Blog

  • Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    Anemia in Bengal: মহিলাদের রক্তাল্পতা তালিকায় শীর্ষে মমতার বাংলা! রাজ্যে কেন বাড়ছে অ্যানিমিয়া?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশজুড়ে বাড়ছে অ্যানিমিয়া। রক্তাল্পতা সমস্যায় শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ (Anemia in Bengal)। রক্তে প্রয়োজনের তুলনায় আয়রনের ঘাটতি থেকেই এই রোগ। যা সুস্থ জীবন যাপন ব্যহত করে। পাশপাশি, নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। মহিলা ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের এই ঘাটতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রক্তে আয়রনের ঘাটতির সমস্যা বাড়ছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারি।

    কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে অ্যানিমিয়া আক্রান্ত বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ওই রিপোর্টে অনুযায়ী, ৬৭ শতাংশ শিশু এবং ৫৯ শতাংশ কিশোরী অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছে। দেশের প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে তিনজন রক্তাল্পতা সমস্যায় ভুগছেন। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুক্তভোগীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Tops Anemia List)। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রাজ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মহিলা অ্যানিমিয়ার শিকার। রাজ্যের অধিকাংশ মহিলার এই রক্তাল্পতার সমস্যা অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সঙ্কট বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    রাজ্যে কেন রক্তাল্পতার (Anemia in Bengal) সমস্যা বাড়ছে? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে মূলত তিনটে কারণে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা বাড়ছে।

    পুষ্টি সম্পর্কে অসচেতনতা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টি সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের অসচেতনতা এ রাজ্যের মহিলাদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ। অ্যানিমিয়ার সবচেয়ে বড় কারণ পুষ্টিকর খাবারের অভাব। বহুক্ষেত্রে মহিলারা নিয়মিত প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। তাই এ রাজ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশপাশি অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল এমনকি ধনী পরিবারের মহিলাদেরও অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলার নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হয় না। আর এই কারণেই রক্তাল্পতা (Anemia in Bengal) বাড়ছে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমিণে আয়রন যুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় থাকছে না। এ রাজ্যের অধিকাংশ শহুরে কিশোরীর নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় মাছ, ডাল, কাঁচকলা, মোচা জাতীয় খাবার থাকে না। এগুলো থেকে শরীর সহজেই আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু নিয়মিত অনেকেই এই ধরনের খাবার খায় না। বরং এমন অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছে, যেগুলোর কোনও পুষ্টিগুণ নেই। ফলে ওজন বাড়ছে এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    বায়ুদূষণ!

    পশ্চিমবঙ্গ গত কয়েক বছরে বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি বাড়ার অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ (Anemia in Bengal)। তাঁরা জানাচ্ছেন, বায়ু দূষণ শুধু ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায় না। শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। নানান দূষিত কণা শরীরে পৌঁছে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রন নষ্ট করে। এর ফলেও রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ রাজ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাল্পতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মহিলাদের বিশেষত বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরি। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শৌচালয়, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি। এগুলো না হলে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি শারীরিক বিকাশ ও ঠিকমতো হয় না। এর ফলেও অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Anemia in Bengal)।

    রক্তাল্পতা কেন উদ্বেগজনক?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের আয়রনের ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমিয়ে দেয়। তাই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে নানান কারণে প্রতি বছর ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট বাড়ছে। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধির দিকে বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। কিন্তু এ রাজ্যে যে হারে অ্যানিমিয়ার দাপট বাড়ছে, তাতে সুস্থ জীবন যাপন আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমলে যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ ছাড়া মহিলাদের অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) আক্রান্ত হওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় আরও জটিলতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সুস্থ সন্তানের জন্মদান করার জন্য মায়ের সুস্থ থাকা সবচেয়ে জরুরি। মায়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে সন্তানের শরীরে তার প্রভাব পড়বে। তাছাড়া মায়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়বে। মায়ের জীবনের ঝুঁকিও বাড়বে। ফলে গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও তৈরি হবে। তাই অ্যানিমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে এই সমস্যা মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অ্যানিমিয়া (Anemia in Bengal) রুখতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডাল খাওয়া জরুরি। মুসুর, মুগ কিংবা ছোলার ডাল, যেকোনও রকমের ডাল শরীরের জন্য উপকারি। পাশপাশি মাছ নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ থেকে শরীর সহজেই আয়রন পায়। তাই নিয়মিত মাছ খেলে আয়রনের জোগান সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও, কলা, আপেল, বেদানার মতো ফল সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ফলগুলো আয়রনে ভরপুর। নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রক্তাল্পতার সমস্যা কমবে (Bengal Tops Anemia List)‌। ডুমুর, থোড়, মোচার মতো সব্জি সপ্তাহে অন্তত একবার কিংবা দু’বার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই অ্যানিমিয় মোকাবিলায় সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    Rain Forecast: সপ্তাহজুড়েই রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ জুড়ে‌ই রাজ্যে হবে ঝড়-বৃষ্টি, এমন সম্ভাবনার কথা জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Rain Forecast)। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তাল থাকতে পারে সমুদ্র। এই আবহে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (West Bengal)।

    মঙ্গল ও বুধবারে ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে (Rain Forecast)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি মঙ্গল, বুধবারেও ঝড়-বৃষ্টির জন্য দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্তই চলবে এমন ঝড়-বৃষ্টি। অন্যদিকে, এই আবহাওয়ায় তাপমাত্রার পারদও কিছুটা কমছে। কলকাতায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ২৬ ডিগ্রি।

    উত্তরবঙ্গে সোমবার ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আটটি জেলাতেও সোমবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে ঝড়ের পূর্বাভাসও দিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা সময় আগে, এই ২৯ মে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল বর্ষা (West Bengal)। তারপর থেকে টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার (Rain Forecast) প্রবেশ ১৭ জুন ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে মাঝেমাঝে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা শক্তি বাড়িয়ে পরে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর জেরে এই বর্ষা আরও চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু বৃষ্টিপাত হলেও ভরসা গরম বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা।

  • Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি পালিত হতে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ জুনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করার জন্য সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। নিজেদের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেছে (Constitution Murder Day)। এই কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে মশাল মিছিল, বিভিন্ন প্রদর্শনী, স্কুল ও কলেজে গণপ্রচার প্রভৃতি রয়েছে।

    এক বছর ধরে চলবে এই কর্মসূচি

    একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সাংবিধানিক নীতির প্রতিফলন ঘটাবে। প্রসঙ্গত, ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ (Constitution Murder Day) উপলক্ষে এই কর্মসূচি এক বছর ধরে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

    ২০২৬ সালের মার্চে মশাল যাত্রার সমাপ্তি, হাজির থাকবেন মোদি

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গৃহীত (National Emergency) এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের ২৫ জুন এবং চলবে ২০২৬ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত। এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হবে মশাল যাত্রা বা টর্চ মার্চ। ২০২৫ সালের ২৫ জুন দিল্লি থেকে গণতন্ত্রের চেতনার প্রতীক হিসেবে ছয়টি মশাল নিয়ে যাত্রা শুরু হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ২০২৬ সালের ২১ মার্চ দিল্লির কর্তব্যপথে এই যাত্রার সমাপ্তি হবে (Constitution Murder Day) বলে জানা গিয়েছে।

    কর্মসূচি সফলে বেশ কিছু স্লোগানও বানিয়েছে সরকার

    এছাড়াও কর্মসূচির আওতায় আরও রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান (National Emergency)। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচিকে সফল করতে কেন্দ্রীয় সরকার নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে এবং কেন্দ্রশাসিত ও অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ের কথাও বলা হয়েছে। এই উপলক্ষে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি স্লোগান নির্ধারণ করেছে। এই স্লোগানগুলির মাধ্যমে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হবে। নির্ধারিত স্লোগানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ‘গণতন্ত্রের জননী ভারত’, ‘গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক’, ‘গণতন্ত্রের চেতনায় সেঙ্গলকে জানাই প্রণাম’।

  • India Oil Price: হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, বাড়বে তেলের দাম! ‘ভারতে প্রভাব পড়বে না’, ফের জানাল কেন্দ্র

    India Oil Price: হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, বাড়বে তেলের দাম! ‘ভারতে প্রভাব পড়বে না’, ফের জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বকে শিক্ষা দিতে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ইরান। বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের (India Oil Price) ২৫ শতাংশেরও বেশি এই সমুদ্রপথ দিয়ে পরিবাহিত হয়। তাই ইরান এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সরবরাহের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে চিন্তা নেই ভারতের। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, ভারত তার তেলের উৎস বহুমুখীকরণ করেছে। ভারতে তেলের সরবরাহ এখন পুরোপুরি হরমুজ প্রণালী নির্ভরশীল নয়।

    হরমুজ প্রণালীর ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব

    হরমুজ প্রণালী ওমান ও ইরানের মাঝখানে অবস্থিত। এটি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলিকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করে। এই প্রণালীটি প্রায় ৩০ মাইল চওড়া এবং সম্পূর্ণভাবে ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। দক্ষিণাংশটি ওমানের অধীনে। ফলে এটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া সহজ নয়। ইরানের সংসদে পাশ হয়েছে হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্ত। এখন এই সরু প্রণালী দিয়ে যাতায়াত বন্ধ কেবল সময়ের অপেক্ষা। সরু জলপথ হলেও এর গুরুত্ব অনেক। বিশ্বের প্রায় ৩০ শতাংশ তেল সরবরাহই হয় এই প্রণালী পথ ধরে।

    হু হু করে বাড়বে তেলের দাম

    ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধে ঢুকে পড়ছে আমেরিকা। রাতের অন্ধকারে ইরানের তিনটি পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। আর এরপরই রবিবার ইরানের সংসদ যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন করে। যদিও এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়—এটি কার্যকর হতে গেলে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু আপাতত ইরানের এই সিদ্ধান্তে গোটা বিশ্বেই কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সকলেরই আশঙ্কা একটাই, এবার বিশ্বজুড়ে তেলের সঙ্কট দেখা যাবে। হু হু করে বাড়বে তেলের দাম।

    ভারতের কি অবস্থা

    ইরানের হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দেওয়ার পর থেকেই ভারত তেলের দাম ওঠানামার উপরে বিশেষ নজর রাখছে। রবিবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই মধ্য প্রাচ্যের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিজির নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে আমরা তেলের আমদানি আরও বিভাজিত করেছি। বর্তমানে আমদানি করা তেলের একটা বড় অংশই হরমুজ প্রণালী থেকে আসে না।” এই সংঘাতের জেরে কি ভারতেও তেলের দাম বাড়বে? এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আমাদের ওয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলির কাছে বেশ কয়েক সপ্তাহের জ্বালানি মজুত রয়েছে। একাধিক অন্য রুট থেকেও তেল ও শক্তি সরবরাহ হচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষ জ্বালানি পান, তার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করব।”

    বেশিদিন হরমুজ প্রণালী বন্ধ সম্ভব নয়

    বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালী সামরিকভাবে বন্ধ করার চেষ্টা করলে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে ইরানকে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ফিফথ ফ্লিট বাহরিনে মোতায়েন রয়েছে। এই অঞ্চলে তাদের স্থায়ী উপস্থিতি রয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তিও এই জলপথে নিয়মিত নজরদারি চালায়। তবে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ইরান এক সপ্তাহের জন্যও হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়, তবে তার অভিঘাত গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেবে। ইতিমধ্যেই মার্কিন হামলার পরই আন্তর্জাতিক বাজারে চড়তে শুরু করেছে অশোধিত তেলের দাম। একদিকে যখন ব্রেন্ট ব্যারেল প্রতি ৭৭ ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে, তেমনই মার্কিন ডব্লুটিআই পৌঁছেছে ৭৪.০৪ ডলারে। হরমুজ প্রণালী বন্ধের পর তেলের দাম ৪০০ ডলার প্রতি ব্যারেল ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক

    বিশ্বে সবথেকে বেশি পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করে ভারত— প্রতিদিন ৫১ লক্ষ ব্যারেল। নজর করার মতো বিষয় হল, জুন মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে রাশিয়ার থেকে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছে। ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ব্যারেল থেকে বেড়ে অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ ব্যারেলে। আমদানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দেশ আমেরিকা। আগে প্রতিদিন ২ লক্ষ ৮০ হাজার ব্যারেল মার্কিন ডব্লুটিআই তেল আমদানি করত ভারত। জুন মাসে সেটাই দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ব্যারেলে। এটা অবশ্যই নয়াদিল্লির একটা কূটনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক। কেন? যে দেশগুলির থেকে ভারত তেল আমদানি করে, তাদের মধ্যে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে আসে ইরাক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। হরমুজ প্রণালী বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থেকে প্রথমেই রাশিয়া এবং আমেরিকার থেকে আমদানির বহর বাড়িয়ে নিয়েছিল নয়াদিল্লি। কারণ, এই দু’টি দেশকেই ভারতীয় উপমহাদেশে তেল সরবরাহের সময় হরমুজ প্রণালী ব্যবহার করতে হয় না। বরং তারা ইয়েমেন ও আফ্রিকার জিবুতি সংলগ্ন বাব-আল-মান্দেব প্রণালী ব্যবহার করে আরব সাগরের রুট নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে হরমুজ বন্ধ হলে প্রথম ধাক্কা নয়াদিল্লি খাবে না।

  • Syama Prasad Mookerjee: স্বাধীন ভারতের প্রথম ব্যক্তি শ্যামাপ্রসাদ যিনি দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় করেন জীবন উৎসর্গ

    Syama Prasad Mookerjee: স্বাধীন ভারতের প্রথম ব্যক্তি শ্যামাপ্রসাদ যিনি দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় করেন জীবন উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন জম্মু-কাশ্মীরে জেলবন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্য়ু হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mookerjee)। দেশজুড়ে এই দিনটি বিজেপি পালন করে বলিদান দিবস হিসেবে। চলতি বছরে তাঁর ৭৩তম প্রয়াণ দিবস। এই প্রতিবেদনে আমরা জানব শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও আন্দোলন সম্পর্কে।

    জন্ম ১৯০১ সালের ৬ জুলাই (Syama Prasad Mookerjee)

    বিজেপির পূর্বতন ভারতীয় জনসংঘ গঠন, পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানে যেতে না দেওয়া, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের দাবিতে আন্দোলন-এই সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বাঙালি নাম। তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯০১ সালের ৬ জুলাই। ‘বাংলার বাঘ’ বলে খ্যাত আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ও যোগমায়াদেবীর পুত্র একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ, অন্যদিকে একজন জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর জন্মস্থান কলকাতার ৭৭ রসা রোডে (বর্তমানে আশুতোষ মুখার্জি রোড)।

    শিক্ষাজীবন ও বিবাহ (Syama Prasad Mookerjee)

    – ১৯০৬ সালের ২৩ জুলাই কলকাতার ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।

    – ১৯১৭ সালে মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় মেধা বৃত্তি (১০ টাকা প্রতি মাসে) সহ উত্তীর্ণ হন।

    – ১৯১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আর্টসে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

    – ১৯২১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন, ইংরেজি অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

    – ১৯২২ সালের ১৬ এপ্রিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ডাঃ বেণীমাধব চক্রবর্তীর কন্যা সুধাদেবীর সঙ্গে।

    – ১৯২৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।

    মাত্র ২৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো

    ১৯২৪ সালের ২৫ মে বিহারের পাটনায় স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই ঘটনা গভীর রেখাপাত করে যুবক শ্যামাপ্রসাদের মনে। তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, পিতার মৃত্যুতে তাঁর জীবন থেকে সমস্ত আনন্দ উধাও হয়ে যায়। এরপরেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মাত্র ২৩ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালে আইন পড়তে তিনি ইংল্যান্ড যান। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্মেলনে ওই বছরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। কলকাতায় ফিরে আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে যোগদান করেন। তবে হাইকোর্টের কর্মজীবনকে তিনি খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। ১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। ১৯৩৩ সালে তাঁর জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে, প্রয়াত হন স্ত্রী সুধাদেবী।

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ

    ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এই সময়ে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। নতুন কোর্স হিসেবে এগ্রিকালচারের ওপর ডিপ্লোমা তিনিই চালু করেন। চিনা ও তিব্বতীয় ভাষাশিক্ষার ওপরে কোর্স চালু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর আমলে নতুনভাবে তৈরি হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি হল। তিনি উপাচার্য থাকাকালীন প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতেন। ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি প্রথমবারের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমন্ত্রণ জানান বক্তব্য রাখতে।

    হিন্দু মহাসভায় যোগদান

    ১৯৩৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ওই বছরেই হিন্দু মহাসভায় যোগদান করেন তিনি। ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডি-লিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৩৯ সালে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের সভাপতিত্বে কলকাতায় বসে হিন্দু মহাসভার অধিবেশন। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mookerjee)। ১৯৪০ সালে তিনি হিন্দু মহাসভার কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন।

    শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা

    ১৯৪১ সালে সাম্প্রদায়িক মুসলিম লিগকে বাংলার ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য হিন্দু মহাসভার সঙ্গে জোট হয় ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির। এই জোট জনপ্রিয় ছিল শ্যামা-হক মন্ত্রিসভা নামে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ওই মন্ত্রিসভায় অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন।

    দাঙ্গা বিধ্বস্ত বাংলায় উদ্বাস্তুদের পাশে

    ১৯৪৪ সালে মধ্যপ্রদেশের বিলাসপুরে বসে হিন্দু মহাসভার সর্বভারতীয় অধিবেশন। ওই অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সে বছর থেকেই চালু করেন ‘ন্যাশনালিস্ট’ পত্রিকা। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’ এবং নোয়াখালি দাঙ্গা করে মুসলিম লিগ। সে সময় আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে থাকা, উদ্বাস্তুদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, সবটাই তিনি নিজে হাতে করেছিলেন। সে সময় তিনি তৈরি করেছিলেন হিন্দুস্থান ন্যাশনাল গার্ড।

    পশ্চিমবঙ্গ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা

    ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় এক ভোটাভুটির মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় পশ্চিমবঙ্গ। বাঙালি হিন্দু পায় তার নিজস্ব বাসভূমি। মুসলিম লিগের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকে এই দিনটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ‘প্রতিষ্ঠা দিবস’। হিন্দু সংখ্যাগুরু পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রতিনিধিদের ৫৮-২১ ভোটে বাংলা ভাগ করার পক্ষে রায় যায়। পৃথক হয় পশ্চিমবঙ্গ। সরকার ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণাও করে।

    স্বাধীন ভারতের প্রথম শিল্পমন্ত্রী

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নেহরুর মন্ত্রিসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় শিল্পমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীনের পর হিন্দু মহাসভাকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজে আত্মনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। ভারতের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন শিল্প উন্নয়ন নিগম, প্রথম শিল্পনীতি প্রণয়ন, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ স্থাপন, সিন্ধ্রি সার কারখানা-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। খড়্গপুরে ভারতের প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি স্থাপনা, কলকাতার প্রথম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্থাপনার ভাবনা ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়ে চলে। হত্যা, লুন্ঠন, নারীর সম্ভ্রমহানি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৫০ সালের ১৪ এপ্রিল নেহরু মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হয়েও এর প্রতিবাদে লোকসভায় গর্জে ওঠেন ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং পদত্যাগ করেন।

    ভারতীয় জনসংঘ গঠন

    দেশভাগের পরবর্তীকালে হিন্দু শরণার্থীদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের বন্দোবস্ত তিনিই করেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে। একমাত্র জাতীয়তাবাদী সাংসদ হিসেবে তিনিই আইনসভায় হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হতেন। এমন সময় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল স্থাপনের উদ্দেশ্যে গুরুজি গোলওয়ালকারের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। রাজনীতি ক্ষেত্রে গুরুজি কয়েকজন স্বয়ংসেবককে পাঠান, তাঁরা হলেন, দীনদয়াল উপাধ্যায়, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, জগদীশ মাথুর, সুন্দর সিং ভাণ্ডারি প্রমুখ। ১৯৫১ সালের ২১ অক্টোবর দিল্লির রাঘোমাল গার্লস স্কুলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয় জনসংঘ। তিনিই ছিলেন প্রথম সভাপতি। প্রতীক ছিল প্রদীপ। দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জনসঙ্ঘ তিনটি আসন পায়। যার মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা থেকে জেতেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় নিজে।

    জেলবন্দি অবস্থায় রহস্যজনক মৃত্যু

    দেশের প্রধান বিরোধী কণ্ঠস্বর তখন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mookerjee Martyrdom Day)। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার বিলোপের জন্য তিনি আন্দোলন শুরু করেন। দাবি ছিল ‘এক প্রধান-এক নিশান-এক বিধান’। কারণ কাশ্মীরের জন্য ছিল তখন আলাদা পতাকা। কাশ্মীরে চালু ছিল না ভারতের সংবিধানও। বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল ৩৭০ ধারার মাধ্যমে। এই ধারা কার্যত কাশ্মীরকে পৃথক করে রেখেছিল ভারত থেকে। কাশ্মীরে প্রবেশ করতে ভারতীয়দের লাগত অনুমতিও। এর প্রতিবাদ করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। বিনা পারমিটে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে গেলে ফারুক আবদুল্লার সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে ১৯৫৩ সালের ১১ মে।জম্মু ও কাশ্মীরে জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু (Syama Prasad Mookerjee Martyrdom Day) হয় ১৯৫৩ সালের ২৩ জুন।

  • Ramakrishna 388: প্রেম ভক্তি বস্তু আর সব অবস্তু

    Ramakrishna 388: প্রেম ভক্তি বস্তু আর সব অবস্তু

    এই সংসার মজার কুটি আমি খাই দাই আর মজা লুটি জনক রাজা মহাতেজা তার কিসে ছিল ত্রুটি! সে যে এদিক-ওদিক দুদিক রেখেছিল দুধের বাটি

    কি ভয়! তাঁকে ধর। কাঁটাবন হলেই বা। জুতো পায়ে দিয়ে কাঁটাবনে চলে যাও। কিসের ভয় যে বুড়ি ছোঁয়, সে কি আর চোর হয়।

    জনক রাজা দুখানা তলোয়ার ঘোরাত (Ramakrishna)। একখানা জ্ঞানের, একখানা কর্মের। পাকা খেলোয়াড়ের কিছু ভয় নাই। এরুপ ঈশ্বরীয় কথা চলিতেছে। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসে আছেন। খাটের পাশে মাস্টার বসে আছেন।

    এইরুপ ঈশ্বরীয় কথা চলিতেছে। ঠাকুর ছোটখাটটিতে বসিয়া আছেন। খাটের পাশে মাস্টার বসিয়া আছেন।

    ঠাকুর (মাস্টারকে)- ও যা বললে তাইতো টেনে রেখেছে।

    ঠাকুর মহিমাচরণের কথা বলিতেছেন ও তাহার কথিত ব্রহ্ম জ্ঞান বিষয়ক শ্লোকের কথা। অন্যান্য ভক্তেরা আবার গাহিতেছেন। এবার ঠাকুর যোগদান করিলেন আর ভাবে মগ্ন হইয়া সংকীর্তন মধ্যে নৃত্য করিতে লাগিলেন।

    কীর্তনান্তে ঠাকুর বলিতেছেন এই কাজ হল আর সব মিথ্যা প্রেম ভক্তি বস্তু আর সব অবস্তু।

    চতুর্থপরিচ্ছেদ ১৮৮৫, ১ মার্চ

    দোলযাত্রা দিবসে শ্রীরামকৃষ্ণ গুহ্য কথা

    বৈকাল হইয়াছে। ঠাকুর পঞ্চবটিতে গিয়েছেন। মাস্টারকে বিনোদের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছেন। বিনোদ মাস্টারের স্কুলে পড়িতেন। বিনোদের ঈশ্বর চিন্তা করে মাঝে মাঝে ভাবাবস্থা হয়। তাই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে ভালবাসেন। এইবার ঠাকুর মাস্টারের সহিত কথা কহিতে কহিতে ঘরে ফিরতেছেন। বকুলতলায় ঘাটের কাছে আসিয়া বসিলেন, আচ্ছা এই যে কেউ কেউ অবতার বলছে তোমার কি বোধ হয়?

    কথা কহিতে কহিতে ঘরে আসিয়া পড়িলেন। চটি জুতা খুলিয়া ছোট খাটটিতে বসলেন। খাটের পূর্ব দিকের পাশে একখানে পাপোশ আছে। মাস্টার তাহার উপর বসিয়া কথা কহিতেছেন। ঠাকুর ওই কথা আবার জিজ্ঞাসা করিতেছেন। অন্যান্য ভক্তরা একটু দূরে বসিয়া আছেন। তারা এ সকল কথা কিছু বুঝিতে পারিতেছেন না।

  • Daily Horoscope 23 June 2025: বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 23 June 2025: বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ২) প্রিয়জনের কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) বন্ধুদের দিক থেকে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

    ২) প্রেমে বিবাদ বাধতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় চাপ বাড়লেও আয় বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বুদ্ধির দোষে কোনও কাজ পণ্ড হতে পারে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় নিজের বুদ্ধিতেই আয় বাড়বে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ২) ব্যবসায় বিবাদ থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ২) কর্মস্থানে সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) কাজের জায়গায় কথার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ২) দূরে ভ্রমণের জন্য বাড়িতে আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ২) সংসারের জন্য অনেক করেও বদনাম হবে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

  • Israel Iran Conflict: যুদ্ধের আবহে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Israel Iran Conflict: যুদ্ধের আবহে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার পরেও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যে শান্তির (Israel Iran Conflict) পক্ষে, নানা সময় তা উঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।

    ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে (Israel Iran Conflict)

    ইউরোপে যখন চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, তখন মধ্য এশিয়ায়ও শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ। এহেন আবহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে মোদি জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ফোনে কথোপকথনে পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্টকে উত্তেজনা প্রশমনের আর্জিও জানিয়েছেন। শনিবার ইরানের অন্তত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। তার পরেই ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব অন্য মাত্রা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ফোন করেন মোদিকে। তখনই শান্তিপ্রতিষ্ঠার বার্তা দেন মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সমাজমাধ্যমের পোস্টে মোদি লেখেন, “বর্তমান (Israel Iran Conflict) পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে সবিস্তার কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনাবৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আরও এক বার আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি দ্রুত ফিরে আসুক।” ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে যোগ দিয়েছে আমেরিকাও। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হামলা অত্যন্ত সফল হয়েছে। ইরানের আকাশসীমা ছেড়ে নিরাপদে বেরিয়েও গিয়েছে আমেরিকার বিমান। এর পরেও যদি ইরান শান্তিস্থাপন না করে, তবে আগামী দিনে আরও ভয়ানক হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, এদিন ইরানের ফরডো, নাতানজ এবং এসফাহানে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।

    মার্কিন হামলার পর ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতানজে হামলার দায় স্বীকার করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বেআইনি কাজের (PM Modi) প্রতিবাদ করে ইরানকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে (Israel Iran Conflict)।

  • Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রবেশের জন্য ইভি জায়ান্ট টেসলা (Tesla) তার রিটেল বিক্রয় কেন্দ্র শুরু করতে দুটি জায়গা নির্বাচন করেছিল – মুম্বই (Mumbai) এবং দিল্লি। তবে শেষমেশ আগামী মাসেই মুম্বইয়ে খুলতে চলেছে ভারতে টেসলার প্রথম শোরুম।

    মাস্ক-মোদি বৈঠক (Tesla)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের। তার পরেই কোম্পানিটি ভারতে চাকরির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া শুরু করে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এবার খুলতে চলেছে ভারতে এই বিশ্বখ্যাত কোম্পানির প্রথম শোরুম। পরে খোলা হবে নয়াদিল্লিতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজার। ভারতে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে এর বিক্রি বাড়াতে পারে। ইউরোপ এবং চিনে অবশ্য বিক্রি কমেছে এই গাড়ির।

    টেসলার দাম কত 

    ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলা ভারতীয় বাজারে রিয়ার হুইল ড্রাইভ কনফিগারেশন-সহ মডেল ওয়াই চালু করবে। জানা গিয়েছে, এই ইভি টেসলার চিনের কারখানা থেকে আমদানি করা হবে। ট্যাক্স ছাড়াই টেসলা মডেল ওয়াইয়ের দাম হতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮.৪৮ লাখ টাকারও বেশি। তবে বাজারে ব্রান্ডের অবস্থান এবং এর মার্জিন বিবেচনা করে চূড়ান্ত দাম পরিবর্তিত হতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গাড়িটি যদি উচ্চ মূল্যের ট্যাগ নিয়ে বাজারে ঢোকে, তাহলে এটি অটোমেকারের বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    জুলাই মাসে মুম্বইতে প্রথম শোরুম খোলার পরে নয়াদিল্লিতে একটি নতুন শোরুম করবে টেসলা। ডিলারশিপগুলি চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ডস থেকে সুপারচার্জার উপাদান, গাড়ির আনুষাঙ্গিক খুচরো যন্ত্রাংশ এবং পণ্য আমদানি করেছে (Tesla)।

    প্রসঙ্গত, আমদানি কর এবং স্থানীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক বছরের বিলম্বের পর এবার ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে টেসলা। চলতি (Mumbai) বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাস্ক-মোদির বৈঠকের পরেই অগ্রগতি ঘটে এই প্রকল্পের (Tesla)।

  • BJP: বিজেপির সংখ্যালঘু নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: বিজেপির সংখ্যালঘু নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার হাত-পা বাঁধা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য হুগলির গোঘাটের শানবাঁধি এলাকায়। মৃতের নাম শেখ বাকিবুল্লা। তিনি গোঘাটে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। শনিবার বাড়ির দোতলার বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ প্রথমে দেখতে পান তাঁর স্ত্রী। খবর (TMC) পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। পুলিশের অনুমান, রাতেই কেউ বাড়িতে ঢুকে হাত-পা বেঁধে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই এই খুন। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও সরব হন স্থানীয়দের একাংশ। খবর পেয়ে এলাকায় যান পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। তিনি বলেন, “বাকিবুল্লা এলাকার জনপ্রিয় সংখ্যালঘু মুখ ছিলেন। তাই এই খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত থাকতে পারে।”

    কী বলছেন মৃতের বাবা (BJP)

    মৃত বিজেপি কর্মীর বাবা শেখ আবদুল্লা বলেন, “আগে বলেছিল এ (বাকিবুল্লা) সিপিএম করে, একে মার। তৃণমূলের ছেলেরা মারল। আমরা ছাড়ালাম। জ্বালা-যন্ত্রণায় বিজেপিতে ঢুকেছিল। তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এল। ভাইপোরা বলল, চল তৃণমূলে ঢুকি। ছোটটা তৃণমূল করে। সেই সূত্রে ও তৃণমূলে ঢুকতে গেল। যোগ দিল বিজয় মিছিলে। সেখানেও আমার ছেলে দুটোকে ওরা মারল। সান্ত্বনা দিয়ে বললাম, ওরা যেটা করেছে, সেটা তোলা থাকবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির (BJP) আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুকান্ত বেরা বলেন, “পূর্বপরিকল্পিত। বিজেপি কর্মী। খুব সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সব সময় মানুষের পাশে থাকতেন। ওঁকে যেভাবে হাতে দড়ি বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার ধিক্কার জানাই। যারা এ কাজ করেছে, আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, তারা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করব।” তিনি বলেন, “আমরা লাশ নিয়ে থানায় যাচ্ছি। ওখান থেকে আমরা ডেপুটেশন দেব। ডেপুটেশনের মাধ্যমে যেসব দুষ্কৃতী আজও এখানে ঘোরাঘুরি করছে, যেভাবে ওঁকে হত্যা করেছে, যদি তার প্রতিবাদ না করা হয়, তাহলে আগামিদিনে এখানে আর থাকা যাবে না। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ জন্য যতদূর যেতে হয়, আমরা যাব।”

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের লজ্জাজনক অবস্থা। তৃণমূলের (TMC) শাসনে বাংলায় কোনও গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। এটি কোনও একক ঘটনা নয়, একটি ধারাবাহিক প্যাটার্নের অংশ। এখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের টার্গেট করা হয়, তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হয় এবং হত্যা পর্যন্ত করা হয় (BJP)।”

LinkedIn
Share